Jump to content

Leaderboard

Popular Content

Showing content with the highest reputation on 10/06/2013 in Posts

  1. ১ # ট্রেন্ড পর্যবেক্ষণ ইন্ডিকেটরঃ ফরেক্স ট্রেড ওপেন করার পূর্বে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আপনি সঠিক ট্রেন্ডে আছেন কিনা তা নিশ্চিত হওয়া। অনেকে আমরা ট্রেড ওপেন করার পরে অনুভব করি যে আমার ট্রেডটি মনে হয় পজেটিভ ট্রেন্ডে নাই কিন্তু ততক্ষনে আর কিছু করার থাকে না। এই ক্ষেত্রে আপনি সিম্পল মুভিং এভারেজ এর ক্রসওভার দিয়ে প্রাথমিক ভাবে ট্রেন্ডটি নিশ্চিত হতে পারেন। আপনার ট্রেডের সময়সীমা অনুসারে আপনি নির্দিষ্ট SMA তে দেখে নিন যে বর্তমান ট্রেন্ডটি এখন কোথায় আছে সেই অনুসারে অর্ডার করুন। ক্রসওভারে ট্রেন্ড কনফার্ম এর উপায় হল Short SMA যদি Long SMA কে নিচ দিয়ে ক্রস করে তাহলে ডাউনট্রেন্ড এবং Short SMA যদি Long SMA কে উপর দিয়ে ক্রস করে তাহলে আপট্রেন্ড। ২# ট্রেন্ড কনফার্ম ইন্ডিকেটরঃ প্রাথমিকভাবে ট্রেন্ড দেখে নেওয়ার পরে কাজ হচ্ছে ট্রেন্ডটি সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত হওয়া। SMA দিয়ে আপনি যে ট্রেন্ডটি চিন্তা করেছেন এখন সময় হল তা নিশ্চিত হওয়া। একটি কথা মনে রাখবেন ১০০% নিশ্চিত ট্রেন্ড আপনি কখনোই কোন ইন্ডিকেটরে পাবেন না, হ্যাঁ তবে আমরা যেসব স্ট্রেটিজি দেখবো সেগুলোতে আপনার প্রাকটিস আপনাকে সঠিক ট্রেন্ডটি ধরতে অনেক সাহায্য করবে। ট্রেন্ড কনফার্ম এর জন্য শক্তিশালী একটু টুল হচ্ছে MACD. MACD এর ডাইভারজন্সে সেল ট্রেন্ড এবং কনভারজন্সে বায় ট্রেন্ড কে শক্তিশালি ধরে ট্রেন্ড নিশ্চিত হউন। (MACD বোঝার জন্য আমার পড়ে নিতে পারেন।) ৩# ওভারবট এবং ওভারসল্ড ইন্ডিকেটরঃ বায় কিংবা সেল যে ট্রেডে থাকেন না কেন যখন মার্কেট কিছুদুর ট্রেন্ডে থাকার পর একটু ব্যাকে যায় এবং তা পরবর্তীতে পুল করবে কিনা এই ধরণের সংশয় দেখা দেয় ট্রেডের মাঝখানে, সেই ক্ষেত্রে দরকার হয় অতিরিক্ত বায় বা অতিরিক্তও সেল ইনডিকেটর এর মাধ্যমে বর্তমান ট্রেন্ডটির প্রতি অবিচল থাকা। তেমনি একটি ইন্ডিকেটর হল Relative Strength Index (RSI). ট্রেন্ড অনুযায়ী ট্রেড চালিয়ে জাওয়ার জন্য এই ইনডিকেটরটির কিছু বাহাদুরি আছে। ছবিটি খেয়াল করুন আপনার ট্রেন্ড এখন কোন পজিশনে আছে, বুঝতে পারবেন। ৪# প্রফিট ইনডিকেটরঃ শেষ এই টুলটি আসলে নতুন কিছু নয় যা আপনার লাগবে প্রফিট নিয়ে মার্কেট থেকে বের হয়ে যেতে। এই ক্ষেত্রে আপনি RSI ও ব্যাবহার করতে পারেন। ৮০ লেভেল এর উপরে গিয়ে থাকলে আপনি তখনকার মত বায় থেকে বের হয়ে যেতে পারেন আবার ২০ লেভেল এর নিচে গেলে সেল থেকে বের হয়ে যেতে পারেন। অন্যভাবে বলিঞ্জার বেন্ড দিয়ে ও তা করতে পারেন, আপনার বায় ট্রেডে বলিঞ্জার সেল ব্রেকআউটে ট্রেড থেকে বের হতে পারেন আবার সেল ট্রেডে বলিঞ্জার বায় ব্রেকআউটে ট্রেড থেকে বের হতে পারেন।
