Jump to content

Leaderboard

Popular Content

Showing content with the highest reputation on 09/21/2014 in all areas

  1. বন্ধুরা, মভিং এভারেজ (MA) সম্পর্কে আশা করি সবাই জানেন, এবং অনেকে ব্যবহারও করে থাকেন। যারা ব্যবহার করে থাকেন তারা এটা ব্যবহারের নিয়ম আর সুফল আশা করি অবশ্যই জানেন। আর যারা মভিং এভারেজ সম্পর্কে তেমন একটা ভালো জানেন না বা ভুলে গেছেন আজকের এই লিখা তাদের জন্য। মভিং এভারেজ হল একটি সহজ প্রযুক্তিগত বিশ্লেষন ইন্ডিকেটর, যা মসৃণভাবে প্রতি মুহূর্তের দামের তথ্য দ্বারা একটি ক্রমাগত গড়মুল্যের আপডেট তৈরি করে থাকে। এটি ট্রেডারের পছন্দমত যে কোনো টাইমফ্রেমে (যেমনঃ ৩০মিনিট, ১০দিন, ৩০সপ্তাহ) ব্যবহার করা যায়। ট্রেডিং এ মভিং এভারেজ ব্যবহারের সুফল অবশ্যই আছে, তবে সেটা নির্ভর করবে আপনার মূলধনের পরিমানের সাথে ব্যবহৃত টাইম ফ্রেম সামঞ্জস্যতার উপর বা আপনি কি ধরনের মভিং এভারেজ ব্যবহার করছেন। মভিং এভারেজ স্ট্রেটেজি সব সময়ই জনপ্রিয় এবং এটা যে কোনো টাইমফ্রেমে সেট করা যায়, সেজন্যই মভিং এভারেজ দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগকারী এবং স্বল্পমেয়াদী ব্যবসায়ীদের উভয়ের সাথেই মানায়। লং টাইম ট্রেডাররা ৫০দিন থেকে ২০০দিন বা তার বেশী আর শর্ট টাইম ট্রেডাররা ৪ঘন্টা থেকে ১সপ্তাহ টাইমফ্রেম পছন্দ করেন। কেন মভিং এভারেজ ব্যবহার করবেন : মভিং এভারেজ প্রাইস চার্টের “গোলমাল” মুল্য চিত্র বাদ দিয়ে চার্ট দেখাতে সাহায্য করতে পারে। এক্ষণই মভিং এভারেজ এর ডিরেকশনের দিকে তাকিয়ে দেখুন তাহলেই বেসিক আইডিয়াটি পেয়ে যাবেন যে মার্কেট মুল্য কোন দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। কি দেখলেন! প্রাইচ ও উপরের দিকে আর মভিং এভারেজ ও উপরের দিকে বা এর আগে উপরের দিকে ছিল। মভিং এভারেজ যদি নিচের দিকে দেখায় তাহলে মার্কেট প্রাইসও নিচের দিকে নামবে আর মভিং এভারেজ যদি সাইডওয়েতে থাকে/চলে তাহলে মার্কেট মুল্য এখন একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে আছে। মভিং এভারেজ সাপোর্ট ও রেসিস্টেন্স এর কাজও করে থাকে তবে সেটা লং টাইমের ট্রেডাররা বেশী বুঝবেন, যেমন একটি ঊর্ধ্বমুখী চিত্রে ৫০, ১০০, ২০০দিন এর চার্টে নিচের যে সাপোর্ট দামগুলো দেখা যায় এটা মভিং এভারেজ এর সাপোর্টের চিত্র। তেমনি নিম্নমুখী মার্কেট এ দেখা যাবে রেসিস্টেন্স চিত্র। মার্কেট মুল্য মবিং এভারেজকে উক্ত চিত্রের ন্যায় সবসময় সম্মান করে না অর্থাৎ মার্কেট মুল্য মাঝে মাঝে সাইডওয়ে বা রিভার্স করে থাকে। মভিং এভারেজ এর সাধারন গাইডলাইন মতে, মার্কেট মুল্য যদি মভিং এভারেজ এর উপরে থাকে তাহলে বর্তমানে মার্কেট ঊর্ধ্বমুখী আর মার্কেট মুল্য যদি মভিং এভারেজ কে ক্রস করে বা নিচের দিকে থাকে তাহলে বর্তমানে