Jump to content

Mhafiz™

Moderators
  • Posts

    755
  • Joined

  • Last visited

  • Days Won

    444

Reputation Activity

  1. Like
    Mhafiz™ got a reaction from Md Ahsan Ullah in ভালো ট্রেডার হওয়ার ১২ টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস   
    ১। বেসিক থেকে শুরু করুন।
    খুব সহজে বলতে হয় যে একজন ট্রেডার হতে হলে প্রথমে আপনাকে ফরেক্স মারকেট বেসিক টার্মগুলো জানতে হবে। রেগুলার অর্থাৎ ডেইলি বেসিসে আপনি আস্তে আস্তে বিষয় গুলো শিখবেন কোন রকম তাড়াহুড়ো ছাড়া। একদিনে একসাথে সব গুলো বিষয় শিখে বিশাল জ্ঞানী হওয়ার চিন্তা বাদ দিন। সময় নিন , খুব বেশি এক্সসাইটেড হবেন না।

    ২। দ্রুত লাভ করার চিন্তা ত্যাগ করুন, অভিজ্ঞতা তৈরি করে আস্তে আস্তে লাভ করতে শিখুন।
    আপনি যদি ভেবে থাকেন যে ফরেক্স হল শর্টকাটে এবং কম সময়ে ধনী হওয়ার একমাত্র পথ তাহলে আপনি ভুল করছেন। প্রথমে বিষয়টা ভালো ভাবে আয়ত্তে আনুন অভিজ্ঞতা অর্জন করুন। শুধু মাত্র ফরেক্স নয় যেকোন ক্যারিয়ারে আপনি যত সময় ব্যয় করবেন আপনি তত বেশি লাভবান হবেন। আপনার বন্ধু যে সময়ে ১০০ পিপস অর্জন করে ঠিক একই সময়ে আপনি মাত্র কয়েক পিপস মেইক করেন, পার্থক্যটা কি? পার্থক্যটা হল অভিজ্ঞতা ! আপনার বন্ধু গত ৫ বছর ধরে ট্রেড করে আর আপনি সেই কয়েকদিন হল শুরু করেছেন।
    মনে রাখবেন ফরেক্স হল একটি ক্যারিয়ার , রাতারাতি বড়লোক হওয়ার কোন স্কিম নয়।

    ৩। এক্সপার্ট হউন।
    শিখার শুরুতে অনেকে প্রথমেই খুজে বেড়ান এক্সপার্টদের, ভাবেন একজন এক্সপার্ট এর ছায়া পেলে বুঝি অল্প সময়ে আপনিও এক্সপার্ট হয়ে উঠবেন, বিষয়টা পুরোপুরি অস্বীকার করছি না। তবে এক্সপার্ট হওয়ার সুপ্ত বাসনায় আপনার এক্সপার্ট হওয়ার পথে একধাপ। দিনে দিনে আপনার স্বাভাবিক শিখার ফলাফলই হচ্ছে এক্সপার্ট এর আরেক রুপ। কারন অভিজ্ঞতার আলোকেই এক্সপার্ট হওয়া যায় তাই নিজ অভিজ্ঞতা গুনে আপনার স্বপ্ন সফল করুন। এক্সপার্ট এর অভিজ্ঞতা তার সম্পূর্ণ নিজের আপনি যতক্ষণ পর্যন্ত নিজে ঐ পথ পাড়ি দিবেন না ততক্ষণ পর্যন্ত তা কেবল আপনার স্বপ্নই থেকে যাবে।

    ৪। নিজের এনালাইসিস ব্যাবহার করুন।
    অন্ধের মত আরেকজনকে ফলো করা আপনাকে অন্ধই করে তুলবে। আপনার লক্ষ্য হল একজন সফল ট্রেডার হওয়া তাই এনালাইসিস মেথডগুলো ভালো ভাবে রপ্ত করে নিজেই নিজের ট্রেড এনালাইসিস করুন। নিজের আনালাইসিসে ট্রেড করতে সমর্থ হলে আপনার এনালাইসিসই আপনাকে প্রফেশনাল ট্রেডার করে তুলবে। স্ব – ঘোষিত কোন গুরুকে অন্ধের মত ফলো করলে গুরু যখন তার টিপস প্রদান বন্ধ করে দিবে তখন আপনি কিভাবে ট্রেড করবেন। তাই নিজেই নিজের গুরু হুউন।

    ৫। ডেমো
    সব কথার শ্রেষ্ঠ কথা হল ডেমো ট্রেডিং। ডেমো ট্রেডিং আপনাকে আপনার নতুন ট্রেডিং এর ভুল গুলো ধরিয়ে দিবে এবং ট্রেডিং এ খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করতে সাহায্য করবে। ডেমো ট্রেড ভিবিন্ন ব্রোকারের লাইভ ট্রেড থেকে সুপার যেমন ভালো আক্সিকিউশন স্পীড। প্রত্যেক ট্রেডিং মেথড এর টেস্ট হল ডেমো। ডেমো সাকসেস রেইট ভালো হলে তা লাইভ ট্রেডে ব্যাবহার করুন। আপনার যত স্টাইল আছে তা সর্বপ্রথম ডেমোতে ব্যাবহার করুন। যেমন ইচ্ছে ট্রেড গুলো ডেমোতে ফলান। তারপর সিলেক্ট করুন কোন স্ট্রেটিজি গুলো রিয়েল ট্রেডে ব্যবহার করুন।

    ৬। ভুল থেকে শিখুন
    প্রতিবারের টেস্ট ট্রেড গুলোর সাকসেস এবং ফেইলার নোট নিন। পরপর তিনটি ব্যর্থ ট্রেডে কিছু সময়ের জন্য (আরো বেশি হতে পারে) ট্রেড থেকে অবসর নিন। এবং ব্রেকের পরে ঠান্ডা মাথায় আবার সময় দিন। তিনবার লস ট্রেডিং মেথড এ চতুর্থ বারের সাকসেস চিন্তা করে লাইভ করতে জাবেন না। লস ট্রেডগুলো নিয়ে এনালাইসিস শুরু করেন, ভুলটা কোথায় ছিল বা কেনো ঠিক কাজ করেনি। যথাঝথ কারন বের করে ভুল গুলো শুদ্রে পরবর্তী ট্রেডে অগ্রসর হউন।

    ৭। ভালো মেথড তৈরি করুন।
    নতুন বেশিরভাগ ট্রেডাররা প্রথমে লস করে। কারন হল অধিক উত্তেজনা, অতিরিক্ত চাহিদা এবং প্রপার সময়ের আগে ট্রেড করা। তাই বলছি, অধিক পরিমানে উত্তেজিত হয়ে ট্রেড না করে, আগে বিষয়গুলো ভালোভাবে আয়ত্তে আনুন, অভিজ্ঞতা নিন এবং মিনিমাম রিস্কে ট্রেড শুরু করুন। প্রতিবার ট্রেড করার পূর্বে ঠিক করুন এবং চেক করে নিন ট্রেডিং হাতিয়ার(স্ট্রেটিজি) ঠিক আছে কিনা। ট্রেডটি থেকে কত আশা করেন ইত্যাদি সবকিছু।

    ৮। নিজের মেথডে স্ট্রিক থাকুন।
    প্রত্তেক ট্রেডিং মেথডের ভালো এবং খারাপ আছে। কোন ট্রেডিং মেথডই ১০০% প্রফিটেবল নয়। আপনার ট্রেডিং মেথডের ১০টি ট্রেডের মধ্যে ৭টি প্রফিট এবং ৩ টি লস আছে, আপনি সাকসেস। কখনো আপনার ট্রেডিং সাকসেস রেইট আরো কমে জেতে পারে সেই ক্ষেত্রে নিরাশ বা উত্তেজিত না হয়ে মারকেট চেঞ্জ বুঝে স্ট্রেটিজি আপডেট করুন এবং নিজের স্ট্রেটিজিতে স্ট্রিক থাকুন কারন আপনার স্ট্রেটিজি কতটুকু ফলফ্রুস তা কেবল আপনিই জানেন।

    ৯। সবকিছু সহজভাবে চিন্তা করুন।
    আপনার ট্রেডিং কে কোনভাবেই খুব বেশি কঠিন ভাবার কোন কারন নেই। সহজ ভাবে শুরু করুন দেখবেন আসলেই সহজ, মনে অঝথা কোন ভিতি সৃষ্টি দরকার নেই। নিজের সুবিধামত সময় নির্ধারণ করে ট্রেডে সময় দিন। সময় কম দিন কিন্তু তা জেনো ইফেক্টিভ হয়। অর্থাৎ যদি সময় বেশি দিতে না পারেন তাহলে যতটুকু দিবেন তা শুধু ট্রেডিং আর জন্য ব্যায় করুন। নতুন কোন স্ট্রেটিজির সূচনা করতে চাইলে আগে তা সময় নিয়ে সহজভাবে চিন্তা করুন, এনালাইসিস করে ঠিক করুন, ডেমোতে ফলাফল নিশ্চিত হউন। এবং সিদ্ধান্ত নিন।

    ১০। একটি পেয়ারে ট্রেড করুন।
    অনেকগুলো ট্রেড একসঙ্গে শুরু করে নিজের রিস্ক লেভেল এবং মাথায় অতিরিক্ত চাপ নিবেন না। তাই শুধুমাত্র একটি পেয়ার পছন্দ করুন ট্রেডিং আর জন্য। অনেক গুলো কারেন্সিই একসাথে ট্রেডের উপযোগী বলে মনে হতে পারে, কিন্তু ঐ কারেন্সি পেয়ার নিয়ে ট্রেড করুন যার সম্পর্কে আপনার ধারনা ভাল। একসাথে যদি ৪-৫টি পেয়ার নিয়ে ট্রেড করেন তাহলে আপনি ভালভাবে কোন পেয়ারের ক্যারেক্টার বুঝতে পারবেন না। এবং মিসগাইড হয়ে শেষ পর্যন্ত ট্রেড লস করবেন।

    ১১। একটি নির্দিষ্ট টাইমফ্রেমে ট্রেড করুন।
    একটি নির্দিষ্ট টাইমফ্রেমে ট্রেড প্রাকটিস করবেন , কারন সিঙ্গেল টাইমফ্রেমে ট্রেডের অনেকগুলো সুবিধা আছে যেমন, একক টাইমফ্রেমে ট্রেডিং এ আপনি পুরোপুরি মনোযোগ দিতে পারবেন যেখানে অনেকগুলো টাইমফ্রেম আপনাকে কিছুটা হলে কনফিউসড করতে পারে। একটি টাইমফ্রেম আপনাকে এনালাইসিসে ও হেল্প করবে প্রপার ডিসিশন নিতে, কারন একই চার্ট ভিন্ন ভিন্ন টাইমফ্রেমে ভিন্ন ভিন্ন এনালাইসিস আর সূচনা করবে, তাই বিশেষ করে নতুনদের জন্য একটি টাইমফ্রেমে ট্রেডিং খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় ।

    ১২। ট্রেডিং চার্ট পরিষ্কার রাখুন।
    অনেক নতুন ট্রেডাররা মনে করে চার্টে যত বেশি ইনডিকেটর রাখা যায় তত ভালো, আসলে বিষয়টা এমন নয়, চার্টে ২-৩টির বেশি ইন্ডিকেটর রেখে চার্টকে এলোমেলো করে ট্রেডিং করাটা বুদ্ধিমানের কাজ নয় বরং অনেকগুলো ইনডিকেটর আপনাকে মিসগাইড করবে, আপনি ডিসিশন নিতে পারবেন না, তাই ২-৩ টি ইন্ডিকেটর আর ক্যারেক্টার বুঝে অভিজ্ঞতার আলোকে ফাইনাল করুন। মুলত ট্রেডে ইন্ডিকেটর ব্যবহার আপনার জন্য বাধ্যতামূলক নয়, এটা শুধুমাত্র ব্যবহার হয় আপনার ট্রেডিং ডিসিশনকে স্মুথ করার জন্য। কারন অনেক অনেক ট্রেডার আছে যারা কোন ইন্ডিকেটর ব্যবহার না করেই ট্রেডিং সাকসেস রেইট ৮০% এ ট্রেড করছে। আপনাকে বলছি না যে আপনি সব ইন্ডিকেটর রিমুভ করে ট্রেড করুন, ভালো ট্রেডার হতে হলে প্রথম পর্যায়ে আপনাকেও ২-৩টি ইন্ডিকেটর ব্যবহার করতে হবে। ভালো ট্রেডিং আর জন্য সাপোর্ট অ্যান্ড রেসিসটেনস লাইন গুলো ভালোভাবে বুঝুন।
  2. Like
    Mhafiz™ got a reaction from Sapno Bari in বলিঙ্গার বেন্ড (Bollinger Band) A-Z ফরেক্স এক্সপার্ট ট্রেডিং – ( পোস্ট পর্ব - ১ )   
    ফরেক্স ট্রেডিং জগতে টেকনিক্যাল এনালাইসিস টুলস হিসেবে বলিঙ্গার বেন্ড (Bolinger Band) কতটা গুরুত্তপুর্ন এবং জনপ্রিয় একটি ট্রেডিং টুলস তা নতুন করে হয়ত বলার অপেক্ষা রাখে না, তারপরও নতুন ট্রেডারদের উদ্দেশে বলছি এবং যারা জানেন না তাদের বলছি এই টুলসটি যদি আপনি ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় মনে করেন বা এখনো ব্যাবহার না করে থাকেন তাহলে আপনি বলব আপনি আপনার ট্রেডকে এখনো অনেক খানি পিছিয়ে রেখেছেন। আমি বেক্তিগত ভাবে সব সময় এই টুলসটি ব্যাবহার করে থাকি , কারন এই টুলসটির বহুমুখী ব্যাবহার এবং ট্রেডিং স্ট্রেটিজি যা ছাড়া ট্রেডিং অসম্পূর্ণই মনে হয়।
    তাই এইবার এই টুলসটি নিয়ে ধারাবাহিক পোস্ট করবো A-Z ,আশা করি নিয়মিত এই টূলসটির ট্রেডিং স্ট্রেটিজি দিয়ে ট্রেডিং প্রফিট এবং ট্রেডকে অনেক পজেটিভ করে সাফল্যর সাথে ট্রেড পরিচালনা করতে পারবেন। আমি বলিঙ্গার বেন্ড নিয়ে আগে ও অনেক খন্ড খন্ড পোস্ট করেছি তবে এই সিরিজ পোস্টে একদম প্রাইমারি লেভেল থেকে আলোচনা শুরু করে চেষ্টা করবো আপনাদের বলিঙ্গার এক্সপার্ট হিসেবে তৈরি করে দিতে।
     বলিঙ্গার বেন্ড কিঃ
    হল ফরেক্স মার্কেট এর পাশাপাশি যে কোন অর্থ বাজারের জন্য জনপ্রিয় এবং গুরুত্তপুর্ন একটি টেকনিক্যাল এনালাইসিস টুলস।  একটি অর্থ বাজারের প্রাইস ভলাটিলিটি তথা মার্কেট একশন ফোরকাস্ট এর জন্য জন বলিঙ্গার নামক এক ব্যাক্তি ১৯৮০’র দিকে এই টুলস এর সুচনা করেন।
    বলিঙ্গার বেন্ড পরিচিতিঃ

    লক্ষ্য করুন , বলিঙ্গার বেন্ড মার্কেট প্রাইস এর সাথে সম্পর্কিত টানা তিনটি লাইন দ্বারা গঠিত একটি সেট যা মার্কেট ওভারবট/ overbought এবং ওভারসল্ড/ oversold লেভেল নির্ধারণের জনপ্রিয় একটি টূলস। এই ক্ষেত্রে মাঝখানের লাইনটি কে বলা হয় মিডল বলিঙ্গার (middle Bollinger) উপরের লাইনকে আপার(upper Bollinger) বলিঙ্গার এবং নিচের লাইনকে লাওয়ার (lower Bollinger)বলিঙ্গার বলা হয়ে থাকে। মিডল বলিঙ্গার ২০ পিরিয়ড মুভিং এভারেজে দুটি স্ট্যান্ডার্ড ডিভিয়েশনে আপার এবং লাওয়ার বলিঙ্গারকে কেন্দ্র করে ডিফল্টভাবে থাকে।
    মুভিং এভারেজ / Moving Average
    সহজভাবে, নির্দিষ্ট একটি সময়ের একটি কারেন্সির এভারেজ প্রাইস হল মুভিং এভারেজ। যেমন, ১০ দিনের কোন কারন্সির ক্লোজিং প্রাইস কে যদি ১০ দিয়ে ভাগ করেন তাহলে প্রতিদিনের একটি এভারেজ প্রাইস পেয়ে যাবেন এটাই হল সিম্পল মুভিং এভারেজ SMA. মুভিং এভারেজ প্রয়োজন হয় সঠিক এবং স্বচ্ছভাবে কোন একটি কারেন্সির সঠিক প্রাইস নির্ধারণ করে ঐ কারেন্সির ট্রেন্ড বুঝতে পারা।
    স্ট্যান্ডার্ড ডিভিয়েশন/Standard deviation:
    হল একটি পরিসংখ্যান পরিমাপের মাধ্যমে মার্কেট প্রাইস ভলাটিলিটির ভালো একটি প্রতিফলন তথা মার্কেট বিহেবিয়ার অথবা মার্কেট ইন্টারেস্ট বের করার একটি পদ্ধতি।
    বলিঙ্গার বেন্ডের ধারাবাহিক এই আলোচনায় বলিঙ্গার বেন্ড দিয়ে কমন এবং সহজ স্ট্রেটিজি থেকে শুরু করে আস্তে আস্তে এডভান্স বলিঙ্গার স্ট্রেজির দিকে এগুবো। তাই বিডিফরেক্সপো’র সঙ্ঘেই থাকুন এবং হয়ে উঠুন একজন ফরেক্স বলিঙ্গার এক্সপার্ট।
    নিয়মিত আলোচনার মধ্যে কোন কিছু না বুঝলে মন্তব্যের মাধ্যমে জানান,  চেষ্টা করবো পরিষ্কারভাবে বুঝিতে দিতে। খুব সিগ্রই পরবর্তী পর্ব নিয়ে হাজির হব।
    ধন্যবাদ;
  3. Like
    Mhafiz™ got a reaction from sadwaves in নিয়ে নিন কার্যকারী কিছু মডিফাইড ইন্ডিকেটর - ট্রেড করুন মজা করে   
    ফরেক্স ট্রেডিং এ মুলত ভালো ট্রেড করতে হলে সব রকম স্ট্রেটিজি জানা থাকা আবশ্যক, যে যত বেশি টেকনিক নিয়ে ট্রেড করতে পারবে তার ট্রেড তত বেশি পজেটিভ এবং প্রফিটেবল হবে তা আমরা সবাই কম-বেশি জানি, ফান্ডামেন্টাল এবং টেকনিক্যাল এনালাইসিস এবং টুলস এর ব্যাবহার ব্যাপক ভালো ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে। তাই টুলস ট্রেডিং ও একেবারে বাদ দেওয়া যাবে না। মেটা ট্রেডারে আছে ডিফল্ট ভাবে অনেক ইন্ডিকেটর যার ব্যাবহার অনেক গুরুত্তপুর্ন তেমনি ভাবে নিয়মিত ভাবে তৈরি হচ্ছে অনেক কাস্টম টুলস ইন্ডিকেটর যেগুলোর সঠিক ব্যাবহার ও অনেক ভালো ট্রেড করতে সহায়তা করে থাকে, তেমনি আজ ৫ টি ইন্ডিকেটর এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেব আপনাদের। যেগুলো ট্রেড কে আরো সুন্দর এবং প্রফিটেবল করতে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে অনেক সাহায্য করবে আশা করছি।
    Center of Gravity

     center-of-gravity-modified.rar
    MACD - Pattern

     macd-pattern-signals.rar
    Parabolic With Alert

     parabolic-sar-color-with-alert.rar
    Directional Breakout

     directional-breakout-indicator.rar
    Zwinner Trend

     zwinner-trend-indicator.rar
    মেটাট্রেডার এর ইন্ডিকেটর সেটিং এ Allow DLL Imports এবং Allow external experts imports অপশন দুটি একটিভ রাখবেন।
  4. Like
    Mhafiz™ got a reaction from ekhra in EUR/USD বর্তমান সংকট নিরসন এবং পরবর্তী সম্ভব্য ট্রেডিং লাইন;   
    ১৯টি দেশের একক কারেন্সি হওয়াই EUR/USD বিশ্বের বহুল জনপ্রিয় একটি ট্রেডিং কারেন্সি। দীর্ঘদিনের ইউরো ঋণ সংকটের কারনে ইউরো জোনের বেশ কিছু মাথাউঁচু দেশ যেমন গ্রিস, পর্তুগাল, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, এবং স্পেন হেলে পড়েছিল এই ক্রাইসিস কোনভাবেই ইউরো’র পিছু ছাড়ছিল না। অবশেষে ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংক এবং প্রেসিডেন্ট মারিও Draghi এর নেতৃত্বের সঙ্কটে পড়া দেশ গুলোর একটি যুগান্তকারি পদক্ষেপ মানিটারি ইউনিয়ন এর সাথে সংযুক্ত হওয়ায় আবার যেন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে যার ফলাফল সরুপ গত সম্পুর্ন জুলাই মাস ধরে EUR ক্রমাগতিক ঊর্ধ্বগতি তা বলে দেয়।
    বর্তমানে জার্মানির অতিরিক্ত ট্রেডিং উৎসই বলে দেয় যে গোটা EUR এখন আর্থিক শক্তিশালী ; বর্তমানে যেহেতু নতুন কোন অবশিষ্টতা নেই তাই EUR ট্রেডিং আর অন্তপ্রবাহ বলে যে সাধারন কারেন্সির ঊর্ধ্বগতি এখন তুঙ্গে।
    ব্রেক্সিট এর পরে সমস্ত ইউরোপিয়ন এর মধ্য একটি ভয় কাজ করছিল যে পরবর্তীতে না জানি অন্য কোন দেশ জোন থেকে বের হয়ে যায়, এক দিকে ফ্রান্স অন্য দিকে ECB বন্ড ক্রয় থেকে সরে এসেছিল , সব মিলিয়ে কঠিন হুমকির মুখে ছিল গোটা ইউরোপিয়ান জোন, এতো কিছুর পর ও ইউরো যে তার হারানো অবস্থান ফেরাতে সক্ষম হয়েছে তার জোর করে বলার সময় এখনো হয়নি;  
    যাহোক এই পর্বে দেখা আসা যাক টেকনিকেল এনালাইসিস Pathway তে আগামি এক সপ্তাহের  EUR/USD সম্ভব্য টেডিং লাইন ;

