Jump to content

Search the Community

Showing results for tags 'প্রফিট'.

  • Search By Tags

    Type tags separated by commas.
  • Search By Author

Content Type


Forums

  • সাধারণ ফরেক্স সহায়তা
  • ফরেক্স ট্রেডিং আলোচনা, ট্রেডিং স্ট্রেটিজি, নিউজ এবং সিগন্যাল সম্পর্কিত
    • ফরেক্স ট্রেডিং আলোচনা
    • মাস্টার ট্রেডিং স্ট্রেটিজি
    • এনালাইসিস, নিউজ, সিগনাল
    • ফোরাম ও পোর্টাল সহায়তা
  • ফরেক্স ব্রোকার সম্পর্কিত
  • বিজ্ঞাপন
  • অফ-টপিক

Categories

  • সাধারণ ফরেক্স বই
  • টেকনিক্যাল এনালাইসিস
  • ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস
  • ক্যান্ডলেস্টিক এনালাইসিস
  • ইনডিকেটর

Find results in...

Find results that contain...


Date Created

  • Start

    End


Last Updated

  • Start

    End


Filter by number of...

Joined

  • Start

    End


Group


ওয়েবসাইট URL


ইয়াহু(Yahoo)


স্কাইপ(Skype)


ঠিকানা


ইচ্ছা/আগ্রহ/শখ

Found 3 results

  1. একথা নতুন করে বলার কিছু নাই যে, ফরেক্স মার্কেট বিশ্বের সবচেয়ে বড় লিকুইডিটি মার্কেট। যেখানে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার লেনদেন হয় প্রতিদিন। এই মার্কেটে আমার আপনার মত যারা ট্রেড করি তারা শুরুতেই একটা কথা শুনে আসি যে, এই মার্কেটে ৯৫% লুজার!! কিন্ত কেন এতো বড় অংশ লুজার তা কি কেউ জানি?? => আজ এই লেখায় আপনি অনেক নতুন বিষয় জানতে চলেছেন, তা হয়তো আপনি আগে ভাবেননি কখনো। অথবা ভেবেছেন, কিন্ত সিরিয়াস হিসেবে নেন নি কখনো অথবা জেনেও থাকতে পারেন, কিন্ত ততোটা গুরুত্ব দেননি। আজ থেকে সেসব গুরুত্ব দিতে শিখবেন আশা করছি। হাতে সময় আছে তো? একটু সময় নিয়ে লেখাটা পড়ুন। বোঝার চেষ্ঠা করুন। দরকার হলে আরেকবার পড়ুন। নয়তো বুকমার্কে সেইভ করে রাখুন, আপনার ফেসবুক ওয়ালেও শেয়ার করে রাখুন যাতে সবাই জানতে পারে ফরেক্স মার্কেটের এই নিগুঢ় রহস্যের ব্যাপারে। সবার প্রথমে আপনাকে জানতে হবে এই ফরেক্স মার্কেটে ব্যবসা করে দুই শ্রেনীর ব্যবসায়ী। এক রাঘব বোয়ালেরা, আর দুই চুনোপুঁটিরা। এখানে রাঘব বোয়াল কারা? এখানে রাঘব বোয়াল হিসেবে কাজ করে বিশ্বের বড় বড় ব্যাংক, বড় বড় ফিন্যান্সিয়াল করপোরেশানগুলো। তবে তারা কিন্ত বাংলাদেশের শেয়ার মার্কেটের মত এই মার্কেটকে ম্যানিপুলেট করার কোন ক্ষমতাই রাখে না। মার্কেট মার্কেটের মতোই চলে। এবার আসি চুনোপুঁটিদের কথায়। এই চুনোপুঁটিই হচ্ছে আমার আপনার মত ট্রেডারেরা। বলা হয় এই মার্কেটে ৯৫% লুজার। এই লুজার কারা? ঐ সব রাঘব বোয়ালেরা? কখনোই না! তারা কিন্ত এই ৯৫% লুজারের মাঝে পড়েনা। কেন? কারন তারা এখানেই তাদের অর্থ যথাযথ ব্যবহার করে। বিভিন্ন ব্রোকারেরা তাদের কাছ থেকে কমিশনের ভিত্তিতে স্বত্ব কিনে নিয়ে আমাদের মত ট্রেডারদের ট্রেড করার সুযোগ করে দেয়। আর লুজারদের তালিকায় আমাদের মত ট্রেডারেরা থাকে। এই যে আপনি ৯৫% লুজারের কথা শুনছেন, তারা কিন্ত আমার আপনার মতোই ট্রেডারেরা। নয়তো সেই সব রাঘব বোয়ালেরা লস করলে ফরেক্স মার্কেটে লিকুইডিটি সংকট দেখা দিত। এই ট্রিলিয়ন ডলারের লেনদেনও কমে আসত যদি এখানে সেই রাঘব বোয়ালদেরও ৯৫% লুজার হতো। কিন্ত বাস্তবে সেই মার্কেট আরও বড় হচ্ছে। এতেই বোঝা যাচ্ছে বাস্তবতা। এই বিশাল মার্কেটে বড় বড় বিজনেসম্যানদের সঙে আপনিও যখন নিজেকে শামিল করছেন, তখন আপনার চিন্তাধারাও তাদের চিন্তাধারার সাথে মেলাতে হবে। যদি তা না করতে পারেন, তবেই আপনি লুজার হবেন নিশ্চিত। আর লুজারদের পার্সেন্টেজ দেখে বোঝাই যায় যে শতকরা ৯৫ জন ট্রেডারেরাই নিজেদের সেই সব বিজনেসম্যানদের চিন্তাধারার সাথে নিজেদের মেলাতে পারেনি। ফলাফল এমন বিশাল লুজারের সংখ্যাবৃদ্ধি। এবার আসি বড় বড় ব্যাবসায়ীদের সাথে আমাদের মত ট্রেডারদের স্ট্র্যাটেজিক্যাল পার্থক্যের বিষয়েঃ আপনি সাড়ে পাঁচ’ফুট বা ছ’ফুট উচ্চতার মানুষ। আপনি হাটার সময় এক ধাপেই প্রায় দুই ফুট পার হয়ে যেতে পারেন। এই দু ফুট রাস্তায় হালকা কাদা পানি, খানা খন্দ যাই থাকুক না কেন। আপনার কিন্ত সেসব না দেখলেও চলে। কিন্ত এই পথ যদি একটা পিপড়া অতিক্রম করতে চায়? তাহলে কি হবে? তাকে প্রতি ইঞ্চি ইঞ্চি হিসেব করে এগতে হবে, নয়তো কাদায় আটকে যেতে পারে, খানাখন্দের ভিতর পানি থাকলে সেখানেও প্রান সংশয় দেখা যেতে পারে। তাই তাকে হিসেব করে করে এগোতে হয়। চারদিকে দেখেশুনে নিয়ে এগোতে হয়। ঠিকঠাক ভাবে এগোতে পারলে সেই পথ পারি দিয়ে পারে। অথবা কোন ভুল করলে প্রানটাও হারাতে পারে। এই উদাহরনের সাথে ফরেক্স এর কি সম্পর্ক?? জ্বি, সম্পর্ক আছে। এটাই আসল সম্পর্ক। যারা যারা রাঘব বোয়াল, তারা মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের ব্যালান্স নিয়ে একবারে মাসের পর মাস ট্রেড ওপেন করে বসে থাকে, টাইমফ্রেমের দিক দিয়ে তারা এক লাফে দুই-আড়াই ফুট যাবার মত এগিয়ে থাকে, এই সময়ের মাঝে আমাদের মত ছোট ছোট ট্রেডারদের কেউ এক মিনিট, কেউ ৫ মিনিট, কেউ ৩০ মিনিট, কেউ ১ ঘন্টা, কেউ ৪ ঘন্টা আবার কেউ এক দিনের