মার্কেট নিম্নমুখী। মভিং এভারেজ বিভিন্ন টাইম ফ্রেমে বিভিন্ন রকম দেখায়, যেমন ৪ঘন্টার চার্টে আপনি মার্কেট ঊর্ধ্বমুখী দেখলে ৫০দিনের চার্টে নিম্নমুখী দেখতে পারেন। অর্থাৎ আপনি যত সময়ের চার্ট তার কাছে দেখতে চাইবেন সে ঐই সময়ের চার্টের মুবমেন্টই আপনাকে দেখাবে। মভিং এভারেজ এর ধরণ : একটি মভিং এভারেজ বিভিন্ন উপায়ে হিসেব করতে পারে। ৫দিনের একটি (SMA) Simple Moving Average পাঁচটি সাম্প্রতিক দৈনিক ক্লোজিং দামকে পাঁচ দ্বারা ভাগ করে প্রতিদিনের নতুন এভারেজ মুল্য বের করে থাকে। একবচন বহমান দ্বারা তৈরিতে প্রতিটি গড় পরের দামের সাথে আবার সংযুক্ত করা হয়। মভিং এভারেজ এর আরেকটি জনপ্রিয় ইন্ডিকেটর হলঃ Exponential Moving Average(EMA)। এটির হিসাব আরেকটু জটিল কিন্তু এটাও মুলত সাম্প্রতিক মুল্য দ্বারাই প্রভাবিত হয়। ধরুন- আপনি একটি চার্টে ৫০দিনের SMA ও EMA আনলেন, তখন দেখবেন যে SMA থেকে EMA অনেক দ্রুত আপনাকে রিপ্লাই দেবে বা রিয়েক্ট করবে। মুভিং এভারেজ লেন্থ : মভিং এভারেজ এর ক্ষেত্রে কমন কিছু লেন্থ হলো ১০, ২০, ৫০, ১০০ ও ২০০। এই লেন্থগুলো যেকোনো চার্টের টাইম ফ্রেমে প্রযোজ্য। তবে এ সব নির্ভর করে ট্রেডারের ট্রেড দিগন্তের উপর। আপনি যে টাইম ফ্রেম বা লেন্থ সিলেক্ট করেছেন, এটাকে এক কথায় পিছনে ফিরে দেখা বলা যেতে পারে এবং এটার চিত্রের ফলাফল দেখেই আপনি আপনার কার্যকারী ট্রেড সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন। একটি মভিং এভারেজ এ কম সময়ের টাইমফ্রেমে দামের উঠা-নামা হলে খুব তাড়াতাড়ি রিয়েক্ট করে যা আপনি সাথে সাথে অধিক সময়ের টাইমফ্রেম ব্যবহার করলেই বুঝবেন। ২০দিনের মভিং এভারেজ থেকে ১০০দিনের মুভিং এভারেজ অনেক ভালো। শর্ট টাইম ট্রেডারদের জন্য ২০দিনের মভিং এভারেজ বেনিফিট দিবে। তবে যারা লং টাইম ট্রেড করে থাকেন তারা ৫০-২০০ দিনের টাইমফ্রেম ব্যবহার করে থাকে। যখন মার্কেটের গড় মুল্য মভিং এভারেজ এর উপরে থাকে তখন ট্রেন্ড আপ হিসেবে বিবেচনা করা হয় আর যখন মার্কেটের গড় মুল্য মভিং এভারেজ এর নিচে দেখা যায় তখন ট্রেন্ড নিচের দিকে বলে বিবেচিত হয়। একটি ২০দিনের মভিং এভারেজ ১০০দিনের মভিং এভারেজ থেকে বেশী পরিমানে সিভারসেল দেখায়। একটি মভিং এভারেজ ১৫, ২৮, ৮৯ ইত্যাদি দৈর্ঘ্যের হতে পারে। আপনি আপনার মত করে অর্থাৎ আপনার ট্রেডের চাহিদার উপর নির্ভর করে মভিং এভারেজ এর লেন্থ সেটিং করুন যাতে এটি ভবিষ্যতে আপনাকে সঠিক ট্রেড সিগনাল দিতে সাহায্য করে। ধন্যবাদ।
    3 points
