Jump to content

A H Royal

Members
  • Posts

    193
  • Joined

  • Last visited

  • Days Won

    129

Reputation Activity

  1. Like
    A H Royal got a reaction from Mhafiz™ in Xauusd/gold Sell   
    Tp1 hit 100pips
  2. Thanks
    A H Royal got a reaction from Mhafiz™ in GBP/USD Buy @ 1.19550-1.19350   
    Tp hit.
  3. Like
    A H Royal got a reaction from hamim786 in স্ক্যাল্পিং এর সুবিধা অসুবিধা ও নিয়ম।   
    বন্ধুরা, স্ক্যাল্পিং সম্পর্কে সবাই কম বেশী জানেন, তারপর ও আর একটু ধারনা দিই- স্বল্প সময়ে একাধিক বার স্বল্প পিপস প্রফিট/লস এ ট্রেড করার মানেই হল স্ক্যাল্পিং। স্ক্যাল্পিং ট্রেড এ প্রফিট/লস খুব কম হলেও এটা সারা বিশ্ব জুড়েই জনপ্রিয় এবং এজন্যই বিশ্বের অনেক ট্রেডারই স্ক্যাল্পিং করতে ভালোবাসেন। তবে অনেক নতুন ট্রেডার অভিজ্ঞতার অভাবে স্ক্যাল্পিং করতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়। তাই আজকে আপনাদের সাথে স্ক্যাল্পিং ট্রেড নিয়ে কিছু আলোচনা শেয়ার করবো।
     
    স্ক্যাল্পিং এর সুবিধাসমূহঃ
    স্বল্প টাইম ফ্রেম এ প্রত্যেক ক্যান্ডেল পর পর ট্রেড ওপেন করে প্রফিট নেয়া যায়।   স্বল্প সময়ে লাভ/লস নির্ধারণ হয় বলে লাভ/লস এর জন্য অধিক সময় বা দিন অপেক্ষা করতে হয়না। মার্কেট এ বিশাল মুবমেন্ট না থাকলেও একাধিক বার স্ক্যাল্পিং করে দৈনিক মোটামুটি ভালো পিপস লাভ করা যায়। একাধিক বার ট্রেড করে লাভ শূন্যতে (ব্রোকার স্প্রেড দিয়ে) আসলে ট্রেড ক্লোজ করে নিজের এ্যাপিলিয়েট এ ভাল কমিশন নেয়া যায়। নরমাল ট্রেডিং স্টাইল এ যা সম্ভব নয়। উদাহরণস্বরূপ-আপনি আপনার ১০০০$ এর একাউন্ট এ নরমালি দৈনিক ১-৩ভলিউম ট্রেড ওপেন এবং ক্লোজ করেন আর যদি স্ক্যাল্পিং করেন তাহলে ১০-২০ভলিউম করতে পারবেন কারণ আপনি যখন স্ক্যাল্পিং করবেন তখন আপনি ৩-৫পিপস এর বেশী লাভের চিন্তা করবেন না। স্ক্যাল্পিং করলে আপনাকে সারাদিন ট্রেড এ সময় দিতে হবে না। এ রকম আরো সুবিধা আছে যা এখন হয়তো আমার নলেজ এ আসছে না।
     
    স্ক্যাল্পিং এর অসুবিধাঃ
    আমার দেখামতে, স্ক্যাল্পিং এর সবচেয়ে বড় অসুবিধা হল-স্টফ লস ছাড়া যারা স্ক্যাল্পিং করেন তারা হুট করে বিশাল লস এর সম্মুখীন হন। দু-একটি ট্রেড এ প্রফিট নেয়ার পর ট্রেড এর প্রতি ওভার-কনফিডেন্স চলে আসা। যা একাধিক ট্রেডার এর ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। যার ফলাফল পরবর্তীতে খারাপ হয়। নিজের এ্যাপিলিয়েট এ কমিশন নেয়ার জন্য একসাথে অনেক বড় ভলিউম এ ট্রেড ওপেন করে নিজের একাউন্টকে ঝুঁকির দিকে নিয়ে যাওয়া। উপরের সুবিধা ও অসুবিধাগুলো পড়ে এতক্ষণে অবশ্যই বুঝতে আপনার কষ্ট হয়নি যে, স্ক্যাল্পিং এ অসুবিধাগুলো আমরা নিজেরাই তৈরি করি যা আমাদের করা উচিৎ নয়। তাহলে বুঝতেই পারছেন যে স্ক্যাল্পিং এ সুবিধাই বেশী।
     
    যেহেতু স্ক্যাল্পিং এ সুবিধা বেশী সেহেতু আপনারা কিভাবে স্ক্যাল্পিং করবেন আমার এ ছোট্ট অভিজ্ঞতা থেকে তাই বলিঃ
    ১৫/৩০ মিনিট টাইম ফ্রেম বাঁচাই করুন। বা আরো স্বল্প ও নির্দিষ্ট একটি টাইম ফ্রেম বাছাই করুন যে টাইম ফ্রেম এ আপনি সহজেই এনালাইসিস করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।   ব্রোকার স্প্রেড কম এমন যেকোনো একটি (মেজর) পেয়ার বাঁচাই করুন। পেয়ারটিতে যেন সারাদিনে গড়ে অন্তত ৩০পিপস মুভমেন্ট থাকে। যেমনঃ EURUSD, GBPUSD. চার্ট পরিস্কার রাখুন, যেন সব কিছু পরিস্কার দেখতে পান। তবে এজন্য আপনি ফ্রেক্টাল, প্যারাবলিক এ ধরনের ইন্ডিকেটর ব্যবহার করতে পারেন। তবে সব সময় আগে নিজের এনালাইসিসকে গুরুত্ব দিন। আপনার বাছাইকৃত টাইম ফ্রেম এ একটি ক্যান্ডেল শেষ হলেই ট্রেড এর সিদ্ধান্ত নিন। ট্রেড ওপেন করার আগে লক্ষ রাখবেন যে বিগত ক্যান্ডেল্-টির আঁকার যেন নুন্যতম ৫পিপস হয়। টেক-প্রফিটঃ ৩-১০ পিপস টেক প্রফিট দিন। বা আপনি আপনার এনালাইসিস মতে দিন।  তবে আমার মতে, স্ক্যাল্পিং এর ক্ষেত্রে ৩-৫পিপস প্রফিট আসলে আরো প্রফিট এর অপেক্ষা না করাই ভালো। স্টফ লসঃ আপনি যে ক্যান্ডেল এ ট্রেড ওপেন করেছেন বাই এর ক্ষেত্রে তার আগের ক্যান্ডেল লো এর ৩পিপস নিচে ও সেল এর ক্ষেত্রে  আগের ক্যান্ডেল হাই এর ৩পিপস উপরে দিন। আর যদি কেউ স্টফ লস ছাড়া স্ক্যাল্পিং ট্রেড করে থাকেন তাহলে ট্রেন্ড লাইন কে বেশী গুরুত্ব দিয়ে ট্রেড ওপেন করবেন। নতুবা দুর্ভাগ্যবশতঃ একাউন্ট এর অকাল মৃত্যুই আপনার প্রাপ্য হতে পারে। যেকোনো নিউজ পাবলিশ আওয়ার এ স্ক্যাল্পিং ট্রেড থেকে বিরত থাকা ভালো। আর অবশ্যই মানি ম্যানেজমেন্ট করে স্ক্যাল্পিং ট্রেড করবেন তা না হলে  ৫টি ট্রেড করে যা আয় করবেন ১ট্রেডেই হয়তো তার বেশী লস দিবেন। স্ক্যাল্পিং ট্রেড এর একটি চিত্র দেওয়া হলঃ
     

     
     
    ট্রেডপ্রিয় বন্ধুরা, স্ক্যাল্পিং সম্পর্কে আমি যতটুকু জানি চেষ্টা করেছি আপনাদের সাথে ভালোভাবে ততটুকু শেয়ার করার, তবে হয়তো ভালো করে গুচিয়ে বলতে পারিনি। ভুল হলে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন শুধরাবার চেষ্টা করবো আর স্ক্যাল্পিং ট্রেড সম্পর্কে আপনার আইডিয়া গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করবেন। মনে রাখবেন আপনার ছোট্ট আইডিয়া থেকে হয়তো কারো অনেক বড় উপকার হতে পারে।
     
    ধন্যবাদ সবাইকে।
  4. Like
    A H Royal got a reaction from Basu07 in সকল ট্রেডারের জন্য প্রচলিত(Common) এবং জরুরী কিছু নির্দেশাবলী।   
    সকল ট্রেডারের জন্য প্রচলিত(Common) এবং জরুরী কিছু নির্দেশাবলী
     

     
    একটি সম্মানজনক ও সঠিক ব্রোকারঃ
    একটি ব্রোকার এ কার্যকরভাবে ট্রেড করার ক্ষমতা নির্ভর করে সে ব্রোকারের যাবতীয় সামঞ্জস্যপূর্ণ  স্প্রেড/কমিশন ও প্রশস্ত তারল্যের উপর। ফরেক্স মার্কেট এ যে কোনো ব্রোকারই একটি অবস্থান তৈরি করতে পারে।তার মানে এই নয় যে, সে ব্রোকার ভাল।   সঠিক সময়ে একটি ট্রেড থেকে বের হওয়ার জন্য একটি ব্রোকার এর (ঐই পেয়ার এর) ন্যায্য বাজার মূল্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ অন্য ব্রোকার এর সাথে বাজার মুল্যের পিপ্স পরিবর্তন রূপ। ব্রোকার এর সাথে গ্রাহকদের যোগাযোগের নিয়ম/ক্ষমতা, সময়ের ব্যবধান ও কোনো সমস্যা হলে তার দ্রুত সমাধান দেয়ার সুষ্ঠ গুনাবলী থাকা অবশ্যই বাঞ্জনীয়। যে ব্রোকার সঠিকভাবে গ্রাহকের অর্থের নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। সহজ ও আইনীভাবে গ্রাহক তার অর্থ বিনিয়োগ ও উত্তোলন করতে পারে। এবং যে ব্রোকার আইনীভাবে বৈধ।    
    যখন লাইভ ট্রেড করবেনঃ
    সঠিকভাবে মানি ম্যানেজমেন্ট করা। অধিক পরিমাণ লিভারেজ/লোন (যা ব্রোকার দিয়ে থাকে) ব্যবহার করবেন না, যা আপনার বিনিয়োগকে ঝুঁকির দিকে নিয়ে যাবে। নিজের সফল স্টেটেজিতে ট্রেড করা। আর যদি অন্যের স্টেটেজিতে ট্রেড করে থাকেন তাহলে সেটা আগে তিন মাস ডেমোতে পরীক্ষা করে দেখুন যে ফলাফলটা কেমন। কারণ অন্যের স্টেটেজিতে হয়তো এক সপ্তাহ প্রফিট হয়ে পরের দিন বিশাল লস হতেই পারে কারণ এটা আপনার যাচাই করা স্টেটেজি নয়। অধিক সাহসই ফরেক্স মার্কেট এ অনেক ট্রেডারকে নিঃস্ব করে ছাড়ে, মনে রাখবেন ফরেক্স মার্কেট এ যে কোনো সময় বাজার মূল্য যেকোনো দিকে যেতে পারে তাই সর্বদা স্টপ লস ব্যবহার করুন।
     
    কখনো আবেগের বশবর্তী হয়ে ট্রেড করবেন না, আর ট্রেড করার সময় আপনার পরিকল্পনা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখুনঃ
    একটি ট্রেড শুরু করার আগে একটি ট্রেডিং প্ল্যান তৈরি করুন। যুক্তিসঙ্গত ঝুঁকি ও রিওয়ার্ড প্যারামিটার সেট করুন। আবেগপ্রবণ হয়ে আপনার স্টপ লস কে অগ্রাহ্য করবেন না। বাজারমুল্যের উপর কখনো প্রতিক্রিয়া করবেন না – এর অর্থ হল কখনো এই ভেবে বাই করবেন না যে বাজারমূল্য এখন অনেক নিচে আবার কখনো এটা ভেবেও সেল করবেন যে বাজারমুল্য অনেক উপরে। কারণ আপনার ট্রেড যে ওখান থেকে প্রফিটের দিকে আসবে তার কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমান বা নিয়ম নেই। মনে রাখবেন ফরেক্স মার্কেটে যে কোনো দামের ব্যবধান হতেই পারে।  
    ট্রেন্ড লাইন এর সঙ্গে এবং বিপরীতে ট্রেডঃ
    যখন ট্রেন্ডলাইন এর দিকে ট্রেড করবেন তখন ট্রায়ালিং স্টপ ব্যবহার করুন, তাহলে সরবোচ্চ প্রফিট নিতে পারবেন। আর যখন ট্রেন্ডলাইন এর বিপরীতে ট্রেড করবেন তখন শেষ পিপ বা সরবোচ্চ লাভের আশা না করে কতটুকু কারেকশন করতে পারে তা এনালাইসিস করে যতটুকু প্রফিট নেয়া যায় তা নিয়ে ট্রেড থেকে বের হয়ে যান। মনে রখবেন মার্কেট ট্রেন্ড হলো ট্রেড এবং ট্রেডারের বন্ধু, অর্থাৎ ট্রেন্ড যেদিকে আপনার ট্রেড সেদিকে হওয়া উচিৎ।  
    একটি কন্টিনাম (Continuum) হিসেবে ট্রেড এর আচরনঃ
    একটি সফল ট্রেডের স্টেটেজির উপর Base/ভিত্তি করে ট্রেড করবেন না। কারণ একটি ট্রেডে সফলতা এসেছে বলে প্রত্যেক ট্রেডে সফলতা আসবে এমন কোনো নিয়ম নেই, হ্যাঁ তবে যদি ঐই স্টেটেজিতে যদি ৭০% সফলতা আসে তাহলে ঠিক আছে। প্রত্যেকটি ট্রেড এ আবেগপ্রবণ হাই অথবা লো এড়িয়ে চলুন। অর্থাৎ আপনার ইচ্ছামত হাই লো পয়েন্ট নির্বাচন করবেন না। সমন্বয়ের/ঐক্যের মাধ্যমে একটি উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ।  
    ফরেক্স/বৈদেশিক মুদ্রা ট্রেডিং হল মাল্টি কারেন্সিরঃ
    ক্রস কারেন্সিগুলো দেখুন কারণ তারা হল স্পট/মেজর ট্রেডিং এ প্রভাব পড়ার চাবি। একই ক্রস কারেন্সি বনাম অন্যান্য কারেন্সি। যেমনঃ EUR/JPY (EUR Vs. JPY) অথবা EUR/GBP (EUR Vs. GBP)। স্পট/মেজর ট্রেড করার ক্ষেত্রে ক্রস কারেন্সিগুলো আপনাকে ভালো ডিরেকশান দিবে যদিও আপনি সেগুলোতে ট্রেড না করে থাকেন। যেমনঃ আপনি যদি EUR/JPY (EUR Vs. JPY) পেয়ারটি দেখেন তাহলে এখানে EUR ও JPY এর মুভমেন্ট সম্পর্কে আপনার আইডিয়া হয়ে যাবে যে এখানে কোন কারেন্সিটি স্ট্রং এবং মেজর পেয়ারে এ দুটির একটি কারেন্সি আছে এমন পেয়ারে ট্রেড করতে গেলে আপনি সহজে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।  
    নিউজ এ চোখ রাখুনঃ
    অন্ধের মত শুধুমাত্র টেকনিক্যাল এনালাইসিস এ ট্রেড না করে প্রতিদিন ট্রেড এ বসার আগে কি কি হাই ইমপ্যাক্ট নিউজ আছে সেগুলো দেখে নিন ও সে সময়গুলো মনে রেখে ট্রেড করুন। মনে রাখবেন হাই ইমপ্যাক্ট নিউজ আওয়ার এ নিউজ পাবলিশ হওয়ার পর ট্রেড করা ভাল। নিউজ ট্রেড এর ক্ষেত্রে শুধুমাত্র অর্থনৈতিক সংখ্যার নিউজগুলো কতটুকু এগিয়েছে বা পিছিয়েছে তা দেখুন এবং নিউজ এর ফলাফল বুঝে সতর্কভাবে ট্রেড করুন।  
    মার্কেট তারল্যের বিষয়ে সতর্ক থাকুনঃ
    সফল ট্রেড এর ক্ষেত্রে মার্কেট তারল্যের প্রতিও নজর রাখা জরুরী। অনেক সময় দেখা যায় যে তারল্যহীন মার্কেটে ট্রেড করে ঐই ট্রেড এর ফলাফলের জন্য কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। কোনো দেশের সরকারি ছুটির দিন বা অর্ধ-ছুটির দিনে ঐই কারেন্সির তারল্য কম হয়। মার্কেট তারল্যের ব্যপারে যে কোনো কারেন্সির/দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপের বিষয়ে সতর্ক থাকুন। যেকোনো দেশের ব্যাংক ছুটির দিনে সে দেশের কারেন্সিতে তারল্য কম থাকে তা মনে রাখবেন।
     
    পরিশেষে একটি কথা বলবো, ফরেক্স ব্যবসা অশিক্ষিত এবং ধৈর্যহীন ব্যাক্তির জন্য নয়, কারণ এ ব্যবসা জানতে হলে বা করতে হলে আপনাকে প্রচুর স্টাডি, শ্রম, ধৈর্য ও মনোবল ব্যয় করতে হবে। তবেই আপনি একজন সফল ট্রেডার হতে পারবেন।
     
    ভুল হলে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন আর ভালো লাগলে অনুপ্রেরনা যোগাবেন।  
    ধন্যবাদ সবাইকে।
  5. Like
    A H Royal got a reaction from sadwaves in ৫মিনিট টাইমফ্রেমে স্কেল্পিং পদ্ধতি   
    প্রিয় ট্রেডার বন্ধুর, আপনারা লক্ষ করেছেন যে ফরেক্স মার্কেট এ বেশীর ভাগ দিনেই ৩০-৬০পিপিস এর বেশী মুভমেন্ট হয়না, এতে করে অনেক ট্রেডারই ট্রেড করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেনা। তাই আমি অনেক দিন ধরেই ভাবছি যে আপনাদের সাথে (আমার পরীক্ষিত) এমন একটি ট্রেড স্ট্যাটিজি শেয়ার করবো যার মাধ্যমে আপনারা প্রতিদিনই ট্রেড করে সফল হতে পারবেন।
     
    আজকের ট্রেড স্ট্যাটিজির কথা শুনে সবাই হয়তো আমাকে বোকা বলতে/ভাবতে পারেন। কারণ, আজকে আমি আপনাদের সাথে পাঁচ মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেড করার একটা স্ট্যাটিজি শেয়ার করবো, যার দ্বারা আপনার হয়তো অনেক লাভ হবেনা কিন্তু  মার্কেট যখন মুভমেন্ট কম থাকবে তখনও আপনি ট্রেড করে সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
     
    এটা হলো একধরনের স্কেল্পিং ট্রেড স্ট্যাটিজি, মার্কেটের মুভমেন্ট যখন কম থাকে আমি নিজেও এই স্ট্যাটিজিতে ট্রেড করি এবং ৭৫-৮০% সফলতা পেয়ে থাকি।  
     
    নিম্নে চিত্রের মাধ্যমে দেখানো হলঃ
     

     
    আপনারা উপরে যে  চিত্রটি দেখতে পাচ্ছেন তা হলো ৫মিনিট এর একটি ক্যান্ডেলস্টিক চিত্র।
     
    আসুন ৫মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেড এর নিয়মগুলো জেনে নেইঃ
     
    পাঁচ মিনিটের ক্যান্ডেলস্টিক চিত্র ব্যবহার করুন। এবং লক্ষ করুন যে পর পর তিনটি ক্যান্ডেল এর গন্তব্য একদিকে (বাই/সেল) কিনা। আর হলে ক্যান্ডেলগুলো নুন্যতম ৫-৭পিপস এর কিনা।  তাহলেই আপনি ৫মিনিট এর টাইমফ্রেমে ট্রেড ওপেন করতে পারেন।
     
    কিভাবে ট্রেড ওপেন করবেনঃ
     
    যখন দেখবেন পর পর তিনটি ক্যান্ডেল এর গন্তব্য একদিকে (বাই/সেল) গিয়ে তৃতীয় ক্যান্ডেলটি শেষ হবে এবং চতুর্থ ক্যান্ডেলটি শুরু হয়ে ২-৪পিপস অফোসিট দিকে যাবে তখনই আপনি আপনার ট্রেডটি  (তিনটি ক্যান্ডেল যে দিকে ছিল সে দিকে) ওপেন করুন। এবং ১০পিপস টেক প্রফিট ও ১৫পিপস স্টপ লস ব্যবহার করুন। যদিও টেক প্রফিট এর চেয়ে স্টপ লস বেশী তাতে কি ৭৫-৮০% সময়ই তো আপনার  টেক প্রফিট এ ট্রেড ক্লোজ হচ্ছে।
     
