Jump to content

sadwaves

Members
  • Posts

    0
  • Joined

  • Last visited

Reputation Activity

  1. Like
    sadwaves reacted to Rayhan07 in Heiken Ashi Smooted_et ব্রেকআউট স্ট্রেটেজী   
    Heiken Ashi Smooted_et ব্রেকআউট ষ্ট্রেটেজী সম্পর্কে কিছু কথা বলব :
    আজ যে স্ট্রেটেজিটা শেয়ার করব তা এই স্ট্রেটেজিটার সাথে কেউ রিলেটেড থাকলে তারা আরো কিছু শেয়ার করতে পারেন তাহলে আরো ভালো কিছু বের হতে পারে।
    চলুন এবার শুরু করা যাক।
    পেয়ার : যেকোন পেয়ারে ব্যবহার করা যাবে।তবো লো স্প্রেডের পেয়ারে ব্যবহার করাটাই ভাল।
    টাইম ফ্রেম : ১ ঘন্টা , ৪ ঘন্টা টাইম ফ্রেমে ভাল কাজ করে।
    ইন্ডিকেটর: Heiken Ashi Smoothed_et ( সেটিংস : 2/4/2/1) এবং MACO of
    3DEMAs (এই ইন্ডিকেটরটি সাধারনত MACD এর মত ভুল সিগনাল কম দিবে)
    স্টপলস :আমি টেইক প্রফিট লিখার আগে স্টপলস কথাটি লিখলাম।কারন এর গুরুত্ব অনেক বেশী। কোন ট্রেডই স্টপলস ছাড়া প্লেইস করা বা অর্ডার নেয়াই হতে পারে অাপনার পুরো  ব্যালেন্সকে ঝুকির মধ্যে নিয়ে যাওয়া।যা কোন ট্রেডার এর কাছে কাংখিত নয়।
    আমরা এই ট্রেডিং স্ট্রেটেজিতে প্রাথমিক ভাবে ২০ থেকে ৩০ পিপস স্টপলস  ব্যবহার করব।কিন্তু পরবর্তীতে প্রফিট বাড়ার সাথে সাথে ৫ পিপস করে স্টপলস কমাতে থাকব।অর্থাৎ ব্রেক ইভেন এ দিয়ে দিব।
    টেইক প্রফিট : এই ট্রডিং স্ট্রেটেজিতে আমাদের প্রাথমিক টার্গেট থাকবে ৪০ পিপস।পড়ে তা আরও ২০ পিপস করে বাড়াতে থাকব।আমিও সাধারনত ৫০ পিপস টার্গেট ব্যবহার করতাম।
    বাই অর্ডার : Heiken Ashi Smoothed_et ইন্ডিকেটর লাইন লাল রং থেকে নীল রং এ পরিবর্তীত হলে
    এবং সেই সাথে MACD of 3DEMAs ইন্ডিকেটরটির (সিগনালিং লাইন হলুদ) সবুজ লাইনটিকে যদি হলুদ লাইনটি নীচের দিক থেকে উপরের দিকে ক্রস করে ও তাদের মাঝের অংশে নীল রং এর ছোট ছোট ভার্টিকাল লাইন বা কেন্ডেল দেখা যায় তখন বাই অর্ডার নিব।
    সেল অর্ডার : এটি ঠিক বাই অর্ডারের বিপরিত হবে। Heiken Ashi Smoothed_et ইন্ডিকেটর লাইন
    যদি নীল থেকে লাল রং এ পরিবর্তীত হয় এবং সেই সাথে MACD of 3DEMAs ইন্ডিকেটরটির হলুদ লাইনটি সবুজ লাইনটিকে  উপড় থেকে নীচের দিকে ক্রস করে ও তাদের মাঝের অংশে লাল রং এর ছোট ছোট ভার্টিকে লাইন বা কেন্ডেল দেখা যায়  তখন সেল অর্ডার নিব।
    খুব সহজ একটি স্ট্রেটেজী।যদি আয়ত্ব করতে পারেন তাহলে অন্য কোন নতুন স্ট্রেটেজি ব্যবহারের প্রয়োজন হবে না।
    সতর্কতা : আপনার চার্টে দুটি ইন্ডিকেটর এর একটিরও যদি অন্যটির সাথে মিল খুজে না পান তবে বসে থাকুন।লস করার চেয়ে বসে থাকা ভাল।অপেক্ষা করুন উপসর্গ গুলো মেলানোর জন্য।তবে সাধারনত একটি ট্রেড ক্লোজ হওয়ার পর পর ই অপর একটি ট্রেড নেয়ার সুযোগ আসে।
    কেউ যদি এই ষ্ট্রেটেজি সম্পর্কে আরো নতুন কিছু জানা থাকে তাহলে শেয়ার করুন ।

  2. Like
    sadwaves reacted to Mhafiz™ in নিয়ে নিন কার্যকারী কিছু মডিফাইড ইন্ডিকেটর - ট্রেড করুন মজা করে   
    ফরেক্স ট্রেডিং এ মুলত ভালো ট্রেড করতে হলে সব রকম স্ট্রেটিজি জানা থাকা আবশ্যক, যে যত বেশি টেকনিক নিয়ে ট্রেড করতে পারবে তার ট্রেড তত বেশি পজেটিভ এবং প্রফিটেবল হবে তা আমরা সবাই কম-বেশি জানি, ফান্ডামেন্টাল এবং টেকনিক্যাল এনালাইসিস এবং টুলস এর ব্যাবহার ব্যাপক ভালো ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে। তাই টুলস ট্রেডিং ও একেবারে বাদ দেওয়া যাবে না। মেটা ট্রেডারে আছে ডিফল্ট ভাবে অনেক ইন্ডিকেটর যার ব্যাবহার অনেক গুরুত্তপুর্ন তেমনি ভাবে নিয়মিত ভাবে তৈরি হচ্ছে অনেক কাস্টম টুলস ইন্ডিকেটর যেগুলোর সঠিক ব্যাবহার ও অনেক ভালো ট্রেড করতে সহায়তা করে থাকে, তেমনি আজ ৫ টি ইন্ডিকেটর এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেব আপনাদের। যেগুলো ট্রেড কে আরো সুন্দর এবং প্রফিটেবল করতে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে অনেক সাহায্য করবে আশা করছি।
    Center of Gravity

     center-of-gravity-modified.rar
    MACD - Pattern

     macd-pattern-signals.rar
    Parabolic With Alert

     parabolic-sar-color-with-alert.rar
    Directional Breakout

     directional-breakout-indicator.rar
    Zwinner Trend

     zwinner-trend-indicator.rar
    মেটাট্রেডার এর ইন্ডিকেটর সেটিং এ Allow DLL Imports এবং Allow external experts imports অপশন দুটি একটিভ রাখবেন।
  3. Like
    sadwaves reacted to Mhafiz™ in ভালো ট্রেডার হওয়ার ১২ টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস   
    ১। বেসিক থেকে শুরু করুন।
    খুব সহজে বলতে হয় যে একজন ট্রেডার হতে হলে প্রথমে আপনাকে ফরেক্স মারকেট বেসিক টার্মগুলো জানতে হবে। রেগুলার অর্থাৎ ডেইলি বেসিসে আপনি আস্তে আস্তে বিষয় গুলো শিখবেন কোন রকম তাড়াহুড়ো ছাড়া। একদিনে একসাথে সব গুলো বিষয় শিখে বিশাল জ্ঞানী হওয়ার চিন্তা বাদ দিন। সময় নিন , খুব বেশি এক্সসাইটেড হবেন না।

    ২। দ্রুত লাভ করার চিন্তা ত্যাগ করুন, অভিজ্ঞতা তৈরি করে আস্তে আস্তে লাভ করতে শিখুন।
    আপনি যদি ভেবে থাকেন যে ফরেক্স হল শর্টকাটে এবং কম সময়ে ধনী হওয়ার একমাত্র পথ তাহলে আপনি ভুল করছেন। প্রথমে বিষয়টা ভালো ভাবে আয়ত্তে আনুন অভিজ্ঞতা অর্জন করুন। শুধু মাত্র ফরেক্স নয় যেকোন ক্যারিয়ারে আপনি যত সময় ব্যয় করবেন আপনি তত বেশি লাভবান হবেন। আপনার বন্ধু যে সময়ে ১০০ পিপস অর্জন করে ঠিক একই সময়ে আপনি মাত্র কয়েক পিপস মেইক করেন, পার্থক্যটা কি? পার্থক্যটা হল অভিজ্ঞতা ! আপনার বন্ধু গত ৫ বছর ধরে ট্রেড করে আর আপনি সেই কয়েকদিন হল শুরু করেছেন।
    মনে রাখবেন ফরেক্স হল একটি ক্যারিয়ার , রাতারাতি বড়লোক হওয়ার কোন স্কিম নয়।

    ৩। এক্সপার্ট হউন।
    শিখার শুরুতে অনেকে প্রথমেই খুজে বেড়ান এক্সপার্টদের, ভাবেন একজন এক্সপার্ট এর ছায়া পেলে বুঝি অল্প সময়ে আপনিও এক্সপার্ট হয়ে উঠবেন, বিষয়টা পুরোপুরি অস্বীকার করছি না। তবে এক্সপার্ট হওয়ার সুপ্ত বাসনায় আপনার এক্সপার্ট হওয়ার পথে একধাপ। দিনে দিনে আপনার স্বাভাবিক শিখার ফলাফলই হচ্ছে এক্সপার্ট এর আরেক রুপ। কারন অভিজ্ঞতার আলোকেই এক্সপার্ট হওয়া যায় তাই নিজ অভিজ্ঞতা গুনে আপনার স্বপ্ন সফল করুন। এক্সপার্ট এর অভিজ্ঞতা তার সম্পূর্ণ নিজের আপনি যতক্ষণ পর্যন্ত নিজে ঐ পথ পাড়ি দিবেন না ততক্ষণ পর্যন্ত তা কেবল আপনার স্বপ্নই থেকে যাবে।

