Search the Community
Showing results for tags 'সিসিআই'.
-
সিসিআই ইন্ডিকেটর কে যদিও নতুন বলছি কিন্তু এটি আসলে নতুন কিছু নয়। নতুন বলছি কারন ইদানীং দেশি ট্রেডারদের মধ্যে এর ব্যাবহার দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু বাইরের ট্রেডারদের কাছে এটি নতুন কিছু নয়। ১৯৮০ সালে ডোনাল্ড ল্যামবারট নামে একজন সফল ট্রেডার সিসিআই ইন্ডিকেটর আবিস্কার করেন। আবিস্কারের পর থেকেই ইন্ডিকেটরটি ব্যপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। আমাদের দেশে তেমন একটা ব্যবহার না হলেও বাইরের ফরেক্স ট্রেডারদের কাছে এটি খুবই কমন একটি ইন্ডিকেটর। সিসিআই ইন্ডিকেটর কি? কমোডিটি চ্যানেল ইন্ডিকেটর বা সিসিআই টেকনিক্যাল এনালাইসিস এর একটি জনপ্রিয় মাধ্যম যা আমাদের মার্কেটর ওভারবথ বা ওভারসোল্ড পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারনা দেয়ার পাশাপাশি বাই বা সেল করার চমৎকার সিগন্যাল দেয়। এটা সাধারণত বৃত্তাকার ট্রেন্ড নির্ণয় করতে সহায়তা করে। কীভাবে সিসিআই গননা করবেন? এটা মূলত প্রাইসের মুভিং এভারেজ এবং এভারেজের ডেভিয়েশন এর উপর ভিত্তি করে নির্ণয় করা হয়। সিসিআই ক্যালকুলেশন করার ফর্মুলাঃ সিসিআই ইন্ডিকেটরের কি কাজে লাগে? ট্রেডাররা মূলত তিনটি জিনিস বোঝার জন্য সিসিআই ব্যবহার করে থাকেন। এগুলো হলঃ ১. প্রাইস রিভার্স বা প্রাইসের বিপরীতমুখী গতির পয়েন্ট ২. প্রাইস এক্সট্রিম বা প্রাইসের সর্বচ্চ টপ-ডাউন পজিশন ৩. ট্রেন্ড স্ট্রেন্থ বা ট্রেন্ডের গতির শক্তিমত্তা তবে অন্যান্য ইন্ডিকেটরের মত সিসিআই ব্যাবহার করার পাশাপাশি অন্যান্য ইন্ডিকেটর দেখে নিলে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে। সিসিআই কে মোমেমটাম ইন্ডিকেটর, ভলিউম ইন্ডিকেটর ও প্রাইস ইন্ডিকেটর তিন ক্যাটাগরিতেই ফেলা যায়। ওভারবথ বা ওভারসোল্ড অবস্থা থেকে প্রাইস ট্রেন্ডের ডাইভারজেন্স হিসেব করার জন্য এটা খুব কাজে দেয়। এদিক থেকে সিসিআই ইন্ডিকেটর বোলিঙ্গার ব্যান্ড এর সাথে অনেকটা মেলে। সিসিআই থেকে কীভাবে সিগন্যাল পাওয়া যায়? নিচের চিত্রটি লক্ষ করুনঃ উপরের চিত্রে মাঝখানের জিরো লাইনটি হচ্ছে সিসিআই এর মূল লাইন। সিসিয়াই সাধারণত এই জিরো লাইনের উপরে বা নিচে ওঠানামা করে। এটা যখন +১০০ বা -১০০ এর মধ্যে থাকে তখন তাকে নরমাল বলা যায়। কিন্তু +১০০ এর উপরে উঠে গেলে বা -১০০ এর নিচে নেমে গেলে কি হবে? উপরের চিত্রটি আর একবার দেখুন। +১০০ এর উপরে চলে গেলে তাকে বলা যায় ওভারবথ এবং -১০০ এর ইচে নেমে গেলে তাকে বলা যায় ওভারসল্ড। কীভাবে সিসিআই দেখে বাই বা সেল করার সিগন্যাল বুঝব? সিসিআই থেকে বাই বা সেল করার অপরচুনিটি খুব সহজেই বুঝা যায়। প্রায় ৭০ থেকে ৮০ ভাগ সময় সিসিআই +১০০ থেকে -১০০ রেঞ্জের মধ্যে থাকে। মাত্র ২০ থেকে ৩০ ভাগ সময় বাই বা সেল করার সিগন্যাল পাওয়া যায়। উপরের চিত্রটি খেয়াল করুন। সিসিআই +১০০ এর উপরে গেলে বুঝতে হবে মার্কেটে দারুন আপ ট্রেন্ড চলছে, এটা বাই করার সিগন্যাল। কিন্তু সিসিআই যদি +১০০ এর ভেতরে চলে আসে তখন পজিশন চেঞ্জ করা ভাল। আবার সিসিআই -১০০ এর নিচে চলে গেলে বুঝা যায় ডাউনট্রেন্ড চলছে, সেল করার পাওয়া যাচ্ছে। আবার -১০০ এর রেঞ্জের ভেতর চলে গেলে পজিশন চেঞ্জ করা উচিৎ। সিসিআই ইন্ডিকেটরের কার্যকারিতা কি? সিসিআই এর কার্যকারিতা বোঝার জন্য নিচের চিত্রটি দেখতে পারেন। আশাকরি পরিস্কার ধারনা হবে। তারপরও বুঝতে সমস্যা হলে একটু কমেন্ট করে বলবেন। পোস্টটি পূর্বে প্রকাশিত হয়েছিল এখানেঃ সিসিআই ইন্ডিকেটর এছাড়া যেকোনো সাহায্যের জন্য bdforexpro তে আমার এই থ্রেডে প্রশ্ন করতে পারেনঃ ভাল থাকুন সবাই, হ্যাপি ট্রেডিং!