পিভট পয়েন্ট দিয়ে রেঞ্জ ট্রেডিং : পিভট পয়েন্টের সবচেয়ে সহজ ব্যাবহার হল এটাকে সাধারন সাপোর্ট/রেজিস্ট্যান্সের মত ব্যাবহার করা। সাপোর্ট/রেজিস্ট্যান্সের মত এই লেভেলগুলো অনেকবার টেস্ট করে। প্রাইস যতবার এই লেভেলগুলো টাচ করে ফিরে আসে, ওই লেভেলটা তত শক্তিশালী হয়। যদি একটা পিভট পয়েন্ট না ভাঙে, তাহলে সেটা আপনাকে ভালো ট্রেডের সুযোগ দেখাতে পারে। যদি প্রাইস উপরের রেজিস্ট্যান্স লেভেলের কাছে যায়, আপনি ওই পেয়ার সেল করতে পারেন আর স্টপ লস ওইসব লেভেলের উপরে ব্যাবহার করতে পারেন। একইভাবে প্রাইস যখন সাপোর্টের কাছে যায়, আপনি বাই দিয়ে স্টপ লস ওইসব লেভেলের নিচে দিতে পারেন। ধরুন আপনার একটা চার্টে : * প্রাইস সাপোর্ট ২ ব্রেক করতে পারছে না। * প্রাইস পিপি ব্রেক করে রেজিস্ট্যান্স ১ এর কাছে গিয়েছে। * প্রাইস রেজিস্ট্যান্স ১ এর কাছে গিয়ে থেমে গেছে। কনজারভেটিভ মাইন্ডে যদি এই ট্রেডটা ধরতেন তাহলেঃ * সাপোর্ট ২ এর কাছাকাছি বাই করতেন * স্টপ লস সাপোর্ট ৩ এর নিচে দিতেন * টেক প্রফিট পিপি আর রেজিস্ট্যান্সের মধ্যে দিতেন। আর এগ্রেসিভ হলে কি করতেন? ...... নিজে চিন্তা করেন! একটা কথা মনে রাখবেন, শুধুমাত্র পিভট পয়েন্টের উপর নির্ভর করবেন না। অন্যান্য মেথড এগুলোকে সাপোর্ট করার জন্য ব্যাবহার করুন। যেমনঃ অন্য সাপোর্ট/রেজিস্ট্যান্স অথবা ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন ব্যাবহার করতে পারেন। আর একটা কথা, ট্রেডের সুযোগ সাধারনত সাপোর্ট/রেজিস্টেন্স ১ এর কাছাকাছি পাওয়া যায়। মাঝেমধ্যে প্রাইস সাপোর্ট/রেজিস্ট্যান্স ২ টেস্ট করবে এবং খুব কম সাপোর্ট/রেজিস্টেন্স ৩ টেস্ট করবে। শেষমেশ, এটাও মনে রাখবেন যে প্রাইস সবগুল লেভেল একবারে ভেঙ্গে আরও নিচে নামতে পারে। তখন কি করবেন? ট্রেড ধরে রাখবেন, নাকি ক্লোজ করবেন, নাকি এই পরা থেকে লাভ নিবেন? আপনাদের আরো ভালো কিছু জানা থাকলে শেয়ার করুন ।