Fed's Monetary Policy Statement & Nonfarm Payrolls
বিগত দিনের মত বরাবরই আজকে প্রকাশিত হবে Fed's Monetary Policy Statement ও ব্যাংক সূদের হার। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের শাসনামলের প্রথম Fed's Monetary Policy Statement হিসেবে আমাদের জন্য ইভেন্টসটি অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ন। তবে ফেডের মনিটরি পলিসি সহ গুরুত্বপূর্ণ অন্য তিনটি ইভেন্টস রয়েছে চলতি ট্রেডিং সাপ্তাহে
যথা
01) BoJ Monetary Policy Meeting Minutes
02) BoE Interest Rate Decision
03) Nonfarm Payrolls
-
কিন্তু মুদ্রাবাজারে এর প্রভাব কেমন পড়তে পারে সেটাই আমাদের বিবেচনা করতে হবে। কোন মুদ্রাটি কতটুকু প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সে বিষয়ে ইকোনমি জার্নাল থেকে পরিসংখ্যান ভিত্তিক কয়েকটি Economical Events নিম্নে আলোচনা করছি।
গত ১৬ ই ডিসেম্বর ২০১৫ সাল থেকে চলে আসা ব্যাংক সুদের হার ০.৫০% থেকে ফেড গত ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬-তে ০.৭৫% বৃদ্ধি করেছিল।পাশাপাশি ফেডের প্রধান ইয়েলেন তার প্রেস কনফারেন্সে পুনরায় ২০১৭ অর্থ বছরে তা পর্যায়ক্রমে আরো তিন ধাপে বৃদ্ধির বিষয়েও স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছিলেন। সে হিসেবে ২০১৭ অর্থবছরের প্রথমাংশে অর্থাৎ আজ তারা কি ব্যাংক সুদের হার বৃদ্ধি করবে ?
-
এ সম্ভাব্য বিষয়টি পর্যালোচনা করতে আমরা যদি তাদের বিগত দিনের Economical ইভেন্টসের দিকে তাকায় তবে এটা পরিষ্কার যে মার্কিন অর্থনীতিতে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে বিগত দিনের তুলনায়।
যেমন:
ADP Employment Change যা ৫ জানুয়ারি ২০১৭- তে 170K থেকে 153K তে নেমে এসেছে (bearish).
অপরদিকে US manufacturing sector এর ISM ৫৩.৫ থেকে ৫৪.৭-এ উন্নীত হয়েছে (Bullish) । অর্থাৎ US manufacturing sector-এর বিভিন্ন সেক্টরে যেমন future production, new orders, inventories, employment এবং deliveries সংক্রান্ত ISM সূচকটি সার্বিক ভাবে সুবিধা জনক অবস্থানে রয়েছে। সূতরাং উপরোক্ত দুটি ইভেন্টস মূল্যায়নে অনেকটাই মার্কিন ডলার স্বাভাবিক থাকবে যতক্ষণ না দুটিতেই বড় ধরনের পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়।
-
পক্ষান্তরে যদি আমরা US labor department কর্তৃক প্রকাশিত Initial Jobless Claims এর দিকে তাকায় , তবে সে সেক্টরে তারা গত ২৬ জানুয়ারী ২০১৭ ভাল সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু NFP তে আবার ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে।কারন এ কী ইভেন্টসে তারা পছিয়েছে যদিও তাদের বেকারত্বের হার অপরিবর্তিত ছিল।যা একটি উর্ধমূখী ট্রেন্ড কে বাধা গ্রস্থ করে।এছাড়া তাদের সদ্য জিডিপিতেও তারা পিছিয়েছে। সূতরাং সার্বিক ইকোনমি মূল্যায়নে ফেড আজ কে ব্যাংক সুদের হার বৃদ্ধির বিষয়টি এড়িয়েও যেতে পারে এবং আরো একমাস তারা সার্বিক অবস্থার উন্নতির প্রতি দৃষ্টি আরোপ করতে পারে।
-
সে দৃষ্টিকোণ থেকে প্রফেসর ইলেয়েনের কাছ থেকে আজ ব্যাংক সুদের হার বৃদ্ধি না করে বরং এর সম্ভব্যতা নিয়ে সাধারন একটি ব্রিফ করার চেয়ে বেশি কিছু প্রত্যাশা করা যাচ্ছেনা। এছাড়া নবনিযুক্ত মার্কিন প্রেসিডেন্টের নতুন সরকার গঠন ও নির্বাচনি ব্যস্ততার ফলে চলতি ইভেন্টসে ইকোনমিতে তেমন কোন পরিবর্তনের সম্ভাবনা কার্যত দেখা যাচ্ছে না। যদিও বিষয়টি সম্ভাব্য।
-
সূতরাং চলতি ইভেন্টস সমূহ মার্কেটে কেমন প্রভাব ফেলতে পারে ?