    Weekly Closing Price: 1.1749
    Weekly Resistance: 1.1759
    EUR/USD 0.63% পজেটিভ পয়েন্টে ইউরো’র জন্য একটি সফল উইক ছিল; যা এই কারেন্সির জন্য সফলতম তৃতীয় সপ্তাহ; ২০+ দিনের ক্রমাগতিক উর্ধগতি কারেন্সিটি বর্তমান রেসিস্টেন্স ১.১৭৫৯ এ নিয়ে আসে; ক্রমাগত এই রেসিস্টেন্স এর ব্রেকিং EUR/USD কে  ১.২০ তে নিয়ে যাওয়ার সংকেত দেয়।
    আর কারেক্টিভ ওয়ে উক্ত কারেন্সিকে ১.১৫৫০-৮০ পর্যন্ত একটা মাইনর রিভার্স  এর সম্ভাবনা তৈরি করে;  
    তাই এই কারেন্সিতে ট্রেডারদের জন্য সাজেশন হল এই মুহুরতে বড় কোন সিদ্ধান্তে না যাওয়া, EUR/USD  একটা এক্সেসিভ রিভার্স পর্যন্ত চিন্তাভাবনা ঢালটা মুজবুত রাখবেন;
    Happy Trading ---- 
  5. Like
    Mhafiz™ got a reaction from রাসেল আলম মোল্লা in ভালো ট্রেডার হওয়ার ১২ টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস   
    ১। বেসিক থেকে শুরু করুন।
    খুব সহজে বলতে হয় যে একজন ট্রেডার হতে হলে প্রথমে আপনাকে ফরেক্স মারকেট বেসিক টার্মগুলো জানতে হবে। রেগুলার অর্থাৎ ডেইলি বেসিসে আপনি আস্তে আস্তে বিষয় গুলো শিখবেন কোন রকম তাড়াহুড়ো ছাড়া। একদিনে একসাথে সব গুলো বিষয় শিখে বিশাল জ্ঞানী হওয়ার চিন্তা বাদ দিন। সময় নিন , খুব বেশি এক্সসাইটেড হবেন না।

    ২। দ্রুত লাভ করার চিন্তা ত্যাগ করুন, অভিজ্ঞতা তৈরি করে আস্তে আস্তে লাভ করতে শিখুন।
    আপনি যদি ভেবে থাকেন যে ফরেক্স হল শর্টকাটে এবং কম সময়ে ধনী হওয়ার একমাত্র পথ তাহলে আপনি ভুল করছেন। প্রথমে বিষয়টা ভালো ভাবে আয়ত্তে আনুন অভিজ্ঞতা অর্জন করুন। শুধু মাত্র ফরেক্স নয় যেকোন ক্যারিয়ারে আপনি যত সময় ব্যয় করবেন আপনি তত বেশি লাভবান হবেন। আপনার বন্ধু যে সময়ে ১০০ পিপস অর্জন করে ঠিক একই সময়ে আপনি মাত্র কয়েক পিপস মেইক করেন, পার্থক্যটা কি? পার্থক্যটা হল অভিজ্ঞতা ! আপনার বন্ধু গত ৫ বছর ধরে ট্রেড করে আর আপনি সেই কয়েকদিন হল শুরু করেছেন।
    মনে রাখবেন ফরেক্স হল একটি ক্যারিয়ার , রাতারাতি বড়লোক হওয়ার কোন স্কিম নয়।

    ৩। এক্সপার্ট হউন।
    শিখার শুরুতে অনেকে প্রথমেই খুজে বেড়ান এক্সপার্টদের, ভাবেন একজন এক্সপার্ট এর ছায়া পেলে বুঝি অল্প সময়ে আপনিও এক্সপার্ট হয়ে উঠবেন, বিষয়টা পুরোপুরি অস্বীকার করছি না। তবে এক্সপার্ট হওয়ার সুপ্ত বাসনায় আপনার এক্সপার্ট হওয়ার পথে একধাপ। দিনে দিনে আপনার স্বাভাবিক শিখার ফলাফলই হচ্ছে এক্সপার্ট এর আরেক রুপ। কারন অভিজ্ঞতার আলোকেই এক্সপার্ট হওয়া যায় তাই নিজ অভিজ্ঞতা গুনে আপনার স্বপ্ন সফল করুন। এক্সপার্ট এর অভিজ্ঞতা তার সম্পূর্ণ নিজের আপনি যতক্ষণ পর্যন্ত নিজে ঐ পথ পাড়ি দিবেন না ততক্ষণ পর্যন্ত তা কেবল আপনার স্বপ্নই থেকে যাবে।

    ৪। নিজের এনালাইসিস ব্যাবহার করুন।
    অন্ধের মত আরেকজনকে ফলো করা আপনাকে অন্ধই করে তুলবে। আপনার লক্ষ্য হল একজন সফল ট্রেডার হওয়া তাই এনালাইসিস মেথডগুলো ভালো ভাবে রপ্ত করে নিজেই নিজের ট্রেড এনালাইসিস করুন। নিজের আনালাইসিসে ট্রেড করতে সমর্থ হলে আপনার এনালাইসিসই আপনাকে প্রফেশনাল ট্রেডার করে তুলবে। স্ব – ঘোষিত কোন গুরুকে অন্ধের মত ফলো করলে গুরু যখন তার টিপস প্রদান বন্ধ করে দিবে তখন আপনি কিভাবে ট্রেড করবেন। তাই নিজেই নিজের গুরু হুউন।

    ৫। ডেমো
    সব কথার শ্রেষ্ঠ কথা হল ডেমো ট্রেডিং। ডেমো ট্রেডিং আপনাকে আপনার নতুন ট্রেডিং এর ভুল গুলো ধরিয়ে দিবে এবং ট্রেডিং এ খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করতে সাহায্য করবে। ডেমো ট্রেড ভিবিন্ন ব্রোকারের লাইভ ট্রেড থেকে সুপার যেমন ভালো আক্সিকিউশন স্পীড। প্রত্যেক ট্রেডিং মেথড এর টেস্ট হল ডেমো। ডেমো সাকসেস রেইট ভালো হলে তা লাইভ ট্রেডে ব্যাবহার করুন। আপনার যত স্টাইল আছে তা সর্বপ্রথম ডেমোতে ব্যাবহার করুন। যেমন ইচ্ছে ট্রেড গুলো ডেমোতে ফলান। তারপর সিলেক্ট করুন কোন স্ট্রেটিজি গুলো রিয়েল ট্রেডে ব্যবহার করুন।

    ৬। ভুল থেকে শিখুন
    প্রতিবারের টেস্ট ট্রেড গুলোর সাকসেস এবং ফেইলার নোট নিন। পরপর তিনটি ব্যর্থ ট্রেডে কিছু সময়ের জন্য (আরো বেশি হতে পারে) ট্রেড থেকে অবসর নিন। এবং ব্রেকের পরে ঠান্ডা মাথায় আবার সময় দিন। তিনবার লস ট্রেডিং মেথড এ চতুর্থ বারের সাকসেস চিন্তা করে লাইভ করতে জাবেন না। লস ট্রেডগুলো নিয়ে এনালাইসিস শুরু করেন, ভুলটা কোথায় ছিল বা কেনো ঠিক কাজ করেনি। যথাঝথ কারন বের করে ভুল গুলো শুদ্রে পরবর্তী ট্রেডে অগ্রসর হউন।

    ৭। ভালো মেথড তৈরি করুন।
    নতুন বেশিরভাগ ট্রেডাররা প্রথমে লস করে। কারন হল অধিক উত্তেজনা, অতিরিক্ত চাহিদা এবং প্রপার সময়ের আগে ট্রেড করা। তাই বলছি, অধিক পরিমানে উত্তেজিত হয়ে ট্রেড না করে, আগে বিষয়গুলো ভালোভাবে আয়ত্তে আনুন, অভিজ্ঞতা নিন এবং মিনিমাম রিস্কে ট্রেড শুরু করুন। প্রতিবার ট্রেড করার পূর্বে ঠিক করুন এবং চেক করে নিন ট্রেডিং হাতিয়ার(স্ট্রেটিজি) ঠিক আছে কিনা। ট্রেডটি থেকে কত আশা করেন ইত্যাদি সবকিছু।

    ৮। নিজের মেথডে স্ট্রিক থাকুন।
    প্রত্তেক ট্রেডিং মেথডের ভালো এবং খারাপ আছে। কোন ট্রেডিং মেথডই ১০০% প্রফিটেবল নয়। আপনার ট্রেডিং মেথডের ১০টি ট্রেডের মধ্যে ৭টি প্রফিট এবং ৩ টি লস আছে, আপনি সাকসেস। কখনো আপনার ট্রেডিং সাকসেস রেইট আরো কমে জেতে পারে সেই ক্ষেত্রে নিরাশ বা উত্তেজিত না হয়ে মারকেট চেঞ্জ বুঝে স্ট্রেটিজি আপডেট করুন এবং নিজের স্ট্রেটিজিতে স্ট্রিক থাকুন কারন আপনার স্ট্রেটিজি কতটুকু ফলফ্রুস তা কেবল আপনিই জানেন।

    ৯। সবকিছু সহজভাবে চিন্তা করুন।
    আপনার ট্রেডিং কে কোনভাবেই খুব বেশি কঠিন ভাবার কোন কারন নেই। সহজ ভাবে শুরু করুন দেখবেন আসলেই সহজ, মনে অঝথা কোন ভিতি সৃষ্টি দরকার নেই। নিজের সুবিধামত সময় নির্ধারণ করে ট্রেডে সময় দিন। সময় কম দিন কিন্তু তা জেনো ইফেক্টিভ হয়। অর্থাৎ যদি সময় বেশি দিতে না পারেন তাহলে যতটুকু দিবেন তা শুধু ট্রেডিং আর জন্য ব্যায় করুন। নতুন কোন স্ট্রেটিজির সূচনা করতে চাইলে আগে তা সময় নিয়ে সহজভাবে চিন্তা করুন, এনালাইসিস করে ঠিক করুন, ডেমোতে ফলাফল নিশ্চিত হউন। এবং সিদ্ধান্ত নিন।

    ১০। একটি পেয়ারে ট্রেড করুন।
    অনেকগুলো ট্রেড একসঙ্গে শুরু করে নিজের রিস্ক লেভেল এবং মাথায় অতিরিক্ত চাপ নিবেন না। তাই শুধুমাত্র একটি পেয়ার পছন্দ করুন ট্রেডিং আর জন্য। অনেক গুলো কারেন্সিই একসাথে ট্রেডের উপযোগী বলে মনে হতে পারে, কিন্তু ঐ কারেন্সি পেয়ার নিয়ে ট্রেড করুন যার সম্পর্কে আপনার ধারনা ভাল। একসাথে যদি ৪-৫টি পেয়ার নিয়ে ট্রেড করেন তাহলে আপনি ভালভাবে কোন পেয়ারের ক্যারেক্টার বুঝতে পারবেন না। এবং মিসগাইড হয়ে শেষ পর্যন্ত ট্রেড লস করবেন।

    ১১। একটি নির্দিষ্ট টাইমফ্রেমে ট্রেড করুন।
    একটি নির্দিষ্ট টাইমফ্রেমে ট্রেড প্রাকটিস করবেন , কারন সিঙ্গেল টাইমফ্রেমে ট্রেডের অনেকগুলো সুবিধা আছে যেমন, একক টাইমফ্রেমে ট্রেডিং এ আপনি পুরোপুরি মনোযোগ দিতে পারবেন যেখানে অনেকগুলো টাইমফ্রেম আপনাকে কিছুটা হলে কনফিউসড করতে পারে। একটি টাইমফ্রেম আপনাকে এনালাইসিসে ও হেল্প করবে প্রপার ডিসিশন নিতে, কারন একই চার্ট ভিন্ন ভিন্ন টাইমফ্রেমে ভিন্ন ভিন্ন এনালাইসিস আর সূচনা করবে, তাই বিশেষ করে নতুনদের জন্য একটি টাইমফ্রেমে ট্রেডিং খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় ।

    ১২। ট্রেডিং চার্ট পরিষ্কার রাখুন।
    অনেক নতুন ট্রেডাররা মনে করে চার্টে যত বেশি ইনডিকেটর রাখা যায় তত ভালো, আসলে বিষয়টা এমন নয়, চার্টে ২-৩টির বেশি ইন্ডিকেটর রেখে চার্টকে এলোমেলো করে ট্রেডিং করাটা বুদ্ধিমানের কাজ নয় বরং অনেকগুলো ইনডিকেটর আপনাকে মিসগাইড করবে, আপনি ডিসিশন নিতে পারবেন না, তাই ২-৩ টি ইন্ডিকেটর আর ক্যারেক্টার বুঝে অভিজ্ঞতার আলোকে ফাইনাল করুন। মুলত ট্রেডে ইন্ডিকেটর ব্যবহার আপনার জন্য বাধ্যতামূলক নয়, এটা শুধুমাত্র ব্যবহার হয় আপনার ট্রেডিং ডিসিশনকে স্মুথ করার জন্য। কারন অনেক অনেক ট্রেডার আছে যারা কোন ইন্ডিকেটর ব্যবহার না করেই ট্রেডিং সাকসেস রেইট ৮০% এ ট্রেড করছে। আপনাকে বলছি না যে আপনি সব ইন্ডিকেটর রিমুভ করে ট্রেড করুন, ভালো ট্রেডার হতে হলে প্রথম পর্যায়ে আপনাকেও ২-৩টি ইন্ডিকেটর ব্যবহার করতে হবে। ভালো ট্রেডিং আর জন্য সাপোর্ট অ্যান্ড রেসিসটেনস লাইন গুলো ভালোভাবে বুঝুন।
  6. Like
    Mhafiz™ got a reaction from sharifulhaque in ভালো ট্রেডার হওয়ার ১২ টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস   
    ১। বেসিক থেকে শুরু করুন।
    খুব সহজে বলতে হয় যে একজন ট্রেডার হতে হলে প্রথমে আপনাকে ফরেক্স মারকেট বেসিক টার্মগুলো জানতে হবে। রেগুলার অর্থাৎ ডেইলি বেসিসে আপনি আস্তে আস্তে বিষয় গুলো শিখবেন কোন রকম তাড়াহুড়ো ছাড়া। একদিনে একসাথে সব গুলো বিষয় শিখে বিশাল জ্ঞানী হওয়ার চিন্তা বাদ দিন। সময় নিন , খুব বেশি এক্সসাইটেড হবেন না।

    ২। দ্রুত লাভ করার চিন্তা ত্যাগ করুন, অভিজ্ঞতা তৈরি করে আস্তে আস্তে লাভ করতে শিখুন।
    আপনি যদি ভেবে থাকেন যে ফরেক্স হল শর্টকাটে এবং কম সময়ে ধনী হওয়ার একমাত্র পথ তাহলে আপনি ভুল করছেন। প্রথমে বিষয়টা ভালো ভাবে আয়ত্তে আনুন অভিজ্ঞতা অর্জন করুন। শুধু মাত্র ফরেক্স নয় যেকোন ক্যারিয়ারে আপনি যত সময় ব্যয় করবেন আপনি তত বেশি লাভবান হবেন। আপনার বন্ধু যে সময়ে ১০০ পিপস অর্জন করে ঠিক একই সময়ে আপনি মাত্র কয়েক পিপস মেইক করেন, পার্থক্যটা কি? পার্থক্যটা হল অভিজ্ঞতা ! আপনার বন্ধু গত ৫ বছর ধরে ট্রেড করে আর আপনি সেই কয়েকদিন হল শুরু করেছেন।
    মনে রাখবেন ফরেক্স হল একটি ক্যারিয়ার , রাতারাতি বড়লোক হওয়ার কোন স্কিম নয়।

    ৩। এক্সপার্ট হউন।
    শিখার শুরুতে অনেকে প্রথমেই খুজে বেড়ান এক্সপার্টদের, ভাবেন একজন এক্সপার্ট এর ছায়া পেলে বুঝি অল্প সময়ে আপনিও এক্সপার্ট হয়ে উঠবেন, বিষয়টা পুরোপুরি অস্বীকার করছি না। তবে এক্সপার্ট হওয়ার সুপ্ত বাসনায় আপনার এক্সপার্ট হওয়ার পথে একধাপ। দিনে দিনে আপনার স্বাভাবিক শিখার ফলাফলই হচ্ছে এক্সপার্ট এর আরেক রুপ। কারন অভিজ্ঞতার আলোকেই এক্সপার্ট হওয়া যায় তাই নিজ অভিজ্ঞতা গুনে আপনার স্বপ্ন সফল করুন। এক্সপার্ট এর অভিজ্ঞতা তার সম্পূর্ণ নিজের আপনি যতক্ষণ পর্যন্ত নিজে ঐ পথ পাড়ি দিবেন না ততক্ষণ পর্যন্ত তা কেবল আপনার স্বপ্নই থেকে যাবে।

    ৪। নিজের এনালাইসিস ব্যাবহার করুন।
    অন্ধের মত আরেকজনকে ফলো করা আপনাকে অন্ধই করে তুলবে। আপনার লক্ষ্য হল একজন সফল ট্রেডার হওয়া তাই এনালাইসিস মেথডগুলো ভালো ভাবে রপ্ত করে নিজেই নিজের ট্রেড এনালাইসিস করুন। নিজের আনালাইসিসে ট্রেড করতে সমর্থ হলে আপনার এনালাইসিসই আপনাকে প্রফেশনাল ট্রেডার করে তুলবে। স্ব – ঘোষিত কোন গুরুকে অন্ধের মত ফলো করলে গুরু যখন তার টিপস প্রদান বন্ধ করে দিবে তখন আপনি কিভাবে ট্রেড করবেন। তাই নিজেই নিজের গুরু হুউন।

    ৫। ডেমো
    সব কথার শ্রেষ্ঠ কথা হল ডেমো ট্রেডিং। ডেমো ট্রেডিং আপনাকে আপনার নতুন ট্রেডিং এর ভুল গুলো ধরিয়ে দিবে এবং ট্রেডিং এ খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করতে সাহায্য করবে। ডেমো ট্রেড ভিবিন্ন ব্রোকারের লাইভ ট্রেড থেকে সুপার যেমন ভালো আক্সিকিউশন স্পীড। প্রত্যেক ট্রেডিং মেথড এর টেস্ট হল ডেমো। ডেমো সাকসেস রেইট ভালো হলে তা লাইভ ট্রেডে ব্যাবহার করুন। আপনার যত স্টাইল আছে তা সর্বপ্রথম ডেমোতে ব্যাবহার করুন। যেমন ইচ্ছে ট্রেড গুলো ডেমোতে ফলান। তারপর সিলেক্ট করুন কোন স্ট্রেটিজি গুলো রিয়েল ট্রেডে ব্যবহার করুন।

    ৬। ভুল থেকে শিখুন
    প্রতিবারের টেস্ট ট্রেড গুলোর সাকসেস এবং ফেইলার নোট নিন। পরপর তিনটি ব্যর্থ ট্রেডে কিছু সময়ের জন্য (আরো বেশি হতে পারে) ট্রেড থেকে অবসর নিন। এবং ব্রেকের পরে ঠান্ডা মাথায় আবার সময় দিন। তিনবার লস ট্রেডিং মেথড এ চতুর্থ বারের সাকসেস চিন্তা করে লাইভ করতে জাবেন না। লস ট্রেডগুলো নিয়ে এনালাইসিস শুরু করেন, ভুলটা কোথায় ছিল বা কেনো ঠিক কাজ করেনি। যথাঝথ কারন বের করে ভুল গুলো শুদ্রে পরবর্তী ট্রেডে অগ্রসর হউন।

    ৭। ভালো মেথড তৈরি করুন।
    নতুন বেশিরভাগ ট্রেডাররা প্রথমে লস করে। কারন হল অধিক উত্তেজনা, অতিরিক্ত চাহিদা এবং প্রপার সময়ের আগে ট্রেড করা। তাই বলছি, অধিক পরিমানে উত্তেজিত হয়ে ট্রেড না করে, আগে বিষয়গুলো ভালোভাবে আয়ত্তে আনুন, অভিজ্ঞতা নিন এবং মিনিমাম রিস্কে ট্রেড শুরু করুন। প্রতিবার ট্রেড করার পূর্বে ঠিক করুন এবং চেক করে নিন ট্রেডিং হাতিয়ার(স্ট্রেটিজি) ঠিক আছে কিনা। ট্রেডটি থেকে কত আশা করেন ইত্যাদি সবকিছু।

    ৮। নিজের মেথডে স্ট্রিক থাকুন।
    প্রত্তেক ট্রেডিং মেথডের ভালো এবং খারাপ আছে। কোন ট্রেডিং মেথডই ১০০% প্রফিটেবল নয়। আপনার ট্রেডিং মেথডের ১০টি ট্রেডের মধ্যে ৭টি প্রফিট এবং ৩ টি লস আছে, আপনি সাকসেস। কখনো আপনার ট্রেডিং সাকসেস রেইট আরো কমে জেতে পারে সেই ক্ষেত্রে নিরাশ বা উত্তেজিত না হয়ে মারকেট চেঞ্জ বুঝে স্ট্রেটিজি আপডেট করুন এবং নিজের স্ট্রেটিজিতে স্ট্রিক থাকুন কারন আপনার স্ট্রেটিজি কতটুকু ফলফ্রুস তা কেবল আপনিই জানেন।

    ৯। সবকিছু সহজভাবে চিন্তা করুন।
    আপনার ট্রেডিং কে কোনভাবেই খুব বেশি কঠিন ভাবার কোন কারন নেই। সহজ ভাবে শুরু করুন দেখবেন আসলেই সহজ, মনে অঝথা কোন ভিতি সৃষ্টি দরকার নেই। নিজের সুবিধামত সময় নির্ধারণ করে ট্রেডে সময় দিন। সময় কম দিন কিন্তু তা জেনো ইফেক্টিভ হয়। অর্থাৎ যদি সময় বেশি দিতে না পারেন তাহলে যতটুকু দিবেন তা শুধু ট্রেডিং আর জন্য ব্যায় করুন। নতুন কোন স্ট্রেটিজির সূচনা করতে চাইলে আগে তা সময় নিয়ে সহজভাবে চিন্তা করুন, এনালাইসিস করে ঠিক করুন, ডেমোতে ফলাফল নিশ্চিত হউন। এবং সিদ্ধান্ত নিন।

    ১০। একটি পেয়ারে ট্রেড করুন।
    অনেকগুলো ট্রেড একসঙ্গে শুরু করে নিজের রিস্ক লেভেল এবং মাথায় অতিরিক্ত চাপ নিবেন না। তাই শুধুমাত্র একটি পেয়ার পছন্দ করুন ট্রেডিং আর জন্য। অনেক গুলো কারেন্সিই একসাথে ট্রেডের উপযোগী বলে মনে হতে পারে, কিন্তু ঐ কারেন্সি পেয়ার নিয়ে ট্রেড করুন যার সম্পর্কে আপনার ধারনা ভাল। একসাথে যদি ৪-৫টি পেয়ার নিয়ে ট্রেড করেন তাহলে আপনি ভালভাবে কোন পেয়ারের ক্যারেক্টার বুঝতে পারবেন না। এবং মিসগাইড হয়ে শেষ পর্যন্ত ট্রেড লস করবেন।

