Leaderboard
Popular Content
Showing content with the highest reputation on 10/16/2014 in Posts
-
EMA দিয়ে সিম্পল ট্রেডিং স্ট্রেটেজি।
Abu Monsur reacted to A H Royal for a topic
EMA দিয়ে সিম্পল ট্রেডিং স্ট্রেটেজি। বন্ধুরা, আজকে আমি আপনাদের সাথে আরেকটি সহজ ট্রেডিং স্ট্রেটেজি শেয়ার করবো, এটি কোনো অভিনব বা জটিল সূচকের সঙ্গে যুক্ত নয় কিংবা এটি কোনো জটিল পদ্ধতির সঙ্গে জড়িতও নয়। লিখাটি পড়ার পর আপনি হয়তো বলতে পারেন এটাতো অনেক সহজ ও আপনার জানা। ঠিক তাই, আমি শুধু এই স্ট্রেটেজির সাথে আমার অভিজ্ঞতা থেকে কিছু সাধারণ নিয়ম আর কিছু কৌশল যোগ করেছি। আশা করি স্ট্রেটেজিটি ফলো করলে আপনি অনেক সহজ এ্যনালাইসিস করে সফল ট্রেড করতে সক্ষম হবেন। তাহলে চলুন জেনে নেই EMA/MA দিয়ে আরেকটি সিম্পল ট্রেডিং স্ট্রেটেজি। ইন্ডিকেটরঃ – এই স্ট্রেটেজির জন্য আপনাকে শুধুমাত্র EMA/MA ইন্ডিকেটরটি ব্যবহার করতে হবে। EMA/MA ইন্ডিকেটরটি ব্যবহারের নিয়মঃ ট্রেডিং ডিরেকশন এর জন্য EMA/MA ২০০পিরিয়ড ব্যবহার করুন এবং EMA/MA ১০পিরিয়ড ব্যবহার করুন ট্রেডে এন্ট্রি দেওয়ার জন্য। টাইমফ্রেমঃ - এই স্ট্রেটেজির মাধ্যমে যেকোনো টাইমফ্রেমে ট্রেড করতে পারবেন, তবে ১৫মিনিট, ১ও৪ঘন্টা এবং দৈনিক চার্টে করলে ভালো। আমার অভিজ্ঞতামতে, যারা ডে ট্রেডার তারা ৫থেকে১৫ মিনিট, সুইং ট্রেডাররা ১/৪ ঘন্টার চার্ট আর যারা লং টাইম এর জন্য ইনভেস্ট করেন তারা দৈনিক চার্ট ব্যবহার করলে অত্যাধিক ভালো ফলাফল পাবেন। ট্রেডিং পেয়ারঃ – এটা যেকোনো কারেন্সি পেয়ার, কমোডিটি ও ইন্ডেক্স বা স্টক এ প্রয়োগ করা যাবে। EMA/MA দিয়ে ট্রেডে এন্ট্রি দেওয়ার নিয়মঃ বাই/লং এন্ট্রিঃ যখন মার্কেট মুল্যের বর্তমান ক্যান্ডেল EMA/MA ২০০ পিরিয়ড এর উপরে থাকবে বা ক্লোজ করবে তখন মার্কেট মুল্য নিচের দিকে EMA/MA ১০পিরিয়ড পর্যন্ত সংশোধন/আসার জন্য অপেক্ষা করুন, তারপর যখন মার্কেট মুল্যের ক্যান্ডেল EMA/MA ১০পিরিয়ড এর উপরে ক্লোজ করে উপরেই থাকবে তখনই লং/বাই ট্রেড এ এন্ট্রি দিন। বাই/লং এন্ট্রি স্টপলসঃ বাই ট্রেড করার আগে আপনার টাইমফ্রেমে EMA/MA ১০পিরিয়ড এর নিচের যে মুল্যে মার্কেট ক্লোজ হয়েছিল সে মুল্যে স্টপলস দিন। সেল/শর্ট এন্ট্রিঃ মার্কেট মুল্যের বর্তমান ক্যান্ডেল EMA/MA ২০০ পিরিয়ড এর নিচে থাকবে বা নিচে ক্লোজ করবে তখন মার্কেট মুল্য উপরের দিকে EMA/MA ১০পিরিয়ড পর্যন্ত সংশোধন/যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন, তারপর যখন মার্কেট মুল্যের ক্যান্ডেল EMA/MA ১০পিরিয়ড এর নিচে ক্লোজ করে নিচেই থাকবে তখনই সেল/শর্ট ট্রেড এ এন্ট্রি দিন। সেল/শর্ট এন্ট্রি স্টপলসঃ সেল ট্রেড করার আগে আপনার টাইমফ্রেমে EMA/MA ১০পিরিয়ড এর উপরে যে মুল্যে মার্কেট ক্যান্ডেল ক্লোজ হয়েছিল সে মুল্যে স্টপলস