Jump to content

Search the Community

Showing results for tags 'forex Trade'.

  • Search By Tags

    Type tags separated by commas.
  • Search By Author

Content Type


Forums

  • সাধারণ ফরেক্স সহায়তা
  • ফরেক্স ট্রেডিং আলোচনা, ট্রেডিং স্ট্রেটিজি, নিউজ এবং সিগন্যাল সম্পর্কিত
    • ফরেক্স ট্রেডিং আলোচনা
    • মাস্টার ট্রেডিং স্ট্রেটিজি
    • এনালাইসিস, নিউজ, সিগনাল
    • ফোরাম ও পোর্টাল সহায়তা
  • ফরেক্স ব্রোকার সম্পর্কিত
  • বিজ্ঞাপন
  • অফ-টপিক

Categories

  • সাধারণ ফরেক্স বই
  • টেকনিক্যাল এনালাইসিস
  • ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস
  • ক্যান্ডলেস্টিক এনালাইসিস
  • ইনডিকেটর

Find results in...

Find results that contain...


Date Created

  • Start

    End


Last Updated

  • Start

    End


Filter by number of...

Joined

  • Start

    End


Group


ওয়েবসাইট URL


ইয়াহু(Yahoo)


স্কাইপ(Skype)


ঠিকানা


ইচ্ছা/আগ্রহ/শখ

  1. বন্ধুরা, আজকে আপনাদের সাথে এমন একটি পেন্ডিং ট্রেড স্ট্রেটেজি শেয়ার করবো যেটা করতে আপনাকে কোনো প্রকার এনালাইসিস করতে হবেনা। যে স্ট্রেটেজিতে আপনি দৈনিক ভাল একটা প্রফিট নিতে পারবেন। তাহলে আসুন জেনে নেই আজকের লাভবান স্ট্রেটেজিটি। ট্রেডিং সেটাপঃ টাইম ফ্রেমঃ এক (১) ঘন্টা। কারেন্সি পেয়ারঃ EURUSD ও GBPUSD তে পরীক্ষিত, তবে আপনি চাইলে মেজর বা অন্যান্য পেয়ারগুলোতে আগে ডেমোতে ট্রাই করে পরে লাইভ একাউন্ট এ করতে পারেন। এই স্ট্রেটেজিতে ট্রেড করতে কোনো ইন্ডিকেটর বা এনালাইসিস এর প্রয়োজন নেই। এই স্টেটেজিতে ট্রেড করার নিয়মঃ এই স্টেটেজিকে লন্ডন ও ইউরোপ সেশন এর ট্রেডাররা “Early Bird” স্ট্রেটেজি বলে থাকে, কারণ এই পদ্ধতির পেন্ডিং অর্ডার এর সময় হল 5.00 AM EST তে অর্থাৎ বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩.০০টায়। এ পদ্ধতির পেন্ডিং অর্ডার দেয়ার জন্য আপনাকে EST 00.00AM থেকে EST 4.59AM (বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা থেকে দুপুর২.৫৯মিনিট) পর্যন্ত ১ঘন্টার চার্ট এ যথাক্রমে ৫টি ক্যান্ডেল এর সরবোচ্চ হাই ও লো নির্বাচন করতে হবে। যেভাবে পেন্ডিং অর্ডারগুলো দিবেনঃ 5.00 AM EST তে অর্থাৎ বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩.০০টায় একই কারেন্সিতে ১টি বাই ও ১টি সেল পেন্ডিং অর্ডার দিবেন। বাই পেন্ডিংঃ বাই অর্ডার এর জন্য ঐই কারেন্সির (১ঘন্টার চার্ট) সকাল ১০টা থেকে দুপুর২.৫৯মিনিট পর্যন্ত যথাক্রমে ৫টি ক্যান্ডেল এর সরবোচ্চ দাম +৫ পিপ্স এ পেন্ডিং অর্ডার দিন। সেল পেন্ডিংঃ সেল অর্ডার এর জন্য ঐই কারেন্সির (১ঘন্টার চার্ট) সকাল ১০টা থেকে দুপুর২.৫৯মিনিট পর্যন্ত যথাক্রমে ৫টি ক্যান্ডেল এর সর্বনিম্ন দাম -৫ পিপ্স এ পেন্ডিং অর্ডার দিন। ধরা যাক, EST 00.00AM থেকে EST 4.59AM (বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা থেকে দুপুর২.৫৯মিনিট) পর্যন্ত EURUSD পেয়ার এ ১ঘন্টার চার্ট এ যথাক্রমে ৫টি ক্যান্ডেল এর সরবোচ্চ হাই ১.৩৮২০ এবং সর্বনিম্ন লো ১.৩৭৯০। এক্ষেত্রে বাই পেন্ডিং হবে ১.৩৮২৫ তে আর সেল পেন্ডিং হবে ১.৩৭৮৫ তে। টেক প্রফিটঃ ফরেক্স মার্কেট এর বর্তমান মুবমেন্ট মতে এ পদ্ধতির পেন্ডিং এ আপনি যে পেয়ার এ ট্রেড করবেন সে পেয়ার এর দৈনিক এভারেজ মুবমেন্ট অনুযায়ী টেক প্রফিট দিন। তবে আমি ৫০পিপ্স এর উপরে দিয়ে থাকি, আবার অনেক সময় মোটামুটি প্রফিট আসলে এনালাইসিস করে নিজেই ট্রেড ক্লোজ করে দেই। স্টপ লসঃ এ পদ্ধতির ট্রেড এর টেক প্রফিট ও স্টপ লস পেন্ডিং অর্ডার দেয়ার সাথে সাথে দিয়ে দিতে হবে। টেক প্রফিট যাই দিন তবে বাই এর ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন দাম -৩ পিপ্স আর সেল এর ক্ষেত্রে সরবোচ্চ দাম +৩ পিপ্স স্টপ লস দিন। উদাহরণস্বরূপঃ EURUSD পেয়ার এ ১ঘন্টার চার্ট এ যথাক্রমে ৫টি ক্যান্ডেল এর সরবোচ্চ হাই ১.৩৮২০ এবং সর্বনিম্ন লো ১.৩৭৯০। এক্ষেত্রে বাই পেন্ডিং এর স্টপ লস হবে ১.৩৭৮৭ তে আর সেল পেন্ডিং এর স্টপ লস হবে ১.৩৮২৩ এ। কতিপয় নিয়মঃ দুটি পেন্ডিং অর্ডার দেওয়ার পর মার্কেট যে দিকেই যাক অর্ডারগুলোকে মডিফাই করবেন না। তবে আপনি চাইলে শুধুমাত্র টেক প্রফিট-ই মডিফাই করতে পারেন। কোনো পেয়ার এর উভয় কারেন্সিতে একই সময়ে হাই ইমপ্যাক্ট নিউজ থাকলে উক্ত পেয়ারে এ ধরণের ট্রেড থেকে বিরত থাকুন। একদিকের ট্রেড এ যদি স্টপ লস হিট করে অন্যদিকের ট্রেড ক্লোজ করবেন না। EST 1.00PM বাংলাদেশ সময় রাত ১১.০০টায় সবগুলো অর্ডার ক্লোজ/ডিলিট করে দিন এবং পরের দিনের অর্ডার দেয়ার জন্য অপেক্ষা করুন। অর্থাৎ যদি আপনার কোনো পেন্ডিং অর্ডার থেকে থাকে তাহলে সেগুলো ডিলিট করুন আর কোনো অর্ডার মার্কেট এ থাকলে এনালাইসিস করে রাখতে পারেন। তবে এই স্টেটেজির নিয়ম হল ট্রেড যে অবস্থায়-ই থাক ক্লোজ করে দেয়া ভাল। ট্রেডপ্রিয় বন্ধুরা, আশা করি স্ট্রেটেজিটি আপনাদের জন্য লাভজনক স্ট্রেটেজি হবে। তবে আমি পরামর্শ দিব যে, আমার কথায় অন্ধ বিশ্বাস না করে আগে কয়েকদিন ডেমোতে ট্রাই করুন তারপর লাইভ এ করুন। ধন্যবাদ সবাইকে।
  2. GBP-USD পেয়ারটি গত সপ্তাহে লস পজিশন এ মার্কেট ক্লোজ করে। উক্ত পেয়ারটি গত সপ্তাহে GBP এর Manufacturing Production m/m নিউজটি অনেক ভালো হওয়ায় একচেটিয়া প্রায় ২০০পিপ্স বাই এ যায়। গত সপ্তাহে পেয়ারটির হাই ও লো ছিল যথাক্রমে ১.৬৮১৯ ও ১.৬৫৬৪ এবং মার্কেট ক্লোজ হয় ১.৬৭২৭ রেট এ। ১.৬৬৫০(এক মাসের এভারেজ হিসেবে) ও ১.৬৫৯০(তিন মাসের এভারেজ হিসেবে) কে GBP-USD পেয়ারটির এ সপ্তাহের সাপোর্ট-জোন হিসেবে ধরা যায় এবং রেসিস্টেন্স হিসেবে ধরা যায় ১.৬৭৭৫ ও ১.৬৮৪০(রেসিস্টেন্স) কে। তবে যদি এই পেয়ারটি সেল এ ১.৬৫৯০ রেট এ যায় তাহলে পেয়ারটির ট্রেন্ড সেল এ যেতে পারে এক্ষেত্রে সাময়িক সময়ের জন্য ট্রেন্ড বাই যেতে পারে। দৈনিক চার্ট এ ট্রেন্ডঃ আসুন আমরা চিত্রের সাহায্যে উক্ত পেয়ার এর সাপোর্ট ও রেসিস্টেন্স এবং ট্রেড আইডিয়া দেখে নেই যাতে আমাদের এই সপ্তাহে GBP-USD পেয়ারটিতে ট্রেড করতে সুবিধা হয়। উপরোক্ত চিত্রে সাপোর্ট ও রেসিস্টেন্স সমুহঃ সাপোর্ট সমুহঃ ১.৬৬৯৮, ১.৬৬৪৩, ১.৬৫৯২, ১.৬৫২৪ ও স্ট্রং সাপোর্ট ১.৬৪৭৫। রেসিস্টেন্স সমুহঃ ১.৬৭৫৫, ১.৬৭৮৩, ১.৬৮২৩ ও স্ট্রং রেসিস্টেন্স ১.৬৯৯০। GBP-USD পেয়ারে এ সপ্তাহে হাই ইমপ্যাক্ট এর যে নিউজগুলো আছে তা নিম্নরুপঃ দিন ও বাংলাদেশ সময় কারেন্সি নিউজ ১৪ই এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যা ৬.৩০মিনিট USD Core Retail Sales m/m ১৪ই এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যা ৬.৩০মিনিট USD Retail Sales m/m ১৫ই এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুর ২.৩০মিনিট GBP CPI y/y ১৫ই এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬.৩০মিনিট USD Core CPI m/m ১৫ই এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬.৩০মিনিট USD Fed Chair Yellen Speaks ১৬ই এপ্রিল বুধবার দুপুর ২.৩০মিনিট GBP Claimant Count Change ১৬ই এপ্রিল বুধবার দুপুর ২.৩০মিনিট GBP Unemployment Rate ১৬ই এপ্রিল বুধবার সন্ধ্যা ৬.৩০মিনিট USD Building Permits ১৬ই এপ্রিল বুধবার রাত ১০.১৫মিনিট USD Fed Chair Yellen Speaks ১৭ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬.৩০মিনিট USD Unemployment Claims ১৭ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাত ৮.০০মিনিট USD Philly Fed Manufacturing Index উক্ত পেয়ারের উপরোক্ত নিউজসমুহ দেখেই বুঝতে পারছেন যে, GBP কারেন্সির এ সপ্তাহে তিনটি হাই ইমপ্যাক্ট নিউজ আছে যার মধ্যে Claimant Count Change ও Unemployment Rate নিউজ দুটি GBP এর পক্ষে ভালো ভুমিকা রাখতে পারে আর অপরদিকে USD এর হাই ইমপ্যাক্ট নিউজ এত বেশী যে, সেগুলো যদি পজিটিব হয় তাহলে পেয়ারটি এ সপ্তাহে সেল আশা করা যায়। আপনি এ সপ্তাহে এই পেয়ারটিতে যেভাবে ট্রেড করবেনঃ পেয়ারটির মার্কেট রেট যদি ১.৬৭৫৫ থেকে বাই এর দিকে যায় তাহলে এই পেন্ডিং অর্ডার মতে অর্ডার বা পেন্ডিং অর্ডার দিন। সেল পেন্ডিং অর্ডার ১.৬৭৬৫ স্টপ লস ১.৬৭৮৫ টেক প্রফিট ১.৬৬৯০। বাই পেন্ডিং অর্ডার ১.৬৭৯০ স্টপ লস ১.৬৭২৫ টেক প্রফিট ১.৬৮৭৫। আর যদি সেল ১.৬৭২৯ থেকে সেল এর দিকে যায় তাহলে নিছের অর্ডারটির মত পেন্ডিং বা স্পট ট্রেড করুন। সেল পেন্ডিং অর্ডার ১.৬৬৯০ স্টপ লস ১.৬৭৩৫ টেক প্রফিট ১.৬৬১০(১ম) ১.৬৫২০(২য়)। নিউজ বুঝে ট্রেড করুন আর অবশ্যই স্টপ লস ব্যবহার করবেন। সবার জন্য শুভকামনা রইল। ধন্যবাদ সবাইকে। বিঃ দ্রঃ ফরেন এক্সচেঞ্জ একটি হাই রিস্ক লেভেল ট্রেডিং মার্কেট যা সকল ইনভেস্টর বা ট্রেডারদের জন্য যথাযোগ্য নয়। কারেন্সি ট্রেডিং এ ট্রেডারদের ট্রেড এর যে কোনরূপ পরিবর্তন ট্রেডাররা নিজ দায়িত্বে বহন করবে। সে জন্য বিডিফরেক্সপ্রো কোনো প্রকার দায়ী থাকিবে না।
  3. বন্ধুরা, ব্যাক্তিগত ব্যস্ততার কারণে এ সপ্তাহের EUR/USD পেয়ার এর মার্কেট আউটলুকটি দিতে দেরী হয়ে গেল, সে জন্য আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। যাইহোক, আপনারা হয়তো উক্ত পেয়ার এ ট্রেড প্ল্যান সাজিয়ে ফেলেছেন, দেরী হওয়া সত্যেও আপনার ট্রেড প্ল্যানকে আরেকটু স্ট্রং করে সাজানোর জন্যই EURUSD মার্কেট আউটলুক লিখাটি দেরিতে হলেও ০৮ থেকে ১১ তারিখ পর্যন্ত লিখলাম। EUR/USD পেয়ারটি গত সপ্তাহে ১.৩৭০১ রেট এ ০.৩৭% লস এ মার্কেট ক্লোজ করে। উক্ত পেয়ারটির গত তিন মাসের এভারেজ হিসেব করলে মমেন্টাম ইন্ডিকেটর এ এখনো সেল এ আছে। কারণ মোটামুটি বেশীরভাগ দৈনিক ক্লোজিং রেট-ই ১.৩৭০০ এর নিচে, তারমানে টেকনিক্যাল এনালাইসিস মতে পরিস্কার সেল ইন্ডিকেট করছে যদিও বাই এ কিছুটা কারেকশন করতে পারে। আর সবচেয়ে বড় কথা হল এ সপ্তাহে EUR এর কোনো হাই ইমপ্যাক্ট নিউজ নেই। তাহলে আমরা টেকনিক্যাল এনালাইসিস ৮০% ফলো করতে পারি। পেয়ারটি এ সপ্তাহে যদিও বাই এ যায় তাহলে সরবোচ্চ গত ১মাসের এভারেজ রেসিস্টেন্স ১.৩৮১০ বা ১.৩৮৩২ এ যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। যেহেতু টেকনিক্যাল এনালাইসিস মতে সেল পজিটিভ, তাহলে এই পেয়ারটি সেল এ আসলে ১.৩৫৪৮ বা ১.৩৪৭৬ এ আসার সম্ভাবনা খুব বেশী, যেহেতু বৃহস্পতিবার USD এর FOMC Meeting Minutes নিউজটি আছে। EUR/USD পেয়ারটির দৈনিক ও সাপ্তাহিক চিত্রের ইন্ডিকেটর ভিউঃ উপরোক্ত চিত্রগুলো দেখেই বুঝতে পারছেন যে, EURUSD পেয়ার এর মুভমেন্ট কোনদিকে আছে। এ সপ্তাহে EURUSD পেয়ার এ যেন ট্রেড করতে আপনাদের সুবিধা হয় সে জন্য চিত্রের সাহায্যে উক্ত পেয়ারটির মার্কেট ট্রেন্ড, সাপোর্ট ও রেসিস্টেন্সগুলো জেনে নিন এবং ছোট্ট একটা ট্রেড আইডিয়া দেখে নিনঃ উপরোক্ত চিত্রে সাপোর্ট ও রেসিস্টেন্স সমুহঃ রেসিস্টেন্স সমুহঃ ১.৩৭৪০, ১.৩৮১০, ১.৩৮৩২, ১.৩৮৭৮, ১.৩৯৩৬ ও স্ট্রং রেসিস্টেন্স ১.৪১৭১। সাপোর্ট সমুহঃ ১.৩৬৯৮, ১.৩৬৫১, ১.৩৫৯৬, ১.৩৫৪৮, ১.৩৪৭৬ ও স্ট্রং সাপোর্ট ১.