Search the Community
Showing results for tags 'হেল্প ডেস্ক'.
-
মূল কথায় যাওয়ার আগে আসুন আমরা দুটো ঘটনার দিকে একটু মনোযোগ দেই। ঘটনাঃ ১ ১৯৯৪ সাল। জামাল আর কামাল দুই বন্ধু একই ক্লাসে পড়ে। দুজনেই খুব ভাল স্টুডেন্ট। কিন্তু দুজনেই প্রায় সমান লেখা পড়া করা সত্ত্বেও জামাল সব সময় ক্লাসে প্রথম হয়, কামাল হয় দ্বিতীয়। একবার কামাল জিজ্ঞেস করল জামালকে, “কিরে জামাল? তুই আর আমি তো লেখাপড়ায় সমান সমান তাহলে তুই প্রতিবার পরিক্ষায় ফার্স্ট হয়ে যাস কেমন করে?” উত্তরে জামাল বলল, “রেজাল্ট ভাল করার জন্য আমার কিছু ছোট ছোট সিস্টেম জানা আছে যা তুই জানিস না”। কামাল খুব উৎসাহী হয়ে বলল, “তাই নাকি? তা কি সেই পদ্ধতি? আমাকে বলবি?” মাথা নেড়ে আপত্তি জানাল জামাল, “না বলব না”। কামালের মুখটা কাল হয়ে গেল, “কেন বলবি না?” “বলে দিলে তো তুইও আমার সমান হয়ে যাবি। তখন তুই যদি ক্লাসে ফার্স্ট হয়ে যাস, আমি তো সেকেন্ড হব! আমি নিজের ক্ষতি করে তোর উপকার করতে যাব কন দুঃখে?” জামালের কথায় যুক্তি আছে! কি বলেন? মানুষের উপকার করা ভাল কাজ, তবে নিজের ক্ষতি করে অপরের উপকার কে করতে চায় বলুন? ঘটনাঃ ২ ২০১৪ সাল। রফিক আর শফিক দুই বন্ধু একই ক্লাসে পড়ে। দুজনেই খুব ভাল স্টুডেন্ট। কিন্তু দুজনেই প্রায় সমান লেখা পড়া করা সত্ত্বেও রফিক সব সময় এপ্লাস পায়, শফিক অল্পের জন্য পায়না। একবার শফিক জিজ্ঞেস করল রফিককে, “কিরে রফিক? তুই আর আমি তো লেখাপড়ায় সমান সমান তাহলে তুই প্রতিবার পরিক্ষায় এ প্লাস পাস কেমন করে?” উত্তরে রফিক বলল, “রেজাল্ট ভাল করার জন্য আমার কিছু ছোট ছোট সিস্টেম জানা আছে যা তুই জানিস না”। শফিক খুব উৎসাহী হয়ে বলল, তাই নাকি? তা কি সেই পদ্ধতি? আমাকে বলবি? রফিক হেসে উত্তর দিল, “অবশ্যই বলব”! শফিকও খুশি হয়ে গেল! “সত্যি বলবি? তুই কত ভালরে”! “কেন বলব না বল? তোকে সাহায্য করলে আমার তো কন ক্ষতি নেই। তুই এপ্লাস পেলে আমার এ প্লাস তো আর ছুটে যাবেনা! তাহলে সমস্যা কি? আমরা নাহয় দুজনেই মিলে এপ্লাস পাব”! কি বুঝলেন? ডিজিটাল যুগে শিক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন আমাদের মানসিকতারও কিছু পরিবর্তন এনেছে! কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের ব্যাপার হচ্ছে আমি খেয়াল করলাম আমাদের দেশের ফরেক্স ট্রেডারদের মধ্যে মানসিকতার পরিবর্তন কম হয়েছে। অনেকেই এখনও সেই ১৯৯৩ সালের পুরনো ধ্যান ধারনা নিয়ে পড়ে আছে! মূলকথা আমি মাস্টার্স এর পর বেশ কিছুদিন দেশের বাইরে ছিলাম। সেই সময় আমি ফরেক্স বিজনেসের সাথে জরিয়ে পড়ি। কয়েক মাস আগে দেশে ফিরে দেখলাম আমার অনেক বন্ধু বান্ধব ডিএসইতে বিনিয়োগ করছে। আমি তাদেরকে উৎসাহিত করলাম ফরেক্সে বিনিয়োগ করার জন্য। কারন আমার মনে হয় শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের চেয়ে ফরেক্সে বিনিয়োগ অনেক বেশি নিরাপদ। কিন্তু বন্ধুরা কেউ আমার কথায় গুরুত্ব দিলনা। তাদের ভয় একটাই- সব লেনদেন অনলাইনে হয়! যদি টাকা মেরে দেয় ইত্যাদি ইত্যাদি… ডিজিটাল যুগেও এরা আগের ধারনা নিয়ে পড়ে আছে! তারপর চেষ্টা করলাম এদেশে যারা ফরেক্স করে মোটামুটি একটা পজিশনে যেতে পেরেছে তাদের সম্পর্কে একটু খোঁজ খবর নিতে। দেশেই যখন আছি তো দেশি ট্রেডারদের সাথে একটু চেনা জানা থাকলে ভাল হয়। কিন্তু দেখলাম যে দুই একজন একটু উৎসাহী হলেও, বেশিরভাগই তেমন হেল্পফুল নয়! এরা সেই ১৯৯৩ সালের স্কুলে পড়ে আছে যেখানে একজন ফার্স্ট হলে বাকিদের পিছিয়ে থাকা লাগবে! নিজের সাফল্যের কথা শেয়ার করলে নিজের ক্ষতি হবে! ফরেক্সে তো একজনের প্রফিট হওয়া মানে বাকিদের লস খেতে হবে এমন কোন কথা নেই! এটা ২০১৪ সালের স্কুলের মতই! এখানে দুজনেই এপ্লাস পেতে পারে, এক জন এপ্লাস পেলে অন্য জন পাবেনা এমন কিছু নেই! এখানে আপনি লাভবান হওয়ার পাশাপাশি আপনার বন্ধুও লাভবান হওয়ার সুযোগ আছে! কিন্তু আমরা অন্যের ভাল দেখতে পারিনা! এটা আমাদের খুব বাজে একটা স্বভাব। আমি মীর আযহার আলি। ফরেক্সের সাথে জড়িত আছি দু বছরের বেশি সময়। আমি যে খুব বেশি প্রফিট করে ফেলেছি এমনটা নয়। তবে আমি সব সময় চেষ্টা করি নিজে যা জানি তা অন্যকে জানাতে। আপনাদের সামনে এলাম ফরেক্স হেল্প ডেস্ক নিয়ে। আপনারা চাইলে ফরেক্স সংক্রান্ত আপনাদের যেকোনো সমস্যা নিয়ে আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন। আমার যদি উত্তরটা জানা থাকে তাহলে অবশ্যই উত্তর দেব। আর জানা না থাকলে জেনে নিয়ে জানানোর চেষ্টা করব। আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন এই থ্রেডের নিচে কমেন্ট করে। প্রয়োজন মনে হলে আমার সাথে ফেসবুকেও কানেক্ট থাকতে পারেন। আমার ফেসবুক আইডিঃ অপ্রস্তুত আযহার লেখালেখির অভ্যাস ছিল অনেক আগে থেকে। তাই বিজনেস, ইকোনমি, শেয়ার বাজার, ফরেক্স, আউটসোর্সিং- এসব বিষয়ে টুকটাক লেখা লেখিও করছি। আমার সব লেখাগুলো পাবেন এই ব্লগেঃ ফরেক্স ট্রেডিং