Jump to content

ফ্রান্সের নির্বাচনে আমাদের ট্রেডিং কৌশল কেমন হতে পারে?


Recommended Posts

macron-lepen.jpg

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বনাম ইউরোর ভবিষ্যৎ

আগামী ০৭ই মে রবিবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চুড়ান্ত লড়াই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।প্রতিযোগিতায় শীর্ষে থাকা ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও মেরিন লা পেন এ দুই প্রার্থীর মধ্য থেকে একজনই হতে যাচ্ছেন ফ্রান্সের ভবিষ্যত প্রেসিডেন্ট।আর এ নির্বাচন কে কেন্দ্র করেই চরম অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুদ্রা বাজার ফরেক্স মার্কেটে। বিশেষ করে EUR/USD, USD/CHF,GBP/USD উক্ত তিনটি মূদ্রা জোড়ে প্রথম দফা নির্বাচন থেকে শুরু করে এপর্যন্ত অস্থিরতা বিরাজ করছে।তবে আগামী ৭ই মে এঅস্থিরতার অবসান ঘটতে চলেছে । সূতরাং নির্বাচনের প্রভাবে কি ঘটতে পারে সেটায় এখন দেখার বিষয়।তবে ক্ষুদ্র জ্ঞানের উপলব্ধি থেকে ব্যাক্তিগত মূল্যায়নটি আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

ফান্ডামেন্টাল মূল্যায়ন
উভয় প্রাথীর নির্বাচনী বক্তব্য,প্রতিশ্রুতি ও ব্যাক্তিগত জীবন মূল্যায়ন করলে এটা প্রতিয়মান হয়ে যে ইউরোপীয়পন্থী ম্যাক্রোঁ নির্বাচিত হলে সেটা হবে ইউরোপের জন্য কল্যানকর।কারন ব্যাক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন একজন অর্থমন্ত্রী। তিনি নির্বাচিত হলে বর্তমান ইউরোজোনের অভিবাসন,অর্থনীতি ও ফরাসি নাগরিকদের ভবিষ্যত ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ন রাজনৈতিক ইস্যুগুলোর সমাধান হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

আপর দিকে ৪৮ বছর বয়সী ন্যাশনাল ফ্রন্ট পার্টির নেতা লা পেন নির্বাচিত হলে ইউরোপ চরম সংকটে পড়বে বলে ধারনা করছেন অনেকেই। কারন তিনি হচ্ছেন কট্টর ডানপন্থী নেতা। তিনি বর্তমানে ইউরোজোনের অনেক রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কট্টর বিরোধী।তার মতাদর্শ হচ্ছে সংস্কার বা নতুন করে সাজাও।যা ইউরোপের চলমান রাজনৈতিক ইস্যু সহ বিভিন্ন সেক্টরে বিরাজমান অস্থিতিশীলতাকে আরো উস্কে দিতে পারে।তবে আশ্চর্য জনক বিষয় হচ্ছে প্রথম দফার নির্বাচনে ম্যাক্রোঁ ২৩.৫৪ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রথম স্থানে এবং লা পেন ২২.৩ শতাংশ ভোট পেয়ে ২য় স্থানে অবস্থান করছেন ।এক কথায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই যাকে বলে এখানে কোন পক্ষ কে এগিয়ে দেয়া যাচ্ছে না।

ফান্ডামেন্টালের এপিঠ ওপিঠ
বিগত দিনে ঘটে যাওয়া দুই দুইটি রাজনৈতিক ইস্যুর দিকে যদি আমরা তাকাই তবে একথা প্রতিয়মান হয় যে নির্বাচনী বিশ্লেষন ততটা প্রতিফলিত হয়না যেমনটি আমরা দেখেছি ব্রেক্সিট ও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে। কারন অনেক বিশ্লেষকের ব্রেক্সিট মূল্যায়ন ছিল পজিটিভ এমন কি ব্রেক্সিটের জন্য আন্দোলনকারীগনও এটা প্রত্যাশা করেনি যা পাউন্ডের ইতিহাসে ঘটে গেছে।ঠিক একই ভাবে আমেরিকা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প কে অর্থনীতির জন্য আশনি সংকেত হিসাবে তুলে ধরা হয়েছেল। কিন্তু পরবর্তিতে যা ঘটেছে তা সবারই জানা আছে। সূতরাং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ম্যাক্রোঁ ও লা পেন কে নিয়ে আমাদের যে কোন মূল্যায়ন মুদ্রা বাজারে প্রতিফলিত নাও হতে পারে।সূতরাং নির্বাচন পরবর্তিতে মার্কেট গেপ দিয়ে ওপেন হবে এই প্রত্যাশায় কারো প্ররোচনায় পড়ে উদ্ভট চিন্তা ভাবনা ও উত্তেজনা পরিহার করতে হবে।

AAEAAQAAAAAAAAc1AAAAJDJkNzE4MGNhLTk0Yzkt

ফ্রান্সের নির্বাচনে আমাদের ট্রেডিং কৌশল কেমন হতে পারে?
*********************************************************
হুম,আমরা অবশ্যই একটি রক্ষণাত্মক কৌশলে মার্কেটে প্রবেশ করতে পারি। যা তুলনা মূলক ভাবে অনেক বেশি নিরাপদ ও লাভজনক।তবে এটি লং টার্ম ট্রেডারদের জন্য প্রয়োজ্য ।
প্রথম ধাপঃ ট্রেডিং কৌশল টি বুঝতে প্রথমে আপনার মেটা ট্রেডার সফটওয়্যার টি ওপেন করুন। অতপর EUR/USD (D1) চার্টের দিকে তাকান। উক্ত মুদ্রা জোড়ে আপনি তিনটি প্রাইজে হরিজ্যান্টাল লাইন বাসান।
প্রথম প্রাইজঃ 1.13000 (স্ট্রং সাপ্লাইজোন)
দিত্বীয় প্রাইজঃ 1.0870 (বর্তমান অবস্থান)
তৃতীয় প্রাইজঃ 1.0370 (স্ট্রং ডিমান্ড জোন)
 