৩৪১৫। উপরের চিত্র দেখে EURUSD পেয়ার এর ট্রেন্ড ও সাপোর্ট রেসিস্টেন্স সমূহ বুঝতে নিশ্চয়ই আপনার অসুবিধা হচ্ছে না। EUR-USD পেয়ার এর এ সপ্তাহে হাই ইমপ্যাক্ট যে নিউজগুলো আছে তা নিম্নরুপঃ তারিখ বার ও বাংলাদেশ সময় কারেন্সি হাই ইমপ্যাক্ট নিউজ ৮ই এপ্রিল মঙ্গলবার রাত ৮.০০মিনিট USD JOLTS Job Openings ১০ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাত ১২.০০(এএম)মিনিট USD FOMC Meeting Minutes ১০ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬.৩০মিনিট USD Unemployment Claims ১০ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬.৩০মিনিট ALL Currency(Day1) G20 Meetings ১১ই এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬.৩০মিনিট USD PPI m/m ১১ই এপ্রিল শুক্রবার রাত ৭.৫৫মিনিট USD Prelim UoM Consumer Sentiment ১১ই এপ্রিল শুক্রবার রাত ৭.৫৫মিনিট ALL Currency(Day2) G20 Meetings EUR-USD পেয়ারটি এই সপ্তাহে আশা করি সেল এ থাকবে। আপনারা অবশ্যই উক্ত পেয়ারটির অন্যান্য নিউজ ছাড়া বিশেষ করে বৃহস্পতিবার রাত ১২.০০(AM) এ FOMC Meeting Minutes নিউজটির উপর নজর রাখবেন কারণ নিউজটি এমন সময় যখন হয়ত অনেকেই ঘুমিয়ে পড়েন, যারা জানেন নিউজটির প্রভাব কেমন তারাতো অবশ্যই বুঝবেন আর যারা জানেন না তারা জেনে রাখুন যে এই নিউজটির প্রভাবে মার্কেট ১০০পিপ্স এর উপরে পরিবর্তন হয়ে থাকে। EUR-USD পেয়ারটিতে এ সপ্তাহে যেভাবে ট্রেড করবেনঃ এ সপ্তাহে পেয়ারটি আশা করি সেল এ থাকবে, যদি টেকনিক্যাল এনালাইসিসমতে ট্রেড করতে চান তাহলে আমি সাজেস্ট করবো সেল এ ট্রেড করুন, সে জন্য চিত্রে এন্ট্রি পয়েন্টগুলো স্টপ লস ও টেক প্রফিট সহ দেখানো হয়েছে, তারপর ও আরেক বার বলে দেই। পেয়ার মূল্য যদি ১.৩৭৪১ ক্রস করে ১.৩৭৬০-১.৩৭৯০ এর মধ্যে যায় তাহলে সেল ট্রেড করুন এবং স্টপ লস ৭০পিপ্স বা রেসিস্টেন্স দেখে দিন আর যদি ১.৩৭৪১ থেকে নিচের দিকে চলে আসে তাহলে ১.৩৬৯৫ তে সেল পেন্ডিং দিন এবং স্টপ লস ৬০পিপ্স বা রেসিস্টেন্স দেখে দিন আর উভয় ধরণের এন্ট্রিতে টেক প্রফিট দিন ১২০-১৫০পিপ্স। সবার জন্য শুভ কামনা রইলো। ধন্যবাদ সবাইকে। বিঃ দ্রঃ ফরেন এক্সচেঞ্জ একটি হাই রিস্ক লেভেল ট্রেডিং মার্কেট যা সকল ইনভেস্টর বা ট্রেডারদের জন্য যথাযোগ্য নয়। কারেন্সি ট্রেডিং এ ট্রেডারদের ট্রেড এর যে কোনরূপ পরিবর্তন ট্রেডাররা নিজ দায়িত্বে বহন করবে। সে জন্য বিডিফরেক্সপ্রো কোনো প্রকার দায়ী থাকিবে না।
  4. GBP-USD পেয়ারটি গত সপ্তাহে ০.৪৫% লস এ মার্কেট ক্লোজ করে। উক্ত পেয়ারটি গত সপ্তাহের হাই ও লো ছিল যথাক্রমে ১.৬৬৮৩ ও ১.৬৫১৬ এবং মার্কেট ক্লোজ হয় ১.৬৫৭৫ রেট এ। আপনি যদি উক্ত পেয়ারটির সাপ্তাহিক চার্ট দাম দেখেন তাহলে ট্রেন্ড এবং মমেন্টাম ইন্ডিকেটর দুটোই কিন্তু বাই এর দিকে আছে (ছয় মাসের এভারেজ হিসেবে)। আপনি যদি সাপ্তাহিক চার্ট এ ইন্ডিকেটর এর ভিউ থেকে এই পেয়ারটিকে যাচাই করেন তাহলে মোটামুটি সব ইন্ডিকেটর-ই ওভারঅল বাই সাজেস্ট করবে। তবে দৈনিক চার্ট এ পেয়ারটি এখনো সেল পজিটিভ। সাপ্তাহিক চিত্রে ইন্ডিকেটর ভিউঃ যদি আমরা দৈনিক চার্ট এ টেকনিক্যাল এ্যনালাইসিস লক্ষ করি তবে উক্ত পেয়ারটি আরো সেল এ যাওয়াটা স্বাভাবিক বলে আমি মনে করি। আসুন আমরা চিত্রের সাহায্যে উক্ত পেয়ার এর সাপোর্ট ও রেসিস্টেন্স এরিয়াগুলো জেনে নেই যাতে আমাদের এই সপ্তাহে GBP-USD পেয়ারটিতে ট্রেড করতে সুবিধা হয়। উপরোক্ত চিত্রে সাপোর্ট ও রেসিস্টেন্স সমুহঃ সাপোর্ট সমুহঃ ১.৬৫১৯, ১.৬৪৭৫, ১.৬৩৯৩, ১.৬৩৩৭ ও স্ট্রং সাপোর্ট ১.৬২৫১। রেসিস্টেন্স সমুহঃ ১.৬৬০৫, ১.৬৬৩৪, ১.৬৬৬৫, ১.৬৭৪১ ও স্ট্রং রেসিস্টেন্স ১.৬৮২৩। GBP-USD পেয়ারে এ সপ্তাহে হাই ইমপ্যাক্ট এর যে নিউজগুলো আছে তা নিম্নরুপঃ দিন ও বাংলাদেশ সময় কারেন্সি নিউজ ৮ই এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুর ২.৩০মিনিট GBP Manufacturing Production m/m ৮ই এপ্রিল মঙ্গলবার রাত ৮.০০মিনিট USD JOLTS Job Openings ১০ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাত ১২.০০(এএম)মিনিট USD FOMC Meeting Minutes ১০ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকাল ৫.০০মিনিট GBP Asset Purchase Facility ১০ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকাল ৫.০০মিনিট GBP Official Bank Rate ১০ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকাল ৫.০০মিনিট(Tentative) GBP MPC Rate Statement ১০ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬.৩০মিনিট USD Unemployment Claims ১০ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬.৩০মিনিট (Day1) ALL Currency G20 Meetings ১১ই এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬.৩০মিনিট USD PPI m/m ১১ই এপ্রিল শুক্রবার রাত ৭.৫৫মিনিট USD Prelim UoM Consumer Sentiment ১১ই এপ্রিল শুক্রবার রাত ৭.৫৫মিনিট(Day2) ALL Currency G20 Meetings আপনি এ সপ্তাহে এই পেয়ারটিতে যেভাবে ট্রেড করবেনঃ যদি মার্কেট আজকে এই পেয়ারটিতে কোনো গ্যাপ না দেয় তাহলে স্পট সেল ট্রেড করুন আর টেক প্রফিট ৬০পিপ্স ও স্টপলস ৪০পিপ্স দিন। সাপ্তাহিক ট্রেড করতে চাইলে ১.৬৬৩০-১.৬৬৬০ এ সেল ট্রেড/পেন্ডিং অর্ডার করুন আর ১.৬৫৩০-১.৬৪৮০ তে বাই ট্রেড/পেন্ডিং অর্ডার করুন। টেক প্রফিট ১৩০পিপ্স স্টফ লস ৬০পিপ্স দিন। যদি পেয়ারটি এ সপ্তাহে আরো সেল যায় তাহলে ১.৬৩৯৩ সাপোর্ট এর কাছাকাছি আশার সম্ভাবনা আছে আর বাই এ গেলে ১.৬৬৬৫ বা ১.৬৭৭০ রেসিস্টেন্স এ যাওয়ার পসিবিলিটি আছে। তবে আমি মনে করি উক্ত পেয়ারটি সবমিলিয়ে সেল পজিটিভ। ধন্যবাদ সবাইকে। বিঃ দ্রঃ ফরেন এক্সচেঞ্জ একটি হাই রিস্ক লেভেল ট্রেডিং মার্কেট যা সকল ইনভেস্টর বা ট্রেডারদের জন্য যথাযোগ্য নয়। কারেন্সি ট্রেডিং এ ট্রেডারদের ট্রেড এর যে কোনরূপ পরিবর্তন ট্রেডাররা নিজ দায়িত্বে বহন করবে। সে জন্য বিডিফরেক্সপ্রো কোনো প্রকার দায়ী থাকিবে না।
  5. কিছু জনপ্রিয় স্ট্রেটেজির মাধ্যমে গ্যাপ এ ট্রেড করার অনেকগুলো সুবিধাজনক পদ্ধতি আছে। গ্যাপ হওয়ার পরে/পরের ট্রেডিং দিনে কিছু ট্রেডার বাই/সেল করে থাকে যখন মৌলিক বা প্রযুক্তিগত কারণে ঐই পেয়ার এর মূল্য ঊর্ধ্বগতি/নিম্নগতি হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ: একজন ট্রেডার তখনই বাই করে থাকে যখন ঐই শেয়ার এর স্টক মূল্য/আয়ের রিপোর্ট ভাল হয় আর অপরদিকে তখনই সেল করে যখন ঐই শেয়ার এর স্টক মূল্য/আয়ের রিপোর্ট খারাপ/দুর্বল হয় এবং ঐই আয়ের রিপোর্ট রিলিজ হওয়ার পর ট্রেডাররা বুঝে শুনে বাই/সেল করে থাকে। যদি ট্রেডার রিপোর্ট রিলিজ হওয়ার পর দেখেন যে ঐই শেয়ার এর আয়ের রিপোর্ট প্রত্যাশিত হয়েছে তাহলে তারা নিশ্চিন্তে গ্যাপ যেদিকে হয়েছে সে দিকে ট্রেড ওপেন করতে পারে, আর যদি আয়ের রিপোর্টটি ততোটা প্রত্যাশিত না হয় তাহলে গ্যাপ এর বিপরীতে ট্রেড করতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে যে, গ্যাপ সে যে কোনো এক সময় পূরণ করবেই, তবে সেটা অনেক সময় দামের উঠা নামার গতির উপরও নির্ভর করে, হোক সেটা একদিন বা এক সপ্তাহ। কিছু ট্রেডার গ্যাপ এর মধ্যে প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ ও অন্যান্য মাধ্যমে উচ্চ বা নিম্ন বিন্দু/দাম নির্ধারণ করে Fade/Fading ট্রেড সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপঃ যদি কোনো কম আয়ের নিউজ এর ফলে স্টক/দাম এর গ্যাপ বাই এর দিকে যায় তখন অভিজ্ঞ বড় বড় ট্রেডারের স্টক সর্টিং(ট্রেড) দ্বারা গ্যাপ পূরণ হতে পারে। এবং আপনি ঐই সাময়িক গ্যাপ পুরন হবে এই লক্ষ্যে যে কোনো সাপোর্ট বা রেসিস্টেন্স এ গ্যাপ পূরণের লক্ষ্যে ট্রেড ওপেন করতে পারেন। যখন একটি গ্যাপ তৈরি হবে তখন আপনি অবশ্যই এই জিনিসগুলো মনে রাখবেন যে - যখন কোনো স্টক তার গ্যাপ পূরণ করা শুরু করে তখন সে মাঝামঝিতে সাপোর্ট বা রেসিস্টেন্স তৈরি করার উদাহরণ কমই আছে, কারণ এজন্য যে ঐই গ্যাপ এর মাঝে কোনো সাপোর্ট বা রেসিস্টেন্স নেই।Exhaustion gaps এবং Continuation gaps দুটি দামের(উঠা নামার) ব্যাপারে আলাদা ভবিষ্যদ্বাণী দিয়ে থাকে –সুতারাং গ্যাপটি কোন ধরণের গ্যাপ সেটা সিউর হয়ে তারপর ট্রেড এ এন্ট্রি করা ভাল।যারা খুচরা বিনিয়োগকারী/ছোট মূলধনের ট্রেডার তারা বেশী অযৌক্তিক উদ্দীপনা প্রদর্শন করে থাকে, তবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা/ট্রেডাররা তাদের পোর্টফোলিওর সাহায্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। তাই গ্যাপ এর সময় ট্রেড এর ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ এবং দাম একটি নির্দিষ্ট যায়গায় সাপোর্ট বা রেসিস্টেন্স তৈরি হওয়ার পরই ট্রেড করার সিদ্ধান্ত নিন।গ্যাপ এ ট্রেড করার সময় ভলিউম পর্যবেক্ষণ করতে ভুলবেন না, মনে রাখবেন Breakaway gaps এ উচ্চ ভলিউম ট্রেড হয় আর Exhaustion gaps এ কম ভলিউম ট্রেড হয়।গ্যাপ পূরণ চিত্রঃ একটি মৌলিক গ্যাপ ট্রেডিং সিস্টেম ফরেক্স মার্কেট এর জন্য উন্নত পদ্ধতি। এই সিস্টেম গ্যাপ এর মাধ্যেমে ভবিষ্যদ্বাণী দিয়ে স্টকের দাম বর্তমান থেকে উপরে বা নিচে নিয়ে আসে। গ্যাপ হওয়ার পর ট্রেড এর সিদ্ধান্তের জন্য নিচে কিছু নিয়ম দেওয়া হলঃ এক্ষেত্রে ট্রেড সবসময় অবশ্যই দাম যেদিকে মুব করে সে দিকেই হতে হবে (এজন্য এক ঘন্টা থেকে চার ঘন্টার চার্ট দেখুন)।একটি কারেন্সি গ্যাপ উল্লেখযোগ্যভাবে ৩০মিনিটের চার্ট এ সাপোর্ট বা রেসিস্টেন্স লেভেল থেকে হয়, এজন্য ৩০মিনিটের চার্ট এর ঐই সাপোর্ট বা রেসিস্টেন্স ক্রস করার পর ট্রেড সিদ্ধান্ত নিন। যদি আপনি অনুসন্ধান করে দেখেন যে এই স্টক মূল্য অবশ্যই মূল সাপোর্ট বা রেসিস্টেন্স লেভেল এ যাবে, এতে বুঝা যাবে যে গ্যাপটি পূরণ হবে এবং মূল্য পূর্বের যায়গায় ফিরে আসবে। গ্যাপ এর পরের ক্যান্ডেল শেষ হওয়ার পর ক্যান্ডেল দেখে বা আগের ক্যান্ডেল দেখে ক্যান্ডেল এনালাইসিস মতে আপনি বুঝে নিতে পারেন যে দাম কোন দিকে মুব করবে। গ্যাপ ট্রেড এ এন্ট্রি চিত্রঃ আমরা জানি যে ফরেক্স মার্কেট সপ্তাহে ৫দিন ২৪ঘন্টা খোলা থাকে। এতে করে শুধু যে মার্কেট ওপেনিং এ গ্যাপ হয় তা নয়, মার্কেট ওপেন থাকা অবস্থায়ও যে কোনো সময় গ্যাপ হতে পারে। আমরা এই লিখাটির প্রথম পর্বে জেনেছি যে গ্যাপ চার ধরণের হয়ে থাকে, তাই আগে গ্যাপ হওয়ার পর বুঝে নিন যে গ্যাপটি কোন ধরণের গ্যাপ হয়েছে এবং পরে ট্রেড এর সিদ্ধান্ত নিন। আর গ্যাপ এ ট্রেড এর ক্ষেত্রে ট্রেড ভলিউম কত হয়েছে, গ্যাপ এ দামের পার্থক্য ও মুবমেন্ট অবশ্যই জানা ও বুঝা প্রয়োজন, এগুলো যদি আপনি না বুঝেন তাহলে গ্যাপ এর পর একটা সাপোর্ট বা রেসিস্টেন্স তৈরি না হওয়া পর্যন্ত আপনার ট্রেড না করাই ভাল। পরিশেষে এটাই বলবো অবশ্যই মানি ম্যানেজমেন্ট করে স্টপলস ব্যবহার করবেন। মনে রাখবেন মার্কেট যখন হাই ভোলাটিলিটি বা লো লিকুইডিটি থাকে তখন গ্যাপ ট্রেড রিস্কি হয়, তবে আপনি যদি ভাল বুঝেন তাহলে গ্যাপ এ ট্রেড করে অল্প সময়ে ভাল প্রফিট নিতে পারবেন। ধন্যবাদ।
