Jump to content

Leaderboard

Popular Content

Showing content with the highest reputation on 01/28/2013 in all areas

  1. কারেন্সি ইনডেক্স কিঃ একটি দেশের মুদ্রার বিপরীতে সর্বচ্চ পরিমানে অন্যান্য দেশের মুদ্রার যে ট্রেডিং ভলিয়ম কিংবা ট্রেডিং ওয়েট ভেলু তাই হল একটি কারেন্সির ইনডেক্স। যা ১৯৭৩ সাল থেকে অফিশিয়ালি ফরেক্স বেস কারেন্সির কে টার্গেট করে হিসাব করা হয়ে থাকে। তাই সবচেয়ে হায়েস্ট বেস কারেন্সি হল USD যার ইনডেক্সিং হিসার বের করতে পারলে অনন্যা কারেন্সির দোর পরিমাপ পারবেন। তাই আজকের কারেন্সি ইনডেক্স আলোচনায় ইনডেক্স কারেন্সি হল USD অর্থাৎ USD ইনডেক্স USDX. ৬ টি মুল কারেন্সি কে ধরে মোট ২২ টি দেশের কারেন্সির USD এর বিপরীতে ট্রেডিং ভেলু কে নিয়ে USDX হিসাব করা হয়। কারেন্সি গুলো হলঃ Euro (EUR)Yen (JPY)Pound (GBP)Canadian dollar (CAD)Krona (SEK)Franc (CHF)এখন প্রশ্ন হল ৬টি কারেন্সিতে ২২ টি দেশের অন্তর্ভুক্তি কিভাবে? হ্যাঁ, বলছি আমারা জানি ইউরোপিয়ান জোনের মোট দেশ ১৭ টি যাদের সবার একক কারেন্সি হল EUR এবং জাপান, ব্রিটেন, কানাডা, সুইডেন এবং সুইজারল্যান্ড এর একক কারেন্সির বিপরীতে USD এর ট্রেন্ডিং ভেলু আছে বলে এই ২২ টি দেশের মুল কারেন্সিকে ধরে USD ইনডেক্স করা করা হয়। সহজ কথা হল ভিবিন্ন কারেন্সির বিপরিতে USD এর দোড় কতটুকু তাই বের করার একটি উপায় যাকে Indexing বলা হয়ে থাকে, যেহেতু USD এর ইনডেক্স বের করব তাই একে বলা হয় USDX. USDX কারেন্সি কান্ট্রিঃ আসুন এইবার জেনে নেই USDX এর জন্য কোন কোন কারেন্সি বেশি পরিমানে জড়িত অর্থাৎ কোন কারেন্সির কতভাগ ট্রেডিং এর জন্য USDX হয়। নিচের চিত্রটি লক্ষ্য করুনঃ চিত্রমতে EUR একটি বিরাট অংশ USDX এর জন্য। দ্বিতীয় স্থানে আছে জাপান তারপর আছে গ্রেট ব্রিটেন এইভাবে দেশ ভিত্তিক কারেন্সির একটি রেশিও দেখতে পাচ্ছেন, অর্থাৎ USD কারেন্সি ট্রেডিং এর ৫০% এর ও বেশি ট্রেডিং হয় EUR’র বিপরীতে। চার্টের বাইরে বাকি ৩০% ট্রেড হয় অনন্য কারেন্সির সাথে। USDX ডলার এর জন্য EUR’র ভুমিকা সবচেয়ে বেশি এবং EUR’র কারনে USD বেশি প্রভাবিত হয়। তাই USDX কে "Anti-Euro Index" বলা হয়। USDX যে কিন্তু ফরেক্স মার্কেটে হিসাব করা হয় তা কিন্তু নয় বরং বড়বড় যেসব আর্থিক সংগঠন আছে তারা নিজেদের প্রয়োজনে তাদের ট্রেড বা ইকোনমি ব্যালেন্স করার জন্য USDX হিসাব করে থাকে। যেহেতু USDX একটি গ্লোবাল কনসেপ্ট তাই মোটামুটি অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এই ফর্মুলা ব্যাবহার করে তাদের ইকোনমি ঠিক রাখার জন্য বা সেই অনুযায়ী ব্যবসা ধরে রাখার জন্য। সেই রকম একটি প্রতিষ্ঠান হল Federal