    ৫মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেড এর সতর্কতাঃ
    মার্কেট ট্রেন্ড (১ঘন্টায়) যে দিকে বিশেষ করে সে দিকে ট্রেড করার চেষ্টা করবেন। নিউজ আওয়ার এ ধরনের ট্রেড করবেন না। মার্কেট ওপেনিং ও ক্লোজিং টাইম এ ধরনের ট্রেড করবেন না। এই স্ট্যাটিজিতে  কোন কোন পেয়ার এ ট্রেড করবেনঃ
    এক কথায় যে পেয়ারগুলোতে মুভমেন্ট ভালো সেগুলোতে যেমনঃ GBP/USD, GBP/JPY, EUR/USD, EUR/JPY, USD/CHF ও USD/CAD ।
    এই স্ট্যাটিজিতে ট্রেড করার জন্য কখনো স্লো মুভমেন্টের এবং মেজর ক্রস পেয়ার বাচাই করবেন না। এই স্ট্যাটিজিতে  ট্রেড করার আগে প্রয়োজনে ডেমোতে ট্রাই করুন, ডেমোতে ট্রাই করার পর আপনি যদি মনে করেন যে এ পদ্ধতিতে ভাল লাভ করা সম্ভব তখন আপনি মিনি ও মাইক্রো লাইভ একাউন্ট এ পদ্ধতি প্রয়োগ করুন। ধন্যবাদ।
  6. Like
    A H Royal got a reaction from Mhafiz™ in ফরেক্স ট্রেডিং এর বিভিন্ন সেশন বিস্তারিত (১ম অংশ)।   
    ফরেক্স ট্রেডিং এর বিভিন্ন সেশন বিস্তারিত (১ম অংশ)।
     
    বন্ধুরা, আপনারা সবাই জানেন যে, ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করার একটি অন্যতম সুবিধা হল এখানে সপ্তাহে ৫ দিন ( শনি ও রবিবার বাদ দিয়ে ) ২৪ ঘণ্টাই ট্রেড করা যায় বা মার্কেট খোলা থাকে যা পৃথিবীর অন্য কোনো স্টক মার্কেটে দেখা যায় না। ফরেক্স মার্কেটে প্রতিদিনের ট্রেডিংকে তিনটি সেশন এর মাধ্যমে ভাগ করা হয়। যেমন – ইউরোপিয়ান, আমেরিকান ও এশিয়ান সেশন। এগুলো আবার লন্ডন, নিউ ইয়র্ক ও টকিও+সিডনি সেশন নামেও পরিচিত। কারন ফরেক্সে লেনদেন কখনো এক জায়গা বা একয়ই সময়ে হয় না।
     
    উদাহরণস্বরূপ – আমরা জানি আমেরিকার সাথে আমাদের ১১-১২ ঘন্টা সময়ের পার্থক্য অথ্যাত আমাদের যখন দিন তখন তাদের রাত, এখন আপনি একজন বাংলাদেশী আর আপনি চাইছেন বাংলাদেশে বসে আমেরিকার সাথে আপনার ব্যবসায়ীক কার্যক্রম পরিচালনা করতে, তাহলে আপনি কি আপনার অফিস আওয়ার ফলো করে তাদের সাথে ব্যবসা করতে পারবেন? উত্তরে অবশ্যই না, কারণ আপনি তাদের সাথে অফিসিয়াল ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই তাদের অফিস আওয়ার ফলো করতে হবে ঠিক তেমনি তারাও আপনার অফিস আওয়ার ফলো করতে হবে। আশা করি এতক্ষণে ব্যপারটি আপনার কাছে পরিস্কার হয়ে গেছে।      
     
    যখন লন্ডন ট্রেডাররা ট্রেডিং শেষ করে তখন নিউ ইয়র্ক ট্রেডাররা ট্রেডিং শুরু করে। আবার যখন নিউ ইয়র্ক ট্রেডাররা ট্রেডিং শেষ করে তখন সিডনি/টোকিও ট্রেডাররা ট্রেডিং শুরু করে।
     
    বিভিন্ন ট্রেডিং সেশন এর বৈশিষ্ট্যঃ প্রত্যেকটা ট্রেডিং সেশনের আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আবার যখন কোন নির্দিষ্ট দেশের সেশন চালু থাকবে তখন ঐ দেশের কারেন্সির লেনদেন বেশি পরিমানে হয়ে থাকে এটাই স্বাভাবিক।
     
    উদাহরণস্বরূপ - যদি এশিয়ান সেশন খোলা থাকে তবে জাপান এর কোম্পানি গুলো অন্যান্য দেশের সাথে লেনদেন এ লিপ্ত হবে । ফলে জাপান এর কারেন্সি ইয়েন এর লেনদেন বেশি হবে, আবার যখন ইউরোপিয়ান সেশন খোলা থাকবে তখন ইউরোপ এর বিভিন্ন দেশের কোম্পানি গুলো অন্যান্য দেশের সাথে লেনদেন এ লিপ্ত হবে। ফলে ইউরোপ এর কারেন্সি ইউরো এর লেনদেন বেশি হবে। আবার যখন ইউরোপিয়ান সেশন বন্ধ হয়ে যায় তখন ঐ দেশের কোম্পানি গুলো লেনদেন কমিয়ে দেয়, ফলে ইউরো এর লেনদেন কমে যায়।
    সুতরাং একটি নির্দিষ্ট দেশের কারেন্সির লেনদেন, মুভমেন্ট এর ধরণ একটি নির্দিষ্ট সেশন খোলা বা বন্ধের জন্য প্রভাবিত হতে পারে।
     
    ফরেক্স ট্রেডিং সেশন:
    নিচের চিত্রটি GMT কে অনুসরণ করে সামার ও উইন্টার সিজনে বিভিন্ন সেশন এর খোলা ও বন্ধের সময় দেখানো হল।

     
    উপরের টেবিলটিতে  GMT কে অনুসরণ করে বিভিন্ন ট্রেডিং সেশনের সময় প্রদর্শন করা হয়েছে। আপনি আপনার প্রয়োজনে এর সাথে আপনার অবস্থান অনুযায়ী সময় যোগ/বিয়োগ করে ঠিক করে নিন।
     
    আপনারা জানেন যে, কোন ট্রেডিং সেশনই এক সপ্তাহ ধরে খোলা থাকে না। ট্রেডিং সপ্তাহ সিডনি সেশন দিয়ে শুরু হয় এবং শেষ হয় নিউ ইয়র্ক সেশন এর মাধ্যমে। বিশ্বে আপনার অবস্থান এর উপর নির্ভর করে দিন ও সময় আলাদা হয়। এখন আপনি যদি জাপান এ বাস করেন তবে দিন শুরু হবে সোমবার সকাল থেকে। আবার আপনি যদি ইউরোপ এ বাস করেন তবে দিন শুরু হবে রবিবার বিকেল থেকে।
     
    সেশনগুলোর বৈশিষ্ট্য:
    সেশন ভেদে প্রত্যেকটি ট্রেডিং সেশনের আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাহলে আসুন জেনে নেই ট্রেডিং সেশনগুলোর যাবতীয় বৈশিষ্ট্যসমুহঃ  
     
    এশিয়ান সেশনঃ

    এশিয়ান সিডনি সেশন বর্তমানে শুরু হয় ২১ GMT তে। শুধুমাত্র সিডনি সেশন এ লেনদেন কম এর ফলে প্রাইস এর উঠা নামা কম। তবে 00 :00 GMT তে টকিও সেশন খুলে গেলে লেনদেন এর পরিমান বেড়ে যায়। US & UK এর তুলনাই এশিয়ান ও অস্ট্রেলিয়ার মার্কেট ছোট হওয়াতে এ সময়ে লেনদেন কম হয়ে থাকে। আর এ সময় স্প্রেড এর পরিমাণও একটু বেশি হয়।
     
    এশিয়ান সেশন এ Aud & Nzd ডলার এবং জাপানিজ Yen এর লেনদেন বেশি পরিমানে হয়। সুতরাং এশিয়ান সেশন এ বেশি ট্রেডেবল কারেন্সিগুলো হল - AUD/USD, AUD/JPY, AUD/NZD, JPY/USD, NZD/JPY ও NZD/USD.
     
    যেহেতু এশিয়ান সেশনে লেনদেনের পরিমান কম ও স্প্রেড এর পরিমান বেশী হয়ে থাকে তাই আমি মনে করি এ সেশনে মোটামুটি লাভ নিশ্চিত না জেনে ট্রেড/অর্ডার না দেওয়াই ভাল। আর এ সেশনে সফল ট্রেড করতে আপনাকে বেশীরভাগ সময়ই ভোর রাত/ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হবে আর যদি ভোরে উঠতেই না পারেন তাহলে রাত জেগে বসে থাকতে হবে, তাই এ সেশনে ট্রেড করতে বা করার জন্য সুদৃঢ় চিন্তা-ভাবনা করে অগ্রসর হউন।  
     
    অন্য সেশনগুলো সম্পর্কে জানতে চোখ রাখুন আগামী দিনের পোষ্টে.........    
     
    ধন্যবাদ।
     
  7. Like
    A H Royal got a reaction from salmansam in ফরেক্স ট্রেডিং এর বিভিন্ন সেশন বিস্তারিত (১ম অংশ)।   
    ফরেক্স ট্রেডিং এর বিভিন্ন সেশন বিস্তারিত (১ম অংশ)।
     
    বন্ধুরা, আপনারা সবাই জানেন যে, ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করার একটি অন্যতম সুবিধা হল এখানে সপ্তাহে ৫ দিন ( শনি ও রবিবার বাদ দিয়ে ) ২৪ ঘণ্টাই ট্রেড করা যায় বা মার্কেট খোলা থাকে যা পৃথিবীর অন্য কোনো স্টক মার্কেটে দেখা যায় না। ফরেক্স মার্কেটে প্রতিদিনের ট্রেডিংকে তিনটি সেশন এর মাধ্যমে ভাগ করা হয়। যেমন – ইউরোপিয়ান, আমেরিকান ও এশিয়ান সেশন। এগুলো আবার লন্ডন, নিউ ইয়র্ক ও টকিও+সিডনি সেশন নামেও পরিচিত। কারন ফরেক্সে লেনদেন কখনো এক জায়গা বা একয়ই সময়ে হয় না।
     
    উদাহরণস্বরূপ – আমরা জানি আমেরিকার সাথে আমাদের ১১-১২ ঘন্টা সময়ের পার্থক্য অথ্যাত আমাদের যখন দিন তখন তাদের রাত, এখন আপনি একজন বাংলাদেশী আর আপনি চাইছেন বাংলাদেশে বসে আমেরিকার সাথে আপনার ব্যবসায়ীক কার্যক্রম পরিচালনা করতে, তাহলে আপনি কি আপনার অফিস আওয়ার ফলো করে তাদের সাথে ব্যবসা করতে পারবেন? উত্তরে অবশ্যই না, কারণ আপনি তাদের সাথে অফিসিয়াল ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই তাদের অফিস আওয়ার ফলো করতে হবে ঠিক তেমনি তারাও আপনার অফিস আওয়ার ফলো করতে হবে। আশা করি এতক্ষণে ব্যপারটি আপনার কাছে পরিস্কার হয়ে গেছে।      
     
    যখন লন্ডন ট্রেডাররা ট্রেডিং শেষ করে তখন নিউ ইয়র্ক ট্রেডাররা ট্রেডিং শুরু করে। আবার যখন নিউ ইয়র্ক ট্রেডাররা ট্রেডিং শেষ করে তখন সিডনি/টোকিও ট্রেডাররা ট্রেডিং শুরু করে।
     
    বিভিন্ন ট্রেডিং সেশন এর বৈশিষ্ট্যঃ প্রত্যেকটা ট্রেডিং সেশনের আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আবার যখন কোন নির্দিষ্ট দেশের সেশন চালু থাকবে তখন ঐ দেশের কারেন্সির লেনদেন বেশি পরিমানে হয়ে থাকে এটাই স্বাভাবিক।
     
    উদাহরণস্বরূপ - যদি এশিয়ান সেশন খোলা থাকে তবে জাপান এর কোম্পানি গুলো অন্যান্য দেশের সাথে লেনদেন এ লিপ্ত হবে । ফলে জাপান এর কারেন্সি ইয়েন এর লেনদেন বেশি হবে, আবার যখন ইউরোপিয়ান সেশন খোলা থাকবে তখন ইউরোপ এর বিভিন্ন দেশের কোম্পানি গুলো অন্যান্য দেশের সাথে লেনদেন এ লিপ্ত হবে। ফলে ইউরোপ এর কারেন্সি ইউরো এর লেনদেন বেশি হবে। আবার যখন ইউরোপিয়ান সেশন বন্ধ হয়ে যায় তখন ঐ দেশের কোম্পানি গুলো লেনদেন কমিয়ে দেয়, ফলে ইউরো এর লেনদেন কমে যায়।
    সুতরাং একটি নির্দিষ্ট দেশের কারেন্সির লেনদেন, মুভমেন্ট এর ধরণ একটি নির্দিষ্ট সেশন খোলা বা বন্ধের জন্য প্রভাবিত হতে পারে।
     
    ফরেক্স ট্রেডিং সেশন:
    নিচের চিত্রটি GMT কে অনুসরণ করে সামার ও উইন্টার সিজনে বিভিন্ন সেশন এর খোলা ও বন্ধের সময় দেখানো হল।

     
    উপরের টেবিলটিতে  GMT কে অনুসরণ করে বিভিন্ন ট্রেডিং সেশনের সময় প্রদর্শন করা হয়েছে। আপনি আপনার প্রয়োজনে এর সাথে আপনার অবস্থান অনুযায়ী সময় যোগ/বিয়োগ করে ঠিক করে নিন।
     
    আপনারা জানেন যে, কোন ট্রেডিং সেশনই এক সপ্তাহ ধরে খোলা থাকে না। ট্রেডিং সপ্তাহ সিডনি সেশন দিয়ে শুরু হয় এবং শেষ হয় নিউ ইয়র্ক সেশন এর মাধ্যমে। বিশ্বে আপনার অবস্থান এর উপর নির্ভর করে দিন ও সময় আলাদা হয়। এখন আপনি যদি জাপান এ বাস করেন তবে দিন শুরু হবে সোমবার সকাল থেকে। আবার আপনি যদি ইউরোপ এ বাস করেন তবে দিন শুরু হবে রবিবার বিকেল থেকে।
     
    সেশনগুলোর বৈশিষ্ট্য:
    সেশন ভেদে প্রত্যেকটি ট্রেডিং সেশনের আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাহলে আসুন জেনে নেই ট্রেডিং সেশনগুলোর যাবতীয় বৈশিষ্ট্যসমুহঃ  
     
    এশিয়ান সেশনঃ

    এশিয়ান সিডনি সেশন বর্তমানে শুরু হয় ২১ GMT তে। শুধুমাত্র সিডনি সেশন এ লেনদেন কম এর ফলে প্রাইস এর উঠা নামা কম। তবে 00 :00 GMT তে টকিও সেশন খুলে গেলে লেনদেন এর পরিমান বেড়ে যায়। US & UK এর তুলনাই এশিয়ান ও অস্ট্রেলিয়ার মার্কেট ছোট হওয়াতে এ সময়ে লেনদেন কম হয়ে থাকে। আর এ সময় স্প্রেড এর পরিমাণও একটু বেশি হয়।
     
    এশিয়ান সেশন এ Aud & Nzd ডলার এবং জাপানিজ Yen এর লেনদেন বেশি পরিমানে হয়। সুতরাং এশিয়ান সেশন এ বেশি ট্রেডেবল কারেন্সিগুলো হল - AUD/USD, AUD/JPY, AUD/NZD, JPY/USD, NZD/JPY ও NZD/USD.
     
    যেহেতু এশিয়ান সেশনে লেনদেনের পরিমান কম ও স্প্রেড এর পরিমান বেশী হয়ে থাকে তাই আমি মনে করি এ সেশনে মোটামুটি লাভ নিশ্চিত না জেনে ট্রেড/অর্ডার না দেওয়াই ভাল। আর এ সেশনে সফল ট্রেড করতে আপনাকে বেশীরভাগ সময়ই ভোর রাত/ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হবে আর যদি ভোরে উঠতেই না পারেন তাহলে রাত জেগে বসে থাকতে হবে, তাই এ সেশনে ট্রেড করতে বা করার জন্য সুদৃঢ় চিন্তা-ভাবনা করে অগ্রসর হউন।  
     
    অন্য সেশনগুলো সম্পর্কে জানতে চোখ রাখুন আগামী দিনের পোষ্টে.........    
     
    ধন্যবাদ।
     
  8. Like
    A H Royal got a reaction from Mhafiz™ in ব্যস্ত বা স্বল্প সময়ের ট্রেডারদের জন্য তিনটি ট্রেডিং কৌশল (শেষ অংশ)।   
    ব্যস্ত বা স্বল্প সময়ের ট্রেডারদের জন্য তিনটি ট্রেডিং কৌশল (শেষ অংশ)।
     
    বন্ধুরা, ব্যস্ত বা স্বল্প সময়ের ট্রেডারদের জন্য তিনটি ট্রেডিং কৌশল লিখাটির প্রথম অংশে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেছি, যারা প্রথম অংশ পড়েননি তারা বিডিফরেক্সপ্রো থেকে প্রথম অংশটি জেনে নিন তাহলে দ্বিতীয় অংশটি বুঝতে আপনার জন্য সহজ হবে।
    তাহলে আসুন আর দেরি না করে জেনে নেই ব্যস্ত বা স্বল্প সময়ের ট্রেডারদের জন্য বাকী দুটি ট্রেডিং কৌশল-
     
    কৌশল ২
    সহজতর ভাবে ট্রেড করুন (Simplify Your Trading). অনেক ভালো ট্রেডার ফরেক্স এর ক্ষেত্রে ইংরেজিতে একটি কথা বলেন, In Forex, simple is better.
    বেশীরভাগ নতুন ট্রেডার তাদের ট্রেডিং এর জন্য জটিল ইন্ডিকেটর বেইজড ট্রেড স্ট্রেটেজি ফলো করে থাকে। আর ইন্ডিকেটর বেইজড ট্রেড কৌশল বিভিন্নভাবে স্থাপন করতে হয়। আমার জানামতে, ইন্ডিকেটর বেইজড স্ট্রেটেজিতে একের অধিক ইন্ডিকেটর ব্যবহার করতে হয় যার ফলে একেকটি ইন্ডিকেটর একেকটি দিকে (বাই/সেল) ইন্ডিকেট করে, এতে করে একজন ট্রেডার বেশীরভাগ সময় অনায়াসে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে লসের সম্মুখীন হয়। তাই যদি সহজভাবে সফল ট্রেড করা যায় তাহলে আপনি কেন জটিল পদ্ধতিকে বেঁচে নিবেন?
     

     
    সুতারাং কিভাবে আপনি আপনার ট্রেডিং পদ্ধতিকে সহজ করবেন?
     