  6. গ্যাপ/উইন্ডো গ্যাপ হলো চার্ট এর মধ্যে স্টক/কারেন্সি পেয়ার এর দাম (মার্কেট প্রাইচ) হঠাৎ করেই (কোনো ট্রেড না হয়ে)পরিস্কারভাবে উপরে বা নিচে চলে আসে। এতে করে চার্টের ঐই স্থানে একটি শূন্যস্থানের তৈরি হয়, যাকে আমরা গ্যাপ/উইন্ডো গ্যাপ বলে থাকি। এ ধরণের গ্যাপ বেশীরভাগ সময় মার্কেট ওপেনিং ডে তে হয়ে থাকে। উইন্ডো গ্যাপেকে অনেক ট্রেডারই সফলভাবে কাজে লাগিয়ে থাকেন। কিভাবে উইন্ডো গ্যাপ হয় এবং কিভাবে উইন্ডো গ্যাপ ব্যবহার করে সফল/প্রফিট ট্রেড করবেন, আজকের লিখাটি থেকে আপনারা আশা করি সে আইডিয়াটি পেয়ে যাবেন। তাহলে আর দেরি না করে আজকের বিষয়ের আলোচনা শুরু করিঃ গ্যাপ বেসিকঃ মৌলিক বা প্রযুক্তিগত কারণে গ্যাপ/উইন্ডো গ্যাপ হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপঃ যদি একটি কোম্পানির/কারেন্সির অধিক আয়ের আশা করা হয়, তাহলে পরের দিন (বা ঐই দিনই) ঐই কোম্পানির স্টকের দামে উপরের দিকে দামের গ্যাপ হয়। এটার মানে হল স্টক এ যে উচ্চতর মূল্যের গ্যাপ হলো, ঐই কোম্পানিতে সেটা আগের দিনই হয়ে গেছে, তাই মার্কেট ওপেন হওয়ার সাথে সাথে সে পরিমাণ গ্যাপ তৈরি হয়েছে। ফরেক্স মার্কেটে ও ঠিক তেমনি একটি কারেন্সির বিভিন্ন ধরণের রিপোর্টের ফলে মার্কেট ওপেন অবস্থায় বা ওপেন হওয়ার পর বাই/সেল এ গ্যাপ তৈরি হয়ে থাকে, যা আপনারা সবাই জানেন। গ্যাপকে চার দলের মধ্যে শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে: Breakaway Gaps: একটি মূল্য প্যাটার্ন শেষে ঘটবে এবং একটি নতুন প্রবণতা (ট্রেন্ড) শুরুর সংকেত দিবে। Exhaustion Gaps: একটি মূল্য প্যাটার্ন শেষ হওয়ার কাছাকাছি ঘটবে এবং নতুন হাই বা লো এ আঘাতের একটি চূড়ান্ত প্রয়াসের সংকেত দিবে। Common Gaps: এই গ্যাপকে কোনো মূল্য প্যাটার্ন এর মধ্যে ধরা যাবে না কারণ এ ধরণের গ্যাপ একটি নিদ্দিষ্ট মুল্যের এরিয়া তে তৈরি হয়ে থাকে। Runaway/Continuation Gaps: এ ধরণের গ্যাপ একটি মূল্য প্যাটার্ন এর মাঝামাঝি অবস্থানে তৈরি হয়ে ক্রেতা/বিক্রেতাদেরকে ব্যস্ত রেখে অন্তর্নিহিত ভবিষ্যৎ মুল্যের দিকে যেতে থাকে। গ্যাপ পূরণ করুক বা না করুকঃ কেউ যখন বলে যে গ্যাপটি পূরণ হয়েছে, এটার মানে হল স্টক মূল্য যে মুল্যে ছিল সে গ্যাপটি পূরণ করে তার আগের মুল্যে ফিরে এসেছে বা গ্যাপ পূরণ করেছে। এই গ্যাপ পূরণ করা স্বাভাবিক এবং যেসব কারনে গ্যাপ পূরণ করবে তা নিম্নলিখিতঃ Irrational Exuberance: সবকিছু মিলিয়ে প্রাথমিক ক্যান্ডেলটি হয়তো মাত্রাতিরিক্ত আশাবাদী বা হতাশাপূর্ণ হয়েছে, সে জন্য গ্যাপটি পূরণ করেছে। Technical Resistance: যখন একটি পেয়ার এর মূল্য নিখুঁতভাবে বাই/সেল এর দিকে আসে তখন ঐই পেয়ারটির মার্কেট মূল্য তার পেছনে কোনো Support ও Resistance তৈরি করেনা বা রেখে আসেনা। Price Pattern: Price patterns এ গ্যাপ শ্রেণীভুক্ত করা হয় এবং একটি গ্যাপ ভরাট করা বা না করা হলে আপনি বলতে পারেন। ধারাবাহিক এবং বিচ্ছিন্নতাকামী গ্যাপ উল্লেখযোগ্যভাবে কম সেগুলো বর্তমান প্রবণতার দিককে নিশ্চিত করতে ব্যবহার হয়, যেহেতু তারা একটি মূল্য প্রবণতার শেষে সংকেত দেয় যে গ্যাপ পূরণ হতে পারে,কারণ অবসাদ গ্যাপ বুঝা সাধারণত সবচেয়ে সহজ। একটি গ্যাপ হওয়ার পর যখন একই ট্রেডিং দিনে তা পূরণ হয় তখন তাকে Fading হিসেবে উল্লেখ করা হয়। উদাহরণস্বরূপঃ ধরুন একটি কোম্পানি এনাউন্স করলো যে তাদের শেয়ার এ এই মাসে সবচেয়ে বেশী আয় হয়েছে, এতে তাদের শেয়ারটি বাই এ গ্যাপ দিয়ে মার্কেট ওপেন হয়েছে (অর্থাৎ এটা তার পূর্ববর্তী ক্লোজ এর তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশী বাই এ)।দাম বাড়ার ফলে তাদের অনেক শেয়ার হোল্ডারই শেয়ারটি ক্যাশ ফ্লো দেখে বিব্রত হয়ে শেয়ারটি সেল করা শুরু করে এতে করে মার্কেট গত দিনের গ্যাপটি পূরণ করার সুযোগ পায়। অনেক ট্রেডার-ই গ্যাপ এ ভাল ট্রেড করে থাকেন। এই আলোচনাটি আকারে বড় হওয়ায় এর দ্বিতীয় অংশ আগামী কাল দেয়া হবে। দ্বিতীয় অংশে থাকবে - কিভাবে গ্যাপ এ ট্রেড করবেন।
  7. বন্ধুরা, আজকে আমি আপনাদের সাথে সরাসরি/ডিরেক্ট হেজিং কিভাবে করে তা নিয়ে আলোচনা করবো। আর যারা হেজিং সম্পর্কে কিছুই জানেন না তারা www.bdforexpro.com তে হেজিং নিয়ে আমার প্রথম লিখাটি পড়ে নিন, তাহলেই হেজিং কি তা আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন। : যাই হোক, এতক্ষণে আশা করি (উপরের লিংক থেকে) আপনারা হেজিং সম্পর্কে অবগত হয়েছেন, তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে আজকের আলোচনায় আসা যাক, আগেই বলেছি আজকে সরাসরি/ডিরেক্ট হেজিং কিভাবে করে তা নিয়ে আলোচনা করবো কারণ ফরেক্স বিশ্বে আমাদের মত ছোট মূলধনের ট্রেডাররা সরাসরি/ডিরেক্ট হেজিং করতে বেশী পছন্দ করে। বেশীর ভাগ ব্রোকারই শুধুমাত্র MT4 এ সরাসরি/ডিরেক্ট হেজিং করার সুবিধা দিয়ে থাকে, তবে MT5 এ বেশীর ভাগ ব্রোকার সরাসরি/ডিরেক্ট হেজিং সুবিধাটি রাখেনি যাই হোক সেটা আপনি ভালো বলতে পারবেন যে, আপনার ব্রোকার সরাসরি/ডিরেক্ট হেজিং সুবিধাটি MT4/MT5 এ রেখেছে কিনা। নিচে একটি হেজিং প্রক্রিয়ার চিত্র দেয়া হলোঃ সরাসরি/ডিরেক্ট হেজিং : একজন ট্রেডার একটি পেয়ারে একই রেটে বাই ও সেলে সমান লট এ দুটি ট্রেড একসাথে ওপেন করাকে সরাসরি/ডিরেক্ট হেজিং বলা হয়। আপনারা অনেকেই হয়তো এ ধরনের বাই সেল ট্রেড করেছেন কিন্তু এটা জানতেন না যে এটাকে সরাসরি/ডিরেক্ট হেজিং বলে। হ্যাঁ বন্ধুরা এটাই সরাসরি/ডিরেক্ট হেজিং তবে এভাবে ট্রেড বা সরাসরি/ডিরেক্ট হেজিং করার নিয়ম না জানার ফলে অনেকেই তার একাউন্টকে ধীরে ধীরে শূন্য বানিয়ে ছেড়েছে। কারণ একই সাথে বাই ও সেল করা ট্রেডার তখন আর সিধান্ত নিতে পারে না যে কখন কোন ট্রেডটা ক্লোজ করবে আর কিভাবে প্রফিট নিয়ে সরাসরি/ডিরেক্ট হেজিং ট্রেড থেকে বের হবে। সরাসরি/ডিরেক্ট হেজিং এর সুবিধাঃ ট্রেড করার আগে এনালাইসিস করার প্রয়োজন হয় না। টেক প্রফিট/স্টপ লস না দিলে কোনো সমস্যা হয় না। ট্রেড ওপেন করে ট্রেড এ বসে থাকতে হয় না বা ট্রেড রেখে কোথাও গেলে দুশ্চিন্তা হয় না। ভাল হেজিং করতে পারলে প্রফিট শতভাগ নিশ্চিত থাকে। সরাসরি/ডিরেক্ট হেজিং যে ভাবে করবেনঃ সরাসরি/ডিরেক্ট হেজিং করার জন্য আপনাকে তেমন কোনো এনালাইসিস করতে হবে না তবে ট্রেড ক্লোজ ও প্রফিট নেয়ার ক্ষেত্রে পরে এনালাইসিস করতে হয়। শুধু একটি ভাল ট্রেড পেয়ার বাছাই করতে হবে। মেজর যে কোনো পেয়ার যেমন-EURUSD, GBPUSD, USDCHF. এবার আপনার বাছাইকৃত পেয়ার এ একই রেট একই ভলিউম এ একটি বাই ও একটি সেল ট্রেড ওপেন করুন। উদাহরণস্বরূপ – আপনি EURUSD পেয়ার এ ১.৩৮২৫ রেটে ১ভলিউম এ একটি বাই ও সেল ট্রেড ওপেন করলেন। যেভাবে প্রফিট নিয়ে হেজিং ট্রেড থেকে বের হবেনঃ হেজিং ট্রেড এ প্রফিট নেয়ার জন্য আপনি অবশ্যই সাপোর্ট রেসিস্টেন্স ও আপনার পছন্দমত ইন্ডিকেটর আর ৪ঘন্টা ও ডে চার্ট ফলো করবেন। হেজিং ট্রেড বা বাই সেল ট্রেড ভলিউম ওপেন করার পর যে কোনো এক সময়ে আপনার যে কোনো একটি ট্রেড তো অবশ্যই প্রফিট এ থাকবে, আর যে ট্রেডটি প্রফিট এ থাকবে(ধরুন সেল ট্রেডটি প্রফিট এ আছে) আপনি আপনার এনালাইসিস করে দেখবেন যে সেল ট্রেডটি আরো প্রফিট এ যাওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা, যদি সম্ভাবনা না থাকে তাহলে সেল ট্রেডটি ঐই অবস্থায় ক্লোজ করে দিন। তাহলে আপনার এখন বাই ট্রেডটি লস এ আছে এবার বাই ট্রেডটির সমান ভলিউম এ সেল ট্রেড ক্লোজ রেট এ আরেকটি বাই ট্রেড ওপেন করুন, যখন দেখবেন মার্কেট সেল থেকে বাই এ আপনার এনালাইসিস মতে বা নরমালি কারেকশান করেছে তখন আপনি দুটি বাই ট্রেড একসাথে ক্লোজ করে টোটাল প্রফিট নিয়ে ট্রেড থেকে বের হয়ে যান। উদাহরণস্বরূপ – EURUSD ১ভলিউম বাই ট্রেড ১.৩৮২৫ তে EURUSD ১ভলিউম সেল ট্রেড ১.৩৮২৫ তে বর্তমানে EURUSD ১.৩৭৬০ রেট এ তাহলে আপনার সেল ট্রেডটি ৬৫পিপ্স প্রফিট এ আছে। এখন আপনি আপনার অভিজ্ঞতামতে এনালাইসিস করে ৬৫পিপ্স লাভে সেল ট্রেডটি ক্লোজ করে দিলেন এবং ঐই ১.৩৭৬০ রেট এ ১ভলিউম আরেকটি বাই ট্রেড ওপেন করলেন এবং EURUSD যখন ১.৩৭৯৫ তে আসলো তখন আপনি দুটি ভাই ট্রেডই একসাথে ক্লোজ করে দিলেন। তাহলে আপনার মোট লাভ হলোঃ EURUSD ১ভলিউম বাই ট্রেড ওপেন ১.৩৮২৫ এ, ক্লোজ১.৩৭৯৫ এ ৩০পিপ্স লস=৩০$ EURUSD ১ভলিউম সেল ট্রেড ওপেন ১.৩৮২৫ এ, ক্লোজ১.৩৭৬০ এ ৬৫পিপ্স প্রফিট=৬৫$ এবং শেষের EURUSD ১ভলিউম বাই ট্রেড ১.৩৭৬০ এ, ক্লোজ১.৩৭৯৫ এ ৩৫পিপ্স প্রফিট=৩৫$ সবশেষে আপনার লাভ হলো ৬৫পিপ্স+৩৫পিপ্স-৩০পিপ্স=৭০পিপ্স বা ৭০$। আরো একভাবে সরাসরি/ডিরেক্ট হেজিং করা যায় তাহলো একই সাথে বাই সেল ট্রেড করা এবং ট্রেড ট্রেন্ড যেদিকে যায় সে দিকে আরেকটি সেইম ভলিউম এ ট্রেড ওপেন করা আর এনালাইসিসমতে শেষের ট্রেড এ প্রফিট আসলে এভারেজ প্রফিট নিয়ে সবগুলো ট্রেড একসাথে ক্লোজ করে দেয়া। তবে এ পদ্ধতির সরাসরি/ডিরেক্ট হেজিং এ বেশী লাভ করতে গেলে রিস্ক এ পড়তে হয়। ও একটি কথা বলতে ভুলে গেছি হেজিং ট্রেড এ কখনো স্টপ লস/টেক প্রফিট দেবেন না। কারণ এ ধরনের ট্রেড নিজে দেখে বুঝে ক্লোজ করতে হয়। কারণ সরাসরি/ডিরেক্ট হেজিং ট্রেড মানেই হলো প্রথম দুটি ট্রেড এর একটি প্রফিট এ ক্লোজ করার পর অন্য ট্রেডগুলো লস এ থাকলে কন্টিনিউ ট্রেড এর পরিবর্তে ট্রেড ওপেন করতে হয়। তাই বুঝে শুনে ভালো এনালাইসিস ও মানি ম্যানেজমেন্ট করে আপনার ট্রেড ভলিউম ওপেন করুন। আর সরাসরি/ডিরেক্ট হেজিং করতে হলে প্রথমেই মানি মেনেজমেন্ট নিয়মের চেয়ে কম ভলিউম এ ট্রেড ওপেন করুন। আশা করি সরাসরি/ডিরেক্ট হেজিং কিভাবে করবেন এখন সবাই নিশ্চিত হয়েছেন ও বুঝে গেছেন। তাই সবার জন্য শুভ কামনা, যেন সবাই হেজিং ট্রেড এ সফল হতে পারেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