টাইমফ্রেম নিয়ে সেই পিপড়ার মত হিসেব করে করে সামনে এগোতে চায়। ফলাফল আমাদের মত ট্রেডারদের রিস্ক কয়েক হাজার গুন বৃদ্ধি পায়। এই ঝুঁকিপুর্ণ পথ পার হতে হতেই বেশিরভাগ ট্রেডার ঝড়ে পড়ে অনায়াসে। কারন তারা হয় ঝুঁকি সম্পর্কে তেমন সচেতন থাকেন না। নয়তো তারা ঝুঁকিটাকে ঠিকমত ম্যানেজ করতে শেখেন না। ফলাফল একের পর এক একাউন্ট ডাম্প হয়ে যাওয়া।আর লুজারদের পার্সেন্টেজ বাড়তে থাকা। এতোক্ষন তো আলোচনা করা হল কেন এতো লুজার হয়। এবার আসেন আমরা একটু জেনে নেই কিভাবে এই ঝুকিপুর্ন পথ নিরাপদে পর হতে পারবেন। আমি পয়েন্ট আকারে বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করি। তাতে হয়তো বুঝতে সুবিধা হবে। ১) সেহেতু ফরেক্স এর পথ সমতল নয়, উঁচুনিচু আর খানা-খন্দে ভরা, সেহেতু আপনাকে সর্বপ্রথম এই পথ পাড়ি দেবার মত একটা স্ট্র্যাটেজী ঠিক করতে হবে। ২) স্ট্র্যাটেজীটা যেমনই হোক না কেন, আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে নুন্যতম প্রফিট রেশিও যেন রিস্ক রেশিওর থেকে তিনগুন হয়। অর্থ্যাত আপনার স্টপ লস ১০ পিপ্স হলে যেন টেক প্রফিট ৩০ পিপ্স হয় কমপক্ষে। ৩) এমন স্ট্র্যাটেজীর সুফল আপনি এভাবে পাবেন যে, আপনার একটা ট্রেড প্রফিটে গেলে সেই প্রফিট আপনার পরবর্তী তিনটা ট্রেড লসে গেলেও আপনার মুল ব্যালান্স অক্ষুন্ন থাকবে। ৪) যে স্ট্র্যাটেজীই ব্যবহার করেন না কেন, সবসময় ট্রেন্ডের পক্ষে ট্রেড নেবেন। সাগরে ঢেউ বেশি হলে মাঝি নৌকার পাল কিন্ত যেদিকে বাতাস বইতে থাকে ঠিক সেদিকে তুলে ধরে, কারন বাতাসের উল্টোদিকে যেতে চাইলে প্রানটা হারাতে হতে পারে। ফরেক্স মার্কেটে ট্রেন্ডটাও ঠিক তেমনি। আপনি ট্রেন্ডের পক্ষে থাকলে নিজেকে বেশ নিরাপদে রাখতে পারবেন। কিন্ত ট্রিলিয়ন ডলারের সমুদ্রে নিজের কয়েকশত বা কয়েকহাজার ডলারের মুলধন নিয়ে ট্রেন্ডের বিপক্ষে যাবার সাহস করলে ফলাফল কি হতে পারে তা নিশ্চয় আপনি নিজেই আঁচ করতে পারছেন। ৫) কখনোই বিশ্বাস করবেন না যদি কেউ বলে যে, সে এই মার্কেটে কেউ ৮০% বা ৯০% টানা প্রফিট করে চলছে। তার মানে আপনিও তেমনটি করতে পারবেন। সুতরাং আপনি তার কথা শুনেই ছুটে চললেন তার কাছে, তার তালীম নেবার আশায়, কিন্ত ফলাফল দেখলেন নেগেটিভ। অর্থ্যাত আপনি আবারও লস করেছেন। বিখ্যাত এক ট্রেডারের এক বানী জেনে রাখুনঃ “In this business if you’re good, you’re right six times out of ten. You’re never going to be right nine times out of ten.” -Peter Lynch ৬) মনে রাখবেন ১০ টা ট্রেডের ৮-৯ টা ট্রেডে