    ৪। নিজের এনালাইসিস ব্যাবহার করুন।
    অন্ধের মত আরেকজনকে ফলো করা আপনাকে অন্ধই করে তুলবে। আপনার লক্ষ্য হল একজন সফল ট্রেডার হওয়া তাই এনালাইসিস মেথডগুলো ভালো ভাবে রপ্ত করে নিজেই নিজের ট্রেড এনালাইসিস করুন। নিজের আনালাইসিসে ট্রেড করতে সমর্থ হলে আপনার এনালাইসিসই আপনাকে প্রফেশনাল ট্রেডার করে তুলবে। স্ব – ঘোষিত কোন গুরুকে অন্ধের মত ফলো করলে গুরু যখন তার টিপস প্রদান বন্ধ করে দিবে তখন আপনি কিভাবে ট্রেড করবেন। তাই নিজেই নিজের গুরু হুউন।

    ৫। ডেমো
    সব কথার শ্রেষ্ঠ কথা হল ডেমো ট্রেডিং। ডেমো ট্রেডিং আপনাকে আপনার নতুন ট্রেডিং এর ভুল গুলো ধরিয়ে দিবে এবং ট্রেডিং এ খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করতে সাহায্য করবে। ডেমো ট্রেড ভিবিন্ন ব্রোকারের লাইভ ট্রেড থেকে সুপার যেমন ভালো আক্সিকিউশন স্পীড। প্রত্যেক ট্রেডিং মেথড এর টেস্ট হল ডেমো। ডেমো সাকসেস রেইট ভালো হলে তা লাইভ ট্রেডে ব্যাবহার করুন। আপনার যত স্টাইল আছে তা সর্বপ্রথম ডেমোতে ব্যাবহার করুন। যেমন ইচ্ছে ট্রেড গুলো ডেমোতে ফলান। তারপর সিলেক্ট করুন কোন স্ট্রেটিজি গুলো রিয়েল ট্রেডে ব্যবহার করুন।

    ৬। ভুল থেকে শিখুন
    প্রতিবারের টেস্ট ট্রেড গুলোর সাকসেস এবং ফেইলার নোট নিন। পরপর তিনটি ব্যর্থ ট্রেডে কিছু সময়ের জন্য (আরো বেশি হতে পারে) ট্রেড থেকে অবসর নিন। এবং ব্রেকের পরে ঠান্ডা মাথায় আবার সময় দিন। তিনবার লস ট্রেডিং মেথড এ চতুর্থ বারের সাকসেস চিন্তা করে লাইভ করতে জাবেন না। লস ট্রেডগুলো নিয়ে এনালাইসিস শুরু করেন, ভুলটা কোথায় ছিল বা কেনো ঠিক কাজ করেনি। যথাঝথ কারন বের করে ভুল গুলো শুদ্রে পরবর্তী ট্রেডে অগ্রসর হউন।

    ৭। ভালো মেথড তৈরি করুন।
    নতুন বেশিরভাগ ট্রেডাররা প্রথমে লস করে। কারন হল অধিক উত্তেজনা, অতিরিক্ত চাহিদা এবং প্রপার সময়ের আগে ট্রেড করা। তাই বলছি, অধিক পরিমানে উত্তেজিত হয়ে ট্রেড না করে, আগে বিষয়গুলো ভালোভাবে আয়ত্তে আনুন, অভিজ্ঞতা নিন এবং মিনিমাম রিস্কে ট্রেড শুরু করুন। প্রতিবার ট্রেড করার পূর্বে ঠিক করুন এবং চেক করে নিন ট্রেডিং হাতিয়ার(স্ট্রেটিজি) ঠিক আছে কিনা। ট্রেডটি থেকে কত আশা করেন ইত্যাদি সবকিছু।

    ৮। নিজের মেথডে স্ট্রিক থাকুন।
    প্রত্তেক ট্রেডিং মেথডের ভালো এবং খারাপ আছে। কোন ট্রেডিং মেথডই ১০০% প্রফিটেবল নয়। আপনার ট্রেডিং মেথডের ১০টি ট্রেডের মধ্যে ৭টি প্রফিট এবং ৩ টি লস আছে, আপনি সাকসেস। কখনো আপনার ট্রেডিং সাকসেস রেইট আরো কমে জেতে পারে সেই ক্ষেত্রে নিরাশ বা উত্তেজিত না হয়ে মারকেট চেঞ্জ বুঝে স্ট্রেটিজি আপডেট করুন এবং নিজের স্ট্রেটিজিতে স্ট্রিক থাকুন কারন আপনার স্ট্রেটিজি কতটুকু ফলফ্রুস তা কেবল আপনিই জানেন।

    ৯। সবকিছু সহজভাবে চিন্তা করুন।
    আপনার ট্রেডিং কে কোনভাবেই খুব বেশি কঠিন ভাবার কোন কারন নেই। সহজ ভাবে শুরু করুন দেখবেন আসলেই সহজ, মনে অঝথা কোন ভিতি সৃষ্টি দরকার নেই। নিজের সুবিধামত সময় নির্ধারণ করে ট্রেডে সময় দিন। সময় কম দিন কিন্তু তা জেনো ইফেক্টিভ হয়। অর্থাৎ যদি সময় বেশি দিতে না পারেন তাহলে যতটুকু দিবেন তা শুধু ট্রেডিং আর জন্য ব্যায় করুন। নতুন কোন স্ট্রেটিজির সূচনা করতে চাইলে আগে তা সময় নিয়ে সহজভাবে চিন্তা করুন, এনালাইসিস করে ঠিক করুন, ডেমোতে ফলাফল নিশ্চিত হউন। এবং সিদ্ধান্ত নিন।

    ১০। একটি পেয়ারে ট্রেড করুন।
    অনেকগুলো ট্রেড একসঙ্গে শুরু করে নিজের রিস্ক লেভেল এবং মাথায় অতিরিক্ত চাপ নিবেন না। তাই শুধুমাত্র একটি পেয়ার পছন্দ করুন ট্রেডিং আর জন্য। অনেক গুলো কারেন্সিই একসাথে ট্রেডের উপযোগী বলে মনে হতে পারে, কিন্তু ঐ কারেন্সি পেয়ার নিয়ে ট্রেড করুন যার সম্পর্কে আপনার ধারনা ভাল। একসাথে যদি ৪-৫টি পেয়ার নিয়ে ট্রেড করেন তাহলে আপনি ভালভাবে কোন পেয়ারের ক্যারেক্টার বুঝতে পারবেন না। এবং মিসগাইড হয়ে শেষ পর্যন্ত ট্রেড লস করবেন।

    ১১। একটি নির্দিষ্ট টাইমফ্রেমে ট্রেড করুন।
    একটি নির্দিষ্ট টাইমফ্রেমে ট্রেড প্রাকটিস করবেন , কারন সিঙ্গেল টাইমফ্রেমে ট্রেডের অনেকগুলো সুবিধা আছে যেমন, একক টাইমফ্রেমে ট্রেডিং এ আপনি পুরোপুরি মনোযোগ দিতে পারবেন যেখানে অনেকগুলো টাইমফ্রেম আপনাকে কিছুটা হলে কনফিউসড করতে পারে। একটি টাইমফ্রেম আপনাকে এনালাইসিসে ও হেল্প করবে প্রপার ডিসিশন নিতে, কারন একই চার্ট ভিন্ন ভিন্ন টাইমফ্রেমে ভিন্ন ভিন্ন এনালাইসিস আর সূচনা করবে, তাই বিশেষ করে নতুনদের জন্য একটি টাইমফ্রেমে ট্রেডিং খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় ।

    ১২। ট্রেডিং চার্ট পরিষ্কার রাখুন।
    অনেক নতুন ট্রেডাররা মনে করে চার্টে যত বেশি ইনডিকেটর রাখা যায় তত ভালো, আসলে বিষয়টা এমন নয়, চার্টে ২-৩টির বেশি ইন্ডিকেটর রেখে চার্টকে এলোমেলো করে ট্রেডিং করাটা বুদ্ধিমানের কাজ নয় বরং অনেকগুলো ইনডিকেটর আপনাকে মিসগাইড করবে, আপনি ডিসিশন নিতে পারবেন না, তাই ২-৩ টি ইন্ডিকেটর আর ক্যারেক্টার বুঝে অভিজ্ঞতার আলোকে ফাইনাল করুন। মুলত ট্রেডে ইন্ডিকেটর ব্যবহার আপনার জন্য বাধ্যতামূলক নয়, এটা শুধুমাত্র ব্যবহার হয় আপনার ট্রেডিং ডিসিশনকে স্মুথ করার জন্য। কারন অনেক অনেক ট্রেডার আছে যারা কোন ইন্ডিকেটর ব্যবহার না করেই ট্রেডিং সাকসেস রেইট ৮০% এ ট্রেড করছে। আপনাকে বলছি না যে আপনি সব ইন্ডিকেটর রিমুভ করে ট্রেড করুন, ভালো ট্রেডার হতে হলে প্রথম পর্যায়ে আপনাকেও ২-৩টি ইন্ডিকেটর ব্যবহার করতে হবে। ভালো ট্রেডিং আর জন্য সাপোর্ট অ্যান্ড রেসিসটেনস লাইন গুলো ভালোভাবে বুঝুন।
  4. Like
    sadwaves reacted to Mhafiz™ in ফরেক্স কারেন্সি ইনডেক্স কি, কিভাবে ও কেন ব্যাবহার করবেন !   
    কারেন্সি ইনডেক্স কিঃ
    একটি দেশের মুদ্রার বিপরীতে সর্বচ্চ পরিমানে অন্যান্য দেশের মুদ্রার যে ট্রেডিং ভলিয়ম কিংবা ট্রেডিং ওয়েট ভেলু তাই হল একটি কারেন্সির ইনডেক্স। যা ১৯৭৩ সাল থেকে অফিশিয়ালি ফরেক্স বেস কারেন্সির কে টার্গেট করে হিসাব করা হয়ে থাকে। তাই সবচেয়ে হায়েস্ট বেস কারেন্সি হল USD যার ইনডেক্সিং হিসার বের করতে পারলে অনন্যা কারেন্সির দোর পরিমাপ পারবেন। তাই আজকের কারেন্সি ইনডেক্স আলোচনায় ইনডেক্স কারেন্সি হল USD অর্থাৎ USD ইনডেক্স USDX.
    ৬ টি মুল কারেন্সি কে ধরে মোট ২২ টি দেশের কারেন্সির USD এর বিপরীতে ট্রেডিং ভেলু কে নিয়ে USDX হিসাব করা হয়।
     