দিন। বাই ও সেল উভয় ক্ষেত্রে টেক প্রফিট যেভাবে দিবেনঃ প্রত্যেক স্ট্রেটেজি বেঁধে প্রতিটি পেয়ারের ক্ষেত্রে টেক প্রফিট বা লাভের নিয়ম পরিবর্তিত হয়/একেক রকম হয়। কারণ, প্রত্যেক কারেন্সিরই আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট রয়েছে, অর্থাৎ দৈনিক ট্রেডিং রেঞ্জ, ভোলাটিলিটি ও নিউজের প্রতিক্রিয়া এগুলো প্রতিটি কারেন্সির কিন্তু একই রকম হয়না। তাই এই স্ট্রেটেজিতে দৈনিক ট্রেডারদের জন্য আমি তার ট্রেডকৃত পেয়ারের বিগত ৩০দিনের দৈনিক এভারেজ পিপ্স এর ৫০% টেক প্রফিট দিতে বলি। উদাহরণস্বরূপ – সবার প্রিয় EURUSD পেয়ারটি বিগত মাসের দৈনিক এভারেজ এ মুবমেন্ট ছিল ১২০পিপ্স তাহলে এক্ষেত্রে আমি বলবো আপনি ৫০% অর্থাৎ আপনি এ স্ট্রেটেজিতে প্রতিদিন ৬০পিপ্স করে টেক প্রফিট দিন বা ট্রেড প্রফিটে গেলে নিজে এ্যনালাইসিস করে ম্যনুয়্যলি সিদ্ধান্ত নিন। নিচের চিত্রে বিস্তারিত দেখানো হলঃ উক্ত স্ট্রেটেজিতে ট্রেড করার কতিপয় নিয়মঃ উক্ত স্ট্রেটেজিতে ট্রেড করার জন্য উপরে উল্লেখিত হুবহু নিয়ম অনুস্মরণ করুন, এর সাথে অন্য এ্যনালাইসিস যোগ করবেন না।মার্কেট মুল্য সাময়িকভাবে EMA/MA ১০পিরিয়ড এর উপরে/নিচে থাকা অবস্থায় অসম্পূর্ণ ক্যান্ডেল এ ট্রেড করা থেকে বিরত থাকুন। তখনই ট্রেডে এন্ট্রি দিন যখন মার্কেট মুল্য EMA/MA ১০পিরিয়ড এর উপরে/নিচে তার মার্কেট মুল্যের ক্যান্ডেল্টি ক্লোজ করে। যখন মার্কেট মুল্যের ক্যান্ডেল EMA/MA ১০পিরিয়ড এর উপরে/নিচে আপনার ট্রেডের বিপরীতে যাবে তখনই অতি দ্রুত আপনার ট্রেডটি ম্যনুয়্যলি ক্লোজ করে দিন, এটা কখনো ভাববেন না যে মার্কেট মুল্য আপনার অনুকূলে আসবে বা আসতে পারে তাহলে আপনার লসের পরিমান অনেক বেশী হতে পারে বাকীটা আপনার সিদ্ধান্ত। কখনো মার্কেট ডিরেকশন এর অপর দিকে ট্রেড করবেন না অর্থাৎ মার্কেট মুল্য EMA/MA ২০০পিরিয়ড এর নিচে থাকলে বাই আর EMA/MA ২০০পিরিয়ড এর উপরে থাকলে সেল এন্ট্রি থেকে বিরত থাকুন। সর্বশেষ নিয়ম, যখনই আপনার দৈনিক টেক প্রফিট চাহিদা পূরণ হবে বা পূরণ হওয়ার পথে তখন ওই টিপি টার্গেট থেকে আর বাড়াবেন না। তাহলে হয়তো আম আর ছালা দুটোই হারাবেন, মনে রাখবেন ফরেক্স হলো দু-মুখি তলোয়ার যার দু-দিকেই সমান ধার থাকে। সাধারণ নির্দেশাবলীঃ ফরেক্স ট্রেডারদের জন্য এই স্ট্রেটেজিটি সবথেকে বেশী কার্যকর হয় লন্ডন ও নিউ ইয়র্ক ট্রেডিং সেশন এ।এই স্ট্রেটেজিটি সম্পূর্ণ টেকনিক্যাল এ্যনালাসিস নির্ভর, তাই নিউজ ও ফান্ডামেন্টাল এ্যনালাইসিস দ্বারা এই স্ট্রেটেজিতে ট্রেড করবেন না। হুট করে ট্রেডে এন্ট্রি দিবেন না, ট্রেডে এন্ট্রি দেওয়ার জন্য স্ট্রেটেজিমতে এ্যনালাইসিস দেখুন তারপর সিউর হয়ে ট্রেডে এন্ট্রি দিন কারণ ট্রেড করার জন্য সময়ের অভাব হবেনা কিন্ত লস সামলাতে আপনার অনেক সময় লাগতে পারে। লিভারেজ হলো ট্রেডারদের সাইলেন্ট কিলার, তাই পৃথিবীর যত সফল স্ট্রেটেজিই হোক না কেন ট্রেড এর ক্ষেত্রে অত্যাধিক লিভারেজ ব্যবহার করবেন না। মনে রাখবেন একজন দৈনিক ট্রেডার ধারাবাহিকভাবে দৈনিক তার মূলধনের ৫% উপার্জন করতে পারে আর বেশী করা মানেই হলো ওই ট্রেডার ধয্যহীন ও লোভী আর এজন্যই যত সফল স্ট্রেটেজিই হোক না কেন এ ধরনের ট্রেডাররা এক সময় বিশাল লস দেয়। EMA ইন্ডিকেটরটি ডাউনলোড করুন এখান থেকে - ema.zip উপরোক্ত স্ট্রেটেজিটি আশা করি নতুন ও অভিজ্ঞ ট্রেডারদেরকে আরো অভিজ্ঞ ও সফল করে তুলবে। কোনো ভুল হলে শিখিয়ে দিবেন কারণ আমিও আপনাদের মত একজন সাধারণ ট্রেডার। শুধুমাত্র নিজে যতটুকু অর্জন করেছি ততটুকুই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। ধন্যবাদ। ema.zip1 point -
মূল কথায় যাওয়ার আগে আসুন আমরা দুটো ঘটনার দিকে একটু মনোযোগ দেই। ঘটনাঃ ১ ১৯৯৪ সাল। জামাল আর কামাল দুই বন্ধু একই ক্লাসে পড়ে। দুজনেই খুব ভাল স্টুডেন্ট। কিন্তু দুজনেই প্রায় সমান লেখা পড়া করা সত্ত্বেও জামাল সব সময় ক্লাসে প্রথম হয়, কামাল হয় দ্বিতীয়। একবার কামাল জিজ্ঞেস করল জামালকে, “কিরে জামাল? তুই আর আমি তো লেখাপড়ায় সমান সমান তাহলে তুই প্রতিবার পরিক্ষায় ফার্স্ট হয়ে যাস কেমন করে?” উত্তরে জামাল বলল, “রেজাল্ট ভাল করার জন্য আমার কিছু ছোট ছোট সিস্টেম জানা আছে যা তুই জানিস না”। কামাল খুব উৎসাহী হয়ে বলল, “তাই নাকি? তা কি সেই পদ্ধতি? আমাকে বলবি?” মাথা নেড়ে আপত্তি জানাল জামাল, “না বলব না”। কামালের মুখটা কাল হয়ে গেল, “কেন বলবি না?” “বলে দিলে তো তুইও আমার সমান হয়ে যাবি। তখন তুই যদি ক্লাসে ফার্স্ট হয়ে যাস, আমি তো সেকেন্ড হব! আমি নিজের ক্ষতি করে তোর উপকার করতে যাব কন দুঃখে?” জামালের কথায় যুক্তি আছে! কি বলেন? মানুষের উপকার করা ভাল কাজ, তবে নিজের ক্ষতি করে অপরের উপকার কে করতে চায় বলুন? ঘটনাঃ ২ ২০১৪ সাল। রফিক আর শফিক দুই বন্ধু একই ক্লাসে পড়ে। দুজনেই খুব ভাল স্টুডেন্ট। কিন্তু দুজনেই প্রায় সমান লেখা পড়া করা সত্ত্বেও রফিক সব সময় এপ্লাস পায়, শফিক অল্পের জন্য পায়না। একবার শফিক জিজ্ঞেস করল রফিককে, “কিরে রফিক? তুই আর আমি তো লেখাপড়ায় সমান সমান তাহলে তুই প্রতিবার পরিক্ষায় এ প্লাস পাস কেমন করে?” উত্তরে রফিক বলল, “রেজাল্ট ভাল করার জন্য আমার কিছু ছোট ছোট সিস্টেম জানা আছে যা তুই জানিস না”। শফিক খুব উৎসাহী হয়ে বলল, তাই নাকি? তা কি সেই পদ্ধতি? আমাকে বলবি? রফিক হেসে উত্তর দিল, “অবশ্যই বলব”! শফিকও খুশি হয়ে গেল! “সত্যি বলবি? তুই কত ভালরে”! “কেন বলব না বল? তোকে সাহায্য করলে আমার তো কন ক্ষতি নেই। তুই এপ্লাস পেলে আমার এ প্লাস তো আর ছুটে যাবেনা! তাহলে সমস্যা কি? আমরা নাহয় দুজনেই মিলে এপ্লাস পাব”! কি বুঝলেন? ডিজিটাল যুগে