Reserve. USDX হিসার করার জন্য তারা "trade-weighted U.S. dollar index" নামে হিসাব করে থাকে। আশা করি USDX সম্পর্কে একটি ভালো ধারণা পেয়ে গেছেন। USDX Formula: USDX = EUR * 0.576 x JPY * 0.136 x GBP * 0.119 x CAD * 0.091 x SEK * 0.042 x CHF * 0.036 · যখন USDX নামতে শুরু করে তারমানে হল এক্সচেঞ্জ ট্রেডাররা USD সেল করে দিচ্ছে· বিপরীতভাবে USDX যখন উঠতে শুরু করে তখন এক্সচেঞ্জ ট্রেডাররা USD বায় করতে শুরু করে।কিভাবে USDX চার্ট পড়বেনঃ USDX চার্ট অনন্য কারেন্সি চার্ট এর মত এক প্রকার চার্ট যার Index প্রতিদিন এবং সাপ্তাহিক ভিত্তিতে হিসাব করা হয়। এই ক্ষেত্রে INDEX General ভেলু 100.00 কে Base ধরে হিসাব করা হয়ে থাকে। যেমনঃ যখন USDX উপরের দিকে যায় তখন USD ভেলু বাড়ে। যদি USDX 110 হয় তখন USD ভেলু বাড়ে 10%. আবার যখন USDX কমে 90 হয় তখন USD ভেলু কমে 10%. মনে রাখবেন যেহেতু আমরা USDX নিয়ে কথা বলছি তাই এর প্রতিফলন কিন্তু USD কারেন্সিকে ঘিরে হবে, যার কারনে জখনি USDX বাড়ছে বা কমছে তার প্রতিফলন কিন্তু আমার USD কারেন্সিতেই দেখছি। এখন পর্যন্ত USDX লেভেল সর্বচ্চ 160 এবং সর্বনিম্ন 78 পর্যন্ত পোঁছছে। কেন ব্যাবহার করবেনঃ আগেই বলেছি USD ইনডেক্স এর মাধ্যমে অনন্য কারেন্সির সাথে USD এর ট্রেডিং ওয়েট মাপা যায়। যেহেতু অনেকগুলো কারেন্সির Combination ই হল USDX. তাই USDX এর মাধ্যমে ঐসব কারেন্সির Forecast ও করা সম্ভব। USDX চার্ট এর শক্তিশালি বা দুর্বল আচরণ এর প্রভাব অনন্য কারেন্সির Forecast এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। আমরা যেভাবে Support and Resistance, Candlestick pattern , technical analysis বা আরো বিভিন্ন স্ট্রেটিজি ব্যাবহার করি ট্রেন্ড লাইন তথা প্রাইস ফোরকাস্ট এর ক্ষেত্রে, তেমনি USDX এর প্রভাব বা এই চার্ট এর ফ্লো’ মাধ্যমেও ওই সব কারেন্সির ট্রেন্ডিং ট্রেন্ড বুঝতে পারা যায়। কিভাবে ব্যাবহার করবেনঃ যেহেতু USDX এর ইনডেক্স চার্ট হয় EUR/USD,GBP/USD, USD/CHF,USD/JPY, USD/CAD এর সাথে ট্রেডিং ভলিয়ম ভিত্তিতে। USD এর বিপরিতে এই সব কারেন্সি এর ট্রেডিং স্ট্রেন্থ হল USDX. তাই লক্ষ্য করবেন যখন EUR/USD দৈনিক চার্টে ট্রেন্ড ডাউন থাকে তখন USDX চার্টে ট্রেন্ড বিপরীত থাকে। এইবার দেখুন EUR/USD Daily Chart উপরের দুটি চার্টকে বিবেচনা করলে দেখবেন একটু আরেকটির মোটামুটি বিপরীত। কারন আমরা পুরবেই জেনেছি USDX চার্ট এর মুল ট্রেডেড কারেন্সি হল EUR তাই এই কারেন্সিই বেশী হিট করে USDX চার্টকে। এইভাবে দেশ ভিত্তিক এবং তাদের কারেন্সির সাথে USD এর ট্রেডেড ভলিয়ম অনুযায়ী চার্ট গুলোর পরবর্তী মুভমেন্ট আন্দাজ করা হয়ে