Jump to content

হার্ড নাকি সফ্ট- কোন ব্রেক্সিটের দিকে এগুচ্ছে বৃটেন?


Recommended Posts

2gj2jqkz-1475683457.jpg

হার্ড নাকি সফ্ট- কোন ব্রেক্সিটের দিকে এগুচ্ছে বৃটেন?
হার্ড নাকি সফ্ট- কোন ব্রেক্সিটের দিকে এগুচ্ছে বৃটেন? সে জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটতে চলেছে খুব শীগ্রই। আমরাও চেয়ে আছি থেরেসা মে’র সিদ্ধান্তের দিকে।তার এসিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে বৃটেন ও সমগ্র ইউরোপের ভবিষ্যত। এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার প্রয়োজন অনুভব করছিনা । কারন কম-বেশি সকল ফরেক্স ট্রেডারই ইউরোজোনে চলমান সংকট বিষয়ে অবগত আছেন। তথাপি চলুন আমরা এ বিষয়ে সংক্ষিপ্ত পরিসরে কিছু আলোচনা করি।
*/*
হার্ড বা সফ্ট ব্রেক্সিট বলতে আমরা কি বুঝি ?
উত্তরঃ হার্ড ব্রেক্সিট হচ্ছে ইইউ ত্যাগ করে নিজস্ব জাতিস্বত্বা ও জনগনের ভোটের প্রতি শ্রদ্ধা ও সংবিধান সমুন্নত রেখে “একলা চল” নীতিতে হাঁটা। অর্থাৎ এক্ষেত্রে ইইউ থেকে সর্ম্পূন বেরিয়ে যাওয়া।অপর দিকে সফ্ট ব্রেক্সিট বলতে আমরা বুঝি একক বাজার নীতি ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ন ইস্যুতে ইইউর সাথে ঐক্যবদ্ধ থাকা যা ইইউপন্থিদের দাবি।
--/--
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বৃটেন কোন পথে হাঁটবে সে বিষয়ে চুড়ান্ত ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত সঠিক কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র অতীত উক্তি হচ্ছে “ব্রেক্সিট ইজ ব্রেক্সিট” অর্থাৎ জনগণের রায় এড়িয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। সে দৃষ্টিকোন থেকে বৃটেন হার্ড ব্রেক্সিটের দিকেই এগুচ্ছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবে বৃটেনের জন্য চরম হতাশা যে ইইউ থেকে সম্পূর্ন বেরিয়ে যাওয়া তাদের জন্য কখনো সুখকর হবেনা এবং তাদের কে এর জন্য অবশ্যই চড়া মূল্য দিতে হতে পারে, যা ইতোমধ্যেই আমরা পাউন্ডের অবস্থান দেখলেই বুঝতে পারি।
তবে আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে পূর্বে যারা ব্রেক্সিটের বিষয়ে শক্ত অবস্থানে ছিলেন বর্তমানে তাদের অনেকেই এখন নিরব দর্শকের ভুমিকায়। অবশ্যই এর পিছনে অনেকগুলো যৌক্তিক কারনও রয়েছে যা বাস্তবায়ান করা বর্তমানে তাদের জন্য একটি কঠিন চ্যালেঞ্জও বটে। প্রাথমিক অবস্থায় তারা বিষয়টি যতটা সহজ হবে বলে বিশ্বাস করেছিল বর্তমানে তা শুধু মাত্র কল্পনাছাড়া আর কিছুই নয়। এক্ষেত্রে যে কয়েটি বিষয়ে আমরা দৃষ্টি দিতে পারি,
০১) অভিবাসন সমস্যা।
০২) অভিবাসিদের সস্তা শ্রমের ফলে নিজেদের বেকারত্বের হার বৃদ্ধি।
০৩) সিঙ্গেল কারেন্সি ব্যবহার অথবা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে অবাধ বাণিজ্যনীতি।যা হার্ড ব্রেক্সিট নীতি বিরোধী।
০৪) স্কটলান্ডের স্বাধীনতা ইস্যু মাথাচাড়া দিয়ে উঠা সহ ইত্যাদি সমস্যা
---//---
কিন্তু গুরুত্বপূর্ন এসব ইস্যু ছাড়াও বৃটেনের নিরাপত্তা ও ফরেন ফলিসিতে একক ভাবে মার্কিন নির্ভর হয়ে যাওয়াটিও তাদের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ । যা ইউরো জোনের ভিতর রাজনৈতিক সংঘাত সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।
অতএব সার্বিক ভাবে এটা বলা কঠিন যে বৃটেন ইইউ থেকে হার্ড ব্রেক্সিটে বেরিয়ে খুব একটি সুবিধা করতে পারবে । তাছাড়া বর্তমান গ্লোবাল ক্রাইসিসে একচ্ছত্র মার্কিন আধিপত্য বিরাজ করার ফলে বৃটেন যদি মার্কিন নির্ভর হয়ে পড়েও তবে তা কখনো সুখকর হবেনা। এক্ষেত্রে উভয় মুদ্রার মাঝে অদূর ভবিষ্যতে পেয়ারিটিও সৃষ্টি করতে পারে।
তবে বৃটেনের জন্য সান্তনা হলো মার্কিন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ড.ট্রাম্প Times of London newspaper কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বৃটেনর ইইউ থেকে বেরেয়ে যাওয়া কে স্বাগতম জানিয়ে বলেছে

“Trump said that Britain's exit from the European Union would turn out to be a great thing and promised to strike a swift bilateral trade deal with the United Kingdom”
--/--
কারেন্সি ট্রেডারদের সতর্ক দৃষ্টি
চলতি সাপ্তাহে একদিকে হার্ড ব্রেক্সিট,অপর দিকে ফেডের ব্যাংক সূদের হার বৃদ্ধি বিষয়ে আলোচনা ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহন-এর মত গুরুত্বপূর্ন ইভেন্টস সমূহ। যা ট্রেডারদের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং । তবে প্রচুর তারল্যের সম্ভাবনা কে সামনে রেখে ট্রেডারদের জন্য ইভেন্টসগুলো হয়ে উঠতে পারে খুবই লাভজনক। কিন্তু নতুনদের জন্য চলতি সপ্তাহ খুবই বিপজ্জনকও বটে। মার্কেট পজিশন বিশ্লেষনের ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের GBP/USD,EUR/GBP উক্ত দুটি মুদ্রা কে তুলনামূলক ভাবে এগিয়ে রাখতে হবে এবং ব্যাক্তিগত মূল্যায়নে আমি মার্কিন ডলারের বিপক্ষে থাকার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি।
------------------------
Md Mohabbat E Elahi
Aanlytical Expert: Global Forex Market.

Link to comment
Share on other sites

Create an account or sign in to comment

You need to be a member in order to leave a comment

Create an account

Sign up for a new account in our community. It's easy!

Register a new account

Sign in

Already have an account? Sign in here.

Sign In Now
×
×
  • Create New...

Write what you are looking for and press enter or click the search icon to begin your search