    আপনার এই প্রশ্নের খুবই সহজ উত্তর হলো প্রাইচ একশন বা প্রাইচ একশন পদ্ধতি। প্রাইচ একশন এর মাধ্যমে আপনি কোনো প্রকার ইন্ডিকেটর ছাড়া মুক্ত চার্টে পরিস্কারভাবে সফল ও প্রফিটেবল ট্রেড করতে পারেন। প্রাইচ একশন এর মাধ্যমে ট্রেড করার জন্য আপনি মিনিমাম ৪ঘন্টার টাইম ফ্রেম ফলো করুন/করা ভালো, তার সাথে স্টপলস টেক প্রফিটের জন্য সাপোর্ট ও রেসিস্টেন্স মনে রাখুন/ব্যবহার করুন। তাই আপনার ট্রেডিং পদ্ধতিকে সহজ করার জন্য আপনাকে প্রাইচ একশন সম্পর্কে ভাল ধারনা রাখতে হবে। এজন্য বিডিফরেক্সপ্রো তে প্রাইচ একশন নিয়ে লিখাগুলো পড়ে এ সম্পর্কে ধারনা নিতে পারেন আর জানলেতো আপনার জন্য খুবই ভালো।
     
    কৌশল ৩
    অধিক পেয়ার এ ট্রেড করুন (Trade a Lot of Pairs).
    আপনার এটা ভুল বা উম্মাদের সিদ্ধান্ত বলে মনে হতে পারে যে, কিভাবে আপনি অধিক পেয়ারে ট্রেড এর মাধ্যমে আপনার ট্রেড পদ্ধতিকে সহজ করবেন?
    সাধারণত আমি ট্রেডারদেরকে এক থেকে তিনটি পেয়ারে ট্রেড করার জন্য উৎসাহিত করি। যাইহোক, আপানার যদি ট্রেডে সময় দেওয়ার মত পরিস্থিতি না থাকে তাহলে আপনাকে বলবো আপনি অধিক পেয়ারে ট্রেড করুন। স্বল্প বা কম রক্ষণাবেক্ষণ সময় ফ্রেমে ট্রেড পদ্ধতিতে কিন্তু অধিক পেয়ারে ট্রেড করলে আপনি বিপদে পড়বেন আর এটা মোকাবেলা করার জন্য আপনাকে অধিক পেয়ারে ট্রেড করতে হবে।
    কারন আমরা ট্রেড করার সময় দেখি যে, অনেকগুলো পেয়ারের মুবমেন্ট একই রকম হয়, তার মধ্যে অনেকগুলো একই দিকে যায় আবার অনেকগুলো পেয়ার তার বিপরিত দিকে যায় ঠিক কারেন্সি রিং এর মত(কারেন্সি রিং সম্পর্কে বিডিফরেক্সপ্রো-তে বিস্তারিত পাবেন), তাই আপনি যদি অধিক পেয়ারে ট্রেড এর জন্য একই গন্তব্যের কিছু পেয়ার আর বিপরীত গন্তব্যের কিছু পেয়ার আর এদের ক্রস কিছু পেয়ার বাছাই করে সবগুলোতে একই সময়ে এন্টি করেন এবং তাদের কিছু পেয়ার ভাল প্রফিটে গেলে সাপোর্ট রেসিস্টেন্স/প্রাইচ একশন দেখে প্রফিটের পেয়ারগুলোর ট্রেড ক্লোজ করে দিন আর যদি সকল পেয়ার মিলে যদি প্রফিটে থাকে তাহলে সবগুলো একসাথে ক্লোজ করে দিন।    
     

     
    মার্কেট যখন ভালো মুবমেন্ট করে তখন বিভিন্ন পেয়ারের মুবমেন্ট ও ট্রেন্ড অনেকটা উপরের চিত্রের ন্যায় হয়।    
     
    আপনি যদি আট(৮) ঘন্টার টাইম ফ্রেমে ট্রেড করে থাকেন তাহলে আপনাকে অন্তত পাঁচটি(৫) পেয়ারে আর দৈনিক টাইম ফ্রেমে ট্রেড করলে দশটি(১০) পেয়ারে ট্রেড করা উচিৎ/প্রয়োজন। আমি জানি হয়তো আপনার কাছে এটা শুনতে অনেকটা পাগলের প্রলাপের মত লাগছে, যদি তাই হয় তাহলে আপনার ধারনা ভুল।
    এজন্য আপনাকে বড় টাইম ফ্রেমে প্রাইচ একশনের সাহায্যে ট্রেড করতে হবে। আপনার ট্রেডিং পেয়ারগুলোর চার্টকে পরিস্কার রাখতে হবে(ইন্ডিকেটর বিহীন)। এবং বড় টাইম ফ্রেমে ট্রেড করার সিদ্ধান্ত নিতে আপনাকে অধিক সময়ও দিতে হবে না। এবং আপনি যদি ১৫-২০ পেয়ারেও ট্রেড করতে চান এজন্য আপনাকে বড় জোর ৫মিনিট সময় ব্যয় করতে হবে, তাই ঐই হিসেবে দশ(১০) পেয়ারে ট্রেড করা আমি মনে করি অনেক সহজ।
     
    আমি প্রায় সময় আট ঘন্টা বা দৈনিক চার্টে নিম্নের আটটি পেয়ারে ট্রেড করে থাকি –
     
    EUR/USD    GBP/USD    USD/CAD
    USD/CHF    USD/JPY     GBP/JPY
    EUR/JPY     EUR/GBP
     
    উপরোক্ত পেয়ারগুলতে সফল ট্রেড করার জন্য আমি সপ্তাহে কয়েক ঘন্টা ব্যয় করে থাকি।
     
    বন্ধুরা ট্রেডের এই তিনটি কৌশল আপনাদের কেমন লাগলো? আশা করি যদি ট্রাই করেন তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন। আর যারা এখন নিজের/অন্যের স্ট্রেটেজি ফলো করছেন কিন্তু কোন লাভ হচ্ছে না, তারা আগামী সপ্তাহ থেকে এই তিনটি কৌশলের যে কোনো একটিতে (যেটা আপনি ভাল বুঝেছেন) আট ঘন্টা বা দৈনিক চার্টে ট্রেড করা শুরু করুন অবশ্যই ভাল ফলাফল পাবেন। এবং এই কৌশলগুলো থেকে আপনি যদি ভাল ফলাফল পেয়ে থাকেন তাহলে আপনার পরিচিত ট্রেডারদের সাথে শেয়ার করুন, মনে রাখবেন আপনার জ্ঞান যতই অন্যের মাঝে বিতরণ করবেন ততই বৃদ্ধি পাবে।
     
    ধন্যবাদ।
  9. Like
    A H Royal got a reaction from Asfia Islam in সকল ট্রেডারের জন্য প্রচলিত(Common) এবং জরুরী কিছু নির্দেশাবলী।   
    সকল ট্রেডারের জন্য প্রচলিত(Common) এবং জরুরী কিছু নির্দেশাবলী
     

     
    একটি সম্মানজনক ও সঠিক ব্রোকারঃ
    একটি ব্রোকার এ কার্যকরভাবে ট্রেড করার ক্ষমতা নির্ভর করে সে ব্রোকারের যাবতীয় সামঞ্জস্যপূর্ণ  স্প্রেড/কমিশন ও প্রশস্ত তারল্যের উপর। ফরেক্স মার্কেট এ যে কোনো ব্রোকারই একটি অবস্থান তৈরি করতে পারে।তার মানে এই নয় যে, সে ব্রোকার ভাল।   সঠিক সময়ে একটি ট্রেড থেকে বের হওয়ার জন্য একটি ব্রোকার এর (ঐই পেয়ার এর) ন্যায্য বাজার মূল্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ অন্য ব্রোকার এর সাথে বাজার মুল্যের পিপ্স পরিবর্তন রূপ। ব্রোকার এর সাথে গ্রাহকদের যোগাযোগের নিয়ম/ক্ষমতা, সময়ের ব্যবধান ও কোনো সমস্যা হলে তার দ্রুত সমাধান দেয়ার সুষ্ঠ গুনাবলী থাকা অবশ্যই বাঞ্জনীয়। যে ব্রোকার সঠিকভাবে গ্রাহকের অর্থের নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। সহজ ও আইনীভাবে গ্রাহক তার অর্থ বিনিয়োগ ও উত্তোলন করতে পারে। এবং যে ব্রোকার আইনীভাবে বৈধ।    
    যখন লাইভ ট্রেড করবেনঃ
    সঠিকভাবে মানি ম্যানেজমেন্ট করা। অধিক পরিমাণ লিভারেজ/লোন (যা ব্রোকার দিয়ে থাকে) ব্যবহার করবেন না, যা আপনার বিনিয়োগকে ঝুঁকির দিকে নিয়ে যাবে। নিজের সফল স্টেটেজিতে ট্রেড করা। আর যদি অন্যের স্টেটেজিতে ট্রেড করে থাকেন তাহলে সেটা আগে তিন মাস ডেমোতে পরীক্ষা করে দেখুন যে ফলাফলটা কেমন। কারণ অন্যের স্টেটেজিতে হয়তো এক সপ্তাহ প্রফিট হয়ে পরের দিন বিশাল লস হতেই পারে কারণ এটা আপনার যাচাই করা স্টেটেজি নয়। অধিক সাহসই ফরেক্স মার্কেট এ অনেক ট্রেডারকে নিঃস্ব করে ছাড়ে, মনে রাখবেন ফরেক্স মার্কেট এ যে কোনো সময় বাজার মূল্য যেকোনো দিকে যেতে পারে তাই সর্বদা স্টপ লস ব্যবহার করুন।
     
    কখনো আবেগের বশবর্তী হয়ে ট্রেড করবেন না, আর ট্রেড করার সময় আপনার পরিকল্পনা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখুনঃ
    একটি ট্রেড শুরু করার আগে একটি ট্রেডিং প্ল্যান তৈরি করুন। যুক্তিসঙ্গত ঝুঁকি ও রিওয়ার্ড প্যারামিটার সেট করুন। আবেগপ্রবণ হয়ে আপনার স্টপ লস কে অগ্রাহ্য করবেন না। বাজারমুল্যের উপর কখনো প্রতিক্রিয়া করবেন না – এর অর্থ হল কখনো এই ভেবে বাই করবেন না যে বাজারমূল্য এখন অনেক নিচে আবার কখনো এটা ভেবেও সেল করবেন যে বাজারমুল্য অনেক উপরে। কারণ আপনার ট্রেড যে ওখান থেকে প্রফিটের দিকে আসবে তার কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমান বা নিয়ম নেই। মনে রাখবেন ফরেক্স মার্কেটে যে কোনো দামের ব্যবধান হতেই পারে।  
    ট্রেন্ড লাইন এর সঙ্গে এবং বিপরীতে ট্রেডঃ
    যখন ট্রেন্ডলাইন এর দিকে ট্রেড করবেন তখন ট্রায়ালিং স্টপ ব্যবহার করুন, তাহলে সরবোচ্চ প্রফিট নিতে পারবেন। আর যখন ট্রেন্ডলাইন এর বিপরীতে ট্রেড করবেন তখন শেষ পিপ বা সরবোচ্চ লাভের আশা না করে কতটুকু কারেকশন করতে পারে তা এনালাইসিস করে যতটুকু প্রফিট নেয়া যায় তা নিয়ে ট্রেড থেকে বের হয়ে যান। মনে রখবেন মার্কেট ট্রেন্ড হলো ট্রেড এবং ট্রেডারের বন্ধু, অর্থাৎ ট্রেন্ড যেদিকে আপনার ট্রেড সেদিকে হওয়া উচিৎ।  
    একটি কন্টিনাম (Continuum) হিসেবে ট্রেড এর আচরনঃ
    একটি সফল ট্রেডের স্টেটেজির উপর Base/ভিত্তি করে ট্রেড করবেন না। কারণ একটি ট্রেডে সফলতা এসেছে বলে প্রত্যেক ট্রেডে সফলতা আসবে এমন কোনো নিয়ম নেই, হ্যাঁ তবে যদি ঐই স্টেটেজিতে যদি ৭০% সফলতা আসে তাহলে ঠিক আছে। প্রত্যেকটি ট্রেড এ আবেগপ্রবণ হাই অথবা লো এড়িয়ে চলুন। অর্থাৎ আপনার ইচ্ছামত হাই লো পয়েন্ট নির্বাচন করবেন না। সমন্বয়ের/ঐক্যের মাধ্যমে একটি উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ।  
    ফরেক্স/বৈদেশিক মুদ্রা ট্রেডিং হল মাল্টি কারেন্সিরঃ
    ক্রস কারেন্সিগুলো দেখুন কারণ তারা হল স্পট/মেজর ট্রেডিং এ প্রভাব পড়ার চাবি। একই ক্রস কারেন্সি বনাম অন্যান্য কারেন্সি। যেমনঃ EUR/JPY (EUR Vs. JPY) অথবা EUR/GBP (EUR Vs. GBP)। স্পট/মেজর ট্রেড করার ক্ষেত্রে ক্রস কারেন্সিগুলো আপনাকে ভালো ডিরেকশান দিবে যদিও আপনি সেগুলোতে ট্রেড না করে থাকেন। যেমনঃ আপনি যদি EUR/JPY (EUR Vs. JPY) পেয়ারটি দেখেন তাহলে এখানে EUR ও JPY এর মুভমেন্ট সম্পর্কে আপনার আইডিয়া হয়ে যাবে যে এখানে কোন কারেন্সিটি স্ট্রং এবং মেজর পেয়ারে এ দুটির একটি কারেন্সি আছে এমন পেয়ারে ট্রেড করতে গেলে আপনি সহজে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।  
    নিউজ এ চোখ রাখুনঃ
    অন্ধের মত শুধুমাত্র টেকনিক্যাল এনালাইসিস এ ট্রেড না করে প্রতিদিন ট্রেড এ বসার আগে কি কি হাই ইমপ্যাক্ট নিউজ আছে সেগুলো দেখে নিন ও সে সময়গুলো মনে রেখে ট্রেড করুন। মনে রাখবেন হাই ইমপ্যাক্ট নিউজ আওয়ার এ নিউজ পাবলিশ হওয়ার পর ট্রেড করা ভাল। নিউজ ট্রেড এর ক্ষেত্রে শুধুমাত্র অর্থনৈতিক সংখ্যার নিউজগুলো কতটুকু এগিয়েছে বা পিছিয়েছে তা দেখুন এবং নিউজ এর ফলাফল বুঝে সতর্কভাবে ট্রেড করুন।  
    মার্কেট তারল্যের বিষয়ে সতর্ক থাকুনঃ
    সফল ট্রেড এর ক্ষেত্রে মার্কেট তারল্যের প্রতিও নজর রাখা জরুরী। অনেক সময় দেখা যায় যে তারল্যহীন মার্কেটে ট্রেড করে ঐই ট্রেড এর ফলাফলের জন্য কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। কোনো দেশের সরকারি ছুটির দিন বা অর্ধ-ছুটির দিনে ঐই কারেন্সির তারল্য কম হয়। মার্কেট তারল্যের ব্যপারে যে কোনো কারেন্সির/দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপের বিষয়ে সতর্ক থাকুন। যেকোনো দেশের ব্যাংক ছুটির দিনে সে দেশের কারেন্সিতে তারল্য কম থাকে তা মনে রাখবেন।
     
    পরিশেষে একটি কথা বলবো, ফরেক্স ব্যবসা অশিক্ষিত এবং ধৈর্যহীন ব্যাক্তির জন্য নয়, কারণ এ ব্যবসা জানতে হলে বা করতে হলে আপনাকে প্রচুর স্টাডি, শ্রম, ধৈর্য ও মনোবল ব্যয় করতে হবে। তবেই আপনি একজন সফল ট্রেডার হতে পারবেন।
     
    ভুল হলে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন আর ভালো লাগলে অনুপ্রেরনা যোগাবেন।  
    ধন্যবাদ সবাইকে।
  10. Like
    A H Royal got a reaction from Abu Monsur in মার্কেট ট্রেন্ড সনাক্ত করার টিপস।   
    মার্কেট ট্রেন্ড সনাক্ত করার টিপস।
     
    বন্ধুরা, মার্কেট ট্রেন্ড আঁকা ও বুঝা ফরেক্স ট্রেডারদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যারা ট্রেন্ডলাইন বুঝে এবং আঁকতে পারে তারা যে কোনো টাইমফ্রেমে যে কোনো কারেন্সি পেয়ার/জোড় এ ট্রেড করে সফলতা অর্জন করতে সক্ষম। আর যারা ট্রেন্ড লাইন সঠিকভাবে সনাক্ত করতে ব্যর্থ হয় তারা ৭০-৯০শতাংশ সময় লসের সম্মুখীন হন। যখন কোনো ট্রেডার ট্রেড করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন তখন তিনি বর্তমান ট্রেন্ড লাইন ডিরেকশন বিভিন্ন টাইম ফ্রেমে দেখে তার পরই ট্রেডে এন্ট্রি দিয়ে থাকেন বা ট্রেড করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, ঠিক তেমনি সফল ট্রেড করার জন্য আপনাকেও একটি পেয়ারের এই সামগ্রিক দিক সমূহ দেখে ট্রেডে এন্ট্রি দিতে হবে নতুবা যা লাভ করার চিন্তা করেছেন তার কয়েকগুন লস হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
    ট্রেন্ড সনাক্ত করার জন্য লং টাইম ফ্রেম সবচেয়ে নিরাপদ যেমনঃ দৈনিক ও সাপ্তাহিক চার্ট। দৈনিক ও সাপ্তাহিক চার্ট এজন্য গুরুত্বপূর্ণ যে, ছোট টাইম ফ্রেমের চার্টে আপনি বিভিন্ন ধরনের ব্রেক-আউট দেখতে পাবেন এবং ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কিন্তু দৈনিক বা সাপ্তাহিক চার্ট আপনাকে কখনো ভুল ব্রেক আউট শো করবে না এবং সঠিক ট্রেন্ড দেখাবে। উদাহরণস্বরূপ আপনি বর্তমানের ইউরো/ইউএসডি পেয়ারটি বিভিন্ন টাইম ফ্রেমে দেখুন তাহলেই জবাবটা পেয়ে যাবেন এবং বুঝতে পারবেন যে, আমার কথা কতটুকু সত্য।
    আপনি যদি লং ট্রেডার হন এবং ট্রেন্ড লাইন আঁকতে জানেন, তাহলে দৈনিক ও সাপ্তাহিক চার্টে ট্রেন্ড লাইন আঁকুন তাহলেই ট্রেন্ড এর সঠিক পথ পাবেন অথবা...........................
     
    মুভিং এভারেজ
    মার্কেট ট্রেন্ড সনাক্ত করার আরেকটি সহজ মাধ্যম হল মুভিং এভারেজ। বিশেষ করে যারা সঠিকভাবে ট্রেন্ড লাইন আঁকতে ব্যর্থ তারাই এ পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে। এক্ষেত্রে আপনি ১৪ পিরিয়ড এ মুভিং এভারেজ এর লেভেল ৫০, ১০০ ও ২০০ ব্যবহার করবেন। আর এটা অবশ্যই দৈনিক চার্টে দেখবেন তাহলেই আপনি সঠিক ট্রেন্ড বুঝতে/ধরতে সক্ষম হবেন।
     

     
    যেভাবে ট্রেন্ড সনাক্ত করবেন এবং ট্রেড এর সিদ্ধান্ত নিবেনঃ
    বেশীরভাগ ট্রেডার ১০০দিনের মুভিং এভারেজ ফলো করে ট্রেডের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, মার্কেট মুল্য যদি ১০০মুভিং এভারেজ এর উপরে থাকে তাহলে ট্রেন্ড আপ এবং এক্ষেত্রে ট্রেডাররা শুধুই বাই ট্রেড এন্ট্রি দিয়ে থাকেন আর যদি মার্কেট মুল্য ১০০মুভিং এভারেজ এর নিচে থাকে তাহলে ট্রেন্ড ডাউন এবং এক্ষেত্রে ট্রেডাররা শুধুই সেল ট্রেড করে থাকেন। তবে আপনি যদি মুভিং এভারেজ এর সাথে ট্রেন্ড লাইন আঁকেন তাহলে ট্রেন্ড বুঝা আপনার জন্য আরো অনেক সহজ হয়ে যাবে। যদি আপনার আঁকা লাইন এবং মুবিং এভারেজ আপ ট্রেন্ড ডিরেকশন দেয় তাহলে আপনাকে বুঝে নিতে হবে যে মার্কেট আপ এ স্ট্রং, অপর দিকে ট্রেন্ড লাইন এবং মুবিং এভারেজ যদি ডাউন ট্রেন্ড ডিরেকশন দেয় তাহলে ট্রেন্ড স্ট্রং সেল বুঝাবে। তাই আমি বলবো আপনি মুভিং এভারেজ এর সাথে সাথে ট্রেন্ড লাইন আঁকা শিখুন।
     
    ট্রেন্ড লাইন আঁকা নিয়ে আপনার প্রিয় বিডিফরেক্সপ্রো-তে কয়েকটি পোষ্ট আছে সেগুলো ভালো করে দেখলে আশা করি আপনি ট্রেন্ড লাইন আঁকতে সক্ষম হবেন আর ট্রেন্ড লাইন এবং মুভিং এভারেজ এ দুটির সমন্বয়ে আপনি সঠিকভাবে ট্রেন্ড সনাক্ত করতে সক্ষম হবেন। একটি কথা মনে রাখবেন ট্রেন্ড একজন ট্রেডারের সঠিক বন্ধু।      
     
    ধন্যবাদ।
     
              
     
     
           
  11. Like
    A H Royal got a reaction from Abu Monsur in মার্কেট ট্রেন্ড বুঝা ও ট্রেন্ডলাইন আঁকা (২য় পর্ব)   
    ২) ট্রেন্ডলাইন আঁকার সবচেয়ে সফল ও ভাল পদ্ধতি হলো দুইয়ের বেশি অর্থাৎ তিন বা ততোদিক হাই/লো পয়েন্ট। তবে আমি আগের পোষ্টটিতে বলেছি দুই বা ততোদিক সুইং লো থেকে সুইং লো অথবা সুইং হাই থেকে সুইং হাই, অবশ্যই আগের পদ্ধতিটি সঠিক, তবে আপনি যখন ট্রেন্ডলাইন আঁকতে গিয়ে দুটি পদ্ধতিই পাবেন তখন অবশ্যই তিন বা ততোদিক হাই/লো পয়েন্ট কে বেঁচে নিবেন কারন তিন বা ততোদিক হাই/লো পয়েন্ট এ ট্রেন্ড যেদিকে থাকে বেশিরভাগ (৯০%) সময় সে দিকেই থাকে।
     