  8. বন্ধুরা, স্ক্যাল্পিং সম্পর্কে সবাই কম বেশী জানেন, তারপর ও আর একটু ধারনা দিই- স্বল্প সময়ে একাধিক বার স্বল্প পিপস প্রফিট/লস এ ট্রেড করার মানেই হল স্ক্যাল্পিং। স্ক্যাল্পিং ট্রেড এ প্রফিট/লস খুব কম হলেও এটা সারা বিশ্ব জুড়েই জনপ্রিয় এবং এজন্যই বিশ্বের অনেক ট্রেডারই স্ক্যাল্পিং করতে ভালোবাসেন। তবে অনেক নতুন ট্রেডার অভিজ্ঞতার অভাবে স্ক্যাল্পিং করতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়। তাই আজকে আপনাদের সাথে স্ক্যাল্পিং ট্রেড নিয়ে কিছু আলোচনা শেয়ার করবো। স্ক্যাল্পিং এর সুবিধাসমূহঃ স্বল্প টাইম ফ্রেম এ প্রত্যেক ক্যান্ডেল পর পর ট্রেড ওপেন করে প্রফিট নেয়া যায়। স্বল্প সময়ে লাভ/লস নির্ধারণ হয় বলে লাভ/লস এর জন্য অধিক সময় বা দিন অপেক্ষা করতে হয়না। মার্কেট এ বিশাল মুবমেন্ট না থাকলেও একাধিক বার স্ক্যাল্পিং করে দৈনিক মোটামুটি ভালো পিপস লাভ করা যায়। একাধিক বার ট্রেড করে লাভ শূন্যতে (ব্রোকার স্প্রেড দিয়ে) আসলে ট্রেড ক্লোজ করে নিজের এ্যাপিলিয়েট এ ভাল কমিশন নেয়া যায়। নরমাল ট্রেডিং স্টাইল এ যা সম্ভব নয়। উদাহরণস্বরূপ-আপনি আপনার ১০০০$ এর একাউন্ট এ নরমালি দৈনিক ১-৩ভলিউম ট্রেড ওপেন এবং ক্লোজ করেন আর যদি স্ক্যাল্পিং করেন তাহলে ১০-২০ভলিউম করতে পারবেন কারণ আপনি যখন স্ক্যাল্পিং করবেন তখন আপনি ৩-৫পিপস এর বেশী লাভের চিন্তা করবেন না। স্ক্যাল্পিং করলে আপনাকে সারাদিন ট্রেড এ সময় দিতে হবে না। এ রকম আরো সুবিধা আছে যা এখন হয়তো আমার নলেজ এ আসছে না। স্ক্যাল্পিং এর অসুবিধাঃ আমার দেখামতে, স্ক্যাল্পিং এর সবচেয়ে বড় অসুবিধা হল-স্টফ লস ছাড়া যারা স্ক্যাল্পিং করেন তারা হুট করে বিশাল লস এর সম্মুখীন হন। দু-একটি ট্রেড এ প্রফিট নেয়ার পর ট্রেড এর প্রতি ওভার-কনফিডেন্স চলে আসা। যা একাধিক ট্রেডার এর ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। যার ফলাফল পরবর্তীতে খারাপ হয়। নিজের এ্যাপিলিয়েট এ কমিশন নেয়ার জন্য একসাথে অনেক বড় ভলিউম এ ট্রেড ওপেন করে নিজের একাউন্টকে ঝুঁকির দিকে নিয়ে যাওয়া। উপরের সুবিধা ও অসুবিধাগুলো পড়ে এতক্ষণে অবশ্যই বুঝতে আপনার কষ্ট হয়নি যে, স্ক্যাল্পিং এ অসুবিধাগুলো আমরা নিজেরাই তৈরি করি যা আমাদের করা উচিৎ নয়। তাহলে বুঝতেই পারছেন যে স্ক্যাল্পিং এ সুবিধাই বেশী। যেহেতু স্ক্যাল্পিং এ সুবিধা বেশী সেহেতু আপনারা কিভাবে স্ক্যাল্পিং করবেন আমার এ ছোট্ট অভিজ্ঞতা থেকে তাই বলিঃ ১৫/৩০ মিনিট টাইম ফ্রেম বাঁচাই করুন। বা আরো স্বল্প ও নির্দিষ্ট একটি টাইম ফ্রেম বাছাই করুন যে টাইম ফ্রেম এ আপনি সহজেই এনালাইসিস করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। ব্রোকার স্প্রেড কম এমন যেকোনো একটি (মেজর) পেয়ার বাঁচাই করুন। পেয়ারটিতে যেন সারাদিনে গড়ে অন্তত ৩০পিপস মুভমেন্ট থাকে। যেমনঃ EURUSD, GBPUSD. চার্ট পরিস্কার রাখুন, যেন সব কিছু পরিস্কার দেখতে পান। তবে এজন্য আপনি ফ্রেক্টাল, প্যারাবলিক এ ধরনের ইন্ডিকেটর ব্যবহার করতে পারেন। তবে সব সময় আগে নিজের এনালাইসিসকে গুরুত্ব দিন। আপনার বাছাইকৃত টাইম ফ্রেম এ একটি ক্যান্ডেল শেষ হলেই ট্রেড এর সিদ্ধান্ত নিন। ট্রেড ওপেন করার আগে লক্ষ রাখবেন যে বিগত ক্যান্ডেল্-টির আঁকার যেন নুন্যতম ৫পিপস হয়। টেক-প্রফিটঃ ৩-১০ পিপস টেক প্রফিট দিন। বা আপনি আপনার এনালাইসিস মতে দিন। তবে আমার মতে, স্ক্যাল্পিং এর ক্ষেত্রে ৩-৫পিপস প্রফিট আসলে আরো প্রফিট এর অপেক্ষা না করাই ভালো। স্টফ লসঃ আপনি যে ক্যান্ডেল এ ট্রেড ওপেন করেছেন বাই এর ক্ষেত্রে তার আগের ক্যান্ডেল লো এর ৩পিপস নিচে ও সেল এর ক্ষেত্রে আগের ক্যান্ডেল হাই এর ৩পিপস উপরে দিন। আর যদি কেউ স্টফ লস ছাড়া স্ক্যাল্পিং ট্রেড করে থাকেন তাহলে ট্রেন্ড লাইন কে বেশী গুরুত্ব দিয়ে ট্রেড ওপেন করবেন। নতুবা দুর্ভাগ্যবশতঃ একাউন্ট এর অকাল মৃত্যুই আপনার প্রাপ্য হতে পারে। যেকোনো নিউজ পাবলিশ আওয়ার এ স্ক্যাল্পিং ট্রেড থেকে বিরত থাকা ভালো। আর অবশ্যই মানি ম্যানেজমেন্ট করে স্ক্যাল্পিং ট্রেড করবেন তা না হলে ৫টি ট্রেড করে যা আয় করবেন ১ট্রেডেই হয়তো তার বেশী লস দিবেন। স্ক্যাল্পিং ট্রেড এর একটি চিত্র দেওয়া হলঃ ট্রেডপ্রিয় বন্ধুরা, স্ক্যাল্পিং সম্পর্কে আমি যতটুকু জানি চেষ্টা করেছি আপনাদের সাথে ভালোভাবে ততটুকু শেয়ার করার, তবে হয়তো ভালো করে গুচিয়ে বলতে পারিনি। ভুল হলে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন শুধরাবার চেষ্টা করবো আর স্ক্যাল্পিং ট্রেড সম্পর্কে আপনার আইডিয়া গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করবেন। মনে রাখবেন আপনার ছোট্ট আইডিয়া থেকে হয়তো কারো অনেক বড় উপকার হতে পারে। ধন্যবাদ সবাইকে।
  9. GBPUSD - পেয়ারটি অনেক দিন ধরেই বাই এ ছিল। বিগত সপ্তাহ থেকে উক্ত পেয়াররের ট্রেন্ড পরিবর্তন হওয়া শুরু করে। বর্তমানে ডেইলি/৪ঘন্টা চার্ট দেখে বুঝবেন যে ট্রেন্ড পরিবর্তন হয়ে গেছে। ডে/৪ঘন্টা চার্ট এ ট্রেন্ড যেহেতু এখনো সেল এ আছে, এবং টেকনিক্যাল এনালাইসিস দেখে আমার মনে হচ্ছে উক্ত কারেন্সিটি এ সপ্তাহে সেলে-ই থাকবে তবে আরো ৫০-৮০পিপ্স বাই এ যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই আপনাদের যেন উক্ত পেয়ার এ ট্রেড করতে সুবিধা হয় সে জন্য চিত্রের সাহায্যে উক্ত কারেন্সির সাপোর্ট, রেসিস্টেন্স, মার্কেট ট্রেন্ড এবং একটা ট্রেড আইডিয়া শেয়ার করলাম। GBPUSD ৪ঘন্টা চার্ট এ মার্কেট ট্রেন্ড চিত্রঃ GBPUSD ডে চার্ট এ মার্কেট ট্রেন্ড চিত্রঃ GBPUSD সাপোর্ট ও রেসিস্টেন্স চিত্রঃ উপরোক্ত চিত্রে সাপোর্ট ও রেসিস্টেন্স সমুহঃ রেসিস্টেন্স সমুহঃ ১.৬৬৯৯, ১.৬৭৫৪, ১.৬৮৪৪, ১.৬৯০৯ ও স্ট্রং রেসিস্টেন্স ১.৭০৩৯। সাপোর্ট সমুহঃ ১.৬৫৮১, ১.৬৫৩৫, ১.৬৪৭২, ১.৬৩৯৩, ১.৬২৯৮ ও স্ট্রং সাপোর্ট ১.৬১২৬। GBPUSD - পেয়ারটির এ সপ্তাহের (২৫-২৮তারিখ) হাই ইমপ্যাক্ট নিউজগুলো জেনে নিনঃ তারিখ বার ও বাংলাদেশ সময় কারেন্সি হাই ইমপ্যাক্ট নিউজ ২৫ই ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার রাত ৯.০০মিনিট USD CB Consumer Confidence ২৬ই ফেব্রুয়ারী বুধবার দুপুর ৩.৩০মিনিট GBP Second Estimate GDP q/q ২৬ই ফেব্রুয়ারী বুধবার রাত ৯.০০মিনিট USD New Home Sales ২৭ই ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭.৩০মিনিট USD Core Durable Goods Orders m/m ২৭ই ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭.৩০মিনিট USD Unemployment Claims ২৮ই ফেব্রুয়ারী শুক্রবার সন্ধ্যা ৭.৩০মিনিট USD Prelim GDP q/q ২৮ই ফেব্রুয়ারী শুক্রবার রাত ৯.০০মিনিট USD Pending Home Sales m/m ২৮ই ফেব্রুয়ারী শুক্রবার রাত ৯.৩০মিনিট GBP BOE Gov Carney Speaks এই সপ্তাহে আপনি উক্ত কারেন্সিতে যেভাবে ট্রেড করবেনঃ অবশ্যই মার্কেট যে কোনো একটা রেসিসট্যন্স এ গেলে তখন আপনি সেল ট্রেড ওপেন করতে/পেন্ডিং অর্ডার দিতে পারেন। আর সাপোর্ট/রেসিসট্যন্স দেখে অবশ্যই স্টপ লস ব্যবহার করবেন। আর হাই ইমপ্যাক্ট নিউজ আওয়ার এ দেখে ও বুঝে ট্রেড করবেন। ধন্যবাদ সবাইকে। বিঃ দ্রঃ ফরেন এক্সচেঞ্জ একটি হাই রিস্ক লেভেল ট্রেডিং মার্কেট যা সকল ইনভেস্টর বা ট্রেডারদের জন্য যথাযোগ্য নয়। কারেন্সি ট্রেডিং এ ট্রেডারদের ট্রেড এর যে কোনরূপ পরিবর্তন ট্রেডাররা নিজ দায়িত্বে বহন করবে। সে জন্য বিডিফরেক্সপ্রো কোনো প্রকার দায়ী থাকিবে না।
  10. বন্ধুরা, ফরেক্সে ট্রেড করার একটা সুবিধা হল সপ্তাহে ৫ দিন ( শনি ও রবিবার বাদে ) ২৪ ঘণ্টাই মার্কেট খোলা থাকে । যেখানে প্রতিদিনের ট্রেডিং তিনটি সেশন এর মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয় । যথা – ইউরোপিয়ান , আমেরিকান , এশিয়ান সেশন । যা আবার লন্ডন , নিউ ইয়র্ক ও টকিও বা সিডনি সেশন নামেও পরিচিত । কারন ফরেক্সে লেনদেন এক জায়গা বা একয়ই সময়ে হয় না । যখন লন্ডন ট্রেডাররা ট্রেডিং থামিয়ে দেয় তখন নিউ ইয়র্ক ট্রেডাররা ট্রেডিং শুরু করে । আবার যখন নিউ ইয়র্ক ট্রেডাররা ট্রেডিং থামিয়ে দেয় তখন সিডনি ট্রেডাররা ট্রেডিং শুরু করে । বিভিন্ন ট্রেডিং সেশন এর বৈশিষ্ট্যঃ প্রত্যেকটা ট্রেডিং সেশন এর আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে । আবার যখন কোন নির্দিষ্ট দেশের সেশন চালু থাকবে তখন ঐ দেশের কারেন্সির লেনদেন বেশি পরিমানে হবে । উদাহরণ স্বরূপ - যদি এশিয়ান সেশন খোলা থাকে তবে জাপান এর কোম্পানি গুলো অন্যান্য দেশের সাথে লেনদেন এ লিপ্ত হবে । ফলে জাপান এর কারেন্সি ইয়েন এর লেনদেন বেশি হবে , আবার যখন ইউরোপিয়ান সেশন খোলা থাকবে তখন ইউরোপ এর বিভিন্ন দেশের কোম্পানি গুলো অন্যান্য দেশের সাথে লেনদেন এ লিপ্ত হবে । ফলে ইউরোপ এর কারেন্সি ইউরো এর লেনদেন বেশি হবে । আবার যখন ইউরোপিয়ান সেশন বন্ধ হয়ে যায় তখন ঐ দেশের কোম্পানি গুলো লেনদেন কমিয়ে দেই , ফলে ইউরো এর লেনদেন কমে যায় । সুতরাং একটি নির্দিষ্ট দেশের কারেন্সির লেনদেন, মুভমেন্ট এর পরিমান একটি নির্দিষ্ট সেশন খোলা বা বন্ধের জন্য প্রভাবিত হতে পারে । ফরেক্স ট্রেডিং সেশন: আসলে কোনো সেশনই এক সপ্তাহ ধরে খোলা থাকে না । সপ্তাহ সিডনি সেশন দিয়ে শুরু হয় এবং শেষ হয় নিউ ইয়র্ক সেশন এর মাধ্যমে । এশিয়ান সেশনঃ এশিয়ান সিডনি সেশন শুরু হয় আমাদের সময় ৪.০০AM এ। সিডনি সেশন এ লেনদেন কম হওয়ার ফলে প্রাইস এর উঠা নামা কম । তবে ৬.০০ AM এ টকিও সেশন খুলে গেলে লেনদেন এর পরিমান বেড়ে যায় । US & UK এর তুলনাই এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া ছোট সাইজ এর মার্কেট । এ সমই স্প্রেড টা একটু বেশি হয় । এশিয়ান সেশন এ Au & Nzd ডলার এবং জাপানিজ yen এর লেনদেন বেশি পরিমানে হয় । সুতরাং এশিয়ান সেশন এ বেশি ট্রেডেড কারেন্সি গুলো হল - AUD/USD, AUD/JPY, AUD/NZD, JPY/USD, NZD/JPY ও NZD/USD. ইউরোপিয়ান সেশনঃ আমাদের সময় ২.০০PM এ লন্ডন সেশন শুরু হয় । এ সময় বিশাল অংকের ট্রেডার এ মার্কেট এ অংশগ্রহন করে । এশিয়ান সেশন এর সাথে তুলনা করতে গেলে এই মার্কেট এ বিশাল মুভমেন্ট হয়ে থাকে । অনেক DAY ট্রেডার এশিয়ান সেশন বন্ধের সময় তাদের ট্রেড গুলো ক্লোজ করে দেয়, যার ফলস্বরূপ ট্রেডাররা লন্ডন সেশন এ ট্রেড ওপেন করার সুযোগ পেয়ে যায় । যদিও আমাদের ব্রোকার গুলোর মাধ্যমে আমরা যেকোনো সময় ট্রেড ওপেন ও ক্লোজ করে থাকি । এই সেশন এ সব পেয়ার এই ভাল মুভমেন্ট লক্ষ্য করা যায় । আবার এই সময় স্প্রেড টাও কম থাকে । সকল সেশন এর মধ্যে লন্ডনই সবচেয়ে লিকুইড । লিকুইড এর দিক দিয়ে লন্ডন ৩৮% , নিউ ইয়র্ক ১৭ % , এশিয়ান ৬ % । নিউ ইয়র্ক সেশনঃ আমাদের সময় ৭.০০PM এ নিউ ইয়র্ক সেশন ওপেন হয় । এ সময় লন্ডন ও নিউ ইয়র্ক সেশন একই সাথে খোলা থাকে । ফলে এ সময় মার্কেট এ ট্রেডার এর সংখ্যা আসলে অনেক বেশি থাকে । ফলে প্রাইস মুভমেন্ট ও বেশি হয়ে থাকে । লন্ডন সেশন ক্লোজ হয়ে গেলে শুধু নিউ ইয়র্ক সেশন খোলা থাকে । আবার নিউ ইয়র্ক সেশন ক্লোজ হওয়ার পর নতুন দিন শুরু হবে সিডনিকে দিয়ে । নিউ ইয়র্ক সেশনে এশিয়ান সেশনের চেয়ে বেশি ট্রেডার মার্কেট এ বর্তমান থাকে । যদিও লন্ডন সেশন ক্লোজ হওয়ার পর অনেক ট্রেডার তাদের পজিশন বা ট্রেড গুলো ক্লোজ করে দেয় । সেশন ওভারল্যাপঃ দুটি সেশন এক সাথে খোলা থাকলে একে সেশন ওভার ল্যাপ বলা হয়ে থাকে । টকিও ও লন্ডন এর মাঝে ২ঘণ্টা এবং নিউ ইয়র্ক ও লন্ডন এর মাঝে ৪ ঘণ্টা সেশন ওভার ল্যাপ হয়ে থাকে । এ সময় সবচেয়ে বেশি ট্রেডার মার্কেট এ উপস্থিত থাকে । এ সময় মার্কেট খুব লিকুইড থাকে বলে ট্রেডাররা বেশি পরিমানে ট্রেড করে থাকে । আবার এ সময় স্প্রেড টাও সবচেয়ে কম থাকে । এ সব কারনে এ সময়টাকে ট্রেড করার জন্য উত্তম বলা যেতে পারে । কিছু নির্দিষ্ট সময়ে সতর্কতা অবলম্বনঃ কিছু কিছু দিন US & UK এর ব্যাংক গুলো ছুটিতে থাকে । এ সময় ট্রেড করা থেকে বিরত থাকাই ভাল । কারন এ সময় মার্কেট মুভমেন্ট সেরকম হয় না । এ সময় মার্কেট কম লিকুইড থাকে । এ সময় বেশি ট্রেডার মার্কেট এ অংশগ্রহণ করে না । আবার এ সময় নিউজ গুলো বিশাল আকারে প্রভাব ফেলে । প্রাইস যে কোন দিকে নিউজ এর প্রভাবে বিশাল মুভ হবে আবার খুব তাড়াতাড়ি সেই প্রাইস ফিরে আসবে । সুতরাং যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ নিউজ রিলিজ হওয়ার আগেই সতর্ক হতে হবে । আবার এই বিপদজনক সময় এ ট্রেড করা থেকে বিরত থাকা যেতে পারে । এবার আপনি , ভেবে দেখুন কোন সময় আপনার জন্য সুবিধা জনক। অনেকেই স্পেশাল কিছু পেয়ারে ট্রেড করতে পছন্দ করেন , যেমন ধরা যাক AUD/JPY , তবে হ্যাঁ New York Session এসব পেয়ারে ট্রেড দিলে ভাল ফলাফল নাও পেতে পারেন। আপনার পছন্দের পেয়ারে দেখে নিন কোন সময় ভাল মুভমেন্ট হয় সেই সময় ট্রেড করুন। ধন্যবাদ। সংগৃহীত সংস্করণ।