আপনি ১০ পিপ্স করে প্রফিট নিলেন এভারেজে, কিন্ত বাকি ১-২ টা ট্রেডেই আপনি লস করেছেন ৫০-১০০ পিপ্স করে টোটাল ১০০-২০০ পিপ্স। এখানে আপনার ট্রেডগুলোর প্রফিট রেশিও ৮০%-৯০% হলেও আল্টিমেটলি কিন্ত আপনি বেশ ভালোই লসের স্বীকার হয়ে চলেছেন। এখন কি বুঝতে পারছেন সমস্যাটা কোথায় ?? ৭) আমি ১:৩ রেশিওতে ট্রেড করতে বলেছি, তার কারন আপনি যদি ৫০% উইনও করেন , তবুও আপনি ভাল রকমের প্রফিটে থাকবেন। ১০টা ট্রেডের ৫টা ১০ পিপ্স করে লস করলেন, তার মানে ৫০ পিপ্স লস হলো, আর বাকি ৫টা তিনগুন করে প্রফিট করলেন।তার মানে ১৫০ পিপ্স প্রফিট হলো। লাভ লস মিলে কিন্ত আরও ১০০ পিপ্স প্রফিট করলেন আপনি। এখানেই প্রকৃতপক্ষে লাভ লসের হিসেব লুকিয়ে থাকে। ৮) নিজের ব্যালান্স নিয়ে সবসময় যত্নবান হবেন। কখনোও নেগেটিভ হলে হাল ছেড়ে দেবেন না। ঠান্ডা মাথায় ভেবে এর কারন বের করুন। ইমোশনালি কোন ট্রেড চালু করবেন না। ফরেক্স মার্কেট কারও ইমোশনকে পাত্তা দেয় না। জেনে রাখুন এই সফল ট্রেডার কি বলেছেনঃ “Don’t focus on making money; focus on protecting what you have.” – Paul Tudor Jones ৯) এরপর কারেন্সী পেয়ার বাছাই করতে সচেতন হোন। মনে রাখবেন আলাদা দেশ, আলাদা কারেন্সি মুভমেন্ট। সুতরাং একই ব্যবসা পদ্ধতি দিয়ে আলাদা দেশের কারেন্সি মুভমেন্টকে নিজের কন্ট্রোলে নিয়ে আসা অনেক কষ্টের। কারন মাছের ব্যবসা পদ্ধতি দিয়ে আপনি আলুর ব্যবসা করতে গেলে লস খাবেনই। সুতরাং পারতপক্ষে একটি কারেন্সী পেয়ার বাছাই করুন যা আপনার স্ট্র্যাটেজীর সাথে মানানসই হয়। নয়তো কোন একটা কারেন্সী বাছাই করুন, এরপর সেই কারেন্সীর যতগুলো পেয়ার আছে, সেগুলোতে ট্রেড করুন। ১০) যতগুলো পেয়ারই বাছাই করেন না কেন। এখানে মানি ম্যানেজমেন্ট আপনাকে ফলো করতেই হবে। এই বিষয়টা অনেকেই জানে না। আজ পরিস্কার হয়ে জেনে নিন। মানি ম্যানেজমেন্ট হচ্ছে, আপনার মুলধনকে নিরাপদ রাখা। ধরুন আপনার ব্যালান্স ১০০ ডলার। আপনি ৫% রিস্ক নিবেন। তাহলে কি করবেন? এখানে, আপনি যতগুলো ট্রেডই নেন না কেন, আপনার সকল স্টপ লসের হিসেব মিলিয়ে যেন ৫ ডলারের বেশি না লস হয়। কারন একবার সবগুলো লস হয়ে গেলেও আপনি আরও ১৯ বার একই ভাবে ট্রেড করার সুযোগ পাবেন। আগের লস রিকভারি করে আবারও প্রফিটে নিয়ে আসার সুযোগ পাবেন। এ বিষয়ে আরেকজন সফল ট্রেডারের বানী শুনুনঃ “Frankly, I don’t see markets; I see risks, rewards, and money.” – Larry Hite ১১) বাংলা একটা প্রবাদ আছে, “ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না” এটা