Jump to content

Leaderboard

Popular Content

Showing content with the highest reputation on 04/19/2013 in Posts

  1. R.S.I –Relative Strength Index: এটি একটি মোমেন্টাম ইন্ডিকেটর যা মার্কেটের প্রাইস ওভারবট এবং ওভারসল্ড অবস্থা বোঝায় এবং নির্দিষ্ট একটি সময়ের এভারেজ বায় এবং সেল এর সীমানা নির্দেশ করা পূর্বক ট্রেডিং এ সহায়তা করে থাকে। এই ইন্ডিকেটরটি 0 থেকে 100 রেঞ্জের মধ্যে এক একটি স্কেলে মার্কেটের এক একটি অবস্থার নির্দেশনা প্রদান করে থাকে। স্কেল লেভেল অনুসারে সিগনালঃ ৫০ স্কেল লেভেলের উপরে – মার্কেট আপট্রেন্ডে আছে বলে নিশ্চিত করা হচ্ছে।৫০ স্কেল লেভেলের নিচে – মার্কেট ডাউনট্রেন্ডে আছে বলে নিশ্চিত করা হচ্ছে।৭০ স্কেল লেভেলের শীর্ষে - মার্কেটে অতিরক্ত বায় হয়েছে।৩০ স্কেল লেভেলের নিম্নে - মার্কেটে অতিরক্ত সেল হয়েছে। বায় ট্রেডঃ যখন RSI ওভারসল্ড লাইন ৩০ লেভেলের উপরের দিকে আড়াআড়ি (Cross) কেটে যাবে তখন বায় অর্ডার করতে পারেন। সেল ট্রেডঃ যখন RSI ওভারবট লাইন ৭০ লেভেলের নিচের দিকে আড়াআড়ি (Cross) কেটে যাবে তখন সেল অর্ডার করতে পারেন। RSI দিয়ে কিভাবে ট্রেড ক্লোজ করবেনঃ RSI যেমন খুব ভালো একটি ইন্ডিকেটর ট্রেডে এন্টার করার জন্য আবার তেমনি ভালো একটি ইন্ডিকেটর ও ট্রেড থেকে বের হওয়ার জন্য। অর্থাৎ এই ইন্ডিকেটরটি আপনাকে ট্রেডে ঢুকতে এবং বের হওয়ার সিগনাল দিবে। লক্ষ্য করবেন প্রাইস মুভমেন্টের উপর RSI প্রতিনিয়ত উপডেট হয় অর্থাৎ প্রাইস্ ট্রেন্ড আপ হলে RSI লাইন আপ ইন্ডিকেট করে আবার ডাউনট্রেন্ড হলে ডাউন ইন্ডিকেট করে, আপনি যখন বায় ট্রেড করবেন তখন আপনার লক্ষ্য থাকবে যে RSI ৭০ লেভেল ক্রস বা টাচ করেছে কি না সেই ক্ষেত্রে বেশি লাভের আশায় না থেকে ট্রেডটি ক্লোজ করে দিতে পারেন আবার যখন সেল ট্রেড করবেন তখন লক্ষ্য রাখবেন RSI ৩০ লেভেল টাচ করছে কি না সেই খেত্রেও আর বেশি লাভের রিস্ক না নিয়ে সেল ট্রেডটি ক্লোজ করে দিতে পারেন। বাউন্স ট্রেডিং আর ক্ষেত্রে ট্রেড ক্লোজ করতে ৭০ বা ৩০ লেভেল পর্যন্ত অপেক্ষা করলে নেগেটিভ সুফল আসতে পারে সেই ক্ষেত্রে ৫০ লেভেলে ট্রেড ক্লোজ করে দিবেন। অর্থাৎ আপনার বায় ট্রেড হবে ৩০ লেভেল থেকে ৫০ লেভেল এবং সেল ট্রেড হবে ৭০ লেভেল থেকে ৫০ লেভেল। এছাড়া RSI দিয়ে Divergence এবং Swing ট্রেড সহ অনেক স্ট্রেটিজিকেল ট্রেড করা যায় যা আমরা পরবর্তী এডভান্সড লেসনে সিখব।
    1 point
  2. MACD মুভিং এভারেজ ডাইভারজন্স অ্যান্ড কনভারজন্স MACD কিঃ হল Moving Average Convergence Divergence। এটি টেকনিক্যাল এনালাইসিসের খুবই জনপ্রিয় এবং স্ট্রুং একটি ইনডিকেটর। সারা পৃথিবী জুড়ে বিপুল পরিমানে ফরেক্স ট্রেডারদের অন্যতম জনপ্রিয় একটি টুল। MACD হল মূলত Exponential Moving Average 12 এবং 26 পিরিয়ড এর মধ্যকার পার্থক্য। এই ক্ষেত্রে MACD 12EMA থেকে 26EMAমাইনাস করে যা পায় তাই হল মেইন MACD লাইন। MACD এর সাথে আরো একটি সিগনাল লাইন থাকে যা বায় এবং সেল সিগনাল দেয়। MACD কেন? মার্কেট ট্রেন্ড সনাক্ত করার জন্য এই ইনডিকেটরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অনেকে ভালো ট্রেড করি কিন্তু শুধুমাত্র সঠিক ট্রেন্ডে ট্রেড করতে না পারার কারনে ট্রেন্ড চেইঞ্জ এর কারনে অনেকে আবার বিরাট লসে পড়ে যায়। এই দিক থেকে MACD আপনাকে রাইট ট্রেন্ডে থাকতে সাহায্য করবে। MACD হল মুভিং এভারেজ SMA এবং EMA এর সাথে সম্পৃক্ত একটি ইনডিকেটর। তবে অনেক ট্রেডাররা শুধুমাত্র EMA (Exponential Moving Average) মেথ ব্যাবহারের মাধ্যমে ট্রেড করতে পছন্দ করে এবং সেই ক্ষেত্রে SMA SIGNAL LINE ভেলু নাল করে ট্রেড করতে হয়। যাদের SMA (Simple Moving Average) এবং EMA (Exponential Moving Average) ডেপিরিয়ড সম্পর্কে ধারণা নাই তারা ভালো হয় আগে SMA এবং EMA বুঝে নিলে। MACD পরিচিতি এবং প্রস্তুতিঃ MACD কে MAC-D (ম্যাক-ডি ) বলে থাকে অনেকে। এই ইনডিকেটর