    ১১। একটি নির্দিষ্ট টাইমফ্রেমে ট্রেড করুন।
    একটি নির্দিষ্ট টাইমফ্রেমে ট্রেড প্রাকটিস করবেন , কারন সিঙ্গেল টাইমফ্রেমে ট্রেডের অনেকগুলো সুবিধা আছে যেমন, একক টাইমফ্রেমে ট্রেডিং এ আপনি পুরোপুরি মনোযোগ দিতে পারবেন যেখানে অনেকগুলো টাইমফ্রেম আপনাকে কিছুটা হলে কনফিউসড করতে পারে। একটি টাইমফ্রেম আপনাকে এনালাইসিসে ও হেল্প করবে প্রপার ডিসিশন নিতে, কারন একই চার্ট ভিন্ন ভিন্ন টাইমফ্রেমে ভিন্ন ভিন্ন এনালাইসিস আর সূচনা করবে, তাই বিশেষ করে নতুনদের জন্য একটি টাইমফ্রেমে ট্রেডিং খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় ।

    ১২। ট্রেডিং চার্ট পরিষ্কার রাখুন।
    অনেক নতুন ট্রেডাররা মনে করে চার্টে যত বেশি ইনডিকেটর রাখা যায় তত ভালো, আসলে বিষয়টা এমন নয়, চার্টে ২-৩টির বেশি ইন্ডিকেটর রেখে চার্টকে এলোমেলো করে ট্রেডিং করাটা বুদ্ধিমানের কাজ নয় বরং অনেকগুলো ইনডিকেটর আপনাকে মিসগাইড করবে, আপনি ডিসিশন নিতে পারবেন না, তাই ২-৩ টি ইন্ডিকেটর আর ক্যারেক্টার বুঝে অভিজ্ঞতার আলোকে ফাইনাল করুন। মুলত ট্রেডে ইন্ডিকেটর ব্যবহার আপনার জন্য বাধ্যতামূলক নয়, এটা শুধুমাত্র ব্যবহার হয় আপনার ট্রেডিং ডিসিশনকে স্মুথ করার জন্য। কারন অনেক অনেক ট্রেডার আছে যারা কোন ইন্ডিকেটর ব্যবহার না করেই ট্রেডিং সাকসেস রেইট ৮০% এ ট্রেড করছে। আপনাকে বলছি না যে আপনি সব ইন্ডিকেটর রিমুভ করে ট্রেড করুন, ভালো ট্রেডার হতে হলে প্রথম পর্যায়ে আপনাকেও ২-৩টি ইন্ডিকেটর ব্যবহার করতে হবে। ভালো ট্রেডিং আর জন্য সাপোর্ট অ্যান্ড রেসিসটেনস লাইন গুলো ভালোভাবে বুঝুন।
  7. Like
    Mhafiz™ got a reaction from sadwaves in ফরেক্স কারেন্সি ইনডেক্স কি, কিভাবে ও কেন ব্যাবহার করবেন !   
    কারেন্সি ইনডেক্স কিঃ
    একটি দেশের মুদ্রার বিপরীতে সর্বচ্চ পরিমানে অন্যান্য দেশের মুদ্রার যে ট্রেডিং ভলিয়ম কিংবা ট্রেডিং ওয়েট ভেলু তাই হল একটি কারেন্সির ইনডেক্স। যা ১৯৭৩ সাল থেকে অফিশিয়ালি ফরেক্স বেস কারেন্সির কে টার্গেট করে হিসাব করা হয়ে থাকে। তাই সবচেয়ে হায়েস্ট বেস কারেন্সি হল USD যার ইনডেক্সিং হিসার বের করতে পারলে অনন্যা কারেন্সির দোর পরিমাপ পারবেন। তাই আজকের কারেন্সি ইনডেক্স আলোচনায় ইনডেক্স কারেন্সি হল USD অর্থাৎ USD ইনডেক্স USDX.
    ৬ টি মুল কারেন্সি কে ধরে মোট ২২ টি দেশের কারেন্সির USD এর বিপরীতে ট্রেডিং ভেলু কে নিয়ে USDX হিসাব করা হয়।
     
    কারেন্সি গুলো হলঃ
    Euro (EUR) Yen (JPY) Pound (GBP) Canadian dollar (CAD) Krona (SEK) Franc (CHF) এখন প্রশ্ন হল ৬টি কারেন্সিতে ২২ টি দেশের অন্তর্ভুক্তি কিভাবে? হ্যাঁ, বলছি আমারা জানি ইউরোপিয়ান জোনের মোট দেশ ১৭ টি যাদের সবার একক কারেন্সি হল EUR এবং জাপান, ব্রিটেন, কানাডা, সুইডেন এবং সুইজারল্যান্ড এর একক কারেন্সির বিপরীতে USD এর ট্রেন্ডিং ভেলু আছে বলে এই ২২ টি দেশের মুল কারেন্সিকে ধরে USD ইনডেক্স করা করা হয়। সহজ কথা হল ভিবিন্ন কারেন্সির বিপরিতে USD এর দোড় কতটুকু তাই বের করার একটি উপায় যাকে Indexing বলা হয়ে থাকে, যেহেতু USD এর ইনডেক্স বের করব তাই একে বলা হয় USDX.
     
    USDX কারেন্সি কান্ট্রিঃ
    আসুন এইবার জেনে নেই USDX এর জন্য কোন কোন কারেন্সি বেশি পরিমানে জড়িত অর্থাৎ কোন কারেন্সির কতভাগ ট্রেডিং এর জন্য USDX হয়। নিচের চিত্রটি লক্ষ্য করুনঃ
     

    চিত্রমতে EUR একটি বিরাট অংশ USDX এর জন্য। দ্বিতীয় স্থানে আছে জাপান তারপর আছে গ্রেট ব্রিটেন এইভাবে দেশ ভিত্তিক কারেন্সির একটি রেশিও দেখতে পাচ্ছেন, অর্থাৎ USD কারেন্সি ট্রেডিং এর ৫০% এর ও বেশি ট্রেডিং হয় EUR’র বিপরীতে। চার্টের বাইরে বাকি ৩০% ট্রেড হয় অনন্য কারেন্সির সাথে। USDX ডলার এর জন্য EUR’র ভুমিকা সবচেয়ে বেশি এবং EUR’র কারনে USD বেশি প্রভাবিত হয়। তাই USDX কে "Anti-Euro Index" বলা হয়। USDX যে কিন্তু ফরেক্স মার্কেটে হিসাব করা হয় তা কিন্তু নয় বরং বড়বড় যেসব আর্থিক সংগঠন আছে তারা নিজেদের প্রয়োজনে তাদের ট্রেড বা ইকোনমি ব্যালেন্স করার জন্য USDX হিসাব করে থাকে। যেহেতু USDX একটি গ্লোবাল কনসেপ্ট তাই মোটামুটি অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এই ফর্মুলা ব্যাবহার করে তাদের ইকোনমি ঠিক রাখার জন্য বা সেই অনুযায়ী ব্যবসা ধরে রাখার জন্য। সেই রকম একটি প্রতিষ্ঠান হল Federal Reserve. USDX হিসার করার জন্য তারা "trade-weighted U.S. dollar index" নামে হিসাব করে থাকে। আশা করি USDX সম্পর্কে একটি ভালো ধারণা পেয়ে গেছেন।
     
    USDX Formula:
     
    USDX = EUR * 0.576 x JPY * 0.136 x GBP * 0.119 x CAD * 0.091 x SEK * 0.042 x CHF * 0.036
    · যখন USDX নামতে শুরু করে তারমানে হল এক্সচেঞ্জ ট্রেডাররা USD সেল করে দিচ্ছে · বিপরীতভাবে USDX যখন উঠতে শুরু করে তখন এক্সচেঞ্জ ট্রেডাররা USD বায় করতে শুরু করে। কিভাবে USDX চার্ট পড়বেনঃ
     
    USDX চার্ট অনন্য কারেন্সি চার্ট এর মত এক প্রকার চার্ট যার Index প্রতিদিন এবং সাপ্তাহিক ভিত্তিতে হিসাব করা হয়। এই ক্ষেত্রে INDEX General ভেলু 100.00 কে Base ধরে হিসাব করা হয়ে থাকে। যেমনঃ যখন USDX উপরের দিকে যায় তখন USD ভেলু বাড়ে। যদি USDX 110 হয় তখন USD ভেলু বাড়ে 10%. আবার যখন USDX কমে 90 হয় তখন USD ভেলু কমে 10%. মনে রাখবেন যেহেতু আমরা USDX নিয়ে কথা বলছি তাই এর প্রতিফলন কিন্তু USD কারেন্সিকে ঘিরে হবে, যার কারনে জখনি USDX বাড়ছে বা কমছে তার প্রতিফলন কিন্তু আমার USD কারেন্সিতেই দেখছি। এখন পর্যন্ত USDX লেভেল সর্বচ্চ 160 এবং সর্বনিম্ন 78 পর্যন্ত পোঁছছে।
     

     
    কেন ব্যাবহার করবেনঃ
    আগেই বলেছি USD ইনডেক্স এর মাধ্যমে অনন্য কারেন্সির সাথে USD এর ট্রেডিং ওয়েট মাপা যায়। যেহেতু অনেকগুলো কারেন্সির Combination ই হল USDX. তাই USDX এর মাধ্যমে ঐসব কারেন্সির Forecast ও করা সম্ভব। USDX চার্ট এর শক্তিশালি বা দুর্বল আচরণ এর প্রভাব অনন্য কারেন্সির Forecast এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। আমরা যেভাবে Support and Resistance, Candlestick pattern , technical analysis বা আরো বিভিন্ন স্ট্রেটিজি ব্যাবহার করি ট্রেন্ড লাইন তথা প্রাইস ফোরকাস্ট এর ক্ষেত্রে, তেমনি USDX এর প্রভাব বা এই চার্ট এর ফ্লো’ মাধ্যমেও ওই সব কারেন্সির ট্রেন্ডিং ট্রেন্ড বুঝতে পারা যায়।
     
    কিভাবে ব্যাবহার করবেনঃ যেহেতু USDX এর ইনডেক্স চার্ট হয় EUR/USD,GBP/USD, USD/CHF,USD/JPY, USD/CAD এর সাথে ট্রেডিং ভলিয়ম ভিত্তিতে। USD এর বিপরিতে এই সব কারেন্সি এর ট্রেডিং স্ট্রেন্থ হল USDX. তাই লক্ষ্য করবেন যখন EUR/USD দৈনিক চার্টে ট্রেন্ড ডাউন থাকে তখন USDX চার্টে ট্রেন্ড বিপরীত থাকে।
     

    এইবার দেখুন EUR/USD Daily Chart
     

    উপরের দুটি চার্টকে বিবেচনা করলে দেখবেন একটু আরেকটির মোটামুটি বিপরীত। কারন আমরা পুরবেই জেনেছি USDX চার্ট এর মুল ট্রেডেড কারেন্সি হল EUR তাই এই কারেন্সিই বেশী হিট করে USDX চার্টকে। এইভাবে দেশ ভিত্তিক এবং তাদের কারেন্সির সাথে USD এর ট্রেডেড ভলিয়ম অনুযায়ী চার্ট গুলোর পরবর্তী মুভমেন্ট আন্দাজ করা হয়ে থাকে।
     
    এই বিষয়টা পরিষ্কার করতে আলোচনা করতে হবে কারেন্সি কো-রিলেশন নিয়ে। এবং USDX এর সাথে অনন্য কারেন্সির সমন্বয় পূর্বক তাদের Forecast পাওয়ার জন্য ভিবিন্ন Currency Strength Indicator ব্যাবহার করা হয়ে থাকে। কারন্সি কো-রিলেশন বুঝলে ম্যাজিক পেয়ে যাবেন কিভাবে USDX এর একটি চার্টের বিপরীতে ৪-৫ টা কারন্সি চার্ট বিপরীত ট্রেন্ড তৈরি করে। আজ USDX সম্পর্কে চেষ্টা করেছি একটা ভালো ধারনা দেওয়ার জন্য। আগামিতে কারন্সি কো-রিলেশন সম্পর্কে বৃহৎ আলোচনা করব।
    -------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
     
    USDX চার্ট আপনি আপনার Meta Trader এ দেখতে পারবেন, সেই ক্ষেত্রে আপনাকে দুটি ইন্ডিকেটর ব্যাবহার করতে হবে।
    প্রথমে ইনডিকেটর গুলো ডাউনলোড করে নিনঃ USDX.zip
     
    ১. আপনার Meta trader\experts\indicators এ কপি করে নিন।
    ২. এইবার Meta Trader ওপেন করে EUR/USD চার্টে Create$$USDX ইনডিকেটরটি এনে Input variable থেকে যে টাইম ফ্রেমে USDX চার্ট দেখতে চান সেই টাইমফ্রেম ভেলু দিয়ে দিন, 15M, 30M, 45M 1H ইচ্ছে মত।
    ৩. File মেনু থেকে Open offline এ গিয়ে আপনার বানানো চার্টটি নিয়ে আসুন। (মুলত offline chart লিখা থাকলে ও এটা কিন্তু live চার্ট)
    -----------------------------
    ধন্যবাদ।
  8. Like
    Mhafiz™ got a reaction from mdabu in ৪ ধরণের ইনডিকেটর প্রত্যেক ট্রেডারের অবশ্যই জানা উচিৎ !   
    ১ # ট্রেন্ড পর্যবেক্ষণ ইন্ডিকেটরঃ
    ফরেক্স ট্রেড ওপেন করার পূর্বে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আপনি সঠিক ট্রেন্ডে আছেন কিনা তা নিশ্চিত হওয়া। অনেকে আমরা ট্রেড ওপেন করার পরে অনুভব করি যে আমার ট্রেডটি মনে হয় পজেটিভ ট্রেন্ডে নাই কিন্তু ততক্ষনে আর কিছু করার থাকে না। এই ক্ষেত্রে আপনি সিম্পল মুভিং এভারেজ এর ক্রসওভার দিয়ে প্রাথমিক ভাবে ট্রেন্ডটি নিশ্চিত হতে পারেন। আপনার ট্রেডের সময়সীমা অনুসারে আপনি নির্দিষ্ট SMA তে দেখে নিন যে বর্তমান ট্রেন্ডটি এখন কোথায় আছে সেই অনুসারে অর্ডার করুন।



    ক্রসওভারে ট্রেন্ড কনফার্ম এর উপায় হল Short SMA যদি Long SMA কে নিচ দিয়ে ক্রস করে তাহলে ডাউনট্রেন্ড এবং Short SMA যদি Long SMA কে উপর দিয়ে ক্রস করে তাহলে আপট্রেন্ড।

    ২# ট্রেন্ড কনফার্ম ইন্ডিকেটরঃ
    প্রাথমিকভাবে ট্রেন্ড দেখে নেওয়ার পরে কাজ হচ্ছে ট্রেন্ডটি সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত হওয়া। SMA দিয়ে আপনি যে ট্রেন্ডটি চিন্তা করেছেন এখন সময় হল তা নিশ্চিত হওয়া। একটি কথা মনে রাখবেন ১০০% নিশ্চিত ট্রেন্ড আপনি কখনোই কোন ইন্ডিকেটরে পাবেন না, হ্যাঁ তবে আমরা যেসব স্ট্রেটিজি দেখবো সেগুলোতে আপনার প্রাকটিস আপনাকে সঠিক ট্রেন্ডটি ধরতে অনেক সাহায্য করবে। ট্রেন্ড কনফার্ম এর জন্য শক্তিশালী একটু টুল হচ্ছে MACD. MACD এর ডাইভারজন্সে সেল ট্রেন্ড এবং কনভারজন্সে বায় ট্রেন্ড কে শক্তিশালি ধরে ট্রেন্ড নিশ্চিত হউন। (MACD বোঝার জন্য আমার পড়ে নিতে পারেন।)

    ৩# ওভারবট এবং ওভারসল্ড ইন্ডিকেটরঃ
    বায় কিংবা সেল যে ট্রেডে থাকেন না কেন যখন মার্কেট কিছুদুর ট্রেন্ডে থাকার পর একটু ব্যাকে যায় এবং তা পরবর্তীতে পুল করবে কিনা এই ধরণের সংশয় দেখা দেয় ট্রেডের মাঝখানে, সেই ক্ষেত্রে দরকার হয় অতিরিক্ত বায় বা অতিরিক্তও সেল ইনডিকেটর এর মাধ্যমে বর্তমান ট্রেন্ডটির প্রতি অবিচল থাকা। তেমনি একটি ইন্ডিকেটর হল Relative Strength Index (RSI). ট্রেন্ড অনুযায়ী ট্রেড চালিয়ে জাওয়ার জন্য এই ইনডিকেটরটির কিছু বাহাদুরি আছে।



    ছবিটি খেয়াল করুন আপনার ট্রেন্ড এখন কোন পজিশনে আছে, বুঝতে পারবেন।

    ৪# প্রফিট ইনডিকেটরঃ
    শেষ এই টুলটি আসলে নতুন কিছু নয় যা আপনার লাগবে প্রফিট নিয়ে মার্কেট থেকে বের হয়ে যেতে। এই ক্ষেত্রে আপনি RSI ও ব্যাবহার করতে পারেন। ৮০ লেভেল এর উপরে গিয়ে থাকলে আপনি তখনকার মত বায় থেকে বের হয়ে যেতে পারেন আবার ২০ লেভেল এর নিচে গেলে সেল থেকে বের হয়ে যেতে পারেন। অন্যভাবে বলিঞ্জার বেন্ড দিয়ে ও তা করতে পারেন, আপনার বায় ট্রেডে বলিঞ্জার সেল ব্রেকআউটে ট্রেড থেকে বের হতে পারেন আবার সেল ট্রেডে বলিঞ্জার বায় ব্রেকআউটে ট্রেড থেকে বের হতে পারেন।
  9. Like
    Mhafiz™ got a reaction from sadwaves in প্রফেশনাল কিছু ট্রেডিং কৌট – জানলে এগিয়ে যাবেন, না জানলে হয়ত অনেক কিছুই হারাবেন !   
    বিশ্বজুড়ে ফলপ্রস এবং নন্দিত বিভিন্ন পেশার মধ্যে ফরেক্স ট্রেডিং অন্যতম। কিন্তু এটা হতে পারে সবচেয়ে কঠিন এবং হতাশাবেঞ্জক ব্যবসা যদি আপনি সঠিকভাবে করতে না পারেন। ভালো ট্রেডের জন্য স্টেটিজিকেল, এনালিটিকেল এবং সেলফ কন্ট্রোল কিছু বিষয় লুকিয়ে থাকে সব সময়। কোন ট্রেডারই চালিকা শক্তি কখনো এক রকম থাকে না যা ট্রেডার টু ট্রেডার এবং টাইম টু টাইম ভিন্ন রকম হবে এটাই একজন মানুষের স্বাভাবিক কথন; আর এই রকম ভারসাম্য হীনতার কারনে কখনো  কখনো ট্রেডের প্রতি মনোযোগ কিংবা দৃষ্টি ক্ষীণ হয় লস হয় ট্রেডিং এ। তখন প্রয়োজন হয় কিছু আশার বানী এককথায় দরকার হয় নতুন স্টেমিনা। হাঁ আজ শেয়ার করছি এমন কিছু প্রফেশনাল ট্রেডার বেক্তির এমন কথা কৌট, উক্তি যা সত্যি আপানকে আপনার ট্রেডিং এ নতুন প্রান ফিরিয়ে দিতে পারে। এবং তৈরি করতে পারে আগের চেয়ে অনেক উদ্দামি এবং সফল ট্রেডার।
     
    হাঁ, Peter Lynch এর উক্তিটি সবচেয়ে সবার আগে গুরুত্তপুর্ন মনে করছি , কারন এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে পৃথিবীর যত বড় ট্রেডারই হউক না কেন যার সব গুলো ট্রেড কখনো পজেটিভ হয় না। বরং ৬০% সফল ট্রেডই হল পজেটিভ ট্রেড। আপনার আরো বিভিন্ন রকম ট্রেডিং স্ট্রেটিজি, মানি ম্যানেজমেন্ট সহ সব কিছু মিলিয়ে আপানার সফলতার ভাগ আরো বাড়িয়ে দিতে পারে।
     
    Warren Buffett এর উক্তিটি অবশ্যই ইনভেস্টমেন্ট সম্পর্কে যা আপনি আপনার ট্রেডিং এ চিন্তা করতে পারেন। উক্তিটি মানি এবং রিস্ক ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে করা হয়েছে। একজন ট্রেডার হিসেবে আপনার মাসের কিংবা বছরের ট্রেডিং সফলতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে যদি আপনি সামান্য একটি ট্রেডে অনেক বেশি রিস্ক নিয়ে নেন। এবং সত্যি কথা বলতে এই কাজটি অনেক ট্রেডার হামেশা করে থাকেন। আপনি ভালো ট্রেড করেন, সুন্দর নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই আপনার ট্রেড এগিয়ে চলছে , কোন এক সময় আপনার সেই সময় আসে যখন আপনি একটি ট্রেড সেটআপ খবুই ডেম সিউর হয়ে যান এবং বাড়িয়ে ফেলেন ট্রেডিং রিস্ক দ্বিগুণ – তিনগুনের ও বেশি।  আর যখন সেটআপটা ফেইল হয় তখন হারিয়ে ফেলেন এতো দিনের এতো অর্জন। তাই এমনটি কখনো করবেন না। সব সময় আপনার ট্রেডকে রিস্ক ফ্রী রাখুন।

    Robert Arnott - এর খুব সহজ এই কথাটির উপর যদি আমল করতে পারেন, অর্থাৎ আপনার ইনভেস্টমেন্টে যা আপনার জন্য সাবলীল আরামদায়ক তাই অসধারণ ভাবে আপনার জন্য লাভজনক ! উক্তিটিতে সাবলীল বা আরামদায়ক বলতে সঠিক ট্রেডকে বোঝানে হয়নি। বরং ট্রেডিং এর জন্য আপনার হাতিয়ার তথা স্ট্রেটিজি চার্ট বোঝা পড়া কতটূকু আপনার অনুকুলে ছিল তাই বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ একটি ট্রেড ওপেন করার আগে ঠিক আপনি কতটুকু ভালো ভাবে কমফোর্টলি এনালাইসিস করতে পেরে ট্রেডটি ওপেন করেছেন। আপনার একজন বন্ধুকে বললেন বা সিনিয়র কারো কাছে জিজ্ঞেস করে অন্ধের মত একটি ট্রেড ওপেন করে ফেললেন তাই যেন না হয়।
     