  11. ট্রেড প্রিয় বন্ধুরা, GBP-USD পেয়ারটি গত সপ্তাহে হয়তো অনেক ট্রেডারকেই লসের সম্মুখীন করেছে আর অনেকেই হয়তো এখনো লস (সেল) ট্রেড নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে আছেন। আতঙ্কিত হবারই কথা কারণ উক্ত পেয়ারটি গত সপ্তাহে ২০১১ইং সালের মে মাসের রেসিস্টেন্সকেও ক্রস করে সর্বমোট ৩৪০পিপস বাই এ গিয়ে মার্কেট ক্লোজ করছে। এ সপ্তাহেও উক্ত কারেন্সিটির নিউজগুলো দেখে মনে হচ্ছে মার্কেট ওপেন হওয়ার পর থেকেই এই পেয়ারটি বাই এর দিকে আরো যাবে, কারণ গত কাল অর্থাৎ ১৬তারিখ এ GBP এর হাই ইমপ্যাক্ট এর একটি নিউজ ছিল। যাই হোক সবাই নিউজ বুঝে মানি ম্যানেজমেন্ট করে স্টপ লস ইউজ করে ট্রেড করবেন। যাতে করে লস হলেও তা সহনীয় হয়। আসুন আমরা চিত্রের সাহায্যে উক্ত পেয়ার এর ট্রেন্ড ও সাপোর্ট-রেসিস্টেন্সগুলো জেনে নেই যাতে আমাদের এই সপ্তাহে GBP-USD পেয়ারটিতে ট্রেড করতে সুবিধা হয়। উপরের চিত্রে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে GBP-USD পেয়ারটি যেভাবেই দেখেন না কেন উক্ত পেয়ারটির মার্কেট ট্রেন্ড বাই এ দেখাচ্ছে, তবে নিউজ এর কারনে হয়তোবা কিছুটা সেল এ কারেকশান করতে পারে। উপরোক্ত চিত্রে সাপোর্ট ও রেসিস্টেন্স সমুহঃ সাপোর্ট সমুহঃ ১.৬৬৯০, ১.৬৬০৭, ১.৬৫৩৪, ১.৬৪৭৩ ও স্ট্রং সাপোর্ট ১.৬১২৫। রেসিস্টেন্স সমুহঃ ১.৬৭৯১, ১.৬৮৩৪, ১.৬৯৯১ ও স্ট্রং রেসিস্টেন্স ১.৭১৮২। GBP-USD পেয়ার এর এ সপ্তাহে হাই ইমপ্যাক্ট যে নিউজগুলো আছে তা নিম্নরুপঃ তারিখ বার ও বাংলাদেশ সময় কারেন্সি হাই ইমপ্যাক্ট নিউজ ১৬ই ফেব্রুয়ারী রবিবার দুপুর ৩টা GBP BOE Gov Carney Speak ১৮ই ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার দুপুর ৩টা GBP CPI y/y ১৯ই ফেব্রুয়ারী বুধবার দুপুর ৩.৩০মিনিট GBP Claimant Count Change ১৯ই ফেব্রুয়ারী বুধবার দুপুর ৩.৩০মিনিট GBP MPC Asset Purchase Facility Votes ১৯ই ফেব্রুয়ারী বুধবার দুপুর ৩.৩০মিনিট GBP MPC Official Bank Rate Votes ১৯ই ফেব্রুয়ারী বুধবার দুপুর ৩.৩০মিনিট GBP Unemployment Rate ১৯ই ফেব্রুয়ারী বুধবার সন্ধ্যা ৭.৩০মিনিট USD Building Permits ১৯ই ফেব্রুয়ারী বুধবার সন্ধ্যা ৭.৩০মিনিট USD PPI m/m ২০ই ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার রাত ১.৩০মিনিট USD FOMC Meeting Minutes ২০ই ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭.৩০মিনিট USD Core CPI m/m ২০ই ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭.৩০মিনিট USD Unemployment Claims ২০ই ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার রাত ৯টা USD Philly Fed Manufacturing Index ২০ই ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার রাত ৯টা USD Fed Chair Yellen Testifies ২১ই ফেব্রুয়ারী শুক্রবার দুপুর ৩.৩০মিনিট GBP Retail Sales m/m ২১ই ফেব্রুয়ারী শুক্রবার রাত ৯টা USD Existing Home Sales বন্ধুরা, উপরোক্ত নিউজগুলো দেখেই হয়তো এতক্ষণে বুঝে পেলেছেন যে এই পেয়ারটি এই সপ্তাহে ১০০% ট্রেডেবল হবে। প্রত্যেক ট্রেডার-ই চায় তার ভালো প্রফিট হোক হ্যাঁ সেটা আমিও চাই, তবে বেশী প্রফিট করতে গিয়ে নিউজ আওয়ার এ নিউজ পাবলিশ হওয়ার আগেই ট্রেড ওপেন করে অনেকেই অধিক লসের সম্মুখীন হয়ে পড়েন। সুতরাং এ সপ্তাহে এই পেয়ারটিতে এ ধরনের কাজ করবেন না বিশেষ করে যারা স্কেল্পিং করেন তারাও সতর্ক হয়ে ট্রেড করবেন কারণ এই পেয়ারটির দুটি কারেন্সিতেই কিন্তু এই সপ্তাহে হাই ইমপ্যাক্ট নিউজ এর পরিমান অনেক বেশী যা আপনাকে হয়তো রাজা নয়তো লুজার করে দিতে পারে। ধন্যবাদ সবাইকে। বিঃ দ্রঃ ফরেন এক্সচেঞ্জ একটি হাই রিস্ক লেভেল ট্রেডিং মার্কেট যা সকল ইনভেস্টর বা ট্রেডারদের জন্য যথাযোগ্য নয়। কারেন্সি ট্রেডিং এ ট্রেডারদের ট্রেড এর যে কোনরূপ পরিবর্তন ট্রেডাররা নিজ দায়িত্বে বহন করবে। সে জন্য বিডিফরেক্সপ্রো কোনো প্রকার দায়ী থাকিবে না।
  12. প্রিয় ট্রেডার বন্ধুরা, যারা যারা বিডিফরেক্সপ্রো তে আমার দেয়া প্রতি সপ্তাহের মার্কেট আউটলুক পোষ্টগুলো পড়েন বা ফলো করেন আশা করি তারা সবাই ট্রেড করার ক্ষেত্রে ভালো আইডিয়া ও প্রফিট করে থাকেন। কারণ আমি সাধ্যমত চেষ্টা করি যে মার্কেট আউটলুক পোস্টটি যেন ৯০%+ কার্যকর হয়। উদাহরণ স্বরূপ বলতে গেলে বলতে হয় আপনি চাইলে গত সপ্তাহে EURUSD পেয়ার এ আমার দেয়া মার্কেট আউটলুক পোষ্টটি ডে চার্ট এর সাথে মিলিয়ে দেখতে পারেন যে আমার কথা কতটুকু সত্য। যাই হোক এবার আসল কথায় আসি, গত সপ্তাহে EURUSD পেয়ার মার্কেট ১.৩৭১৪ তে গিয়ে ১.৩৬৯২ তে উক্ত পেয়ারটির মার্কেট ক্লোজ হয়, যা আপনারা দেখেছেন। তবে ডে চার্ট এ লক্ষ করলে দেখবেন যে উক্ত পেয়ারটির ট্রেন্ড কিন্তু এখনো বাই এ পজিটিভ মনে হচ্ছে। এ সপ্তাহে EURUSD পেয়ার এ যেন ট্রেড করতে আপনাদের সুবিধা হয় সে জন্য উক্ত পেয়ারটির সাপোর্ট ও রেসিস্টেন্সগুলো জেনে নিনঃ উপরোক্ত চিত্রে সাপোর্ট ও রেসিস্টেন্স সমুহঃ সাপোর্ট সমুহঃ ১.৩৬৪৭, ১.৩৬১৮, ১.৩৫৮১,১.৩৪৭৪ ও স্ট্রং সাপোর্ট ১.৩২৯৫। রেসিস্টেন্স সমুহঃ ১.৩৭১৬, ১.৩৭৬৯, ও স্ট্রং রেসিস্টেন্স ১.৩৮৩২। উপরের চিত্রগুলো দেখে EURUSD পেয়ার এর ট্রেন্ড ও সাপোর্ট রেসিস্টেন্স সমূহ বুঝতে নিশ্চয়ই আপনার অসুবিধা হচ্ছে না। EUR-USD পেয়ার এর এ সপ্তাহে হাই ইমপ্যাক্ট যে নিউজগুলো আছে তা নিম্নরুপঃ তারিখ বার ও বাংলাদেশ সময় কারেন্সি হাই ইমপ্যাক্ট নিউজ ১৮ই ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার বিকাল ৪টা EUR German ZEW Economic Sentiment ১৯ই ফেব্রুয়ারী বুধবার সন্ধ্যা ৭.৩০মিনিট USD Building Permits ১৯ই ফেব্রুয়ারী বুধবার সন্ধ্যা ৭.৩০মিনিট USD PPI m/m ২০ই ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার রাত ১টা USD FOMC Meeting Minutes ২০ই ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা EUR French Flash Manufacturing PMI ২০ই ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার দুপুর ২.৩০মিনিট EUR German Flash Manufacturing PMI ২০ই ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭.৩০মিনিট USD Core CPI m/m ২০ই ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭.৩০মিনিট USD Unemployment Claims ২০ই ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার রাত ৯টা USD Philly Fed Manufacturing Index ২০ই ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার রাত ৯টা USD Fed Chair Yellen Testifies ২১ই ফেব্রুয়ারী শুক্রবার রাত ৯টা USD Existing Home Sales EUR-USD পেয়ার এর জন্য এই সপ্তাহটি আশা করি অনেক ট্রেডেবল হবে, আপনারা অবশ্যই যে দিন নিউজ থাকবে সে দিন নিউজ পাবলিশ হওয়ার আগ মুহূর্তে উক্ত পেয়ার এ ট্রেড করবেন না এতে হিতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে। নিউজ পাবলিশ হওয়ার পরে নিউজ বুঝে ট্রেড করুন তাহলেই প্রফিট করতে সক্ষম হবেন। তবে টেকনিক্যাল এ্যনালাইসিস এর মাধ্যমে ট্রেড করতে চাইলে উপরোক্ত চিত্র ফলো করতে পারেন। ধন্যবাদ সবাইকে। বিঃ দ্রঃ ফরেন এক্সচেঞ্জ একটি হাই রিস্ক লেভেল ট্রেডিং মার্কেট যা সকল ইনভেস্টর বা ট্রেডারদের জন্য যথাযোগ্য নয়। কারেন্সি ট্রেডিং এ ট্রেডারদের ট্রেড এর যে কোনরূপ পরিবর্তন ট্রেডাররা নিজ দায়িত্বে বহন করবে। সে জন্য বিডিফরেক্সপ্রো কোনো প্রকার দায়ী থাকিবে না।
  13. প্রিয় ট্রেডার বন্ধুরা, আজকে স্বল্প লিখার মাধ্যমে আপনাদেরকে মানি/রিস্ক ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে কিছু বলবো আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে, আমরা অনেকেই মনে করি যে ফরেক্স হলো টাকার মেশিন, এখানে মূলধন খাটালেই অধিক পরিমান লাভ করা যায়। হ্যাঁ এটা সত্য যে ফরেক্স টাকা বানানোর মেশিন, তবে কিভাবে টাকা বানাবেন সেটা আপনাকে জানতে হবে নতুবা যা ইনভেস্ট করবেন তাই লস হবে। কারণ ফরেক্স মার্কেট এ লস লিমিটেড আর লাভ আনলিমিটেড। লস লিমিটেড এই জন্য যে আপনার একাউন্ট এ যা টাকা আছে তার বেশী আপনার লস হওয়া সম্ভব নয়। তাই কেউ কোনরকম দু-চার দিন পরিচিত জন থেকে বা অনলাইন থেকে শিখেই ইনভেস্ট করে বসে আর ১০০$কে এক সপ্তাহ বা দুই সপ্তাহে ২০০$-৩০০$ করে আবার ২০দিনের মাথায় একাউন্ট ০$/ক্লোজ হয়ে যায়, পরে মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকে আর ভাবে যে এ আমি কি করলাম। ফরেক্স মার্কেট এ লস হওয়ার পিছনে আমি সুনিদ্দিষ্ট কিছু কারণ বলতে চাই সেগুলো হলঃ পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও প্রেক্টিচ এর অভাব।সঠিকভাবে মানি ম্যানেজমেন্ট না করা। অতিরিক্ত লেভারেজ ব্যবহার করা। সঠিকভাবে মার্কেট এ্যনালাইসিস না করা। নিজের কোনো সাকসেস স্ট্রেটেজি ছাড়া ট্রেড করা ।সারাদিন ট্রেড করা।আমি মনে করি যে উপরোক্ত কারণগুলো না মানার ফলেই বেশীর ভাগ ট্রেডার ফরেক্স এ লস দিয়ে থাকেন। তবে যারা ট্রেডার হয়েও প্রতিনিয়ত লস দিচ্ছেন আমি বলবো তাদের বড় সমস্যা মানি ম্যানেজমেন্ট, তারা সঠিকভাবে মানি ম্যানেজমেন্ট না করার কারনেই ফরেক্স তাদেরকে প্রতি নিয়তই নিঃস্ব করে চলেছে। আসুন স্বল্প পরিসরে মানি/রিস্ক ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে জেনে নেইঃ মানি ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে বলতে গেলে আগে লেভারেজ সম্পর্কে একটু বলতে হয়, ফরেক্স মার্কেট এর সব চেয়ে বড় সুবিধা হলো লেভারেজ, অনেক ব্রোকার-ই ১ঃ৫০০-১০০০ লেভারেজ দিয়ে থাকেন, এর ফলে খুব কম ক্যাপিটাল নিয়েও অনেক লট ট্রেড ওপেন করা যায়। তার মানে এই নয় যে আপনি ১ঃ১০০০ লেভারেজ নিয়ে নিবেন। কারণ লেভারেজ যত বেশী নিবেন আপনি ততো বেশী লট ট্রেড করার সুবিধা পাবেন এতে করে আপনার রিস্কও কিন্তু বেড়ে যাবে কারণ আপনি যদি ১ঃ১০০ এর যায়গায় ১ঃ১০০০ লেভারেজ নেন তখন আপনি ট্রেড ভলিউম বাড়ালে আপনাকে কেউ বাধা দিবে না। এ জন্য আমি বলবো ৫০০-১০০০$ এর একাউন্ট এ ১০০-৩০০ এর বেশী লেভারেজ নেয়া ঠিক নয়। আমরা অনেকেই রিস্ক ম্যানেজমেন্ট এ পিপ লস এবং পিপ গেইন এর কথা বলি কিন্ত এটা হওয়া উচিৎ আপনার ইকুইটি ও লট এর উপর নির্ভর করে। একটি স্ট্যান্ডার্ড একাউন্ট এর দুই লট এ ($২০০০০০) প্রতি পিপ ভেলু পরিবর্তন হলে ২০$ হয়। একটি মিনি একাউন্ট এর দুই লট এ ($২০০০০) প্রতি পিপ ভেলু পরিবর্তন হলে ২$ হয়। আর একটি মাইক্রো একাউন্ট এর দুই লট এ ($২০০০)প্রতি পিপ ভেলু পরিবর্তন হলে .