    কারেন্সি গুলো হলঃ
    Euro (EUR) Yen (JPY) Pound (GBP) Canadian dollar (CAD) Krona (SEK) Franc (CHF) এখন প্রশ্ন হল ৬টি কারেন্সিতে ২২ টি দেশের অন্তর্ভুক্তি কিভাবে? হ্যাঁ, বলছি আমারা জানি ইউরোপিয়ান জোনের মোট দেশ ১৭ টি যাদের সবার একক কারেন্সি হল EUR এবং জাপান, ব্রিটেন, কানাডা, সুইডেন এবং সুইজারল্যান্ড এর একক কারেন্সির বিপরীতে USD এর ট্রেন্ডিং ভেলু আছে বলে এই ২২ টি দেশের মুল কারেন্সিকে ধরে USD ইনডেক্স করা করা হয়। সহজ কথা হল ভিবিন্ন কারেন্সির বিপরিতে USD এর দোড় কতটুকু তাই বের করার একটি উপায় যাকে Indexing বলা হয়ে থাকে, যেহেতু USD এর ইনডেক্স বের করব তাই একে বলা হয় USDX.
     
    USDX কারেন্সি কান্ট্রিঃ
    আসুন এইবার জেনে নেই USDX এর জন্য কোন কোন কারেন্সি বেশি পরিমানে জড়িত অর্থাৎ কোন কারেন্সির কতভাগ ট্রেডিং এর জন্য USDX হয়। নিচের চিত্রটি লক্ষ্য করুনঃ
     

    চিত্রমতে EUR একটি বিরাট অংশ USDX এর জন্য। দ্বিতীয় স্থানে আছে জাপান তারপর আছে গ্রেট ব্রিটেন এইভাবে দেশ ভিত্তিক কারেন্সির একটি রেশিও দেখতে পাচ্ছেন, অর্থাৎ USD কারেন্সি ট্রেডিং এর ৫০% এর ও বেশি ট্রেডিং হয় EUR’র বিপরীতে। চার্টের বাইরে বাকি ৩০% ট্রেড হয় অনন্য কারেন্সির সাথে। USDX ডলার এর জন্য EUR’র ভুমিকা সবচেয়ে বেশি এবং EUR’র কারনে USD বেশি প্রভাবিত হয়। তাই USDX কে "Anti-Euro Index" বলা হয়। USDX যে কিন্তু ফরেক্স মার্কেটে হিসাব করা হয় তা কিন্তু নয় বরং বড়বড় যেসব আর্থিক সংগঠন আছে তারা নিজেদের প্রয়োজনে তাদের ট্রেড বা ইকোনমি ব্যালেন্স করার জন্য USDX হিসাব করে থাকে। যেহেতু USDX একটি গ্লোবাল কনসেপ্ট তাই মোটামুটি অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এই ফর্মুলা ব্যাবহার করে তাদের ইকোনমি ঠিক রাখার জন্য বা সেই অনুযায়ী ব্যবসা ধরে রাখার জন্য। সেই রকম একটি প্রতিষ্ঠান হল Federal Reserve. USDX হিসার করার জন্য তারা "trade-weighted U.S. dollar index" নামে হিসাব করে থাকে। আশা করি USDX সম্পর্কে একটি ভালো ধারণা পেয়ে গেছেন।
     
    USDX Formula:
     
    USDX = EUR * 0.576 x JPY * 0.136 x GBP * 0.119 x CAD * 0.091 x SEK * 0.042 x CHF * 0.036
    · যখন USDX নামতে শুরু করে তারমানে হল এক্সচেঞ্জ ট্রেডাররা USD সেল করে দিচ্ছে · বিপরীতভাবে USDX যখন উঠতে শুরু করে তখন এক্সচেঞ্জ ট্রেডাররা USD বায় করতে শুরু করে। কিভাবে USDX চার্ট পড়বেনঃ
     
    USDX চার্ট অনন্য কারেন্সি চার্ট এর মত এক প্রকার চার্ট যার Index প্রতিদিন এবং সাপ্তাহিক ভিত্তিতে হিসাব করা হয়। এই ক্ষেত্রে INDEX General ভেলু 100.00 কে Base ধরে হিসাব করা হয়ে থাকে। যেমনঃ যখন USDX উপরের দিকে যায় তখন USD ভেলু বাড়ে। যদি USDX 110 হয় তখন USD ভেলু বাড়ে 10%. আবার যখন USDX কমে 90 হয় তখন USD ভেলু কমে 10%. মনে রাখবেন যেহেতু আমরা USDX নিয়ে কথা বলছি তাই এর প্রতিফলন কিন্তু USD কারেন্সিকে ঘিরে হবে, যার কারনে জখনি USDX বাড়ছে বা কমছে তার প্রতিফলন কিন্তু আমার USD কারেন্সিতেই দেখছি। এখন পর্যন্ত USDX লেভেল সর্বচ্চ 160 এবং সর্বনিম্ন 78 পর্যন্ত পোঁছছে।
     

     
    কেন ব্যাবহার করবেনঃ
    আগেই বলেছি USD ইনডেক্স এর মাধ্যমে অনন্য কারেন্সির সাথে USD এর ট্রেডিং ওয়েট মাপা যায়। যেহেতু অনেকগুলো কারেন্সির Combination ই হল USDX. তাই USDX এর মাধ্যমে ঐসব কারেন্সির Forecast ও করা সম্ভব। USDX চার্ট এর শক্তিশালি বা দুর্বল আচরণ এর প্রভাব অনন্য কারেন্সির Forecast এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। আমরা যেভাবে Support and Resistance, Candlestick pattern , technical analysis বা আরো বিভিন্ন স্ট্রেটিজি ব্যাবহার করি ট্রেন্ড লাইন তথা প্রাইস ফোরকাস্ট এর ক্ষেত্রে, তেমনি USDX এর প্রভাব বা এই চার্ট এর ফ্লো’ মাধ্যমেও ওই সব কারেন্সির ট্রেন্ডিং ট্রেন্ড বুঝতে পারা যায়।
     
    কিভাবে ব্যাবহার করবেনঃ যেহেতু USDX এর ইনডেক্স চার্ট হয় EUR/USD,GBP/USD, USD/CHF,USD/JPY, USD/CAD এর সাথে ট্রেডিং ভলিয়ম ভিত্তিতে। USD এর বিপরিতে এই সব কারেন্সি এর ট্রেডিং স্ট্রেন্থ হল USDX. তাই লক্ষ্য করবেন যখন EUR/USD দৈনিক চার্টে ট্রেন্ড ডাউন থাকে তখন USDX চার্টে ট্রেন্ড বিপরীত থাকে।
     

    এইবার দেখুন EUR/USD Daily Chart
     

    উপরের দুটি চার্টকে বিবেচনা করলে দেখবেন একটু আরেকটির মোটামুটি বিপরীত। কারন আমরা পুরবেই জেনেছি USDX চার্ট এর মুল ট্রেডেড কারেন্সি হল EUR তাই এই কারেন্সিই বেশী হিট করে USDX চার্টকে। এইভাবে দেশ ভিত্তিক এবং তাদের কারেন্সির সাথে USD এর ট্রেডেড ভলিয়ম অনুযায়ী চার্ট গুলোর পরবর্তী মুভমেন্ট আন্দাজ করা হয়ে থাকে।
     
    এই বিষয়টা পরিষ্কার করতে আলোচনা করতে হবে কারেন্সি কো-রিলেশন নিয়ে। এবং USDX এর সাথে অনন্য কারেন্সির সমন্বয় পূর্বক তাদের Forecast পাওয়ার জন্য ভিবিন্ন Currency Strength Indicator ব্যাবহার করা হয়ে থাকে। কারন্সি কো-রিলেশন বুঝলে ম্যাজিক পেয়ে যাবেন কিভাবে USDX এর একটি চার্টের বিপরীতে ৪-৫ টা কারন্সি চার্ট বিপরীত ট্রেন্ড তৈরি করে। আজ USDX সম্পর্কে চেষ্টা করেছি একটা ভালো ধারনা দেওয়ার জন্য। আগামিতে কারন্সি কো-রিলেশন সম্পর্কে বৃহৎ আলোচনা করব।
    -------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
     
    USDX চার্ট আপনি আপনার Meta Trader এ দেখতে পারবেন, সেই ক্ষেত্রে আপনাকে দুটি ইন্ডিকেটর ব্যাবহার করতে হবে।
    প্রথমে ইনডিকেটর গুলো ডাউনলোড করে নিনঃ USDX.zip
     
    ১. আপনার Meta trader\experts\indicators এ কপি করে নিন।
    ২. এইবার Meta Trader ওপেন করে EUR/USD চার্টে Create$$USDX ইনডিকেটরটি এনে Input variable থেকে যে টাইম ফ্রেমে USDX চার্ট দেখতে চান সেই টাইমফ্রেম ভেলু দিয়ে দিন, 15M, 30M, 45M 1H ইচ্ছে মত।
    ৩. File মেনু থেকে Open offline এ গিয়ে আপনার বানানো চার্টটি নিয়ে আসুন। (মুলত offline chart লিখা থাকলে ও এটা কিন্তু live চার্ট)
    -----------------------------
    ধন্যবাদ।
  5. Like
    sadwaves reacted to A H Royal in ৫মিনিট টাইমফ্রেমে স্কেল্পিং পদ্ধতি   
    প্রিয় ট্রেডার বন্ধুর, আপনারা লক্ষ করেছেন যে ফরেক্স মার্কেট এ বেশীর ভাগ দিনেই ৩০-৬০পিপিস এর বেশী মুভমেন্ট হয়না, এতে করে অনেক ট্রেডারই ট্রেড করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেনা। তাই আমি অনেক দিন ধরেই ভাবছি যে আপনাদের সাথে (আমার পরীক্ষিত) এমন একটি ট্রেড স্ট্যাটিজি শেয়ার করবো যার মাধ্যমে আপনারা প্রতিদিনই ট্রেড করে সফল হতে পারবেন।
     