এখানে প্রযোজ্য হবে। সুতরাং ট্রেড ওপেন করার আগে ট্রেন্ড, আপনার স্ট্র্যাটেজী, সব দিক বিবেচনা করে পারফেক্ত হলে তবেই ট্রেড ওপেন করুন। টেক প্রফিট লেভেল, স্টপ লস লেভেল সেট করুন। এরপর বার বার চার্ট দেখতে যাবেন না। তাতে অস্থিরতা বাড়ে শুধু। আর অস্থির মনই আপনাকে ভুল ডিরেকশান দিয়ে ভুল কিছু সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে। সুতরাং ট্রেড ওপেন করুন এবং তার কথা ভুলে যান। পরের এন্ট্রি খোঁজ করুন। সমসময় মনে রাখবেন এই সফল ট্রেডারের কথাঃ The goal of a successful trader is to make the best trades. Money is secondary.” – Alexander Elder সবশেষে বলতে পারি যে, ট্রেড বাই ট্রেড হিসেব না করে মাসে কয়টা ট্রেড নিলেন, তার টোটাল হিসেব করুন। কত পিপ্স প্রফিট পেলেন, কত পিপ্স লস করলেন তার হিসেব বের করুন। একই ভাবে ব্যাকটেস্ট করুন। মাসে কেমন প্রফিট এর সুযোগ ছিল সেসব মাসে তা বের করুন। একটা পরিস্কার ধারনা পাবেন। এভাবে টানা ২-৩ মাস করে যান, এতে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন একসময়। আর একবার অভ্যস্ত হয়ে গেলে আপনি নিজেকে সেই ৫% প্রফিটেবল ট্রেডারদের মাঝে দেখতে পাবেন আমি নিশ্চিত। পরিশেষে, সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাকে সুস্থ রাখেন। আর ফরেক্স মার্কেটের কল্যানে আরও বেশি বেশি মানুষের মেহনত করতে পারি। অনেকেই ভালভাবে ফরেক্স জানতে ও শিখতে আগ্রহ দেখিয়েছেন, অনেকে আবার ট্রেডিং সিগনাল ফলো করার আগ্রহের কথাও জানিয়েছেন, তারা আমাকে মেসেজ দিতে পারেন অথবা আমার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে ইনবক্সে একটা মেসেজ দিয়ে রাখবেন। আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর দেবার চেষ্ঠা করা হবে ইনশাল্লাহ। অত্যন্ত স্বল্প ফী’র মাধ্যমে যে কেউ এখানে সিগনাল পেতে পারেন নিজেদের ফরেক্স শেখার পাশাপাশি বাড়তি কিছু প্রফিট পাবার আশায়। আমার ফেসবুক পেইজ লিংকঃ https://www.facebook.com/bmfxanalystbd/ আমার স্কাইপ আইডীঃ live:bmfxanalyst পরিশেষেঃ ব্যবসা নিজে ভালভাবে শিখে নিয়ে নিজের বুদ্ধি ব্যবহার করে করাই সবচেয়ে ভাল। এতে ব্যবসায় আন্তরিকতা বজায় থাকে। আর আন্তরিকতার উপর নির্ভর করে সৃষ্টিকর্তা ব্যবসায় বরকত দিয়ে থাকেন। কারন আল্লাহ তায়ালা ব্যবসাকে হালাল করেছেন। আর মহানবী (স) বলেছেন, “তোমরা ব্যবসা করো, ব্যবসায়ে ১০ ভাগের ৯ ভাগ রিজিকের ব্যবস্থা আছে।” সৃষ্টিকর্তা আমাদের কবুল করুন। আমীন।
