Jump to content

Leaderboard

Popular Content

Showing content with the highest reputation on 07/23/2014 in Posts

  1. অনেক ট্রেডারের সাধারণ এবং কমন একটি ট্রেডিং মিথ হল, টপ মার্কেটে লো রিস্ক সেল ট্রেড এবং বটম মার্কেটে লো রিস্ক বায় ট্রেড। কখনো এমন হয় যে আপনি একটি লং ট্রেডে আছেন মার্কেট ও লং কিন্তু সহসায় একটি বিপরীত বাক নিয়ে নিমিষে আপনাকে লসের মুখে ঠেলে দেয় , মুহূর্তেই নষ্ট হয়ে যায় আপনার সম্পূর্ণ ট্রেডিং পরিকল্পনা। আবার এমন ও হয় আপনি দেখতে পাচ্ছেন খুব সুন্দর একটা লং অথবা শর্ট ট্রেন্ড হচ্ছে ঠিক এই জায়গায় যদি একটি ট্রেড ওপেন করা যায় তাহলে নিশ্চিত ভালো একটা প্রফিট নিতে পারবেন কিন্তু আবার ভয় হয় যদি অর্ডার করার পর মার্কেট বিপরীত দিকে চলে যায় ? কেউ কেউ হয়ত আমার এই লিখার প্রথম দু-তিনটি লাইনেই নিজেদের ট্রেডিং অভিজ্ঞতায় একমত হয়েছেন, যা হউক আজকে আপনাদের সাথে মুলত এই বিষয়গুলো শেয়ার করবো এবং বলার চেস্টা করবো কিভাবে এই সকল পরিস্থিতিতে ট্রেড করবেন কিংবা ট্রেড করা কতটকু লাভ বা লসের। পিপস ডাইভারজন্স ট্রেডিং পদ্ধিতিতে আমরা শিখব কিভাবে এই অবস্থায় ট্রেড করা যায়। এবং প্রফিট নিতে পারা যায়। ডাইভারজন্স কিঃ মার্কেট প্রাইস অ্যাকশন মেজার এবং ইন্ডিকেটর এর মুভমেন্টের ভিত্তিতে ডাইভারজন্স ট্রেড করা হয়ে থাকে, পিপস ডাইভারজন্স এর জন্য MACD ও STOCHASTIC এই দুটি ইন্ডিকেটর বেশ গুরুত্তপুর্ন এবং ভালো তবে আপনি চাইলে অন্য ইন্ডিকেটর দিয়ে ডাইভারজন্স বের করে নিতে পারেন। সঠিক ডাইভারজন্স ব্যাবহারের মাধ্যমে টপ মার্কেটে সেল এবং বটম মার্কেটে বায় ট্রেড করে বেশ ভালো প্রফিট নিতে পারেন সব সময়। যারা নিয়মিত ট্রেড করেন তারা খুব ভালো ভাবেই জানেন যে প্রাইস এবং মোমেন্টাম সাধারনত সমানভাবেই এগুতে থাকে, অর্থাৎ, প্রাইস যদি Higher Highs থাকে তাহলে অসসিলেটর (ইন্ডিকেটর) ও Higher Highs তৈরি করে বিপরীতভাবে প্রাইস যদি Lower Lows থাকে তাহলে অসসিলেটর (ইন্ডিকেটর) ও Lower Lows তৈরি করে। কিন্তু... লাল রঙের মার্ক করা দুটি লাইন যদি সত্যি না হয় অর্থাৎ প্রাইস মুভ এর সাথে সাথে যদি অসসিলেটর মুভিং সমান না থাকে বা বিপরীত দিকে যায় বা কোন পার্থক্য তৈরি করে তাকেই ডাইভারজন্স বলা হয়। ডাইভারজন্স খুব সুন্দর এবং চমৎকার একটি ট্রেডিং পদ্ধতি তবে এই পার্থক্যটা খুব সুক্ষ যা ভালো ভাবে মননিবেশ না করলে ধরতে পারা যাবে না এবং ভুল ট্রেড করবেন। ডাইভারজন্স ব্যাবহার করে ট্রেন্ডে উইকনেস এবং রিভার্সেল পয়েন্ট ধরে ট্রেড করা যায় এবং সিগনাল দিতে পারা যায়। আগামী পর্বে আলোচনা করব রেগুলার এবং হিডেন এই দু’ধরনের ডাইভারজন্স সম্পর্কে। ধন্যবাদ।
    2 points