এর মূল কম্পোনেন্ট হল MACD Main Line এবং MACD Signal Line. তবে মেইন লাইনটি সরাসরি লাইন হিসেবে না থেকে (হিস্টোগ্রাম) অর্থাৎ বার গ্রাফ হিসেবে একটি হরাইজেন্টাল লাইন এর উপরে এবং নিচে করে বায় অ্যান্ড সিগনাল ট্রেন্ড হিসেবে থাকে। MACD 26 Day Period এবং 12 Day Period এর মধ্যকার পার্থক্য বুঝতে হলে Insert>Indicators > Trend > Moving Average 26 Period EMA এবং 12 Period EMA সেট করে আপনার ট্রেডিং চার্টে নিয়ে আসুন। চিত্রটি লক্ষ্য করুন, চার্ট এর নিচের অংশে UP এবং DOWN বার জুড়ে যে লাল রেখাটি দেখা যাচ্ছে তা হল সিগনাল লাইন এবং বার বা হিস্টোগ্রাম মিলিয়ে হল MACD। ডিফল্টভাবে MACD Parameter 12 For Fast or Shorter EMA and 26 For Slow or Longer EMA হিসেবে সেট করা থাকে। এবং সিগনাল লাইন ভেলু SMA 9 Period সেট করা থাকে। কারণ MACD Formula ই হলঃ MACD Formula: MACD = shorter term moving average - longer term moving average. অর্থাৎঃ MACD = EMA for 12 periods – EMA of 26 periods. আর অনেক EA প্রোগ্রামাররা নিজেদের মত করে MACD এডিট করে নানা রকম সাজসজ্জয় রুপ দিয়ে বিভিন্ন রকম Parameters সেট করে থাকে। কিন্তু MACD যেমন সাজে দেখতে পাননা কেন মূল কনসেপ্ট এটাই। MACD Buy and Sell Signal: সাধারণভাবে মুভিং এভারেজ ক্রস ওভারেই বায় বা সেল সিগনাল পাওয়া যায়। যদি MACD লাইন 0 level এর উপরে থেকে 12 Period Faster EMA লাইন 26 Period Slower EMA কে ক্রস করে মার্কেট তখন বুলিশ। বিপরীতভাবে যদি MACD লাইন 0 Level এর নিচে থেকে 26 Period Slower EMA লাইন 12 Period Faster EMA ক্রস করে মার্কেট তখন বেয়ারিশ। এটা সাধারণ ফরমুলা যা অন্য ইনডিকেটর দিয়ে ও বুঝতে পারা যায়। তাহলে MACD কেন ব্যাবহার করবো? হ্যাঁ মজাটা এখানেই , পর্বেই বলেছিলাম MACD আপনাকে ট্রেডে মজবুত থাকতে সাহায্য করবে। আসুন কিভাবে দেখি... নিচের চিত্রটি লক্ষ্য করুন......... মার্কেট আপ ট্রেন্ড এবং নিখুঁত সাপোর্ট লাইন দেখা যাচ্ছে আপনি হয়ত অপেক্ষা করছেন যে কখন সাপোর্ট লাইন ব্রেক করবে এবং আপনি শর্ট অর্ডার করবেন। কিন্তু আবার ভয় ও আছে ব্রেক হওয়ার পরে যদি আবার সাপোর্ট লাইনকে টাচ করে তাহলে ট্রেন্ড বাউন্স হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেল ট্রেন্ড নিশ্চিত হওয়ার জন্য দেখবেন ট্রেন্ড ব্রেক হওয়ার আগেই MACD কয়েকটা রিভারসেল বার তৈরি করে ফেলেছে। যখন ক্যান্ডেলস্টিক সাপোর্ট লাইন এর নিচে ক্লোজ হয় ঠিক একই সময়ে MACD লাইন নিচের দিকে নামতে থাকে। যদিও MACD এখনো 0 লেভেলের উপরে কিন্তু ঠিক এই মুহূর্তে আপনি সেল অর্ডার দিতে পারেন এবং প্রফিট নিবেন পরবর্তী সাপোর্ট লেভেল পর্যন্ত। MACD ডাইভারজন্স: হল একটি আপট্রেন্ড মার্কেট এর শক্তিশালী ব্রেক পয়েন্ট ধরে ট্রেড করে নেওয়ার জনপ্রিয় একটি টেকনিক্যাল স্ট্রেটিজি। ট্রেন্ড ব্রেক আউট ট্রেন্ডে ট্রেডাররা সবচেয়ে বেশি প্রফিট করে থাকে। আপনিও এই পদ্ধতিতে অনেক প্রফিট নিতে পারেন যদি সঠিক সময়ে ট্রেডে প্রবেশ করতে পারেন এবং ট্রেন্ড ব্রেক নিশ্চিত হতে পারেন। আর এই ট্রেন্ড ব্রেকঅউট নিশ্চিত হওয়ার জন্য একেক ট্রেডার একেক ধরণের স্ট্রেটিজি ব্যাবহার করে থাকে, তবে অনেক ট্রেডারদের কাছে MACD Divergance ট্রেড ব্রেকঅউট স্ট্রেটিজিটি খুবি জনপ্রিয় কারণ এর ট্রেন্ড সিগনাল অনেক বেশি কার্যকর। এটি MACD বারের সমন্বয়ে তৈরি একটি জনপ্রিয় এবং শক্তিশালী ট্রেন্ড সিগনাল। যা আমরা MACD Divergance নামে জানি। চিত্রটি লক্ষ্য করুন ... আপ মার্কেট যখন ট্রেন্ড উঁচু থেকে উচ্চতর (Higher High) ব্যাবধান করেছে ঠিক সেসময়ে MACD বার নিম্ন উচ্চতর (Lower High) বারের মাধ্যমে নিচে নামতে শুরু করে রিভার্সেল ট্রেন্ডের সিগনাল দিচ্ছে। এখন ট্রেন্ড নিশ্চিত হওয়ার পালা, যখন MACD বার নিম্নমুখী এবং ট্রেন্ড লাস্ট সাপোর্টকে ক্রস করল, এই মুহূর্তে মার্কেট রিভারসেল ট্রেন্ড নিশ্চিত হয়ে MACD