    যদিও অনেকটা সময় ট্রেন্ড এর গতিপথে চলার পর কিছু কিছু সময় ট্রেন্ড এর বিপরীতে প্রত্যেক হাই/লো পয়েন্ট পর পর ৩০%-৫০% রিকবার করে থাকে। তবে এ পদ্ধতিগুলোতে ট্রেন্ডলাইন আঁকার জন্য আপনি ৫০বার (আনুমানিক) পর পর হাই/লো পয়েন্ট বাচাই করলে ভালো হয়।
     
    আসুন আমরা চিত্রের সাহায্যে দেখে নিই কিভাবে একটি সঠিক ট্রেন্ডলাইন সফলভাবে আঁকবোঃ
     

     
    উপরের চিত্রটিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে মার্কেট রেট দুই বার প্রায় একই রেট এর কাছাকাছি পৌঁছেচে, এ ধরনের চিত্র আমরা প্রায় সময়ই দেখি যখন মার্কেট ট্রেন্ড একদিকেই থাকে কিন্তু আমরা ভয়ে ট্রেড করিনা, ভাবি এইবার বুঝি ট্রেন্ড পরিবর্তন হয়ে যাবে।
     
    এক্ষেত্রে আমি বলবো এটাই (ট্রেন্ড যে দিকে আছে সেদিকে) ট্রেডে এন্ট্রি করার প্রকৃত সময়। তবে ঐ পয়েন্টগুলোতে ট্রেড এ এন্ট্রি করার পর অবশ্যই আগের পয়েন্টটির ১৫-২০পিপস উপরে স্টপলস ব্যবহার করবেন, যদি আপনার ইকুইটি কম থাকে বা যদি আপনি স্টপলস দিতে চান।
     
    আমি মনে করি আপনি সঠিকভাবে ট্রেন্ডলাইন বুঝলে ও আঁকতে পারলে কোনো ইন্ডিকেটর ছাড়াই সফলভাবে ট্রেড করতে পারবেন, তবে অবশ্যই মানি ম্যানেজমেন্ট এর ব্যাপারটি মাথায় রাখবেন।
     
    বিঃ দ্রঃ এই পোষ্টটির শেষ পর্ব আগামী দিন দেয়া হবে।
  12. Like
    A H Royal got a reaction from Abu Monsur in কেন ট্রেন্ড সত্যিই আপনার বন্ধু।   
    কেন ট্রেন্ড সত্যিই আপনার বন্ধু।
     
    বন্ধুরা, ট্রেডিং বিশ্বে একটি খুব জনপ্রিয় ও প্রচলিত কথা আছে “ট্রেন্ড আপনার বন্ধু”। যারা ভাল ট্রেডার আছেন আপনি তাদের মুখ থেকে এ শব্দটি অন্ত্যত একবার হলেও নিশ্চয়ই শুনেছেন। ট্রেন্ডলাইন হলো সফল ফরেক্স ট্রেডারদের ট্রেড করার জন্য সবচেয়ে বড় কৌশল। আপনি যতই ইন্ডিকেটর ব্যবহার করেননা কেন আপনি যদি ট্রেন্ডলাইন না বুঝেন তাহলে সফল ট্রেডার হওয়া আপনার জন্য অনেক কঠিন হবে। ট্রেড এর ক্ষেত্রে ট্রেন্ড লাইন অতিব গুরুত্বপূর্ণ কেন এটা অনেকেই জানেন না বা বুঝেন না। আর যারা ট্রেন্ড লাইন বুঝে ট্রেড করে তারা কিভাবে করে এবং তাদের সফলতাই বা কেমন? আজকের আর্টিকেল এ সংক্ষিপ্তভাবে আপনাদেরকে তাই জানাবো।
        
    ট্রেন্ড লাইন দেখে ট্রেড এ এন্ট্রি দেওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই দৈনিক বা ৪ঘন্টার চার্ট অনুসরণ করতে হবে নতুবা আপনার ট্রেন্ড লাইন ট্রেড পদ্ধতিতে নিশ্চিত ভুল হতে পারে।
     
    কিভাবে হাইয়ার টাইম ফ্রেমে ট্রেন্ড ও প্রাইচ এ্যকশনের মাধ্যমে লো স্টপ লস দিয়ে হাই প্রফিটের জন্য ট্রেড এ এন্ট্রি দিবেন চিত্রের সাহায্যে নিচে তা-ই দেখানো হলঃ
     

     
    উপরের চিত্রে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, ৪ঘন্টার চার্টে উক্ত পেয়ারটির ট্রেন্ড সেল এ আছে, তাই যখনই পেয়ারটির মার্কেট কারেকশনের জন্য বাই এ যাবে এবং একটা রেসিস্টেন্স/পিনবার /সেল ইন্ডিকেট করে এমন ক্যান্ডেল তৈরি করবে ঠিক তখন-ই সেল এন্ট্রি দিন এবং স্টপ লস ঐই হাই মুল্যের উপরে/ওই মুল্যের উপরেররে রেসিস্টেন্স এ দিন। এ ধরনের ট্রেড করে আপনি কম রিস্ক নিয়ে হাই প্রফিট নিতে পারবেন।
     
    নিচে আমরা ৪ঘন্টার চার্টে আরেকটি পেয়ারে ট্রেন্ড ফলো করে কিভাবে প্রফিটেবল ট্রেডের এন্ট্রি দিবো তা-ই দেখানো হলঃ
     

       
    উপরের চিত্রে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, পেয়ারটি ডাউন/সেল ট্রেন্ড এ আছে। যেকোনো কারেন্সি-ই অনেকটা সেল/বাই এ গেলে মিনিমাম একটা কারেকশন অবশ্যই করে থাকে, এটা আমরা সবাই কম বেশী দেখি আর এ কারেকশন মেজর পেয়ারগুলোর ক্ষেত্রে বেশীরভাগ সময় ৩০-৭০% পর্যন্ত হতে পারে। উপরের চার্টের ন্যায় যখন কোনো পেয়ার সেল এ গিয়ে সাপোর্ট/কেই লেভেল তৈরি করে, তখন আপনি কারেকশনের সুযোগটা নিতে পারেন এবং ওই সাপোর্ট/কেই  লেভেল এ বাই করতে পারেন এবং রেসিস্টেন্স লেভেল/সুইং হাই দেখে টেক প্রফিট দিতে পারেন আর স্টপ লস ওই সাপোর্ট/কেই  লেভেল এর নিচে দিতে পারেন। আর কারেকশন লেভেলের হাই রেট এ আবার সেল এন্ট্রি দিন এবং হাই প্রফিট নিন যেহেতু পেয়ারটির ট্রেন্ড সেলে আছে।  
     
    দৈনিক চার্টে ট্রেন্ড দেখে ট্রেডে কিভাবে এন্ট্রি দিবেন, নিচের চিত্রে তাই দেখানো হলঃ
     

          
    উপরের চিত্রে দৈনিক চার্টে পেয়ারটির ট্রেন্ড আমরা সেল এ দেখতে পাচ্ছি, যেহেতু পেয়ারটি এর আগে একটি সাপোর্ট ও কী লেভেল ক্রস করে সেলে এসেছে তাই টেকনিক্যাল এ্যনালাইসিস অনুযায়ী পেয়ারটি সে মুল্য পর্যন্ত আবার যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আপনি এ অবস্থায় বাই ট্রেড এ এন্ট্রি দিন আর স্টপ লস বর্তমান মূল্যের সাপোর্টের নিচে দিন। যেহেতু পেয়ারটির ট্রেন্ড সেলে তাই টেক প্রফিট উপরের রেসিস্টেন্স/কী লেভেলের কাছাকাছি দিন এবং বর্তমান মুল্যের উপরের রেসিস্টেন্স/হাই/সুইং হাই এ সেল এর পেন্ডিং অর্ডার দিন আর এভাবেই ট্রেন্ড এর সাথে থেকে লুফে নিন আপনার প্রফিট।
     
    উপরের চিত্র এবং আলোচনাটুকু বুঝতে নিশ্চয় আপনার কষ্ট হবার কথা নয়, যাইহোক – মার্কেট ট্রেন্ড সব সময়-ই ট্রেডারদের বন্ধু একথা মনে রেখেই ট্রেডে এন্ট্রি দিবেন, কারেকশন ট্রেড করার সময় অবশ্যই স্টপ লস ব্যবহার করবেন নতুবা বিশাল লসের সম্মুখীন হবেন। আর সব সময় ট্রেন্ড এর সাথেই থাকুন তাহলেই সফল হবেন। আর ট্রেন্ড লাইন আঁকা এবং বুঝা নিয়ে আপনাদের প্রিয় ফরেক্স এডুকেশন সাইট বিডিফরেক্সপ্রো-তে অনেকগুলো পোষ্ট আছে, ট্রেন্ড লাইন সম্পর্কে আরো জানার জন্য পোষ্টগুলো পড়ে দেখুন আশা করি আরো পরিস্কারভাবে বুঝতে পারবেন।      
     
    ধন্যবাদ।
  13. Like
    A H Royal got a reaction from Abu Monsur in EMA দিয়ে সিম্পল ট্রেডিং স্ট্রেটেজি।   
    EMA দিয়ে সিম্পল ট্রেডিং স্ট্রেটেজি।
     
    বন্ধুরা, আজকে আমি আপনাদের সাথে আরেকটি সহজ ট্রেডিং স্ট্রেটেজি শেয়ার করবো, এটি কোনো অভিনব বা জটিল সূচকের সঙ্গে যুক্ত নয় কিংবা এটি কোনো জটিল পদ্ধতির সঙ্গে জড়িতও নয়। লিখাটি পড়ার পর আপনি হয়তো বলতে পারেন এটাতো অনেক সহজ ও আপনার জানা। ঠিক তাই, আমি শুধু এই স্ট্রেটেজির সাথে আমার অভিজ্ঞতা থেকে কিছু সাধারণ নিয়ম আর কিছু কৌশল যোগ করেছি। আশা করি স্ট্রেটেজিটি ফলো করলে আপনি অনেক সহজ এ্যনালাইসিস করে সফল ট্রেড করতে সক্ষম হবেন।
     
    তাহলে চলুন জেনে নেই EMA/MA দিয়ে আরেকটি সিম্পল ট্রেডিং স্ট্রেটেজি।
     
    ইন্ডিকেটরঃ – এই স্ট্রেটেজির জন্য আপনাকে শুধুমাত্র EMA/MA ইন্ডিকেটরটি ব্যবহার করতে হবে।
    EMA/MA ইন্ডিকেটরটি ব্যবহারের নিয়মঃ ট্রেডিং ডিরেকশন এর জন্য  EMA/MA ২০০পিরিয়ড ব্যবহার করুন এবং EMA/MA ১০পিরিয়ড ব্যবহার করুন ট্রেডে এন্ট্রি দেওয়ার জন্য।
     
    টাইমফ্রেমঃ - এই স্ট্রেটেজির মাধ্যমে যেকোনো টাইমফ্রেমে ট্রেড করতে পারবেন, তবে ১৫মিনিট, ১ও৪ঘন্টা এবং দৈনিক চার্টে করলে ভালো। আমার অভিজ্ঞতামতে, যারা ডে ট্রেডার তারা ৫থেকে১৫ মিনিট, সুইং ট্রেডাররা ১/৪ ঘন্টার চার্ট আর যারা লং টাইম এর জন্য ইনভেস্ট করেন তারা দৈনিক চার্ট ব্যবহার করলে অত্যাধিক ভালো ফলাফল পাবেন।
     
    ট্রেডিং পেয়ারঃ – এটা যেকোনো কারেন্সি পেয়ার, কমোডিটি ও ইন্ডেক্স বা স্টক এ প্রয়োগ করা যাবে।
    EMA/MA দিয়ে ট্রেডে এন্ট্রি দেওয়ার নিয়মঃ
     
    বাই/লং এন্ট্রিঃ যখন মার্কেট মুল্যের বর্তমান ক্যান্ডেল EMA/MA ২০০ পিরিয়ড এর উপরে থাকবে বা ক্লোজ করবে তখন মার্কেট মুল্য নিচের দিকে EMA/MA ১০পিরিয়ড পর্যন্ত সংশোধন/আসার জন্য অপেক্ষা করুন, তারপর যখন মার্কেট মুল্যের ক্যান্ডেল EMA/MA ১০পিরিয়ড এর উপরে ক্লোজ করে উপরেই থাকবে তখনই লং/বাই ট্রেড এ এন্ট্রি দিন।
     
    বাই/লং এন্ট্রি স্টপলসঃ বাই ট্রেড করার আগে আপনার টাইমফ্রেমে EMA/MA ১০পিরিয়ড এর নিচের যে মুল্যে মার্কেট ক্লোজ হয়েছিল সে মুল্যে স্টপলস দিন।               
     
    সেল/শর্ট এন্ট্রিঃ মার্কেট মুল্যের বর্তমান ক্যান্ডেল EMA/MA ২০০ পিরিয়ড এর নিচে থাকবে বা নিচে ক্লোজ করবে তখন মার্কেট মুল্য উপরের দিকে EMA/MA ১০পিরিয়ড পর্যন্ত সংশোধন/যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন, তারপর যখন মার্কেট মুল্যের ক্যান্ডেল EMA/MA ১০পিরিয়ড এর নিচে ক্লোজ করে নিচেই থাকবে তখনই সেল/শর্ট ট্রেড এ এন্ট্রি দিন।       
     
    সেল/শর্ট এন্ট্রি স্টপলসঃ সেল ট্রেড করার আগে আপনার টাইমফ্রেমে EMA/MA ১০পিরিয়ড এর উপরে যে মুল্যে মার্কেট ক্যান্ডেল ক্লোজ হয়েছিল সে মুল্যে স্টপলস দিন।
     
    বাই ও সেল উভয় ক্ষেত্রে টেক প্রফিট যেভাবে দিবেনঃ প্রত্যেক স্ট্রেটেজি বেঁধে প্রতিটি পেয়ারের ক্ষেত্রে টেক প্রফিট বা লাভের নিয়ম পরিবর্তিত হয়/একেক রকম হয়। কারণ, প্রত্যেক কারেন্সিরই আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট রয়েছে, অর্থাৎ দৈনিক ট্রেডিং রেঞ্জ, ভোলাটিলিটি ও নিউজের প্রতিক্রিয়া এগুলো প্রতিটি কারেন্সির কিন্তু একই রকম হয়না।  তাই এই স্ট্রেটেজিতে দৈনিক ট্রেডারদের জন্য আমি তার ট্রেডকৃত পেয়ারের বিগত ৩০দিনের দৈনিক এভারেজ পিপ্স এর ৫০% টেক প্রফিট দিতে বলি। উদাহরণস্বরূপ – সবার প্রিয় EURUSD পেয়ারটি বিগত মাসের দৈনিক এভারেজ এ মুবমেন্ট ছিল ১২০পিপ্স তাহলে এক্ষেত্রে আমি বলবো আপনি ৫০% অর্থাৎ আপনি এ স্ট্রেটেজিতে প্রতিদিন ৬০পিপ্স করে টেক প্রফিট দিন বা ট্রেড প্রফিটে গেলে নিজে এ্যনালাইসিস করে ম্যনুয়্যলি সিদ্ধান্ত নিন।
     
    নিচের চিত্রে বিস্তারিত দেখানো হলঃ
     

     
    উক্ত স্ট্রেটেজিতে ট্রেড করার কতিপয় নিয়মঃ
    উক্ত স্ট্রেটেজিতে ট্রেড করার জন্য উপরে উল্লেখিত হুবহু নিয়ম অনুস্মরণ করুন, এর সাথে অন্য এ্যনালাইসিস যোগ করবেন না। মার্কেট মুল্য সাময়িকভাবে EMA/MA ১০পিরিয়ড এর উপরে/নিচে থাকা অবস্থায় অসম্পূর্ণ ক্যান্ডেল এ ট্রেড করা থেকে বিরত থাকুন। তখনই ট্রেডে এন্ট্রি দিন যখন মার্কেট মুল্য EMA/MA ১০পিরিয়ড এর উপরে/নিচে তার মার্কেট মুল্যের ক্যান্ডেল্টি ক্লোজ করে। যখন মার্কেট মুল্যের ক্যান্ডেল EMA/MA ১০পিরিয়ড এর উপরে/নিচে আপনার ট্রেডের বিপরীতে যাবে তখনই অতি দ্রুত আপনার ট্রেডটি ম্যনুয়্যলি ক্লোজ করে দিন, এটা কখনো ভাববেন না যে মার্কেট মুল্য আপনার অনুকূলে আসবে বা আসতে পারে তাহলে আপনার লসের পরিমান অনেক বেশী হতে পারে বাকীটা আপনার সিদ্ধান্ত। কখনো মার্কেট ডিরেকশন এর অপর দিকে ট্রেড করবেন না অর্থাৎ মার্কেট মুল্য EMA/MA ২০০পিরিয়ড এর নিচে থাকলে বাই আর EMA/MA ২০০পিরিয়ড এর উপরে থাকলে সেল এন্ট্রি থেকে বিরত থাকুন। সর্বশেষ নিয়ম, যখনই আপনার দৈনিক টেক প্রফিট চাহিদা পূরণ হবে বা পূরণ হওয়ার পথে তখন ওই টিপি টার্গেট থেকে আর বাড়াবেন না। তাহলে হয়তো আম আর ছালা দুটোই হারাবেন, মনে রাখবেন ফরেক্স হলো দু-মুখি তলোয়ার যার দু-দিকেই সমান ধার থাকে। সাধারণ নির্দেশাবলীঃ    
    ফরেক্স ট্রেডারদের জন্য এই স্ট্রেটেজিটি সবথেকে বেশী কার্যকর হয় লন্ডন ও নিউ ইয়র্ক ট্রেডিং সেশন এ। এই স্ট্রেটেজিটি সম্পূর্ণ টেকনিক্যাল এ্যনালাসিস নির্ভর, তাই নিউজ ও ফান্ডামেন্টাল এ্যনালাইসিস দ্বারা এই স্ট্রেটেজিতে ট্রেড করবেন না। হুট করে ট্রেডে এন্ট্রি দিবেন না, ট্রেডে এন্ট্রি দেওয়ার জন্য স্ট্রেটেজিমতে এ্যনালাইসিস দেখুন তারপর সিউর হয়ে ট্রেডে এন্ট্রি দিন কারণ ট্রেড করার জন্য সময়ের অভাব হবেনা কিন্ত লস সামলাতে আপনার অনেক সময় লাগতে পারে। লিভারেজ হলো ট্রেডারদের সাইলেন্ট কিলার, তাই পৃথিবীর যত সফল স্ট্রেটেজিই হোক না কেন ট্রেড এর ক্ষেত্রে অত্যাধিক লিভারেজ ব্যবহার করবেন না। মনে রাখবেন একজন দৈনিক ট্রেডার ধারাবাহিকভাবে দৈনিক তার মূলধনের ৫% উপার্জন করতে পারে আর বেশী করা মানেই হলো ওই ট্রেডার ধয্যহীন ও লোভী আর এজন্যই যত সফল স্ট্রেটেজিই হোক না কেন এ ধরনের ট্রেডাররা এক সময় বিশাল লস দেয়। EMA ইন্ডিকেটরটি ডাউনলোড করুন এখান থেকে -
    ema.zip
     
    উপরোক্ত স্ট্রেটেজিটি আশা করি নতুন ও অভিজ্ঞ ট্রেডারদেরকে আরো অভিজ্ঞ ও সফল করে তুলবে। কোনো ভুল হলে শিখিয়ে দিবেন কারণ আমিও আপনাদের মত একজন সাধারণ ট্রেডার। শুধুমাত্র নিজে যতটুকু অর্জন করেছি ততটুকুই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
     
    ধন্যবাদ।

    ema.zip
  14. Like
    A H Royal got a reaction from sbd in ট্রেন্ড লাইন ব্রেকআউট ট্রেড পদ্ধতি   
    বন্ধুরা, ট্রেন্ড লাইন ব্রেকআউট এ অনেকেই ট্রেড করেন, যারা করেন তারাতো জানেন যে ট্রেন্ড লাইন ব্রেকআউট ট্রেড এ প্রফিট কেমন আর যারা জানেন না আজকের লিখাটা তাদের জন্য। এই পদ্ধতিতে সঠিক ভাবে ট্রেন্ড লাইন আঁকলে অতি দ্রুত ও সহজে  ৯০ভাগ সফলতা পাওয়া যায় সেটা নিশ্চিত।
     