    উক্তিটি একটু গভীরভাবে অনুধাবন না করলে হয়ত এর অর্থটাই পাল্টে যেতে পারে। কারন অনেক ট্রেডের বিশেষ করে নতুনদের মাঝে থেকে একটি প্রশ্ন সব সময় শুনতে পাওয়া যায় ট্রেডিং এ সফলতা কিভাবে আসবে? সত্যি যদি ট্রেডিং এ সফলতা আনতে চান তাহলে আগে একজন ভালো ট্রেডার হয়ে উঠুন , টাকা কে দ্বিতীয় অপশনে রাখুন। অবশ্যই আপনার টাকার দরকার আছে তাছাড়া টাকা অর্জনের জন্যই তো ট্রেডিং করছেন। তাই না ! তবে সেই জন্য প্রথমে টাকার পেছনে না ছুটে বরং আগে মার্কেট বুঝুন , ট্রেডিং প্রসেস জানুন, বুলিশ এবং বেয়ারিশ যুদ্ধটা বুঝুন।
     
    বলছেন টাকা ইনকাম করার আগে আপনার যা আছে তার সুরক্ষা নিশ্চিত করেন। কারন সফল ট্রেডিং এর বড়  এবং অন্যতম চাবিকাঠি  হল মুলধনের সুরক্ষা; কারন আপনি তখনি প্রফিট এর কথা চিন্তা করতে পারেন যদি আপনার মুলধন ঠিক থাকে। 
  10. Like
    Mhafiz™ got a reaction from সোনি in ট্রেডিং সিস্টেম ডিভলপমেন্ট - আপনার ট্রেডটি হউক সঠিক নিয়মে !   
    ট্রেডিং স্টাইলঃ
    ফরেক্স মার্কেটে ট্রেডিং অনেক কঠিন আপনার জন্য যদি আপনার শক্তিশালী কোন ট্রেডিং ফর্মুলা বা ডিসিপ্লিন না থাকে, তাই স্ট্রেটিজি বা টেকনিক যতয় আপনি ভালো জানেন না কেন, একটি প্রপার ট্রেডিং সিস্টেম না জেনে ট্রেড করলে কখনো একজন সফল ট্রেডার হতে পারবেন না। মনে রাখবেন ফরেক্স থেকে আনলিমিটেড ইনকাম করা যায় এটা সত্যি কিন্তু আপনার কাছে যদি সঠিক রসায়ন না থাকে তাহলে এই কথা আপনার জন্য মিথ্যা। অনেক ট্রেডার আছে যারা কয়েকটি টেকনিক শিখে বা না শিখে অন্ধাকারে কয়েকটি ঢিল কারেক্ট করে আর মনে করে সে বুঝি ফরেক্স বুঝে গিয়েছে। কিন্তু একজন ভালো ট্রেডার কখনো এমন মন্ত্রে চলে না, একজন ভালো ট্রেডার শিখতে অনেক সময় নেয় এবং তার ফলাফল লাভ করে সারাজীবন। তাই আপনারদের বলছি, তারাহুড়া না করে আগে সব গুলো বিষয় একটু সময় নিয়ে ভালো ভাবে আয়ত্ত করুন তারপর দেখুন আপনি সবচেয়ে ভালো করছেন।
    যাহোক কথা অনেক হল এখন আসি মূল আলোচনায়। আপনি কিভাবে বুঝবেন যে সিস্টেমে আপনি ট্রেড করছেন সেটি সঠিক ? নিচে কিছু পয়েন্ট দিলাম সেগুলোর সাথে আপনার ট্রেডিং
    সিস্টেম মিলিয়ে নিন। এবং আপনার ট্রেডিং স্টাইলটি নির্বাচন করুন।
     
    ফরেক্স টাইম ফ্রেম ট্রেডিং:
    অনেক ট্রেডাররা ট্রেডিং টাইমফ্রেম না বুঝে ট্রেড করার কারনে ট্রেডে লস করে। নতুন ট্রেডাররা অনেক বেশি উত্তেজিত হয়ে কম সময়ে লাভ করতে গিয়ে ভুল টাইম ফ্রেমে ট্রেড করে যা তাদের ট্রেডিং স্টেটিজির সাথে সামঞ্জস্য নয়। এবং শেষে বিপল হয়ে আস্থা হারিয়ে ফেলে। কারন ভিন্ন ভিন্ন টাইমফ্রেমে মার্কেট চার্ট ভিন্ন ভিন্ন ট্রেন্ড নির্দেশ করে, যেমন আপনি যদি ৫ মিনিটের চার্ট দেখেন হয়ত মার্কেট তখন আপ ট্রেন্ড নির্দেশ করছে আবার একই চার্ট যদি ১ ঘন্টার ফ্রেমে দেখেন তখন হয়ত এভারেজ ট্রেন্ড সেল ও হতে পারে, তাই অর্ডার এর পূর্বে আপনাকে অবশ্যই আপনার সাথে সামঞ্জস্য টাইমফ্রেমে ট্রেডে ঢুকতে হবে। তবে ফরেক্স মার্কেটে নিশ্চিতভাবে সময় কখনও মেলাতে পারবেন না। আপনাকে টাইম সিলেক্ট করতে হবে আপনার স্ট্রেটিজি এবং টার্গেট এর উপর ভিত্তি করে। মোটামুটি ৩ ধরণের টাইমফ্রেমে আপনার টার্গেট সেট করতে পারেন।
     
    ইনট্রাডে টাইমফ্রেম – ১-১৫ মিনিট
    শর্ট টাইমফ্রেম – ১-৪ ঘন্টা
    লং টাইমফ্রেম – ১ দিন বা তার বেশি
     
    ১। শর্ট টাইম ট্রেডিং: এই পদ্ধতিতে আপনি দু’ধরনের ট্রেড করতে পারেন
    • স্কেলপিং
    • ডে-ট্রেডিং
     
    ২। লং টাইম ট্রেডিং: এই পদ্ধতিতেও আপনি দু’ধরনের ট্রেড করতে পারেন
    • সুয়িং ট্রেডিং
    • পজিশন ট্রেডিং
     

    শর্ট টাইম ট্রেডিং- স্কেলপিং:
     
    এই ধরণের ট্রেডিং এ খুব সংক্ষিপ্ত সময়ে আপনাকে ট্রেডে ঢুকতে হবে এবং ট্রেড থেকে বের হতে হবে যা কয়েক সেকেন্ডও হতে পারে। যেহেতু খুব স্বল্প সময়ের ট্রেড তাই আপনাকে প্রচুর ট্রেড করতে হবে যার পরিমান দৈনিক ১০০ হতে পারে। প্রতি ট্রেডে খুব সিমিত প্রফিট করবেন যেমন ৩-৫ পিপস। ১ মিনিটের চার্টের উপর ভিত্তি করে একটি গতিশীল মার্কেট ট্রেন্ডে এই ট্রেড করবেন।
     
    স্কেলপিং ট্রেডের সুবিধাঃ
    • সামান্য রিস্কে ট্রেড ।
    • হাই সিস্টেম একুরিসি।
    • ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিসের প্রয়োজন নাই।
    • হঠাত মার্কেটে পরিবর্তনেও রিস্ক থাকে না।
    • প্রতিদিন অনেক বার এই সুবিধা পাওয়া যায়।
     
    স্কেলপিং ট্রেডের অসুবিধাঃ
    • এই ট্রেডে প্রচুন্ড মানসিক অস্থিরতা কাজ করবে
    • ফাস্ট অর্ডার এক্সিকিউশন ব্রোকার হতে হবে।
    • ট্রান্সজেশন কস্ট অনেক বেশি দিতে হবে। (যদি দৈনিক ২০টা ট্রেড করেন ৬০পিপস স্প্রেড দিতে হবে)।
     
    শর্ট টাইম ডে-ট্রেডিং:
    এই ধরণের ট্রেড কয়েক মিনিট থেকে শুরু করে সারাদিন ব্যাপী হতে পারে। ট্রেডারদের এই সকল ট্রেডে ঢুকতে খুবই ডিসিপ্লিন এবং ধরজের সাথে মার্কেট ট্রেন্ডের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এই ক্ষেত্রে বেশিরভাগ ট্রেডাররা টেকনিক্যাল স্ট্রেটিজি ফলো করেন। এই সিস্টেমে দৈনিক ট্রেডের সংখ্যা ১-৫টিহয়। ডে-ট্রেডিং ট্রেডের জন্য ৫-৩০ মিনিটের চার্টে ট্রেড করা উত্তম।
     
    ডে-ট্রেডের সুবিধাঃ
    • অতি মাত্রায় ইনকাম করা যায়।
    • স্বল্পমেয়াদী ট্রেন্ডে ট্রেড করতে পারা যায়।
    • মার্কেটে পরিবর্তনেও রিস্ক থাকে না।
    • সব সময় বিকল্প একটি পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়।
     
    ডে-ট্রেডের অসুবিধাঃ
    • একটি সঠিক নিয়ম তান্ত্রিক পদ্ধতিতে ট্রেড করতে হয়।
    • ট্রেডিং আউটপুট পেতে অতিমাত্রায় দরঝ লাগে।
    • ভিন্ন ভিন্ন মার্কেটে ভিন্ন ভিন্ন স্ট্রেটিজি এপ্লাই করতে হয়।
    • প্রতিনিয়ত মার্কেট নিউজ আর সাথে আপডেট থাকতে হয়।
     
    লং টাইম – সুয়িং ট্রেডিং:
    এই প্রকার ট্রেডিং এর মেয়াদ ৩-৫ দিন আর মত হয়। মিডিয়াম টার্ম ট্রেন্ডে এই ট্রেড করার সুবিধা পাওয়া যায় এবং জেকোন সময়ে ট্রেডে ডোকা যায়। দিনে কয়েকবার ট্রেড মনিটর করতে হয় এবং ১-৪ ঘন্টার চার্টে এই ট্রেড করতে হয়। এই ট্রেডের জন্য স্ট্রেটিজি হিসেবে টেকনিক্যাল এনালাইসিসের ডাবল টপ/বটম , ট্রাইয়াঙ্গেল চার্ট প্যাটার্ন বেশি ব্যাবহার হয়।
     
    সুয়িং ট্রেডের সুবিধাঃ
    • এক ট্রেডে অনেক আয় আর সম্ভাবনা থাকে।
    • ডে-ট্রেডিং আর চেয়ে এই ট্রেডে রিটার্ন বেশি থাকে।
    • ট্রেডারদের লম্বা সময় তাল থাকে বলে মার্কেট ফলিং এ অস্থিরতা থাকে না।
    • ট্রানসেশন কস্ট কম।
    • মানসিক চাপ কম থাকে।
     
    সুয়িং ট্রেডের অসুবিধাঃ
    • লো ইনভেস্টমেন্ট করা যায় না।
    • দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হায় রিটার্ন আর জন্য।
    • এই ধরণের ট্রেডিং সিস্টেম একুরিসি ভাল নয়।
    • সেশন ব্রেকে রিস্ক থাকে।
     
    পজিশন ট্রেডিং:
    এটি হচ্ছে ফরেক্স মার্কেটের সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদী ট্রেডিং যা কয়েকদিন থেকে শুরু করে কয়েক মাস পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এই পদ্ধতিতে ট্রেডারদের সব সময় লং টাইম ফোরকাস্ট আর উপর ট্রেড করতে হয়। ৪ ঘন্টা – ডে-চার্ট এর উপর ভিত্তি করে এই ট্রেডে অর্ডার করতে হয়। এই ট্রেডে ডেইলি ২-১ বার মনিটরিং করলে চলে। দীর্ঘ সময়ের পিভট পয়েন্ট ব্রেকে এই ট্রেড করা যায়।
     
    পজিশন ট্রেডের সুবিধাঃ
    • ৫০০ পিপস এর বেশি রিটার্ন পাওয়া যায় ।
    • মার্কেট নেগেটিভ মুভে ট্রেডার অস্থিরতা থাকে না।
    • ট্রানসেশন কস্ট কম।
    • মানসিক চাপ কম থাকে।
     
    পজিশন ট্রেডের অসুবিধাঃ
    • লো ইনভেস্টমেন্ট করা যায় না।
    • দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হায় রিটার্ন আর জন্য।
    • এই ধরণের ট্রেডিং সিস্টেম একুরিসি ৫০%।
    • সেশন ব্রেকে রিস্ক থাকে।
     
    কোন স্টাইলে ট্রেড করবেনঃ
    প্রত্যেক ট্রেডার এর একটি স্বাধীন চেতনা, ট্রেডিং স্ট্রেটিজি , উদ্দেশ্য এবং সময় এর অভিরুচি থাকে, তাই কে কোন স্টাইলে ট্রেড করবেন তা একান্তই নির্ভর করছে আপনার টার্গেট এবং চাওয়ার উপর। যেমন, যেমন আপনি যদি একজন চাকুরীজীবী হউন তাহলে আপনার জন্য সুয়িং বা ডে-ট্রেডিং উত্তম হতে পারে। অথবা আপনি যদি প্রতিনিয়ত চার্টে চোখ রাখতে পারেন তাহলে স্কেল্পিং ভালো হতে পারে।
    কিংবা আপনি যদি ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিসে ট্রেড করতে চান তাহলে আপনার জন্য লং টাইম বা পজিশন ট্রেড ভালো হতে পারে। তাই আপনার চাহিদা কি এবং কি ধরনের সময় ব্যায় করতে পারবেন ট্রেডিং এর জন্য সব হিসাব কষে তারপর সিদ্ধান্ত নিন কোন ট্রেডিং স্টাইলে আপনি ট্রেড শুরু করবেন। তবে সিদ্ধান্ত আপনার যা-ই হোক না কেন রিয়েল ট্রেডে যাওয়ার আগে অবশ্যই ডেমোতে আপনার স্টাইল পারফেক্ট প্রুভ করে নিবেন।
  11. Like
    Mhafiz™ got a reaction from Rony in ফরেক্স কি, কেন শিখবো, কতদিন লাগবে? কত টাকা আয়? কত ইনভেস্ট করতে হয়? প্রফেশন হিসেবে কেমন ?   
    ফরেক্স কি, শিখতে কোথায় যাব? কতদিন লাগবে? কত টাকা আয়ের গ্যারান্টি? কত ইনভেস্ট করতে হয়? ইনভেস্ট ছাড়া কি ট্রেড করা সম্ভব? প্রফেশন হিসেবে কেমন, সবাই কি পারবে? এই সবকিছু একটু বুঝিয়ে বলেন।– ট্রেডার , নন-ট্রেডার সবার জন্য।
     
    মুল আলোচনায় যাওয়ার আগে হালকা একটু জেনে নেয় ফরেক্স কি এর কি কি সুবিধা আছে এবং প্রফেশন হিসেবে এটা কেমন হতে পারে। বিষয়টা আসলে শেয়ার করছি অনেকজানার ভেতর সামান্য অজানার তাগিতে, বেশ কদিন ধরে একটা প্রশ্ন ফেইস করছি অনেকে ফরেক্স, ফরেক্স শব্দটা শুনতে শুনতে বিরক্ত, যে ফরেক্স শিখতে কোথায় যাব? অনেকে অনেক ধরনের সুবিধার কথা বলছে, কেউ কেউ বলছে ট্রেনিং করলে নিশ্চিত আয়, আবার এটাও অনেকে বলছে মাসে ৫০,০০০-৭০,০০০ টাকা সহ আনলিমিটেড আয়ের ব্যবস্থা ,আবার এমন কাউকে শো করছে যারা নাকি প্রতিমাসে ১,০০,০০০(এক লক্ষ) টাকার চেয়ে বেশী ইনকাম করে ফরেক্স ট্রেডিং এর মাধ্যমে। সব মিলিয়ে বিষয়টা অনেকের কাছে এখনো অস্পষ্ট। তাই আমার ফরেক্স ট্রেডিং এর অভিজ্ঞতা এবং উপরোক্ত সমস্যা ও সম্ভাবনাগুলোর যথাযথ সমাধানের চেষ্টায় এই অভিপ্রায়। আশা করছি আপনাদের ফরেক্স ট্রেডিং অভিজ্ঞতা ও শেয়ার করবেন। তাতে করে মিনিমাম একটা লাভ যে নতুনরা মিসগাইড হবে না।
     
    ফরেক্স কিঃ
    নতুন ভাবে মনে হয় কাউকে বোঝানোর দরকার নেই যে ফরেক্স কি তারপরও আলোচনার স্বার্থে এবং একেবারে নভিস যারা তাদেরকে বলছি; ফরেক্স হল এমন একটি ট্রেডিং মার্কেট যেখানে একটি মুদ্রার বিপরিতে আরেকটি মুদ্রা কেনাবেচা করে প্রফিট করা যায়। আর এই মার্কেটে ট্রেডিং সুবিধাগুলোও নতুনরা একবার জেনে নিতে পারেন।
     
    ফরেক্স শিখতে কোথায় যাব?
    খুব সহজ উত্তর হল কোন ফরেক্স ট্রেনিং সেন্টারে চলে যান অথবা আপনার পরিচিত কেউ ফরেক্স জানলে তারকাছ থেকে যেকোনভাবে শিখতে শুরু করুন। আসুন এইবার একটু গভীরে যায়। ট্রেনিং সেন্টারে গিয়ে ফরেক্স শিখলে কেমন হয়। বর্তমানে আমাদের দেশে মোটামুটি সব ফরেক্স ট্রেনিং সেন্টারের সাধারণ ফরেক্স ট্রেডিং এর ট্রেনিং ফি ৮,০০০-১০,০০০ টাকার মধ্যে। সময় ২-৪ সপ্তাহ। ভালো। কোন বিষয় সম্পর্কে ভালো ভাবে জানতে হলে ট্রেনিং আর কোন বিকল্প নেই। নিজে নিজে সবাই সব কিছু পারে না। ট্রেনিং সেন্টারের এই এক মাসের ট্রেনিং এ আপনি ফরেক্স ট্রেডিং রাজ্য একটু পা দিলেন এখন বাকি কাজ আপনার, নিয়মিত অধ্যায়ন এবং চেষ্টায় আপনাকে একজন ট্রেডার রুপে গড়ে তুলতে পারে। সে জন্য দরকার লম্বা একটা সময় নিয়ে অনুশীলন শুরু করা। আর এই কাজটি করতে আপনি ট্রেনিং সেন্টারে জেতে বাধ্য নন, আপনি চাইলে নিজে নিজে বিষয়টা আয়ত্তে আনতে পারেন। তবে রেডিমেইড হলে সময়টা কম লাগে। খেয়াল করুন প্রথমত ফরেক্স কোন ডাক্তার দ্বারা বানানো কোন বড়ি নয় যে এক নিমিষে গুলিয়ে গেয়ে নিলেন অথবা এমন কোন প্যাকেজ নয় যে এক মাসের মধ্যে সব বুঝে গেলেন। ফরেক্স হল একটা “ লং টাইম লার্নিং প্রসেস ফর লাইফ টাইম এন্ড লাইভ আর্নিং ”। অল্প বিদ্যা যেমন ভয়ংকর তেমনি সামান্য কদিনের প্রচেষ্টায় বিষয়টি আয়ত্তে আনার চিন্তাও তেমনি ভয়ংকর। তাহলে আপনি
     
    কিভাবে শুরু করবেন?
    স্টেপ ১ #
    আপনি প্রথমে দেশি-বিদেশি (বাংলাভাষায় ফরেক্স ট্রেনিং এর লেসন পেতে ফরেক্স ক্যাম্পাস অথবা বাংলা ভাষায় ফরেক্স শিখার সম্পূর্ণ লেসন ভিত্তিক বইটি এবং ইংরেজি লেসন এর জন্য www.babypips.com ) যেকোন একটা সাইট মার্ক করেন তারপর প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটি সময় বের করেন আপনার রেগুলার রুটিন থেকে তারপর একটু একটু করে স্টাডি শুরু করেন মনে রাখবেন তাড়াতাড়ি করতে গিয়ে লোড নিবেন না। জোর পূর্বক কিছু আয়ত্তে আনার চেস্টা করবেন না। আপনি যদি সময় কে সময় দেন তাহলে সময় আপনাকে সময় দিবে। আপনার স্টাডি কে তিনটি ভাগে ভাগ করে নিন নয়ত তালগোল পাকিয়ে ফেলতে পারেন (বিগেনিং, প্রফেশনাল এবং এডভান্সড এই তিনটি লেভেলে).
    স্টেপ ২ #
    স্টাডি চালিয়ে যেতে অনেক বিষয় অনেক সময় অস্পষ্ট থাকতে পারে সেই ক্ষেত্রে ফোরামে (www.bdforexpro.com) আপনার সমস্যাটি বা যে বিষয়টি বুঝতে পারছেন না তা জিজ্ঞেস করুন। অনেক অভিজ্ঞ ট্রেডার আছে যারা আপনার সমসাটির ভালো সমাধান দিতে পারবেন।
    স্টাডির যখনি ডেমো ট্রেডিং অধ্যায় শেষ করে ফেলবেন তখন থেকেই ডেমো প্র্যাকটিস শুরু করেন। আর পাশাপাশি চালিয়ে যেতে থাকুন আপনার নিয়মিত স্টাডি। নিয়মিত স্টাডি যেভাবে ফিক্সড করেছেন সেভাবে ডেমো ট্রেডিং প্র্যাকটিসটা ফিক্সড করবেন।
     
    স্টেপ ৩ #
    ধরে নিলাম আপনার ব্যাসিক স্টাডি কোর্স শেষ এখন আপনি মোটামুটি ট্রেড বোঝেন এবং ট্রেড করতে পারেন। তাহলে এখন কি করবেন।
    আসলে এখনি আপনি ডিসিশন নিবেন আপনার দ্বারা কি আসলেই ট্রেড সম্ভব? এতদিনের ফরেক্স শেখার অভিপ্রায় কতটা আপনাকে আনন্দ দিতে পেরেছে কিংবা যতটুকু ফরেক্স করেছেন তাতে আপনি কতটুকু হ্যাপি? নিজে নিজে এই প্রশ্নের উত্তরটা নিয়ে নিন, যদি আপনার উত্তরটা হয় আপনি বেশ উপভোগ করছেন এবং এই প্রকার আর্নিং কনসেপ্টটা আপনাকে বেশ আনন্দ দিচ্ছে তাহলে আমি বলব আপনি ফরেক্স করবেন বলে ডিসিশন নিতে পারেন। এবং আপনার পরবর্তী স্টেপ শুরু করুন। আর যদি এতোদিনের প্রচেষ্টায় আপনি নিজেকে এই প্রকার আরনিং সিস্টেম এর সাথে কোপ করাতে পারছেন না, কিংবা বিশয়টা আপনার ঠিক বোধগম্য হচ্ছে না, আপনি ঠিক আনন্দ পাচ্ছেন না তাহলে আমি বলব আপনি জোর করে কিছু করতে যাবেননা, আপনাকে বুঝতে হবে এই প্রকার আর্নিং আপনার জন্য সুইটেবল না, আপনি আর জোর করে বেশিদুর চেষ্টা না করে আপনার পছন্দের অন্য কোন ব্যবসা করুন। কারন প্রথম অবস্থায় যতটুকু বুঝেছেন অন্তত আশা করি অতটুকু বুঝে গেছেন যে এটা একটা আর্ট আপনি যত ভালো-ভাবে আনন্দের সাথে সময় দিতে পারবেন আপনি তত তাড়াতাড়ি সফল হতে পারবেন। তাই আপনার এসেসমেন্ট পিরিয়ড যেহেতু পজিটিভ না তাহলে আপনি এই প্রকার ব্যবসার চিন্তা বাদ দিন। কারন সবাইকে দিয়ে সব কিছু হয় না এটা আপনি ভালো ভাবে জানেন।
     
