ফরেক্স মার্কেটে গোল্ড এবং অয়েল এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। কারন এই দুটি কমোডিটিস ফরেক্স মার্কেটে ট্রেডিং সিদ্ধান্ত গ্রহণে নেতৃস্থানীয় নির্দেশক হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
বিভিন্ন দেশের মাইন প্রোডাকশনে ২০১১ সালের জরিপে এককভাবে চীন এগিয়ে আছে এবং দ্বিতীয় স্থান দখল করে আছে অস্ট্রেলিয়া এবং তৃতীয় হচ্ছে ইউ.এস। এভাবে বিভিন্ন বছর বিভিন্ন দেশের প্রোডাকশন সেই দেশের কারেন্সিকে হিট করে। লক্ষ্য করবেন, বেশিরভাগ সময়ে ইউ.এস GOLD এর বৃহৎ উৎপাদনকারী দেশ থাকা সত্ত্বেও GOLD এর সাথে USD এর বিপরীত সম্পর্ক থাকে। এর পেছনে মুল কারন হচ্ছে GOLD’র প্রাইস সবসময় USD’র বিপক্ষে নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া আরো আকটি কারন হচ্ছে মাঝে মাঝে ইনভেস্টররা তাদের কেপিটেল কে USD থেকে GOLD এ স্থানান্তর করে রাখতে বেশি সেইপ মনে করে।
গোল্ডঃ নিচের চিত্রটি দেখুন...
অয়েলঃ
সাধারণভাবেআমরা জানিঅয়েল/তেল এর মূল্য বৃদ্ধিতে বিশেষ করে ট্রান্সপোর্টেশন কস্ট বেড়ে যায়। সাথে সাথে ফিনিশডপ্রোডাক্টযেমন ইউটিলিটি এবং হিটিং কস্ট ও বাড়ে। যার প্রভাব বিশেষ করে তেল নির্ভর অর্থনীতির দেশ যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত ও অন্যান্য উন্নত দেশের উপর পড়ে। কিন্তু ব্যতিক্রম হল কানাডা যা বিশের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল মজুদকারী দেশ এবং নিট অয়েল রপ্তানিকারক যার কারনে অয়েল প্রাইস এর সাথে কানাডিয়ান ডলারের একটি ইতিবাচক সম্পর্ক দেখা যায় যা অনন্য উন্নত দেশের মধ্যে দেখা যায় না।
এতক্ষণ যে বিষয়গুলো শিখলেন তার একটি টোটাল রুপ হল ইকোনমিক ক্যালেন্ডার, চুলন এইবার ইকোনমিক ক্যালেন্ডার দিয়ে কিভাবে ফান্ডামেন্টাল ইস্যু গুলো বুঝতে পারবেন তা দেখা যাক।