    আজকের ট্রেড স্ট্যাটিজির কথা শুনে সবাই হয়তো আমাকে বোকা বলতে/ভাবতে পারেন। কারণ, আজকে আমি আপনাদের সাথে পাঁচ মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেড করার একটা স্ট্যাটিজি শেয়ার করবো, যার দ্বারা আপনার হয়তো অনেক লাভ হবেনা কিন্তু  মার্কেট যখন মুভমেন্ট কম থাকবে তখনও আপনি ট্রেড করে সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
     
    এটা হলো একধরনের স্কেল্পিং ট্রেড স্ট্যাটিজি, মার্কেটের মুভমেন্ট যখন কম থাকে আমি নিজেও এই স্ট্যাটিজিতে ট্রেড করি এবং ৭৫-৮০% সফলতা পেয়ে থাকি।  
     
    নিম্নে চিত্রের মাধ্যমে দেখানো হলঃ
     

     
    আপনারা উপরে যে  চিত্রটি দেখতে পাচ্ছেন তা হলো ৫মিনিট এর একটি ক্যান্ডেলস্টিক চিত্র।
     
    আসুন ৫মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেড এর নিয়মগুলো জেনে নেইঃ
     
    পাঁচ মিনিটের ক্যান্ডেলস্টিক চিত্র ব্যবহার করুন। এবং লক্ষ করুন যে পর পর তিনটি ক্যান্ডেল এর গন্তব্য একদিকে (বাই/সেল) কিনা। আর হলে ক্যান্ডেলগুলো নুন্যতম ৫-৭পিপস এর কিনা।  তাহলেই আপনি ৫মিনিট এর টাইমফ্রেমে ট্রেড ওপেন করতে পারেন।
     
    কিভাবে ট্রেড ওপেন করবেনঃ
     
    যখন দেখবেন পর পর তিনটি ক্যান্ডেল এর গন্তব্য একদিকে (বাই/সেল) গিয়ে তৃতীয় ক্যান্ডেলটি শেষ হবে এবং চতুর্থ ক্যান্ডেলটি শুরু হয়ে ২-৪পিপস অফোসিট দিকে যাবে তখনই আপনি আপনার ট্রেডটি  (তিনটি ক্যান্ডেল যে দিকে ছিল সে দিকে) ওপেন করুন। এবং ১০পিপস টেক প্রফিট ও ১৫পিপস স্টপ লস ব্যবহার করুন। যদিও টেক প্রফিট এর চেয়ে স্টপ লস বেশী তাতে কি ৭৫-৮০% সময়ই তো আপনার  টেক প্রফিট এ ট্রেড ক্লোজ হচ্ছে।
     
    ৫মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেড এর সতর্কতাঃ
    মার্কেট ট্রেন্ড (১ঘন্টায়) যে দিকে বিশেষ করে সে দিকে ট্রেড করার চেষ্টা করবেন। নিউজ আওয়ার এ ধরনের ট্রেড করবেন না। মার্কেট ওপেনিং ও ক্লোজিং টাইম এ ধরনের ট্রেড করবেন না। এই স্ট্যাটিজিতে  কোন কোন পেয়ার এ ট্রেড করবেনঃ
    এক কথায় যে পেয়ারগুলোতে মুভমেন্ট ভালো সেগুলোতে যেমনঃ GBP/USD, GBP/JPY, EUR/USD, EUR/JPY, USD/CHF ও USD/CAD ।
    এই স্ট্যাটিজিতে ট্রেড করার জন্য কখনো স্লো মুভমেন্টের এবং মেজর ক্রস পেয়ার বাচাই করবেন না। এই স্ট্যাটিজিতে  ট্রেড করার আগে প্রয়োজনে ডেমোতে ট্রাই করুন, ডেমোতে ট্রাই করার পর আপনি যদি মনে করেন যে এ পদ্ধতিতে ভাল লাভ করা সম্ভব তখন আপনি মিনি ও মাইক্রো লাইভ একাউন্ট এ পদ্ধতি প্রয়োগ করুন। ধন্যবাদ।
  6. Like
    sadwaves reacted to nhsajolbd18 in Support - Resistance : know what it is !   
    Support - Resistance :
    ------------------------------------------------------------------------------------------------------
    Supprot - Resistacne ফরেক্স মার্কেটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং আলোচিত বিষয় । এটা এমন একটি Price Level বা Area যেখানে এসে মার্কেট সিদ্ধান্ত নেয় তার পরবর্তী দিক কি হবে । এই Price Area তে দুনিয়ার সব ট্রেডার নজর রাখে, আর তাই এখানেই Price Action সবচেয়ে শক্তিশালী সিগনাল দিয়ে থাকে । মার্কেটে দুই ধরনের S-R দেখা যায়, Long Term ( Major S-R) এবং Short Term ( Minor S-R). আর তাই একটি Profitable Trade নেয়ার প্রথম শর্ত হল সেটা Support & Resistance থেকে নিতে হবে । S-R সম্পর্কে কিছু TIPS :

    1. S-R কোন নির্দিষ্ট Price Level নয় বরং ২০-৫০ পিপসের একটি Area.
    2. ট্রেডারভেদে S-R বিভিন্ন রকম হতে পারে, তাই বলে নিজেরটা কখনও ভুল ভাববেন না ।
    3. যেহেতু ফরেক্স মার্কেট Unpredictable, তাই Perfect S-R নিজে অযথা মাথা ঘামাবেন না । যতটা সম্ভব Perfect করা যায় । আর যদি স্পষ্ট কোন ধারনা নাই পান, তবে সেই Pair টি ট্রেড না করাই ভালো ।
    4. যেহেতু, মার্কেটের আচরণ প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হতে থাকে । তাই, প্রয়োজনে Price Action এর উপর নির্ভর করে S-R কিছুটা উপরে নিচে নিতে পারেন ।
    5. রেকর্ড যেমন তৈরি হয় ভাঙ্গার জন্য তেমনই S-R তৈরি হয় Break করার জন্য । তবে একই সাথে Fakeout ও মাথায় রাখতে হবে । বরং Breakout এর থেকে Fakeout সিগন্যাল বেশি শক্তিশালী হয় ।
    6. ট্রেড দেয়ার আগে অবশ্যই কাছের S-R দেখে নিবেন । এবং সে অনুযায়ী SL - TP সেট করবেন ।

    আপাতত, আর কিছু মাথায় আসছে না । কোন প্রশ্ন থাকলে করতে পারেন এবং পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না । ধন্যবাদ ।।


  7. Like
    sadwaves reacted to Mhafiz™ in প্রফেশনাল কিছু ট্রেডিং কৌট – জানলে এগিয়ে যাবেন, না জানলে হয়ত অনেক কিছুই হারাবেন !   
    বিশ্বজুড়ে ফলপ্রস এবং নন্দিত বিভিন্ন পেশার মধ্যে ফরেক্স ট্রেডিং অন্যতম। কিন্তু এটা হতে পারে সবচেয়ে কঠিন এবং হতাশাবেঞ্জক ব্যবসা যদি আপনি সঠিকভাবে করতে না পারেন। ভালো ট্রেডের জন্য স্টেটিজিকেল, এনালিটিকেল এবং সেলফ কন্ট্রোল কিছু বিষয় লুকিয়ে থাকে সব সময়। কোন ট্রেডারই চালিকা শক্তি কখনো এক রকম থাকে না যা ট্রেডার টু ট্রেডার এবং টাইম টু টাইম ভিন্ন রকম হবে এটাই একজন মানুষের স্বাভাবিক কথন; আর এই রকম ভারসাম্য হীনতার কারনে কখনো  কখনো ট্রেডের প্রতি মনোযোগ কিংবা দৃষ্টি ক্ষীণ হয় লস হয় ট্রেডিং এ। তখন প্রয়োজন হয় কিছু আশার বানী এককথায় দরকার হয় নতুন স্টেমিনা। হাঁ আজ শেয়ার করছি এমন কিছু প্রফেশনাল ট্রেডার বেক্তির এমন কথা কৌট, উক্তি যা সত্যি আপানকে আপনার ট্রেডিং এ নতুন প্রান ফিরিয়ে দিতে পারে। এবং তৈরি করতে পারে আগের চেয়ে অনেক উদ্দামি এবং সফল ট্রেডার।
     
    হাঁ, Peter Lynch এর উক্তিটি সবচেয়ে সবার আগে গুরুত্তপুর্ন মনে করছি , কারন এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে পৃথিবীর যত বড় ট্রেডারই হউক না কেন যার সব গুলো ট্রেড কখনো পজেটিভ হয় না। বরং ৬০% সফল ট্রেডই হল পজেটিভ ট্রেড। আপনার আরো বিভিন্ন রকম ট্রেডিং স্ট্রেটিজি, মানি ম্যানেজমেন্ট সহ সব কিছু মিলিয়ে আপানার সফলতার ভাগ আরো বাড়িয়ে দিতে পারে।
     
    Warren Buffett এর উক্তিটি অবশ্যই ইনভেস্টমেন্ট সম্পর্কে যা আপনি আপনার ট্রেডিং এ চিন্তা করতে পারেন। উক্তিটি মানি এবং রিস্ক ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে করা হয়েছে। একজন ট্রেডার হিসেবে আপনার মাসের কিংবা বছরের ট্রেডিং সফলতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে যদি আপনি সামান্য একটি ট্রেডে অনেক বেশি রিস্ক নিয়ে নেন। এবং সত্যি কথা বলতে এই কাজটি অনেক ট্রেডার হামেশা করে থাকেন। আপনি ভালো ট্রেড করেন, সুন্দর নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই আপনার ট্রেড এগিয়ে চলছে , কোন এক সময় আপনার সেই সময় আসে যখন আপনি একটি ট্রেড সেটআপ খবুই ডেম সিউর হয়ে যান এবং বাড়িয়ে ফেলেন ট্রেডিং রিস্ক দ্বিগুণ – তিনগুনের ও বেশি।  আর যখন সেটআপটা ফেইল হয় তখন হারিয়ে ফেলেন এতো দিনের এতো অর্জন। তাই এমনটি কখনো করবেন না। সব সময় আপনার ট্রেডকে রিস্ক ফ্রী রাখুন।