    1 point
  2. MACD মুভিং এভারেজ ডাইভারজন্স অ্যান্ড কনভারজন্স MACD কিঃ হল Moving Average Convergence Divergence। এটি টেকনিক্যাল এনালাইসিসের খুবই জনপ্রিয় এবং স্ট্রুং একটি ইনডিকেটর। সারা পৃথিবী জুড়ে বিপুল পরিমানে ফরেক্স ট্রেডারদের অন্যতম জনপ্রিয় একটি টুল। MACD হল মূলত Exponential Moving Average 12 এবং 26 পিরিয়ড এর মধ্যকার পার্থক্য। এই ক্ষেত্রে MACD 12EMA থেকে 26EMAমাইনাস করে যা পায় তাই হল মেইন MACD লাইন। MACD এর সাথে আরো একটি সিগনাল লাইন থাকে যা বায় এবং সেল সিগনাল দেয়। MACD কেন? মার্কেট ট্রেন্ড সনাক্ত করার জন্য এই ইনডিকেটরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অনেকে ভালো ট্রেড করি কিন্তু শুধুমাত্র সঠিক ট্রেন্ডে ট্রেড করতে না পারার কারনে ট্রেন্ড চেইঞ্জ এর কারনে অনেকে আবার বিরাট লসে পড়ে যায়। এই দিক থেকে MACD আপনাকে রাইট ট্রেন্ডে থাকতে সাহায্য করবে। MACD হল মুভিং এভারেজ SMA এবং EMA এর সাথে সম্পৃক্ত একটি ইনডিকেটর। তবে অনেক ট্রেডাররা শুধুমাত্র EMA (Exponential Moving Average) মেথ ব্যাবহারের মাধ্যমে ট্রেড করতে পছন্দ করে এবং সেই ক্ষেত্রে SMA SIGNAL LINE ভেলু নাল করে ট্রেড করতে হয়। যাদের SMA (Simple Moving Average) এবং EMA (Exponential Moving Average) ডেপিরিয়ড সম্পর্কে ধারণা নাই তারা ভালো হয় আগে SMA এবং EMA বুঝে নিলে। MACD পরিচিতি এবং প্রস্তুতিঃ MACD কে MAC-D (ম্যাক-ডি ) বলে থাকে অনেকে। এই ইনডিকেটর এর মূল কম্পোনেন্ট হল MACD Main Line এবং MACD Signal Line. তবে মেইন লাইনটি সরাসরি লাইন হিসেবে না থেকে (হিস্টোগ্রাম) অর্থাৎ বার গ্রাফ হিসেবে একটি হরাইজেন্টাল লাইন এর উপরে এবং নিচে করে বায় অ্যান্ড সিগনাল ট্রেন্ড হিসেবে থাকে। MACD 26 Day Period এবং 12 Day Period এর মধ্যকার পার্থক্য বুঝতে হলে Insert>Indicators > Trend > Moving Average 26 Period EMA এবং 12 Period EMA সেট করে আপনার ট্রেডিং চার্টে নিয়ে আসুন। চিত্রটি লক্ষ্য করুন, চার্ট এর নিচের অংশে UP এবং DOWN বার জুড়ে যে লাল রেখাটি দেখা যাচ্ছে তা হল সিগনাল লাইন এবং বার বা হিস্টোগ্রাম মিলিয়ে হল MACD। ডিফল্টভাবে MACD Parameter 12 For Fast or Shorter EMA and 26 For Slow or Longer EMA হিসেবে সেট করা থাকে। এবং সিগনাল লাইন ভেলু SMA 9 Period সেট করা থাকে। কারণ MACD Formula ই হলঃ MACD Formula: MACD = shorter term moving average - longer term moving average. অর্থাৎঃ MACD = EMA for 12 periods – EMA of 26 periods. আর অনেক EA প্রোগ্রামাররা নিজেদের মত করে MACD এডিট