২০$ হয়। এটা আপনারা সবাই কম বেশি জানেন যে, কিছু কিছু পেয়ার এ পিপ ভেলুর পরিবর্তন হয়। এখন আপনার ইনভেস্টমেন্ট যদি ১০০০$ হয় লেভারেজ নিয়ে আপনি চাইলে এই সব লট এই ট্রেড করতে পারেন, ১ / ৩ রিস্ক রিওয়ার্ড এ ৩০/৫০ পিপ ফিক্সড ও করতে পারি কিন্ত একবার ভেবে দেখা উচিৎ যে, হাই লেভারেজ নিয়ে আপনি যে ট্রেড ভলিউম ওপেন করলেন সেটা যদি একটু ৩০/ ৫০ পিপ (৩০০/৫০০ পিপস) মুভ করে তাহলে আপনার একাউন্ট এর কি হতে পারে। ধরুন আপনার ইনভেস্টমেন্ট ৫০০$ লেভারেজ ১ঃ৫০ এ ক্ষেত্রে আপনি ট্রেড করতে পারবেন ২৫০০০$ এর অর্থাৎ ২ টা মিনি। এতে যদি আপনার ৩০ পিপ প্রফিট / লস হয় তাহলে তা হবে ৬০$। ফলে আপনার উক্ত ট্রেডটিতে রিস্ক হবে ইনভেস্টমেন্ট এর ১২%। বাস্তবে ৩০ পিপ এর চেয়ে অনেক বেশী পিপ পরিবর্তন হয়। তাই লেভারেজ নেয়ার আগে ক্যালকুলেশন করে নিবেন যে আপনি মার্কেট এ কত ভলিউম/লট ট্রেড ওপেন রাখবেন এবং সেই রিস্ক নেয়ার সামর্থ্য আপনার আছে কিনা। যে সব ট্রেডাররা বর্তমানে প্রপেশোনাল আমার জানা মতে তারা তাদের এমাউন্ট এর বিপরীতে সবোচ্ছ ২%-৫% রিস্ক নিয়ে থাকেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন যে ইনভেস্টমেন্ট অনুযায়ী লেভারেজ নিতে হবে আর সেই অনুপাতে ক্যালকুলেশন করে রিস্ক নিতে হবে। আর এই রিস্ক ক্যালকুলেশন করার জন্য আপনাদেরকে একটা অংক শিখিয়ে দেই সেটা হলোঃ আপনার ইনভেস্টমেন্ট * রিস্ক % = $ রিস্ক ১০০০*৫%=৫০$ কত পিপ এর জন্য রিস্ক ? ($রিস্ক / পিপ)*১০০০০ = লট সাইজ ($৫০/৫০)*১০০০০= $৫০০০০ পাচঁ মাইক্রো লট। তাহলে যদি আপনি আপনার বেশীর ভাগ ট্রেড এ ১০০০$ ইনভেস্টমেন্ট এ ৫০ পিপস মুভমেন্ট এ ৫০$ প্রফিট বা লস করতে চান তাহলে ৫ মাইক্রো লট এর বেশী আসলে নেয়া আপনার ঠিক হবে না। ফরেক্স মার্কেট এ অনেক সময়ই ৫০-৭০ পিপস এর বেশী মুভমেন্ট করে তারপর মার্কেট স্থির হয়। সেই ক্ষেত্রে লট সাইজ আরও কমিয়ে করার চেষ্টা করবেন। বিশেষ করে নিউজ আওয়ার এ। তাহলে আপনার রিস্ক এর পরিমান কম হবে। এ জন্য ট্রেন্ড লাইন আর সাপোর্ট ও রেসিস্টেন্স ভালো করে বুঝে নিবেন যাতে করে আপনার ট্রেড ৭০-৮০% সময়ই টেক প্রফিট এ ক্লোজ হয়। হয়তো আপনাদেরকে মানি ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে অনেক কিছু বলতে বা বুঝাতে পারিনি তবে এতো কম পরিসরে যতটুকু দিতে পেরেছি ততোটুকু বুঝলেই আপনি/ আপনাদের ট্রেড এ আশা করি সফলতা আসবে। আমি শুধুমাত্র আমার জানা/অর্জিত আইডিয়াগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করছি, তাই বলে কেউ আবার আমাকে সবজান্তা ভাববেন না। ফরেক্স এ সবজান্তা বলে কিছু নেই। আমিও আপনাদের আইডিয়াগুলো জানার ইচ্ছায় ও আমার আইডিয়াগুলো জানানো প্রয়োজন মনে করি বলেই আপনাদের সাথে শেয়ার করি। কারণ বিন্দু বিন্দু পানি থেকেই অথৈই জলরাশি হয়। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ নিজেদের আইডিয়াগুলোও সবার সাথে শেয়ার করবেন। এতে করে একদিন না একদিন যে কোনো ট্রেডারের-ই ট্রেড এ সফলতা আসবে। সবার ট্রেড এ সফলতা আসুক এই কামনাই রইলো। ধন্যবাদ।
  14. GBP-USD পেয়ারটি গত সপ্তাহে ১.৬৪৩৭ রেটে মার্কেট ওপেন হয়ে সেল এ ১.৬২৫১ পর্যন্ত আসে কিন্তু মার্কেট এর শেষ দিনে US ও Uk এর মিক্সড নিউজ এর ফলে ১.৬৪০৮ রেটে মার্কেট বাই এ ক্লোজ করে। যদিও উক্ত পেয়ারটি অনেক দিন ধরেই বাই এর দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। যদি আমরা টেকনিক্যাল এ্যনালাইসিস লক্ষ করি তবে উক্ত পেয়ারটি যে কোনো সময় সেল এ মোড় নেয়াটা স্বাভাবিক বলে আমি মনে করি। আসুন আমরা চিত্রের সাহায্যে উক্ত পেয়ার এর সাপোর্ট ও রেসিস্টেন্স এবং বাই ও সেল এরিয়াগুলো জেনে নেই যাতে আমাদের এই সপ্তাহে GBP-USD পেয়ারটিতে ট্রেড করতে সুবিধা হয়। উপরোক্ত চিত্রে সাপোর্ট ও রেসিস্টেন্স সমুহঃ সাপোর্ট সমুহঃ ১.৬৩৩৮, ১.৬২৪৭, ১.৬১২২ ও স্ট্রং সাপোর্ট ১.৫৮৯৩। রেসিস্টেন্স সমুহঃ ১.৬৪৭৪, ১.৬৫৯০, ১.৬৬৯১ ও স্ট্রং রেসিস্টেন্স ১.৬৯০৯। GBP-USD পেয়ারটি বাই/সেল এটা আমি বলবো না কারণ সেটা নির্ভর করবে আগামী বুধবার BOE Inflation Report এর উপর। সুতরাং সবাই আগামী বুধবার এই পেয়ারটিতে BOE Inflation Report নিউজ এর আগে ট্রেড করা থেকে বিরত থাকবেন এবং নিউজ ফ্ল্যাস হওয়ার পরই এই পেয়ারটিতে ট্রেড এর সিদ্ধান্ত নিবেন। তবে চাইলে পেন্ডিং অর্ডার দিয়ে রাখতে পারেন। ধন্যবাদ সবাইকে। বিঃ দ্রঃ ফরেন এক্সচেঞ্জ একটি হাই রিস্ক লেভেল ট্রেডিং মার্কেট যা সকল ইনভেস্টর বা ট্রেডারদের জন্য যথাযোগ্য নয়। কারেন্সি ট্রেডিং এ ট্রেডারদের ট্রেড এর যে কোনরূপ পরিবর্তন ট্রেডাররা নিজ দায়িত্বে বহন করবে। সে জন্য বিডিফরেক্সপ্রো কোনো প্রকার দায়ী থাকিবে না।
  15. বন্ধুরা, আপনারা অনেকেই ফিবনাচ্চি (Fibonacci) সম্পর্কে জানেন আর অনেকে হয়তো জানেন না। ফিবনাচ্চি (Fibonacci) দিয়ে অনেকেই ট্রেড করেন আর অনেকে হয়তো ফিবনাচ্চি (Fibonacci) সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত না। মূলত ফিবনাচ্চি (Fibonacci) হলো লং টাইম ট্রেড করার জন্য, বিশেষ করে যারা সাপ্তাহিক বা মাসিক ট্রেড করে থাকে তারাই ফিবনাচ্চি (Fibonacci) ব্যবহার করে থাকেন। ফিবনাচ্চি (Fibonacci) দিয়ে পৃথিবীর অনেক ট্রেডারই তাদের সাকসেস ট্রেড পদ্ধতি খুঁজে পেয়েছে এটা অস্বীকার করা অসম্ভব তেমনিই অনেক ট্রেডার আবার ফিবনাচ্চিকে(Fibonacci) তাদের ট্রেডের মূল উপাদান হিসেবে বেছে নিয়েছে। সুতারাং আজকে আমি আপনাদের সাথে ফিবনাচ্চি (Fibonacci) দিয়ে কিভাবে ট্রেড করবেন তাই শেয়ার করবো। তাহলে আসুন জেনে নেই ফিবনাচ্চি (Fibonacci) ট্রেডিং পদ্ধতি। যে ভাবে ফিবনাচ্চি (Fibonacci) ট্রেডিং এবং এর সাথে প্রয়োজনীয় ইন্ডিকেটর সেটাপ করবেনঃ টাইম ফ্রেম – ৪ঘন্টা। পেয়ার – যে কোনো। ইন্ডিকেটর সেটাপঃ মনে রাখবেন ফিবনাচ্চি-ই(Fibonacci) আমাদের প্রধান উপকরণ। বাকী ইন্ডিকেটরগুলো শুধুমাত্র আমাদেরকে সহযোগিতা করবে। EMA100 – Green (আপট্রেন্ড এর জন্য)। SMA150 – Red (ডাউনট্রেন্ড এর জন্য)। RSI (14) – ডে চার্ট এ। আমারা ফিবনাচ্চি’র (Fibonacci) যে Retracement Levels গুলো ব্যবহার করবো সেগুলো হলো – ২৩.৬, ৩৮.২, ৬১.৮, ও ৭৫ এ। স্টপ লস যেভাবে দিবেন – এ পদ্ধতিতে আমারা প্রায় ১০০পিপস স্টপ লস দিব। অথবা বাই এর ক্ষেত্রে ফিবনাচ্চি’র (Fobonacci) লেভেল ০.২৩ এর নিচে আর সেল এর ক্ষেত্রে ফিবনাচ্চি’র (Fobonacci) লেভেল .৭৫ এ দিতে পারেন। টেক প্রফিট যেভাবে দিবেন – এ পদ্ধতিতে কোনো নির্দিষ্ট স্থানে টেক প্রফিট না দিয়ে দেখে শুনে ট্রেড ক্লোজ করলে ভালো হয়। তবে উক্ত কারেন্সির মার্কেট ট্রেন্ড দেখে ১৫০-২০০ পিপস দিতে পারেন। ফিবনাচ্চি (Fibonacci) আঁকার নিয়ম – বর্তমান মার্কেট এর কাছাকাছি (Price Wave) তরঙ্গ থেকে ৫০ পিপস উপরে ও ৫০পিপস নিচের (সর্বমোট ১০০পিপস) হাই/লো রেট বাছাই করুন। এবং ঐ ১০০ পিপস রেট এর মধ্যে ফিবনাচ্চি (Fibonacci) আঁকুন। ফিবনাচ্চি (Fibonacci) লেভেল যখন .৩৮ ও .৬১ এর মধ্যে মার্কেট (Price Wave) তরঙ্গের সৃষ্টি হয় তখন আমরা সেটাকে Must Channel Area বলি। ট্রেড এ এন্ট্রি করার নিয়ম – ট্রেড এ এন্ট্রি করার জন্য সবসময় নিচের ইন্ডিকেটর গুলোর নিয়ম অনুস্মরণ করুন। EMA এবং SMA যে নির্দেশনা দিবে সেটা অনুস্মরণ করুন। যেমনঃ EMA এবং SMA এর দুটি লাইনের মধ্যে যখন দেখবেন সবুজ( EMA) লাইনটি উপরে তখন বুঝে নিবেন যে মার্কেট আপট্রেন্ড আর লাল ( SMA) লাইনটি উপরে থাকলে ডাউনট্রেন্ড। RSI নির্দেশনা – RSI লেভেল ৫০ এর নিচে হলে সেল ট্রেড করুন আর RSI লেভেল ৫০ এর উপরে হলে বাই ট্রেড করুন। আমরা একটি তরঙ্গে ফিবনাচ্চি (Fibonacci) আঁকার পর মার্কেট রেট ১০০পিপস উপরে/নিচে গিয়ে যখন আরেকটি মার্কেট তরঙ্গের সৃষ্টি হবে (যেটাকে Must Channel Area বলে) শুধুমাত্র সে তরঙ্গেই এ পদ্ধতিতে ট্রেড ওপেন করবেন। যদি বর্তমান মার্কেট এর পুরো ক্যান্ডেলটি (সেডো সহ) ফিবনাচ্চি (Fibonacci) .২৩ লেভেল এর নিচে ক্লোজ হয় তাহলে আমরা সেল ট্রেড ওপেন করবো, যদি ঐ অবস্থায় আপনার বাই ট্রেড থাকে তাহলে আমার মতে সেটা ক্লোজ করে দেয়াই ভালো নতুবা আপনার লস এর পরিমান আরো অনেক বেড়ে যেতে পারে। আর যদি বর্তমান মার্কেট এর পুরো ক্যান্ডেলটি (সেডো সহ) ফিবনাচ্চি (Fibonacci) .৭৫ লেভেল এর উপরে ক্লোজ হয় তাহলে আমরা বাই ট্রেড ওপেন করবো, যদি ঐ অবস্থায় আপনার সেল ট্রেড থাকে তাহলে আমার মতে সেটা ক্লোজ করে দেয়াই ভালো নতুবা আপনার লস এর পরিমান আরো অনেক বেড়ে যেতে পারে। নিচে চিত্রের সাহায্যে ফিবনাচ্চি (Fibonacci) ট্রেড দেখানো হলঃ এ পদ্ধতিতে ট্রেড করার বিধি-নিষেধঃ মার্কেট ট্রেন্ডকে গুরুত্ব দিন।স্টপ লস ব্যবহার করুন।মার্কেট ওপেনিং ও ক্লোজিং ডে তে এ পদ্ধতিতে ট্রেড থেকে বিরত থাকুন।অবশ্যই মানি ম্যানেজমেন্ট করবেন যেহেতূ এ পদ্ধতিতে ট্রেড করতে হলে স্টপলস এর পরিমান বেশী ব্যবহার করতে হয়। এজন্য আমি বলবো ট্রেড ভলিউম কমিয়ে করুন। জরুরীঃ ফিবনাচ্চি (Fibonacci) আঁকার পর যখন একবার ১০০পিপস এর বেশী একটা তরঙ্গ হয়ে যাবে তখন আবার নতুন করে পরবর্তী তরঙ্গে নতুন ফিবনাচ্চি (Fibonacci) আঁকুন। ধন্যবাদ।
  16. GBP/USD - এই পেয়ারটি অনেক দিন ধরেই বাই/বুলিশ ট্রেন্ড অনুসরণ করছে। বিগত সপ্তাহের শেষে (বর্তমানে) ৪ঘন্টা চার্ট দেখে বুঝবেন যে ট্রেন্ড মনে হয় পরিবর্তন হচ্ছে। কোনো প্রকার হাই ইমপ্যাক্ট এর নিউজ এর প্রভাব যদি না থাকে তবে টেকনিক্যাল এনালাইসিস দেখে আমার মনে হচ্ছে উক্ত কারেন্সিটি এ সপ্তাহে আবার বাই এ ১.৬৫৭০-১.৬৬০৫ পর্যন্ত গিয়ে তারপর সেল এ ব্যাক করবে কারন ডে চার্ট এ ট্রেন্ড কিন্তু এখনো বাই এ আছে। তাই আপনাদের যেন উক্ত পেয়ার এ ট্রেড করতে সুবিধা হয় সে জন্য চিত্রের সাহায্যে উক্ত কারেন্সির সাপোর্ট ও রেসিস্টেন্স এবং একটা ট্রেড আইডিয়া শেয়ার করলাম। GBPUSD সাপোর্ট ও রেসিস্টেন্স চিত্রঃ উপরোক্ত চিত্রে সাপোর্ট ও রেসিস্টেন্স সমুহঃ সাপোর্ট সমুহঃ ১.৬৩৩৮, ১.৬২৭৫ ও ১.৬১৭৬।রেসিস্টেন্স সমুহঃ ১.৬৫৩৫, ১.৬৬২২ ও স্ট্রং রেসিস্টেন্স ১.৬৭৪৭। এই সপ্তাহে আপনি উক্ত কারেন্সিতে যেভাবে ট্রেড করবেনঃ এ সপ্তাহে আপনার টার্গেট থাকবে সেল ট্রেড করা, বাই এ ও করতে পারেন তবে এ ক্ষেত্রে বেশী লাভের আশা করা আপনার জন্য ভুল হতে পারে। অবশ্যই মার্কেট যে কোনো একটা রেসিসট্যন্স এ গেলে তখন আপনি সেল ট্রেড ওপেন করবেন (নিউজ আওয়ার এ নয়)। আর সাপোর্ট/রেসিসট্যন্স দেখে অবশ্যই স্টপ লস ব্যবহার করবেন। সবার জন্য শুভ কামনা। বি.দ্রঃ ফরেন এক্সচেঞ্জ একটি হাই রিস্ক লেভেল ট্রেডিং মার্কেট যা সকল ইনভেস্টর বা ট্রেডারদের জন্য যথাযোগ্য নয়। কারেন্সি ট্রেডিং এ ট্রেডারদের ট্রেডের যেকোন রুপ পরিবর্তন ট্রেডাররা নিজ দায়িত্বে বহন করবেন। সেজন্য বিডিফরেক্সপ্রো" কোনভাবে দায়ি থাকবে না।