    Robert Arnott - এর খুব সহজ এই কথাটির উপর যদি আমল করতে পারেন, অর্থাৎ আপনার ইনভেস্টমেন্টে যা আপনার জন্য সাবলীল আরামদায়ক তাই অসধারণ ভাবে আপনার জন্য লাভজনক ! উক্তিটিতে সাবলীল বা আরামদায়ক বলতে সঠিক ট্রেডকে বোঝানে হয়নি। বরং ট্রেডিং এর জন্য আপনার হাতিয়ার তথা স্ট্রেটিজি চার্ট বোঝা পড়া কতটূকু আপনার অনুকুলে ছিল তাই বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ একটি ট্রেড ওপেন করার আগে ঠিক আপনি কতটুকু ভালো ভাবে কমফোর্টলি এনালাইসিস করতে পেরে ট্রেডটি ওপেন করেছেন। আপনার একজন বন্ধুকে বললেন বা সিনিয়র কারো কাছে জিজ্ঞেস করে অন্ধের মত একটি ট্রেড ওপেন করে ফেললেন তাই যেন না হয়।
     
    উক্তিটি একটু গভীরভাবে অনুধাবন না করলে হয়ত এর অর্থটাই পাল্টে যেতে পারে। কারন অনেক ট্রেডের বিশেষ করে নতুনদের মাঝে থেকে একটি প্রশ্ন সব সময় শুনতে পাওয়া যায় ট্রেডিং এ সফলতা কিভাবে আসবে? সত্যি যদি ট্রেডিং এ সফলতা আনতে চান তাহলে আগে একজন ভালো ট্রেডার হয়ে উঠুন , টাকা কে দ্বিতীয় অপশনে রাখুন। অবশ্যই আপনার টাকার দরকার আছে তাছাড়া টাকা অর্জনের জন্যই তো ট্রেডিং করছেন। তাই না ! তবে সেই জন্য প্রথমে টাকার পেছনে না ছুটে বরং আগে মার্কেট বুঝুন , ট্রেডিং প্রসেস জানুন, বুলিশ এবং বেয়ারিশ যুদ্ধটা বুঝুন।
     
    বলছেন টাকা ইনকাম করার আগে আপনার যা আছে তার সুরক্ষা নিশ্চিত করেন। কারন সফল ট্রেডিং এর বড়  এবং অন্যতম চাবিকাঠি  হল মুলধনের সুরক্ষা; কারন আপনি তখনি প্রফিট এর কথা চিন্তা করতে পারেন যদি আপনার মুলধন ঠিক থাকে। 
  8. Like
    sadwaves reacted to Mhafiz™ in Double Bollinger bands - এইবার প্রফিট না হইয়া যাইব কই ! নিশ্চিত প্রফিট ট্রেডিং স্ট্রেটিজি।   
    বলিঙ্গার বেন্ডের ধারাবাহিক আলোচনায় আবারো স্বাগতম সবাইকে, বলেছিলাম যে যারা আমার এই পোস্টগুলো নিয়মিত ফলো করবেন এবং অনুশীলনের মাধ্যমে সেই মোতাবেক ট্রেড করবেন তাদেরকে নিশ্চিত প্রফিট করিয়ে ছাড়বো এবং বলিঙ্গার এক্সপার্ট ট্রেডার বানাবো। হ্যাঁ এখনও তাই বলছি তার তারই ধারাবাহিক পর্ব হিসেবে আজকে শুরু করছি এই সিরিজের পঞ্চম পর্ব , ডাবল বলিঙ্গার বেন্ড ট্রেডিং স্ট্রেটিজি, প্রফিট না হইয়া যাইব কই !
    What is Double Bollinger Bands?
    সাইডওয়ে মার্কেট ট্রেডিং সুবিধার জন্য ডাবল বলিঙ্গার বেন্ডটি প্রথমদিকে একটি টুল হিসেবে ব্যাবহার হত। সাইডওয়ে মার্কেট ট্রেডিং খুবই চেলেঞ্জিং একটি পদ্ধতি যেখানে ট্রেডাররা অনেক রিস্ক নিয়ে এই ধরনের ট্রেড করে থাকেন। আর এই পদ্ধতিতে ট্রেডিং রিস্ক কমানোর জন্যই ডাবল বলিঙ্গার বেন্ড এর উৎপত্তি, যেই পদ্ধতিতে ট্রেডাররা আগের এই পদ্ধতিতে রিস্ক অনেক কমিয়ে আগের চেয়ে ভালো ট্রেড করতে পারে। এই পদ্ধতিতে ট্রেডিং টাইমিং টা খুবই জরুরি একটা ফেক্টর যার অভাবে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত বিসয় ঘটতে পারে যা ট্রেডার জন্য মোটেও ভালো নয়।
    How does double Bollinger bands work?
    মুলত এই পদ্ধতির ট্রেডিং এর জন্য ২ সেট বলিঙ্গার বেন্ড এর প্রয়োজন হয় বলে ডাবল বলিঙ্গার বেন্ড হিসেবে নাম করন করা হয়েছে। যেখানে একটি বেন্ডের উপর আরেকটি বেন্ড স্ব- স্ব ভেলু নিয়ে কাজ করে থাকে। এই ক্ষেত্রে একটি বলিঙ্গার বেন্ড ২০ ডে মুভিং আভারেজ এবং স্ট্যান্ডার্ড ডিবিয়েশন ১ এবং অপরটি সেইম মুভিং এভারেজে স্ট্যান্ডার্ড ডিবিয়েশন ২ ভেলুতে সেট করে কাজ করতে হয়। এতে করে দুটি বলিঙ্গার এর মাঝে একটি গ্যাপ তৈরি হয় যার মাধ্যমেই এই স্ট্রেটিজির প্রফিট লস এবং স্টপ লস সেটিং করে ট্রেড করা হয়। ট্রেডাররা দুটি বলিঙ্গার এর স্প্রেড বা গ্যাপ কে ট্রেডিং এন্ট্রি এবং এক্সিট ধরে ট্রেড শুরু করে।
    তাহলে দুটি বলিঙ্গার এর মান হবে নিম্বের মতঃ
     
    প্রথম বলিঙ্গার বেন্ড ভেলু;
    Period: 20
    Deviations: 2
    Shift: 0
    দ্বিতীয় বলিঙ্গার বেন্ড ভেলুঃ
    Period: 20
    Deviations: 1
    Shift: 0
    আপনার চার্ট কে দুটি বলিঙ্গার বেন্ডের ভিন্ন ভিন্ন ডিবিয়েশনে সেট করা পর দেখতে এমন হবে। মনে রাখবেন দুটি বলিঙ্গারের মিডল বেন্ড কিন্তু সেইম। দুটি ভিন্ন ডিবিয়েশনের অবস্থান বোঝানোর জন্য দুটিকে আমি আলাদা আলাদা রঙ্গে সেট করেছি আশা করছি বুঝতে সমস্যা হবে না।
    সাইডওয়ে মার্কেট ট্রেডিং থেকে ভালো প্রফিট করার সবচেয়ে গুরত্তপুর্ন এবং উপযোগী একটি পদ্ধতি হল ডাবল বলিঙ্গার বেন্ড স্ট্রেটিজি। আসুন দেখি এইবার কিভাবে আপনার ট্রেডগুলো সেট হবে। আরেকটা কথা স্ট্রেটিজিটি একটু স্লোলি বুঝে পড়ুন দেখবেন একদম সহজ, পড়ার সাথে সাথে ছবি ধরে বুঝে এগুতে থাকুন, জটিল হবে না।
    লং ট্রেড সেটআপঃ
    তাহলে এতক্ষণের আলোচনায় আশা করছি দুটি বলিঙ্গার বেন্ড বুঝে নিয়েছেন এবং সেটিং তা বুঝতে পেরেছেন ভালো ভাবে, এইবার ট্রেডে কিভাবে ঢুকবেন তা বলছি খেয়াল করুন। আরেকটা কথা বলে নেয়, আলোচনার জন্য আমি ডিবিয়েশন ১ বলিঙ্গার কে BB1 এবং ডিবিয়েশন ২ বলিঙ্গারকে BB2 নাম ধরে ডাকবো।  
     