করে নানা রকম সাজসজ্জয় রুপ দিয়ে বিভিন্ন রকম Parameters সেট করে থাকে। কিন্তু MACD যেমন সাজে দেখতে পাননা কেন মূল কনসেপ্ট এটাই। MACD Buy and Sell Signal: সাধারণভাবে মুভিং এভারেজ ক্রস ওভারেই বায় বা সেল সিগনাল পাওয়া যায়। যদি MACD লাইন 0 level এর উপরে থেকে 12 Period Faster EMA লাইন 26 Period Slower EMA কে ক্রস করে মার্কেট তখন বুলিশ। বিপরীতভাবে যদি MACD লাইন 0 Level এর নিচে থেকে 26 Period Slower EMA লাইন 12 Period Faster EMA ক্রস করে মার্কেট তখন বেয়ারিশ। এটা সাধারণ ফরমুলা যা অন্য ইনডিকেটর দিয়ে ও বুঝতে পারা যায়। তাহলে MACD কেন ব্যাবহার করবো? হ্যাঁ মজাটা এখানেই , পর্বেই বলেছিলাম MACD আপনাকে ট্রেডে মজবুত থাকতে সাহায্য করবে। আসুন কিভাবে দেখি... নিচের চিত্রটি লক্ষ্য করুন......... মার্কেট আপ ট্রেন্ড এবং নিখুঁত সাপোর্ট লাইন দেখা যাচ্ছে আপনি হয়ত অপেক্ষা করছেন যে কখন সাপোর্ট লাইন ব্রেক করবে এবং আপনি শর্ট অর্ডার করবেন। কিন্তু আবার ভয় ও আছে ব্রেক হওয়ার পরে যদি আবার সাপোর্ট লাইনকে টাচ করে তাহলে ট্রেন্ড বাউন্স হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেল ট্রেন্ড নিশ্চিত হওয়ার জন্য দেখবেন ট্রেন্ড ব্রেক হওয়ার আগেই MACD কয়েকটা রিভারসেল বার তৈরি করে ফেলেছে। যখন ক্যান্ডেলস্টিক সাপোর্ট লাইন এর নিচে ক্লোজ হয় ঠিক একই সময়ে MACD লাইন নিচের দিকে নামতে থাকে। যদিও MACD এখনো 0 লেভেলের উপরে কিন্তু ঠিক এই মুহূর্তে আপনি সেল অর্ডার দিতে পারেন এবং প্রফিট নিবেন পরবর্তী সাপোর্ট লেভেল পর্যন্ত। MACD ডাইভারজন্স: হল একটি আপট্রেন্ড মার্কেট এর শক্তিশালী ব্রেক পয়েন্ট ধরে ট্রেড করে নেওয়ার জনপ্রিয় একটি টেকনিক্যাল স্ট্রেটিজি। ট্রেন্ড ব্রেক আউট ট্রেন্ডে ট্রেডাররা সবচেয়ে বেশি প্রফিট করে থাকে। আপনিও এই পদ্ধতিতে অনেক প্রফিট নিতে পারেন যদি সঠিক সময়ে ট্রেডে প্রবেশ করতে পারেন এবং ট্রেন্ড ব্রেক নিশ্চিত হতে পারেন। আর এই ট্রেন্ড ব্রেকঅউট নিশ্চিত হওয়ার জন্য একেক ট্রেডার একেক ধরণের স্ট্রেটিজি ব্যাবহার করে থাকে, তবে অনেক ট্রেডারদের কাছে MACD Divergance ট্রেড ব্রেকঅউট স্ট্রেটিজিটি খুবি জনপ্রিয় কারণ এর ট্রেন্ড সিগনাল অনেক বেশি কার্যকর। এটি MACD বারের সমন্বয়ে তৈরি একটি জনপ্রিয় এবং শক্তিশালী ট্রেন্ড সিগনাল। যা আমরা MACD Divergance নামে জানি। চিত্রটি লক্ষ্য করুন ... আপ মার্কেট যখন ট্রেন্ড উঁচু থেকে উচ্চতর (Higher High) ব্যাবধান করেছে ঠিক সেসময়ে MACD বার নিম্ন উচ্চতর (Lower High) বারের মাধ্যমে নিচে নামতে শুরু করে রিভার্সেল ট্রেন্ডের সিগনাল দিচ্ছে। এখন ট্রেন্ড নিশ্চিত হওয়ার পালা, যখন MACD বার নিম্নমুখী এবং ট্রেন্ড লাস্ট সাপোর্টকে ক্রস করল, এই