    তাহলে আসুন সহজেই জেনে নেই ট্রেন্ড লাইন ব্রেকআউট ট্রেড পদ্ধতিঃ
     
    যে পেয়ার এ ট্রেড করবেনঃ মেজর পেয়ারগুলোকে গুরুত্ব দিন যেমনঃ EURUSD ও GBPUSD (পরীক্ষিত)। আপনি চাইলে অন্যান্য পেয়ার এ ও করতে পারেন তবে সে ক্ষেত্রে আগে ডেমোতে যাচাই করুন।
    সময়ঃ ১ঘন্টা। ইন্ডিকেটরঃ ট্রেন্ড লাইন ব্রেকআউট এ ট্রেড করার জন্য কোনো ইন্ডিকেটরের প্রয়োজন হয়না। ট্রেন্ড লাইনঃ এ পদ্ধতিতে ট্রেড করতে হলে মুলত আপনাকে সঠিকভাবে ট্রেন্ড লাইন আঁকতে হবে। ট্রেডিং সেটাপ যেভাবে করবেনঃ
    এ পদ্ধতিতে সঠিকভাবে ট্রেড করতে হলে একজন ট্রেডারকে সুইং হাই ও সুইং লো সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে হবে এবং ঐই নির্বাচিত সুইং হাই ও সুইং লো পয়েন্ট এ ট্রেন্ড লাইন আঁকতে হবে। পিভট পয়েন্টগুলো সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে হবে। এই বিষয়গুলো আমি মনে করি সকল ট্রেডারই পারেন।
    এই পদ্ধতিতে আমাদের কাজের পরিসীমা হবে ৫টি ক্যান্ডেল এর মধ্যেঃ এই পদ্ধতিতে ট্রেন্ড লাইন আঁকতে আমাদেরকে মধ্যরাত থেকে ৪টাAM-EST
    ক্যান্ডেল সহ মোট ৫টি(যে কোনো) ক্যান্ডেল এর মধ্যে আঁকতে হবে। এর চেয়ে বেশী হলেও সমস্যা নেই তবে চেষ্টা করবেন যেন ৫টি ক্যান্ডেল এর মধ্যে যেন আঁকা যায়।
    বৈকল্পিক/অন্য ভাবে: Draw a midnight vertical line for a visual aid.
    যে ৫টি ক্যান্ডেলের মধ্যে ট্রেন্ড লাইনটি আঁকবেন অবশ্যই লক্ষ রাখবেন যে সেগুলোতে valid সুইং লো ও হাই প্রাইচ আছে কিনা।
    এখন এমন একটি ডাউনট্রেন্ড ট্রেন্ড লাইন আঁকুন যেটা আপনার বর্তমান সুইং হাই ও আগের দিনের সুইং হাই মিলেই হয়। লক্ষ রাখবেন যেন ডাউনট্রেন্ড ট্রেন্ড লাইন এর ২য় সুইং হাইটি যেন ১ম সুইং হাই থেকে নিচে থাকে। না হলে আপনার ডাউনট্রেন্ড ট্রেন্ড লাইন আঁকা হয়নি/হবেনা।
    আপট্রেন্ড ট্রেন্ড লাইন আঁকার জন্য ঠিক তার উল্টোটা করুন, শুধু লক্ষ রাখবেন যে আপট্রেন্ড ট্রেন্ড লাইন এর ২য় সুইং লো যেন ১ম সুইং লো থেকে উপরে থাকে।
    ট্রেন্ড লাইন আঁকার পর যখন দেখবেন বর্তমান ক্যান্ডেলটি তার আগের সুইং হাই/সুইং লো ক্যান্ডেল কে অতিক্রম করে আপ/ডাউন এ যাচ্ছে তখনই ট্রেড এ এন্ট্রি করবেন (যে দিকে যাবে)।
     
    চিত্রের মাধ্যমে দেখে নিনঃ



     
    যে ভাবে প্রফিট ও লস নির্ধারণ করবেনঃ  
    এ পদ্ধতিতে আপনি ১ঘন্টার টাইম ফ্রেমে ৩টি ক্যান্ডেল শেষ হলেই (৩ঘন্টা শেষে) প্রফিট বা লস যা-ই হোক ট্রেড ক্লোজ করে দিন বা আপনি সাপোর্ট রেসিস্টেন্স দেখে আপনার মত করে দিন।
     
    এ পদ্ধতিতে ট্রেড এর কতিপয় নিয়মঃ
    ট্রেন্ড লাইন valid / সঠিক না হলে এ পদ্ধতির ট্রেড থেকে বিরত থাকুন।
    সাপোর্ট ও রেসিস্টেন্সকে গুরুত্ব দিন। এন্যালাইসিস কম বুঝলে ৩ঘন্টার বেশী ট্রেড রাখবেন না। যে টাইম দিয়েছি সে টাইম ছাড়া ট্রেন্ড লাইন এঁকে এ পদ্ধতিতে ট্রেড করবেন না, বিশেষ করে এ পদ্ধতিতে দিনে একবার ট্রেড করা ভালো। কম লট এ ট্রেড করুন, আগে ডেমোতে ট্রাই করুন।   সর্বশেষ আমি যে কথাটি সব সময় বলি তা হল অবশ্যই মানি ম্যানেজমেন্ট করুন। আপনারা অবশ্যই আগে ডেমোতে ট্রাই করবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
  15. Like
    A H Royal reacted to Mhafiz™ in সাপ্তাহিক হট নিউজ ট্রেডিং আওয়ার (27 October – 31 October)   
    নিউজ ট্রেডিং এর উপকারিতা কম বেশি সবাই জানি, আবার কেউ কেউ এর অপকারিতার ও খেসারত দিয়েছেন চরমভাবে। তাই নিউজ ট্রেড এর ক্ষেত্রে সাবধানি হওয়া বাঞ্ছনীয়, নিউজ না বুঝলে কিংবা নিউজ ট্রেডিং সম্পর্কে ভালো ধারন না থাকলে লাইভ একাউন্টে নিউজ ট্রেড করার ঝুকি না নিলেই ভালো। জাই হউক, নিউজ এর প্রভাব মুলত মার্কেট এর সমসাময়িক অবস্থা পরিবর্তন করে মার্কেটকে নতুন ট্রেন্ড ধরতে সাহায্য করে। জেনে নেই এই সপ্তাহের টপ হাই রেইট নিউজগুলো।
     
    ২৭ তারিখঃ সোমবার
    বিকেল          ৩.০০            EUR                            German Ifo Business Climate                       
     
    ২৮ তারিখঃ মঙ্গলবার            
    সন্ধ্যা            ৬.৩০            USD                            Core Durable Goods Orders m/m
    রাত              ৮.০০           USD                            CB Consumer Confidence
     
    ২৯ তারিখঃ বুধবার    
    সকাল           ৬.০০            NZD                            ANZ Business Confidence
     
    ৩০ তারিখঃ বৃহস্পতিবার
    রাত              ১২.০০          USD                           FOMC Statement
    রাত              ১২.০০          USD                           Federal Funds Rate
    রাত              ০২.০০         NZD                            Official Cash Rate
    রাত              ০২.০০         NZD                            RBNZ Rate Statement
    রাত              ০২.১৫          CAD                           BOC Gov Poloz Speaks
    সারাদিন                           EUR                            German Prelim CPI m/m
    সন্ধ্যা            ৬.৩০            USD                            Advance GDP q/q
    সন্ধ্যা            ৬.৩০            USD                            Unemployment Claims
    সন্ধ্যা            ৭.০০            USD                            Fed Chair Yellen Speaks
     
    ৩১ তারিখঃ শুক্রবার
     
    সকাল           ৬.৩০           AUD                            PPI q/q
    সম্ভব্য                              JPY                             Monetary Policy Statement.
    সম্ভব্য                              JPY                             BOJ Press Conference
    বিকেল          ৪.০০            EUR                            CPI Flash Estimate y/y
    সন্ধ্যা            ৬.৩০           CAD                             GDP m/m
     
    উপরের বিভিন্ন দিনের হাই ইমপ্যাক্ট নিউজ এর মধ্যে বৃহস্পতিবারের নিউজ এর গুরুত্ত অনেক বেশি দিয়ে ট্রেডে ঢুকতে হবে। কারন এমনিতে EUR অনেক বেশি রিস্ক পজিশনে রয়েছে গত ৩ মাসের ধারাবাহিক সেল ট্রেন্ড দিয়ে। এখন পর্যন্ত EUR সর্ট ট্রেন্ডেই রয়েছে। তবে ঐ দিনের USD এর বেশ কিছু নিউজ এবং EUR এর German Prelim CPI m/m এর মধ্যকার পার্থক্য EUR ট্রেন্ড পরিবর্তনে সহায়ক হতে পারে।
     
    তাই উক্ত পেয়ারে তুলনামুলক বেশি গুরুত্ত দিয়ে কোন রকম রিস্ক না নিয়ে ট্রেন্ড করবেন আশা করছি।
    ধন্যবাদ;
  16. Like
    A H Royal reacted to Mhafiz™ in ফরেক্স ব্রোকার নির্বাচনের চুড়ান্ত গাইড।   
    ফরেক্স ট্রেডিং এর অন্যতম গুরুত্তপুর্ন একটি বিষয় হল সঠিক একটি ব্রোকার নির্বাচন। ইতিমধ্যে অনেক ট্রেডার ব্রোকার নিয়ে অনেক সমস্যায় পড়েছেন কেউ কেউ না বুঝে ভালো ব্রোকার নির্বাচন করতে না পেরে  ইনভেস্ট নিয়ে সমস্যায় পড়ে গেছেন। আবার কাউকে দেখা গেছে ভালো ট্রেড করেও ব্রোকারের নানা রকম বেড়াজালে পড়ে টাকা উত্তোলন করতে পারছেন না ।  এই রকম উদহারন অনেক আছে।
     

     
    তাই আজকে আলোচনা করব সঠিক একটি ব্রোকার কিভাবে নির্বাচন করবেন এবং কিভাবে নিশ্চিত হবেন যে এই ব্রোকারের কাছে আপনার ইনভেস্টমেন্ট কতটুকু নিরাপদ কিংবা ইনভেস্টমেন্ট কতটুকু হওয়া উচিত ইত্যাদি ভিবিন্ন বিষয় নিয়ে।
     
    যেসব ব্রোকারে নিম্নের পয়েন্টস গুলো পাবেন সেই ব্রোকারে ট্রেড করা থেকে বিরত থাকুন।
     
    স্লিপেজঃ
    আপনি যে প্রাইসে ট্রেড ওপেন করতে চেয়েছেন এবং যে প্রাইসে ট্রেড ওপেন করতে পেরেছেন তার মধ্যবর্তী পার্থক্যই হল স্লিপেজ। এই ক্ষেত্রে আপনি কখনো ইন্সটেন্ট অর্ডারে একচুয়েল প্রাইসে ট্রেড ওপেন কিংবা ক্লোজ করতে পারবেন না। সলিড এবং নো ডিলিং ডেস্ক ব্রোকারে স্লিপেজ থাকে না।
     
    নতুন ব্রোকারঃ
    এটা বলছি না যে নতুন ব্রোকারে ট্রেড করা যাবে না, তবে অনেক নতুন ব্রোকার আছে যারা কয়েকমাস মার্কেটে একজিস্ট করে আপনার মূলধন নিয়ে গায়েব হয়ে যায় তেমনি একটি ব্রোকার হল Kiwifxbank তাই নতুন ব্রোকারে ইনভেস্টমেন্ট সচেতন হউন।
    নগদ ক্যাশ বা পণ্য ওফারঃ
    অনেক ব্রোকার নতুন লাইভ একাউন্ট খুলে কেশ পুরষ্কার সহ নানা রকম আকর্ষণীয় পণ্য যেমন আইফোন, এন্ড্রয়িড ইত্যাদি অফার করে প্রকৃতপক্ষে এইগুলো হল আপনাকে ইনভেস্ট করানোর এক একটি ফাঁদ। এই সব ব্রোকার থেকে সচেতন থাকুন।
    ফিস্কাল পেরাডাইসঃ
    যদি আপনার ব্রোকারটি ফিস্কাল পেরাডাইস টাইপের ব্রোকার হয়ে থাকে তাহলে ইনভেস্ট করার আগে কয়েকবার ভাবুন। যে আপনি যখন টাকা উত্তোলন করতে যাবেন বা  সরাসরি তাদের অফিস ভিজিট করতে যাবেন তাদের কাউকে আসলে সেখানে পাবেন তো !
    আননোউন অথোরিটিঃ
    ব্রোকার গুলো যখন মার্কেটে আসে তখন ন্যূনত্বম একটি অথোরিটি নিয়ে আসে তবে সেই ক্ষেত্রে ও কিছু বিষয় স্পষ্ট হতে হবে আপনাকে। যেমন ব্রোকারটি যে অথোরাইজড নাম্বার ব্যাবহার করছে সেটি আসলে তার কোম্পানির অথোনটিকেশন নাকি ভায়া। যেমন Kiwifxbank নামক ব্রোকারটি এই ধরনের একটি কাজ করেছিল তারা Vault Market Pvt নামক একটি প্রতিষ্ঠানের Sister Concern হয়ে Kiwifxbank নামে কাজ শুরু করেছিল কিন্তু প্রকৃতপক্ষে Kiwifxbank কোন অথোরাইজেশন ছিল না।
     
    আসুন এইবার জেনে নেয় একটি সলিড ব্রোকার কিভাবে নির্বাচন করবেন।
     রিভিউ/রেপুটেশনঃ
    একটি ব্রোকার যখন কাজ শুরু করে তখন ঐ ব্রোকারের ভালো/মন্দ, সুবিধা/অসুবিধা নিয়ে ফরেক্স বিসয়ক অনেক সাইটে লিখালিখি হয়। যেমন এই ব্রোকারটি কেমন, তার লেনদেন কতটা স্বচ্ছ, তার ভালো দিক কি এবং খারাপ দিকগুলোই কি কি , ইত্যাদি। ঐখানে ভিবিন্ন ট্রেডার উক্ত ব্রোকার সম্পর্কে তাদের নিজ নিজ মতামত লিখে যা আপনাকে সাহায্য করতে ঐ ব্রোকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে। যখন অনেক ট্রেডার মতামত দেয় যে ব্রোকারটিতে স্লিপেজ আছে, রিকোট হয় কিংবা টাকা উত্তোলনে সমস্যা তখন ঐ ব্রোকারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
     
    সময়কালঃ
    সোজাভাবে ব্রোকারের বয়স যত বেশি ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে সেই ব্রোকারে আপনার নির্ভরতা তত বেশি। প্রতি বছর অনেক ব্রোকার আসে যায়, তাই ব্রোকারটিকে স্টাডি করে দেখুন তার সময়কাল কত, মোটামুটি ৩ বছরের সময় ধরে যারা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে তাদের ক্ষেত্রে পজেটিভ পারস্পেক্টিভে এগুতে পারেন।
     
    রেগুলেশনঃ
    আগেই বলেছি ব্রোকার রেগুলেশন খুব গুরুত্তপুর্ন একটি ফ্যাক্ট। ব্রোকার বাছাই ক্ষেত্রে দেখে নিন ন্যূনত্বম তার ঐ দেশীয় স্টক এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন সহ ন্যাশনাল অথোরিটি আছে কি না। যেমন US ব্রোকারের ক্ষেত্রে দেখে নিন CFTC/NFA এবং UK ব্রোকারের ক্ষেত্রে FSA রেগুলেটেড কিনা।
    Virgin Islands রেগুলেটেড ব্রোকারে ট্রেড করাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।
     
    হেডকোয়াটার লোকেশনঃ
    সলিড এবং রিয়েল ব্রোকার তাদের শারীরিক অস্তিত্ব নিয়ে ব্যবসা করে কারন এই প্রকার ফিনেনশিয়াল ব্যবসা ফিস্কাল পেরাডাইসে সম্ভব না। তাই ব্রোকারের অফিস লোকেশন নিশ্চিত হউন।
     
    ECN নাকি ডিলিং ডেস্ক/ মার্কেট মেকারঃ
    ব্রোকার সাধারণত দুপ্রকার, মার্কেট মেকার যারা আপনার প্রতিটি ট্রেডের বিপরীতে আরেকটি ট্রেড ওপেন করে এবং নিজেরা একটি মার্কেট তৈরি করে আপনাকে মুল মার্কেট বায়ার সেলার থেকে দূরে রেখে নিজেরা লাভবান হয়।
    আর ECN – Electronic Communication Network ব্রোকার হল রিয়েল ব্রোকার যারা মুলত সরাসরি বায়ার এবং সেলারকে কানেক্ট করে ট্রেড পরিচালনা করে।( ডিলিং ডেস্ক ব্রোকার এবং ECN ব্রোকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমার এই পোস্টটি পড়ুন। )
     
    এছাড়া ও ব্রোকার স্প্রেড, কাস্টোমার সাপোর্ট সহ আরো কিছু খুটিনাটি বিষয় পরিস্কার জেনে ব্রোকার নির্বাচন করতে পারেন এবং ট্রেড শুরু করতে ।
     
  17. Like
    A H Royal got a reaction from Saif Rahman in Orbex ব্রোকারও নাকি তার গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করছে!!!   
    Orbex ব্রোকারও নাকি তার গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করছে!!!
     
    আমাদের দেশের শিক্ষিত বেকারের হার দিন দিনই বাড়ছে, হয়তো টাকা বা তৃতীয় হাতের সাহায্য পায় না বা নেই বলে তাদের কোনো চাকুরী হয়না এবং আমাদের দেশে সে পরিমান কর্মের সংস্থানও নেই। তাতে কি! এখন অনেক শিক্ষিত মানুষ-ই Outsourcing ও Forex থেকে অর্থ আয় করে স্বাবলম্বী হচ্ছে আবার এসব খাত থেকে অনেকে আয় করার স্বপ্ন দেখছে। এটা আমাদের এবং আমাদের দেশের জন্য অবশ্যই একটা ভাল দিক, কারণ আপনি সঠিক প্রশিক্ষণ পাওয়ার পর Outsourcing বা Forex করলে আমি মনে করি আপনি নিজেই চাকুরী খোঁজার তেমন কোনো প্রয়োজন বোধ করবেন না। তবে আমাদের দেশের অধিক প্রতিষ্ঠানই Outsourcing ও Forex ট্রেনিং এর নাম করে বেকার যুবকদের কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে যদিও তারা এই কোর্স এর বেসিক এর বেশী নিজেরাই জানেন না। আসলে বুদ্ধিজীবিরা আমাদের মাথায় কাঁঠাল বেঙ্গে খাচ্ছে আর আমরা তার খোসাগুলো নিজ দায়িত্বে ডাস্টবিনে ফেলে আসি আর অতপর হতাশ হই।
     
    Outsourcing এর পাশাপাশি বর্তমানে Forex ও আমাদের দেশে এখন অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যদিও ফরেক্স আমাদের দেশে সরকারীভাবে বৈধ নয়, তারপরও আমরা আমাদের বেকারত্ব দূর করার জন্য সরকারী বিধি না মেনে নিজের পায়ে নিজে সফলভাবে দাঁড়ানোর জন্য ফরেক্স মার্কেটে মুলধন বিনিয়োগ করে থাকি। এজন্য বর্তমানে বিশ্বের অধিকাংশ ফরেক্স ব্রোকারের চোখ এখন বাংলাদেশের দিকে, আর এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের দেশের কিছু অসাধু ব্যাক্তি নিজেদের আর্থিক উন্নতির জন্য IB/Affiliate নিয়ে ফাউল কিছু ব্রোকারকে আমাদের দেশে এনে আমাদেরকে প্রতিনিয়তই ঠকিয়ে যাচ্ছে, আর কোনো ব্রোকার ফাউল করলে আমাদের দেশে তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা উদাও হয়ে যায়, যা হর হামেসাই আমরা দেখছি। অথচ একাউন্ট করা থেকে শুরু করে মুল্ধন খাটানো পর্যন্ত এই অসাধু ব্যাক্তিরা আপনাকে হাজার রকম সুবিদা দেখাবে আর সকল সমস্যা তারাই সমাধান করে দেবে বলে প্রতিস্রুতি দিয়ে থাকে। কিন্তু সমস্যা হলে তারা কিছুতো করতে পারেইনা বরং অনেক সময় আপনার দোষ দিয়ে বসে থাকে বা আপনার থেকে পালিয়ে পালিয়ে বেড়ায়। আর এ সুযোগে কিছু ব্রোকারও আমাদের এ দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে কারণ তারা যদি আমাদের সাথে বাটপারি করে তাহলে আমরাতো তাদেরকে ধরতে পারবোনা, যেহেতু আমাদের সরকারের বিধি নিষেধের ফলে তাদের কোনো নিজস্ব অফিস আমাদের দেশে নেই আর এ সুযোগটাই আমাদের দেশের অসাধু ব্যাক্তিদের মত তারাও কাজে লাগাচ্ছে যার মদদ দিয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশেরই কিছু সংখ্যক কথিত ট্রেডার।
     
    আমার জানামতে, ২০১৩ইং সালে ফরেক্স ট্রেডারদের সাথে রাশিয়ান ব্রোকার InstaForex সবচেয়ে বড় অন্যায় করেছিল এবং এজন্য International Finantial Services Commission Of Belize (IFSC) ফরেক্স সহ তাদের অন্যান্য আর্থিক কার্যক্রম এর লাইসেন্স বাতিল করেছিল, আশা করি তা আপনারা সবাই জানেন।
     
    তারপর ২০১৪ইং সালে Kiwifxbank নামের অস্ট্রিলিয়ান এ NDD ব্রোকারটিও তাদের আইনগত জটিলতার কারনে ট্রেডিং মার্কেট থেকে ছিটকে পড়ে, এতে করে এ ব্রোকারেও অনেক ট্রেডারের অর্থ ব্যাংকের অলস টাকার মত আটকে যায়। অর্থাৎ তাদের দেশের আদালতে তাদের পক্ষে বা বিপক্ষে রায় না হওয়া পর্যন্ত আপনার কষ্টের টাকা Kiwifxbank এর কাছে অলস টাকার মত পড়ে থাকবে। এবার আপনার এ টাকা আপনি ভবিষ্যতে ফেরত পাবেন কিনা তার গ্যারান্টি কেউই দিতে পারবেন না আর দিবেইনই বা কিভাবে যেখানে আমাদের দেশে তাদের কমিশন প্রতিনিধিই এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে বলতে পারেন না!!!!!!!!!
     