    স্টেপ - ৪ #
    ঠিক আছে ধরে নিলাম আপনি ডিসিশন নিয়েছেন আপনি ট্রেড করবেন। তাহলে এখন সময় এসেছে নিজেকে মুল ট্রেডার রুপে তোলার। আপনি স্টুডেন্ট কিংবা, চাকুরীজীবী। আপনার স্বাভাবিক কাজকর্মের বাইরে প্রতিদিন ১-২ ঘন্টা সময় বের করে নিন যেহেতু বিষয়টাতে আপনি বেশ আগ্রহি এবং ইনজয় করছেন।
    এইবার হল আপনার দ্বিতীয় এসেসমেন্ট:- আমি খুব করে ভালো লাগার প্রতি মনোযোগ দিচ্ছি, কারন জোর করে করা কাজের ফলাফল ভালো হয় না। এইবার আপনার স্বাভাবিক কাজকর্ম ঠিক রেখে সম্পূর্ণ অপশনাল একটি বিষয় হিসেবে ফরেক্স প্র্যাকটিস করুন, অতিদ্রুত এই মার্কেট থেকে রিটার্ন আশা করতে যাবেন না। অতিরিক্ত একটি বিষয় হিসেবে এগুতে থাকেন এক পর্যায়ে আপনি যখন আবিষ্কার করবেন না আপনি ভালো ট্রেড করছেন এবং আপনার ৪-৬ মাসের রেগুলার অনুশীলন যদি আপনাকে সার্বিকভাবে পজেটিভ রেজাল্ট দেয় তাহলে আপনি ইনভেস্ট আর কথা চিন্তা করতে পারেন।
     
    স্টেপ - ৫ #
    মুলত আপনি এখন জেনে গেলেন যে ফরেক্স ট্রেডিং এর অনেক গুলো ফর্মুলা এবং অনেক স্ট্রেটিজি আছে। তেমনি আপনি আরো জানলেন যে একেকটি বিষয় দিয়ে একেকভাবে স্ট্রেটিজি তৈরি করা যায়। কিন্তু সবগুলো বিষয় দিয়ে একসাথে আবার ট্রেড করা সম্ভব নয়। তাই এখন আপনার কাজ হল ডিসিশন নেওয়া যে কোন স্টাইলে রেগুলার ট্রেড করবেন। আপনি জানেন যে মুলত ট্রেড করার ফর্মুলা তিনটাঃ
    টেকনিক্যাল এনালাইসিস ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস এবং ক্যান্ডেলস্টিক এনালাইসিস । মুলত বেশিরভাগ ট্রেড হয়ে থাকে টেকনিক্যাল এনালাইসিস স্ট্রেটিজিতে এবং এই স্ট্রেটিজিই সবচেয়ে বড় এবং সময় সাপেক্ষ।
     
    স্টেপ - ৬ #
    ধরে নিলাম আপনি টেকনিক্যাল এনালাইসিস স্ট্রেটিজিতে ট্রেড করবেন বলে স্থির করলেন তাহলে এইবারকার লক্ষ্য হল টেকনিক্যাল টার্মস গুলো শেখা। আপনি ইতিমধ্য জেনে গেছেন যে ট্রেন্ড পাওয়ার ট্রেডিং এর জন্য বিশেষ পদ্ধতি হল ট্রেন্ড সনাক্ত করে ট্রেড করা সেই জন্য অনেক অনেক টুল এবং স্টাডি করতে হবে আপনাকে। আর তাই শুরু করে দিন বিভিন্ন প্যাটার্ন ড্রয়িং, অ্যান্ডস্ট্যান্ডিং এবং এক্সিকিউশন । এতে করে প্যাটার্ন সম্পর্কে আপনার ভালো ধারণা চলে আসবে তারপর এডভান্স পিভট পয়েন্ট এবং ফিভনাসি রিট্রেসমেন্ট নিয়ে কাজ শুরু করে দিন
     

     
    স্টেপ - ৭ #
    এই স্টেপে আপনি আরো একধাপ এগুবেন চার্ট নিয়ে, এতক্ষণ পর্যন্ত আপনি জেনে গেলেন প্যাটার্ন ড্রয়িং পূর্বক তাকে নিশ্চিত করতে হয় কিভাবে ফিভনাসি দিয়ে। এখন মুলত সেই কাজটি আবার করবেন আগের চেয়ে বেশী স্ট্রেনথ নিয়ে। চলে আসুন Trading Classic Chart Patterns ধরে, মুলত বইটী ফলো করার মাধ্যমে আপনি পরিষ্কার হয়ে যাবেন যে চার্ট প্যাটার্ন গুলো কতদুর কাজ করে কতটা ইফেক্টিভলি বিভিন্ন মার্কেট সিচুয়েশনে। আপনার রেফারেন্সে ভালো কোন চার্ট প্যাটার্ন বই থাকলেও সেটা ফলো করতে পারেন। মুলত উদ্দেশ্য একটাই। চার্ট প্যাটার্ন শেখার সাথে সাথে সবগুলো প্যাটার্ন একসাথে মাথায় নিতে যাবেন না এতো করে ভয়ংকর অবস্থা হতে পারে। তাই সামান্য কয়েকটা প্যাটার্ন আয়ত্তে আসার পর এগুলো দিয়ে নিজে নিজে ৪-৫ টা স্ট্রেটিজি দাড় করান এবং ডেমো ট্রেডিং এর মাধ্যমে এদের ট্রেডিং সাকসেস মার্ক করুন। এইভাবে এগুতে থাকুন।
     
    স্টেপ – ৮ #
    এইবার একটু সহজ স্বচ্ছ পথে এগুই , ইনডিকেটর MACD নিশ্চয়ই পেয়েছেন, একেবারে মামুলি ভাবার দরকার নাই এই ইনডিকেটরটাকে, কারন আপনি হয়ত জানেন না এই ইন্ডিকেটরের কত পাওয়ার, আপনি জেনে খুশি হবেন অনেক অনেক এক্সপার্ট ট্রেডার যারা ফরেক্স থেকে অনেক বেশি টপ ইনকাম করছেন তাদের প্রিয় ট্রেডিং স্ট্রেটিজি কিন্তু MACD কে নিয়ে। তাই প্যাটার্ন যখন বুঝে নিয়েছেন এইবার MACD এর সাথে একটু মাথা খাটিয়ে স্ট্রেটিজির সুচনা করুন এবং নিয়মিত ট্রেড করুন। মনে রাখবেন আপনি ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করার জন্য হাজার হাজার স্ট্রেটিজি পাবেন সবগুলোর রশাতলে যদি নিজেকে ফেলেন তাহলে আপনার আর ট্রেড করতে হবে না, তাই এতো স্ট্রেটিজি এক্সপার্ট হওয়ার দরকার নেই।
     
    স্টেপ - ৯ #
    আপনি অনেকদুর চলে এসেছেন এখন এতদূর পর্যন্ত যখন এসেছেন তাহলে নিশ্চয় ট্রেডও ভালো করছেন। তাহলে আপনি জেনে রাখুন যে আপনি দ্বিতীয় এসেসমেন্টেও পাশ করেছেন সো ফরেক্স আপনি করতে পারেন। এটা ফাইনাল। এখন সময় এসেছে এক্সপার্ট হওয়ার। সেটা কিভাবে সম্ভব? আসলে বিষয়টা খুব বেশী কঠিন নয় আপনার জন্য। এক্সপার্ট ট্রেডিং মানে কি? এটা কি কোন পদক বা কোন স্বীকৃতি? এক্সপার্ট ট্রেডিং হল আপনি ভালো ট্রেড করেন আপনার ম্যাক্সিমাম ট্রেডই প্রফিট করে এবং আপনি মার্কেট সম্পর্কে খুব ভালো জ্ঞান রাখেন এবং মার্কেট ভলাটিলিটি বুঝেন এবং সেই মতে ট্রেড করতে পারেন। এখন এই সব গুলো বিষয় কিন্তু আপনি এক রকম এনালাইসিসে পাবেন না, আপনাকে সেইজন্য জ্ঞান রাখতে হবে কারেন্সি ফলিং এবং রাইসিং ইস্যু সম্পর্কে যা আপনি ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিসে অনেকটুকু পেয়ে যাবেন, মনে রাখবেন ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস মানে কিন্তু শুধু ইকোনমিক ক্যালেন্ডার রিড করতে পারা নয় বরং কি কি কারনে কারেন্সি ফ্লাকচুয়েট হয় তা ও জানা অর্থাৎ ইকোনমিক ডাটা পয়েন্ট সম্পর্কে জ্ঞান রাখাকে বুঝায়। তাই বুঝতে পারছেন আপনার টেকনিক্যাল এনালাইসিসের সাথে সাথে ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস কতটা জুরুরি।
    আসুন এইবার আরেকটা কমন এনালাইসিস সম্পর্কে জানতে হবে আপনাকে, নিজেকে যদি ফরেক্স এক্সপার্ট রুপে গড়ে তুলতে চান। সেটি হল ক্যান্ডেলস্টিক এনালাইসিস । একেবারে মামুলি ভাবার দরকার নেই ক্যান্ডেলস্টিক এনালাইসিসকে কারন অনেক ভিন্ন নেগেটিভ মতামত আছে ক্যান্ডেলস্টিক ভিবিন্ন প্যাটার্ন সম্পর্কে আমি নিজেও অস্বীকার করছি না, তবে কিছু ফর্মুলা দিতে পারি যাতে করে আপনার ট্রেড সাকসেস হতে পারে, খেয়াল করুন যখন আপনি টেকনিক্যাল এনালাইসিস করে ট্রেডে ঢুকতে জান তখন যদি সাথে সাথে আপনার ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্নটা ও একটু মিলিয়ে নিতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনার ট্রেডটা নেগেটিভ হওয়ার কথা নয়। এখন হয়ত মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে বা ভাবছেন এতো এনালাইসিস করতে করতেতো আর ট্রেড ই করা হবে না, প্রারতপক্ষে এখন এমন মনে হলেও আসলে ব্যাপারটা তা নয়। কারন আপনি বিভিন্ন এনালাইসিস সম্পর্কে যখন ভালো ধারনা নিয়ে আসবেন তখন একটা অর্ডারে বিভিন্ন এনানলাইসিস দিয়ে অর্ডারকে পজেটিভ করা কয়েক সেকেন্ডের ব্যাপার মাত্র তাই খাবড়াবেন না বস।
     
    স্টেপ - ১০ #
    হ্যাঁ, আপনি অনেক কিছুই জেনে গেছেন ফরেক্সে। তো এখন কি আর তাহলে শেখার কিছু নাই? শুধুই ট্রেড করবেন আর বেশী বেশী ডলার কামাতে থাকবেন? আমি আপনার স্বাদটাকে গুড়িয়ে দিচ্ছি না, তবে একটু মনে করিয়ে দিতে চাইছি যে ফরেক্স ট্রেডিং মার্কেট সারা বছর এক রকম থাকে না, আপনি যে স্ট্রেটিজিতে এখন ট্রেড করে প্রফিট নিচ্ছেন সেই একই স্ট্রেটিজি কিন্তু আরেকটি সময় অর্থাৎ বছরের অন্য আরেকটি মাসে সেই কাজ নাও দিতে পারে বা পুরোপুরি আপনার টার্গেট ফিল নাও করতে পারে কিংবা ট্রেড আপনার অর্ডারের বিপরীতে চলে যেতে পারে। তাহলে সারা বছর ট্রেড কিভাবে করবেন? নো-টেনশন বস ! আমি এমন বললে ও সব সময় এমন ঘটে না তবে একেবারে যে ঘটেনা তা কিন্তু নয় তাই একটু সাবধান করে দিলাম। এই ক্ষেত্রে সিমপ্লি আপনি সারা বছরকে তিনটা ভাগে ভাগ করে ফেলুন। যেমনঃ
    অক্টোবর-জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি-মে এবং জুন-সেপ্টেম্বার। খেয়াল করলে কিংবা ভালো ট্রেডিং এক্সপিরিয়েন্স হয়ে গেলে নিজেও ধরে ফেলতে পারবেন যে সারা বছরে মার্কেট যতই ভালো বা খারাপ থাকুক না কেন ৩-৪ টি টাইম সার্কেল আর বাইরে রিয়াক্ট করে না। তাই বাৎসরিক চার্ট ধরে আইডিয়াটা নিয়ে ফেলুন। হাঁপিয়ে উঠেছেন এতো সব স্টেপ ক্লিয়ার করতে করতে, আসলে আপনি তো বস একদিনে এগুলো করতে যাবেন না এবং পারবেনও না। তাই শেখার মাঝখানে যদি কিছুটা হলেও ক্লান্তি এসে যায় কিংবা একটু করে বিরক্তি কাজ করে তাহলে একটা শর্ট ব্রেক নিয়ে নেন, কারন বিরক্তির শিক্ষা আপনাকে আরো বিরক্ত করে ফেলবে তাই, রিফ্রেশ হয়েই আবার শুরু করেন তবে প্রতিদিন সামান্য করে এগিয়ে গেলে বিরক্ত হওয়ার কথা নয় বরং কিউরিসিটি আরো বেড়ে যাবে। কারন ফরেক্স হচ্ছে একটা টোটাল আর্ট যেখানে আপনার মেধার একটা চরম মূল্য পাওয়া যায়।
    অবশ্য এতদূর আশার আগেই আপনি আপনার সাধ্যমত এমাউন্ট ইনভেস্ট করে অনেক অনেক ট্রেড করে ফেলেছেন আশা করি, তারপর ও রিকমন্ডিশন হিসেবে বলতে চাই, ভালো রিটার্ন চাইলে ভালো ইনপুট দিতে হবে। আমি বলছি না আপনি ৫০০,১০০০,২০০০ বা ৫০০০ ডলার দিয়ে ট্রেড শুরু করতে হবে শুধু বলতে চাই আপনি ট্রেড বুঝে গেছেন তাই আপনার সব দিক চিন্তা করে আপনার মত করে ইনভেস্ট করুন, হতে পারে সেটা $১০০০০ বা তারও বেশী। আপনার সব এনালাইসিস আর পাশাপাশি ইনভেস্টটা একটা বিরাট ফেক্টর, হ্যাঁ, আপনার কাছে হিউজ এমাউন্ট থাকতে পারে ইনভেস্ট করার মত কিন্তু আপনাকে ব্যাবহার করতে জানতে হবে রিস্কফ্রী ভাবে। আর আপনি যখন আমার আলোচনার এই পর্যায় পর্যন্ত শেখা শেষ করে ফেলতে পারবেন তাহলে আমি সিউর আপনাকে আর বলে দিতে হবে না আপনাকে কত ইনভেস্ট করতে হবে।
     
    ইনভেস্ট ছাড়া কি ট্রেড করা সম্ভব?
    উত্তরটা আমি খুব সিমপ্লি দিতে চাই, ইনভেস্ট ছাড়া ট্রেড করা সম্ভব নয় বস ! যখন এই মার্কেটে আছেন তখন শুনে থাকতে পারেন যে ফরেক্সের বিভিন্ন সাইট আছে যেখানে পোস্ট করলে বোনাস ডলার দেয় যা দিয়ে ট্রেড করতে পারা যায় কিংবা কোন কোন ব্রোকার তাদের ব্র্যান্ড প্রোমোশনের জন্য ৫-১০ ডলার বোনাস দিয়ে থাকে। বিষয়টা সত্যি, এই সুযোগটা অনেকেই নিয়ে থাকে কিন্তু আপনি একজন প্রফেশনাল ট্রেডার কিংবা ভালো ডিসিপ্লিন এবং আনকন্ডিশনাল ট্রেডিং এর জন্য এমন চিন্তা করার দরকার নেই। বিষয়গুলো অনেকের কাছে অনেক পছন্দের হলে ও প্রকৃতপক্ষে এই উপায়ে ট্রেডিং মানি কালেকশন করতে গেলে মুল ট্রেডিং এর প্রতি আপনার ভালো লাগাটা হারিয়ে ফেলতে পারেন এবং আপনার বিজনেস সেন্টিমেন্টটা হারিয়ে যাবে আর কন্ডিশন অব্লাইজড করতে করতে আপনি বিরক্তই হবেন তাই এই সকল বিষয়ের প্রতি আসক্তি না রেখে সরাসরি ট্রেডে আসুন। এটাকে একটা বিজনেস হিসেবে চিন্তা করুন, সুযোগ সন্ধানী হওয়ার দরকার নেই। আর যেহেতু ব্যবসা-ই করতে বসছেন সো ইনভেস্ট ছাড়া প্রফিট হয় না সেটাতো জানেন, তা-ই মাথায় রাখুন।
    যারা এখনো ফরেক্স এর কিছুই জানেন না কিন্তু আমার এই লিখাটা পড়েছেন তাদেরকেও বলছি আশা করছি আপনারা নতুন একটা ব্যবসার কনসেপ্ট পেয়েছেন এখন এই নতুন ব্যবসার জন্য আপনি কিভাবে এগুতে চান আপনার সব কিছু চিন্তা-ভাবনা মাথায় রেখে একটা প্ল্যান করুন ঠিক কিভাবে শুরু করতে চান। নিশ্চয়ই জানেন কোন কিছুর সুন্দর একটা শুরুই হল ঐ বিষয়ের অর্ধেক সমাপ্ত। এখন পর্যন্ত যারা ফরেক্স ট্রেড করে হয়রান, বিরক্ত, লুসার তাদের হিস্টোরি একটু রিসার্চ করুন দেখবেন তারা এলোমেলো ট্রেড করেছে কিংবা রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কিংবা মুল বিষয়গুলোর পর্যাপ্ত অনুশীলন ছাড়াই ট্রেড শুরু করেছেন। তাই আপনাদের বলছি স্বাভাবিক আর কয়টা ব্যাবসার মতই এটা চিন্তা করুন, ব্যবসার সফলতার মূলে যেমন রয়েছে কঠিন পরিশ্রম এবং অদ্ধাবসায়। হাঁ ফরেক্স যেহেতু একটি ভিন্ন ধারার ব্যবসা এখানে পরিশ্রম হল আপনার মেধার পরিশ্রম। তাই ব্যবসাটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নয় এবং সবাই পারে না। অতিমাত্রায় উৎসাহিত হয়ে এক্সিডেন্ট করতে জাবেন না, কিংবা কারো কাছে রাতারাতি বড়লোক হওয়ার মেথড হিসেবে এই ব্যবসাকে চিন্তা করবেন না।
    ফরেক্স কি ফুল-টাইম না পার্টটাইম, প্রফেশন হিসেবে কেমনঃ
    বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারন অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে ফুল-টাইম ফরেক্স ট্রেডাররা সারাদিন সময় দিয়ে যে পরিমান ইনকাম করেন পার্টটাইম ট্রেডাররাও তা করতে পারেন। তাছাড়া ফরেক্সের টোটাল ট্রেডারদের ৬৫%+ হল পার্টটাইম ট্রেডার। তাছাড়া ফুল-টাইম ট্রেডাররা খুব ভালো মেন্টাল প্রেসার নিয়ে থাকেন যে কারণে তারা কিছুটা অলস প্রকৃতির হয়ে থাকে। অন্য কিছু খুব একটা তাদের ধারা হয় না হয়ে উঠেনা । শুরুর দিকে ফুল-টাইম হিসেবে নেওয়ার প্রয়োজন নেই। মুলত ফুল-টাইম এবং পার্টটাইম ট্রেডিং এর মুল পার্থক্য হল প্রেসার, আপনি কত বেশী প্রেসার নিতে পারছেন। তাই বিষয়টাকে খুব বেশী জটিল করে না দেখে নিজের সেন্টিমেন্ট অনুসারে এগুতে থাকুন। আপনি ফরেক্স তিন ধরনের ক্যারিয়ারে বেশ ভালো সুবিধা করতে পারেন।
    প্রফেশনাল ট্রেডার বা ইন্সটিটিউশনাল ট্রেডার। ফরেক্স এনালিস্ট বা কারেন্সি রিসার্চার E.A ডেভেলপার এছাড়া ও রেগুলেটর এবং এক্সচেঞ্জ ম্যানেজার সহ নানা রকম আকর্ষণীয় পোস্টে অনেক হাই লেভেল জব করতে পারেন।
    আপনি দক্ষ ট্রেডিং এ যদি একজন ভালো এনালিস্ট হতে পারেন তাহলে ট্রেডিং ছাড়াও আপনার জন্য আরেকটি বিশাল সম্ভাবনা আছে তা এনালিস্ট হিসেবে কাজ করা। সব ব্রোকারের, ভিবিন্ন ফরেক্স সার্ভিস প্রোভাইডারদের একটি বিশাল সেক্টর হচ্ছে কারেন্সি এনালাইসিস মুলত যে যত বেশী এবং যত ভালো ইফেক্টিভ এনালাইসিস গ্রাহকদের উপহার দিতে পারবে সেই তত ভালো মার্কেট দখল করতে পারবে আর সকল ফরেক্স প্রতিষ্ঠানের লং-জাম্প কিন্তু এই এক বিষয়তে হয়। তাই যদি নিজেকে একজন দক্ষ এনালিস্ট হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন তাহলে ফরেক্স প্রতিষ্ঠান গুলো আপনাকে লুফে নিবে এবং হাই রাইজ সেলারি দিবে যা হতে পারেন মাসিক ৩-৫ লক্ষ টাকা। আপনি আপনার ঘরে বসেই কাজটি চালিয়ে যাবেন আপনার দায়িত্ব অনুসারে যেভাবে আপনি আপনার ঘরে বসে ট্রেড করেন। তাই এই সেক্টরে সম্ভাবনা অনেক।
     
