MontuZaman Posted March 21, 2022 Report Share Posted March 21, 2022 ২০২২ সালে জুড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পাবে! গত সপ্তাহে, মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ ২০১৮ সালের পর প্রথমবারের মত সুদের হার বৃদ্ধি করেছে। দেশটিতে ব্যাপক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভোক্তা মূল্য সূচক এখন 7.9% -এ রয়েছে এবং বিশ্লেষকদের পাশাপাশি ফেডের পূর্বাভাস অনুযায়ী ভোক্তা মূল্য সূচক বাড়তে থাকবে। অন্য কথায়, সুদের হার একবার বা দুইবার বৃদ্ধি করা হলে সেটি ভোক্তা মূল্য সূচককে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে সক্ষম হবে না। বিশেষজ্ঞরা বর্তমানে এনার্জি এবং জ্বালানি পণ্যের অব্যাহত মূল্য বৃদ্ধির কারণে মুদ্রাস্ফীতি আরও বাড়বে বলে ধারণা করছেন। তেলের মূল্য প্রতি ব্যারেল $130 -এ উঠে আবারও $95 এ নেমে এসেছিল এবং অবশেষে $108-এর স্তর পরীক্ষা করেছে। এরকমটি কেউ ধারণা করতে পারেনি, বিশেষ করে দুই বছর আগে অপরিশোধিত তেল ব্যারেল প্রতি 0 ডলারে লেনদেন করা হয়েছিল। 2021 সালের অক্টোবরে গ্যাসের দাম প্রতি 1,000 ঘনমিটার $6,300 -এ পৌঁছেলেও এখন মূল্য কিছুটা কমেছে। বর্তমানে, প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম প্রতি 1,000 ঘনমিটারে এখন প্রায় $5,000। জ্বালানি পণ্যের বাড়তি মূল্য ফেডারেল রিজার্ভের কড়াকড়ির মতো ধীরে ধীরে মুদ্রাস্ফীতিকে প্রভাবিত করবে। সহজ কথায়, তেলের দাম কয়েক মাসে দ্বিগুণ হয়েছে, এর প্রভাবে মূল্যস্ফীতি 6 মাস থেকে 1 বছরের মধ্যে বাড়তে পারে। এটি সম্ভব হয়েছে এই কারণে যে তেলের ফিউচার কন্ট্র্যাক্ট সাধারণত বেশ কয়েক বছর আগে এবং নির্দিষ্ট মূল্যে ডেলিভারির জন্য ট্রেড করে থাকে। অন্য কথায়, অপরিশোধিত তেলের দাম এখন প্রতি ব্যারেল $108 এর অর্থ এই নয় যে এটি এই দামেই কেনা হয়েছে। সুতরাং, পূর্বে স্বাক্ষরিত কন্ট্র্যাক্ট অনুযায়ী তেলের দাম ব্যারেল প্রতি 60-$70 ডলার। নতুন কন্ট্র্যাক্ট আজ হোক বা কাল হোক সমাপ্ত হবে, এবং ইতিমধ্যে তেলের কন্ট্র্যাক্টের মূল্য প্রায় $110 প্রতি ব্যারেলে পৌঁছেছে। সাধারণভাবে বলতে গেলে, ক্রমবর্ধমান জ্বালানির দাম সামনের দীর্ঘ সময়ের জন্য মূল্যস্ফীতির উপর চাপ সৃষ্টি করবে। সর্বোপরি, ইউরোপীয় অঞ্চল এখন জ্বালানি এবং খাদ্য সংকটের সম্মুখীন কারণ তারা রাশিয়া থেকে জ্বালানি এবং ইউক্রেন থেকে খাদ্য ক্রয় করে থাকে। যেকোন সংকট দেখা দিলে এক সম্পদ থেকে আরেক সম্পদে মূলধনের পুনঃবন্টন দেখা যায়। অতএব, ভবিষ্যতেও বাজারের সাম্প্রতিক ধাক্কার পুনরাবৃত্তি হতে থাকবে। ইউরোপীয় অঞ্চল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়েরই মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে থাকবে। তবে, ইউরোপীয় অঞ্চলের দেশগুলো মূল্যস্ফীতির বিপরীতে কোন পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি। অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গৃহীত মুদ্রা নীতিমালা সংক্রান্ত পদক্ষেপসমূহ প্রায় 8-9 মাসের মধ্যে কার্যকর হয়ে উঠবে। ইকোনমিক নিবন্ধটিগুলো পেতে ভিজিট করুন: https://cutt.ly/VzkYaXW *মার্কেট এর নিউজ ট্রেডিং সম্পর্কে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করবে, কিন্তু আপনাকে ট্রেডিং সম্পর্কিত নির্দেশ প্রদান করবে না। Link to comment Share on other sites More sharing options...
Recommended Posts
Create an account or sign in to comment
You need to be a member in order to leave a comment
Create an account
Sign up for a new account in our community. It's easy!
Register a new accountSign in
Already have an account? Sign in here.
Sign In Now