মুহূর্তে মার্কেট রিভারসেল ট্রেন্ড নিশ্চিত হয়ে MACD Divergance ফর্ম ধরে নিশ্চিত সেল ট্রেড করা হয়। অর্থাৎ MACD Divargance স্ট্রেটিজিতে থেকে আপনি বুঝতে পারবেন যে বর্তমান আপট্রেন্ড মার্কেট এখনকার মত এখানেই শেষ সুতরাং আপনি বর্তমান ট্রেন্ডের ফ্রেন্ড হয়ে রিভার্সেল অর্ডার (সেল) ট্রেড করে ভালো প্রফিট করে নিতে পারেন। MACD কনভারজন্স: MACD কনভারজন্স হল ডাউনট্রেন্ড মার্কেটে এর ব্রেক পয়েন্ট ধরে ট্রেন্ডে চেঞ্জে রিভার্সেল অর্থাৎ বায় ট্রেড করা। এই ক্ষেত্রে MACD বার উপরের দিকে তৈরি হতে শুরু করে ট্রেন্ড চেঞ্জ করতে থাকবে। এটা আর বিস্তারিত না-ই বললাম। MACD Divergance অনুসারে বিপরীত মুখী ট্রেন্ড ধরে আশা করি বুঝে নিতে পারবেন। MACD Divergance এর বিপরীত ফর্মুলা ধরে স্ট্রেটিজিটা নিজেরাই বুঝে নিন। আশা করি পারবেন।
    1 point
  3. কিঃ যে পদ্ধতিতে আপনার ট্রেডটি সয়ংক্রিয় ভাবে অর্থাৎ নিজে নিজে ওপেন হবে এবং ক্লোজ হবে এবং সব কিছু নিজে নিজেই পরিচালিত হবে ট্রেডিং ব্যাল্যান্স অনুসারে , যেখানে আপনাকে কিছুই করতে হবে না তাই হল অটো ট্রেডিং। এই পদ্ধতিটি হল প্রোগ্রামার এর কোড ভিত্তিক একটি সাজানো পদ্ধতি(রোবট) যেখানে বলে দেওয়া থাকে মার্কেট মুভমেন্ট কি রকম হলে পদ্ধতিটি কিভাবে কাজ করবে, কত পিপ প্রফিট করবে , কত পিপ লস করবে এবং কত ডলার ব্যাল্যান্স থাকলে কত ভলিয়মে ট্রেড ওপেন হবে, সর্বোচ্চ কত ডলার পর্যন্ত রিস্ক নিবে ইত্যাদি ইত্যাদি ট্রেডিং করতে যা যা লাগে সবকিছু। রোবট এর সুবিধাঃ নিজে নিজেই ২৪ ঘণ্টা ট্রেড করবে।এটি একটি নির্দিষ্ট সিস্টেমে কাজ করে থাকে ফলে কখনো রুলস ব্রেক হয় না।অসংখ্য সেটিং থাকে যেগুলো নিজের মত সেটিং এর মাধ্যমে পরিচালনা করা যায়।ডাটা এনালাইসিস খুব সল্প সময়ে ইফেক্টিভ্লি করে থাকে।বেসিক নলেজ দিয়ে যে কোন নতুন ট্রেডার এই পদ্ধতিতে ইনকাম করতে পারেন।নির্দিষ্ট একটি কারেন্সি নিয়ে কাজ করে ফলে ট্রেডিং লস খুব কম হয়ে থাকে।রোবট এর অসুবিধাঃ ২৪ ঘণ্টা চালু থাকে এমন পিসিতে সেট করতে হবে। তাই আলাদা ভাবে VPS সার্ভিস এর মাধ্যমে করতে হয়।সব ব্রোকারে সাপোর্ট পাওয়া যায় না, ফলে আপনার টার্গেট ইনকাম নাও হতে পারে।একটি রোবট সাধারণত একটির বেশি কারেন্সিতে কাজ করতে পারে না। তাই একাধিক কারেন্সি তে রোবট সেট করতে হলে প্রতি কারেন্সির জন্য রোবট ক্রয় করতে হবে।রোবট ট্রেডিং এর ভেতর আপনার ট্রেড করার সুজোগ নেই এতে করে রোবট ফর্মুলা ভুল করে ট্রেড লস করবে।বেশীরভাগ রোবট মার্কেট হাই ভোলাটিলিটিতে ট্রেড করতে পারে না।অনেক নতুন ট্রেডার নিজে না শিখে সরাসরি রোবট এর আশ্রয় নেয় ফলে প্রকৃত পক্ষে ফরেক্স শিখতে পারে না।