Divergance ফর্ম ধরে নিশ্চিত সেল ট্রেড করা হয়। অর্থাৎ MACD Divargance স্ট্রেটিজিতে থেকে আপনি বুঝতে পারবেন যে বর্তমান আপট্রেন্ড মার্কেট এখনকার মত এখানেই শেষ সুতরাং আপনি বর্তমান ট্রেন্ডের ফ্রেন্ড হয়ে রিভার্সেল অর্ডার (সেল) ট্রেড করে ভালো প্রফিট করে নিতে পারেন। MACD কনভারজন্স: MACD কনভারজন্স হল ডাউনট্রেন্ড মার্কেটে এর ব্রেক পয়েন্ট ধরে ট্রেন্ডে চেঞ্জে রিভার্সেল অর্থাৎ বায় ট্রেড করা। এই ক্ষেত্রে MACD বার উপরের দিকে তৈরি হতে শুরু করে ট্রেন্ড চেঞ্জ করতে থাকবে। এটা আর বিস্তারিত না-ই বললাম। MACD Divergance অনুসারে বিপরীত মুখী ট্রেন্ড ধরে আশা করি বুঝে নিতে পারবেন। MACD Divergance এর বিপরীত ফর্মুলা ধরে স্ট্রেটিজিটা নিজেরাই বুঝে নিন। আশা করি পারবেন।
    1 point
  3. পিপস হ্যাকিং উইথ বেস্ট ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন - [পর্ব -১] ক্যান্ডেলস্টিক কিঃ ফরেক্স ট্রেডিং চার্টের এক প্রকার চার্ট হল ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট। যা জাপানিজ ফরমুলায় তৈরি ফরেক্স টেকনিক্যাল এনালাইসিস এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ‘ফরেক্স মার্কেটের প্রাইস পরিবর্তনের বিভিন্ন পদ্ধতিকে ক্যান্ডেলস্টিক এর বিভিন্ন ফর্মের সাথে সংজ্ঞায়িত করে ট্রেডিং এর যে একটি পদ্ধতি তা-ই ক্যান্ডেলস্টিক এনালাইসিস’। যেখানে আপনি ক্যান্ডেলস্টিক বিভিন্ন প্যাটার্ন দেখে পরবর্তী মার্কেট প্রাইস সিগনাল পেয়ে যাবেন। আপনার আমার মুল টার্গেট হচ্চে পিপস অর্জন করা, মুলত এই পিপস অর্জনের জন্য ফরেক্স ট্রেডিং সারা পৃথিবী জুড়ে ভিবিন্ন ট্রেডাররা বিভিন্ন রকম স্ট্রেটিজি এবং ফর্মুলা ব্যাবহার করে থাকে। যে যত বেশি ফর্মুলা, টেকনিক এপ্লাই করছে সে তত বেশি পিপস মেকিং এ এগিয়ে আছে, ফরেক্স ট্রেডিং এর অনেক স্ট্রেটিজি অনেক বস কাজ দেয় আবার কিছু কিছু স্ট্রেটিজি খুবই নিরাশ করা। এটা আপনাকে মেনে নিতে হবে কারণ মানুষ কতৃক সব সৃষ্টির এটাই স্বাক্ষর। আবার অনেক ক্ষেত্রে অনেকেই অনেক রকম চমক দেখাচ্ছে। তাই নিরাশ হওয়ার কারণ নাই। তবে সেই ক্ষেত্রে আপনার যা করনীয় তা হল ভালোভাবে অনুশীলন করে তারপর ফাইনালি ব্যাবহার করা। যেহেতু ফরেক্স ট্রেডিং এর স্ট্রেটিজির কোন সীমারেখা নাই তাই এখানে শেখার ও কোন শেষ নেয়। তাই আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম জাপানিজ ট্রেডিং থিওরি ‘ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন ট্রেডিং’ । আপনারা জেনে খুশি হবেন যে বিশের অনেক এক্সপার্ট ট্রেডার রয়েছে যারা শুধুমাত্র ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন দিয়ে ট্রেড করে। তাই এই পদ্ধতিটাকে ও আপনার আমার ছোট করে দেখার কোন কারণ নাই। যাহোক, এবার শুরু করা যাক । ক্যান্ডেলস্টিক শত শত প্যাটার্ন রয়েছে সব গুলো প্যাটার্ন আপনার পক্ষে মনে রেখে ট্রেড করা সম্ভব নয়। এবং সব গুলো ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন এর কাজে আপনি পুরোপুরি সন্তুষ্ট থাকবেন না। তাই মুলত যেসব ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন গুলোর ভালো ট্রেডিং সাকসেস রেইট রয়েছে আমি মুলত সেই প্যাটার্ন গুলো নিয়ে আলোচনা করব। পরিচিতিঃ ক্যান্ডেলস্টিক চার্টে আপনি দু’ধরনের ক্যান্ডেল পাবেন, একটি হল বায় ক্যান্ডেল এবং আরেকটি হল সেল ক্যান্ডেল। বায় ক্যান্ডেল সাধারণত(Green or May be Hollow) এবং সেল ক্যান্ডেল (Red or May be Filled) কালার হয়ে থাকে। অবশ্য আপনি চাইলে আপনার পছন্দমত কালারে সাজাতে পারেন। ক্যান্ডেল এর মুল বডি’র উপরে-নিচে যে দুটি রেখা থাকে সেগুলোকে Shadow বলা হয়, উপরেরটিকে আপার শেডো এবং নিচের টিকে লওয়ার শেডো বলা হয়। প্রাইস যদি ক্যান্ডেল এর নিচ থেকে শুরু(Open) করে উপর দিকে শেষ(Close) হয় তখন তাকে বায় ক্যান্ডেল বলা হয় এবং প্রাইস উপর থেকে শুরু(Open) হয়ে নিচের দেকে শেষ(Close) হয় তাকে সেল ক্যান্ডেল বলা হয়। অর্থাৎ একটি ক্যান্ডেলে আপনি চারটি প্রাইস ভেলু পাবেন, Open, Close, High and Low. এবং আপনি যে টাইম ফ্রেমে থাকবেন এক একটি ক্যান্ডেল এর ব্যাপ্তি হবে সেই সময় পর্যন্ত। ধরি আপনি ১৫ মিনিট টাইম ফ্রেমে আছেন তাহলে প্রতিটি ক্যান্ডেল তৈরি বা শেষ হবে ১৫ মিনিট পরপর। এই ক্ষেত্রে আপনি খুব সহজে আপনার কম্পিউটারের ঘড়ির সাথে মিলিয়ে নিতে ক্যান্ডেল শুরু এবং শেষ টা নিশ্চিত হতে পারেন। ধন্যবাদ, পরবর্তী পর্ব নিয়ে খুব শিগ্রই আসবো।