    এতো গেলো আমার জানা দুটি ব্রোকারের পাপের কথা, এবার আসি সদ্যপাপী আরেকটি ব্রোকারের কথায়, অবশ্য এ ব্রোকারের ব্যাপারে আমি জেনেছি ফেবু এর বদলতে, যাইহোক, এই পাপী ব্রোকারটির নাম হলো “Orbex” আর ব্রোকারটি সাইপ্রাসের একটি ব্রোকার। এই ব্রোকারটি নাকি বর্তমানে ট্রেডারদেরকে অধিক প্রফিটের লোভ দেখিয়ে তাদের কষ্টের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এবং বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে ট্রেডারের ডিপসিট করা অর্থ ব্লক করে দিচ্ছে।
     
    নিছে চিত্রের সাহায্যে কিছু প্রমান দেওয়া হলঃ
     

     
    উপরের চিত্রে একজন ট্রেডার ৫ডিজিটের এই ব্রোকারে ২৪.০৭.২০১৪ইং তারিখে NZDUSD  পেয়ারে .৫০ ভলিউম এ একটি ট্রেড ওপেন করেন এবং তার ট্রেড (৩৬১$) প্রফিটে ক্লোজ হয়।
     

     
    কিন্তু পরবর্তীতে এই ব্রোকারটি ট্রেডিং ভায়োলেশন এর দোহাই দিয়ে তার একাউন্ট থেকে ৬টি ট্রেডের মোট ৪৫১$ কেটে নেয় যা আপনারা উপরের চিত্রে সচোক্ষে দেখতে পাচ্ছেন।
     

     
    প্রফিট কর্তনের এ দৃশ্য দেখে ওই ট্রেডার হতাশ হয়ে Orbex এর বাংলাদেশী মাস্টার আইবি ও আইবিদেরকে অবগত করলে তারা এ সমস্যা সমাধানে অপারগ বলে সাফ জানিয়ে দেন। অতঃপর ওই ট্রেডার শেষ আশ্রয়স্থল Orbex ব্রোকারকে তাদের স্ক্যাম প্রুফসহ উপরের বার্তাটি পাঠান কিন্তু তারাও এই হতভাগা ট্রেডারের কর্তনকৃত অর্থ ফেরত দিতে অসম্মতি জানায়। তাহলে এখন কি দাঁড়ালো? এখন মুল বিষয় হলো এই ট্রেডার তার ৪৫১$ হারালো।
     
    আর এভাবেই কিছু ব্রোকার আমাদের দেশের কিছু অসাধু ব্যাক্তির কারনে অনেক ট্রেডার অযথায়ই লসের বোঝা কাঁঠালের বোঁতার মত মাথায় নিয়ে ঘুরে বেড়ায় আবার অনেকে এসব কারনে হতাশ হয়ে ফরেক্স থেকে মুখ ফিরিয়েও নেয়। অথচ ওই ব্যাক্তিগুলো তার কমিশন প্রাপ্ত ব্রোকারটিকে ভালভাবে যাচাই করে যদি ব্যবসা শুরু করে তাহলে কিন্তু এ ধরনের সমস্যাগুলো ৯৯% সময় না হওয়ারই কথা। যে ব্রোকারের নীতিমালা আপনি নিজেই ভাল করে জানেন না, আপনার সামান্য কমিশনের জন্য আপনি কেন একজন ট্রেডারকে বিভিন্ন ধরনের লোভ দেখিয়ে বিপদের দিকে ঠেলে দিবেন?!!!!     
                     
    Orbex ব্রোকার স্ক্যামলিস্টে নাম লিখাচ্ছে, তথ্যটি জানতে পারি নিচের Facebook ID দুটি থেকে – আপনি চাইলে নিজের চোখে দেখে নিতে পারেন।
    Mahmud Khan ও Forex Trading Dhaka
    তথ্যটি আপনাদের ওয়ালে শেয়ার করে সবাইকে জানানোর জন্য বিডিফরেক্সপ্রো এর পক্ষ থেকে আপনাদের দুজনকেই ধন্যবাদ।  
     
    পরিশেষে বলতে চাই, ট্রেড করার আগে একজন ট্রেডার কেন অন্যজনের কথায় ব্রোকার নির্বাচন করবে? হ্যাঁ, যদি আপনি যাচাই করে করেন তাহলে ঠিক আছে আর যদি বিভিন্ন অফারের লোভে অন্যজনের কথা ধরে ব্রোকার নির্বাচন করেন তাহলেতো আমি বলবো বোকামিটা আপনারই, কারণ প্রতিটি ব্রোকারেরই লাইভ চ্যাট আছে আপনি আপনার সমস্যা নিয়ে তাদের সাথে কথা বলে নিজেইতো আপনার সমস্যা সমাধান করতে পারেন, যদি আপনার ব্রোকার আপনার সমস্যা সমাধান করতে না-ই পারে তাহলে সে ব্রোকারের একজন মাস্টার আইবি কিভাবে আপনার সমস্যা সমাধান করতে পারবে? আশা করি আমি কি বলতে চাইচি এতক্ষণে বুঝে গেছেন। হ্যাঁ, কারো মাস্টার আইবি/আইবি তে একাউন্ট করে ট্রেড করলে আপনাকে সে যে সাপোর্টগুলো দিবে সেগুলো আপনি নিজেই ব্রোকার থেকে লাইভ চ্যাট এর মাধ্যমে সরাসরি নিতে পারেন তাহলে আপনি কেন অন্য একজনের বুদ্ধি/মিষ্টি কথা ধরে বাটপার টাইপের ব্রোকার বাঁচাই করবেন!!!!!!!!!!শুরুতেই সাবধান হউন।    
     
    ব্রোকার নির্বাচন নিয়ে আপনার প্রিয় বিডিফরেক্সপ্রো-তে কয়েকটি লিখা আছে, সেগুলো পড়লেই আশা করি একটি সঠিক ব্রোকার নির্বাচন করা আপনার জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে।
     
    ধন্যবাদ।
     
  18. Like
    A H Royal reacted to A H Royal in EURUSD মার্কেট আউটলুক ২০ই অক্টোবর থেকে ২৪ই অক্টোবর পর্যন্ত।   
    EURUSD মার্কেট আউটলুক ২০ই অক্টোবর থেকে ২৪ই অক্টোবর পর্যন্ত।
     
    বন্ধুরা, পেয়ারটির মার্কেট বিগত সপ্তাহে ২৬৫পিপ্স এর মত বাই এ মুবমেন্ট হয়ে ১.২৭৬০ মুল্যে মার্কেট ক্লোজ করে। যদিও পেয়ারটি বিগত সপ্তাহে যথেষ্ট বাই এ যাওয়ার চেষ্টায় ছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১.২৮৮৫ থেকে সেলের দিকে ১.২৭৬০ মুল্যে চলে আসে। বিশ্ব অর্থনীতিতে আমেরিকা এখন দ্বিতীয় আর এশিয়ার বৃহত্তম দেশ চীন প্রথম স্থানে আছে আর এটা বিগত সপ্তাহের ওয়াল্ড ইকোনোমির জরিপ। তাই এ সুবাদে যদি এবার পেয়ারটি বাই এর দিকে যায় আর কি। ৩রা অক্টোবর থেকে যদি ৪ঘন্টার চার্ট দেখেন তাহলে পেয়ারটি এখন বাই ট্রেন্ড এ আছে আর দৈনিক চার্টে? দৈনিক চার্টে সেই বিগত চার মাসের চেনা ট্রেন্ড সেল এ আছে।
     
    অনেকেই মনে করেছেন হয়তো পেয়ারটি এবার বুঝি বাই ট্রেন্ড ধরবে কিন্তু পেয়ারটি তা পারে কিনা তা বলা মহা মুশকিল কারণ এ সপ্তাহে পেয়ারটির ঊর্ধ্বগতির জন্য EUR এর একমাত্র নিউজ হলো French Flash Manufacturing PMI আর EUR এর বিপক্ষে নিম্নগতির জন্য USD এর কয়েকটি নিউজ রয়েছে, তাই হয়তো এ সপ্তাহটি পেয়ারটির বাই এর জন্য অতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে সপ্তাহের শেষ দু-দিন USD এর নিউজগুলো পেয়ারটিকে ট্রেডেবল রাখবে এটা নিশ্চিত।
     
    যাইহোক, মার্কেট এ পরিস্থিতি থেকে এ সপ্তাহে বাই গেলে ১.২৮৭০-১.২৯৯০ পর্যন্ত এবং সেল এ যাওয়ার জন্য ১.২৭২২ সাপোর্ট মুল্য ক্রস করে ১.২৬৯৫ মুল্যে আসলে ১.২৬৩০-১.২৫৭০ পর্যন্ত যেতে পারে। তবে পেয়ারটির মার্কেট যদি ১.২৫০০ মুল্য ক্রস করে সেলে যায় তাহলে পেয়ারটি সেলে আরো ২০০-৩০০পিপ্স  এবং ১.৩০০০ মুল্য ক্রস করলে বাই ট্রেন্ড  যাওয়া স্বাভাবিক বলে আমি মনে করি।   
    আপনাদের যাতে এ সপ্তাহে উক্ত পেয়ারটিতে ট্রেড করতে সুবিধা হয় সেজন্য চিত্রের সাহায্যে পেয়ারটির সাপোর্ট, রেসিস্টেন্স ও ট্রেড আইডিয়া শেয়ার করলাম।
     
    ৪ঘন্টার চার্টে ট্রেন্ড চিত্রঃ
     

     
    সাপোর্ট রেসিসটেন্স ও ট্রেড আইডিয়া চিত্রঃ
     

     
     
    পিভট পয়েন্টঃ ১.২৭৮০।
     
    রেসিসটেন্স সমুহঃ  ১.২৮১৬, ১.২৮৭৩, ১.২৯০৯, ১.২৯৫০, ১.২৯৯৯ ও  স্ট্রং রেসিসটেন্স ১.৩০৪৭।
     
    সাপোর্ট সমুহঃ ১.২৭২৩, ১.২৬৮৭, ১.২৬৬০, ১.২৬৩০, ১.২৫৭০ ও স্ট্রং সাপোর্ট ১.২৫০০।
     
    এ সপ্তাহে উক্ত পেয়ারটিতে হাই ইম্প্যাক্ট যে নিউজগুলো আছে তা নিম্নরুপঃ
     
    ২০ই অক্টোবর সোমবার – মার্কেট ওপেনের প্রথম দিনে উক্ত পেয়ারটিতে হাই ইমপ্যাক্ট এর কোনো নিউজ নেই। তাই এ দিন পেয়ারটিতে টেকনিক্যাল এ্যনালাইসিস ফলো করে ট্রেড করুন।
     
    ২১ই অক্টোবর মঙ্গলবার – মার্কেট ওপেনের দ্বিতীয় দিনেও উক্ত পেয়ারটিতে হাই ইমপ্যাক্ট এর কোনো নিউজ নেই। তাই এ দিনও পেয়ারটিতে টেকনিক্যাল এ্যনালাইসিস ফলো করে ট্রেড করুন।
     
    ২২ই অক্টোবর বুধবার – সপ্তাহের এ দিন পেয়ারটির USD কারেন্সিতে একটিমাত্র নিউজ রয়েছে তাই এ দিন পেয়ারটি কিছুটা ট্রেডেবল হয়ে উঠবে।
     
    সন্ধ্যা ৬.৩০মিনিট        USD   Core CPI m/m
     
    ২৩ই অক্টোবর বৃহস্পতিবার – সপ্তাহের এই দিনটিতে পেয়ারটির উভয় কারেন্সিতে দুটি নিউজ রয়েছে। তবে এদিন EUR থেকে USD কারেন্সির নিউজটি অত্যাদিক গুরুত্বপূর্ণ।
     
    দুপুর ১.০০মিনিট         EUR   French Flash Manufacturing PMI
    সন্ধ্যা ৬.৩০মিনিট        USD   Unemployment Claims
     
    ২৪ই অক্টোবর শুক্রবার – মার্কেট ক্লোজিং এর এ দিনে শুধুমাত্র USD কারেন্সিতে হাই ইমপ্যাক্ট এর একটি নিউজ রয়েছে। যদি নিউজটির ফলাফল অধিক ভাল/খারাপ হয় তাহলে এদিন পেয়ারটি ভালোই মুবমেন্ট করবে তাই সপ্তাহের এই শেষ দিনে সবাই নিউজ বুঝে ট্রেডে এন্ট্রি দিন।
     
    রাত ৮.০০মিনিট         USD   New Home Sales
     
    এ সপ্তাহে পেয়ারটি উভয় কারেন্সিতে হাই ইমপ্যাক্ট এর নিউজ সংখ্যা খুবই কম রয়েছে, তাই এ সপ্তাহে পেয়ারটিতে টেকনিক্যাল এ্যনালাইসিসের উপর বেশী গুরুত্ব দিন।
     
    এ সপ্তাহে আপনি উক্ত পেয়ারটিতে যেভাবে ট্রেড করবেনঃ
    সাধারন নিয়মে পেয়ারটির মার্কেট মূল্য প্রথম রেসিস্টেন্স ক্রস করলে ১.২৮২৫ মুল্যে বাই ট্রেড করুন স্টপ লস ১.২৭৫০ আর টেক প্রফিট দিন ৬০-৯০ পিপ্স এবং পেয়ারটির মার্কেট মুল্য যদি প্রথম সাপোর্ট ১.২৭২২ ক্রস করে তাহলে ১.২৭১০ মুল্যে সেল ট্রেড করুন আর এক্ষেত্রে টেক প্রফিট ৭০-১০০পিপ্স দিন এবং স্টপ লস দিন ১.২৭৯০।
    আর যদি মার্কেট ওপেন হওয়ার পর পেয়ারটি বাই এ যায় তাহলে ১.২৯২০-১.২৯৫০ এর মধ্যে সেল ট্রেড করুন এক্ষেত্রে স্টপ লস দিন ১.২৯৮০ এবং টেক প্রফিট দিন ৯০-১২০পিপ্স। আর পেয়ারটির মার্কেট মূল্য যদি সেল এ যায় তাহলে ১.২৬২০-১.২৫৮৫ এর মধ্যে বাই ট্রেড করুন এক্ষেত্রে স্টপ লস দিন ১.২৫২৫ এবং টেক প্রফিট দিন ৮০-১১০পিপ্স।
        
    উপরোক্ত ট্রেডগুলোর টেক প্রফিট ও স্টপলস আপনি চাইলে আপনার মত করে দিতে পারেন। তবে স্টপলস এর ক্ষেত্রে অবশ্যই সাপোর্ট ও রেসিস্টেন্স দেখে দিন।  
     
    উপরোক্ত যে কোনো অর্ডার মেক করার পর যদি দেখেন যে আপনার ট্রেড প্রফিটে আছে কিন্তু নিউজ আপনার ট্রেড এর বিপরীতে তাহলে ঐই ট্রেডটি ক্লোজ করে দিবেন। ট্রেড এ উপস্থিত না থাকলে একটির বেশী পেন্ডিং অর্ডার দিবেন না। যদি আপনার একটি অর্ডার নিয়ে নেয় তাহলে সে অর্ডারটি ক্লোজ না করে আরেকটি অর্ডার দিবেন না। বিশেষ করে বাই সেল করে ট্রেড লক করবেন না। আর যারা স্ক্যাল্পিং করেন তারা আশা করি পেয়ারটিতে এ সপ্তাহে ভালো করতে পারবেন তবে এজন্য উভয় কারেন্সির নিউজগুলোর উপর অবশ্যই চোখ রাখবেন আর অবশ্যই ট্রেন্ড ফলো করবেন। হাই ইমপ্যাক্ট নিউজ আওয়ার এ দেখে ও বুঝে ট্রেড করবেন। এই এ্যনালাইসিস সাপ্তাহিক ট্রেডাররা ফলো  করলে ভালো, তবে ডেইলি ট্রেডাররা লট সাইজ আনুপাতিক হারে কমিয়ে করতে পারেন।
     
    ধন্যবাদ।
     
    বিঃ দ্রঃ ফরেন এক্সচেঞ্জ একটি হাই রিস্ক লেভেল ট্রেডিং মার্কেট যা সকল ইনভেস্টর বা ট্রেডারদের জন্য যথাযোগ্য নয়। কারেন্সি ট্রেডিং এ ট্রেডারদের ট্রেড এর যে কোনরূপ পরিবর্তন ট্রেডাররা নিজ দায়িত্বে বহন করবে। সে জন্য বিডিফরেক্সপ্রো কোনো প্রকার দায়ী থাকিবে না।
  19. Like
    A H Royal reacted to Saif Rahman in Orbex ব্রোকারও নাকি তার গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করছে!!!   
    Hello mr. Alom
    Nice to see you once agin here,  
     
    will you please tell us how a freeze market takes a cmp order where we know if a pair not moving more than 2 minitues that only able to be freeze and you also told mahmud khan trade in wrong prize
    I never heard about wrong prize,where we just trade in the prize which is comes in our platfrom
     
    So my question is if your orbex platfrom got freeze then how its takes the order ?
    And another how you say market got freeze with a tecnical error ?
    Where 3am there was a high impact NZD news just flashed
     
    In a high impact news time market gets so volatile, How you say its a tecnical error LOL
    I think you dont know about forex news trading very well also you hav'nt any idea about forex trading in news time
     
    Anyway my last question is where the 451$ goes which you guys cut from mahmud khan's account ?
    is it goes back to your regulations home or you guys just enjoy this ?
  20. Like
    A H Royal reacted to A H Royal in হাই ইমপ্যাক্ট নিউজসমূহ ২০ই অক্টোবর থেকে ২৪ই অক্টোবর পর্যন্ত।   
    হাই ইমপ্যাক্ট নিউজসমূহ ২০ই অক্টোবর থেকে ২৪ই অক্টোবর পর্যন্ত।
     
    বন্ধুরা, বিগত সপ্তাহে বেশীরভাগ পেয়ারের মার্কেট মুবমেন্ট ভালই ছিল, বিশেষ করে মেজর পেয়ারগুলোতে ১৫০পিপ্স এর বেশী মার্কেট মুবমেন্ট করেছে। এ সপ্তাহটিতে হয়তো মেজর পেয়ারগুলোতে তেমন মুবমেন্ট না ও হতে পারে কারণ এ সপ্তাহে মেজর কারেন্সি হিসেবে USD কারেন্সিতে Unemployment Claims ও New Home sales ছাড়া তেমন কোনো হাই ইমপ্যাক্ট নিউজ নেই, শুধু তাই নয় এ সপ্তাহে EUR কারেন্সিতেও শুধুমাত্র French Flash Manufacturing PMI নিউজটি রয়েছে, তাই এ সপ্তাহটিতে বেশীরভাগ মেজর পেয়ারে টেকনিক্যাল এ্যনালাইসিস ফলো করে ট্রেড করুন। তবে এ সপ্তাহে CAD ও GBP কারেন্সিতে সর্বাধিক হাই ইমপ্যাক্ট নিউজ রয়েছে, তাই এ সপ্তাহে CAD ও GBP কারেন্সির পেয়ারগুলোতে ভালো মুবমেন্ট আশা করা যায়।
     
    তাই আপনার ট্রেডিং পেয়ারে ট্রেড করার পূর্বে ঐই পেয়ারের হাই ইমপ্যাক্ট নিউজগুলো জেনে নিন যাতে ট্রেডে লাভবান হতে পারেন ও বিশাল লসের সম্মুখীন হতে না হয়।       
     
    এ সপ্তাহের হাই ইমপ্যাক্ট নিউজসমুহ নিম্নরূপঃ   
     

     
    ২০ই অক্টোবর সোমবার – মার্কেট ওপেনের প্রথম দিনে CAD কারেন্সির নিউজটি ছাড়া তেমন কোনো নিউজ নেই তাই এ দিন CAD কারেন্সির পেয়ারগুলো ছাড়া অন্য সকল পেয়ারে টেকনিক্যাল এ্যনালাইসিস ফলো করে ট্রেড করুন।
     
    সন্ধ্যা ৬.৩০মিনিট        CAD   Wholesale Sales m/m
     
    ২১ই অক্টোবর মঙ্গলবার – মার্কেট ওপেনের দ্বিতীয় দিনে AUD এবং CNY কারেন্সিতে হাই ইম্প্যাক্টের কিছু নিউজ রয়েছে, AUD কারেন্সির নিউজটির এ্যকচুয়্যাল রিপোর্ট অধিক ভাল/খারাপ আসলে এ দিন উক্ত কারেন্সির সাথে সম্পৃক্ত পেয়ারগুলো ট্রেডেবল হবে আর CNY কারেন্সির নিউজগুলো এশিয়ার কারেন্সিগুলোতে  ইফেক্ট ফেলতে পারে। এছাড়া এ দিন অন্যান্য মেজর পেয়ারগুলোতে টেকনিক্যাল এ্যনালাইসিস দেখে ট্রেড করুন।
     
    সকাল ৬.৩০মিনিট      AUD   Monetary Policy Meeting Minutes
    রাত ৮.০০মিনিট         CNY  GDP q/y
    রাত ৮.০০মিনিট         CNY  Industrial Production y/y
     
    ২২ই অক্টোবর বুধবার – সপ্তাহের এ দিন অনেকগুলো হাই ইম্প্যাক্টের নিউজ রয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশী নিউজ হলো CAD কারেন্সির। তাই এ দিন CAD কারেন্সির সাথে সম্পৃক্ত সকল পেয়ারের মার্কেট ট্রেডেবল থাকবে, পাশাপাশি এ দিন GBPUSD, AUDUSD এবং USD কারেন্সির নিউজটি অধিক ভাল/খারাপ হলে  অন্যানা মেজর পেয়ারগুলোর মার্কেটও ভাল মুবমেন্ট হবে। তাই এ দিন নিউজ বুঝে ট্রেডে এন্ট্রি দিন।
     
    সকাল ৬.৩০মিনিট     AUD  CPI q/q
    দুপুর ২.৩০মিনিট       GBP    MPC Asset Purchase Facility Votes
    দুপুর ২.৩০মিনিট       GBP    MPC Official Bank Rate Votes
    সন্ধ্যা ৬.৩০মিনিট       CAD   Core Retail Sales m/m
    সন্ধ্যা ৬.৩০মিনিট       USD   Core CPI m/m
    রাত ৮.০০মিনিট        CAD   BOC Monetary Policy Report
    রাত ৮.০০মিনিট        CAD   BOC Rate Statement
    রাত ৮.০০মিনিট        CAD   Overnight Rate
    রাত ৮.০০মিনিট        CAD   BOC Press Conference
     
    ২৩ই অক্টোবর বৃহস্পতিবার – সপ্তাহের এই দিনটিতে বিভিন্ন কারন্সিতে হাই ইমপ্যাক্ট এর কয়েকটি নিউজ রয়েছে যার মধ্যে USD, EUR ও GBP কারেন্সির নিউজগুলো অন্যতম। তাই  আশা করা যায় যে, এ দিন মেজর পেয়ারগুলো মোটামুটি ট্রেডেবল হবে।
     
    রাত ৩.০০মিনিট        AUD  RBA Gov Stevens Speaks
    রাত ৩.৪৫মিনিট        NZD  CPI q/q
    সকাল ৭.৪৫মিনিট     CNY  HSBC Flash Manufacturing PMI
    দুপুর ১.০০মিনিট       EUR  French Flash Manufacturing PMI
    দুপুর ২.৩০মিনিট       GBP  Retail Sales m/m
    সন্ধ্যা ৬.৩০মিনিট       USD Unemployment Claims
     
    ২৪ই অক্টোবর শুক্রবার –  মার্কেট ক্লোজিং এর এ দিনে শুধুমাত্র NZD, GBP ও USD কারেন্সিতে হাই ইমপ্যাক্ট এর একটি করে নিউজ রয়েছে আর নিউজগুলো অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ। যাইহোক, যদি USD কারেন্সির নিউজটির ফলাফল অধিক ভাল/খারাপ হয় তাহলে এদিন মেজর পেয়ারগুলো ভালোই মুবমেন্ট করবে তাই সপ্তাহের এই শেষ দিনে সবাই নিউজ বুঝে ট্রেডে এন্ট্রি দিন।
     
    রাত ৩.৪৫মিনিট       NZD  Trade Balance
    দুপুর ২.৩০মিনিট      GBP  Prelim GDP q/q
    রাত ৮.০০মিনিট       USD  New Home Sales
     
     
    বন্ধুরা, উপরের নিউজগুলো দেখেই বুঝতে পারছেন যে, এ সপ্তাহে USD, GBP ও CAD কারেন্সিতে অধিক পরিমান হাই ইম্প্যাক্ট এর নিউজ রয়েছে। যদি নিউজের ফলাফলগুলো মার্কেট বান্ধব হয় তাহলে এ সপ্তাহে মেজর পেয়ারগুলোতে আশা করি অধিক সফল ট্রেড করা সম্ভব হবে এবং সকল পেয়ারের মার্কেট ট্রেডেবল থাকবে। তবে সপ্তাহের শেষ দিনের নিউজগুলো আপনার প্রিয় পেয়ারের মার্কেটকে যেকোনো দিকে ভালোই মুবমেন্ট করাতে পারে, তাই সপ্তাহের শেষ দিন ট্রেডে সতর্ক থাকুন। যারা স্ক্যাল্পিং ট্রেড করতে পছন্দ করেন তারা এ সপ্তাহে মেজর পেয়ারগুলোতে ভালো করতে পারবেন। তবে এজন্য অবশ্যই নিউজগুলোর ফলাফলের উপর গুরুত্ব দিবেন। আর এ সপ্তাহে CAD কারেন্সির পেয়ারগুলোতে সাবধানে স্ক্যাল্পিং করুন।        
    সুতরাং নিউজ বুঝে সাবধানে ট্রেড ওপেন করুন, যে কোনো পেয়ারে ট্রেড করার আগে ঐ পেয়ারটির কোনো নিউজ আছে কিনা তা জেনে নিন তাহলেই আপনি স্বল্প রিস্ক নিয়ে অধিক প্রফিট করতে পারবেন।
     
    আপনাকে সঠিক তথ্য ও গাইডলাইন দেওয়াই বিডিফরেক্সপ্রো এর লক্ষ্য।
     
    ধন্যবাদ।
     
    বিঃ দ্রঃ নিউজগুলো বিভিন্ন ফরেক্স নিউজ সাইট থেকে আপনাদের জন্য সংগ্রহ করা হল। আশা করি উপকৃত হবেন।
  21. Like
    A H Royal reacted to Saif Rahman in GBPUSD মার্কেট আউটলুক ১৩ই অক্টোবর থেকে ১৭ই অক্টোবর পর্যন্ত।   
    আপনাকে অনেক ধন্যবাদ!
    এতো সুন্দর করে গুছিয়ে লেখার জন্য
    আমি আজ মাত্র আপনাদের সাথে যোগ দিলাম আশা করি সামনের সপ্তাহের থেকে আপনার পরবত্তি এনাল্যসিস  গুলো উপভগ করব
     
     
  22. Like
    A H Royal reacted to tanvirbd in cPSM: স্ক্যালপারদের জন্য একটি অসাধারণ এক্সটার্নাল টুলস   
    [cPSM বা Currency Pair Strength Meter মাইক্রোসফট এক্সেলে তৈরি একটি এক্সটার্নাল রুলস। এটি MT4 টার্মিনালের সাথে লিঙ্ক তৈরি করে ফরেক্স মার্কেটের ৩০টি কারেন্সি পেয়ারের ডেইলি রেঞ্জ ও স্ক্যলপিংয়ের জন্য উপযুক্ত পেয়ারের রিকমেন্ডেশনসহ সেশন ওপেন ও ক্লোজ হতে অবশিষ্ট সময়ের হিসাব প্রদর্শন করে। cPSM ওপেন করার জন্য মাইক্রোসফট এক্সেল ২০০৭ বা এর ঊর্ধ্বের কোনো ভার্সন ব্যবহার করুন।]
     
    আপনি একজন স্ক্যালপার। আপনি শর্ট টাইমফ্রেমে স্বল্প-সময়ের জন্য ট্রেড ওপেন করেন আর অল্প কিছু পিপস পেলেই ট্রেড ক্লোজ করে দেন। আপনি জানেন যে, আপনার কাছে খুব ভালো একটি স্ক্যালপিং স্ট্র্যাটেজি আছে। কিন্তু তারপরেও আপনি আশানুরূপ সাফল্য পাচ্ছেন না। আপনি যে বড় ভাইয়ের নিকট থেকে বা যাদের কাছ থেকে স্ট্র্যাটেজিটি সংগ্রহ করেছেন, এই একই স্ট্যাটেজি ব্যবহার করে তারা ৮৫%–৯০% সফলতা পাচ্ছে। কিন্তু আপনি পারছেন না।
     
    কেন?
     
    আপনি কি ভাবছেন আপনার সাথে ফরেক্স মার্কেটের পৈত্রিক আমলের শত্রুতা রয়েছে? নাকি আপনি ট্রেড করতে বসলেই মার্কেট আপনার সাথে ঠাট্টা-মশকরা শুরু করে দেয়? ফরেক্স মার্কেটে আপনার দুই–তিন বছরের অভিজ্ঞতা হয়ে গেল, অথচ তারপরেও মনমতো একটি প্রফিটেবল স্ট্যাটেজি দাড় করাতে পারছেন না এবং অন্যদের প্রফিটেবল স্ট্র্যাটেজিও আপনার হাতে পড়লেই পাগলামি শুরু করে দেয়।
     
    কি এর কারণ?
     
    উত্তর হচ্ছে আপনার কাছে একটি প্রফিটেবল স্ট্র্যাটেজি আছে ঠিকই। কিন্তু আপনি এর সঠিক ব্যবহার করতে পারছেন না। মার্কেট থেকে আপনি কিছু পিপস (পিপস = প্রফিট) আশা করেন, অথচ মার্কেটে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে ওঠানামা (মুভমেন্ট) না থাকে তাহলে পিপস কি আপনি হাওয়ার উপর দিয়ে পাবেন? নাকি আপনার স্ট্যাটেজি মার্কেটের মোড় ঘুরিয়ে দিয়ে মুভমেন্ট তৈরি করবে? মোটেও না। স্ট্র্যাটেজি মার্কেটের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়।, মার্কেট স্ট্র্যাটেজির উপর ভিত্তি করে মুভমেন্ট করে না। সুতরাং মুভমেন্টবিহীন, সাইডওয়ে এবং একদম স্বল্প-রেঞ্জের মার্কেটে আপনি আপনার স্ট্র্যাটেজি নিয়ে যতই পিপস শিকারে নামেন না কেন, আর ঘন্টার পর ঘন্টা চার্টের সামনে বসে থাকেন না কেন – স্প্রেডের কারণে এবং ভুল সময়ে ট্রেড করার কারণে আপনি শুধু ডিপোজিট হারাতেই থাকবেন। ভুল সময়ে ভুল ট্রেডের ফলে পাঁচ-সাতটি লসের ট্রেডের পরে চরম হতাশ হয়ে সমস্ত লস একবারে রিকভারি করার জন্য জেদের বসে চার-পাঁচ গুণ বড় লটে ট্রেড ওপেন করে পরিশেষে একাউন্ট জিরো করে তারপর মাথায় হাত দিয়ে তীব্র ক্ষোভ ও দুঃখের সাথে বলবেন, “প্রতিটি ট্রেডেই নিয়ম মানার পরেও ফরেক্স মার্কেট আমার সাথে এমন করে কেন? আমি ফরেক্স মার্কেটের কি ক্ষতি করেছি?” আসল কথা হচ্ছে, আপনি স্ক্যালপিং করার জন্য প্রতিবারই সঠিক সময়ে সঠিক কারেন্সি পেয়ারটি নির্বাচন করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। স্ক্যালপিং যেহেতু স্বল্প-সময়ের জন্য করা হয়ে থাকে, সেহেতু মার্কেট যে পেয়ারে পর্যাপ্তমাত্রায় মুভমেন্ট আছে সেই পেয়ারে ট্রেড করা একান্তু অপরিহার্য।
     
    ধরুন আজ সারাদিনে USDCHF পেয়ারটি মাত্র ৬০ পিপসের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে। যে পেয়ারের আজকের রেঞ্জেই হলো মাত্র ৬০ পিপস, সে পেয়ারের নিজের আছে কি আর আপনাকেই বা দেবে কি! উল্টো আপনার থেকে আরো কেড়ে নেবে। ধরুন একই দিনে একই সময়ের মধ্যে অন্য আরেকটি পেয়ার (ধরা যাক, NZDJPY) ইতিমধ্যেই ৩০০+ পিপস মুভ করেছে। অথচ আপনি তা জানেনই না! কিন্তু আপনি যদি জানতেন তাহলে উক্ত পেয়ারের M5, M15 বা M30 চার্টে কি আপনি আপনার স্ট্র্যাটেজি অনুযায়ী একটি বা দুটি ভালে এন্ট্রি খুঁজে পেতেন না? আমরা বলতে পারি যে, পাওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর ছিল।
     
    অর্থাৎ আসল কথা হচ্ছে মার্কেটে ওঠানামা থাকলে সেখানে স্ক্যালপিং করে সাফল্য পাওয়া সম্ভব। কিন্তু সঠিক সময়ে সঠিক পেয়ার নির্বাচন করাটাই হলো মুশকিল। ট্রেডিংয়ের জন্য আপনার ব্রোকার আপনাকে ৩০/৪০ বা তারচেয়েও বেশি পেয়ার দিচ্ছে। এখান থেকে ট্রেডিংয়ের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত পেয়ারটি খুঁজে পেতে গেলে আপনাকে একটি একটি করে চার্ট ওপেন করে ডেইলি ক্যান্ডেল দেখতে হবে। তারপরে দেখতে হবে পেয়ারটির M5, M15 বা M30 টাইমফ্রেমের বর্তমান অবস্থা। তাও পাক্কা ৩০–৪০ মিনিটের কাজ! ততক্ষণে দু-একটি ভালো সেটআপ এসেও চলে গেছে। একেই বলে বিড়ম্বনা! এই পেয়ার বাছাবাছির কাজটি যদি কোনো টুলস দিয়ে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই করা যেত, তাহলে নিঃসন্দেহে একটি কাজের কাজ হতো!
     
    হ্যাঁ, আপনার এই মহা-ঝামেলার কাজটি করে দেবে আমার তৈরি cPSM মাত্র ০১ সেকেন্ডের মধ্যেই!
     

     
    cPSM মাইক্রোসফট এক্সেলে আমার তৈরি একটি টুলস। আপনি অবাক বিষ্ময়ে দেখবেন যে, যেসব পেয়ারগুলোতে আজকে প্রচুর মুভমেন্ট হয়েছে বলে মনে করছেন তারচেয়ে দুই-তিন গুণ বেশি মুভ করা পেয়ারও আছে। সুতরাং আপনি পরবর্তী এক মিনিটের মধ্যেই সবচেয়ে বেশি মুভ করা চার-পাঁচটি চার্ট ওপেন করে আপনার নিজস্ব স্ট্র্যাটেজি অনুযায়ী ট্রেড এন্ট্রি নিতে পারবেন। যেহেতু এসব পেয়ারের মুভমেন্ট প্রচুর, তাই প্রফিটের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা চার্টের সামনে বসে থাকতে হবে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কয়েক মিনিটের ভিতরে আপনার টার্গেট পূরণ হয়ে যাবে। তখন তাইরে – নাইরে গানে গাইতে গাইতে পিসি বন্ধ করে অন্য কাজে হাত দিতে পারবেন।
     
    cPSM কোনো ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজি নয়। তবে এটি আপনার স্ক্যালপিং ট্রেডিং সিস্টেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হওয়ার যোগ্যতা রাখে। আপনি ইচ্ছা করলে cPSM দ্বারা কোনো স্ক্যালপিং স্ট্র্যাটেজিও তৈরি করতে পারবেন। অথবা আপনার স্বল্প প্রফিটেবল স্ট্র্যাটেজি দ্বারাও cPSM এর সাহায্যে ভালো প্রফিট করতে পারবেন।
     
    cPSM আপনাকে সরাসরি যেসব বিষয়ে সাহায্য করবে তা হলো:–
    ১। সেকেন্ডের মধ্যেই জানিয়ে দেবে ৩০টি কারেন্সি পেয়ারের ডেইলি রেঞ্জ।
    ২। স্ক্যালপিংয়ের জন্য ট্রেডেবল পেয়ারের যোগ্যতাভিত্তিক পরিবর্তনশীল তালিকা।
    ৩। ট্রেডেবল পেয়ারের রিকমেন্ডেশন।
    ৪। খোলা থাকা সেশনের সাথে সমন্বয় করে সংশ্লিষ্ট দেশের কারেন্সি রিলেটেড পেয়ার নির্বাচনের সুযোগ।
    ৫। সেশন খোলার কত সময় অবশিষ্ট আছে তার ঘন্টা, মিনিট ও সেকেন্ড ভিত্তিক প্রতি মুহূর্তের আপডেট।
    ৬। সেশন বন্ধ হওয়ার কত সময় অবশিষ্ট আছে তার ঘন্টা, মিনিট ও সেকেন্ড ভিত্তিক প্রতি মুহূর্তের আপডেট।
    ৭। একই সাথে ব্রোকার ও স্থানীয় সময় প্রদর্শন।
     
    cPSM কি শুধুই স্ক্যলপারদের জন্য?
     
    cPSM স্ক্যালপারদেরকে ট্রেডের জন্য সঠিক পেয়ার নির্বাচনে দ্রুত সহায়তাকারী একটি এক্সটার্নাল টুলস। যারা লং টার্ম ট্রেডিং করেন, cPSM তাদেরকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সাহায্য করবে না। তবে কোনো লং ট্রেডার প্রতিদিনের ৩০টি পেয়ারের ডেইলি মুভমেন্টের তালিকা একত্রে পেয়ে টেকনিক্যাল এনালাইসিস করতে চাইলে তার এরূপ চাহিদা পূরণে cPSM নিঃসন্দেহে ফলদায়ক বিবেচিত হবে।
     
    ১৭/১০/২০১৪ ইং তারিখের রিলিজ ডেট হতে আগামী ০১ মাসের জন্য cPSM এর ট্রায়াল ভার্সন সবার জন্য উন্মুক্ত করা হলো। আগামী ১৬/১১/২০১৪ ইং তারিখে ট্রায়াল পিরিয়ড শেষ হবে। তাই এখনি নিচের লিঙ্ক হতে cPSM ডাউনলোড করুন এবং স্ক্যালপিং করার জন্য সঠিক কারেন্সি পেয়ার নির্বাচনে cPSM এর সহায়তা নিন।
     
    ডাউনলোড লিঙ্ক: http://www.mediafire.com/download/x6e837nny1y5jyd/cPSM+%28Scalper%27s+Guide%29.rar#39;s_Guide).rar
     
    স্ক্যালপারদের স্ক্যাল্প ট্রেডিংয়ে ধারাবাহিক সাফল্য কামনা করি।
     
    বিঃ দ্রঃ cPSM ব্যবহার করার পূর্বে ইউজার ম্যানুয়াল ভালোভাবে পড়ে নির্দেশনা মোতাবেক MT4 প্লাটফর্মের সেটিংস প্রদান করতে হবে।

  23. Like
    A H Royal reacted to kizir007 in জিগজ্যাগ ইন্ডিকেটর – গাছ দেখায় না, বন দেখায়!   
    আগে ঠিক করুন, আপনি গাছ দেখতে চান নাকি বন দেখতে চান?
     