  2. এনগাল্পিং (Engulfing) ট্রেড পদ্ধতি। বন্ধুরা, এনগাল্পিং ট্রেডিং পদ্ধতি সম্পর্কে আশা করি অনেকেই জানেন। হয়তো নিজের আর্তবিশ্বাস এবং এনগাল্পিং ট্রেডিং পদ্ধতি সম্পর্কে সঠিক জ্ঞানের অভাবে আপনার ট্রেডিং পেয়ার থেকে অধিক লাভ নিতে পারেন না/লসের সম্মুখীন হন। মার্কেট পরিস্থিতি কেমন হলে বুঝবেন যে এটা পুরোপুরি এনগাল্পিং হয়েছে এবং তখন কিভাবে কোনদিকে ট্রেড করবেন, স্টপ লস কিভাবে দিবেন আর কিভাবে ট্রেড থেকে সরবোচ্চ প্রফিট নিয়ে বের হবেন ইত্যাদিই আজকের বিষয়। তাহলে আসুন আর দেরি না করে সফল এনগাল্পিং ট্রেডিং পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেই- সর্বজন (ট্রেডার) মতে, এনগাল্পিং পদ্ধতি ট্রেড করার একটি সহজ পদ্ধতি এবং একটি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য ট্রেডিং কৌশল, যার মাধ্যমে ট্রেড করতে তেমন কোনো এ্যনালাইসিস করতে হয়না, যার মাধ্যমে স্বল্প রিস্ক নিয়ে অধিক লাভ করা সম্ভব, অনেকটা পিনবার ট্রেডিং পদ্ধতির মত। আমরা কোনো লেনদেন করতে যেমন দুটি পক্ষ লাগে ঠিক তেমনি প্রত্যেক এনগাল্পিং ট্রেডিং প্যাটার্ন এ দুটি ক্যান্ডেল জড়িত থাকে এবং একটি ক্যান্ডেল তার শরীর দ্বারা আগের ক্যান্ডেলটির শরীরকে পুরোপুরিভাবে আবৃত করে ফেলে, এতে এনগাল্পিং ট্রেড করার পরিবেশ তৈরি হয়। আর এ ধরণের এনগাল্পিং বাই অথবা সেল উভয়ের ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। তাইতো এনগাল্পিং ট্রেডিং পদ্ধতি অনেক জনপ্রিয়। নিচে বিভিন্ন ধরণের এনগাল্পিং ক্যান্ডেল প্যাটার্ন এর চিত্র দেওয়া হলঃ উপরের চিত্রে এনগাল্পিং এর বিভিন্ন ধরনের সেটাপ দেখানো হল। এনগাল্পিং চিত্রগুলোতে প্রথম ক্যান্ডেলটির মূল শরীরকে দ্বিতীয় ক্যান্ডেলটির মূল শরীর পুরোপুরি পূরণ করে উপরে/বাই বা নিচে/সেল এ চলে গেছে। এতে করে পরিস্কারভাবে বুঝা যায় যে, প্রথম ক্যান্ডেলটির শরীর দ্বিতীয় ক্যান্ডেলটির বডি/শরীর দ্বারা এনগাল্পিং হয়েছে এবং ট্রেড এ এন্ট্রি দেওয়ার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। এনগাল্পিং ট্রেড করার জন্য যে নিয়মগুলো মেনে চলবেনঃ যে কোনো পেয়ারে এনগাল্পিং হওয়ার পর ট্রেড এ এন্ট্রি দেওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই কিছু নিয়ম মেনে ট্রেড এ এন্ট্রি দিতে হবে। যে নিয়মগুলো আপনাকে মেনে চলতে হবে তা হলঃ অধিক প্রফিট করতে হলে আপনাকে অবশ্যই মিনিমাম ৪ঘন্টা/ডেইলি চার্ট ফলো করতে হবে আর যদি আপনি আরো কম টাইম ফ্রেম এ এনগাল্পিং ট্রেড করে থাকেন তাহলে এ ক্ষেত্রে আপনার ট্রেডে সফলতার পরিমাণও অনেক কম হবে। আপনি যে টাইম ফ্রেমে এনগাল্পিং ট্রেড করেন আপনাকে অবশ্যই সে টাইম ফ্রেমে সাপোর্ট ও রেসিস্টেন্সসমূহ জানতে হবে। আপনার টাইম ফ্রেমে কোনো ক্যান্ডেল এনগাল্পিং হলে যে ক্যান্ডেলটি এনগাল্পিং করবে সে ক্যান্ডেলটি শেষ হওয়া পর্যন্ত আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে কারণ অনেক সময় এরকম এনগাল্পিং করে আবার সেই ক্যান্ডেলেই সুটিং ষ্টার/ষ্টার/হ্যামার/অন্যান্য ক্যান্ডেলের রূপ ধারন করে। তাই ট্রেডে এন্ট্রি দেওয়ার জন্য এনগাল্পিং ক্যান্ডেলটি শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন এবং সিউর হয়ে পরের ক্যান্ডেল এ ট্রেড এন্ট্রি দিন। হাই ইমপ্যাক্ট নিউজের সময় এ ধরণের ট্রেড এ এন্ট্রি থেকে বিরত থাকুন কারণ এ সময় নিউজের কারনে ট্রেডে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। নিচে এনগাল্পিং ট্রেড এর একটি চিত্র দেওয়া হলঃ এনগাল্পিং ট্রেড এ এন্ট্রিঃ আপনার ব্যবহৃত টাইম ফ্রেমে কোনো ক্যান্ডেল এনগাল্পিং হওয়ার পর দেখে নিন যে, তারা তাদের আগের সাপোর্ট বা রেসিস্টেন্সকে অতিক্রম করেছে কিনা, যদি সেল এর ক্ষেত্রে পেয়ারটি তার আগের সাপোর্টকে অতিক্রম করে এনগাল্পিং করে এবং বাই এর ক্ষেত্রে পেয়ারটি তার আগের রেসিস্টেন্সকে অতিক্রম করে এনগাল্পিং করে তাহলে নিশ্চিন্তে ট্রেডে এন্ট্রি দিন। স্টপলসঃ আপনার ব্যবহৃত টাইম ফ্রেমে বেয়ারিশ/সেল এনগাল্পিং ট্রেড এর ক্ষেত্রে বর্তমান মার্কেট মূল্যের আগের সাপোর্ট এর ৫পিপ্স উপরে এবং বুলিশ/বাই এনগাল্পিং ট্রেড এর ক্ষেত্রে বর্তমান মার্কেট মূল্যের আগের রেসিস্টেন্সের ৫পিপ্স নিচে স্টপলস দিন। অথবা যে ক্যান্ডেলটি এনগাল্পিং হয়েছে যে ক্যান্ডেলের উপরে/নিচে দিন। টেক প্রফিটঃ এ ধরণের ট্রেডে কয়েক-ভাবে টেক প্রফিট দেওয়া যায়। সেগুলো হলোঃ এ ধরণের ট্রেড এ বেশীরভাগ সময়ে রিস্ক রেশিউ হিসেব করে টেক প্রফিট দেওয়া হয় যেমনঃ মিনিমাম ১:১। ট্রেড এ নিজে নজরদারি করে পরিস্থিতি বুঝে প্রফিট নিয়ে ট্রেড ক্লোজ করে দেওয়া। বেয়ারিশ/সেল ট্রেড এর ক্ষেত্রে এ্যনালাইসিস করে মার্কেট মূল্যের পরবর্তী সাপোর্ট এর কাছাকাছি এবং বুলিশ/বাই ট্রেড এর ক্ষেত্রে পরবর্তী রেসিস্টেন্স এর কাছাকাছি টেকপ্রফিট দিন। আমার অভিজ্ঞতামতে, এনগাল্পিং ট্রেড করার জন্য ৪ঘন্টা/ডেইলি চার্ট ফলো করা উচিৎ এতে সফলতা নিশ্চিত থাকে। এ ধরণের ট্রেড করার পর আপনার ট্রেডটি প্রফিটে থাকা অবস্থায় যদি ঐই পেয়ারে হাই ইম্প্যাক্ট নিউজ থাকে তাহলে আপনার ট্রেডটি নিউজ পাবলিশ হওয়ার আগেই প্রফিট নিয়ে ট্রেড ক্লোজ করে বেরিয়ে যান। কারণ নিউজ যদি আপনার ট্রেডের বিপরীতে হয় তাহলে হয়তো আপনি ঐই প্রফিটটা হারাবেন। তবে নিউজ পাবলিশ এর পর নিউজ যদি আপনার করা ট্রেড এর অনুকূলে থাকে তাহলে এ্যনালাইসিস করে একই ধরণের (বাই/সেল) ট্রেড এ আবার এন্ট্রি দিতে পারেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
    1 point
×
×
  • Create New...

Write what you are looking for and press enter or click the search icon to begin your search