    1 point
  4. গত পর্বটি ঃ Three stars in the South(Bear Reversal Pattern) - বায় অর্ডারঃ টাইপঃ রিভার্সেল অর্ডারঃ লং (বায়) ক্যান্ডেলঃ ৩টি সাকসেস রেইটঃ ৮৯ % ডাউনট্রেন্ড মার্কেটের পরপর তিনটি ক্রমগতিক ক্যান্ডেলের মাধ্যমে Three stars in the South ক্যান্ডেল প্যাটার্ন তৈরি হয়। এক্ষেত্রে লক্ষণীয় যে প্রথম ক্যান্ডেল থেকে দ্বিতীয় ক্যান্ডেল একটু ছোট এবং তৃতীয় ক্যান্ডেল আরো ছোট হয়ে আসার মানে হল সেল ফোর্স আস্তে আস্তে কমে আসছে এবং মার্কেটে বায়ার উপস্থিতি বাড়ছে এবং বায় ট্রেন্ডে মোড় নিচ্ছে। এই প্যাটার্ন এর মুল শর্তগুলো হলঃ মার্কেট ডাউনট্রেন্ড হতে হবে।তিনটি ক্যান্ডেলের প্রথম ক্যান্ডেলটি অনেকটা হ্যামার ক্যান্ডেল এর মত হবে।দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ক্যান্ডেল গুলো মারবুজি(যে সব ক্যান্ডেল এর শেডো নাই) বা লো শেডোযুক্ত হবে।দ্বিতীয় ক্যান্ডেলটি প্রথম ক্যান্ডেল এর চেয়ে লো প্রাইস লেভেল হবে এবং তৃতীয় ক্যান্ডেল দ্বিতীয় ক্যান্ডেল এর চেয়ে আরো লো প্রাইস লেভেল হবে। অর্থাৎ তিনটি ক্যান্ডেল দেখতে একটি সিঁড়ির নিম্নমুখী ধাপ এর মত হবে। Bullish Three stars in the South প্যাটার্ন এর ক্যান্ডেল গুলো খুব আস্তে আস্তে নিম্নমুখী একটি ট্রেন্ডে পরপর একটি হায়ার লো লেভেলে এগুতে থাকবে। প্রথম ক্যান্ডেল এর লং লাওয়ার শেডো যত বড় হবে ট্রেন্ড রিভার্সেল তত বেশি স্পষ্ট হবে। প্রথম ক্যান্ডেলটির Long Lower Shadow এবং Short Upper Shadow অথবা No upper Shadow, যা দেখতে হ্যামার ক্যান্ডেল এর মত হবে। যদি প্রথম ক্যান্ডেল এর চেয়ে দ্বিতীয় ক্যান্ডেল লাওয়ার না হয় তাহলে প্যাটার্নটি স্পষ্ট হবে না, ঠিক একই কথা তৃতীয় ক্যান্ডেল এর বেলায় ও। বটমিং মার্কেটের সেল ক্যান্ডেল পূর্ববর্তী ক্যান্ডেল এর কম সেলে যাওয়ার মানে হল বর্তমান সেল ট্রেন্ডটি ক্রমশ দুর্বল হয়ে আসছে এবং সেল ভলিয়াম কমতে শুরু করছে, তাই এই ধরনের প্যাটার্নে আপনি সেল রিভার্স ট্রেন্ড করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে মার্কেট প্রাইস রেঞ্জ তথা ক্যান্ডেলগুলো দেখতে একটি সাইমেট্রিকেল ট্রাইএঙ্গেল চার্ট প্যাটার্ন এর মত হতে পারে। ট্রেন্ড এর অবস্থা এবং ক্যান্ডেল এর সাইজ দেখে কতক্ষণ ট্রেড কন্টিউনিউ করবেন তা নিজে নিজেই ঠিক করুন। বেশির ভাগ ফলাফলে এই Three stars in the South প্যাটার্ন গুলো ডে-ক্যান্ডেল এনালাইসিসে বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখে। Three black Crows (Bullish Reversal Pattern) - সেল অর্ডারঃ টাইপঃ রিভার্সেল অর্ডারঃ শর্ট (সেল) ক্যান্ডেলঃ ৩টি সাকসেস রেইটঃ ৯১ % এই প্যাটার্নটি Three stars in the South এর বিপরিত অনেকটা। Up Trend মার্কেটে পরপর তিনটি সেল ক্যান্ডেল এ এই প্যাটার্ন তৈরি হয় যেখানে ক্যান্ডেলগুলো একটি আরেকটির কম সেল না করে বরং সমান বা তার চেয়ে বেশি সেলের মাদ্ধমে সেল ট্রেন্ডকে শক্তিশালি করতে থাকে। Up Trend মার্কেটের পরে এই ধরনের ক্যান্ডেল তৈরি হয়ে বায় ট্রেন্ডকে দুর্বল করতে থাকে। এবং প্যাটার্ন নিশ্চিত হওয়ার মাধ্যমে Bullish Reversal অর্থাৎ সেল ট্রেড করা যায়। এই প্যাটার্নটি নিয়ে আর বিস্তারিত বললাম না, Three stars in the South প্যাটার্নটি টি ভালোভাবে পড়লে এবং বুঝলে এই প্যাটার্নটি ও একদম পরিষ্কার হয়ে যাবে।
    1 point