কি কি প্রয়োজন হয়? যেহেতু এটি একটি স্বয়ংক্রিয় ট্রেডিং পদ্ধতি তাই আপনাকে ট্রেডের সামনে বসে না থাকলেও চলবে তবে এই পদ্ধতিতে ট্রেড করার জন্য কিছু বিষয় লাগে । ১। VPS- Virtual Private Server ২। EA – Expert Advisor আপনার পিসি যদি ২৪ ঘন্টা অন রাখতে না পারেন তাহলে আপনাকে ২৪ ঘন্টা অন থাকে এমন পিসিতে কিছু স্পেস নিতে হবে যা VPS নামে পরিচিত অর্থাৎ কিছু কোম্পানি আছে যারা তাদের কম্পিটার আপনার জন্য ২৪ ঘন্টা চালু রাখবে সে জন্য আপনাকে প্রতি মাসে $১০-$৫০ পরিশোধ করতে হবে। তবে কিছু কিছু ব্রোকার তাদের প্লাটফর্মের ট্রেডারদের ফ্রি এই সুবিধা দিয়ে থাকে সামান্য কিছু শর্তের মাধ্যমে। দ্বিতীয় , আপনার রোবট সফটওয়্যার থাকতে হবে, এই ক্ষেত্রে এটি আপনাকে ক্রয় করে নিতে হবে, যেহেতু এটি স্পেশাল একটি সফটওয়্যার সিস্টেম তাই এটি ফ্রী নয়। ভিন্ন ভিন্ন ফরেক্স রোবট প্রভাইডাররা তাদের রোবট এর কাজের প্রেক্ষিতে ভিন্ন ভিন্ন দাম নিয়ে থাকে। আপনি $৮০-$২৫০ এর মধ্যে রোবট ক্রয় করতে পারবেন। তবে অনেক রোবট আছে যেগুলো আরো অনেক দামি $১০০০ পর্যন্ত হতে পারে। রোবট ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয়ঃ আপনি যে অটো ট্রেডিং সিস্টেম (রোবট) ক্রয় করতে চাইছেন তা কতটুকু স্টং, প্রফিটেবল কিংবা কতটুকু রিলায়েবল কিংবা এই অটো সিস্টেম এর কার্যকারিতা আসলে কতটুকু তা বোঝার জন্য আপনাকে কিছু বিসয় দেখে নিতে হবে যা আপনি ওই নির্দিষ্ট রোবটের বিস্তারিত অংশে পেয়ে যাবেন। নিচের পয়েন্টগুলোর আলোকে আপনি একটি ভালো রোবট ক্রয়ের করতে পারেন। Back-testHistoryProfit FactorDrawdownRisk Reword RatioMonth Returnকিভাবে EA ইন্সটল করতে হয়? সাধারণত EA এর জন্য ১-২ টি ফাইল থাকে। মুল EA ফাইলটি আপনার কম্পিটারের Meta Trader এর রুট ফোল্ডার থেকে Experts ফোল্ডারের ভেতরে কপি করে দিতে হবে এবং যদি আরো ফাইল থাকে তাহলে নির্দেশনা অনুযায়ী যে ফোল্ডারে দিতে বলা হবে সেই ফোল্ডারে কপি করে দিবেন। এবং Meta Trader এর Expert Advisors অপশন Enable করে দিতে হবে। এবং ভিবিন্ন ধরনের EA প্যারামিটার সেটিং এর মাধ্যমে আপনি নিজের মত করে রোবট সেট করে দিতে পারবেন। ইতিকথাঃ ফরেক্স রোবট আপনার অনুপস্থিতে ২৪ ঘন্টায় ট্রেড চালিয়ে যাবে সত্যি তবে আবারো বলছি যেহেতু এটি একটি প্রোগ্রামেবল পদ্ধতি তাই মার্কেট কত ভালো বুঝে কত ভালো ভাবে সিস্টেমটি সাজানো হয়েছে তা যদি যাচাই না করে রোবট সেট করে প্রফিট এর আশা করে তাহলে আপনার সেই স্বপ্ন সত্যি নাও হতে পারে। তাই যেকোন রোবট ব্যাবহার এর পূর্বে উপরোক্ত বিষয়গুলোর সাথে সাথে উক্ত রোবট কে অন্তত পক্ষে ৩ মাস ডেমো আকাউন্টে সেট করে এর কার্যকারিতা নিশ্চিত হউন তারপর ফাইনালি লাইভ ট্রেডে সেট করবেন। নচেত আপনার আশা নিরাশায় পরিণত হতে খুব বেশি সময় নিবে না। প্যারামিটারের তথা আপনার রোবট এর সব গুলো সেটিং বুঝে শুনে তারপর শুরু করেন।