    ফরেক্স মার্কেটে সফলতার মূল হল আপনার বিষয় হলঃ
    ধ্যর্য + বিনম্রতা + শিক্ষা = সফলতা
    তাই অনেকে অনেক সময় নিয়ে ট্রেড করছেন এবং ভিবিন্ন উপায়ে এনালিস্ট স্কিল তৈরি করছেন যেমনঃ চার্ট প্যাটার্ন, পিভট পয়েন্ট, ভিফনাসি রিট্রেস্মেন্ট, এলিয়ট ওয়েভ সহ নানা বিষয়ের গাণিতিক ব্যাখ্যাগুলো নিয়ে রিসার্চ করছেন এবং প্রাইস মুভমেন্ট বোঝার ক্ষমতা অর্জন করছেন। তাই যদি টার্গেট থাকে এনালিস্ট হবেন তাহলে তাহলে প্রথম থেকেই নিজের ট্রেডের ফর্মুলা গুলো নোট ডাউন করে রাখুন আপডেট করুন এবং প্রত্যেকটি স্ট্রেটেজির লজিক গুলোর একটি রুপ দাড় করান এইভাবে এগুতে পারেন। আসলে আপনি কিন্তু এনালিস্ট কারন আপনার প্রত্যেকটা ট্রেডে কিন্তু এনালাইসিস দরকার হচ্ছে যেভাবে আপনি ট্রেডে ঢুকেন। তাই বিষয়টার প্রতি সব সময় জোর দিন । অনুশীলন করতে করতে এক পর্যায়ে আপনি পেয়ে যাবেন আপনার টার্গেটেড এরিয়া। তবে ঐ অবস্থানে পৌছাঁতে আপনাকে ৩-৫ বছর বা তার ও বেশী সময়ের একটা মাইল ফলক অতিক্রান্ত করতে হবে নিয়মিত অধ্যায়নের সাথে । তাই স্বাভাবিক ভাবেই কয়েকবছর ট্রেড করতে থাকুন ঐ সব বিষয়গুলো’র মাধ্যমে।
     
    কিছু স্ট্রেইট কথাঃ মানলে সুফল পাবেন না মানলে দুর্ভোগে পড়তে হতে পারে।
     
    ১। লোন করে ট্রেড করবেন না।
    ২। টার্গেট ফিল করার জন্য ফোর্স ট্রেড করবেন না।
    ৩। লাইভ ট্রেডে যত টাকা ইনভেস্ট করবেন ঠিক তত দিয়েই ডেমো ট্রেড করুন।
    ৪। Yes বা No ফাংশনে ট্রেড অর্ডার করবেন না।
    ৫। মাঝে মাঝে ট্রেড থেকে বিরতি নিন।
    ৬। কম্পিটিশন করবেন না।
    ৭। সবগুলো ট্রেডের রেকর্ড রাখুন, পজেটিভ এবং নেগেটিভ ট্রেড কম্পেয়ার করুন। নেগেটিভ ট্রেড পর্যালোচনা করে শুধরে নিন।
    ৮। পরপর দুটি ট্রেডে পজেটিভ রেসাল্ট পেয়ে ৩ নাম্বার ট্রেডে ভলিয়ম বাড়িয়ে দিবেন না।
    ৯। মনে না চাইলে ইচ্ছের বিরুদ্ধে ট্রেড করবেন না।
    ১০। ট্রেড ওপেন করার আগে মিনিমাম ৫ মিনিট চার্ট এনালাইসিস করুন।
  12. Like
    Mhafiz™ got a reaction from sadwaves in Double Bollinger bands - এইবার প্রফিট না হইয়া যাইব কই ! নিশ্চিত প্রফিট ট্রেডিং স্ট্রেটিজি।   
    বলিঙ্গার বেন্ডের ধারাবাহিক আলোচনায় আবারো স্বাগতম সবাইকে, বলেছিলাম যে যারা আমার এই পোস্টগুলো নিয়মিত ফলো করবেন এবং অনুশীলনের মাধ্যমে সেই মোতাবেক ট্রেড করবেন তাদেরকে নিশ্চিত প্রফিট করিয়ে ছাড়বো এবং বলিঙ্গার এক্সপার্ট ট্রেডার বানাবো। হ্যাঁ এখনও তাই বলছি তার তারই ধারাবাহিক পর্ব হিসেবে আজকে শুরু করছি এই সিরিজের পঞ্চম পর্ব , ডাবল বলিঙ্গার বেন্ড ট্রেডিং স্ট্রেটিজি, প্রফিট না হইয়া যাইব কই !
    What is Double Bollinger Bands?
    সাইডওয়ে মার্কেট ট্রেডিং সুবিধার জন্য ডাবল বলিঙ্গার বেন্ডটি প্রথমদিকে একটি টুল হিসেবে ব্যাবহার হত। সাইডওয়ে মার্কেট ট্রেডিং খুবই চেলেঞ্জিং একটি পদ্ধতি যেখানে ট্রেডাররা অনেক রিস্ক নিয়ে এই ধরনের ট্রেড করে থাকেন। আর এই পদ্ধতিতে ট্রেডিং রিস্ক কমানোর জন্যই ডাবল বলিঙ্গার বেন্ড এর উৎপত্তি, যেই পদ্ধতিতে ট্রেডাররা আগের এই পদ্ধতিতে রিস্ক অনেক কমিয়ে আগের চেয়ে ভালো ট্রেড করতে পারে। এই পদ্ধতিতে ট্রেডিং টাইমিং টা খুবই জরুরি একটা ফেক্টর যার অভাবে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত বিসয় ঘটতে পারে যা ট্রেডার জন্য মোটেও ভালো নয়।
    How does double Bollinger bands work?
    মুলত এই পদ্ধতির ট্রেডিং এর জন্য ২ সেট বলিঙ্গার বেন্ড এর প্রয়োজন হয় বলে ডাবল বলিঙ্গার বেন্ড হিসেবে নাম করন করা হয়েছে। যেখানে একটি বেন্ডের উপর আরেকটি বেন্ড স্ব- স্ব ভেলু নিয়ে কাজ করে থাকে। এই ক্ষেত্রে একটি বলিঙ্গার বেন্ড ২০ ডে মুভিং আভারেজ এবং স্ট্যান্ডার্ড ডিবিয়েশন ১ এবং অপরটি সেইম মুভিং এভারেজে স্ট্যান্ডার্ড ডিবিয়েশন ২ ভেলুতে সেট করে কাজ করতে হয়। এতে করে দুটি বলিঙ্গার এর মাঝে একটি গ্যাপ তৈরি হয় যার মাধ্যমেই এই স্ট্রেটিজির প্রফিট লস এবং স্টপ লস সেটিং করে ট্রেড করা হয়। ট্রেডাররা দুটি বলিঙ্গার এর স্প্রেড বা গ্যাপ কে ট্রেডিং এন্ট্রি এবং এক্সিট ধরে ট্রেড শুরু করে।
    তাহলে দুটি বলিঙ্গার এর মান হবে নিম্বের মতঃ
     
    প্রথম বলিঙ্গার বেন্ড ভেলু;
    Period: 20
    Deviations: 2
    Shift: 0
    দ্বিতীয় বলিঙ্গার বেন্ড ভেলুঃ
    Period: 20
    Deviations: 1
    Shift: 0
    আপনার চার্ট কে দুটি বলিঙ্গার বেন্ডের ভিন্ন ভিন্ন ডিবিয়েশনে সেট করা পর দেখতে এমন হবে। মনে রাখবেন দুটি বলিঙ্গারের মিডল বেন্ড কিন্তু সেইম। দুটি ভিন্ন ডিবিয়েশনের অবস্থান বোঝানোর জন্য দুটিকে আমি আলাদা আলাদা রঙ্গে সেট করেছি আশা করছি বুঝতে সমস্যা হবে না।
    সাইডওয়ে মার্কেট ট্রেডিং থেকে ভালো প্রফিট করার সবচেয়ে গুরত্তপুর্ন এবং উপযোগী একটি পদ্ধতি হল ডাবল বলিঙ্গার বেন্ড স্ট্রেটিজি। আসুন দেখি এইবার কিভাবে আপনার ট্রেডগুলো সেট হবে। আরেকটা কথা স্ট্রেটিজিটি একটু স্লোলি বুঝে পড়ুন দেখবেন একদম সহজ, পড়ার সাথে সাথে ছবি ধরে বুঝে এগুতে থাকুন, জটিল হবে না।
    লং ট্রেড সেটআপঃ
    তাহলে এতক্ষণের আলোচনায় আশা করছি দুটি বলিঙ্গার বেন্ড বুঝে নিয়েছেন এবং সেটিং তা বুঝতে পেরেছেন ভালো ভাবে, এইবার ট্রেডে কিভাবে ঢুকবেন তা বলছি খেয়াল করুন। আরেকটা কথা বলে নেয়, আলোচনার জন্য আমি ডিবিয়েশন ১ বলিঙ্গার কে BB1 এবং ডিবিয়েশন ২ বলিঙ্গারকে BB2 নাম ধরে ডাকবো।  
     
    বায় ট্রেডে ডুকার জন্য আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে একটি ক্যান্ডলের জন্য যা BB1 এর আপার বেন্ডে ক্লোজ হয়েছে। তারপর আপনাকে দেখতে হবে যে তার পূর্বের ক্যান্ডলে গুলো কোথায় ক্লোজ হয়েছে BB1 এর আপার বেন্ডের উপরে নাকি নিচে। যদি তাই হয় তাহলে আপনি পেয়ে গেছেন লং ট্রেড সিগনাল। অর্থাৎ আপনি এখন নিশ্চিত বায় ট্রেড করতে পারবেন। খেয়াল করুন নিচের চিত্রে BB1 এর আপার বেন্ডের উপরে ৩ নম্বর ক্যান্ডেল্টি ক্লোজ হয়েছে। এবং পূর্বের ২টি ক্যান্ডেল ক্লোজ হয়েছে BB1 আপার বলিঙ্গারের নিচে। আর মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত ৩ নাম্বার ক্যান্ডেল বায় ট্রেড দিতে পারেন।
    স্টপ লসঃ
    ৩ নাম্বার ক্যন্ডেলের লো প্রাইসে অর্থাৎ BB1 এর আপার বেন্ডে ৩য় ক্যন্ডেল ক্লোজে আপনি যে বায় অর্ডার দিয়েছেন তার লো একদম লো প্রাইসে স্টপ লস সেট করে দিবেন। অনেকে অবশ্য ৩য় ক্যান্ডেলের লো প্রাইসের ১০-১৫ পিপস নিচে স্টপ লস সেট করে থাকেন, এই ক্ষেত্রে আপনি বলব আপনি প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেই ঠিক করে নিবেন কোথায় স্টপ লস সেট করবেন।
    টেইক প্রফিটঃ
    যে পরিমান স্টপ লস অর্থাৎ যত পিপস স্টপ লস পয়েন্ট সেট করেছেন তার দ্বিগুণ টেইক প্রফিট সেট করে ট্রেডকে ফাইনালি সেট করে নিন। এই ক্ষেত্রে অনেক ট্রেডার আছেন যারা ট্রেইলিং করে থাকেন, যেমন মার্কেট যদি ৫০ পিপস আপনার অনুকুলে যায় তখন স্টপ লসও ৫০ পিপস ট্রেইল করে করে এইভাবে দীর্ঘ মেয়াদি প্রায় ২০০-৫০০ পিপস পর্যন্ত বা তার ও বেশি প্রফিট নিয়ে থাকেন।
    এইভাবে লং ট্রেড করবেন, এর শর্ট ট্রেডের কথা আশা করি আর বলতে হবে না, লং ট্রেড যেভাবে করেছেন তার বিপরীত নিয়মে BB1 লাওয়ার বেন্ডের মাধ্যমে শর্ট ট্রেড করবেন।
    পদ্ধতিটি অনেক সুপার কাজ করে যদি ঠিক মত অনুশীলন করে ব্যাবহার করতে পারেন তাহলে নিশ্চিত ভালো প্রফিট নিতে পারবেন।
    View the full article
    View the full article
  13. Like
    Mhafiz™ got a reaction from sadwaves in বলিঙ্গার বেন্ড স্কেল্পিং- Bollinger bands scalping নিশ্চিত প্রফিট- A-Z ফরেক্স এক্সপার্ট ট্রেডিং – ( পোস্ট পর্ব ৪ )   
    বলিঙ্গার বেন্ড এর ধারাবাহিক আলোচনায় আপনাদেরকে আবারো স্বাগতম। প্রত্যেক পোস্ট এর পূর্বে আমি একটি কথা বলে নেয় সেটা হচ্ছে যেহেতু ধারাবাহিক পোস্ট তাই আগের পর্ব গুলো পড়ে নেওয়া। এতে করে আপনি একটি ডিসিপ্লিন এ থাকবেন।
    যাহোক আজকের পর্বে আলোচনা করবো বলিঙ্গার বেন্ডস স্কেল্পিং ট্রেডিং সম্পর্কে। যারা নিয়মিত ট্রেড করেন তারা আশা করি জানেন যে স্কেল্পিং কি, সংক্ষেপে একটু বলে নিচ্ছি, স্কেল্পিং হল অনেকটা শর্ট টাইম বেসিস সুবিধাভোগী ট্রেড, যেমন ১-২ মিনিট সময় স্থায়িত্তের কিংবা সর্বচ্চো ৫ মিনিট সময় ব্যাপ্তি মার্কেট এর ভিবিন্ন স্কেলে যেসব ট্রেড হয় তাই হল স্কেল্পিং। অনেক অনেক স্ট্রেটিজি এবং টুলস এর মাধ্যমে স্কেল্পিং করা যায়, আমি আলোচনা করবো বলিঙ্গার বেন্ড দিয়ে কিভাবে স্কেল্পিং হতে পারে।
    এই মেথডটি খুব সিম্পল এবং সহজ তাই এইখানে বেশি আলোচনা করব না, স্ট্রেটিজিটির জন্য মুলত আপনার প্রয়োজন একটি চার্ট সেটিং যার মাধ্যমে আপনার ট্রেডগুলো হবে, তবে আরেকটি বিষয়টি মাথায় রাখবেন স্কেল্পিং ট্রেড যেমন অনেক প্রফিটেবল তেমনি অনেকটা রিস্কি বটে তাই সাবধান থাকবেন। এবং আরো মাথায় রাখবেন আপনার প্রতিটি ট্রেড কিন্তু সফল হবে না যেমন ধরুন ৫টি ট্রেড করলেন এই পদ্ধতিতে তারমধ্যে ১ বা ২ টি ট্রেড লস হতে পারে। ভালো অভিজ্ঞতা নিয়ে করলে হয়ত ১টির বেশি ট্রেড লস হবে না।

    বেন্ড রেঞ্জ ঢালু এরিয়া (Slope) থেকে যখন প্রাইস আপ হয় তখন বায় ট্রেড আর যখন বেন্ড এরিয়ার দিকে প্রাইস ডাউন হয় তখন সেল ট্রেড করতে হয়, আসুন কিভাবে তা করতে হয় ভালোভাবে দেখি। আমার মতে স্কেল্পিং ট্রেডার জন্য সবচেয়ে ভালো কারেন্সি হল EUR/USD & GBP/USD. আরেকটি বিষয় মনে রাখবে নিউজ আওয়ারে স্কেল্পিং ট্রেড না করাই ভালো।
    চার্ট সেটআপঃ
    কারেন্সি পেয়ারঃ  EUR/USD, GBP/USD
    ট্রেডিং সেশনঃ  London
    টাইমফ্রেমঃ ৫ মিনিট
    ট্রেডিং রুলসঃ লং ট্রেড
    বলিঙ্গার বেন্ড অবশ্যই আপ ট্রেন্ডি (Slope up) হতে হবে; প্রাইস যখন উপর থেকে বলিঙ্গার মিডল বেন্ড টাচ করবে তখন বায় অর্ডার করুন; ১৫ পিপস স্টপ লস সেট করুন; আপার বেন্ড পর্যন্ত টেইক প্রফিট নিন; ট্রেডিং রুলসঃ শর্ট ট্রেড
    বলিঙ্গার বেন্ড অবশ্যই ডাউন ট্রেন্ডি (Slope Down) হতে হবে; প্রাইস যখন নিচ থেকে বলিঙ্গার মিডল বেন্ড টাচ করবে তখন সেল ট্রেড অর্ডার করুন; ১৫ পিপস স্টপ লস সেট করুন; লাওয়ার বেন্ড পর্যন্ত টেইক প্রফিট নিন; এই পদ্ধতিটি অবশ্যই আগে ডেমোতে অনুশীলন করবেন কারন স্ট্রেটিজিটি আপনি আপনার মত করে ব্যাবহার করবেন কিছু ডেমো ট্রেড করলে বিষয়টি বাস্তবিকভাবে আরো কি পরিবর্তন হওয়ার দরকার নিজেই বুঝে যাবেন তারপর লাইভ ট্রেডে যাবেন।

    আসুন এইবার ছবিটি বিশ্লেষণ করি,
    ট্রেড ১;
    Slope up ট্রেন্ডে প্রথম ট্রেডটি বায় করা হয়েছে ১.৩৯৮১ মিডল বেন্ড থেকে
    স্টপ লস লাওয়ার বেন্ড অর্থাৎ ১৫ পিপস ছিল
    ট্রেডটি ক্লোজ করা হয়েছে ১.৩৯৯৯ প্রাইসে, ১৮  পিপস প্রফিট;
    ট্রেড ২;
    Slope Down ট্রেন্ডে ২য় ট্রেডটি সেল অর্ডার করা হয়েছে ১.৩৯৮৬ মিডল বেন্ড থেকে
    স্টপ লস আপার বেন্ড অর্থাৎ ১৫ পিপস ছিল
    ট্রেডটি ক্লোজ করা হয়েছে ১.৩৯৭১ প্রাইসে, ১৫  পিপস প্রফিট;
     
    এইভাবে মোট ৬ টি ট্রেড করা হয়েছে যারমধ্যে লস ছিল ১টি ট্রেড , মোট ৭০+ পিপস প্রফিট হয়েছে। পদ্ধতিটি খুবই সহজ, ভালো অনুশীলন আর মাধ্যমে প্রফিট করে নিতে পারেন সহজে ।
  14. Like
    Mhafiz™ got a reaction from sadwaves in বলিঙ্গার বাউন্স - নিশ্চিত প্রফিট (Bolinger Bounce) A-Z ফরেক্স এক্সপার্ট ট্রেডিং – ( পোস্ট পর্ব ২ )   
    প্রথম পর্বে আমি আলোচনা করেছিলাম, বলিঙ্গার বেন্ড পরিচিত, মুভিং এভারেজ এবং ডিভিয়েশন সম্পর্কে। তারই ধারাবাহিক আলোচনা হিসেবে আজ শিখবো বলিঙ্গার বাউন্স ট্রেডিং স্ট্রেটিজি, মনে রাখবেন বলিঙ্গার বেন্ড ভালোভাবে বুঝে গেলে অনেক ভালো ভাবে ট্রেড করতে পারবেন এই টুলসটি দিয়ে।
     বলিঙ্গার বাউন্সঃ
    বলিঙ্গার বেন্ড দিয়ে আপনি যখন ট্রেড করবেন তখন দেখবেন প্রাইস মেক্সিমাম টাইম বলিঙ্গার বেন্ড ডিবিয়েশন ২ এর মধ্যে থাকে, হ্যাঁ কারন ১৫-২০% সময় বলিঙ্গার বেন্ড পেনিট্রেশন বা অনুপ্রবেশ হয় অর্থাৎ বেন্ড এর বাইরে প্রাইস চলে যায়। বাকি সময়টা প্রাইস বলিঙ্গার বেন্ডের মধ্যই আপ/ডাউন করে থাকে। যেহেতু মেক্সিমাম সময়ে প্রাইস বলিঙ্গার বেন্ড সীমানার মধ্যই অবস্থান করে, তাই বেন্ড ট্রেডিং এর একটি সফল স্ট্রেটিজি হল, প্রাইস যখন লাওয়ার বলিঙ্গারকে টাচ করে তখন মার্কেট বায় করুন এবং সেল করুন প্রাইস যখন আপার বলিঙ্গারকে টাচ করে।

    উপরের চিত্রটি দেখুন তার অনেকগুলো উদহারন আছে, লক্ষ্য করুন, প্রাইস যখন আউটার বেন্ড টাচ করে তখন তা আবার রিট্রেস করে বা বাউন্স করে আপজিট ডিরেকশনে চলে যাচ্ছে, এটাই কিন্তু মেক্সিমাম সময় ঘটে থাকে। যাহোক এইখানেই শেষ নয়, এই আমরা দেখবো আরো ২-১টি টুলস কে কাজে লাগিয়ে কিভাবে বলিঙ্গার বাউন্স ট্রেডকে আরো শক্তিশালী এবং সফল করা যায়।
     RSI এবং Candlestick দিয়ে বলিঙ্গার বাউন্স ট্রেডিং স্ট্রেটিজিঃ
    উপরে আমি একটি কথা বলেছি যে আপনার বলিঙ্গার টাচ করলে সেল ট্রেড এবং লাওয়ার বলিঙ্গার টাচ করলে বায় ট্রেড , হ্যাঁ মিথ্যা নয় তবে সময় সময় এই পদ্ধিতিতে ট্রেড সুফল নয়, কারন স্ট্রং ট্রেন্ড অনেক্ষন একটা বেন্ডে রাইড করে বা কন্টিনিউ করে তখন আপনার সেল/বায় ট্রেড কিন্তু আপনার ট্রেডিং গতিতে উল্টো বিহেইব করতে পারে। তখন প্রাইস মুভিং এর মাধ্যমে বলিঙ্গার বেন্ড টাচ বা এক্সিড করার মাধ্যমে একটার পর একটি হাই এবং একটার পর একটা লো তৈরি করে। তাই এই স্ট্রং ট্রেন্ড ট্রেডিং হলে আমরা আমাদের ট্রেড কনফার্ম এর জন্য RSI এবং কিছু ক্যান্ডেল ব্যাবহার করব।
    আপনি যদি বাউন্স ট্রেড করতে চান, আপনার ট্রেডকে নিশ্চিত করার জন্য RSI এর ব্যাবহার গুরুত্তপুর্ন। অনেক ক্ষেত্রে বাউন্স ট্রেডে আমরা RSI’র দিকে খেয়াল করি না যে RSI কি অভারবট/অভারসল্ড। যার কারন আপনার ট্রেডটি নেগেটিভ হয়ে যায়। ট্রেড অর্ডার এর আগে অবশ্যই খেয়াল করতে হবে বর্তমান ট্রেন্ডে প্রাইস কতটা স্টং বা উইক।
    কার্যকারী অপশন ১  
    তাই সেল/বায় ট্রেডের ক্ষেত্রে লক্ষ্য করবেন প্রাইস যদি আপার বলিঙ্গার কে টাচ/ছেদ করে এবং RSI প্রাইস উইকনেস লেভেল ৫০-৮০ তে ফলিং থাকে সেই ক্ষেত্রে সেল ট্রেড করতে পারেন, আবার বিপরীতভাবে, প্রাইস যদি লাওয়ার বলিঙ্গারকে টাচ/ছেদ করে এবং RSI স্ট্রেনথ যদি ৩০-৫০ তে রাইজিং থাকে তাহলে বায়/লং ট্রেড করতে পারেন।
    কার্যকারী অপশন ২
    আরো অপেক্ষা করে ক্যান্ডেলস্টিক রিভার্সেল কনফার্ম এর মাধ্যমে বলিঙ্গার বাউন্স ট্রেডকে করতে পারেন আরো শক্তিশালী । এই ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন ক্যান্ডেল যদি আপার বেন্ড ছেদ করে এবং ক্যান্ডেলটি বেয়ারিশ কিনা, আবার লাওয়ার বেন্ড ছেদ করলে ক্যান্ডেল্টি বুলিশ কিনা। এর যদি মার্কেট নতুন হাই/লো তৈরি করে তাহলে ঐ সময়ে ট্রেডে এন্টার না করাই উত্তম। ক্যান্ডেলস্টিক যখন বেয়ারিশ/বুলিশ ফরমেশন পাবেন তখনি ট্রেডে এন্টার করবেন।
    ক্যান্ডেলটি যদি  LONG FILL বডি হয় বা  LONG UPPER SHADOW হয় তাহলে শর্ট/সেল ট্রেড করবেন। আর যদি ক্যান্ডেলটি লং  EMPTY বডি হয় এবং  LONG LOWER SHADOW হয় তাহলে লং/বায় ট্রেড করবেন।
    বলিঙ্গার বাউন্স টাইম ফ্রেইমঃ
    বলিঙ্গার বাউন্স যে কোন টাইম ফ্রেমেই করতে পারেন। চার্টে আপনি এই ধরনের অনেক সুযোগ পাবেন ট্রেড করার জন্য। বেন্ড যত বেশী স্ট্রং হবে আপনার ট্রেডটি ততবেশি সফল হবে। শর্ট টাইম ফ্রেইম বুলিঙ্গার বাউন্স থেকে লং টাইম ফ্রেইম বলিঙ্গার বাউন্স অনেক বেশী কার্যকারী। এই ক্ষেত্রে ৪ ঘন্টার টাইম ফ্রেম হতে পারে সবচেয়ে সন্তোষজনক।
    এই চুলুন দেখা যাক উপরোক্ত আলোচনার আলোকে কিভাবে বলিঙ্গার বাউন্স ট্রেডে এন্টার এবং ইক্সিট করবেন তার একটা সারাংশ দেখা যাক।
    বুলিশ বাউন্স ট্রেড এন্টারঃ
     
