Search the Community
Showing results for tags 'pivot point trade'.
-
পিভট পয়েন্ট বিস্তারিত। ফরেক্স ট্রেডাররা ট্রেড এ যে সকল সূচক/ইন্ডিকেটর ব্যবহার করে থাকে পিভট পয়েন্ট সে রকমই একটি সাধারন সুচক/ইন্ডিকেটর। পিভট পয়েন্ট এ জন্যই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর মাধ্যমে মার্কেটের সাপোর্ট রেসিস্টেন্স খুব সহজে বের করে সফল ট্রেডে এন্ট্রি, স্টপ লস ও টেক প্রফিট দেওয়া যায়। তবে শর্ট টাইম ট্রেডাররা স্বল্প টাইম ফ্রেমে পিভট পয়েন্টের মাধ্যমে ট্রেড করার ফলে খুব কম সময়ই সফলতা পান, কারণ দুর্বল মুবমেন্টের সময় হঠাত করে মার্কেট একটু চাঙ্গা হয়ে আবার আগের যায়গায় ফিরে আসে এতে করে বেশীরভাগ সময় স্বল্প টাইম ফ্রেম এর ট্রেডারের স্টপ লস হিট করে থাকে। তাই আমি মনে করি পিভট পয়েন্ট ব্যবহারের মাধ্যমে লাভ করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই লং টাইম ফ্রেম(৪ঘন্টা/ডেইলি) ব্যবহার করতে হবে তবে ডেইলি ট্রেডার হলে এতে অধিক সুফল পাওয়া যায়। কিছু কিছু ব্রোকার তাদের প্লাটফর্মে পিভট পয়েন্ট অটোমেটিক ক্যালকুলেট/হিসেব করার জন্য প্রয়োজনীয় টুলস দিয়ে থাকেন আর ইন্টারনেটের জগতে এগুলো এখন অনেকেই ফ্রী-তে দিচ্ছে। তবে কোনো টুলস ছাড়া কিভাবে পিভট পয়েন্ট বের করবেন আজকে আপনাদেরকে তাই শিখাবো। এতে আপনাদেরকে হয়তো কাগজ-কলম আর একটি ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে হবে। পিভট পয়েন্ট ক্যালকুলেট/বের করার জন্য বিগত(গতকাল) ট্রেডিং দিনের তিনটি তথ্য ব্যবহার করতে হয়, তা হলঃ সরবোচ্চ মূল্য – High Price. সর্বনিম্ন মূল্য - Low Price. ক্লোজিং মূল্য - Close Price. সঠিকভাবে পিভট পয়েন্ট বের করার জন্য উপরের এই তিনটি তথ্য অত্যাবশ্যকীয় এর একটিও যদি ব্যতিক্রম হয় তাহলে আপনার ক্যালকুলেশন পুরোটাই ভুল হয়ে যাবে। এ কথা সত্যি যে, সরবোচ্চ, সর্বনিম্ন ও ক্লোজিং মূল্য বের করার জন্য আপনাকে বিগত ট্রেডিং দিনের ক্যান্ডেলস্টিক চার্টে যেতে হবে। অনেক ট্রেডারই কম টাইম ফ্রেমে যেমনঃ ১৫মিনিট, ৩০মিনিট ও ১ঘন্টার টাইম ফ্রেমে পিভট পয়েন্ট ব্যবহার করে থাকেন। পিভট পয়েন্টের মাধ্যমে মার্কেট বিপরীত দিকে বা তার ডিরেকশান পরিবর্তন করলে তার পূর্বাভাস পাওয়া যায়। পিভট পয়েন্টের মাধ্যমে বেশীরভাগ ট্রেডাররা তাদের ট্রেডের সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। এটা সত্যি যে, পিভট পয়েন্টের ভবিষ্যৎ বাণী সব সময় সঠিক না ও হতে পারে, তবে পিভট পয়েন্ট আপনার ট্রেড এন্ট্রি, স্টপ লস ও টেক প্রফিট এর ক্ষেত্রে আপনাকে ভাল আইডিয়া দিতে পারে। পিভট পয়েন্ট ক্যালকুলেট করার জন্য নিচের পদ্ধতি অনুস্মরণ করুনঃ পিভট পয়েন্ট = (গতকালের হাই প্রাইচ + গতকালের ক্লোজিং প্রাইচ + গতকালের লো প্রাইচ) / ৩ (ভাগ তিন)। রেসিস্টেন্স ১ = (পিভট পয়েন্ট * ২) – গতকালের লো প্রাইচ। সাপোর্ট ১ = (পিভট পয়েন্ট *২) – গতকালের হাই প্রাইচ। রেসিস্টেন্স ২ = পিভট পয়েন্ট + (গতকালের হাই প্রাইচ - গতকালের লো প্রাইচ)। সাপোর্ট ২ = পিভট পয়েন্ট - (গতকালের হাই প্রাইচ - গতকালের লো প্রাইচ)। উপরের ক্যালকুলেশনটির পিভট পয়েন্ট, সাপোর্ট ও রেসিস্টেন্স দৈনিক চার্টে দৈনিক ক্যান্ডেলে ক্যালকুলেট করা হল। উপরে আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে, সুন্দর একটি চিত্রের মাধ্যমে পিভট পয়েন্ট, সাপোর্ট ও রেসিস্টেন্স দেখানো হল। আপনি যদি এভাবে পিভট পয়েন্টেসহ সাপোর্ট ও রেসিস্টেন্সসমুহ ক্যালকুলেশন করে বের করেন তাহলে মার্কেট মুবমেন্টের সাথে সাথে আপনি লাভবান ট্রেডে এন্ট্রি করতে সক্ষম হবেন। সুতারাং আজ থেকে ট্রেড করার পূর্বে কাগজ-কলমে আপনার ট্রেডিং পেয়ারের পিভট পয়েন্ট ও সাপোর্ট রেসিস্টেন্সসমুহ লিখে নিন, তাহলে ট্রেড এ সফল ৮০% - ৯৫% সফল হবেন। ধন্যবাদ।
-
- How Do Pivot Points Work
- pivot point calculator
- (and 5 more)