  17. বন্ধুরা, আজকে আপনাদের সাথে যে স্ট্রেটেজিটা শেয়ার করবো তা বিশ্বজুড়ে অনেক ট্রেডারেরই প্রিয়। প্রিয় এ জন্য যে এর সাকসেস রেট অনেক ভালো। আপনারা অনেকেই RSI, Stochastic এবং SMA/MA(মুবিং এভারেজ) এই ইন্ডিকেটরগুলোর সাথে পরিচিত বা এগুলো দিয়ে ট্রেড করে থাকেন। আজকে আমি আপনাদেরকে এই তিনটি ইন্ডিকেটর এর সমন্বয়ে কিভাবে সাকসেস ট্রেড করবেন তা-ই বলবো। আসুন তাহলে এই সাকসেস স্ট্রেটেজিটা জেনে নেই। এই স্ট্রেটেজিতে ট্রেড করতে যা যা করনীয়ঃ টাইমফ্রেম : ৪ঘন্টা/ডেইলি। কারেন্সি পেয়ার : যে কোনো পেয়ার এ। ইন্ডিকেটর সেটাপ : SMA/MA পিরিওড ১৫০। RSI ইনপুট ভেলু ৩, লেভেল ২০ ও ৮০। Stochastic ইনপুট ভেলু ৬,৩,৩ এবং লেভেল ৩০ ও ৭০ এভাবে ইন্ডিকেটরগুলো সেটাপ করুন। এই স্ট্রেটেজিতে ট্রেড করার নিয়মঃ বাই/বুলিশ ট্রেন্ড এ যে ভাবে বাই ট্রেড ওপেন করবেন – যখন দেখবেন মার্কেট রেট SMA/MA পিরিওড ১৫০ এর উপরে এবং RSI ও Stochastic লেভেল যথাক্রমে ২০ এবং ৩০ এর নিচে তখনই আপনি বাই ট্রেড ওপেন করবেন। সেল/ব্যারিশ ট্রেন্ড এ যে ভাবে সেল ট্রেড ওপেন করবেন - যখন দেখবেন মার্কেট রেট SMA/MA পিরিওড ১৫০ এর নিচে এবং RSI ও Stochastic লেভেল যথাক্রমে ৮০ এবং ৭০ এর উপরে তখনই আপনি সেল ট্রেড ওপেন করবেন। যদি উপরোক্ত নিয়মগুলোর একটিও ব্যতিক্রম দেখেন তাহলে এ পদ্ধতিতে ট্রেড থেকে বিরত থাকুন। নিচে চিত্রের সাহায্যে দেখানো হলঃ স্টপ লস যেভাবে দিবেন – বাই এর ক্ষেত্রে - যে রেট এ বাই করেছেন তার আগের সুইং লো ক্যান্ডেল এর নিচে এবং সেল এর ক্ষেত্রে - যে রেট এ সেল ট্রেড ওপেন করেছেন তার আগের সুইং হাই ক্যান্ডেল এর উপরে স্টপ লস সেট করুন। যে ভাবে টেক প্রফিট দিবেন – টেক প্রফিট দেয়ার জন্য আমি আপনাকে দুইভাবে পরামর্শ দিব। Stochastic এর মাধ্যমে – বাই ট্রেড এর ক্ষেত্রে Stochastic এর প্রথম লাইনটি যখন লেভেল ৭০ টাচ করবে আর সেল ট্রেড এর ক্ষেত্রে যখন লেভেল ৩০ টাচ করবে তখনই প্রফিট নিয়ে ট্রেড থেকে বেরিয়ে যান। ট্রায়ালিং স্টপ এর মাধ্যমে – বাই ট্রেড এর ক্ষেত্রে Stochastic এর প্রথম লাইনটি যখন লেভেল ৭০ এর উপরে চলে যাবে আর সেল ট্রেড এর ক্ষেত্রে যখন লেভেল ৩০ এর নিচে যাবে তখন আপনি ট্রায়ালিং স্টপ এর মাধ্যমে অর্থাৎ বর্তমান মার্কেট রেট এর আগের ক্যান্ডেল এর নিচে (বাই ট্রেড এর ক্ষেত্রে) ও আগের ক্যান্ডেল এর উপরে (সেল ট্রেড এর ক্ষেত্রে) আপনার ট্রেডটির ১ম টেক প্রফিট বুক করে রাখবেন এবং এভাবে ধাপে ধাপে ২য় টেক প্রফিট ও ৩য় টেক প্রফিট নিতে পারেন। এজন্য আপনাকে অবশ্যই উক্ত পেয়ার এর মার্কেট ট্রেন্ড বাই/সেল এ কিনা তা বুঝতে হবে। এই স্ট্রেটেজিতে কম ঝুঁকিতে অধিক লাভ করা সম্ভব যদি আপনি ভালো ভাবে মানি ম্যানেজমেন্ট করে সঠিক পয়েন্ট এ ট্রেড করতে সক্ষম হন। তবে অধিক লাভ নেয়ার জন্য অবশ্যই মার্কেট ট্রেন্ড ফলো করবেন। তাহলে আপনি ট্রায়ালিং স্টপ এর মাধ্যমে একটি ট্রেড থেকে ২০০-৩০০পিপস প্রফিট করতে সক্ষম হবেন। - ধন্যবাদ -
  18. প্রিয় ট্রেডার বন্ধুর, আপনারা লক্ষ করেছেন যে ফরেক্স মার্কেট এ বেশীর ভাগ দিনেই ৩০-৬০পিপিস এর বেশী মুভমেন্ট হয়না, এতে করে অনেক ট্রেডারই ট্রেড করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেনা। তাই আমি অনেক দিন ধরেই ভাবছি যে আপনাদের সাথে (আমার পরীক্ষিত) এমন একটি ট্রেড স্ট্যাটিজি শেয়ার করবো যার মাধ্যমে আপনারা প্রতিদিনই ট্রেড করে সফল হতে পারবেন। আজকের ট্রেড স্ট্যাটিজির কথা শুনে সবাই হয়তো আমাকে বোকা বলতে/ভাবতে পারেন। কারণ, আজকে আমি আপনাদের সাথে পাঁচ মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেড করার একটা স্ট্যাটিজি শেয়ার করবো, যার দ্বারা আপনার হয়তো অনেক লাভ হবেনা কিন্তু মার্কেট যখন মুভমেন্ট কম থাকবে তখনও আপনি ট্রেড করে সফলতা অর্জন করতে পারবেন। এটা হলো একধরনের স্কেল্পিং ট্রেড স্ট্যাটিজি, মার্কেটের মুভমেন্ট যখন কম থাকে আমি নিজেও এই স্ট্যাটিজিতে ট্রেড করি এবং ৭৫-৮০% সফলতা পেয়ে থাকি। নিম্নে চিত্রের মাধ্যমে দেখানো হলঃ আপনারা উপরে যে চিত্রটি দেখতে পাচ্ছেন তা হলো ৫মিনিট এর একটি ক্যান্ডেলস্টিক চিত্র। আসুন ৫মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেড এর নিয়মগুলো জেনে নেইঃ পাঁচ মিনিটের ক্যান্ডেলস্টিক চিত্র ব্যবহার করুন। এবং লক্ষ করুন যে পর পর তিনটি ক্যান্ডেল এর গন্তব্য একদিকে (বাই/সেল) কিনা। আর হলে ক্যান্ডেলগুলো নুন্যতম ৫-৭পিপস এর কিনা। তাহলেই আপনি ৫মিনিট এর টাইমফ্রেমে ট্রেড ওপেন করতে পারেন। কিভাবে ট্রেড ওপেন করবেনঃ যখন দেখবেন পর পর তিনটি ক্যান্ডেল এর গন্তব্য একদিকে (বাই/সেল) গিয়ে তৃতীয় ক্যান্ডেলটি শেষ হবে এবং চতুর্থ ক্যান্ডেলটি শুরু হয়ে ২-৪পিপস অফোসিট দিকে যাবে তখনই আপনি আপনার ট্রেডটি (তিনটি ক্যান্ডেল যে দিকে ছিল সে দিকে) ওপেন করুন। এবং ১০পিপস টেক প্রফিট ও ১৫পিপস স্টপ লস ব্যবহার করুন। যদিও টেক প্রফিট এর চেয়ে স্টপ লস বেশী তাতে কি ৭৫-৮০% সময়ই তো আপনার টেক প্রফিট এ ট্রেড ক্লোজ হচ্ছে। ৫মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেড এর সতর্কতাঃ মার্কেট ট্রেন্ড (১ঘন্টায়) যে দিকে বিশেষ করে সে দিকে ট্রেড করার চেষ্টা করবেন। নিউজ আওয়ার এ ধরনের ট্রেড করবেন না। মার্কেট ওপেনিং ও ক্লোজিং টাইম এ ধরনের ট্রেড করবেন না। এই স্ট্যাটিজিতে কোন কোন পেয়ার এ ট্রেড করবেনঃ এক কথায় যে পেয়ারগুলোতে মুভমেন্ট ভালো সেগুলোতে যেমনঃ GBP/USD, GBP/JPY, EUR/USD, EUR/JPY, USD/CHF ও USD/CAD । এই স্ট্যাটিজিতে ট্রেড করার জন্য কখনো স্লো মুভমেন্টের এবং মেজর ক্রস পেয়ার বাচাই করবেন না। এই স্ট্যাটিজিতে ট্রেড করার আগে প্রয়োজনে ডেমোতে ট্রাই করুন, ডেমোতে ট্রাই করার পর আপনি যদি মনে করেন যে এ পদ্ধতিতে ভাল লাভ করা সম্ভব তখন আপনি মিনি ও মাইক্রো লাইভ একাউন্ট এ পদ্ধতি প্রয়োগ করুন। ধন্যবাদ।
  19. ২) ট্রেন্ডলাইন আঁকার সবচেয়ে সফল ও ভাল পদ্ধতি হলো দুইয়ের বেশি অর্থাৎ তিন বা ততোদিক হাই/লো পয়েন্ট। তবে আমি আগের পোষ্টটিতে বলেছি দুই বা ততোদিক সুইং লো থেকে সুইং লো অথবা সুইং হাই থেকে সুইং হাই, অবশ্যই আগের পদ্ধতিটি সঠিক, তবে আপনি যখন ট্রেন্ডলাইন আঁকতে গিয়ে দুটি পদ্ধতিই পাবেন তখন অবশ্যই তিন বা ততোদিক হাই/লো পয়েন্ট কে বেঁচে নিবেন কারন তিন বা ততোদিক হাই/লো পয়েন্ট এ ট্রেন্ড যেদিকে থাকে বেশিরভাগ (৯০%) সময় সে দিকেই থাকে। যদিও অনেকটা সময় ট্রেন্ড এর গতিপথে চলার পর কিছু কিছু সময় ট্রেন্ড এর বিপরীতে প্রত্যেক হাই/লো পয়েন্ট পর পর ৩০%-৫০% রিকবার করে থাকে। তবে এ পদ্ধতিগুলোতে ট্রেন্ডলাইন আঁকার জন্য আপনি ৫০বার (আনুমানিক) পর পর হাই/লো পয়েন্ট বাচাই করলে ভালো হয়। আসুন আমরা চিত্রের সাহায্যে দেখে নিই কিভাবে একটি সঠিক ট্রেন্ডলাইন সফলভাবে আঁকবোঃ উপরের চিত্রটিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে মার্কেট রেট দুই বার প্রায় একই রেট এর কাছাকাছি পৌঁছেচে, এ ধরনের চিত্র আমরা প্রায় সময়ই দেখি যখন মার্কেট ট্রেন্ড একদিকেই থাকে কিন্তু আমরা ভয়ে ট্রেড করিনা, ভাবি এইবার বুঝি ট্রেন্ড পরিবর্তন হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে আমি বলবো এটাই (ট্রেন্ড যে দিকে আছে সেদিকে) ট্রেডে এন্ট্রি করার প্রকৃত সময়। তবে ঐ পয়েন্টগুলোতে ট্রেড এ এন্ট্রি করার পর অবশ্যই আগের পয়েন্টটির ১৫-২০পিপস উপরে স্টপলস ব্যবহার করবেন, যদি আপনার ইকুইটি কম থাকে বা যদি আপনি স্টপলস দিতে চান। আমি মনে করি আপনি সঠিকভাবে ট্রেন্ডলাইন বুঝলে ও আঁকতে পারলে কোনো ইন্ডিকেটর ছাড়াই সফলভাবে ট্রেড করতে পারবেন, তবে অবশ্যই মানি ম্যানেজমেন্ট এর ব্যাপারটি মাথায় রাখবেন। বিঃ দ্রঃ এই পোষ্টটির শেষ পর্ব আগামী দিন দেয়া হবে।
  20. প্রিয় ট্রেডার বন্ধুরা, আজকে আপনাদের সামনে আরেকটি চমৎকার ট্রেড স্ট্রাটেজি নিয়ে হাজির হয়েছি যার নাম কারেন্সি রিং এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও আকর্ষনীয় একটি ট্রেডিং স্ট্রাটেজি। অনেকেই এ পদ্ধতিতে ট্রেড করে ভালো সাফল্য পেয়েছে, তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে ইচ্ছুক হলাম। এ পদ্ধতিতে আপনি একই সময়ে ৩টি পেয়ার/জোড়ায় একই সাথে ট্রেড করতে পারেন, এই ৩পেয়ার/জোড়াকে কারেন্সি রিং বলে। কারেন্সি রিং এর ৩টি পেয়ার/জোড়ার ২টি ৯০-৯৫ভাগ সময় এক দিকে এবং আরেকটি অর্থাৎ ক্রস কারেন্সিটি তাদের বিপরীত দিকে মুব করে থাকে। এতে করে কারেন্সি রিং এর পেয়ারগুলোতে ট্রেড করে ভালো লাভ/প্রফিট করা সম্ভব। কারেন্সি রিং এ ক্রস কারেন্সি বা পেয়ার কিভাবে চিনবেন? কারেন্সি রিং এর ৩টি পেয়ার এ ২য় কারেন্সি হিসেবে যে কারেন্সিগুলো থাকে তাদের পেয়ার/জোড়ই হলো ক্রস কারেন্সি বা ক্রস পেয়ার। যেমনঃ AUD/JPY AUD/USD USD/JPY এই কারেন্সি রিংটির প্রতিটি পেয়ার এ ২য় কারেন্সি হিসেবে আছে JPY, USD এই ২য় কারেন্সি ২টি মিলে যে পেয়ারটি হয় তাই হলো এই কারেন্সি রিং এর ক্রস কারেন্সি বা ক্রস পেয়ার/জোড়। আসুন কারেন্সি রিং গুলো জেনে নিইঃ AUD/JPY AUD/USD USD/JPY CHF/JPY CHF/USD USD/JPY EUR/JPY EUR/AUD AUD/JPY EUR/USD EUR/AUD AUD/USD GBP/JPY GBP/USD USD/JPY EUR/CAD EUR/USD USD/CAD EUR/CHF EUR/GBP GBP/CHF EUR/CHF EUR/USD USD/CHF NZD/JPY NZD/USD USD/JPY EUR/JPY EUR/GBP GBP/JPY EUR/USD EUR/GBP GBP/USD EUR/JPY EUR/USD USD/JPY GBP/CHF GBP/USD USD/CHF GBP/JPY GBP/CHF CHF/JPY আপনি উপরে দেখতে পাচ্ছেন যে প্রতিটি রিং ই ৩পেয়ার/জোড়ায় গঠিত এবং আপনি এ ও মনে রাখবেন যে প্রতিটি রিং এ ৩টি কারেন্সি থাকে। আর ৩টি পেয়ার এর একটি হলো ক্রস কারেন্সি। উক্ত রিং এর ক্রস কারেন্সিটির মার্কেট বেশীরভাগ সময়ই বিপরীত দিকে মুব করে থাকে। যা চিত্রের মাধ্যমে নিম্নরূপঃ এই রিং এর পেয়ার/জোড় এ EUR/USD EUR/AUD AUD/USD আসুন আমরা একটি উদাহরণ এর সাহায্যে দেখে নিইঃ আমরা যদি নিচের কারেন্সি রিংটাকে লক্ষ করি তাহলে আমরা এখানে ৩টি কারেন্সি দেখতে পাচ্ছি GBP/JPY GBP/CHF CHF/JPY এগুলো হল GBP, CHF এবং JPY. যখন আমরা GBP/CHF এবং GBP/JPY পেয়ার/জোড়া ২টি তে বাই করবো তখন আমরা এই কারেন্সি রিং এর ক্রস পেয়ার/জোড়া CHF/JPY তে সেল করবো। উদাহরণ স্বরূপঃ আপনি GBP/JPY তে ১ভলিউম বাই করলেন।আপনি GBP/CHF তে ১ভলিউম বাই করলেন।এবং আপনি আপনার একাউন্টটিকে স্থির রাখার জন্য CHF/JPY তে ও ০.৮ভলিউম এ সেল করবেন। এভাবে যে কোনো একটি রিং এ আমরা ট্রেড করে অপেক্ষা করবো যে, কখন পেয়ারগুলো মুব করে আমাদের ট্রেডগুলো প্রফিট এর দিকে যায়, আর যখনই আমাদের ট্রেডগুলো (যে কোনো একটি রিং এ) মোটামুটি ভালো প্রফিট এর দিকে যাবে তখনই আমরা আমাদের ট্রেডগুলো একসাথে ক্লোজ করে দিবো। এ ধরনের (কারেন্সি রিং) ট্রেড করার পূর্বে আপনি ১ঘন্টা বা ৪ঘন্টার টাইম চার্ট এ ADR, Average Daily Range indicator দ্বারা উক্ত রিং এর পেয়ারগুলোর মুবমেন্ট দেখে নিন। Average Daily Range indicator এ যদি দেখেন যে উক্ত (আপনি যে রিং এ ট্রেড করতে চান) রিং এর পেয়ারগুলোর দৈনিক মুবমেন্ট ২৫-৩০% এ তখনই আপনি উক্ত রিং এর পেয়ারগুলোতে ট্রেড ওপেন করবেন আর যদি Average Daily Range indicator এ দেখেন যে উক্ত রিং এর পেয়ারগুলোতে ৭০-৭৫% মুবমেন্ট হয়ে গেছে তখন এ পদ্ধতিতে ট্রেড থেকে বিরত থাকবেন। আপনি যখন Average Daily Range indicator এ ২৫-৩০% এ ট্রেড ওপেন করার পর Average Daily Range indicator ৫০-৭০% এ মুব হবে তখনই আপনি আপনার ট্রেডগুলো ক্লোজ করে প্রফিট নিয়ে বেরিয়ে যাবেন। এ পদ্ধতির ট্রেড এ আপনি কখনো ফিক্সড প্রফিট এর জন্য অপেক্ষা করবেন না। আপনি অবশ্যই মানি ম্যানেজমেন্ট করে আপনার ভলিউম এ ট্রেড করবেন। এ পদ্ধতিতে ট্রেড করার জন্য আপনি যে সকল রিং এ দৈনিক মার্কেট বেশী মুব করে সেগুলোকেই বাচাই করুন। যেমনঃ GBP/USD, USD/JPY এবং GBP/JPY. বিশেষ করে মেজর কারেন্সির রিংগুলো বাচাই করুন। এ পদ্ধতিতে আপনি একটি একাউন্টে একসাথে একাধিক রিং এ ট্রেড করবেন না এতে করে আপনার একাউন্ট ঝুঁকির দিকে যেতে পারে। সবসময় যে কোনো ১টি রিং (৩পেয়ার) এ ট্রেড করার জন্য চেষ্টা করবেন । আর যদিও করতে চান তার আগে দেখে নিবেন যে ২টি রিং ই একই দিকে মুব করছে কিনা, একই দিকে মুব করলে একাধিক রিং এ ট্রেড করা থেকে বিরত থাকুন। এ পদ্ধতিতে ট্রেড এর সময় আপনার ভলিউম অবশ্যই কমিয়ে করুন, কেননা ১টি রিং এ ৩টি পেয়ার আর ৩টি পেয়ার এ আপনি যদি .৫০ভলিউম করে ট্রেড করেন তাহলে আপনার মোট ভলিউম দাড়াবে ১.৫০। আমার মতে আপনার যদি ১০০০$ থাকে তাহলে আপনি .১০ভলিউম থেকে শুরু করুন(.১০*৩=.৩০)। আগে ভলিউম কমিয়ে ট্রেড করে আপনার ব্যালেন্স ও ইকুইটি বাড়িয়ে নিন। আপনার ব্যালেন্স বাড়ার সাথে সাথে ভলিউম বাড়াতে পারেন। আমি মনে করি আপনি এ পদ্ধতি গ্রহন করলে লাভবান হবেন। সুতরাং পোস্টটি ভালোভাবে সময় নিয়ে পড়ুন অতঃপর আগে ডেমোতে পরীক্ষা করুন। কোনো অংশে না বুঝলে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