    কারেন্সিটি আপট্রেন্ড হতে হবে। কারেন্সি লাওয়ার বলিঙ্গার এর খুব নিকটে বা টাচ করেছে। RSI লেভেল ৩০-৫০ এর নিচে এবং উর্ধমুখী। ক্যান্ডেল প্যাটার্ন বুলিশ রিভার্সেল। বুলিশ বাউন্স ট্রেড এক্সিট
    লাওয়ার বলিঙ্গার এর ২০ পিপস নিচে স্টপ লস সেট করবেন, যা আনুমানি ৫০-৮০ পিপস হতে পারে। ১০০-১৫০ পিপস পর্যন্ত ট্রেইক প্রফিট সেট করবেন তবে অবশ্যই আরেকটি বলিঙ্গার রিভার্স তৈরি হওয়ার আগে। বেয়ারিশ বাউন্স ট্রেড এন্টারঃ
     
    কারেন্সিটি ডাউনট্রেন্ড হতে হবে। কারেন্সি আপার বলিঙ্গার এর খুব নিকটে বা টাচ করেছে। RSI লেভেল ৫০-৮০ এর উপরে এবং নিম্নমুখী। ক্যান্ডেল প্যাটার্ন বেয়ারিশ রিভার্সেল। বেয়ারিশ বাউন্স ট্রেড এক্সিটঃ
    আপার বলিঙ্গার এর ২০ পিপস উপরে স্টপ লস সেট করবেন, যা আনুমানি ৫০-৮০ পিপস। ১০০-১৫০ পিপস পর্যন্ত ট্রেইক প্রফিট সেট করবেন তবে অবশ্যই আরেকটি বলিঙ্গার রিভার্স তৈরি হওয়ার আগে।  
    বি.দ্রঃ  উক্ত স্ট্রেটেজিতে বলিঙ্গার বাউন্স ট্রেডিং দৈনিক ১-২ টির বেশী ট্রেড করবেন না।
     
  15. Like
    Mhafiz™ got a reaction from sadwaves in ভালো ট্রেডার হওয়ার ১২ টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস   
    ১। বেসিক থেকে শুরু করুন।
    খুব সহজে বলতে হয় যে একজন ট্রেডার হতে হলে প্রথমে আপনাকে ফরেক্স মারকেট বেসিক টার্মগুলো জানতে হবে। রেগুলার অর্থাৎ ডেইলি বেসিসে আপনি আস্তে আস্তে বিষয় গুলো শিখবেন কোন রকম তাড়াহুড়ো ছাড়া। একদিনে একসাথে সব গুলো বিষয় শিখে বিশাল জ্ঞানী হওয়ার চিন্তা বাদ দিন। সময় নিন , খুব বেশি এক্সসাইটেড হবেন না।

    ২। দ্রুত লাভ করার চিন্তা ত্যাগ করুন, অভিজ্ঞতা তৈরি করে আস্তে আস্তে লাভ করতে শিখুন।
    আপনি যদি ভেবে থাকেন যে ফরেক্স হল শর্টকাটে এবং কম সময়ে ধনী হওয়ার একমাত্র পথ তাহলে আপনি ভুল করছেন। প্রথমে বিষয়টা ভালো ভাবে আয়ত্তে আনুন অভিজ্ঞতা অর্জন করুন। শুধু মাত্র ফরেক্স নয় যেকোন ক্যারিয়ারে আপনি যত সময় ব্যয় করবেন আপনি তত বেশি লাভবান হবেন। আপনার বন্ধু যে সময়ে ১০০ পিপস অর্জন করে ঠিক একই সময়ে আপনি মাত্র কয়েক পিপস মেইক করেন, পার্থক্যটা কি? পার্থক্যটা হল অভিজ্ঞতা ! আপনার বন্ধু গত ৫ বছর ধরে ট্রেড করে আর আপনি সেই কয়েকদিন হল শুরু করেছেন।
    মনে রাখবেন ফরেক্স হল একটি ক্যারিয়ার , রাতারাতি বড়লোক হওয়ার কোন স্কিম নয়।

    ৩। এক্সপার্ট হউন।
    শিখার শুরুতে অনেকে প্রথমেই খুজে বেড়ান এক্সপার্টদের, ভাবেন একজন এক্সপার্ট এর ছায়া পেলে বুঝি অল্প সময়ে আপনিও এক্সপার্ট হয়ে উঠবেন, বিষয়টা পুরোপুরি অস্বীকার করছি না। তবে এক্সপার্ট হওয়ার সুপ্ত বাসনায় আপনার এক্সপার্ট হওয়ার পথে একধাপ। দিনে দিনে আপনার স্বাভাবিক শিখার ফলাফলই হচ্ছে এক্সপার্ট এর আরেক রুপ। কারন অভিজ্ঞতার আলোকেই এক্সপার্ট হওয়া যায় তাই নিজ অভিজ্ঞতা গুনে আপনার স্বপ্ন সফল করুন। এক্সপার্ট এর অভিজ্ঞতা তার সম্পূর্ণ নিজের আপনি যতক্ষণ পর্যন্ত নিজে ঐ পথ পাড়ি দিবেন না ততক্ষণ পর্যন্ত তা কেবল আপনার স্বপ্নই থেকে যাবে।

    ৪। নিজের এনালাইসিস ব্যাবহার করুন।
    অন্ধের মত আরেকজনকে ফলো করা আপনাকে অন্ধই করে তুলবে। আপনার লক্ষ্য হল একজন সফল ট্রেডার হওয়া তাই এনালাইসিস মেথডগুলো ভালো ভাবে রপ্ত করে নিজেই নিজের ট্রেড এনালাইসিস করুন। নিজের আনালাইসিসে ট্রেড করতে সমর্থ হলে আপনার এনালাইসিসই আপনাকে প্রফেশনাল ট্রেডার করে তুলবে। স্ব – ঘোষিত কোন গুরুকে অন্ধের মত ফলো করলে গুরু যখন তার টিপস প্রদান বন্ধ করে দিবে তখন আপনি কিভাবে ট্রেড করবেন। তাই নিজেই নিজের গুরু হুউন।

    ৫। ডেমো
    সব কথার শ্রেষ্ঠ কথা হল ডেমো ট্রেডিং। ডেমো ট্রেডিং আপনাকে আপনার নতুন ট্রেডিং এর ভুল গুলো ধরিয়ে দিবে এবং ট্রেডিং এ খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করতে সাহায্য করবে। ডেমো ট্রেড ভিবিন্ন ব্রোকারের লাইভ ট্রেড থেকে সুপার যেমন ভালো আক্সিকিউশন স্পীড। প্রত্যেক ট্রেডিং মেথড এর টেস্ট হল ডেমো। ডেমো সাকসেস রেইট ভালো হলে তা লাইভ ট্রেডে ব্যাবহার করুন। আপনার যত স্টাইল আছে তা সর্বপ্রথম ডেমোতে ব্যাবহার করুন। যেমন ইচ্ছে ট্রেড গুলো ডেমোতে ফলান। তারপর সিলেক্ট করুন কোন স্ট্রেটিজি গুলো রিয়েল ট্রেডে ব্যবহার করুন।

    ৬। ভুল থেকে শিখুন
    প্রতিবারের টেস্ট ট্রেড গুলোর সাকসেস এবং ফেইলার নোট নিন। পরপর তিনটি ব্যর্থ ট্রেডে কিছু সময়ের জন্য (আরো বেশি হতে পারে) ট্রেড থেকে অবসর নিন। এবং ব্রেকের পরে ঠান্ডা মাথায় আবার সময় দিন। তিনবার লস ট্রেডিং মেথড এ চতুর্থ বারের সাকসেস চিন্তা করে লাইভ করতে জাবেন না। লস ট্রেডগুলো নিয়ে এনালাইসিস শুরু করেন, ভুলটা কোথায় ছিল বা কেনো ঠিক কাজ করেনি। যথাঝথ কারন বের করে ভুল গুলো শুদ্রে পরবর্তী ট্রেডে অগ্রসর হউন।

    ৭। ভালো মেথড তৈরি করুন।
    নতুন বেশিরভাগ ট্রেডাররা প্রথমে লস করে। কারন হল অধিক উত্তেজনা, অতিরিক্ত চাহিদা এবং প্রপার সময়ের আগে ট্রেড করা। তাই বলছি, অধিক পরিমানে উত্তেজিত হয়ে ট্রেড না করে, আগে বিষয়গুলো ভালোভাবে আয়ত্তে আনুন, অভিজ্ঞতা নিন এবং মিনিমাম রিস্কে ট্রেড শুরু করুন। প্রতিবার ট্রেড করার পূর্বে ঠিক করুন এবং চেক করে নিন ট্রেডিং হাতিয়ার(স্ট্রেটিজি) ঠিক আছে কিনা। ট্রেডটি থেকে কত আশা করেন ইত্যাদি সবকিছু।

    ৮। নিজের মেথডে স্ট্রিক থাকুন।
    প্রত্তেক ট্রেডিং মেথডের ভালো এবং খারাপ আছে। কোন ট্রেডিং মেথডই ১০০% প্রফিটেবল নয়। আপনার ট্রেডিং মেথডের ১০টি ট্রেডের মধ্যে ৭টি প্রফিট এবং ৩ টি লস আছে, আপনি সাকসেস। কখনো আপনার ট্রেডিং সাকসেস রেইট আরো কমে জেতে পারে সেই ক্ষেত্রে নিরাশ বা উত্তেজিত না হয়ে মারকেট চেঞ্জ বুঝে স্ট্রেটিজি আপডেট করুন এবং নিজের স্ট্রেটিজিতে স্ট্রিক থাকুন কারন আপনার স্ট্রেটিজি কতটুকু ফলফ্রুস তা কেবল আপনিই জানেন।

    ৯। সবকিছু সহজভাবে চিন্তা করুন।
    আপনার ট্রেডিং কে কোনভাবেই খুব বেশি কঠিন ভাবার কোন কারন নেই। সহজ ভাবে শুরু করুন দেখবেন আসলেই সহজ, মনে অঝথা কোন ভিতি সৃষ্টি দরকার নেই। নিজের সুবিধামত সময় নির্ধারণ করে ট্রেডে সময় দিন। সময় কম দিন কিন্তু তা জেনো ইফেক্টিভ হয়। অর্থাৎ যদি সময় বেশি দিতে না পারেন তাহলে যতটুকু দিবেন তা শুধু ট্রেডিং আর জন্য ব্যায় করুন। নতুন কোন স্ট্রেটিজির সূচনা করতে চাইলে আগে তা সময় নিয়ে সহজভাবে চিন্তা করুন, এনালাইসিস করে ঠিক করুন, ডেমোতে ফলাফল নিশ্চিত হউন। এবং সিদ্ধান্ত নিন।

    ১০। একটি পেয়ারে ট্রেড করুন।
    অনেকগুলো ট্রেড একসঙ্গে শুরু করে নিজের রিস্ক লেভেল এবং মাথায় অতিরিক্ত চাপ নিবেন না। তাই শুধুমাত্র একটি পেয়ার পছন্দ করুন ট্রেডিং আর জন্য। অনেক গুলো কারেন্সিই একসাথে ট্রেডের উপযোগী বলে মনে হতে পারে, কিন্তু ঐ কারেন্সি পেয়ার নিয়ে ট্রেড করুন যার সম্পর্কে আপনার ধারনা ভাল। একসাথে যদি ৪-৫টি পেয়ার নিয়ে ট্রেড করেন তাহলে আপনি ভালভাবে কোন পেয়ারের ক্যারেক্টার বুঝতে পারবেন না। এবং মিসগাইড হয়ে শেষ পর্যন্ত ট্রেড লস করবেন।

    ১১। একটি নির্দিষ্ট টাইমফ্রেমে ট্রেড করুন।
    একটি নির্দিষ্ট টাইমফ্রেমে ট্রেড প্রাকটিস করবেন , কারন সিঙ্গেল টাইমফ্রেমে ট্রেডের অনেকগুলো সুবিধা আছে যেমন, একক টাইমফ্রেমে ট্রেডিং এ আপনি পুরোপুরি মনোযোগ দিতে পারবেন যেখানে অনেকগুলো টাইমফ্রেম আপনাকে কিছুটা হলে কনফিউসড করতে পারে। একটি টাইমফ্রেম আপনাকে এনালাইসিসে ও হেল্প করবে প্রপার ডিসিশন নিতে, কারন একই চার্ট ভিন্ন ভিন্ন টাইমফ্রেমে ভিন্ন ভিন্ন এনালাইসিস আর সূচনা করবে, তাই বিশেষ করে নতুনদের জন্য একটি টাইমফ্রেমে ট্রেডিং খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় ।

    ১২। ট্রেডিং চার্ট পরিষ্কার রাখুন।
    অনেক নতুন ট্রেডাররা মনে করে চার্টে যত বেশি ইনডিকেটর রাখা যায় তত ভালো, আসলে বিষয়টা এমন নয়, চার্টে ২-৩টির বেশি ইন্ডিকেটর রেখে চার্টকে এলোমেলো করে ট্রেডিং করাটা বুদ্ধিমানের কাজ নয় বরং অনেকগুলো ইনডিকেটর আপনাকে মিসগাইড করবে, আপনি ডিসিশন নিতে পারবেন না, তাই ২-৩ টি ইন্ডিকেটর আর ক্যারেক্টার বুঝে অভিজ্ঞতার আলোকে ফাইনাল করুন। মুলত ট্রেডে ইন্ডিকেটর ব্যবহার আপনার জন্য বাধ্যতামূলক নয়, এটা শুধুমাত্র ব্যবহার হয় আপনার ট্রেডিং ডিসিশনকে স্মুথ করার জন্য। কারন অনেক অনেক ট্রেডার আছে যারা কোন ইন্ডিকেটর ব্যবহার না করেই ট্রেডিং সাকসেস রেইট ৮০% এ ট্রেড করছে। আপনাকে বলছি না যে আপনি সব ইন্ডিকেটর রিমুভ করে ট্রেড করুন, ভালো ট্রেডার হতে হলে প্রথম পর্যায়ে আপনাকেও ২-৩টি ইন্ডিকেটর ব্যবহার করতে হবে। ভালো ট্রেডিং আর জন্য সাপোর্ট অ্যান্ড রেসিসটেনস লাইন গুলো ভালোভাবে বুঝুন।
  16. Like
    Mhafiz™ got a reaction from ekhra in প্রফেশনাল ফরেক্স ট্রেডিং নাকি গেম্বলিং ! (পর্ব - ১)   
    প্রফেশনাল ফরেক্স ট্রেডিং  নাকি গেম্বলিং ! (পর্ব - ১)
    কারেন্সি ট্রেডিং মার্কেট ফরেক্স, ভিবিন্ন দেশের অর্থনীতির চাকার পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিবর্তন হয় নির্দিষ্ট কারেন্সির আর সেই সাথে ট্রেডাররা স্বস্ব কারেন্সির উর্ধগতিক বা নিম্নগতিক পার্থকেই করে থাকেন প্রফিট বা লস। এটাই ফরেক্স মার্কেটের মুল তত্ত। তাইতো ! তাহলে গেম্বলিং শব্দটার ব্যাবহার এই মার্কেটে কতটুকু শোভনীয়।হাঁ আজকে মুলত আপনাদের সাথে আলোচনা করব আপনি কি ফরেক্স ট্রেডার নাকি গেম্বলার। অর্থাৎ আপনার ট্রেডিং কি আপনাকে ট্রেডার রুপে তৈরি করছে নাকি আসলে আপনাকে গেম্বলার বানাচ্ছে।
     
    ফরেক্স ট্রেডিং কি আপনার আসক্তি নাকি ভালো লাগা, কারন দুটিই কারনেই আপনি এই মার্কেটে ঝুঁকতে পারেন, তবে আপনি বার বার লস করার পর ও যদি ইনভেস্ট করেন তাহলে আপনি এডিক্টেড টু ফরেক্স এবং বাকি থাকলো ভালো লাগা মানে প্রফিট করতে পারছেন তাই ভালো লাগছে। কি আপনার বুঝতে পারছেন না আসলে আমি কি বোঝাতে চাইছি? না কনফিউসড করতে চাইছি না, আমি আসলে বলতে চাইছি ফরেক্স মার্কেটে আপনার বর্তমান অবস্থান কি কিংবা আসলে কি হওয়া উচিত। তাই আসক্তি , গেম্বলিং এবং ট্রেডিং শব্দগুলো ডেকেছি।
     
    আপনি $1000 ইনভেস্ট করেছেন তারপর একটি বিস্ফোরণ করতে চেয়েছেন কিন্তু না কাজে লাগে নি তাই আবার $1000  ইনভেস্ট করলেন এবং আপনি প্রতিনিয়ত এই কাজটি করছেন আপনার ট্রেডিং স্টাইল স্ট্রেটিজির কোন  পরিবর্তন না করেই। আপনি দিনের পর দিন একই কাজ করে যাচ্ছেন যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি প্রফিট করতে পারছেন।
     

     
    ঠিক তার উল্টোটা ও হতে পারে অর্থাৎ আপনি  $1000 ইনভেস্ট করেছেন আর প্রথম বিস্ফোরণেই আপনার এমাউন্ট হয়ে গেল ডাবল তারপর দ্বিতীয় বা তৃতীয় বিস্ফোরণে হয় আপনি আরো রাইজ হয়েছেন অথবা প্রথম কাজটি করে যাচ্ছেন। আর এভাবেই আপনি নিজের অজান্তেই করে যাচ্ছেন গেম্বলিং। আর এই প্রকারের ফরেক্স ট্রেডিং একাউন্ট শুধুমাত্র মানিটারি সমস্যাই নয় এটা এক ধরনের পাগলামি। তাই আপনার জন্য আইন্সটেন’এর একটি বক্তব্য উৎসর্গ করলাম।
     
    Einstein said “Doing the same thing over and over again and expecting different results is the definition of insanity”
     
    যেকোন ব্যবসা যেখানে আপনি নিজেই আপনার বস যেমন ফরেক্স ট্রেডিং যেখানে আপনার বেসিক কোন রুলস থাকে না সেই ব্যবসা আপনাকে জুয়াড়ি রুপে প্রণোদিত করতে পারে। এই ক্ষেত্রে আমি আপনার দোষ দিতে চাই না আমি শুধু কিছু আলোচনার মাধ্যমে আপনাকে সাহায্য করব আপনি কি ফরেক্স মার্কেটে একজন প্রফেশনাল ট্রেডার হবেন নাকি গেম্বলিং করবেন।
     
    তাহলে আসুন জেনে নেই একজন প্রফেশনাল ট্রেডার এবং একজন গেম্বলার এর মধ্যে পার্থক্য কোথায়;  
     
     
     
    একজন জুয়াড়ি ট্রেডার কি কি করেনঃ
     
    তার কোন ট্রেডিং সীমানা অথবা ট্রেডিং স্ট্রেটিজি নেই। তার কোন ট্রেডিং প্ল্যান নেই অথবা ব্যবহার করেন না। তার কোন ট্রেডিং জার্নাল নেই। রিস্ক ম্যানেজমেন্ট এর প্রতি সামান্য মনযোগ অথবা রিস্ক ম্যানেজমেন্টই করেন না। সব সমই তার ফোকাস থাকে প্রফিট এবং পুরস্কার এর উপর। ট্রেডিং এর সময় প্রচন্ড ইমোশনাল থাকে মার্কেট আপস এবং ডাউন এর উপর। অন্ধের মত বা Y or N পন্থায় ট্রেড ওপেন করে অবাস্তবিক প্রফিট টার্গেট ঠিক করে। যখন তখন ট্রেড করে থাকে। একজন প্রফেশনাল ফরেক্স ট্রেডার কি করেনঃ স্ট্রেটিজি দিয়ে ট্রেড করেন। একটি স্বচ্ছ ট্রেডিং প্ল্যান মোতাবেক ট্রেড করেন। একটি ট্রেডিং জার্নাল দিয়ে ট্রেড করে থাকেন। প্রতি ট্রেডে রিস্ক ম্যানেজ করেন এবং প্রত্যেক ট্রেডে রিস্ক কন্টোল করেন। অতিরিক্ত প্রফিট বা সুবিধার আশায় থাকেন না। ট্রেডে এন্টার করেন তখনি যখন ট্রেডিং অ্যাজ তৈরি হয়। ইমোশন দিয়ে লাভ বা লস বিচার করেন না। ট্রেড হল তার একটি ব্যবসা এইভাবেই ট্রেডিং করে থাকেন।  
    আজ এই পর্যন্ত থাক আগামি দিন বাকি আলোচনা নিয়ে হাজির হব। ধন্যবাদ;
  17. Like
    Mhafiz™ got a reaction from ekhra in ফরেক্স সেরা ৮ টি মেকানিক্যাল এনালাইসিস ইন্ডিকেটর রিভিউ (পর্ব-১)   
    ফরেক্স সেরা ৮ টি মেকানিক্যাল এনালাইসিস ইন্ডিকেটর রিভিউ (পর্ব-১)
     