  5. কিছুদিন আগে আমাদের আগের পোস্ট এ মারটিঙ্গেল ট্রেডিং সিস্টেম এর সম্পর্কে ধারনা দিয়েছি। যেটা খুবই ভাল একটা উদ্যোগ। যারা পোস্টটি দেখেন নি তারা এই এ ক্লিক করুণ । ঠিকমত MM ঠিক থাকলে এই প্রক্রিয়া খুব ভাল কাজ দেয় । তবে এখানে বিশেষ বিশেষ কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে । এই system নিয়ে কাজ করতে হলে Huge পরিমাণ Balance থাকতে হবে । অন্তত পক্ষে Total balance দিয়ে যাতে নুন্নতম ১০-১৫ টা Trade open করা যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ লট সাইজ বারিয়ে ট্রেড করতে থাকলে পর পর ১০ টা ট্রেডে সাধারনত লস হবার সম্ভাবনা থাকেনা। profit হতে থাকলেই লট সাইজ বারিয়ে দেয়া ঠিক হবেনা, আমার অভিজ্ঞতা থেকে আমি মনে করি মুল balance এর সাথে ২০০-৩০০ $ যোগ হলেও লট সাইজ বারিয়ে দেয়াটা চরম বোকামি। বিশেষ বিশেষ কিছু সময়ে ট্রেড করা থেকে দূরে থাকতে হবে। বিশেষ করে যখন 1H, 4H এর time frame এ price support বা resistance level এ থাকে, কারণ তখন breakout হলে মার্কেট এর volality বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যেসকল News time এ মার্কেট ১০০-২০০ পিপ্স মুভমেন্ট করার সম্ভাবনা থাকে ঐ সময় এই ধরনের কোন system নিয়ে কাজ না করাই ভাল । এই ধরনের সিস্টেম এ stop loss use না করাই ভাল। তবে take profit অবশ্যই ব্যাবহার করা উচিৎ। Long time এ এই ধরনের সিস্টেম কতটুকু ভাল কাজ করবে জানিনা কিন্তু short time frame এ এই সিস্টেম খুবই ভাল কাজ দেয়। এই ধরনের সিস্টেম নিয়ে কাজ করার সময় নিজেকে জুয়াড়ি বানিয়ে ফেলা ঠিক না, অল্প অল্প করে লাভ নিতে থাকলে মাস শেষে বেশ ভাল রকমের লাভ থাকে। নুন্নতম ৬ মাস ডেমো করে নিজের সুবিধা অসুবিধা গুলো বুঝে নেয়া উচিৎ। ডেমো এবং আসল ট্রেডিং এ অনেক পার্থক্য থাকে, বিশেষ করে এই সিস্টেমে কাজ করার জন্য অনেক margin এর দরকার হয় যা ডেমো তে বেশি পাওয়া যায় কিন্তু আসল ট্রেডিং এ দেখা যায় কম, সুতরাং আসল ট্রেডিং শুরু করার আগে ব্রকার সম্পর্কে ভাল ধারনা নেয়া প্রয়োজন। এই সিস্টেম এ ব্রকার এর spread যত কম হবে আপনার লাভের সম্ভাবনা ততই বেশি থাকবে। সবশেষে একটি কথা বলতে চাই যে এই সিস্টেম সবার জন্য নয়, যারা ডেমো করে নিজেকে এই ধরনের কোন সিস্টেমের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারবেন তারাই শুধুমাত্র এই সিস্টেম নিয়ে Real treading শুরু করতে পারেন। টিউনটি ভাল লাগলে আমার এই পেজটি থেকে ঘুরে আসতে পারেন ।
    1 point
  6. ------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------- Bearish Deliberation (Bullish Reversal Pattern) – সেল অর্ডারঃ টাইপঃ রিভার্সেল অর্ডারঃ শর্ট (সেল) ক্যান্ডেলঃ ৩টি পূর্বের ট্রেন্ডঃ বুলিশ সাকসেস রেইটঃ ৮০ % এই প্যাটার্নটি Three white soldiers এর পরিক্রমায় আরেকটি প্যাটার্ন যেখানে তৃতীয় ক্যান্ডেল্টির দুর্বলতায় মার্কেট চেঞ্জ তথা একটি নতুন প্যাটার্ন সাদৃশ্য হয় এবং ট্রেন্ড রিভার্স করে। এই প্যাটার্ন এর মুল শর্তগুলো হলঃ মার্কেট দীর্ঘ একটি আপট্রেন্ড থাকলে ভালো হয়।প্রথম এবং দ্বিতীয় ক্যান্ডেল্টি একটি দীর্ঘ বায় ক্যান্ডেল হতে হবে।প্রথম ক্যান্ডেল এর চেয়ে দ্বিতীয় ক্যান্ডেল এর ক্লোজিং অনেক হায়ারে হবে।তৃতীয় ক্যান্ডেল্টির ওপেন হবে দ্বিতীয় ক্যান্ডেল এর কাছাকাছি ক্লোজিং প্রাইসে তুলনামূলক আগের ক্যান্ডেল এর চেয়ে ছোট আকৃতিতে। একটি আপট্রেন্ড মার্কেটে যখন এই প্যাটার্নটি পরিলক্ষিত হয় তখন ট্রেডার এটা বুঝে নেয় যে বর্তমান মার্কেট আরো বায় ট্রেডের জন্য দুর্বল হয়ে গেছে বা এর লং ট্রেড এর চিন্তা করে লাভ নেই অর্থাৎ প্রোডাক্ট ডিমান্ড তখনকার মত কমে গেছে বা ট্রেন্ড চেঞ্জ হয়ে তা সেল মুখী হয়ে যাচ্ছে। এইক্ষেত্রে একটি বিষয় খুব ভালোভাবে দৃষ্টিতে নিতে হবে যে প্রথম আবং দ্বিতীয় ক্যান্ডেল্টির পরে তৃতীয় ক্যান্ডেল এর সুচনা কিন্তু ধারাবাহিক হলে একটি ছোট গ্যাপ প্যাটার্নটিকে অনেক মুজবুত করে। এবং তৃতীয় ক্যান্ডেলটি খুবই ছোট সামান্য বডি আকৃতির হয়। তাই অর্ডার এর পূর্বে ছোট ছোট এই বিষয়গুলো মনে রেখে অর্ডার করলে ট্রেড পারফেকশন অনেক ভালো হয়। Two black gapping (Bullish Reversal Pattern) – সেল অর্ডারঃ টাইপঃ রিভার্সেল অর্ডারঃ শর্ট (সেল) ক্যান্ডেলঃ ৩টি পূর্বের ট্রেন্ডঃ বুলিশ সাকসেস রেইটঃ ৯৫ % এই প্যাটার্নটিকে Bearish Upside Gap Two Crows Pattern ও বলা হয়ে থাকে যা একটি স্ট্রং টপ রিভার্সেল প্যাটার্ন। তিনটি ক্যান্ডেল এর সমন্বয়ে গঠিত এই প্যাটার্নটি কিছুটা জটিলই আছে তবে কাজের দিক থেকে এই প্যাটার্নটি অনেক ভালো এবং ইফেক্টিভ রেজাল্ট দেয়। এই প্যাটার্ন এর মুল শর্তগুলো হলঃ পূর্বের মার্কেটটি আপট্রেন্ড মার্কেট হতে হবে ।একটি লং বায় ক্যান্ডেল এর মাধ্যমে প্যাটার্নটির সুচনা হবে।দ্বিতীয় ক্যান্ডেলটি হবে সেল ক্যান্ডেল একটি ভালো গ্যাপের মাধ্যমে।তৃতীয় ক্যান্ডেল্টি হবে সেল ক্যান্ডেল যা দ্বিতীয় সেল ক্যান্ডেলকে পুরোপুরি এনগালফ করবে। কিছুটা জটিল এই প্যাটার্নটির মুল বিষয় হচ্ছে একটা গ্যাপ। অর্থাৎ প্রথম ক্যান্ডেলটি একটি স্ট্রং বায় ক্যান্ডেল যার পরের ছোট সেল ক্যান্ডেল যখন একটি গ্যাপে তৈরি হয় যার রিয়েল বডি প্রথম ক্যান্ডেল এর ওপেন প্রাইস এর উপরে থাকে অথবা শেডো সামান্য পরিমানে প্রথম ক্যান্ডেল এর ওপেন প্রাইস কে টাচ করে থাকে। ঠিক বিপরীতভাবে তৃতীয় সেল ক্যান্ডেলটি মুলত এই প্যাটার্নটিকে নিশ্চিত করে অর্থাৎ তৃতীয় ক্যান্ডেলটি প্রথম ক্যান্ডেল এর প্রাইস লেভেলের উপরে থেকে দ্বিতীয় ক্যান্ডেল এর সম্পূর্ণ বডিকে গ্রাস বা এনগালফ করে। এই ক্ষেত্রে ক্যান্ডেলটির হায়ার প্রাইস হবে দ্বিতীয় ক্যান্ডেল থেকে হাই এবং লাওয়ার প্রাইস লেভেল হবে তাও দ্বিতীয় ক্যান্ডেল থেকে লো।
    1 point
  7. গত পর্বগুলো ঃ Bullish Three Inside Up (Bearish Reversal Pattern) – বায় অর্ডারঃ টাইপঃ রিভার্সেল অর্ডারঃ লং (বায়) ক্যান্ডেলঃ ৩টি পূর্বের ট্রেন্ডঃ বেয়ারিশ সাকসেস রেইটঃ ৮৫ % Bullish Three Inside Up Pattern হল Confirmed Bullish Harami Pattern এর আরেকটি নাম। তৃতীয় বুলিশ ক্যান্ডেলের আবির্ভাবই হল বেয়ারিশ রিভার্সেল অর্থাৎ বুলিশ ট্রেন্ড এর সুচনা। এই প্যাটার্ন এর মুল শর্তগুলো হলঃ পূর্বের মার্কেট হবে ডাউনট্রেন্ড।মুল প্যাটার্নটি প্রথম এবং দ্বিতীয় ক্যান্ডেলে পরিলক্ষিত হবে।তৃতীয় দিনের বুলিশ ক্যান্ডেলটি হবে দ্বিতীয় দিনের ক্যান্ডেলের হাই প্রাইস লেভেল ক্লোজে। Bullish Three Inside Up Pattern বা Confirmed Bullish Harami Pattern এর মুল ক্যান্ডেল অর্থাৎ একটা লং ডাউনট্রেন্ড এর পরে শেষ সেল ক্যান্ডেল(প্যাটার্ন এর প্রথম ক্যান্ডেল) এর পরে প্রথম ক্যান্ডেল এর মিডিয়াম সাইজে দ্বিতীয় বুলিশ ক্যান্ডেলটি এই প্যাটার্ন নির্দেশ করে তারপর তৃতীয়দিনের লং বুলিশ যা ক্লোজ হবে দ্বিতীয় বুলিশ ক্যান্ডেলের প্রাইস ক্লোজ লেভের উপরে। অর্থাৎ এই প্যাটার্নে তৃতীয় ক্যান্ডেলটিই মুলত প্যাটার্ন কনফার্ম করে। ক্যান্ডেলগুলো শর্ট অথবা নো আপার এবং লাওয়ার শেডো হলে ট্রেন্ডটি তুলনামুলক মুজবুত হয়। তাই যদি এমন হয় জে কোন শেডোই নেই তাহলে আরো নিশ্চিত হওয়া যায় জে আপনি সঠিক ট্রেন্ডেই আছেন। এই প্যাটার্নটি ভালোই কাজ দেয় এবং এই প্যাটার্ন এর বেশিরভাগ ট্রেড সফল হয়। আমার ক্যান্ডেলস্টিক আলোচনায় মুলত ঐ সব প্যাটার্ন নিয়ে আলোচনা করছি যেগুলোর সফলতা ৮০% এর উপরে তাই প্যাটার্নগুলো নিয়মিত ফলোয়াপে রাখলে আশা করি কোন ইনডিকেটর লাগবে না ট্রেড করতে। তবে একটা বিষয় মনে রাখবে শর্ট টাইম ট্রেডিং এ ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্নগুলো খুব একটা ভালো কাজ দেয় না, তাই সফল এবং নিখুত ট্রেডিং এর জন্য প্যাটার্নগুলোকে ডে-ট্রেডিং চার্টে ব্যাবহার করুন। Bearish Three Inside Down Patter (Bullish Reversal Pattern) সেল অর্ডারঃ টাইপঃ রিভার্সেল অর্ডারঃ শর্ট (সেল) ক্যান্ডেলঃ ৩টি পূর্বের ট্রেন্ডঃ বুলিশ সাকসেস রেইটঃ ৮৫ % Bearish Three Inside Down Pattern হল Confirmed Bearish Harami এর আরেক নাম। এই ক্ষেত্রে তৃতীয় ক্যান্ডেলটিই হল ট্রেন্ড কনফার্ম ক্যান্ডেল। এই প্যাটার্ন এর মুল শর্তগুলো হলঃ মার্কেট একটি লং আপট্রেন্ড হতে হবে।