  21. ট্রেডপ্রিয় বন্ধুরা, আজকে আপনাদের সাথে ফরেক্স ট্রেড এর যে পদ্ধতিটি নিয়ে আলোচনা করবো তা হয়তো আপনাদের অনেকেরই জানা। কিন্তু কখনো চেষ্টা করে দেখেননি বা মাথায় আসেনি, যাই হোক আমি শুধুই আমার জানা অভিজ্ঞতাগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করছি, তার মানে এই নয় যে আমি আপনাকে শতভাগ নিশ্চয়তা দিচ্ছি, কারণ পৃথিবীতে এমন কোনো ট্রেড পদ্ধতি নেই যাতে শতভাগ লাভ করা সম্ভব তবে আপনি আমার ট্রেড পদ্ধতিগুলো লাইভ একাউন্ট এ করার আগে প্রয়োজনে নুন্যতম এক সপ্তাহ ডেমো একাউন্ট এ প্র্যাকটিস করুন এবং ফলাফল বিবরণী দেখে তারপর লাইভ একাউন্ট এ করুন। আমি পদ্ধটিতে ভালো ফলাফল পেয়েছি বলেই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। দৈনিক ৯৫পিপস লাভের এই পেন্ডিং পদ্ধতিটি আপনি প্রত্যেক দিনই করতে পারেন, যখন মার্কেট ডে ক্যান্ডেল শুরু হয়। যা সত্যিই লাভজনক একটি পদ্ধতি। আর এ পদ্ধতিটি সারা জীবন-ই কার্যকর থাকবে। আসুন পদ্ধতিটি জেনে নেইঃ এই ট্রেডিং পদ্ধতিটি ট্রেড করার সহজ ও লাভজনক একটি পদ্ধতি, এর জন্য কোনো ট্রেডিং এনালাইসিস এর প্রয়োজন হয়না, আপনি শুধুমাত্র আপনার মেটা ট্রেডারটি খুলুন আর এস এল ও টি পি সহ অর্ডার দিয়ে মেটা ট্রেডার বন্ধ করে দিন। এই পদ্ধতিটি শুধুমাত্র প্রতিদিনের ডে ক্যান্ডেল শেষ হওয়ার পর পরই করতে হয়। এ পদ্ধতিতে ট্রেড করার সময় অবশ্যই মানি ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতি অবলম্বন করবেন কেননা আপনি যে রকম লাভজনক পদ্ধতিতেই ট্রেড করেন না কেন আপনাকে অবশ্যই মানি ম্যানেজমেন্ট নিয়ম মেনে ট্রেড করতে হবে। এ পদ্ধতিতে আপনি ৩০পিপস স্টপলস ব্যবহার করবেন এবং সপ্তাহের সোমবার, মঙ্গলবার, বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এ পদ্ধতি অবলম্বন করবেন। যে ভাবে ট্রেড করবোঃ আমি আগেই বলেছি এই পেন্ডিং ট্রেড পদ্ধতিটি অনেক সহজ – বিগত দিনের ডে ক্যান্ডল এর উপরের/হাই প্রাইজ এর ৫পিপস উপরে এবং ডে ক্যান্ডেল এর সর্বনিম্ন/লো প্রাইজ এর ৫পিপস নিচে এ পদ্ধতিটি অবলম্বন করতে হয়। আসলেই এটি অনেক সহজ আর দৈনিক ব্রেকআউট একটি পদ্ধতি এ পদ্ধতিতে সিক্রেট বলে কিছু নেই। শুধুমাত্র মানি ম্যানেজমেন্ট এর কথাটি মনে রাখবেন যেটা আমি আগেও বলেছি। এ পদ্ধতিতে আপনি দৈনিক ৫০পিপস উপরে বা নিচে গেলেই ৯৫পিপস নিতে পারবেন। চিন্তা করবেন না আমি পদ্ধতিটি দেখিয়ে দিচ্ছি। কখন এবং কিভাবে পেন্ডিং অর্ডারগুলো দিবেনঃ প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে যে কখন আপনার ব্রোকার এর দৈনিক ক্যান্ডেল (ডে ক্যান্ডল) শেষ/ক্লোজ হয়, কারণ বিগত দিনের ডে ক্যান্ডেল শেষ হবার পর পরই আপনাকে এই পেন্ডিং ট্রেড পদ্ধতিটি প্রয়োগ করতে হবে এবং প্রতিদিন একই সময়ে এই পদ্ধতিতে অবলম্বন করবেন। বিগত দিনের দৈনিক ক্যান্ডেল (ডে ক্যান্ডল) শেষ/ক্লোজ হয়ে নতুন দিনের ক্যান্ডেল (ডে ক্যান্ডল) শুরু হওয়ার সাথে সাথেই ৬টি পেন্ডিং অর্ডার দিতে হবে। ৩টি বাইস্টপ এবং ৩টি সেলস্টপ পেন্ডিং। ৩টি বাইস্টপ পেন্ডিং অর্ডার যেভাবে দিবেন তা নিম্নরূপঃ [*]এন্ট্রি= বিগত দিনের ডে ক্যান্ডেল এর সর্বোচ্চ দাম/হাই প্রাইজ+ ৫পিপস। টেক প্রফিট=১৫পিপস, স্টপলস=৩০পিপস। [*]এন্ট্রি= বিগত দিনের ডে ক্যান্ডেল এর সর্বোচ্চ দাম/হাই প্রাইজ+ ৫পিপস। টেক প্রফিট=৩০পিপস, স্টপলস=৩০পিপস। [*]এন্ট্রি= বিগত দিনের ডে ক্যান্ডেল এর সর্বোচ্চ দাম/হাই প্রাইজ+ ৫পিপস। টেক প্রফিট=৫০পিপস, স্টপলস=৩০পিপস। এবং ৩টি সেলস্টপ পেন্ডিং অর্ডার যেভাবে দিবেন তা নিম্নরূপঃ [*]এন্ট্রি= বিগত দিনের ডে ক্যান্ডেল এর সর্বনিম্ন/লো প্রাইজ - ৫পিপস। টেক প্রফিট=১৫পিপস, স্টপলস=৩০পিপস। [*]এন্ট্রি= বিগত দিনের ডে ক্যান্ডেল এর সর্বনিম্ন/লো প্রাইজ - ৫পিপস। টেক প্রফিট=৩০পিপস, স্টপলস=৩০পিপস। [*]এন্ট্রি= বিগত দিনের ডে ক্যান্ডেল এর সর্বনিম্ন/লো প্রাইজ - ৫পিপস। টেক প্রফিট=৫০পিপস, স্টপলস=৩০পিপস। এভাবেই আপনি প্রতিদিন এই ছয়টি পেন্ডিং অর্ডার দিয়ে নিশিন্তে আপনার কাজ করতে পারেন। কারণ এই পদ্ধতিতে ট্রেড করলে মনিটরিং এর প্রয়োজন হয়না। এ পদ্ধতিতে ট্রেড করলে আপনার ট্রেড এর ফলাফল হবে নিম্নরুপঃ [*]যদি আপনার পেন্ডিং অর্ডারগুলো যে কোনো একদিকের ট্রেড নিয়ে ৫০পিপস মুব করে ৩টি-ই টেক প্রফিট এ ক্লোজ হয় তাহলে আপনার ৯৫পিপস লাভ হবে। [*]যদি আপনার পেন্ডিং অর্ডারগুলো যে কোনো একদিকের ট্রেড নিয়ে ৩টির মধ্যে ২টি টি পি (১৫+৩০) হিট করে এবং একটি স্টপলস হিট করে তাহলে আপনার ফলাফলঃ ৪৫পিপস প্রফিট - ৩০পিপস লস =১৫পিপস লাভ। [*]আর যদি আপনার পেন্ডিং অর্ডারগুলোর ১টি টি পি হিট করে আর বাকী ২টি স্টপলস হিট করে তাহলে আপনার ফলাফল – ১ম টি পি ১৫পিপস আর ২টির স্টপলস ৬০পিপস= মোট ৪৫পিপস লস। [*] [*]আর যদি ৩টি ট্রেড ই স্টপলস হিট করে তাহলে আপনার লস ৯০পিপস। এ পদ্ধতিতে মার্কেট যখন বিগত দিনের ক্যান্ডেল কে ছাড়িয়ে বাই/সেল এর দিকে মুব করে তখনই ফলাফল আসে। তবে এ পদ্ধিতিতে যখন আপনার যে কোনো এক দিকের ট্রেড ওপেন হবে তখন যদি লাভ/টি পি হিট করে তাহলে তো খুবই ভালো আর যদি স্টপলস এর দিকে যায় সে সময়ে আপনি ট্রেড এ উপস্থিত থাকলে স্টপলস হিট করার আগেই ট্রেড ক্লোজ করতে পারবেন। এতে করে আপনার লস অনেক কম হবে। এ পদ্ধতিতে ট্রেড করার কিছু নিয়ম নিম্নরূপঃ [*]এ পদ্ধতিতে ট্রেড করার সময় আপনার ট্রেড এমাউন্ট এর ৩% এর বেশী ব্যবহার করবেন না। [*]প্রতিটি ট্রেডই সমান ভলিউম এ করবেন। তবে আপনি চাইলে ১ম ট্রেড এর ভলিউম বেশী করে টি পি কমিয়ে দিতে পারেন তবে এস এল প্রত্যেকটি ট্রেড এর ৩০পিপস ই রাখবেন। এভাবে ১ম ট্রেড থেকে ২য় ট্রেড এর ভলিউম আরেকটু কমিয়ে টি পি বাড়িয়ে অর্থাৎ ৩০পিপস দিবেন। আর ৩য় ট্রেড এ ভলিউম আরো কমিয়ে দিতে পারেন। আপনি চাইলে এ পদ্ধতিটাকে আপনার মতো সাজিয়ে ও করতে পারেন তবে স্টপলস ৩০পিপস এর কম দিবেন না। সবার জন্য শুভ কামনা রইলো। ধন্যবাদ।
  22. ট্রেড প্রিয় বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই ? জানি কেউ হয়তো ভালো আর কেউ লস ট্রেড নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় আছেন। যাই হোক আজকে আপনাদেরকে আমার ট্রাই করা একটা (৯০-৯৫ভাগ) সফল ট্রেড সিস্টেম এর ট্রিপস দেব। আমারা যারা ট্রেডার তারা সবাই কম বেশী জানি যে প্রত্যেকটা কারেন্সি পেয়ার-ই মার্কেট কম বেশী কারেকশন করে থাকে । অর্থাৎ মার্কেট যদি যে কোনো কারেন্সিতে ১০০পিপস বাই এ যায় অন্ত্যত ৩০পিপস থেকে ৫০পিপস সেল এ কারেকশন করে থাকে (যদি একচেটিয়া বাই বা সেল এর কোনো নিউজ না থাকে)। আমরা সে সুযোগটাই কাজে লাগাবো। কি ভাবে???????????????????????????????? আসুন দেখা যাকঃ ধরুন মার্কেট এর কোনো হাই ইমপ্যাক্ট নিউজ নেই তারপরও Euro/Usd পেয়ার এ ৩০থেকে৫০পিপস বাই এ মুব করেছে (উক্ত কারেন্সির মার্কেট ট্রেন্ড কিন্তু সেল এ)। এমতাবস্তায় আপনি .১০ভলিউম এ একটি সেল ট্রেড ওপেন করবেন, কিছুক্ষণ পর যদি দেখেন যে আরো ও ৫০পিপস বাই এ মুব করেছে তখন আপনি আপনার আগের ভলিউম এর চেয়ে দিগুন ভলিউম এ অর্থাৎ অবশ্যই .২০ভলিউম এ আরেকটি সেল ট্রেড ওপেন করুন, এরপরও যদি দেখেন যে উক্ত পেয়ার এ আরো ৩০-৫০পিপস বাই এ মুব করেছে এমতাবস্তায় আপনি হতাশ না হয়ে আরেকটি .৪০ভলিউম এ সেল ট্রেড ওপেন করুন, কারন আমরা জানি যে নরমাল ট্রেডিং টাইম এ মার্কেট কখনো ৫০-১০০পিপস এর বেশী পরিবর্তন হয়না, যদি কোনো হাই ইমপ্যাক্ট নিউজ না থাকে। তাহলে অবশ্যই আমাদের ট্রেডগুলো লাভ এ ক্লোজ করা সম্ভব। এখন আসুন কিভাবে লাভ/প্রফিট নিয়ে উক্ত ট্রেডগুলো থেকে বের হবেন- প্রথম .১০ভলিউম এর ট্রেডটি যদি আপনি সাধারণ নিয়মে প্রফিট নিয়ে বের হয়ে যেতে পারেন তাহলে তো আর ২য় ও ৩য় ট্রেডগুলো করার প্রয়োজন পড়ে না কিন্তু প্রথম ট্রেডটি যদি লস এ যায় তাহলে অবশ্যই পর্যায়ক্রমে ২য় এবং ৩য় ট্রেডটি ওপেন করবেন যদি দেখেন যে আপনার প্রথম দুটি ট্রেডই লস এ। ৪০পিপস পর পর ট্রেড ওপেন করলে আপনার প্রত্যেকটি ট্রেড এর লস পর্যায়ক্রমেঃ প্রথম ট্রেড ওপেন ১.৩৬৫০ ৩য় ট্রেড ওপেন এর সময় ৮০পিপস লস .১০ভলিউম -৮$২য় ট্রেড ওপেন ১.৩৬৯০ ৩য় ট্রেড ওপেন এর সময় ৪০পিপস .২০ভলিউম -৮$৩য় ট্রেড ওপেন ১.৩৭৩০ শেষ ট্রেড লস ০পিপস .৪০ভলিউম ০$।মোট লস (১ম ট্রেড৮০+২য় ট্রেড৪০)১২০পিপস -১৬$। আপনার এ ধারাবাহিক ট্রেডগুলোর পেয়ারটিতে যদি সেল এ ৪০পিপস কারেকশন করে তাহলে আপনার ট্রেডগুলোর রেজাল্ট হবে নিম্নরূপঃ প্রথম ট্রেড ওপেন ১.৩৬৫০ .১০ভলিউম এ লাভ/লস -৪০পিপস অর্থাৎ -৪$ (৩য় ট্রেড যখন ৪০পিপস প্রফিট)।২য় ট্রেড ওপেন ১.৩৬৯০ .২০ভলিউম এ লাভ/লস ০পিপস (৩য় ট্রেড যখন ৪০পিপস প্রফিট)।৩য় ট্রেড ওপেন ১.৩৭৩০ .৪০ভলিউম এ লাভ ৪০পিপস অর্থাৎ ১৬$।এখন আপনি আপনার সবগুলো ট্রেড ক্লোজ করে দিন তাহলে আপনার ট্রেড এর ক্লোজিং ফলাফল হবে (৩য় ট্রেড.৪০ভলিউম এ ৪০পিপস প্রফিট১৬$ বাদ ১ম ট্রেড .১০ভলিউম এ -৪০পিপস লস -৪$)=১২$ প্রফিট। এভাবে আপনি ধাপে ধাপে ট্রেড করে প্রফিট নিতে পারেন। উপরোক্তমতে ট্রেড করার কিছু নিয়ম নিম্নরুপঃ হাই ইমপ্যাক্ট নিউজ থাকলে ঐ সময়ে এ পদ্ধতিতে ট্রেড করবেন না।আপনি অবশ্যই মানি ম্যানেজমেন্ট করে ভলিউম নির্ধারণ করবেন (আমার মতে ১০০০$ এ সর্বমোট ১ভলিউম)।এ পদ্ধতিতে আপনি ৩০ থেকে ৫০পিপস পরপর ধাপে ধাপে ট্রেড ওপেন করবেন। তবে ৫০ পিপস পরপর করলে ভালো।এ পদ্ধতিতে আপনি প্রত্যেক ট্রেড পরপর ভলিউম দিগুণ করে করবেন, যেমন- .১০ .২০ .৪০ভলিউম।যদি ৪ঘন্টা বা ১ দিনের টাইম চার্ট এ উক্ত কারেন্সির মার্কেট ট্রেন্ড পরিবর্তন হয়ে যায় (আপনার করা ট্রেড এর বিপরীতে) তাহলে সবগুলো ট্রেড ক্লোজ করে দিবেন।এ পদ্ধতিতে শুধুমাত্র মেজর কারেন্সিগুলোতে ট্রেড করার চেষ্টা করবেন। তবে একসাথে একাধিক পেয়ার এ নয়।আশা করি এ পদ্ধতিতে ট্রেড করলে আপনি লাভ করতে সক্ষম হবেন। এ পদ্ধতিতে ট্রেড সম্পর্কিত আর কিছু জানতে চাইলে বা না বুঝে থাকলে কমেন্টস এর মাধ্যমে জানাবেন। ধন্যবাদ।
×
×
  • Create New...

Write what you are looking for and press enter or click the search icon to begin your search