    বায় ট্রেডে ডুকার জন্য আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে একটি ক্যান্ডলের জন্য যা BB1 এর আপার বেন্ডে ক্লোজ হয়েছে। তারপর আপনাকে দেখতে হবে যে তার পূর্বের ক্যান্ডলে গুলো কোথায় ক্লোজ হয়েছে BB1 এর আপার বেন্ডের উপরে নাকি নিচে। যদি তাই হয় তাহলে আপনি পেয়ে গেছেন লং ট্রেড সিগনাল। অর্থাৎ আপনি এখন নিশ্চিত বায় ট্রেড করতে পারবেন। খেয়াল করুন নিচের চিত্রে BB1 এর আপার বেন্ডের উপরে ৩ নম্বর ক্যান্ডেল্টি ক্লোজ হয়েছে। এবং পূর্বের ২টি ক্যান্ডেল ক্লোজ হয়েছে BB1 আপার বলিঙ্গারের নিচে। আর মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত ৩ নাম্বার ক্যান্ডেল বায় ট্রেড দিতে পারেন।
    স্টপ লসঃ
    ৩ নাম্বার ক্যন্ডেলের লো প্রাইসে অর্থাৎ BB1 এর আপার বেন্ডে ৩য় ক্যন্ডেল ক্লোজে আপনি যে বায় অর্ডার দিয়েছেন তার লো একদম লো প্রাইসে স্টপ লস সেট করে দিবেন। অনেকে অবশ্য ৩য় ক্যান্ডেলের লো প্রাইসের ১০-১৫ পিপস নিচে স্টপ লস সেট করে থাকেন, এই ক্ষেত্রে আপনি বলব আপনি প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেই ঠিক করে নিবেন কোথায় স্টপ লস সেট করবেন।
    টেইক প্রফিটঃ
    যে পরিমান স্টপ লস অর্থাৎ যত পিপস স্টপ লস পয়েন্ট সেট করেছেন তার দ্বিগুণ টেইক প্রফিট সেট করে ট্রেডকে ফাইনালি সেট করে নিন। এই ক্ষেত্রে অনেক ট্রেডার আছেন যারা ট্রেইলিং করে থাকেন, যেমন মার্কেট যদি ৫০ পিপস আপনার অনুকুলে যায় তখন স্টপ লসও ৫০ পিপস ট্রেইল করে করে এইভাবে দীর্ঘ মেয়াদি প্রায় ২০০-৫০০ পিপস পর্যন্ত বা তার ও বেশি প্রফিট নিয়ে থাকেন।
    এইভাবে লং ট্রেড করবেন, এর শর্ট ট্রেডের কথা আশা করি আর বলতে হবে না, লং ট্রেড যেভাবে করেছেন তার বিপরীত নিয়মে BB1 লাওয়ার বেন্ডের মাধ্যমে শর্ট ট্রেড করবেন।
    পদ্ধতিটি অনেক সুপার কাজ করে যদি ঠিক মত অনুশীলন করে ব্যাবহার করতে পারেন তাহলে নিশ্চিত ভালো প্রফিট নিতে পারবেন।
    View the full article
    View the full article
  9. Like
    sadwaves reacted to Mhafiz™ in বলিঙ্গার বেন্ড স্কেল্পিং- Bollinger bands scalping নিশ্চিত প্রফিট- A-Z ফরেক্স এক্সপার্ট ট্রেডিং – ( পোস্ট পর্ব ৪ )   
    বলিঙ্গার বেন্ড এর ধারাবাহিক আলোচনায় আপনাদেরকে আবারো স্বাগতম। প্রত্যেক পোস্ট এর পূর্বে আমি একটি কথা বলে নেয় সেটা হচ্ছে যেহেতু ধারাবাহিক পোস্ট তাই আগের পর্ব গুলো পড়ে নেওয়া। এতে করে আপনি একটি ডিসিপ্লিন এ থাকবেন।
    যাহোক আজকের পর্বে আলোচনা করবো বলিঙ্গার বেন্ডস স্কেল্পিং ট্রেডিং সম্পর্কে। যারা নিয়মিত ট্রেড করেন তারা আশা করি জানেন যে স্কেল্পিং কি, সংক্ষেপে একটু বলে নিচ্ছি, স্কেল্পিং হল অনেকটা শর্ট টাইম বেসিস সুবিধাভোগী ট্রেড, যেমন ১-২ মিনিট সময় স্থায়িত্তের কিংবা সর্বচ্চো ৫ মিনিট সময় ব্যাপ্তি মার্কেট এর ভিবিন্ন স্কেলে যেসব ট্রেড হয় তাই হল স্কেল্পিং। অনেক অনেক স্ট্রেটিজি এবং টুলস এর মাধ্যমে স্কেল্পিং করা যায়, আমি আলোচনা করবো বলিঙ্গার বেন্ড দিয়ে কিভাবে স্কেল্পিং হতে পারে।
    এই মেথডটি খুব সিম্পল এবং সহজ তাই এইখানে বেশি আলোচনা করব না, স্ট্রেটিজিটির জন্য মুলত আপনার প্রয়োজন একটি চার্ট সেটিং যার মাধ্যমে আপনার ট্রেডগুলো হবে, তবে আরেকটি বিষয়টি মাথায় রাখবেন স্কেল্পিং ট্রেড যেমন অনেক প্রফিটেবল তেমনি অনেকটা রিস্কি বটে তাই সাবধান থাকবেন। এবং আরো মাথায় রাখবেন আপনার প্রতিটি ট্রেড কিন্তু সফল হবে না যেমন ধরুন ৫টি ট্রেড করলেন এই পদ্ধতিতে তারমধ্যে ১ বা ২ টি ট্রেড লস হতে পারে। ভালো অভিজ্ঞতা নিয়ে করলে হয়ত ১টির বেশি ট্রেড লস হবে না।

    বেন্ড রেঞ্জ ঢালু এরিয়া (Slope) থেকে যখন প্রাইস আপ হয় তখন বায় ট্রেড আর যখন বেন্ড এরিয়ার দিকে প্রাইস ডাউন হয় তখন সেল ট্রেড করতে হয়, আসুন কিভাবে তা করতে হয় ভালোভাবে দেখি। আমার মতে স্কেল্পিং ট্রেডার জন্য সবচেয়ে ভালো কারেন্সি হল EUR/USD & GBP/USD. আরেকটি বিষয় মনে রাখবে নিউজ আওয়ারে স্কেল্পিং ট্রেড না করাই ভালো।
    চার্ট সেটআপঃ
    কারেন্সি পেয়ারঃ  EUR/USD, GBP/USD
    ট্রেডিং সেশনঃ  London
    টাইমফ্রেমঃ ৫ মিনিট
    ট্রেডিং রুলসঃ লং ট্রেড
    বলিঙ্গার বেন্ড অবশ্যই আপ ট্রেন্ডি (Slope up) হতে হবে; প্রাইস যখন উপর থেকে বলিঙ্গার মিডল বেন্ড টাচ করবে তখন বায় অর্ডার করুন; ১৫ পিপস স্টপ লস সেট করুন; আপার বেন্ড পর্যন্ত টেইক প্রফিট নিন; ট্রেডিং রুলসঃ শর্ট ট্রেড
    বলিঙ্গার বেন্ড অবশ্যই ডাউন ট্রেন্ডি (Slope Down) হতে হবে; প্রাইস যখন নিচ থেকে বলিঙ্গার মিডল বেন্ড টাচ করবে তখন সেল ট্রেড অর্ডার করুন; ১৫ পিপস স্টপ লস সেট করুন; লাওয়ার বেন্ড পর্যন্ত টেইক প্রফিট নিন; এই পদ্ধতিটি অবশ্যই আগে ডেমোতে অনুশীলন করবেন কারন স্ট্রেটিজিটি আপনি আপনার মত করে ব্যাবহার করবেন কিছু ডেমো ট্রেড করলে বিষয়টি বাস্তবিকভাবে আরো কি পরিবর্তন হওয়ার দরকার নিজেই বুঝে যাবেন তারপর লাইভ ট্রেডে যাবেন।

    আসুন এইবার ছবিটি বিশ্লেষণ করি,
    ট্রেড ১;
    Slope up ট্রেন্ডে প্রথম ট্রেডটি বায় করা হয়েছে ১.৩৯৮১ মিডল বেন্ড থেকে
    স্টপ লস লাওয়ার বেন্ড অর্থাৎ ১৫ পিপস ছিল
    ট্রেডটি ক্লোজ করা হয়েছে ১.৩৯৯৯ প্রাইসে, ১৮  পিপস প্রফিট;
    ট্রেড ২;
    Slope Down ট্রেন্ডে ২য় ট্রেডটি সেল অর্ডার করা হয়েছে ১.৩৯৮৬ মিডল বেন্ড থেকে
    স্টপ লস আপার বেন্ড অর্থাৎ ১৫ পিপস ছিল
    ট্রেডটি ক্লোজ করা হয়েছে ১.৩৯৭১ প্রাইসে, ১৫  পিপস প্রফিট;
     
    এইভাবে মোট ৬ টি ট্রেড করা হয়েছে যারমধ্যে লস ছিল ১টি ট্রেড , মোট ৭০+ পিপস প্রফিট হয়েছে। পদ্ধতিটি খুবই সহজ, ভালো অনুশীলন আর মাধ্যমে প্রফিট করে নিতে পারেন সহজে ।
  10. Like
    sadwaves reacted to Mhafiz™ in বলিঙ্গার বাউন্স - নিশ্চিত প্রফিট (Bolinger Bounce) A-Z ফরেক্স এক্সপার্ট ট্রেডিং – ( পোস্ট পর্ব ২ )   
    প্রথম পর্বে আমি আলোচনা করেছিলাম, বলিঙ্গার বেন্ড পরিচিত, মুভিং এভারেজ এবং ডিভিয়েশন সম্পর্কে। তারই ধারাবাহিক আলোচনা হিসেবে আজ শিখবো বলিঙ্গার বাউন্স ট্রেডিং স্ট্রেটিজি, মনে রাখবেন বলিঙ্গার বেন্ড ভালোভাবে বুঝে গেলে অনেক ভালো ভাবে ট্রেড করতে পারবেন এই টুলসটি দিয়ে।
     বলিঙ্গার বাউন্সঃ
    বলিঙ্গার বেন্ড দিয়ে আপনি যখন ট্রেড করবেন তখন দেখবেন প্রাইস মেক্সিমাম টাইম বলিঙ্গার বেন্ড ডিবিয়েশন ২ এর মধ্যে থাকে, হ্যাঁ কারন ১৫-২০% সময় বলিঙ্গার বেন্ড পেনিট্রেশন বা অনুপ্রবেশ হয় অর্থাৎ বেন্ড এর বাইরে প্রাইস চলে যায়। বাকি সময়টা প্রাইস বলিঙ্গার বেন্ডের মধ্যই আপ/ডাউন করে থাকে। যেহেতু মেক্সিমাম সময়ে প্রাইস বলিঙ্গার বেন্ড সীমানার মধ্যই অবস্থান করে, তাই বেন্ড ট্রেডিং এর একটি সফল স্ট্রেটিজি হল, প্রাইস যখন লাওয়ার বলিঙ্গারকে টাচ করে তখন মার্কেট বায় করুন এবং সেল করুন প্রাইস যখন আপার বলিঙ্গারকে টাচ করে।