প্রথম দুই দিনের মার্কেটে একটি বেয়ারিশ হরমি প্যাটার্ন সাদৃশ্য হবে।ফাইনাল তথা তৃতীয় ক্যান্ডেলটির ক্লোজ হবে দ্বিতীয় দিনের প্রাইস ক্লোজ এর নিচে। এই প্যাটার্নটি ট্রেন্ডের জেকোন অবস্থায় হবে পারে যেমন ট্রেন্ডের শুরুতে বা ট্রেন্ডের মাঝখানে অথবা একেবারে ট্রেন্ডের শেষে। কিন্তু পারফেকশন এর দিক দিয়ে চিন্তা করলে ট্রেন্ডের শেষে এই প্যাটার্ন এর আবির্ভাব ভালো এবং সফল কাজ দেয়। Bullish Three Inside Up Pattern বিপরীত এই ট্রেন্ডটি একটি মোটামুটি জটিল কিন্তু সফল একটি প্যাটার্ন। তাই প্যাটার্নগুলো কে অবহেলা না করে বরং এর বিহেবিয়ার বুঝে ট্রেড করতে পারলে টেকনিক্যাল এনালাইসিসের চেয়ে ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব। প্রথম দিনের প্রথম দিনের লং বুলিশ ক্যান্ডেল এর পরে দ্বিতীয় সেল ক্যান্ডেলটি তার মাঝামাঝি অবস্থানে শেষ হয়ে তৃতীয় ক্যান্ডেলটি আবার তার চেয়ে লং হয়ে প্যাটার্নটিকে শক্তিশালি করে।
    1 point
  8. Bearish Kicking (Bearish Reversal Pattern) – সেল অর্ডার টাইপঃ রিভার্সেল অর্ডারঃ শর্ট (সেল) ক্যান্ডেলঃ ২টি পূর্বের ট্রেন্ডঃ যে কোন সাকসেস রেইটঃ ৯৬ % এটি একটি রিভার্সেল প্যাটার্ন যা বায় বা সেল যেকোন ট্রেন্ডে হতে পারে। যা একটি কন্টিনিয়াস ডাউন মার্কেট নির্দেশ করে। প্রথম দিনের একটি বায় মারবুজু ক্যান্ডেল এর পরে আরেকটি সেল মারবুজু ক্যান্ডেল এর সমন্বয়ে এই প্যাটার্নটি তৈরি হয় একটি প্রাইস গ্যাপ দিয়ে যা খুব কম দেখা যায় কিন্তু এই প্যাটার্নটি অনেক খুবই শক্তিশালি । এই প্যাটার্ন এর মুল শর্তগুলো হলঃ এই প্যাটার্নে পূর্ববর্তী মার্কেট যেকোন ট্রেন্ড হতে পারে।প্রথম ক্যান্ডেলটি বুলিশ মারবুজু ক্যান্ডেল হতে হবে।দ্বিতীয় ক্যান্ডেলটি হবে বেয়ারিশ মারবুজু ক্যান্ডেল।দ্বিতীয় ক্যান্ডেলটি ওপেন হবে প্রথম ক্যান্ডেলের নিতে একটি প্রাইস গ্যাপের মাধ্যমে। দ্বিতীয় দিনের ক্যান্ডেলটি প্রথম দিনের প্রাইস ক্লোজ লেভেল এর নিচ থেকে ওপেন হওয়ার মানে হচ্ছে বুলিশ মার্কেট দুর্বল হয়ে বেয়ারিশ ট্রেন্ডে যাচ্ছে বা বেয়ারিশ মার্কেট ক্রমাগত আরো স্ট্রং হচ্ছে। অর্থাৎ এই প্যাটার্নে প্রাইস গ্যাপ ফিলআপ না করে বরং কনটিনিয়াস ট্রেন্ড অব্বহত রাখে। যেখানে প্রাইস আপে গিয়ে গ্যাপ ফিলআপ করে না। এই প্যাটার্নে ক্যান্ডেলগুলো ছোট লওয়ার বা আপার সেডো যুক্ত হতে পারে, অথবা কোন সেডো না হয়ে সরাসরি মারবুজু ক্যান্ডেল হয়ে তৈরি হতে পারে। এই প্যাটার্নটির কার্যকারিতা অনেক তাই প্যাটার্ন নিশ্চিত হয়ে ট্রেড করলে অর্ডার ব্রেক হওয়ার কোন সুযোগ থাকে না। এই প্যাটার্নটি অনেকটা BEARISH SEPERATING LINES এর মত তবে পার্থক্য হল BEARISH SEPERATING LINES প্যাটার্নে দ্বিতীয় ক্যান্ডেলটি প্রথম ক্যান্ডেল এর ক্লোজ প্রাইস লেভেল রেঞ্জে তৈরি হয় আর Bearish Kicking প্যাটার্নে দ্বিতীয় ক্যান্ডেলটি প্রথম ক্যান্ডেল আর ক্লোজ প্রাইস লেভেল আর নিচে তৈরি হয়। কিন্তু রিলাইভিলিটীর দিক থেকে Bearish Kicking প্যাটার্ন অনেক হাই। Bullish MAT HOLD (Bullish Continuous Pattern) – বায় অর্ডার টাইপঃ কনটিনিয়াস অর্ডারঃ লং (বায়) ক্যান্ডেলঃ ৫টি পূর্বের ট্রেন্ডঃ বুলিশ সাকসেস রেইটঃ ৮০ % Bullish MAT HOLD একটি স্ট্রং Bullish Continuous Pattern এই প্যাটার্নে বুলিশ মার্কেটের একটি লুং বুলিশ ক্যান্ডেল এর পরে পরপর আরো তিনটি বেয়ারিশ ক্যান্ডেল এর পর পঞ্চম ক্যান্ডেলটি বুলিশ কর্তৃত্বর প্রকাশ হচ্চে মার্কেট বায় ট্রেন্ড শক্তিশালি। এই প্যাটার্ন এর মুল শর্তগুলো হলঃ মার্কেট ট্রেন্ড বুলিশ হতে হবে।