  2. bmfxanalyst: প্রিয় ট্রেডার বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভাল আছেন। আজ এই সপ্তাহে মেজর কারেন্সী পেয়ার EURUSD এর মুভমেন্ট কেমন হতে পারে, সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। অনেক বন্ধুরা আছেন, যারা শুধুমাত্র এই একটি পেয়ার নিয়েই ট্রেড করে থাকেন। আবার অনেকেই আছেন যারা অনেকগুলো পেয়ার নিয়ে তাদের এনালাইসিস করে থাকেন এবং ট্রেডও করে থাকেন। তবে সেসবের মাঝে এই পেয়ারটি অবশ্যই থাকে। তাহলে কথা না বাড়িয়ে চলুন, এই গুরুত্বপুর্ন পেয়ারের এই সপ্তাহের প্রাইস মুভমেন্টের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করি। আমি এখানে আমার এনালাইসিস এর উপরে আলোচনা করছি। আপনারা অবশ্যই এর সঙে আপনাদের নিজস্ব এনালাইসিস মিলিয়ে নিয়ে আপনাদের ট্রেড সেটআপ সাজাতে পারেন এবং কমেন্টে জানাতে পারেন। তবেই আশা করা যায় যে আপনাদের প্রফিটের সম্ভাবনা আরও বেড়ে যাবে। এই সপ্তাহের এনালাইসিসঃ ডেইলি টাইম ফ্রেমে আমরা দেখতে পারি যে, সবুজ মার্ক করা পয়েন্টগুলো পরিস্কারভাবে আপট্রেন্ডকে নির্দেশ করছে। একই ভাবে লাল মার্ক করা পয়েন্টগুলোও দেখা যাচ্ছে যে, আপট্রেন্ডে ব্রেক-আউট হয়ে আবার রিট্রেস করে আপট্রেন্ডই কন্টিনিউ করছে। এই দুই আপট্রেন্ডের সংযোগস্থলে দেখা যাচ্ছে একটা ছোটখাট সাপোর্ট লেভেল তৈরী করেছে এবং সর্বশেষ গত বৃহঃপতিবার ও শুক্রবারের ক্যান্ডেল ফরমেশনও পরিস্কার রিভার্স ক্যান্ডেলকেই নির্দেশ করছে। এ থেকে আমরা ধারনা করতেই পারি যে এই সপ্তাহে EURUSD পেয়ার বুলিশ থাকার সম্ভাবনাই বেশি। সুতরাং বাই ট্রেডারদের জন্য এটা সুখকর হতেই পারে। আমরা আরও একটু লক্ষ্য করলে দেখতে পারি যে, উপর থেকে খয়েরী রঙের মার্ক করা পয়েন্টগুলো পরিস্কার ডাউনট্রেন্ডকে নির্দেশ করছে। অর্থাৎ সেই ডাউনট্রেন্ডকে হিসেবের মাঝে এনে আমরা আমাদের টেক প্রফিট সেট করতে পারি। এরপর অপেক্ষা.................. চুড়ান্ত ফলাফল পাওয়া পর্যন্ত আমি চেষ্ঠা করব রেগুলার এই সাইটে আমার ট্রেড এনালাইসিস আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। এই লেখাটি আপনি আপনার ফেসবুক গ্রুপ, ফেসবুক ওয়ালে বা আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিন যাতে সকলেই সামান্য হলেও উপকৃত হতে পারে। তবেই আমি সার্থক। সকলের সাফল্য কামনায়। আমার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়েও আমার সঙে থাকতে পারেন। ফেসবুক পেজ লিঙ্কঃ bmfxanalyst