    1 point
  4. ফরেক্স ট্রেডিং হচ্ছে বিভিন্ন দেশের মুদ্রা কেনা বেচা। সেসব দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংক কর্তৃক তাদের মুদ্রার একটা ইন্টারেস্ট রেট থাকে। আপনি ফরেক্স ট্রেড করলে সেই ইন্টারেস্ট রেট আপনার বেলায়ও প্রযোজ্য হবে। এই ইন্টারেস্ট মুসলিমদের জন্য হারাম। এই ঝামেলা দূর করার জন্য প্রায় সব ব্রোকার আজকাল ইন্টারেস্ট ফ্রি একাউন্ট / ইসলামিক একাউন্ট / মুসলিম ফ্রেন্ডলি একাউন্ট সাপোর্ট করে যেখানে ঐ ইন্টারেস্ট হিসাব হয় না। তাহলে সেন্ট্রাল ব্যাংক ইন্টারেস্ট যেটা হারাম সেটা থেকে আমরা মুক্ত। এরপর আসি লেভারেজ এর ব্যাপারে। লেভারেজ হচ্ছে ব্রোকার আপনাকে ট্রেড করার জন্য বিভিন্ন অনুপাতে সুদবিহীন এবং শর্তব্যাতীত ধার দিবে। যদি ব্রোকার ধার দেয়ার সময় কোন সুদ / শর্ত দিত তাহলে সেটা হারামের পর্যায়ে পড়ত। বাংলাদেশের শেয়ার মার্কেটেও ১:২ অনুপাতে লোন দেয়া হয়। এখন আসি প্রোডাক্ট এর ব্যাপারে। ফরেক্স এ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা কেনাবেচা করা হয়। এরকম একদেশের মুদ্রা অন্যদেশের মুদ্রার সাথে কেনা বেচায় হারাম কিছু নেই। আপনি আমেরিকা যেতে চাইলে আপনাকে বাংলাদেশী টাকা চেঞ্জ করে মার্কিন ডলার নিতে হবে। ধরুন আপনি আমেরিকা যাবেন। ভিসা টিকেট খাবার খরচ বাদে আপনি এক্সট্রা দশ হাজার মার্কিন ডলার নিলেন হাতখরচের জন্য। ধরি এই পরিমাণ ডলার নিতে আপনার খরচ হয়েছে ৭০.০০ টাকা করে ৭ লক্ষ টাকা। এরপর আমেরিকা গিয়ে আপনাকে জরুরী কাজে পরদিনই চলে আসতে হল। কিছু কিনতে পারলেন না। দেশে এসে দশ হাজার ডলার গুলো ভাঙিয়ে বাংলাদেশী টাকা নিতে গেলেন। দেখলেন আজকের রেট ৭০.১০ টাকা। আপনি পেলেন ৭ লক্ষ দশ হাজার টাকা। এখানে আপনি ১০ হাজার টাকা এক্সট্রা পেলেন। কিন্তু যদি আজকের রেট ৬৯.৯০ থাকত তবে আপনি পেতেন ৬ লক্ষ ৯০ হাজার মানে আপনার ১০ হাজার টাকা লস হত। এখানে হালাল হারাম প্রশ্ন অবান্তর। ফরেক্সে এক মুদ্রার বিপরীতে অন্য মুদ্রা ক্রয় বিক্রয় হয় তাই এতে হারাম কিছু নেই। যদি ডলারের বিপরীতে ডলার কিংবা ইউরোর বিপরীতে ইউরো কেনাবেচা হত তবে হারাম হত কারণ ১ ডলার এর ভ্যালু সবসময় ১ ডলার, কেউ যদি ১ ডলার কে ২ ডলার দিয়ে কিনে সেটা সুদ হবে। এই প্রসংগে একটা বিখ্যাত হাদীস আছে - কোটেশন From 'Ubada ibn al-Samit: The Prophet, peace be on him, said: "Gold for gold, silver for silver, wheat for wheat, barley for barley dates for dates, and salt for salt - like for like, equal for equal, and hand-to-hand; if the commodities differ, then you may sell as you wish, provided that the exchange is hand-to-hand." (Muslim, Kitab