Leaderboard
Popular Content
Showing content with the highest reputation on 01/25/2014 in Posts
-
ট্রেডপ্রিয় বন্ধুরা, আজকে আপনাদের সাথে ফরেক্স ট্রেড এর যে পদ্ধতিটি নিয়ে আলোচনা করবো তা হয়তো আপনাদের অনেকেরই জানা। কিন্তু কখনো চেষ্টা করে দেখেননি বা মাথায় আসেনি, যাই হোক আমি শুধুই আমার জানা অভিজ্ঞতাগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করছি, তার মানে এই নয় যে আমি আপনাকে শতভাগ নিশ্চয়তা দিচ্ছি, কারণ পৃথিবীতে এমন কোনো ট্রেড পদ্ধতি নেই যাতে শতভাগ লাভ করা সম্ভব তবে আপনি আমার ট্রেড পদ্ধতিগুলো লাইভ একাউন্ট এ করার আগে প্রয়োজনে নুন্যতম এক সপ্তাহ ডেমো একাউন্ট এ প্র্যাকটিস করুন এবং ফলাফল বিবরণী দেখে তারপর লাইভ একাউন্ট এ করুন। আমি পদ্ধটিতে ভালো ফলাফল পেয়েছি বলেই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। দৈনিক ৯৫পিপস লাভের এই পেন্ডিং পদ্ধতিটি আপনি প্রত্যেক দিনই করতে পারেন, যখন মার্কেট ডে ক্যান্ডেল শুরু হয়। যা সত্যিই লাভজনক একটি পদ্ধতি। আর এ পদ্ধতিটি সারা জীবন-ই কার্যকর থাকবে। আসুন পদ্ধতিটি জেনে নেইঃ এই ট্রেডিং পদ্ধতিটি ট্রেড করার সহজ ও লাভজনক একটি পদ্ধতি, এর জন্য কোনো ট্রেডিং এনালাইসিস এর প্রয়োজন হয়না, আপনি শুধুমাত্র আপনার মেটা ট্রেডারটি খুলুন আর এস এল ও টি পি সহ অর্ডার দিয়ে মেটা ট্রেডার বন্ধ করে দিন। এই পদ্ধতিটি শুধুমাত্র প্রতিদিনের ডে ক্যান্ডেল শেষ হওয়ার পর পরই করতে হয়। এ পদ্ধতিতে ট্রেড করার সময় অবশ্যই মানি ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতি অবলম্বন করবেন কেননা আপনি যে রকম লাভজনক পদ্ধতিতেই ট্রেড করেন না কেন আপনাকে অবশ্যই মানি ম্যানেজমেন্ট নিয়ম মেনে ট্রেড করতে হবে। এ পদ্ধতিতে আপনি ৩০পিপস স্টপলস ব্যবহার করবেন এবং সপ্তাহের সোমবার, মঙ্গলবার, বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এ পদ্ধতি অবলম্বন করবেন। যে ভাবে ট্রেড করবোঃ আমি আগেই বলেছি এই পেন্ডিং ট্রেড পদ্ধতিটি অনেক সহজ – বিগত দিনের ডে ক্যান্ডল এর উপরের/হাই প্রাইজ এর ৫পিপস উপরে এবং ডে ক্যান্ডেল এর সর্বনিম্ন/লো প্রাইজ এর ৫পিপস নিচে এ পদ্ধতিটি অবলম্বন করতে হয়। আসলেই এটি অনেক সহজ আর দৈনিক ব্রেকআউট একটি পদ্ধতি এ পদ্ধতিতে সিক্রেট বলে কিছু নেই। শুধুমাত্র মানি ম্যানেজমেন্ট এর কথাটি মনে রাখবেন যেটা আমি আগেও বলেছি। এ পদ্ধতিতে আপনি দৈনিক ৫০পিপস উপরে বা নিচে গেলেই ৯৫পিপস নিতে পারবেন। চিন্তা করবেন না আমি পদ্ধতিটি দেখিয়ে দিচ্ছি। কখন এবং কিভাবে পেন্ডিং অর্ডারগুলো দিবেনঃ প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে যে কখন আপনার ব্রোকার এর দৈনিক ক্যান্ডেল (ডে ক্যান্ডল) শেষ/ক্লোজ হয়, কারণ বিগত দিনের ডে ক্যান্ডেল শেষ হবার পর পরই আপনাকে এই পেন্ডিং ট্রেড পদ্ধতিটি প্রয়োগ করতে হবে এবং প্রতিদিন একই সময়ে এই পদ্ধতিতে অবলম্বন করবেন। বিগত দিনের দৈনিক ক্যান্ডেল (ডে ক্যান্ডল) শেষ/ক্লোজ হয়ে নতুন দিনের ক্যান্ডেল (ডে ক্যান্ডল) শুরু হওয়ার সাথে সাথেই ৬টি পেন্ডিং অর্ডার দিতে হবে। ৩টি বাইস্টপ এবং ৩টি সেলস্টপ পেন্ডিং। ৩টি বাইস্টপ পেন্ডিং অর্ডার যেভাবে দিবেন তা নিম্নরূপঃ [*]এন্ট্রি= বিগত দিনের ডে ক্যান্ডেল এর সর্বোচ্চ দাম/হাই প্রাইজ+ ৫পিপস। টেক প্রফিট=১৫পিপস, স্টপলস=৩০পিপস। [*]এন্ট্রি= বিগত দিনের ডে ক্যান্ডেল এর সর্বোচ্চ দাম/হাই প্রাইজ+ ৫পিপস। টেক প্রফিট=৩০পিপস, স্টপলস=৩০পিপস। [*]এন্ট্রি= বিগত দিনের ডে ক্যান্ডেল এর সর্বোচ্চ দাম/হাই প্রাইজ+ ৫পিপস। টেক প্রফিট=৫০পিপস, স্টপলস=৩০পিপস। এবং ৩টি সেলস্টপ পেন্ডিং অর্ডার যেভাবে দিবেন তা নিম্নরূপঃ [*]এন্ট্রি= বিগত দিনের ডে ক্যান্ডেল এর সর্বনিম্ন/লো প্রাইজ - ৫পিপস। টেক প্রফিট=১৫পিপস, স্টপলস=৩০পিপস। [*]এন্ট্রি= বিগত দিনের ডে ক্যান্ডেল এর সর্বনিম্ন/লো প্রাইজ - ৫পিপস। টেক প্রফিট=৩০পিপস, স্টপলস=৩০পিপস। [*]এন্ট্রি= বিগত দিনের ডে ক্যান্ডেল এর সর্বনিম্ন/লো প্রাইজ - ৫পিপস। টেক প্রফিট=৫০পিপস, স্টপলস=৩০পিপস। এভাবেই আপনি প্রতিদিন এই ছয়টি পেন্ডিং অর্ডার দিয়ে নিশিন্তে আপনার কাজ করতে পারেন। কারণ এই পদ্ধতিতে ট্রেড করলে মনিটরিং এর প্রয়োজন হয়না। এ পদ্ধতিতে ট্রেড করলে আপনার ট্রেড এর ফলাফল হবে নিম্নরুপঃ [*]যদি আপনার পেন্ডিং অর্ডারগুলো যে কোনো একদিকের ট্রেড নিয়ে ৫০পিপস মুব করে ৩টি-ই টেক প্রফিট এ ক্লোজ হয় তাহলে আপনার ৯৫পিপস লাভ হবে। [*]যদি আপনার পেন্ডিং