    উপরের চিত্রটি দেখুন তার অনেকগুলো উদহারন আছে, লক্ষ্য করুন, প্রাইস যখন আউটার বেন্ড টাচ করে তখন তা আবার রিট্রেস করে বা বাউন্স করে আপজিট ডিরেকশনে চলে যাচ্ছে, এটাই কিন্তু মেক্সিমাম সময় ঘটে থাকে। যাহোক এইখানেই শেষ নয়, এই আমরা দেখবো আরো ২-১টি টুলস কে কাজে লাগিয়ে কিভাবে বলিঙ্গার বাউন্স ট্রেডকে আরো শক্তিশালী এবং সফল করা যায়।
     RSI এবং Candlestick দিয়ে বলিঙ্গার বাউন্স ট্রেডিং স্ট্রেটিজিঃ
    উপরে আমি একটি কথা বলেছি যে আপনার বলিঙ্গার টাচ করলে সেল ট্রেড এবং লাওয়ার বলিঙ্গার টাচ করলে বায় ট্রেড , হ্যাঁ মিথ্যা নয় তবে সময় সময় এই পদ্ধিতিতে ট্রেড সুফল নয়, কারন স্ট্রং ট্রেন্ড অনেক্ষন একটা বেন্ডে রাইড করে বা কন্টিনিউ করে তখন আপনার সেল/বায় ট্রেড কিন্তু আপনার ট্রেডিং গতিতে উল্টো বিহেইব করতে পারে। তখন প্রাইস মুভিং এর মাধ্যমে বলিঙ্গার বেন্ড টাচ বা এক্সিড করার মাধ্যমে একটার পর একটি হাই এবং একটার পর একটা লো তৈরি করে। তাই এই স্ট্রং ট্রেন্ড ট্রেডিং হলে আমরা আমাদের ট্রেড কনফার্ম এর জন্য RSI এবং কিছু ক্যান্ডেল ব্যাবহার করব।
    আপনি যদি বাউন্স ট্রেড করতে চান, আপনার ট্রেডকে নিশ্চিত করার জন্য RSI এর ব্যাবহার গুরুত্তপুর্ন। অনেক ক্ষেত্রে বাউন্স ট্রেডে আমরা RSI’র দিকে খেয়াল করি না যে RSI কি অভারবট/অভারসল্ড। যার কারন আপনার ট্রেডটি নেগেটিভ হয়ে যায়। ট্রেড অর্ডার এর আগে অবশ্যই খেয়াল করতে হবে বর্তমান ট্রেন্ডে প্রাইস কতটা স্টং বা উইক।
    কার্যকারী অপশন ১  
    তাই সেল/বায় ট্রেডের ক্ষেত্রে লক্ষ্য করবেন প্রাইস যদি আপার বলিঙ্গার কে টাচ/ছেদ করে এবং RSI প্রাইস উইকনেস লেভেল ৫০-৮০ তে ফলিং থাকে সেই ক্ষেত্রে সেল ট্রেড করতে পারেন, আবার বিপরীতভাবে, প্রাইস যদি লাওয়ার বলিঙ্গারকে টাচ/ছেদ করে এবং RSI স্ট্রেনথ যদি ৩০-৫০ তে রাইজিং থাকে তাহলে বায়/লং ট্রেড করতে পারেন।
    কার্যকারী অপশন ২
    আরো অপেক্ষা করে ক্যান্ডেলস্টিক রিভার্সেল কনফার্ম এর মাধ্যমে বলিঙ্গার বাউন্স ট্রেডকে করতে পারেন আরো শক্তিশালী । এই ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন ক্যান্ডেল যদি আপার বেন্ড ছেদ করে এবং ক্যান্ডেলটি বেয়ারিশ কিনা, আবার লাওয়ার বেন্ড ছেদ করলে ক্যান্ডেল্টি বুলিশ কিনা। এর যদি মার্কেট নতুন হাই/লো তৈরি করে তাহলে ঐ সময়ে ট্রেডে এন্টার না করাই উত্তম। ক্যান্ডেলস্টিক যখন বেয়ারিশ/বুলিশ ফরমেশন পাবেন তখনি ট্রেডে এন্টার করবেন।
    ক্যান্ডেলটি যদি  LONG FILL বডি হয় বা  LONG UPPER SHADOW হয় তাহলে শর্ট/সেল ট্রেড করবেন। আর যদি ক্যান্ডেলটি লং  EMPTY বডি হয় এবং  LONG LOWER SHADOW হয় তাহলে লং/বায় ট্রেড করবেন।
    বলিঙ্গার বাউন্স টাইম ফ্রেইমঃ
    বলিঙ্গার বাউন্স যে কোন টাইম ফ্রেমেই করতে পারেন। চার্টে আপনি এই ধরনের অনেক সুযোগ পাবেন ট্রেড করার জন্য। বেন্ড যত বেশী স্ট্রং হবে আপনার ট্রেডটি ততবেশি সফল হবে। শর্ট টাইম ফ্রেইম বুলিঙ্গার বাউন্স থেকে লং টাইম ফ্রেইম বলিঙ্গার বাউন্স অনেক বেশী কার্যকারী। এই ক্ষেত্রে ৪ ঘন্টার টাইম ফ্রেম হতে পারে সবচেয়ে সন্তোষজনক।
    এই চুলুন দেখা যাক উপরোক্ত আলোচনার আলোকে কিভাবে বলিঙ্গার বাউন্স ট্রেডে এন্টার এবং ইক্সিট করবেন তার একটা সারাংশ দেখা যাক।
    বুলিশ বাউন্স ট্রেড এন্টারঃ
     
    কারেন্সিটি আপট্রেন্ড হতে হবে। কারেন্সি লাওয়ার বলিঙ্গার এর খুব নিকটে বা টাচ করেছে। RSI লেভেল ৩০-৫০ এর নিচে এবং উর্ধমুখী। ক্যান্ডেল প্যাটার্ন বুলিশ রিভার্সেল। বুলিশ বাউন্স ট্রেড এক্সিট
    লাওয়ার বলিঙ্গার এর ২০ পিপস নিচে স্টপ লস সেট করবেন, যা আনুমানি ৫০-৮০ পিপস হতে পারে। ১০০-১৫০ পিপস পর্যন্ত ট্রেইক প্রফিট সেট করবেন তবে অবশ্যই আরেকটি বলিঙ্গার রিভার্স তৈরি হওয়ার আগে। বেয়ারিশ বাউন্স ট্রেড এন্টারঃ
     
    কারেন্সিটি ডাউনট্রেন্ড হতে হবে। কারেন্সি আপার বলিঙ্গার এর খুব নিকটে বা টাচ করেছে। RSI লেভেল ৫০-৮০ এর উপরে এবং নিম্নমুখী। ক্যান্ডেল প্যাটার্ন বেয়ারিশ রিভার্সেল। বেয়ারিশ বাউন্স ট্রেড এক্সিটঃ
    আপার বলিঙ্গার এর ২০ পিপস উপরে স্টপ লস সেট করবেন, যা আনুমানি ৫০-৮০ পিপস। ১০০-১৫০ পিপস পর্যন্ত ট্রেইক প্রফিট সেট করবেন তবে অবশ্যই আরেকটি বলিঙ্গার রিভার্স তৈরি হওয়ার আগে।  
    বি.দ্রঃ  উক্ত স্ট্রেটেজিতে বলিঙ্গার বাউন্স ট্রেডিং দৈনিক ১-২ টির বেশী ট্রেড করবেন না।
     
  11. Like
    sadwaves reacted to tanvirbd in cPSM: স্ক্যালপারদের জন্য একটি অসাধারণ এক্সটার্নাল টুলস   
    [cPSM বা Currency Pair Strength Meter মাইক্রোসফট এক্সেলে তৈরি একটি এক্সটার্নাল রুলস। এটি MT4 টার্মিনালের সাথে লিঙ্ক তৈরি করে ফরেক্স মার্কেটের ৩০টি কারেন্সি পেয়ারের ডেইলি রেঞ্জ ও স্ক্যলপিংয়ের জন্য উপযুক্ত পেয়ারের রিকমেন্ডেশনসহ সেশন ওপেন ও ক্লোজ হতে অবশিষ্ট সময়ের হিসাব প্রদর্শন করে। cPSM ওপেন করার জন্য মাইক্রোসফট এক্সেল ২০০৭ বা এর ঊর্ধ্বের কোনো ভার্সন ব্যবহার করুন।]
     
    আপনি একজন স্ক্যালপার। আপনি শর্ট টাইমফ্রেমে স্বল্প-সময়ের জন্য ট্রেড ওপেন করেন আর অল্প কিছু পিপস পেলেই ট্রেড ক্লোজ করে দেন। আপনি জানেন যে, আপনার কাছে খুব ভালো একটি স্ক্যালপিং স্ট্র্যাটেজি আছে। কিন্তু তারপরেও আপনি আশানুরূপ সাফল্য পাচ্ছেন না। আপনি যে বড় ভাইয়ের নিকট থেকে বা যাদের কাছ থেকে স্ট্র্যাটেজিটি সংগ্রহ করেছেন, এই একই স্ট্যাটেজি ব্যবহার করে তারা ৮৫%–৯০% সফলতা পাচ্ছে। কিন্তু আপনি পারছেন না।
     
    কেন?
     
    আপনি কি ভাবছেন আপনার সাথে ফরেক্স মার্কেটের পৈত্রিক আমলের শত্রুতা রয়েছে? নাকি আপনি ট্রেড করতে বসলেই মার্কেট আপনার সাথে ঠাট্টা-মশকরা শুরু করে দেয়? ফরেক্স মার্কেটে আপনার দুই–তিন বছরের অভিজ্ঞতা হয়ে গেল, অথচ তারপরেও মনমতো একটি প্রফিটেবল স্ট্যাটেজি দাড় করাতে পারছেন না এবং অন্যদের প্রফিটেবল স্ট্র্যাটেজিও আপনার হাতে পড়লেই পাগলামি শুরু করে দেয়।
     
    কি এর কারণ?
     