al-Musaqat, Bab al-sarfi wa bay'i al-dhahabi bi al-waraqi naqdan; also in Tirmidhi). গোল্ড এর বিনিময়ে গোল্ড কেনা যাবে না বা সিলভারের বিনিময়ে সিলভার। যদি এর ব্যতিক্রম হয় তবে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে কেনাবেচা করা যাবে। শুধুমাত্র মনে রাখতে হবে এক্সচেঞ্জ হতে হবে হ্যান্ড টু হ্যান্ড । যদি দেরী হয় তবে সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না। এখন ফরেক্স ট্রেড মানে স্পট ফরেক্স ট্রেড। এখানে আপনি বর্তমান প্রাইসেই কেনা বেচা করতে পারবেন, তাই এখানে দেরী হওয়ার চান্স নেই। হ্যান্ড টু হ্যান্ড কথাটা নিয়ে অনেকে বিতর্ক তুলতে পারে। যেমন আমরা যদি মুদ্রা কেনাবেচা করি তবে আমাদের হাতে হাতে মুদ্রা নিয়ে ঘুরতে হবে এবং কেনাবেচা করতে হবে। এটা অমূলক। ইন্টারনেটের যুগে ঘরে বসে লেনদেন সহজ হয়ে যাওয়ার ফলে কোন কিছু কিনতে বা বিক্রি করতে ঐ প্রোডাক্ট নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হয় না। এই যুগে হাতে না রেখে আমরা একাউন্ট খুলে রাখি। ব্যাংকে একাউন্ট / শেয়ার মার্কেটে একাউন্ট এরকম। ব্যাংকে আপনি কাউকে চেক দিলে ব্যাংক কি করে? আপনার একাউন্ট থেকে টাকাটা ঐ ব্যক্তির একাউন্টে ট্রান্সফার করে দেয়। শেয়ার মার্কেটেও এরকম। সেলারের একাউন্ট থেকে শেয়ার গুলো বায়ার এর একাউন্টে ট্রান্সফার করে দেয়। এরকম ফরেক্সেও একই। আরেকজনের একাউন্ট থেকে আপনার একাউন্টে টান্সফার করে দেয়। এটাকে একাউন্ট টু একাউন্ট ট্রান্সফার বলা যায়। একনজরে দেখি ফরেক্সে কি ঘটে - ১. আপনি দেখলেন ইউরো / ইউএসডি দাম ১.৪০০০। আপনি এনালাইসিস করে দেখলেন ইউরো বাড়ার সম্ভাবনা প্রচুর, আপনি কিছু ইউরো / ইউএসডি কিনবেন বলে মনস্থির করলেন। ২. আপনি একটা ব্রোকার সিলেক্ট করলেন যে আপনার হয়ে কোন সেলার থেকে ইউরো /ইউএসডি কিনে দিবে। ঐ ব্রোকারে আপনি একটা ইসলামিক একাউন্ট খুললেন। ৩. ঐ ব্রোকার আপনাকে একটা প্রাইস দিল যে এখন ইউরো / ইউরো ইউএসডি ১.৪০৫০ রেটে আছে। আপনি ঠিক করলেন এই রেটেই কিনবেন। আপনি BUY এ ক্লিক করলেন ৪. আপনার বাই অর্ডার ব্রোকার রিসিভ করল এবং সাথে সাথে ১.৪০৫০ রেটে আপনার জন্য ইউরো / ইউএসডি কিনে আপনার জন্য নির্দিষ্ট একাউন্টে রেখে দিল। ৫. এরপর কিছুদিন পর ইউরো ইউএসডি দাম বাড়ল এবং আপনি সেল করে দিলেন। এখানে আপনি হারাম কিছু করেন নি। ইউএসডির বিপরীতে ইউরো কিনেছেন, ইন্টারেস্ট ফ্রি ইসলামিক একাউন্টে ট্রেড করছেন এবং আপনার অর্ডার হ্যান্ড টু হ্যান্ড ট্রান্সফার হয়েছে (সেলারের একাউন্ট থেকে আপনার একাউন্টে) । আশা করি বুঝতে পেরেছেন। সংগ্রহীত
    1 point
×
×
  • Create New...

Write what you are looking for and press enter or click the search icon to begin your search