থাকে। এই বিষয়টা পরিষ্কার করতে আলোচনা করতে হবে কারেন্সি কো-রিলেশন নিয়ে। এবং USDX এর সাথে অনন্য কারেন্সির সমন্বয় পূর্বক তাদের Forecast পাওয়ার জন্য ভিবিন্ন Currency Strength Indicator ব্যাবহার করা হয়ে থাকে। কারন্সি কো-রিলেশন বুঝলে ম্যাজিক পেয়ে যাবেন কিভাবে USDX এর একটি চার্টের বিপরীতে ৪-৫ টা কারন্সি চার্ট বিপরীত ট্রেন্ড তৈরি করে। আজ USDX সম্পর্কে চেষ্টা করেছি একটা ভালো ধারনা দেওয়ার জন্য। আগামিতে কারন্সি কো-রিলেশন সম্পর্কে বৃহৎ আলোচনা করব। ------------------------------------------------------------------------------------------------------------------- USDX চার্ট আপনি আপনার Meta Trader এ দেখতে পারবেন, সেই ক্ষেত্রে আপনাকে দুটি ইন্ডিকেটর ব্যাবহার করতে হবে। প্রথমে ইনডিকেটর গুলো ডাউনলোড করে নিনঃ USDX.zip ১. আপনার Meta trader\experts\indicators এ কপি করে নিন। ২. এইবার Meta Trader ওপেন করে EUR/USD চার্টে Create$$USDX ইনডিকেটরটি এনে Input variable থেকে যে টাইম ফ্রেমে USDX চার্ট দেখতে চান সেই টাইমফ্রেম ভেলু দিয়ে দিন, 15M, 30M, 45M 1H ইচ্ছে মত। ৩. File মেনু থেকে Open offline এ গিয়ে আপনার বানানো চার্টটি নিয়ে আসুন। (মুলত offline chart লিখা থাকলে ও এটা কিন্তু live চার্ট) ----------------------------- ধন্যবাদ।
    1 point
  2. প্রত্যেক কাজের সফলতার মুল হল একটি ভালো প্ল্যানিং। ফরেক্স মার্কেটে ও ভালো ট্রেডার যারা তাদের সফলতার মুলে রয়েছে একটা প্রপার ট্রেডিং প্ল্যান। আপনি অনেক কিছুই জানেন এবং ভালো ট্রেড করেন কিন্তু আপনার ট্রেডগুলো যদি কোন পরিকল্পনা মাপিক না হয় তাহলে অনেক ক্ষেত্রেই আপনাকে বেগ পেতে হয়। একটি সঠিক ট্রেডিং প্ল্যান আপনাকে আপনার লক্ষ্য পৌছাতে একটি সুন্দর ও সুশৃঙ্খল নির্দেশনা প্রদান করে। এবং আপনার ট্রেডগুলো এলোমেলো হয় না। আমাদের অনেক ট্রেডারদের একটি বড় সমস্যা হল ইচ্ছেমত ট্রেড করা, আমরা যখন মার্কেটে প্রবেশ করি তখন অনেকেই ভুলে যায় মিনিমাম এনালাইসিসের কথা, চিন্তা করি না বর্তমান মার্কেট অনুযায়ী এখন কোন স্ট্রেটিজি এপ্লাই করা উচিত এবং পরিশেষে ট্রেডিং লস করি। কিন্তু আপনি যদি প্ল্যান মোতাবেক ট্রেড শুরু করেন তাহলে আপনার ট্রেডিং এ এইসব এলোমেলো ভাব থাকবে না এবং লস ট্রেডিং এর সুযোগ থাকবে না। লক্ষ্য > টার্গেট কারেন্সি > প্রিপারেশন > টাইমফ্রেম > স্ট্রেটিজি > মেজর ইভেন্ট এবং সতর্কতা । লক্ষ্যঃ ট্রেডে প্রবেশ করার আগে আপনাকে ডিসিশন নিতে হবে আপনি দৈনিক কত পিপ এভারেজ প্রফিট করতে চান। যেমন আপনি ঠিক করলেন আপনি দৈনিক ১৫ পিপস প্রফিট করবেন। তাহলে আপনার লক্ষ্য হল আপনি দৈনিক ৫০ পিপস প্রফিট