-/-------------------------------------------------------------------/-
অবশ্যই মার্কিন ডলার দুর্বল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে যদি ফেড ভাল কোন অর্জন দেখাতে না পারে। তাছাড়া ট্রাম্পের বিভিন্ন রাষ্ট্রনীতি ও বক্তব্য কে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই মার্কিন ডলার অনেক চাপে আছে যা আমরা স্পষ্টতই ট্রেডিং মার্কেটে দেখতে পাচ্ছি। তারই প্রমান হচ্ছে ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার সময় মার্কেট যেখান থেকে পরিবর্তন হয়েছিল ক্ষমতা গ্রহনের পর আবার ধীরে-ধীরে মার্কেট সে অবস্থানেই চলে আসছে। অর্থাৎ ট্রাম্প নির্বাচিত হলে মার্কিন ডলার পতনের যে গ্লোবাল সেন্টিমেন্ট ছিল, ক্ষমতা গ্রহনের পর ঠিকই তা প্রতিফলিত হয়েছে। এছাড়া মার্কিন নির্বাচন পরবর্তিতে সমগ্র বিশ্বে ট্রাম্প বিরোধী যে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে তা মার্কিন ডলার কে আরো বেশি দূর্বল করে দিতে সহায়তা করবে। কারন গ্লোবাল বিনিয়োগকারীরা ডলার রিজার্ভে ঝুঁকি নিতে চাইবেনা।
{BoJ Monetary Policy Meeting Minutes & BoE Interest Rate Decision }
চলতি সাপ্তাহে ব্যাংক অব জাপানের ব্যাংক সূদের হার ঘোষণা হওয়ার পাশাপাশি মনিটরি পলিসিও ছিল। তবে মনিটরি পলিসিতে তেমন কোন বিশেষত্ব পরিলক্ষিত হয়নি। সম্ভবত তারা মার্কিন ডলারের চাপে থাকাটি কি আরো কয়েক মাস পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তি সিদ্ধান্ত গ্রহন করবে। যদিও বর্তমানে জাপানিস মূদ্রা অনেকটাই রিকভার করতে সক্ষম হয়েছে।
অপরদিকে পাউন্ড মার্কেটও অনেক সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। বিশেষ করে হার্ড-ব্রেক্সিট পরবর্তিতে পাউন্ড মার্কেট কিছুটা প্রাণ ফিরে পেয়েছে বলে মনে হচ্ছে। পাশাপাশি তাদের বিগত দিনের কিছু Economical ইভেন্টসসে ইউরো জোনের সাথে থাকা না থাকার মত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু সহ বিভিন্ন অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যেও তারা সার্বিকভাবে মন্থর গতিতে এগিয়েছে। সে হিসাবে আগামীকাল পাউন্ডের ব্যাংক সুদের হার বৃদ্ধির কিছুটা সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। যদিও প্রত্যাশাটি বেশি হয়ে যাবে।
এছাড়াও থেরেসা মে উন্মুক্ত বাণিজ্য করনের লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি করে চলেছে। তিনি প্রত্যাশা করছেন বৃটেন একটি বনিকের দেশ হিসেবে তাদের আগের পরিচিতি ফিরে আসুক যা অনেক চ্যালেঞ্জিং। তবে তার চোখে মুখে কিছুটা তৃপ্তির ভাব বা আত্মনির্ভর হওয়ার যে ছাপ পরিলক্ষিত হচ্ছে তা কিন্তু বৃটিশ অর্থনীতির জন্য অনেক বেশি পজিটিভ।যদিও এর জন্য অনেক পথ তাদের পাড়ি দিতে হবে।
-
চলতি ইভেন্টস সমূহ কে কেন্দ্র করে সার্বিক মূল্যায়নে আমি মার্কিন ডলারের বিপক্ষে থাকার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে। পাশাপাশি ভোলাটিলিটি বিবেচনায় নতুনদের জন্য চলতি সাপ্তাহের চেয়ে আগামী সাপ্তাহ কে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। সূতরাং মার্কেট বিশ্লেষনে যারা অনভিজ্ঞ তাদের জন্য আগামী সাপ্তাহে ট্রেড করাটি অনেক বেশি নিরাপদ । কারন চলতি ইভেন্টস সমূহে মার্কেট প্রেডিক্ট করা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং যা কেবল প্রফেশনাল ট্রেডারদের পক্ষেই সম্ভব। সূতরং যারা মার্কেট চ্যালেঞ্জে বিজয় হতে চান, তাদের জন্য ডিফেন্সিভ ওয়ে-তে অগ্রসর হওয়া খুবই যুক্তিযুক্ত হবে বলে মনে করছি।
----------------------------------------------------
Md Mohabbat E Elahi
Analytical Expert: Global Forex Market
Admin: Forex Training center in Bangladesh