অর্ডারগুলো যে কোনো একদিকের ট্রেড নিয়ে ৩টির মধ্যে ২টি টি পি (১৫+৩০) হিট করে এবং একটি স্টপলস হিট করে তাহলে আপনার ফলাফলঃ ৪৫পিপস প্রফিট - ৩০পিপস লস =১৫পিপস লাভ। [*]আর যদি আপনার পেন্ডিং অর্ডারগুলোর ১টি টি পি হিট করে আর বাকী ২টি স্টপলস হিট করে তাহলে আপনার ফলাফল – ১ম টি পি ১৫পিপস আর ২টির স্টপলস ৬০পিপস= মোট ৪৫পিপস লস। [*] [*]আর যদি ৩টি ট্রেড ই স্টপলস হিট করে তাহলে আপনার লস ৯০পিপস। এ পদ্ধতিতে মার্কেট যখন বিগত দিনের ক্যান্ডেল কে ছাড়িয়ে বাই/সেল এর দিকে মুব করে তখনই ফলাফল আসে। তবে এ পদ্ধিতিতে যখন আপনার যে কোনো এক দিকের ট্রেড ওপেন হবে তখন যদি লাভ/টি পি হিট করে তাহলে তো খুবই ভালো আর যদি স্টপলস এর দিকে যায় সে সময়ে আপনি ট্রেড এ উপস্থিত থাকলে স্টপলস হিট করার আগেই ট্রেড ক্লোজ করতে পারবেন। এতে করে আপনার লস অনেক কম হবে। এ পদ্ধতিতে ট্রেড করার কিছু নিয়ম নিম্নরূপঃ [*]এ পদ্ধতিতে ট্রেড করার সময় আপনার ট্রেড এমাউন্ট এর ৩% এর বেশী ব্যবহার করবেন না। [*]প্রতিটি ট্রেডই সমান ভলিউম এ করবেন। তবে আপনি চাইলে ১ম ট্রেড এর ভলিউম বেশী করে টি পি কমিয়ে দিতে পারেন তবে এস এল প্রত্যেকটি ট্রেড এর ৩০পিপস ই রাখবেন। এভাবে ১ম ট্রেড থেকে ২য় ট্রেড এর ভলিউম আরেকটু কমিয়ে টি পি বাড়িয়ে অর্থাৎ ৩০পিপস দিবেন। আর ৩য় ট্রেড এ ভলিউম আরো কমিয়ে দিতে পারেন। আপনি চাইলে এ পদ্ধতিটাকে আপনার মতো সাজিয়ে ও করতে পারেন তবে স্টপলস ৩০পিপস এর কম দিবেন না। সবার জন্য শুভ কামনা রইলো। ধন্যবাদ।1 point
-
৩) মার্কেট ট্রেন্ড বুঝা ও ট্রেন্ডলাইন আঁকার শেষ পর্বে আজ আমি আলোচনা করবো বাই/বুলিশ ট্রেন্ডলাইন এবং সেল/ব্যারিশ ট্রেন্ডলাইন নিয়ে। ট্রেন্ড হচ্ছে প্রত্যেক ট্রেডারের ট্রেড এর প্রকৃত বন্ধু। ফরেক্স মার্কেট এ ট্রেড এর সঠিক পথ প্রদর্শক হলো ট্রেন্ডলাইন। ট্রেন্ড না বুঝে ট্রেড করলে যে কোনো সময় আপনার লস হওয়াটা স্বাভাবিক বলে আমি মনে করি। অভিজ্ঞ ট্রেডাররা তখনই বাই করে যখন ট্রেন্ড বাই/বুলিশ এর দিকে থাকে আর সেল করে ট্রেন্ড যখন সেল/ব্যারিশ এর দিকে থাকে। আসুন আমরা চিত্রের সাহায্যে বাই/বুলিশ ট্রেন্ড দেখে নেইঃ উপরের চিত্রটিতে আপনি পরিস্কারভাবে দেখতে পাচ্ছেন যে উক্ত কারেন্সির