    ধরুন আপনি বনের ভেতর হারিয়ে গেছেন। বনের ভেতর দিয়ে হাটছেন আর নজরে পড়ছে শুধু গাছ আর গাছ। কোথায় কয়টা গাছ আছে, কোন গাছ কত বড়, বনের শুরু কোথায়- শেষ কোথায়, কিছুই বোঝা যায়না। এভাবে পথ খুঁজে বের করা বেশ মুশকিল হবে, হয়ত দেখা যাবে ঘুরে ফিরে সেই একই যায়গায় চলে আসছেন! কিন্তু আপনি যদি একটা হেলিকপ্টার নিয়ে উপর থেকে বনটা দেখেন, তখন পুরো বন কত বড়, কত দূর গেছে সে সম্পর্কে ভাল ধারনা পাবেন।
     
    ফরেক্স মার্কেটে কোন কারেন্সি পেয়ারকে যদি আমরা বনের সাথে তুলনা করি, তাহলে জিগজ্যাগ ইন্ডিকেটর এখানে অনেকটা ঐ হেলিকপ্টারের মতই। এটা বনের ভেতর ইতি উতি পথ না খুঁজে উপর থেকে পুরো বনটা দেখার উপায় বলে দেয়। এখানে প্রাইসের গতির ছোট খাট পরিবর্তন গুলি হচ্ছে বনের গাছের মত, কিন্তু বড় পরিবর্তনগুলো সত্যিকার অর্থে ট্রেন্ডের গতিবিধি বুঝতে সহায়তা করে। জিগজ্যাগ ইন্ডিকেটর এই ছোট খাট পরিবর্তনগুলি ইগনোর করে বড় পরিবর্তন অনুযায়ী ট্রেন্ডের গতিবিধি তুলে ধরে। ফলে ওভারল মার্কেট সিচুয়েশন আপনার সামনে পরিস্কার হয়।
    জিগজ্যাগ ইন্ডিকেটর কি?
    ট্রেন্ডকে অনুসরন করছে এমন একটি ইন্ডিকেটর যা প্রতিমুহূর্তে প্রাইসের গতির পরিবতন সম্পর্কে আগে থেকে সিগন্যাল দেয় তাকে জিগজ্যাগ ইন্ডিকেটর বলে। প্রাইসের গতির অনিয়মিত পরিবর্তনগুলি দূর করে দিয়ে একচুয়াল পরিবর্তনগুলোতে ফোকাস আনার জন্য এই ইন্ডিকেটর ব্যবহার হয়।
    জিগজ্যাগ ইন্ডিকেটর কীভাবে কাজ করে? জিগজ্যাগ ইন্ডিকেটরকে অন্যান্য ইন্ডিকেটর মত ব্যাবহার করা যায় না। এটা মূলত প্রাইসের গতিবিধির ছোটখাট পরিবর্তনগুলি আমলে না এনার একটা পদ্ধতি। সাধারণত প্রাইসের যেকোনো অবস্থানের ১০% পরিবর্তন জিগ জ্যাগ লাইনে কোন চেঞ্জ আনেনা। শুধু মাত্র ১০% এর বেশি কোন পরিবর্তন হলেই জিগ জ্যাগ লাইনে এর প্রভাব পরে। এভাবে ছোট খাট মুভমেন্ট গুলো ফিল্টার কররে ফেললে অভারল ধারনাটা ভাল হয়। নিচের চিত্রটি দেখুনঃ

    চিত্রে নিল রঙের যে লাইন দেখতে পাচ্ছে সেটা হচ্ছে অরিজিনাল প্রাইস লাইন। আর গোলাপি রঙের যে ডট ডট লাইন দেখছেন সেটা হচ্ছে জিগজ্যাগ লাইন। এখানে আপনারা দেখছেন প্রাইসের আপ ডাউনের সাথে সাথে অরিজনাল প্রাইস লাইন মুভ করছে। কিন্তু জিগজ্যাগ লাইন প্রতিবার পয়েন্ট চেঞ্জ করার সময় একটা নির্দিষ্ট সরল রেখা তৈরি করে এগিয়ে যাচ্ছে।
     
    এখন আপনার মনে হতে পারে এর কার্যকারিতা কি? লক্ষ করে দেখুন চিত্রে মাঝখানে এক যায়গায় অরিজিনাল প্রাইসের আগের পয়েন্ট থেকে পরের পয়েন্টে ৭% পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু জিগজ্যাগ লাইন তা ইগনোর করে এগিয়ে গেছে। এক্কেবারে শেষ জিগজ্যাগ লাইন একটু দেখুন। যেখানে থেমেছে তা ৭% পরিবর্তন এর কম! তার মানে ৭% লাইনটি ইগনর করার ফলে কোন সমস্যাই হয়নি, জিগজ্যাগ প্রাইসের ট্রেন্ড খুব ভালভাবেই বের করে আনতে পেরেছে।
    জিগজ্যাগ লাইন রিট্রেসমেন্টঃ নরমাল জিগজ্যাগ লাইনের পাশাপাশি এখান থেকে রিট্রেস জিগজ্যাগ নামক এক ধরনের স্ট্রটেজি বের করে আনা যায়। নিচে চিত্রটি দেখুনঃ

    এখানে লাইন এক এর স্টারটিং পয়েন্ট ২১.৯২ আর এন্ডিং পয়েন্ট ২৮.৯৯।এখানে পার্থক্য= ৭.০৭, একই ভাবে লাইন দুই এর ক্ষেত্রে পার্থক্য= ৪.৫১ এবং লাইন তিন এর ক্ষেত্রে= ৭.৪২।
    এখন লাইন এক ও দুই এর রিট্রেসমেন্ট= ৪.৫১/৭.০৭= .৬৩৮। এর মানে লাইন দুই হচ্ছে লাইন এক এর ৬৩.৮%। তারমানে পরের লাইনটি প্রথম লাইন থেকে ছোট, অর্থাৎ প্রথম লাইনের প্রাইসের ট্রেন্ড থেকে দ্বিতীয় লাইনের প্রাইসের ট্রেন্ড কম শক্তিশালী ছিল।
    লাইন দুই ও তিন এর রিট্রেসমেন্ট= ৭.৪২/৪.৫১= ১.৬৪৬ এর মানে লাইন তিন হচ্ছে লাইন দুই এর ১৬৪.৬%
    এখানে তিন নম্বর লাইন এর প্রাইস ট্রেন্ড দুই নম্বর লাইনের চেয়ে বেশি শক্তিশালী।
    এই ভাবে হিসেব করে আপনি চাইলে পরবর্তী লাইনের প্রাইস ট্রেন্ড এর শক্তিমত্তা প্রেডিকশন করতে পারবেন।
    জিগজ্যাগ লাইন কি সিগন্যাল দেয়? জিগজ্যাগ প্রাইস একশন সম্পর্কে ধারনা দিলেও সরাসরি বাই বা সেলের সিগন্যাল দেওয়ার পাওয়ার এর নেই। মূলত বেসিক এনালাইসিস এর কাজে সহায়তা করার জন্য এর সৃষ্টি। প্রাইস এর গতির ছোট ছোট পরিবর্তনগুলি অনেক সময় প্রাইস আপ হবে না ডাউন হবে এ সম্পর্কে ভুল ধারনা সৃষ্টি করতে পারে। ফলে এসময় ট্রেডার বাই বা সেলের ডিসিশন নিলে ভুল যাওয়ার সুযোগ থাকে। তাই প্রাইসের গতিবিধি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য জিগজ্যাগ ইন্ডিকেটর এর সাহায্য নেওয়াটা আমি ভাল মনে করি।
    সাবধানতা মনে রাখবেন জিগজ্যাগ ব্যবহারের সময় সব ক্ষেত্রে বুঝে নিতে হবে বর্তমানে প্রাইসের যে লাইন যাচ্ছে তা টেম্পোরারি নাকি পার্মানেন্ট। বর্তমান প্রাইস চেঞ্জ যদি জিগজ্যাগ প্যারামিটার থেকে কম হয় তবে বর্তমান লাইনটি টেম্পোরারি। এই লাইন দেখে কোন ট্রেড করবেন না। কিন্তু বর্তমান প্রাইস চেঞ্জ জিগজ্যাগ প্যারামিটারের বেশি বা সমান হলে এই লাইন টা পার্মানেন্ট বলা যাবে। এক্ষেত্রে আপনি ডিসিশন নিতে পারবেন সহজে।

    পোস্টটি পূর্বে প্রকাশিত হয়েছিল এখানেঃ জিগজ্যাগ
    সিসিআই ইন্ডিকেটর নিয়ে আমার আর একটি পোস্টঃ
  24. Like
    A H Royal got a reaction from Saif Rahman in GBPUSD মার্কেট আউটলুক ১৩ই অক্টোবর থেকে ১৭ই অক্টোবর পর্যন্ত।   
    GBPUSD মার্কেট আউটলুক ১৩ই অক্টোবর থেকে ১৭ই অক্টোবর পর্যন্ত।
     
    ট্রেডপ্রিয় বন্ধুরা, GBPUSD পেয়ারটি বিগত সপ্তাহে ভালোই ট্রেডেবল ছিল, পেয়ারটি সপ্তাহের প্রথম দিকে ১.৫৯৫১ পর্যন্ত সেল এ গিয়ে সপ্তাহের শেষের দিকে ১.৬২২৬ মুল্যে পর্যন্ত বাই এ গিয়ে বিগত শুক্রবার ১.৬০৭৬ মুল্যে মার্কেট ক্লোজ করে।  যদিও পেয়ারটি বাই কিছুটা কারেকশন করছে, তারপরও বর্তমানে পেয়ারটি সকল টাইম ফ্রেমে সেল এ আছে। যেহেতু পেয়ারটির উভয় কারেন্সিতে এ সপ্তাহে বেশ কিছু নিউজ রয়েছে তাই এ সপ্তাহে পেয়ারটি বিগত সপ্তাহের ন্যায় ভাল একটি মুবমেন্ট ঘটাতে পারে। এ সপ্তাহে পেয়ারটি বাই এ যাওয়ার জন্য GBP কারেন্সির CPI, Average Earnings Index ও Claimant Count Change এবং সেলে যাওয়ার জন্য মেজর কারেন্সি USD এর Retail Sales, Unemployment Claims, Building Permits ও Fed Chair Yellen Speaksসহ অন্যান্য নিউজগুলোর উপর নির্ভর করবে।
     
    যাইহোক, পেয়ারটির মার্কেট ট্রেন্ড বর্তমানে সাপ্তাহিক, দৈনিক ও ৪ঘন্টার চার্ট এ এখনো সেল ইন্ডিকেট করছে, এ সপ্তাহে পেয়ারটির উভয় কারেন্সির অনেকগুলো হাই ইমপ্যাক্ট নিউজ রয়েছে, তবে এ সপ্তাহে USD কারেন্সির নিউজগুলো GBP কারেন্সির নিউজগুলো থেকে শক্তিশালী। এ সপ্তাহে পেয়ারটি ট্রেডেবল থাকবে এবং আশা করি এ সপ্তাহে পেয়ারটিতে ভাল স্ক্যাল্পিং করা যাবে তবে যারা স্ক্যাল্পিং করে থাকেন তারা নিউজগুলোর দিন সাবধানে স্ক্যাল্পিং করবেন। আশা করি পেয়ারটি এ সপ্তাহে বাই এ আরো কিছু কারেকশন করে পুনরায় সেলে মোড় নিবে।
     
    যাইহোক, এ সপ্তাহে পেয়ারটি সেল এর দিকে ১.৫৯০০/১.৫৮৫০ এবং বাই এর দিকে গেলে ১.৬২০০/১.৬৩৪০ পর্যন্ত যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
     
    তাই আপনাদের যেন উক্ত পেয়ার এ ট্রেড করতে সুবিধা হয় সে জন্য চিত্রের সাহায্যে উক্ত কারেন্সির সাপোর্ট, রেসিস্টেন্স, মার্কেট ট্রেন্ড এবং একটা ট্রেড আইডিয়া শেয়ার করলাম।
     
    GBPUSD দৈনিক চার্ট এ মার্কেট ট্রেন্ড চিত্রঃ
     

     
    GBPUSD ডেইলি চার্ট এ সাপোর্ট রেসিস্টেন্স ও ট্রেড আইডিয়া চিত্রঃ
     

     
    দৈনিক চার্টে পিভট পয়েন্টঃ ১.৬০৭৩।
     
    রেসিসটেন্স সমুহঃ ১.৬১২৮, ১.৬১৮০, ১.৬২৩২, ১.৬২৬৩ ও স্ট্রং রেসিসটেন্স ১.৬৩৫৭।
     
    সাপোর্ট সমুহঃ ১.৬০২৫, ১.৫৯৪৭, ১.৫৯১০, ১.৫৮৮৫, ১.৫৮৫৩ ও স্ট্রং সাপোর্ট ১.৫৭৫৪।
     
    GBPUSD - পেয়ারটির এ সপ্তাহের হাই ইমপ্যাক্ট নিউজগুলো জেনে নিনঃ
     
    ১৩ই অক্টোবর সোমবার – মার্কেট ওপেনের প্রথম দিনে পেয়ারটিতে হাই ইমপ্যাক্ট এর কোনো নিউজ নেই, তাই এ দিন পেয়ারটিতে টেকনিক্যাল এ্যনালাইসিস দেখে ট্রেড করুন।
     
    ১৪ই অক্টোবর মঙ্গলবার – মার্কেট ওপেনের দ্বিতীয় দিনে পেয়ারটির GBP কারেন্সিতে হাই ইম্প্যাক্টের একটি নিউজ রয়েছে, তাই এ দিন পেয়ারটি ট্রেডেবল থাকবে।
     
    দুপুর ২.৩০মিনিট         GBP  CPI y/y
     
    ১৫ই অক্টোবর বুধবার – সপ্তাহের এ দিন পেয়ারটিতে অনেকগুলো হাই ইম্প্যাক্টের নিউজ রয়েছে, তাই এ দিন পেয়ারটির মার্কেট ভাল মুবমেন্ট হবে। তাই এ দিন নিউজ বুঝে ট্রেডে এন্ট্রি দিন।
     
    দুপুর ২.৩০মিনিট        GBP  Average Earnings Index 3m/y
    দুপুর ২.৩০মিনিট        GBP  Claimant Count Change
    সন্ধ্যা ৬.৩০মিনিট        USD  Core Retail Sales m/m
    সন্ধ্যা ৬.৩০মিনিট        USD  PPI m/m
    সন্ধ্যা ৬.৩০মিনিট        USD  Retail Sales m/m
     
    ১৬ই অক্টোবর বৃহস্পতিবার – সপ্তাহের এই দিনটিতে পেয়ারটির USD কারেন্সিতে দুটি হাই ইমপ্যাক্ট নিউজ রয়েছে, সুতরাং এ দিন পেয়ারটি নিশ্চিত ট্রেডবল থাকবে আর যদি নিউজগুলোর এ্যকচুয়্যাল রিপোর্ট ভালো আসে তাহলে এদিন পেয়ারটি সেলে অগ্রাধিকার পাবে।
     
    সন্ধ্যা ৬.৩০মিনিট        USD  Unemployment Claims
    রাত ৮.০০মিনিট         USD  Philly Fed Manufacturing Index
     
    ১৭ই অক্টোবর শুক্রবার –  মার্কেট ক্লোজিং এর এ দিনে পেয়ারটির শুধুমাত্র USD কারেন্সিতে হাই ইমপ্যাক্ট এর কয়েকটি নিউজ রয়েছে, নিউজগুলোর এ্যকচুয়্যাল রিপোর্ট যদি ভাল আসে তাহলে এ দিন পেয়ারটি ট্রেডেবল হ্যে উঠবে এবং সেলে থাকবে।
     
    সন্ধ্যা ৬.৩০মিনিট        USD  Building Permits
    সন্ধ্যা ৬.৩০মিনিট        USD  Fed Chair Yellen Speaks
    সন্ধ্যা ৭.৫৫মিনিট        USD  Prelim UoM Consumer Sentiment
     
    উপরোক্ত নিউজগুলো দেখেই বুঝতে পারছেন যে এ সপ্তাহে পেয়ারটির উভয় কারেন্সিতে নিউজ রয়েছে, তবে GBP থেকে USD কারেন্সির নিউজগুলো বেশী ইপেক্টিভ বলে আমি মনে করি। তাই এ সপ্তাহে পেয়ারটির গতি USD এর নিউজগুলোর উপর-ই নিরভিরশীল হবে, তাই নিউজ দেখে বুঝে ট্রেড ওপেন করুন। যদি এ সপ্তাহে USD কারেন্সির নিউজগুলো অত্যাধিক ভালো হয় তাহলে পেয়ারটি সেলে-ই থাকবে আর অপর দিকে GBP এর নিউজগুলো ভাল হলে পেয়ারটি এ সপ্তাহেও বাই এ আরো কিছুটা কারেকশন করবে।
       
    এই সপ্তাহে আপনি উক্ত কারেন্সিতে যেভাবে ট্রেড করবেনঃ
    মার্কেট প্রথম রেসিস্টেন্স ১.৬১২৮ ক্রস করলে বাই ট্রেড করুন, স্টপ লস ১.৬০৫৫ টেকপ্রফিট ৭০-১২০পিপ্স দিন।
    মার্কেট সেলে প্রথম সাপোর্ট ১.৬০২৫ ক্রস করলে সেল এন্ট্রি দিন আর স্টপ লস ১.৬০৮০ টেক প্রফিট ৮০-১০০ পিপ্স দিন।
    মার্কেট যদি বাই এ যায় তাহলে ১.৬৩৩০-১.৬৩৫৫ এর মধ্যে সেল ট্রেড এ এন্ট্রি করুন, এক্ষেত্রে স্টপ লস দিন ১.৬৪২৫ আর টেক প্রফিট দিন ৮০-১১০ পিপ্স।
    এবং মার্কেট সেলে গেলে ১.৫৮৬০ থেকে ১.৫৮২০ এর মধ্যে যেকোনো মুল্যে বাই ট্রেড এ এন্ট্রি দিন আর স্টপ লস ১.৫৮০০ এবং টেক প্রফিট ১২০-১৫০পিপ্স দিন।
     
    উপরোক্ত ট্রেডগুলোর টেক প্রফিট ও স্টপলস আপনি চাইলে আপনার মত করে দিতে পারেন। তবে স্টপলস এর ক্ষেত্রে অবশ্যই সাপোর্ট ও রেসিস্টেন্স দেখে দিন।  
     
    উপরোক্ত যে কোনো অর্ডার মেক করার পর যদি দেখেন যে আপনার ট্রেড প্রফিটে আছে কিন্তু নিউজ আপনার ট্রেড এর বিপরীতে তাহলে ঐই ট্রেডটি ক্লোজ করে দিবেন। ট্রেড এ উপস্থিত না থাকলে একটির বেশী পেন্ডিং অর্ডার দিবেন না। যদি আপনার একটি অর্ডার নিয়ে নেয় তাহলে সে অর্ডারটি ক্লোজ না করে আরেকটি অর্ডার দিবেন না। বিশেষ করে বাই সেল করে ট্রেড লক করবেন না। আর যারা স্ক্যাল্পিং করেন তারা অবশ্যই ট্রেন্ড এবং নিউজ ফলো করবেন। হাই ইমপ্যাক্ট নিউজ আওয়ার এ দেখে ও বুঝে ট্রেড করবেন। এই এ্যনালাইসিস সাপ্তাহিক ট্রেডাররা ফলো  করলে ভালো, তবে ডেইলি ট্রেডাররা লট সাইজ আনুপাতিক হারে কমিয়ে করতে পারেন।
     
    ধন্যবাদ সবাইকে।
     
    বিঃ দ্রঃ ফরেন এক্সচেঞ্জ একটি হাই রিস্ক লেভেল ট্রেডিং মার্কেট যা সকল ইনভেস্টর বা ট্রেডারদের জন্য যথাযোগ্য নয়। কারেন্সি ট্রেডিং এ ট্রেডারদের ট্রেড এর যে কোনরূপ পরিবর্তন ট্রেডাররা নিজ দায়িত্বে বহন করবে। সে জন্য বিডিফরেক্সপ্রো কোনো প্রকার দায়ী থাকিবে না।


  25. Like
    A H Royal got a reaction from kizir007 in সিসিআই ইন্ডিকেটর , নতুন কিছুও ভাল হতে পারে!   
    CCI Indicator নিয়ে অনেক সুন্দর উপস্থাপন করেছেন। অসাধারণ, যা অনেক নতুন ও পুরাতন ট্রেডারের উপকারে আসবে, আশা করি সব সময় নিজের জানা তথ্যগুলো আপনার প্রিয় বিডিফরেক্সপ্রো-তে সবার সাথে শেয়ার করবেন। সবাই যদি আপনার মত পজিটিভ হত, তাহলে আমাদের দেশের ট্রেডাররা আরো অনেক ভালো করত। অশেষ ধন্যবাদ মিঃ আযহার।    
×
×
  • Create New...

Write what you are looking for and press enter or click the search icon to begin your search