    ট্রেডিং পজেটিভ করার জন্য জেভাবে পারি স্ট্রেটিজি তৈরি করি, ফলো করি এবং সজাগ থাকি যেন নিজের ট্রেড কখনো নেগেটিভ না হয়ে যায়, আসলে কতজন পারি যে ১০০% নিশ্চিত এনালাইসিস করে ট্রেড চালিয়ে যেতে, উত্তরঃ একজন ও নয়। তাই বলেতো এনালাইসিস থেকে বের হয়ে আন্দাজে ট্রেড করা যাবে না, হ্যাঁ আর এই জন্যই প্রয়োজন ভালো কিছু টূলস দিয়ে নিয়মিত এনালাইসিস করা এবং একটি সুন্দর ট্রেড ওপেন করে প্রফিট নেওয়া। বেশিরভাগ ট্রেডার ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস এর চেয়ে টেকনিক্যাল এনালাইসিস করে ট্রেড ওপেন করে থাকেন, তবে ভালো ট্রেডের জন্য উভয় প্রকারের এনালাইসিস গুরুত্তপুর্ন বটে, তাই আজকে আলোচনা করবো কিছু মেকানিক্যাল টুলস এর সাথে যেগুলো দিয়ে মার্কেট এনালাইসিস মোটামুটি বেশ জমে ছিল গত বছরটাতে।
     
    তাই নতুন বছরের শুরুতে আজকে আপানাদের যারা জানেন না তাদের পরিচয় করিয়ে দেব সেই সব ইন্ডিকেটরের সাথে, আজকের আলোচনায় শুধুমাত্র টুলস গুলোর একটি সাধারন সামারি আলোচনা করব তারপর ধীরে ধীরে পর্ব ভিত্তিক পোস্ট এর মাধ্যমে প্রত্যেকটি ইন্ডিকেটরের বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই বলছি যারা পোস্টটি পড়বেন তারা চেষ্টা করবেন এই সিরিজের সব গুলো পোষ্ট একেএকে শেষ করে নিতে, এতে করে যা হবে তা হল আপনার ট্রেডিং এনালাইসিসের একটি নতুন অধ্যায় রচিত হবে এবং আপনার এনালাইসিস হবে আরো সুন্দর এবং সফল।
     
    টুলসগুলোর সাথে পরিচয় হওয়ার আগে এদের ব্যাকটেস্ট রিপোর্ট দেখে  নিন এক নজরে ।
     

     
    ১. Trend is your Friend: এটি খুব সহজ এবং সাধারনভাবে ব্যাবহারীত একটি ট্রেডিং পদ্ধতি যেখানে, EMA (Exponential Moving Average) এবং RSI (Relative Strength Index) সমন্বয়ে ট্রেড করে ভালো প্রফিট নেওয়া যায়।
     
    ২. MACD Divergence System: এডভান্সড ট্রেডারদের জন্য MACD & Stochastic এর মিশ্র একটি ফর্মুলায় এই আনালাইসিসটি বেশ উপকারি একটি ট্রেডিং পদ্ধিতি, যা প্রথম অবস্থায় নতুন জন্য একটি জটিল মনে হতে পারে।
     
    ৩. Crossover System V1: প্রথম ভার্সনে এই পদ্ধতি জন্য Parabolic SAR টুলসটি ভালো ভুমিকার সহিত সুফল দিয়ে আসছিল এই ধারায় নতুন ভার্সন।
     
    ৪. Crossover System V2: মুলত পুর্ববর্তী ভার্সনকে একটু আপডেট করে আরো এনালিস্ট নির্ভর করে নতুন ভার্সনটি বেশ ভালো এনালাইসিসে পজেটিভ ট্রেড নির্ভর ভুমিকা রেখেছে। পরবর্তী আলোচায় পরিস্কার ধারনা দিব।
     
    ৫. Amazing Crossover System V3: মার্কেট কারেকশন ফর্মুলায় একীভূত এই সর্বশেষ সংস্করণটি ট্রেডারদের বেশ মনোযোগ আকর্ষণ করেছে ভালো একটা টেকনিক্যাল এনালাইসিসের জন্য, তাই নতুনরুপে আগের ভার্সনগুলোর সাথে নতুন ফর্মুলায় এনালাইসিস ভালো করছে।
     
    ৬. Triple SMA Crossover V1: মুলত তিনটি সরল মুভিং এভারেজ  অ্যাসেন্ডিং এবং ডিসেন্ডিং এর সমন্বয়ে গঠিত এই এনালাইসিসটি বেশ স্পষ্ট এবং নিখুঁত বায় অ্যান্ড সেল সিগনাল এনালাইসিসে সাহায্য করে থাকে।
     
    ৭. Triple SMA Crossover V2: প্রথম ভার্সনের রিভিশন এর প্রেক্ষিতে শর্ট টাইম SMA’s এর মাধ্যমে ক্রসওভার গুলোকে আরো স্পষ্টভাবে বুঝতে পারা এবং ADX ইন্ডিকেটরের মাধ্যমে এনালাইসিসটিকে করেছে আরো অনেকবেশী পজেটিভ ট্রেড নির্ভর।
     
    ৮. Triple SMA Crossover V3: শেষ এই ভার্সনটির একটা বড় সুবিধা হল এটি আগের ভার্সনের চেয়ে অনেক বেশী ট্রেন্ড নির্ভর আউটলুক করে থাকে, যা পুলব্যাক ট্রেডে ২০% এর বেশী প্রফিট অর্জন করতে সক্ষম।
     
    উপরে আমি আজকে শুধুমাত্র টুলস গুলোর একটি ব্রিফিং দিলাম যখন একটি একটি করে বিস্তারিত আলোচনা করব তখন অনেক ইঞ্জয় করতে পারবেন এবং ট্রেডের ক্ষেত্রে বেশ উপযোগী কিছু সিস্টেম পাবেন আশা করছি।
     
    ধন্যবাদ, সঙ্গেই থাকুন।
  18. Like
    Mhafiz™ got a reaction from ekhra in স্বাগতম ও শুভেচ্ছা !   
    টপিক ওপেন করতে আপনার টপিক এর সাথে সামঞ্জস্য বা সাদৃশ্যতা আছে এমন ফোরাম ক্যাটাগরি বেঁচে নিন, কারন এই ফোরামের সবগুলো সেকশন অর্থাৎ কোন সেকশনে কি আলোচনা হবে তা সংক্ষিপ্তভাবে ফোরাম ক্যাটাগরিতে বর্ণনা করা আছে। যেমনঃ


    এতে করে খুব সহজেই বোঝা যায় যে আপনি কোন সেকশনে কি আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন। আমি কি আপনার পয়েন্টের উত্তর দিতে পেরেছি ?
  19. Like
    Mhafiz™ got a reaction from ekhra in ফরেক্স বিগেনার টু প্রফেশনাল ট্রেডিং – অনলাইন লাইভ কোর্স By Bdforexpro.com   
    বাংলাদেশের প্রথম অধ্যায় ভিত্তিক ফরেক্স শিক্ষার সম্পুর্ন কোর্স ‘ফরেক্স বিগেনার টু প্রফেশনাল ট্রেডিং উইথ ইন্টেনসিভ কেয়ার’ এখন অনলাইন লাইভ কোর্স।
    : কোর্স ফিঃ ৮০০০ টাকা :
    বিশ্ব অর্থবাজার কারেন্সি কেনাবেচার মাধ্যমে প্রফিট করার এই মার্কেট ফরেক্স ট্রেডিং করতে যারা আগ্রহি কিন্তু ভালো কোন সোর্স পাচ্ছেন না কিংবা যারা মোটামুটি জানেন কিন্তু ভালো গাইডলাইনের অভাবে এগুতে পারছেন না তাদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ আমাদের এই কোর্সটি এখন অনলাইন লাইভ ক্লাসের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। প্রত্যেকটি অধ্যায় সাজানো হয়েছে উপযুক্ত লেসন নিয়ে,বেসিক টার্মস,চার্ট প্যাটার্ন,টেকনিক্যাল এনালাইসিস,ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস ও ট্রেডিং টার্মস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট, মাস্টার ট্রেডিং স্ট্রেটিজি এবং প্ল্যান সহ নানা রকম  বিভিন্ন বিষয়ে কোর্সটি অনেক গুরুত্তপুর্ন। বিডিফরেক্সপ্রো’র দীর্ঘ বছর ধরে কোর্সটি পরিচালিত করে আসছে যা এখন অনলাইনে লাইভ কোর্সে পরিচালিত।

    Course conducted and Powered by:
    www.bdforexpro.com
    ফরেক্স নভিস থেকে প্রফেশনাল ট্রেডার রুপে গড়ে উঠতে  আপনার #১ পছন্দ হবে এই কোর্সটি।
     
    কোর্সটি শুরু করতে 
    রেজিস্ট্রেশন করুন
     
     কোর্স সুবিধা এবং অন্যান্যঃ
    ·       ‘ফরেক্স বিগেনার টু প্রফেশনাল ট্রেডিং উইথ ইন্টেনসিভ কেয়ার’ বাংলাদেশের প্রথম লেসন ভিত্তিক ফরেক্স শিক্ষার সম্পুর্ন কোর্স;
    ·       দীর্ঘ বছরের প্রফেশনাল ফরেক্স ট্রেডিং অভিজ্ঞতায় দক্ষতার সাথে ক্লাস পরিচালনা;
    ·       ফরেক্স বিগেনার থেকে প্রফেশনাল ট্রেডিং রুপে গড়তে সহায়ক উপযুক্ত সব লেসন এর সমন্বয়ে সাজানো সম্পুর্ন কোর্স;
    ·       অনলাইন এডভান্সড vartual training সফটওয়ার দ্বারা ১০০% ইন্টার‍্যাক্টিভ ক্লাস প্রদান;
    ·       সপ্তাহে ৩টি ক্লাস মোট ১৫টি ক্লাসের মাধ্যমে সম্পুর্ন কোর্স সমাপ্ত;
    ·       প্রতিটি লেসন শেষে ‘স্কিল টেস্ট’ পরীক্ষার ব্যবস্থা;
    ·       কোর্স পরবর্তী লাইফটাইম স্পেশাল ফোরাম সাপোর্ট ব্যবস্থা;
    ·       ট্রেডিং সহায়ক কোর্স পরবর্তী নতুন নতুন ভিবিন্ন স্ট্রেটিজি প্রদান সুবিধা;
    ·       ট্রেডিং সহায়ক বিশ্ব বিখ্যাত মাস্টার ট্রেডারের ভিডিও ট্রেডিং স্ট্রেটিজি প্রদান;

     
    কোর্স আউটলাইন
     
    # INTERNATIONAL CURRENCY MARKET: Fundamental of Foreign Exchange Market
    ·       What is Foreign Exchange, introducing of currency market.
    ·       Benefits of Forex Market.
    ·       When to trade Forex.
    ·       Leaders of the Foreign Exchange Market.
    ·       How profitable forex trading.
     
    # CURRENCY TRADING BASIC CONCEPT: Buying and Selling
    ·       Currency Pairs & Price, Major/Cross, Direct/Indirect.
    ·       Pips & Values, Lot and Spread.
    ·       Buy & Sell v Ask & Bid
    ·       Margin Call and Roll over.
    ·       Introducing Meta Trader Software – MT4 & MT5
    ·       Order types and Calculating P&L.
    ·       Open your first Trade.
     # TECHNICAL ANALYSIS: Trigging the Trades.
    ·       Understanding Chart Types and benefits.
    ·       Trend, Range and Channel.
    ·       Revel the mystery of Support and Resistance.
    ·       Trend analysis and Trend Line Basic.
    ·       Chart Pattern Analysis – Part 1 (Continuation pattern).
    ·       Chart Pattern Analysis – Part 2 (Reversal Pattern).
    ·       Best Trading with
    o   Moving Average,
    o   Bollinger Bands,
    o   Parabolic SAR &,
    o   Fibonacci Retracement.
    ·       Unparalleled trading system with
    o   Double Bollinger Band
    o   Momentum
    o   MACD,
    o   RSI,
    o   Stochastic.
    # FUNDAMENTAL ANALYSIS: Tailback of your trade.
    ·       Basic of Fundamental analysis and Economic Data
    ·       Major Fundamental Indicators
    Political Influences
    Geopolitical Events
    Commodity Prices
    Mergers & Acquisitions
    Unemployment
    Retail Sales
    Industrial Production
    Consumer Price Index (CPI)
    ·       Economic Calendar analysis and Trading
    ·       Fundamental analysis Issue and Resource
    # TRADING PHILOSOPHY AND THE GLOBAL SYSTEM OF TRADING
    ·       Discipline
    ·       Cut the Losses
    ·       Pull the Trigger
    ·       Short time Trading
    ·       Long time trading
    ·       Trading phase and Key-point trading.
    # MONEY MANAGEMENT 
    ·       Capital Risk
    ·       Profit Taking and Stop Loss Order
    ·       Margin
    # SELECTING A SECURE EXCHANGER (Broker)
    ·       Broker Types
    ·       Regulation Boards
    ·       BROKER SCAM & SOLUTIONS 
    # TRADING PLAN  
    # MASTERING TRADING STRATEGY  
    # REVIEW: Q & A
    # Start happy Trading
    কোর্সটি শুরু করতেঃ রেজিস্ট্রেশন করুন
    For More Query: 01625 343040
    Skype: Bdforexpro
     
    Connect with us:
    www.facebook.com/bdforexpro
    www.google.com/+bdforexpro
  20. Like
    Mhafiz™ got a reaction from ifxarif in bionary option are forex ki same.   
    ফরেক্স ট্রেডিং এবং বাইনারি বা অপশন ট্রেডিং দুটিই আর্থিক বাজারের লাভ এবং লসের সাথে সম্পৃক্ত দুটি পদ্ধতি। তবে উভয় প্রকার ট্রেডিং এর মধ্যকার ব্যবস্থাপনা দুরকম এবং ভিন্ন।
    বাইনারি ট্রেডিং হচ্ছে এমন এক প্রকার ট্রেডিং পদ্ধতি যেখানে আপনার লাভ/লস নির্ভর সম্পূর্ণভাবে আপনার হ্যাঁ এবং না প্রস্তাব/ধারনার উপর। যেখানে আপনার লাভ অথবা লস একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় পরিচালিত হয়। অন্যদিকে, ফরেক্স ট্রেডিং হল একটি সেশনে ওপেন বা ক্লোজ নির্ভর ট্রেডিং পদ্ধতি। যেখানে আপনার লাভ/লস নির্ভর করে অনেকগুলো বিষয়ের উপর যেমন অর্ডার প্রাইস, ক্লোজ প্রাইস, কত শেয়ার, কন্ট্রাক্ট, সাইজ ইত্যাদির উপর। 
    মুলত বাইনারি পদ্ধতিটি ফরেক্স ট্রেডিং এর ভেতর তৈরি আরেকটি পদ্ধতি। যেখানে স্বাভাবিক ট্রেডিং না করে গেম্বলিং পদ্ধতিতে হ্যাঁ/না বা অনুমান করে অনুমান সঠিক বা ভুল এর উপর ভিত্তি করে প্রফিট/লস করা হয়ে থাকে। এই পদ্ধতিটি সরাসরি একটি জুয়া পদ্ধতি। যেহেতু বাইনারি পদ্ধতি ফরেক্স এর ভেতর সৃষ্ট আরেকটি পদ্ধতি তাই এর নিয়ম কানুন সব ফরেক্স ট্রেডিং এর পদ্ধতি। ফরেক্স ট্রেডিং করতে হলে যেমন শিখতে হয় তেমনি আগে শিখতে হবে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন। আরো কিছু জানার থাকলে প্রশ্ন করতে ভুলবেন না , ধন্যবাদ;   
  21. Like
    Mhafiz™ reacted to Balumukherjee in Instaforex মেটা ট্রেডার No Connection problem   
    ইন্সটাফরেক্স ঐ দালাল যা একেবারে ক্লায়েন্টদের জন্য খুব সামান্য বজায় রাখে এক. এটা যেমন কোম্পানির সঙ্গে কাজ করার জন্য পাগল হতে হবে এবং আমরা শুধুমাত্র হারানো শেষ হবে, তাই আমরা এই ধরনের দালাল সঙ্গে কাজ করার সময় অপব্যয় না বা অন্যথায় আমরা শুধুমাত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে ..
  22. Like
    Mhafiz™ got a reaction from Mehedi5502 in bionary option are forex ki same.   
    লক্ষ্য করুন বাইনারি অপশন ট্রেডিং এবং ফরেক্স ট্রেডিং কাজ একই , ফরেক্স জানতে হবে, এনালাইসিস জানতে হবে কারন বাইনারি ট্রেডিং এ অপশন কল করে ট্রেড করতে হয়, যেমন মার্কেট এখন ৫০ পিপস বায় যাবে অথবা সেল এ যাবে অর্থাৎ ট্রেডিং জানতে হবে। তারপর আপনি রেগুলার ট্রেড করেন অথবা বাইনারি করেন আপনার ব্যাপার। 
  23. Like
    Mhafiz™ got a reaction from ekhra in bionary option are forex ki same.   
    ফরেক্স ট্রেডিং এবং বাইনারি বা অপশন ট্রেডিং দুটিই আর্থিক বাজারের লাভ এবং লসের সাথে সম্পৃক্ত দুটি পদ্ধতি। তবে উভয় প্রকার ট্রেডিং এর মধ্যকার ব্যবস্থাপনা দুরকম এবং ভিন্ন।
    বাইনারি ট্রেডিং হচ্ছে এমন এক প্রকার ট্রেডিং পদ্ধতি যেখানে আপনার লাভ/লস নির্ভর সম্পূর্ণভাবে আপনার হ্যাঁ এবং না প্রস্তাব/ধারনার উপর। যেখানে আপনার লাভ অথবা লস একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় পরিচালিত হয়। অন্যদিকে, ফরেক্স ট্রেডিং হল একটি সেশনে ওপেন বা ক্লোজ নির্ভর ট্রেডিং পদ্ধতি। যেখানে আপনার লাভ/লস নির্ভর করে অনেকগুলো বিষয়ের উপর যেমন অর্ডার প্রাইস, ক্লোজ প্রাইস, কত শেয়ার, কন্ট্রাক্ট, সাইজ ইত্যাদির উপর। 
    মুলত বাইনারি পদ্ধতিটি ফরেক্স ট্রেডিং এর ভেতর তৈরি আরেকটি পদ্ধতি। যেখানে স্বাভাবিক ট্রেডিং না করে গেম্বলিং পদ্ধতিতে হ্যাঁ/না বা অনুমান করে অনুমান সঠিক বা ভুল এর উপর ভিত্তি করে প্রফিট/লস করা হয়ে থাকে। এই পদ্ধতিটি সরাসরি একটি জুয়া পদ্ধতি। যেহেতু বাইনারি পদ্ধতি ফরেক্স এর ভেতর সৃষ্ট আরেকটি পদ্ধতি তাই এর নিয়ম কানুন সব ফরেক্স ট্রেডিং এর পদ্ধতি। ফরেক্স ট্রেডিং করতে হলে যেমন শিখতে হয় তেমনি আগে শিখতে হবে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন। আরো কিছু জানার থাকলে প্রশ্ন করতে ভুলবেন না , ধন্যবাদ;   
  24. Like
    Mhafiz™ got a reaction from ekhra in bionary option are forex ki same.   
    লক্ষ্য করুন বাইনারি অপশন ট্রেডিং এবং ফরেক্স ট্রেডিং কাজ একই , ফরেক্স জানতে হবে, এনালাইসিস জানতে হবে কারন বাইনারি ট্রেডিং এ অপশন কল করে ট্রেড করতে হয়, যেমন মার্কেট এখন ৫০ পিপস বায় যাবে অথবা সেল এ যাবে অর্থাৎ ট্রেডিং জানতে হবে। তারপর আপনি রেগুলার ট্রেড করেন অথবা বাইনারি করেন আপনার ব্যাপার। 
  25. Like
    Mhafiz™ got a reaction from Mehedi5502 in bionary option are forex ki same.   
    ফরেক্স ট্রেডিং এবং বাইনারি বা অপশন ট্রেডিং দুটিই আর্থিক বাজারের লাভ এবং লসের সাথে সম্পৃক্ত দুটি পদ্ধতি। তবে উভয় প্রকার ট্রেডিং এর মধ্যকার ব্যবস্থাপনা দুরকম এবং ভিন্ন।
    বাইনারি ট্রেডিং হচ্ছে এমন এক প্রকার ট্রেডিং পদ্ধতি যেখানে আপনার লাভ/লস নির্ভর সম্পূর্ণভাবে আপনার হ্যাঁ এবং না প্রস্তাব/ধারনার উপর। যেখানে আপনার লাভ অথবা লস একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় পরিচালিত হয়। অন্যদিকে, ফরেক্স ট্রেডিং হল একটি সেশনে ওপেন বা ক্লোজ নির্ভর ট্রেডিং পদ্ধতি। যেখানে আপনার লাভ/লস নির্ভর করে অনেকগুলো বিষয়ের উপর যেমন অর্ডার প্রাইস, ক্লোজ প্রাইস, কত শেয়ার, কন্ট্রাক্ট, সাইজ ইত্যাদির উপর। 
    মুলত বাইনারি পদ্ধতিটি ফরেক্স ট্রেডিং এর ভেতর তৈরি আরেকটি পদ্ধতি। যেখানে স্বাভাবিক ট্রেডিং না করে গেম্বলিং পদ্ধতিতে হ্যাঁ/না বা অনুমান করে অনুমান সঠিক বা ভুল এর উপর ভিত্তি করে প্রফিট/লস করা হয়ে থাকে। এই পদ্ধতিটি সরাসরি একটি জুয়া পদ্ধতি। যেহেতু বাইনারি পদ্ধতি ফরেক্স এর ভেতর সৃষ্ট আরেকটি পদ্ধতি তাই এর নিয়ম কানুন সব ফরেক্স ট্রেডিং এর পদ্ধতি। ফরেক্স ট্রেডিং করতে হলে যেমন শিখতে হয় তেমনি আগে শিখতে হবে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন। আরো কিছু জানার থাকলে প্রশ্ন করতে ভুলবেন না , ধন্যবাদ;   
×
×
  • Create New...

Write what you are looking for and press enter or click the search icon to begin your search