প্রথম ক্যান্ডেলটি একটি লং বুলিশ ক্যান্ডেল হবে।দ্বিতীয় ক্যান্ডেলটি একটি গ্যাপ নিয়ে সেল ক্যান্ডেল হবে।তৃতীয় এবং চতুর্থ ক্যান্ডেলগুলো ক্রমাগত সেল মুখী হয়ে প্রথম ক্যান্ডেল এর প্রাইস লেভেল পর্যন্ত কাভার করবে।সবশেষে পঞ্চম দিনের ক্যান্ডেলটি একটি লং বুলিশ ক্যান্ডেল রুপে তৈরি হবে। এই প্যাটার্নটি আপট্রেন্ড মার্কেট তৈরি হয় যা আরো অতিরিক্ত বায় ট্রেন্ড প্রসারণ নির্দেশ করে। প্রথম লং বায় ক্যান্ডেলটির পরে ছোট ছোট ক্রমাগত তিনটি সেল ক্যান্ডেল এর মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় যে মার্কেট বেয়ারিশ।
    1 point
  9. Three white soldiers (Bearish Reversal Pattern) – বায় অর্ডারঃ টাইপঃ রিভার্সেল অর্ডারঃ লং (বায়) ক্যান্ডেলঃ ৩টি পূর্বের ট্রেন্ডঃ বেয়ারিশ সাকসেস রেইটঃ ৯৫ % Bullish Three white soldiers প্যাটার্ন টি হল ডাউনট্রেন্ড মার্কেট এর একটি স্ট্রং রিভার্সেল প্যাটার্ন। একটি বড় ডাউনট্রেন্ড মার্কেটের পরে যখন পরপর তিনটি লং বায় ক্যান্ডেল সাদৃশ্য হয়ে নিচ থেকে উপরমুখী একটি সিঁড়ির মত তখন Bearish Three white soldiers Reversal Pattern ফর্ম হয়। এই ক্ষেত্রে ওপেনিং ক্যান্ডেল প্রাইস লেভেল বিগত দিনের ক্যান্ডেল প্রাইস ক্লোজ লেভেল এর একটি নিচ থেকে শুরু হয়। যা পরপর তিনটি ক্যান্ডেলে পৈছালে এই প্যাটার্নে বেয়ারিশ মার্কেট তথা সেলিং ফ্লো দুর্বল হয়ে গেছে বুঝে এবং মার্কেট বায় ট্রেন্ড বুঝতে পারা যায়। এই প্যাটার্ন এর মুল শর্তগুলো হলঃ মার্কেট ডাউনট্রেন্ড হতে হবে।পরপর তিনটি বায় ক্যান্ডেলস্টিক তৈরি হবে।প্রতিটি ক্যান্ডেলস্টিক একটি নতুন হায়ার লেভেল ক্লোজ হবে ।প্রতিদিনের ওপেনিং ক্যান্ডেলস্টিক পূর্বদিনের ক্যান্ডেলস্টিক বডির মোটামুটি অর্ধাংশ জুড়ে বেড়ে উঠবে। এই প্যাটার্নে ট্রেড করে ভালো ফলাফল পেতে নিশ্চিত হউন যে মার্কেট যথেষ্ট পরিমাণে সেল ট্রেন্ডে ছিল কি না, বড় কোন সেল ট্রেন্ড এর পরে এই প্যাটার্নে ট্রেড করে ১৫০-২০০ পিপস পর্যন্ত নেওয়া যায়। লং টাইম ট্রেডাররা এই সব প্যাটার্নে ৪০০ পিপস পর্যন্ত ইনকাম করে থাকে। এই প্যাটার্নটি ছোট টাইম ফ্রেমে খুব বেশি ভালো কাজ দেয় না। Bearish Breakway (Bullish Reversal Pattern) – সেল অর্ডারঃ টাইপঃ রিভার্সেল অর্ডারঃ শর্ট (সেল) ক্যান্ডেলঃ ৫টি পূর্বের ট্রেন্ডঃ বুলিশ সাকসেস রেইটঃ ৭০ % আপট্রেন্ড মার্কেটে একটি লম্বা বায় ক্যান্ডেল এর গ্যাপ এর পরে যখন ক্রমাগত ছোট হয়ে আরো তিনটি বায় ক্যান্ডেল তৈরি হয় তখন Bearish Breakway প্যাটার্ন সাদৃশ্য হয়। প্যাটার্নটি নিশ্চিত হওয়ার জন্য পঞ্চম ক্যান্ডেলটি সেল ক্যান্ডেল হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। প্রথম লং ক্যান্ডেলটির পরে ছোট ছোট আরো তিনটি বায় ক্যান্ডেল এর অবস্থা নির্দেশ করে যে বুলিশ মার্কেট কলাপ্স করছে অর্থাৎ বায়ার ফ্লো কমে যাচ্ছে। এই প্যাটার্ন এর মুল শর্তগুলো হলঃ মার্কেট আপট্রেন্ড হতে হবে।প্রথম দিনের বায় ক্যান্ডেলটি লং হতে হবে।একটি প্রাইস গ্যাপের সাথে পরবর্তী বায় ক্যান্ডেলটি প্রথম দিনের বায় ক্যান্ডেল এর উপরে থাকতে হবে।তৃতীয় এবং চতুর্থ ক্যান্ডেল গুলো সাধারণভাবে মুভ করবে পূর্ববর্তী ক্যান্ডেলের হায়ার প্রাইস লেভেলের মাধ্যমে।এবং শেষ পঞ্চম ক্যান্ডেলটি একটি বড় সেল ক্যান্ডেল হবে যা প্রথম ক্যান্ডেল এর প্রাইস গ্যাপকে ফিল করতে পারবে না কিন্তু ২য়-৪থ ক্যান্ডেল প্রাইস লেভেল কাভার করবে। এই প্যাটার্নটি প্রাইস গ্যাপে পরিলক্ষিত হয়। যেখানে মোট ৫টি ক্যান্ডেলকে মাথায় রেখে উপরের শর্ত মোতাবেক প্যাটার্ন নিশ্চিত হতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় মোটামুটি এভারেজ মার্কেটে অর্থাৎ খুব বেশি বায় বা সেল না হলে ও এই প্যাটার্ন তৈরিতে সপ্তাহের শুরুতে ট্রেড করতে পারবেন।
    1 point
×
×
  • Create New...

Write what you are looking for and press enter or click the search icon to begin your search