habib07 Posted July 6, 2022 Report Share Posted July 6, 2022 পুণরায় বাণিজ্য আলোচনা শুরু করেছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গলবার ইউরো এবং পাউন্ডের পতন, বিশ্ব অর্থনীতির আসন্ন মন্দা সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের প্রকৃত উদ্বেগের ইঙ্গিত দেয়। নিরাপদ আশ্রয়ের সম্পদের ক্রমবর্ধমান চাহিদাও প্রমাণ করে যে ডলারের মতো মুদ্রা বাজারে বেশি প্রভাবশালী। এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে গতকাল একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেছে। চীনা গণমাধ্যম শুল্ক এবং মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বিষয়ক আলোচনার কথা উল্লেখ করেছে, তবে ভূরাজনীতির বিষয়ে কোনো ঈঙ্গিত দেয়নি। অপরদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক বা নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করেনি, তবে ইউক্রেনের ভূ-রাজনৈতিক সংকটের প্রভাব বিষয়ক আলোচনার উল্লেখ করেছে। চীনের প্রতিবেদনে দুই দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতির সমন্বয় এবং বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। বিবৃতিতে চীনের উপর শুল্ক এবং নিষেধাজ্ঞার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে, যা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন যে হ্রাস করা যেতে পারে, তবে এখনও কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপে আসেনি। এদিকে মার্কিন প্রতিবেদনে শুল্ক বা নিষেধাজ্ঞার উল্লেখ করা হয়নি, তবে বলেছে ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন চীনের অন্যায্য অর্থনৈতিক অনুশীলনের মতো উদ্বেগের বিষয় উত্থাপন করেছেন। ২০২১ সালের জানুয়ারী থেকে, বাইডেন প্রশাসন চীনের সাথে কোনও অর্থনৈতিক আলোচনায় জড়িত হয়নি এবং কোনো বাণিজ্য ছাড় চায়নি। পরিবর্তে, এশিয়ার অর্থনৈতিক নীতি এই অঞ্চলের মিত্রদের সাথে একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে, যা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। উভয় দেশের প্রতিবেদনে কথোপকথনটিকে "অকপট" হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে, পরবর্তীতে সংলাপ চালিয়ে যাওয়ার আশা এবং যোগাযোগ অক্ষুন্ন রাখার প্রয়োজনীয়তা প্রকাশ করেছে। অর্থনীতিবিদরা উল্লেখ করেছেন যে শুল্ক অপসারণ মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি এবং চীনের বাণিজ্যের উপর একটি প্রান্তিক প্রভাব ফেলবে, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি সম্ভাব্য মন্দা চীনের ব্যবসায়িক সম্ভাবনার জন্য অনেক বেশি হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। চীনা কর্তৃপক্ষ বারবার হুয়াওয়ের মতো সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছে এবং পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। ফরেক্স মার্কেটে ফিরে আসা যাক, অনেক কিছু ক্রেতাদের উপর নির্ভর করে কারণ শুধুমাত্র 1.0280 স্তরে ফিরে আসা ইউরোকে বর্তমানে উদ্ভূত বিয়ারিশ পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে সাহায্য করবে। এই লেভেলের ব্রেক-থ্রু EUR/USD পেয়ারকে1.0340 এবং 1.0390 স্তরে ফিরে আসতে সাহায্য করবে, আবার 1.0230 স্তরে অতিক্রম করে গেলে পেয়ারটিকে 1.0190, 1.0160 এবং 1.0110 স্তরে নামিয়ে আনবে। পাউন্ডও ২০২০ সালের নিম্নস্তরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, যেখানে 1.1900 স্তরের ব্রেক-থ্রু 1.1860, 1.1820 এবং 1.1740-এ আরও পতনের দিকে নিয়ে যাবে। কিন্তু ক্রেতারা যদি GBP/USD 1.1970-এর উপরে ঠেলে দিতে পারে, তাহলে এই জুটি 1.2020, 1.2070 এবং 1.2120 স্তরে উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আরো ফরেক্স সংবাদঃ Link to comment Share on other sites More sharing options...
Recommended Posts
Create an account or sign in to comment
You need to be a member in order to leave a comment
Create an account
Sign up for a new account in our community. It's easy!
Register a new accountSign in
Already have an account? Sign in here.
Sign In Now