    উত্তর হচ্ছে আপনার কাছে একটি প্রফিটেবল স্ট্র্যাটেজি আছে ঠিকই। কিন্তু আপনি এর সঠিক ব্যবহার করতে পারছেন না। মার্কেট থেকে আপনি কিছু পিপস (পিপস = প্রফিট) আশা করেন, অথচ মার্কেটে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে ওঠানামা (মুভমেন্ট) না থাকে তাহলে পিপস কি আপনি হাওয়ার উপর দিয়ে পাবেন? নাকি আপনার স্ট্যাটেজি মার্কেটের মোড় ঘুরিয়ে দিয়ে মুভমেন্ট তৈরি করবে? মোটেও না। স্ট্র্যাটেজি মার্কেটের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়।, মার্কেট স্ট্র্যাটেজির উপর ভিত্তি করে মুভমেন্ট করে না। সুতরাং মুভমেন্টবিহীন, সাইডওয়ে এবং একদম স্বল্প-রেঞ্জের মার্কেটে আপনি আপনার স্ট্র্যাটেজি নিয়ে যতই পিপস শিকারে নামেন না কেন, আর ঘন্টার পর ঘন্টা চার্টের সামনে বসে থাকেন না কেন – স্প্রেডের কারণে এবং ভুল সময়ে ট্রেড করার কারণে আপনি শুধু ডিপোজিট হারাতেই থাকবেন। ভুল সময়ে ভুল ট্রেডের ফলে পাঁচ-সাতটি লসের ট্রেডের পরে চরম হতাশ হয়ে সমস্ত লস একবারে রিকভারি করার জন্য জেদের বসে চার-পাঁচ গুণ বড় লটে ট্রেড ওপেন করে পরিশেষে একাউন্ট জিরো করে তারপর মাথায় হাত দিয়ে তীব্র ক্ষোভ ও দুঃখের সাথে বলবেন, “প্রতিটি ট্রেডেই নিয়ম মানার পরেও ফরেক্স মার্কেট আমার সাথে এমন করে কেন? আমি ফরেক্স মার্কেটের কি ক্ষতি করেছি?” আসল কথা হচ্ছে, আপনি স্ক্যালপিং করার জন্য প্রতিবারই সঠিক সময়ে সঠিক কারেন্সি পেয়ারটি নির্বাচন করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। স্ক্যালপিং যেহেতু স্বল্প-সময়ের জন্য করা হয়ে থাকে, সেহেতু মার্কেট যে পেয়ারে পর্যাপ্তমাত্রায় মুভমেন্ট আছে সেই পেয়ারে ট্রেড করা একান্তু অপরিহার্য।
     
    ধরুন আজ সারাদিনে USDCHF পেয়ারটি মাত্র ৬০ পিপসের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে। যে পেয়ারের আজকের রেঞ্জেই হলো মাত্র ৬০ পিপস, সে পেয়ারের নিজের আছে কি আর আপনাকেই বা দেবে কি! উল্টো আপনার থেকে আরো কেড়ে নেবে। ধরুন একই দিনে একই সময়ের মধ্যে অন্য আরেকটি পেয়ার (ধরা যাক, NZDJPY) ইতিমধ্যেই ৩০০+ পিপস মুভ করেছে। অথচ আপনি তা জানেনই না! কিন্তু আপনি যদি জানতেন তাহলে উক্ত পেয়ারের M5, M15 বা M30 চার্টে কি আপনি আপনার স্ট্র্যাটেজি অনুযায়ী একটি বা দুটি ভালে এন্ট্রি খুঁজে পেতেন না? আমরা বলতে পারি যে, পাওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর ছিল।
     
    অর্থাৎ আসল কথা হচ্ছে মার্কেটে ওঠানামা থাকলে সেখানে স্ক্যালপিং করে সাফল্য পাওয়া সম্ভব। কিন্তু সঠিক সময়ে সঠিক পেয়ার নির্বাচন করাটাই হলো মুশকিল। ট্রেডিংয়ের জন্য আপনার ব্রোকার আপনাকে ৩০/৪০ বা তারচেয়েও বেশি পেয়ার দিচ্ছে। এখান থেকে ট্রেডিংয়ের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত পেয়ারটি খুঁজে পেতে গেলে আপনাকে একটি একটি করে চার্ট ওপেন করে ডেইলি ক্যান্ডেল দেখতে হবে। তারপরে দেখতে হবে পেয়ারটির M5, M15 বা M30 টাইমফ্রেমের বর্তমান অবস্থা। তাও পাক্কা ৩০–৪০ মিনিটের কাজ! ততক্ষণে দু-একটি ভালো সেটআপ এসেও চলে গেছে। একেই বলে বিড়ম্বনা! এই পেয়ার বাছাবাছির কাজটি যদি কোনো টুলস দিয়ে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই করা যেত, তাহলে নিঃসন্দেহে একটি কাজের কাজ হতো!
     
    হ্যাঁ, আপনার এই মহা-ঝামেলার কাজটি করে দেবে আমার তৈরি cPSM মাত্র ০১ সেকেন্ডের মধ্যেই!
     

     
    cPSM মাইক্রোসফট এক্সেলে আমার তৈরি একটি টুলস। আপনি অবাক বিষ্ময়ে দেখবেন যে, যেসব পেয়ারগুলোতে আজকে প্রচুর মুভমেন্ট হয়েছে বলে মনে করছেন তারচেয়ে দুই-তিন গুণ বেশি মুভ করা পেয়ারও আছে। সুতরাং আপনি পরবর্তী এক মিনিটের মধ্যেই সবচেয়ে বেশি মুভ করা চার-পাঁচটি চার্ট ওপেন করে আপনার নিজস্ব স্ট্র্যাটেজি অনুযায়ী ট্রেড এন্ট্রি নিতে পারবেন। যেহেতু এসব পেয়ারের মুভমেন্ট প্রচুর, তাই প্রফিটের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা চার্টের সামনে বসে থাকতে হবে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কয়েক মিনিটের ভিতরে আপনার টার্গেট পূরণ হয়ে যাবে। তখন তাইরে – নাইরে গানে গাইতে গাইতে পিসি বন্ধ করে অন্য কাজে হাত দিতে পারবেন।
     
    cPSM কোনো ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজি নয়। তবে এটি আপনার স্ক্যালপিং ট্রেডিং সিস্টেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হওয়ার যোগ্যতা রাখে। আপনি ইচ্ছা করলে cPSM দ্বারা কোনো স্ক্যালপিং স্ট্র্যাটেজিও তৈরি করতে পারবেন। অথবা আপনার স্বল্প প্রফিটেবল স্ট্র্যাটেজি দ্বারাও cPSM এর সাহায্যে ভালো প্রফিট করতে পারবেন।
     
    cPSM আপনাকে সরাসরি যেসব বিষয়ে সাহায্য করবে তা হলো:–
    ১। সেকেন্ডের মধ্যেই জানিয়ে দেবে ৩০টি কারেন্সি পেয়ারের ডেইলি রেঞ্জ।
    ২। স্ক্যালপিংয়ের জন্য ট্রেডেবল পেয়ারের যোগ্যতাভিত্তিক পরিবর্তনশীল তালিকা।
    ৩। ট্রেডেবল পেয়ারের রিকমেন্ডেশন।
    ৪। খোলা থাকা সেশনের সাথে সমন্বয় করে সংশ্লিষ্ট দেশের কারেন্সি রিলেটেড পেয়ার নির্বাচনের সুযোগ।
    ৫। সেশন খোলার কত সময় অবশিষ্ট আছে তার ঘন্টা, মিনিট ও সেকেন্ড ভিত্তিক প্রতি মুহূর্তের আপডেট।
    ৬। সেশন বন্ধ হওয়ার কত সময় অবশিষ্ট আছে তার ঘন্টা, মিনিট ও সেকেন্ড ভিত্তিক প্রতি মুহূর্তের আপডেট।
    ৭। একই সাথে ব্রোকার ও স্থানীয় সময় প্রদর্শন।
     
    cPSM কি শুধুই স্ক্যলপারদের জন্য?
     
    cPSM স্ক্যালপারদেরকে ট্রেডের জন্য সঠিক পেয়ার নির্বাচনে দ্রুত সহায়তাকারী একটি এক্সটার্নাল টুলস। যারা লং টার্ম ট্রেডিং করেন, cPSM তাদেরকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সাহায্য করবে না। তবে কোনো লং ট্রেডার প্রতিদিনের ৩০টি পেয়ারের ডেইলি মুভমেন্টের তালিকা একত্রে পেয়ে টেকনিক্যাল এনালাইসিস করতে চাইলে তার এরূপ চাহিদা পূরণে cPSM নিঃসন্দেহে ফলদায়ক বিবেচিত হবে।
     
    ১৭/১০/২০১৪ ইং তারিখের রিলিজ ডেট হতে আগামী ০১ মাসের জন্য cPSM এর ট্রায়াল ভার্সন সবার জন্য উন্মুক্ত করা হলো। আগামী ১৬/১১/২০১৪ ইং তারিখে ট্রায়াল পিরিয়ড শেষ হবে। তাই এখনি নিচের লিঙ্ক হতে cPSM ডাউনলোড করুন এবং স্ক্যালপিং করার জন্য সঠিক কারেন্সি পেয়ার নির্বাচনে cPSM এর সহায়তা নিন।
     
    ডাউনলোড লিঙ্ক: http://www.mediafire.com/download/x6e837nny1y5jyd/cPSM+%28Scalper%27s+Guide%29.rar#39;s_Guide).rar
     
    স্ক্যালপারদের স্ক্যাল্প ট্রেডিংয়ে ধারাবাহিক সাফল্য কামনা করি।
     
    বিঃ দ্রঃ cPSM ব্যবহার করার পূর্বে ইউজার ম্যানুয়াল ভালোভাবে পড়ে নির্দেশনা মোতাবেক MT4 প্লাটফর্মের সেটিংস প্রদান করতে হবে।

×
×
  • Create New...

Write what you are looking for and press enter or click the search icon to begin your search