  2. বন্ধুরা, ফরেক্স ট্রেড করার জন্য আমাদেরকে বিশ্ব অর্থনীতি সম্পর্কে পুরোপুরি জ্ঞান না রাখলেও কিছু কিছু মূল অর্থনৈতিক জ্ঞান অবশ্যই রাখতে হয়, নতুবা ট্রেড এ সফলতা আনা সম্ভব নয়। আজকে আপনাদেরকে সে রকমই কিছু তথ্য দিব যা আপনার ট্রেড এ্যনালাইসিস ক্ষমতা আরো বাড়িয়ে দিবে। তাহলে আসুন জেনে নেই বিশ্ব অর্থনীতির কিছু জরুরী তথ্য। অর্থনৈতিক মৌলিক প্রতিনিধিত্বকারী মুদ্রা পূর্বাভাস একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এখানে প্রধান কিছু অর্থনীতির Key সূচকের একটি ওভারভিউ দেওয়া হল। মনে রাখবেন ইউরো জোন এখনো গুরুতর অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন তারপরও ইউরো জোন বর্তমান একাউন্ট উদ্বৃত্ত থেকে সমর্থন পেয়ে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। ECB তাদের বিগত Meeting এ নতুন ব্যবস্থা নীতি ঘোষনা দিয়েছে, তা হল ০.১৫% কম সুদের হার কাটা এবং ব্যাংক ঋণ ও নেতিবাচক আমানত হার প্রবর্তনের উৎসাহিত তহবিল € 400bn। ECB-ই মেজর ব্যাংক হিসেবে প্রথম নেতিবাচক আমানত হারের সাথে পরিচয় করালো, এবং এর সাথে আরেকটি নিয়ম হলো যে তাদের ব্যাংক এ অর্থ জামানত রাখলেও এখন চার্জ দিতে হবে। ECB President, Mario Draghi আশা করেন যে, নেতিবাচক আমানত হার প্রবর্তনের ফলে ভোক্তা ঋণ প্রলুব্ধ এবং বিপজ্জনক বিচ্ছুরিতা থেকে ইইউ জোন কে প্রতিরোধ করা যাবে। বিগত মাসে জাপানের উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে, কিন্তু মুদ্রাস্ফীতির উপর জাপানের টার্গেট ব্যাংকগুলোর উপর। নিচের চিত্রে ইউরো জোন, জার্মান, ফ্রান্স সুইজারল্যান্ড, ব্রিটেন, আমেরিকা, কানাডা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের অর্থনৈতিক চিত্র দেওয়া হলঃ উপরের চিত্রে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে, প্রত্যেকটি দেশের বাৎসরিক GDP অনুযায়ী কোয়াটারলি GDP যা হওয়ার প্রয়োজন ছিল তার থেকে অনেক কম,তবে কোয়াটারলি GDP এর ক্ষেত্রে আমেরিকাই সবার পেছনে, তাদের GDP -১.০% । ইউরো জোন ও ফ্রান্সে বেকারত্বের হার সব চেয়ে বেশী এবং ফ্রাঞ্চ, ব্রিটেন, আমেরিকা ও জাপানের ট্রেড ব্যালেন্স মাইনাস এ আছে। তাছাড়া ফ্রান্স, ব্রিটেন, আমেরিকা, কানাডা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের কারেন্ট একাউন্ট ও মাইনাস ফিগার বহন করছে। আশা করি এ তথ্যমূলক পোষ্টটি আপনাদেরকে প্রত্যেকটি কারেন্সিতে ট্রেড এ্যনালাইসিস করতে সহযোগিতা করবে। ধন্যবাদ সবাইকে।
    1 point
  3. অনেক ধন্যবাদ, সুন্দর একটা ট্রেডিং স্ট্রেটিজি শেয়ার করার জন্য। আমরা অনেক ট্রেডারই আছি যারা হায়ার ইন্ডিকেটর দিয়ে ট্রেড করি কিন্তু ডেফল্ট যে ইন্ডিকেটর গুলো আছে সেগুলোর দিকে নজর দেয় না কিংবা গুরুত্ত দেয় না। কিন্তু মেটা ট্রেডারের যে সকল ইন্ডিকেটর আছে তার সমন্বয়ে অনেক সুন্দর স্ট্রেটিজি তৈরি করা যায় এবং ভালো ট্রেড করা যায়।
    1 point
×
×
  • Create New...

Write what you are looking for and press enter or click the search icon to begin your search