  • দ্বিতীয় ধাপঃ এক্সচেঞ্জ রেট যদি 1.0870 (দ্বিতীয় প্রাইজ)এর নিচে নেমে আসে তবে মূল্য পতনের সম্ভাবনা বেশি থাকবে।অর্থাৎ মার্কেট ডিমান্ড লেভেল কে টার্গেট করতে পারে।বিপরিতে সাপ্লাইজোন কে টার্গেট করতে পারে।তাই এনএফপি প্রভাব চলাকালীন আপনি রক্ষনাত্তক অবস্থানে ট্রেড করবেন এবং প্রাইজ মনিটরিং করবেন।
  • তৃতীয় ধাপঃ আপনি ইউএস সেশন ক্লোজ হওয়ার আধা ঘন্টা পূর্বে অর্থাৎ মার্কেট অফ হওয়ার অধা ঘন্টা বা ২০ মিনিট পূর্বে প্রাইজ মূল্যায়ন করে ২/১ হেজিংয়ে যেতে পারেন। অর্থাৎ যদি মার্কেট 1.0870 থেকে 1.0950 এই রেঞ্জে উর্ধমুখী প্রভাবে থাকে তাহলে আপনি ০.০২ ভলিয়মে লং পজিশন গ্রহন করতে পারেন। এক্ষেত্রে মার্কেট গেপ হলে ১.১৩০০ পর্যন্ত প্রথামিক ভাবে গেফ হতে পারে। পাপাশাপাশি ০.০১ এ একটি শর্ট পজিশনও কার্যকর করতে হবে।যেন বিপরিত কিছু হলে অন্তত ৫০% বেকাপ থাকে।আর যদি প্রাইজ 1.0870-র নিচে পড়ে যায় তাহলে একই নিয়মে ২/১ এ শর্ট পজিশন গ্রহন করবেন।পাশাপাশি একটি লং পজিশনও।
  • চতুর্থ ধাপঃ এক্সচেঞ্জ রেট গেপ আপ বা ডাউন যাইহোক না কেন উক্ত দুটি লেভেলের ভিতরেই থাকার সম্ভাবনা বেশি। সূতরাং যদি এক্সচেঞ্জ রেট ১.১৩০০ পর্যন্ত চলে যায় এবং আর উঠার সম্ভাবনা দেখা না যায় তবে আপনি লং পজিশন ক্লোজ করে দিতে পারেন এবং ১.১৩০০ বা ১.১৪০০ রেঞ্জ থেকে প্রাইজ অ্যাকশন ফলো করে চলমান থাকা লস ট্রেডের ভলিয়ম অনুযায়ী একটি রিভাঞ্জ নিতে পারেন।
  • পঞ্চম ধাপঃ যদি ২/১ ভলিয়মের মধ্যে ২ লসে চলে যায় তাহলে প্রাইজ এ্যাকশান ফলো করে ১ ক্লোজ করে দেয়ার পর মার্কেট মূল্যায়ন করে পুনরায় একটি রিভাঞ্জ নিতে হবে সেইম ভলিয়মে (০.০১) এক্ষেত্রে ভলিয়ম বাড়ানো যাবেনা কারন যদি মার্কেট আপনার বিপরিতে চলে যায় তখন আপনি কোন প্রকার লাভবান হচ্ছেন না। তখন রিস্কের পরিমান বেড়ে যাবে।কিন্তু যদি আপনি সেইম ভলিয়মে কন্টিনিউ করেন তবে আপনি লং টাইম ট্রেডটি ধরে রাখতে পারবেন।
প্রশ্নঃ 1.0870 এ প্রাইজ রিকভারের সম্ভাবনা কতটুকু ?
উত্তরঃ যারা ১০০০ ডলারে ১% রিস্কে ট্রেড করেন তাদের জন্য এখানে ঝুঁকির কিছুই নেই। আর 1.0870 এ প্রাইজটি আগে পরে রিটেস্ট হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। কারন এটি ইউরোর জন্য বর্তমানে একটি মিডেল পয়েন্ট।যা হেজিংয়ের জন্য উপযু্ক্ত।
উল্লেখ্য যে এই কৌশলে ট্রেড কেবল তারাই করবেন যারা ফ্রান্সের নির্বাচনে কিছু রিস্ক নিতে চান। তবে যাদের স্বল্প বেলেন্স তারা নির্বাচন পরবর্তিতে মার্কেট ওপেনিং দেখে ট্রেডে প্রবেশ করবেন। তবে যদি সোমবারের মার্কেটে কোন গেপ না হয় তবে উচিত হবে মার্কেট ওপেন হওয়ার পর উভয় পজিশন ক্লোজ করে আপনার স্বাভাবিক স্ট্রাটিজিতে ট্রেড করা। নিরাপদ হোক সবার ট্রেডিং
-------------------------------------------------

Md Mohabbat E Elahi

Analytical Expert: Global Forex Market

Link to comment
Share on other sites

Guest Faisal

Ha vai bujlam, GBP niye boro tension a achi, GBP/CAD short order ace onek loss. kalker market a ki hobe ay currency er bolte paren ? 

Link to comment
Share on other sites

Create an account or sign in to comment

You need to be a member in order to leave a comment

Create an account

Sign up for a new account in our community. It's easy!

Register a new account

Sign in

Already have an account? Sign in here.

Sign In Now
×
×
  • Create New...

Write what you are looking for and press enter or click the search icon to begin your search