করবেন। টার্গেট কারেন্সিঃ আপনি যখন স্থির করলেন যে আপনি দৈনিক ১৫ পিপস প্রফিট চান, এখন আপনার দ্বিতীয় কাজ হল, আপনি কোন কারেন্সিতে ট্রেড করবেন তা ঠিক করা। কারেন্সি সিলেকশন করার ক্ষেত্রে কো-রিলেটেড কারেন্সি বাদ দিয়ে কারেন্সি সিলেক্ট করুন। যেমনঃ আপনি ঠিক করলেন আপনি আপনার লক্ষ্য পুরনের জন্য তিনটি কারেন্সিতে ট্রেড করবেন। EUR/USD, GBP/CHF, AUD/JPY। মার্কেটঃ কারেন্সি সিলেক্ট করার পর আপনি ঘুরে আসুন কোন কারেন্সি মার্কেটটি আপনার ট্রেডিং উপযোগী । অর্থাৎ আপনাকে আপনার পছন্দ করা কারেন্সি চার্ট ঘুরে আসতে হবে এবং দেখতে হবে ঐ নির্দিষ্ট কারেন্সি মার্কেট সেশন কতক্ষণ একটিভ এবং ঐ সময়ের মধ্যে আপনি ট্রেডে প্রবেশ করে আপনার ট্রেড শেষ করতে পারবেন কিনা। প্রিপারেশনঃ আপনি লক্ষ্য এবং টার্গেট কারেন্সি ঠিক করলেন এখন আপনার কাজ হল ট্রেডিং এ প্রবেশ করার জন্য প্রিপারেশন নেওয়া। ফাইনালি ট্রেডে প্রবেশ করার ইকোনমিক ক্যালেন্ডার দেখুন আপনার পছন্দ করা কারেন্সিতে আজকে কোন নিউজ আছে কিনা যা ঐ কারেন্সিকে ইফেক্ট করতে পারে। এবং সাপোর্ট অ্যান্ড রেসিসটেনস লেভেল নির্ধারণ করে নিন। টাইমফ্রেমঃ এই স্টেজে আপনি কোন ধরনের ট্রেড করবেন তার উপর ভিত্তি করে টাইম সিলেক্ট করতে হবে। যেমন আপনি যদি শর্ট ট্রেড করেন তাহলে ১৫ মিনিট এবং ১ ঘন্টার চার্ট ট্রেন্ড মোতাবেক মুভ করুন। দৈনিক ১৫ পিপস এর টার্গেটে আপনি প্রতি ট্রেড থেকে ৫ পিপস আশা করে শর্ট ট্রেড করতে পারেন। আবারো বলছি টাইমফ্রেম সিলেকশন হবে আপনার টার্গেট পিপস এর উপরে। স্ট্রেটিজিঃ এইবার ট্রেডে প্রবেশ করার পালা। সব কিছুই মোটামুটি ঠিক করে নিলেন, এইবার একটু এনালাইসিস করতে হবে। মার্কেট ট্রেন্ড ডিরেকশন যদি আপনার কাছে স্পষ্ট না হয় তাহলে অপেক্ষা করুন মার্কেট নতুন একটি ফরমেশন তৈরি করা পর্যন্ত এবং মার্কেট মুভিং এভারেজ সহ সাপোর্ট অ্যান্ড রেসিসটেনস লেভেল ভালোভাবে দেখে ট্রেডে প্রবেশ করুন। এরপর পূর্বে যা যা শিখলেন যেমন, টেক প্রফিট, স্টপ লস সহ আনুষঙ্গিক সব কিছু করুন। মেজর ইভেন্ট এবং সতর্কতাঃ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের বক্তৃতার সময় ট্রেড করবেন না। যেমনঃ ব্যাংক অব ইংল্যান্ড,ফেডারাল রিসার্ভ, সাক্সো ব্যাংক ব্রোকার রিভিউ রিলিসে ট্রেড করার দরকার নেই। কারন ঐসব সময়ে মার্কেট ভলাটিলিটি খুব বেশি থাকে তাই আপনি যদি ট্রেন্ডের বিপরীতে থাকেন তাহলে বিশাল ক্ষতির সম্ভাবনা আছে। কোনদিন যদি আপনার টার্গেট কারেন্সিতে মার্কেট মুভমেন্ট ভালো না দেখেন জোর করে ট্রেড করতে যাবেন না, ঐ দিনের মত ট্রেড সমাপ্তি ঘোষণা করুন। জোর করে টার্গেট ফিলাপ করতে যাবেন না। ধন্যবাদ, আশা করি নতুন এবং পুরাতন সব ট্রেডারের কাজে লাগবে !
    1 point
  3. ফরেক্স মার্কেটে গোল্ড এবং অয়েল এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। কারন এই দুটি কমোডিটিস ফরেক্স মার্কেটে ট্রেডিং সিদ্ধান্ত গ্রহণে নেতৃস্থানীয় নির্দেশক হিসাবে ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন দেশের মাইন প্রোডাকশনে ২০১১ সালের জরিপে এককভাবে চীন এগিয়ে আছে এবং দ্বিতীয় স্থান দখল করে আছে অস্ট্রেলিয়া এবং তৃতীয় হচ্ছে ইউ.এস। এভাবে বিভিন্ন বছর বিভিন্ন দেশের প্রোডাকশন সেই দেশের কারেন্সিকে হিট করে। লক্ষ্য করবেন, বেশিরভাগ সময়ে ইউ.এস GOLD এর বৃহৎ উৎপাদনকারী দেশ থাকা সত্ত্বেও GOLD এর সাথে USD এর বিপরীত সম্পর্ক থাকে। এর পেছনে মুল কারন হচ্ছে GOLD’র প্রাইস সবসময় USD’র বিপক্ষে নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া আরো আকটি কারন হচ্ছে মাঝে মাঝে ইনভেস্টররা তাদের কেপিটেল কে USD থেকে GOLD এ স্থানান্তর করে রাখতে বেশি সেইপ মনে করে। গোল্ডঃ নিচের চিত্রটি দেখুন... অয়েলঃ সাধারণভাবেআমরা জানিঅয়েল/তেল এর মূল্য বৃদ্ধিতে বিশেষ করে ট্রান্সপোর্টেশন কস্ট বেড়ে যায়। সাথে সাথে ফিনিশডপ্রোডাক্টযেমন ইউটিলিটি এবং হিটিং কস্ট ও বাড়ে। যার প্রভাব বিশেষ করে তেল নির্ভর অর্থনীতির দেশ যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত ও অন্যান্য উন্নত দেশের উপর পড়ে। কিন্তু ব্যতিক্রম হল কানাডা যা বিশের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল মজুদকারী দেশ এবং নিট অয়েল রপ্তানিকারক যার কারনে অয়েল প্রাইস এর সাথে কানাডিয়ান ডলারের একটি ইতিবাচক সম্পর্ক দেখা যায় যা অনন্য উন্নত দেশের মধ্যে দেখা যায় না। এতক্ষণ যে বিষয়গুলো শিখলেন তার একটি টোটাল রুপ হল ইকোনমিক ক্যালেন্ডার, চুলন এইবার ইকোনমিক ক্যালেন্ডার দিয়ে কিভাবে ফান্ডামেন্টাল ইস্যু গুলো বুঝতে পারবেন তা দেখা যাক।
    1 point
  4. গত পর্বগুলোঃ Bullish Morning Star (Bearish Reversal Pattern) – বায় অর্ডারঃ টাইপঃ রিভার্সেল অর্ডারঃ লং (বায়) ক্যান্ডেলঃ ৩টি পূর্বের ট্রেন্ডঃ বেয়ারিশ সাকসেস রেইটঃ ৮৮ % তিনটি ক্যান্ডেলের সমন্বয়ে এই প্যাটার্নটি খুবই জনপ্রিয় এবং কার্যকর একটি বেয়ারিশ রিভার্সেল প্যাটার্ন। উক্ত প্যাটার্নে অনেকটা ইংরেজি U অক্ষরের মত শেইপ করে প্যাটার্নটি কার্যকর হয়। এই ক্ষেত্রে তৃতীয় ক্যান্ডেল্টি প্যাটার্ন নিশ্চিত করে থাকে। এই প্যাটার্ন এর মুল শর্তগুলো হলঃ বর্তমান মার্কেট ডাউনট্রেন্ড হতে হবে।প্রথম ক্যান্ডেলটি সেল ক্যান্ডেল হতে হবে।দ্বিতীয় ক্যান্ডেলটি হবে প্রথম ক্যান্ডেলের একটি গ্যাপে বায় অথবা সেল ক্যান্ডেল।