EUR/USD কারেন্সির ধারাবাহিক পতন গত ১০ বছরের ফরেক্স মার্কেটকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। এবং গত সপ্তাহের CHF এর প্রভাবে এক যুগের সর্বনিম্ন সাপোর্ট লেভেল এসে দাঁড়িয়েছে এই কারেন্সিটি। তবে এখানেই শেষ নেই এই সপ্তাহের কিছু ইভেন্ট এই কারেন্সির নতুন চিন্তার কারন হয়ে দাড়িয়েছে। তাই উক্ত কারেন্সির এই সপ্তাহের ইভেন্ট অনুসারে টেকনিক্যাল এনালাইসিসে মার্কেট ভলাটিলিটির ইমপ্যাক্টে এই কারেন্সির নতুন তারল্য কি হতে পারে তাই আলোচনার বিষয়।
EUR/USD এর ক্রমগতিক অতিরিক্ত সেল ফোর্স ঠিক বোঝা যাচ্ছে না এই কারেন্সির পরবর্তী বটম লেভেল কোথায়। ধারাবাহিক ফলিং মোমেন্টাম লেভেল হাই ১০০ এ কিছুটা পুলব্যাক মনে হলে ও অতিরিক্ত সেল ফোর্সে তাও হচ্ছে না, তাই এই অবস্থায় EUR/USD কারেন্সি মোটামুটি ট্রেডারদের বেশ চিন্তিত করে তুলেছে কারন মেজরিটি ট্রেডার এই কারেন্সিতেই ট্রেড করে থাকেন।
উপরের চিত্রে লক্ষ্য করলে বোঝা যায় কি পরিমান সেলিং ফোর্সে রয়েছে EUR/USD. তাই এখন প্রশ্ন একটাই কবে EUR/USD পুলব্যাক করবে বা আরো কি পরিমান সেল ফোর্স বাড়তে পারে? হ্যাঁ কিছু পাওয়া যাবে তার কিছু সঙ্কেত। ২২ জানুয়ারির European Central Bank’s meeting এবং ২৫ তারিখের Greek election এই কারেন্সির সেল ফোর্স আরো বাড়াবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
EUR/USD এর আরো সেল ফোর্সের পেছনে কিছু কারন রয়েছে;
যেমন, বর্তমান EUR মুদ্রাস্পীতি তিব্রতায় যার ফলে কনজুমার এর কনজুমিং ফলিং প্রাইস ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ০.২%। এবং গত সপ্তাহের সুইচ ন্যাশনাল ব্যাংক দ্বারা সুইচ ফ্রাঙ্ক এর সাথে ইউরো বন্ধকতা সব মিলিয়ে উক্ত কারেন্সির সেল ফোর্স আরো বাড়িয়ে তুলেছে। যার ফলে এই সপ্তাহে EUR/USD প্রাইস লেভেল ১.১৩৬০ পর্যন্ত আসার প্রবনতা রয়েছে। যার এই সেশন বিশদায়ন ১.১২০০ পর্যন্ত আসার অপেক্ষা রাখে না।
তাই উক্ত কারেন্সিতে ট্রেডের ক্ষেত্রে বেশ সাবধানী হতে হবে বর্তমান মার্কেট তারল্য নীতিতে।