Search the Community
Showing results for tags 'bailout'.
-
আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের সঙ্গে ‘বেলআউট’ চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ৫ জুলাই গ্রিসে গণভোট আহ্বান করেছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সাইপ্রাস। ধ্বসে পড়া অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগকে ‘বেলআউট’ বলা হয়। স্থানীয় সময় শনিবার (২৭ জুন) সকালে মন্ত্রিপরিষদের এক জরুরি বৈঠক শেষে টেলিভিশন বক্তৃতায় তিনি এ গণভোটের ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। বক্তৃতায় তিনি বলেন, গ্রিক সরকারের কাছে নতুন এক প্রস্তাব এসেছে। জনগণের ওপর বোঝা কমাতে এ প্রস্তাব মেনে নিতে বলা হয়েছে। সাইপ্রাস আরও বলেন, এই মুহূর্তে আমরা দেশের ভবিষ্যত নির্ধারনে এক ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করছি এবং এ দায়িত্বে সাড়া দিতে গ্রিসের জনগণের সার্বভৌমত্বের কাছে আমাদের উত্তর খুঁজতে হবে। এর আগে সাইপ্রাস ঋণদাতাদের বিরুদ্ধে নতুন পেনশন কাঠামো নির্ধারণ, সেলস ট্যাক্স বৃদ্ধি ও শ্রমবাজার সংস্কারের দাবি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, গ্রিসে গণভোট আহ্বানে সাইপ্রাসের একমাত্র উদ্দেশ্য, জনগণ ‘না-ভোট’ দিয়ে বেলআউটক চুক্তিকে প্রত্যাখ্যান করুক। তখন তিনি ঋণদাতাদের বলতে পারবেন, আমার পেছনে গ্রিসের জনগণ আছে, এবার আপনাদের নতুন কোনো শর্ত খোঁজা উচিত। এদিকে, নতুন কোনো চুক্তি স্বাক্ষরিত না হলে চরম অর্থসংকটে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে গ্রিসের। দেশটির ব্যাংকগুলো দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পেনশন ভাতা ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে সংকটে পড়বে সরকার। এছাড়া দেশ পরিচালনায় সরকারি ব্যয় নির্বাহেও জটিলতার মুখে পড়বে গ্রিস। সেই সঙ্গে ঋণখেলাপির তালিকায় পড়ে ইউরোজোন থেকেও বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ৮.১ বিলিয়ন ডলারের (৬৩ হাজার ৪৪ কোটি টাকা প্রায়) নতুন বেলআউট ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত না হলে দেশটি মঙ্গলবারের (৩০ জুন) মধ্যে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলকে (আইএমএফ) ঋণের ১.৮ বিলিয়ন ডলার (১৪ হাজার ১০ কোটি টাকা প্রায়) ফেরত দিতে ব্যর্থ হবে। এছাড়া চলতি বছর জুলাইয়ের মধ্যে ঋণের আরও বড় অর্থ ফেরত দেওয়ার তাগাদা রয়েছে গ্রিসের ওপর। উপরোক্ত তথ্যর প্রেক্ষিতে, গ্রীস যদি সত্যি ঋণ শোধ করতে ব্যার্থ হয় তাহলে, দেউলিয়া হয়ে বের হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে EUR জোন থেকে, আর তাতে করে EUR জোন গ্রীস কে বাদ দিয়ে আর্থিকভাবে কতটা সচ্চলতার সাথে এগিয়ে যেতে পারবে তা নিয়ে প্রশ্নের ধ্রমজাল। যা হয়ত ৫ জুলাইয়ের পরে স্পষ্ট হয়ে যাবে পুরোপুরি, যেহেতু European central bank গ্রীসকে আর কোন আসার বানি শুনাচ্ছে না তাই বেলআউট চুক্তিই এখন গ্রীসের একমাত্র ভরসা দেখা যাচ্ছে। তাই সকল EUR ট্রেডারকে আপাতত এতটুকু মেনে নিয়ে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করে তারপর একটি বড় সিদ্দান্তে গেলে হয়ত ভালো করবেন। আগে দেখা উচিত গ্রিসের ভাগ্যে শেষ পর্যন্ত কি আছে। নিউজটি অনলাইন পত্রিকা বাংলানিউজ২৪ থেকে সম্পাদিত। কারেন্সি বাজারের গুরুত্তপুর্ন নিউজ হওয়ায় ফরেক্স ট্রেডারগনের ট্রেডের সুবিধার্থে সম্পাদনার মাধ্যমে পোস্ট করা হল।