পিভট-পয়েন্ট (Pivot-Point): হল গাণিতিক ভাবে হিসেবকৃত এক ধরণের সংখ্যা বা মান যা দিয়ে ভবিষ্যৎ মার্কেট প্রাইস লেভেল বা সাপোর্ট অ্যান্ড রেসিসটেনস নির্ধারণ পূর্বক বায় এবং সেল সিগনাল দেয়া পাওয়া যায়। এক দিনের মার্কেট High , Low এবং Closing Price এর মাধ্যমে পিভট-পয়েন্ট হিসেব করে একটি pivot-point (PP) ভেলু সহ তিনটি সাপোর্ট লেভেল ভেলু এবং তিনটি রেসিসটেনস লেভেল ভেলু নির্ণয় করা হয়।
যদি মার্কেট প্রাইস PP ভেলুর উপরে থাকে তখন বুঝতে হয় মার্কেট আপট্রেন্ড এবং প্রাইস PP ভেলুর নিচে থাকে তখন বুঝতে হয় মার্কেট ডাউনট্রেন্ড।
উপরের ছবিটি খেয়াল করুন...
R1 = Resistance level one
R2 = Resistance level two
R3 = Resistance level three
PP = Pivot Point
S1 = Support level one
S2 = Support level two
S3 = Support level three
কিভাবে Pivot Point বের করবেনঃ
Previous Day high + Previous Day low + Previous Day closing / 3
কিভাবে Support & Resistance লেভেল বের করবেনঃ
R1 = (2 x Pivot Point) – Low (previous period)
S1 = (2 x Pivot Point) – High (previous period)
R2 = (Pivot Point – Support 1) + Resistance 1
S2 = Pivot Point – (Resistance 1 – Support 1)
R3 = (Pivot Point – Support 2) + Resistance 2
S3 = Pivot Point – (Resistance 2 – Support 2)
তবে এই কেলকুলেশন নিয়ে চিন্তার কোন কারন নাই, অনলাইনে পিভট পয়েন্ট বের করার অনেক টুল পাওয়া যায় যা দিয়ে এক নিমিষে সবগুলো পয়েন্ট পেয়ে যাবেন।
আমি একটি পিভট পয়েন্ট কেলকুলেটর লিঙ্ক দিলাম, এখান থেকে বের করতে পারেন।
পিভট পয়েন্ট, সাপোর্ট এবং রেসিসটেনস ভেলু তো বের করলেন, এইবার চুলন কিভাবে এই পিভট পয়েন্টে ট্রেড করা হয়।
কঠিন কোন বাক্যালাপে না গিয়ে সহজ ভাবে বলছি, পিভট পয়েন্ট ভেলু থেকে রেসিসটেনস তিনটিকে উপরের ৩টি সিঁড়ি এবং সাপোর্ট তিনটিকে নিচের তিনটি সিঁড়ির মত চিন্তা করুন, প্রাইস যখন বেড়ে উপরের প্রথম () সিঁড়িতে পৌঁছায় তখন পরবর্তীতে আরো বেড়ে ২য় এবং ৩য় সিঁড়িতে পৌঁছানোর একটি ট্রেন্ড থাকে । আবার প্রাইস যখন কমে নিচের প্রথম () সিঁড়িতে পৌঁছায় তখন পরবর্তীতে প্রাইস আরো কমে ২য় এবং ৩য় সিঁড়িতে পৌঁছানোর একটি ট্রেন্ড থাকে । এটি ঘটে যখন মার্কেট ভলাটিলিটি হাই থাকে, লো মার্কেট ভলাটিলিটিতে ৩টি লেভেল সব সময় ফীল আপ করে না।
উপরের ছবিতে দেখুন, প্রাইস সাধারণত যখন pivot point ভেলুকে যে দিকে ক্রস করে ক্লোজ হয় পরবর্তীতে প্রাইস সেদিকেই মুভ করতে থাকে। উপরের চিত্র অনুসারে প্রাইস pivot point ক্রস করার পর আপনি যখন বায় অর্ডার করবেন তখন R1 হবে আপনার জন্য টেকপ্রফিট লেভেল, আবার যখন R1 ক্রস করবে R2 হবে আপনার জন্য টেক প্রফিট এবং R1 হবে স্টপ লস। এই পদ্ধতিতে ট্রেড করে অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যায়, তবে মনে রাখবেন মাঝে মাঝে এইসব সিস্টেম ব্রেক করে তাই ভালো অনুশীলন না করে লাইভ মার্কেটে ট্রেড করতে যাবেন না।