এবং তৃতীয় ক্যান্ডেলটি প্রথম ক্যান্ডলের সমান হায়টে বায় ক্যান্ডেল হবে। অর্থাৎ একটি ডাউনট্রেন্ড মার্কেটে লম্বা একটি সেল ক্যান্ডেলের পরে একটি (ডযি- ঐ সব ক্যান্ডেলকে বলা হয় যে সব ক্যান্ডেল এর সামান্য বডি বা কোন বডি থাকবে না অথবা লং বা শর্ট আপার বা লাওয়ার শেডোর মাধ্যমে তৈরি হবে) ক্যান্ডেল এর অবস্থান যা বায় বা সেল যেকোন ক্যান্ডেল হতে হবে, এই অবস্থায় আপনি বুলিশ মর্নিং স্টার প্যাটার্নটির অয়েতে ট্রেড এর জন্য প্রুস্তুত হতে পারেন। খেয়াল রাখবে বেয়ারিশ/বুলিশ ডযি ক্যান্ডেল্টি যেন প্রথম সেল ক্যান্ডেলের পরে একটি গ্যাপে তৈরি হয় এবং তৃতীয় বায় ক্যান্ডেল্টি প্রথম ক্যান্ডেলের মোটামুটি সমান অবস্থানে তৈরি হয়। ঠিক তখনি প্যাটার্নটি পরিষ্কার হয় এবং আপনি ঐ প্যাটার্নে বায় ট্রেড করতে পারেন। প্যাটার্নটিকে আরো মজবুত করতে বায় এবং সেল ক্যান্ডেল গুলোর লম্বা বডি দেখে নিন কারন বডি যত অর্থাৎ ক্যান্ডেলগুলো যত লম্বা হবে প্যাটার্নটি তত শক্তিশালি হয় এবং ট্রেড সাকসেস ও অনেক ভালো আসে। এই প্যাটার্ন এর বিপরীত প্যান্টারন্টি হল বেয়ারিশ Evening Star Pattern তাই এটা নিয়ে আশা করি এর বেশ আলোচনার প্রয়োজন নেই। শুদুমাত্র Bullish Morning Star প্যাটার্ন এর বিপরীত টার্ন ধরে প্যাটার্ন বুঝে নিন এবং ট্রেড করুন। Bullish Side-by-Side white line Patterns (Bullish Continuation)- বায় অর্ডার টাইপঃ কনটিনিউশন – চলমান অর্ডারঃ লং (বায়) ক্যান্ডেলঃ ৩টি পূর্বের ট্রেন্ডঃ বুলিশ সাকসেস রেইটঃ ৯৫ % চমৎকার এই বুলিশ প্যাটার্নটি মোটামুটি রেয়ার বলা যায় তবে যদি মিলিয়ে ফেলতে পারেন তবে ভালো এবং নিশ্চিত ফলাফল পাবেন। বুলিশ মার্কেটের তিনটি বুলিশ ক্যান্ডেল এর সমন্বয়ে এই প্যাটার্নটি দেখা যায় যা অনেক বেশী কার্যকর লং একটি বুলিশ ট্রেড করার জন্য। এই প্যাটার্ন এর মুল শর্তগুলো হলঃ বর্তমান মার্কেটটি আপট্রেন্ড হতে হবে।যথারীতি প্রথম ক্যান্ডেল্টি ট্রেন্ডের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ বায় ক্যান্ডেল হতে হবে।দ্বিতীয় ক্যান্ডেলটি তৈরি হবে একটি গ্যাপ নিয়ে তাও বায় ক্যান্ডেল।এবং তৃতীয় ক্যান্ডেলটি হবে দ্বিতীয় ক্যান্ডেলের সমান অবস্থানে বায় ক্যান্ডেল। এই প্যাটার্নটি খুব সহজে ধরা যায়। স্বাভাবিক একটি বুলিশ মার্কেটে যখন একটি বায় ক্যান্ডেলের পরে আরো দুটি বায় ক্যান্ডেল সমান অবস্থানে গড়ে উঠে তখনি এই প্যাটার্নটি সাদৃশ্য হয় অর্থাৎ লং বা বায় ট্রেড করা যায়। এই ক্ষেত্রে মনে রাখবে আপনার রানিং ট্রেন্ডটা জাতে পারে বুলিশ হয় এবং মিডিয়াম বুলিশ ট্রেন্ড মার্কেটে এই প্যাটার্নটি সুন্দর কাজ করে। প্যাটার্নটিকে Side-by-Side বলার অর্থ হচ্ছে শেষ দুটি ক্যান্ডলের সমান বা পাশাপাশি অবস্থানে এই প্যাটার্নটি তৈরি হয় তাই। এই ক্ষেত্রে দুটি সাইড ক্যান্ডলের হাইট সমান না হতে পারে অর্থাৎ ট্রেডিং ফ্লো অনুযায়ী তারা ছোট বড় হতে পারে তবে তাদের শুরুটা সমান হলে প্যাটার্নটি সাদৃশ্য হয়। এই প্যাটার্নটি খুবই হাই রিলায়বিলিটি একটি প্যাটার্ন তাই অর্ডার করার আগে নিশ্চিত হউন যে প্যাটার্ন তৈরির সবগুলো পয়েন্ট মিলেছে কিনা।
    1 point
×
×
  • Create New...

Write what you are looking for and press enter or click the search icon to begin your search