  3. bmfxanalyst: দেশের সকল ট্রেডার বন্ধুদের মাঝে আসতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করছি। একই সাথে নিজের প্রথম পোস্টটাও করে ফেলছি সবাইকে নিয়েই। তাহলে শুরু করা যাক, আমরা যারা কিছু কর্ম করি, তা চাকুরী হোক বা ব্যবসা, সব কর্মের পিছনেই একটা অভিন্ন উদ্দেশ্য থাকে। তা হল আয় রোজগার করা। এই আয় রোজগারের সাথেই আমাদের জীবনের সকল চাওয়া পাওয়া সরাসরি সম্পর্ক বিদ্যমান। একইভাবে ফরেক্স এ বেশিরভাগ মানুষই আসে অন্যের কথা শুনে বা অন্যের গালভরা গল্প শুনে, তবে সেই গল্পগুলো হয় কাড়ি কাড়ি টাকা ইনকাম করার। মানুষের সহজাত স্বভাব দিয়ে এতে আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। আর কুয়োর ব্যাঙের সাগরে পড়ার মত নাকানিচুবানী খেয়ে কোনমতে উঠে পড়ে, আর নয়তো কেউ কেউ বেঘোরে তার শেষ সম্বলটুকুও হারায়। কিন্ত কেন? কেন হবে এই অবস্থা? আসুন একটু জেনে নেই আগে, এরপর আমরা জেনে নেব এর সমাধান। ধরুন, আপনি দেশে কোন জায়গায় চাকুরী করেন। প্রাথমিক অবস্থায় বেতন হবে ৮-১০ হাজার টাকার মত, খুব ভাল হলে ১৫-২০ হাজার হতে পারে। অথচ এর পিছনে আপনার মুলধন কি? বিগত ১৬-১৭ বছরের একটানা পড়াশোনা ও সফলভাবে উত্তীর্ণ হওয়া।এতো দীর্ঘ সময়ের বিনিময়ে আপনি মাত্র ৮-১০ বা ১৫-২০ হাজারের বেতনেই সন্তষ্ট হচ্ছেন। তাই নয় কি? এবার আসি কাজের কথায়, ফরেক্স শব্দটাই আপনি কারও কাছে শুনেছেন ২ মাসও হয়নি। এর ভিতর আপনি ডিপোজিট থেকে শুরু করে সকল প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন এমনকি মাসে লাখ লাখ টাকা, নুন্যতম ৪০-৫০ হাজার টাকা আয়ের স্বপ্নও দেখে ফেলছেন!! আদৌ স্বপ্নটা বাস্তব কিনা ভেবেছেন কখনও?? টানা ৫ বছর ট্রেড করে প্রফিট করেছেন, এমন ট্রেডার বাংলাদেশে হাতে গোনা কয়জন পাওয়া যাবে আমি জানিনা। তবে কথায় কথায় জ্ঞান দেবার মত বেশ কিছু ট্রেডারভাই আছেন যারা আইবী কমিশন বেশ ভালো পায়। কিন্ত আইবী কমিশন ফরেক্সের একটা পার্ট মাত্র। ফরেক্স এর মুলধারা নয়। মুলধারা হচ্ছে ট্রেড করে প্রফিট বের করে আনা মার্কেট থেকে। কারন আইবীতে অন্যের ট্রেডের স্প্রেড কমিশনের একটা অংশ নেওয়া হয়, কিন্ত মুল মার্কেটের কিছুই বের করে আনা হয়না। আমাদের উদ্দেশ্য ফরেক্স মার্কেট থেকে মুল প্রফিট বের করে আনা। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন কোন জায়গায় দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করলে আপনার ট্রেডিং এর রেজাল্টেও পরিবর্তন চলে আসবে। প্রথমেই বলব একটা নির্দিষ্ট স্ট্রাটেজী বের করতে। আন্দাজের উপর ভর করে কখনো ট্রেড করবেন না। অনেক উপরে উঠে গেছে এবার সেল দেই, বা অনেক নিচে নেমে গেছে এবার বাই দেই, এমন করবেন না। হুজুগের বশে নিজের পয়সা হারানোর কোন মানেই হয়না। ভেবে চিনতে বা গুগলে সার্চ দিলেও অনেক অনেক স্ট্রাটেজী পাবেন, সেগুলো ভালভাবে দেখে ঘোষামাজা করে আপনার নিজের মত করে একটা ট্রেডিং সিস্টেম তৈরী করে ফেলুন। এবার আপনার ট্রেডিং স্ট্রাটেজীকে নির্দিষ্ট কোন এক টাইম ফ্রেমে (এইচ ফোর এর উপরের কোন একটা) বসিয়ে একের পর এক পেয়ার ধরে ধরে যাচাই করে নিন। কোন এক মাস ধরে ধরে লাভ লস মিলিয়ে হিসেব বের করুন। এভারেজ কেমন প্রফিট আসে আর প্রতি দশটা ট্রেডে এভারেজ কতটা প্রফিটে থাকে এই হিসেব করে ফেলুন। সব হিসেব শেষে বের করুন কোন পেয়ারে ভাল রেজাল্ট এসেছে সব দিক দিয়ে।এবার শুধুমাত্র সেই এক পেয়ার নিয়েই ট্রেড করতে থাকুন। ভুলেও ৫-৬ বা ১০-১২ টা কারেন্সী পেয়ার নিয়ে ট্রেড করতে যাবেন না। মনে রাখবেন সমুদ্রে জেলিফিস ধরার জাল দিয়ে আপনি হাঙ্গর বা তিমি মাছ ধরতে পারবেন না। তেমনি একটা স্ট্রাটেজী দিয়ে আপনি আমেরিকা, বৃটেন এমনকি ইউরোপকেও যদি কন্ট্রোলে রাখতে চান তাহলে ভুল করার সম্ভাবনাটাই বেশি হবে। কারন প্রতিটি দেশের অর্থনৈতিক মুভমেন্ট একই ধারায় চলে না। এবার বাছাইকৃত সেই পেয়ারের ব্যাকটেস্ট করুন মাসের পর মাস ধরে ধরে। একটা ভাল আইডিয়া পেয়ে যাবেন। কোন কোন পরিস্থিতিতে রেজাল্ট খারাপ বা ভাল আসে তার ব্যাপারেও পরিস্কার ধারনা পেয়ে যাবেন তাহলে। এটাই আপনাকে সাহায্য করতে আপনার রেগুলার প্রফিট বের করে আনতে। মাসে ২-৫ হাজার পিপ্স এর আশা বাদ দিয়ে ২-৩ শত পিপ্সের সন্তষ্ট থাকেন। মনে রাখবেন এমন ট্রেডারও আছে যারা মাসে ১০০ পিপ্স এ মিলিয়ন ডলারও আয় করে। ধীরে ধীরে ব্যালান্স বাড়ান। তবে বার বার ডিপোজিট করে নয়। প্রফিট করে করে। বাড়তি কোন পেয়ারে যাবার প্রয়োজন নেই। একটা পেয়ারেই স্থির থাকুন। আর এক বারে একটা ট্রেডের বেশি ট্রেড ভুলেও নেবেন না। একটা ট্রেড শেষ হলে এরপর পরের ট্রেডে যাবেন। স্পেসিফিক টেকপ্রফিট ও স্টপ লস সেট করবেন। এবার ফলাফল হাতে নাতে দেখুন। পরিশেষে, লেখাটি ধৈর্য্য ধরে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে। তাহলে শুরু করুন আপনার সফল ট্রেডিং অধ্যায় এখনই একটি ভাল ব্রোকারের সাথেঃ নতুন একাউন্ট আমার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে আমার এনালাইসিস এর সঙেই থাকুন। ফেসবুক লিংকঃ bmfxanalyst
×
×
  • Create New...

Write what you are looking for and press enter or click the search icon to begin your search