ট্রেন্ড বাই এর দিকে, তাহলে এখানে সেল এ ট্রেড করা আপনার অবশ্যই বোকামিই হবে। তবে এ ও নয় যে আপনি উপরোক্ত চিত্রের ন্যায় ট্রেন্ড দেখে সাথে সাথে বাই এ ট্রেড ওপেন করবেন। উক্ত ট্রেন্ড এ তখনই বাই ট্রেড ওপেন করবেন যখন মার্কেট একটা নুন্যতম সাপোর্ট তৈরি করবে। সাপোর্ট/রেজিস্টেন্স বোঝার জন্য আপনি যে কোনো সাপোর্ট/রেজিস্টেন্স ইন্ডিকেটর (জিকজাক) ব্যাবহার করতে পারেন। সাপোর্ট এ বাই ট্রেড ওপেন করার পর যখন একটা রেজিস্টেন্স তৈরি হবে তখনই আপনার ট্রেডটি ক্লোজ করে প্রফিট নিয়ে ট্রেড থেকে বের হয়ে যাবেন। সেল/ব্যারিশ ট্রেন্ডঃ আপনি যখন একটা পেয়ার এ ট্রেন্ডলাইন আঁকার পর উপরের ন্যায় ট্রেন্ড দেখতে পাবেন তখনই বুঝে নিবেন যে উক্ত পেয়ার এর ট্রেন্ড সেল/ব্যারিশ, এখানে আপনি সেল ট্রেড করার জন্য অবশ্যই একটা রেজিস্টেন্স এর জন্য অপেক্ষা করবেন, আর রেজিস্টেন্স পয়েন্ট এ সেল ট্রেড ওপেন করার পর মার্কেট রেট সাপোর্ট এ আসলেই লাভ নিয়ে আপনার সেল ট্রেডটি ক্লোজ করে দিবেন। ট্রেন্ডলাইন আঁকার নিয়মঃ ট্রেন্ডলাইন আঁকার জন্য আপনার মেটা ট্রেডারের ভিউ - টুলবার - লাইন স্টাডিস এ ক্লিক করুন, এরপর দেখুন আপনার মেটা ট্রেডারের উপরের বার এর যে কোনো যায়গায় লাইন স্টাডিস টুলবারটি চলে এসেছে, উক্ত টুলবার এর ৫নং/আইকনগুলোর উপর মাউস নিয়ে চেক করলেই পেয়ে যাবেন ট্রেন্ডলাইন (ট্রেন্ডলাইন আঁকার টুলস)। যে কোনো পেয়ার এ ট্রেন্ডলাইন আঁকার জন্য ( সর্বনিম্ন ১ঘন্টা টাইম ফ্রেমে) দুই বা ততোধিক সাপোর্ট/রেজিস্টেন্স রেট বাছাই করুন এবং উক্ত সাপোর্ট/রেজিস্টেন্স রেটগুলোতে ট্রেন্ডলাইন এঁকে আপনার ট্রেড পেয়ার এর ট্রেন্ড কোন দিকে তা বুঝে নিন।ট্রেন্ডলাইন আঁকা তেমন কঠিন কোনো কাজ নয়, ট্রেন্ডলাইন নিয়ে আমার ধারাবাহিক তিনটি পোষ্ট পড়লেই আপনার জন্য ট্রেন্ডলাইন আঁকা ও বুঝা আশা করি অনেক সহজ হবে এবং আপনার ট্রেডিং জীবনে অনেক উপকার এ আসবে। ট্রেন্ডলাইন আঁকতে ও বুঝতে পারলে আপনার ট্রেড এর প্রতি আত্মবিশ্বাস ও সফলতা অনেক গুন বাড়বে। বিঃ দ্রঃ মানি ম্যানেজমেন্ট ছাড়া কেউ কখনো ট্রেড করবেন না। ফরেক্স মার্কেট লোভী ও উত্তেজিত মন মানুষিকতার ব্যাক্তির জন্য নয়। সবার জন্য শুভ কামনা। ধন্যবাদ।1 point