শিক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন আমাদের মানসিকতারও কিছু পরিবর্তন এনেছে! কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের ব্যাপার হচ্ছে আমি খেয়াল করলাম আমাদের দেশের ফরেক্স ট্রেডারদের মধ্যে মানসিকতার পরিবর্তন কম হয়েছে। অনেকেই এখনও সেই ১৯৯৩ সালের পুরনো ধ্যান ধারনা নিয়ে পড়ে আছে! মূলকথা আমি মাস্টার্স এর পর বেশ কিছুদিন দেশের বাইরে ছিলাম। সেই সময় আমি ফরেক্স বিজনেসের সাথে জরিয়ে পড়ি। কয়েক মাস আগে দেশে ফিরে দেখলাম আমার অনেক বন্ধু বান্ধব ডিএসইতে বিনিয়োগ করছে। আমি তাদেরকে উৎসাহিত করলাম ফরেক্সে বিনিয়োগ করার জন্য। কারন আমার মনে হয় শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের চেয়ে ফরেক্সে বিনিয়োগ অনেক বেশি নিরাপদ। কিন্তু বন্ধুরা কেউ আমার কথায় গুরুত্ব দিলনা। তাদের ভয় একটাই- সব লেনদেন অনলাইনে হয়! যদি টাকা মেরে দেয় ইত্যাদি ইত্যাদি… ডিজিটাল যুগেও এরা আগের ধারনা নিয়ে পড়ে আছে! তারপর চেষ্টা করলাম এদেশে যারা ফরেক্স করে মোটামুটি একটা পজিশনে যেতে পেরেছে তাদের সম্পর্কে একটু খোঁজ খবর নিতে। দেশেই যখন আছি তো দেশি ট্রেডারদের সাথে একটু চেনা জানা থাকলে ভাল হয়। কিন্তু দেখলাম যে দুই একজন একটু উৎসাহী হলেও, বেশিরভাগই তেমন হেল্পফুল নয়! এরা সেই ১৯৯৩ সালের স্কুলে পড়ে আছে যেখানে একজন ফার্স্ট হলে বাকিদের পিছিয়ে থাকা লাগবে! নিজের সাফল্যের কথা শেয়ার করলে নিজের ক্ষতি হবে! ফরেক্সে তো একজনের প্রফিট হওয়া মানে বাকিদের লস খেতে হবে এমন কোন কথা নেই! এটা ২০১৪ সালের স্কুলের মতই! এখানে দুজনেই এপ্লাস পেতে পারে, এক জন এপ্লাস পেলে অন্য জন পাবেনা এমন কিছু নেই! এখানে আপনি লাভবান হওয়ার পাশাপাশি আপনার বন্ধুও লাভবান হওয়ার সুযোগ আছে! কিন্তু আমরা অন্যের ভাল দেখতে পারিনা! এটা আমাদের খুব বাজে একটা স্বভাব। আমি মীর আযহার আলি। ফরেক্সের সাথে জড়িত আছি দু বছরের বেশি সময়। আমি যে খুব বেশি প্রফিট করে ফেলেছি এমনটা নয়। তবে আমি সব সময় চেষ্টা করি নিজে যা জানি তা অন্যকে জানাতে। আপনাদের সামনে এলাম ফরেক্স হেল্প ডেস্ক নিয়ে। আপনারা চাইলে ফরেক্স সংক্রান্ত আপনাদের যেকোনো সমস্যা নিয়ে আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন। আমার যদি উত্তরটা জানা থাকে তাহলে অবশ্যই উত্তর দেব। আর জানা না থাকলে জেনে নিয়ে জানানোর চেষ্টা করব। আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন এই থ্রেডের নিচে কমেন্ট করে। প্রয়োজন মনে হলে আমার সাথে ফেসবুকেও কানেক্ট থাকতে পারেন। আমার ফেসবুক আইডিঃ অপ্রস্তুত আযহার লেখালেখির অভ্যাস ছিল অনেক আগে থেকে। তাই বিজনেস, ইকোনমি, শেয়ার বাজার, ফরেক্স, আউটসোর্সিং- এসব বিষয়ে টুকটাক লেখা লেখিও করছি। আমার সব লেখাগুলো পাবেন এই ব্লগেঃ ফরেক্স ট্রেডিং1 point