MontuZaman Posted May 7 Report Share Posted May 7 ৭ মে কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? http://forex-bangla.com/customavatars/945568028.jpg সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, এবং যেগুলো প্রকাশিত হবে সেগুলোর প্রভাবও EUR/USD বা GBP/USD পেয়ারের উপর খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে হচ্ছে না। ইউরোর মূল্য এখনো সম্পূর্ণরূপে ফ্ল্যাট অবস্থায় রয়েছে, এবং ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যও একটি ফ্ল্যাট রেঞ্জে রয়েছে—তবে সেটি তুলনামূলকভাবে বিস্তৃত ও কম দৃশ্যমান। সারাদিনে একমাত্র ইউরোজোনের খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদন ট্রেডারদের মধ্যে কিছুটা আগ্রহ তৈরি করতে পারে, তবে সেটিও কেবল সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত প্রভাব বিস্তার করবে। কিন্তু এই প্রতিবেদনের ফলাফল থেকে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া আশা করা যায়? সর্বোচ্চ ২০–৩০ পিপসের মুভমেন্ট? এমনকি সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিতব্য ফেডের বৈঠকের ফলাফলের প্রভাবেও মার্কেটে কোনো স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া নাও দেখা যেতে পারে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ ছাড়া এখনো অন্য কোনো মৌলিক ঘটনা নিয়ে আলোচনা করাটা খুব একটা যৌক্তিক নয়, যদিও আপাতত বাণিজ্য উত্তেজনা স্থগিত রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি নতুন করে শুল্ক আরোপ করেন বা বিদ্যমান শুল্ক বাড়ান, তাহলে আবার ডলারের দরপতন শুরু হতে পারে। বাণিজ্য উত্তেজনা বাড়লে ডলারের দরপতন হতে পারে, অপরদিকে শান্তিপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে ডলার শক্তিশালী হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এখন চীনের প্রতি কিছুটা নমনীয় বক্তব্য দেওয়া শুরু করেছেন, কিন্তু এটিকে এখনই 'বাণিজ্য যুদ্ধের প্রশমন' বলা যাবে না। বাস্তবতা হচ্ছে, চীনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো আলোচনা শুরু হয়নি, তাই নিকট ভবিষ্যতে কোনো বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলা ভিত্তিহীন। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্য কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। ট্রাম্প জানেন যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই অদূর ভবিষ্যতে তার কাছ থেকে নতুন করে আগ্রাসী পদক্ষেপ আসার সম্ভাবনা কম। গত বুধবার আমরা দেখেছি, ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতি কীভাবে মার্কিন অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছে। আজ সন্ধ্যায় FOMC-এর বৈঠকের ফলাফল প্রকাশিত হবে। তাত্ত্বিকভাবে, জেরোম পাওয়েলের বক্তব্যে কিছুটা "ডোভিশ" না নমনীয় অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে, তবে আমাদের মতে ফেড এখনো মূলত মুদ্রাস্ফীতির দিকেই নজর রাখছে। তাই তাদের অবস্থানে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তনের আশা করা ঠিক হবে না। তবুও, যদি নমনীয় অবস্থানের ইঙ্গিত দেওয়া হয়, তাহলে তা ডলারের জন্য নেতিবাচক বার্তা বহন করবে। উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। ইউরো এখনো সাইডওয়েজ ট্রেডিং করছে, যদিও 1.1275 লেভেল থেকে রিবাউন্ড হওয়ার পর একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হয়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের এখনো কিছুটা বেশি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকলেও, কার্যত এখনো রেঞ্জ-ভিত্তিক মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট ট্রেডারদের মনোভাবের উপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। কেবল সন্ধ্যার FOMC-এর বৈঠক থেকে কিছুটা প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে, তবে সেটিও EUR/USD বা GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট মুভমেন্টের সমাপ্তির জন্য যথেষ্ট হবে বলে মনে হচ্ছে না। Link to comment Share on other sites More sharing options...
Recommended Posts
Create an account or sign in to comment
You need to be a member in order to leave a comment
Create an account
Sign up for a new account in our community. It's easy!
Register a new accountSign in
Already have an account? Sign in here.
Sign In Now