Jump to content

মার্কিন স্টক মার্কেটের পরিস্থিতি, ১৭ জুন


Recommended Posts

মার্কিন স্টক মার্কেটের পরিস্থিতি, ১৭ জুন

http://forex-bangla.com/customavatars/994793736.jpg
গতকাল নিয়মিত সেশনের শেষে, মার্কিন স্টক সূচকগুলোতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে ট্রেডিং শেষ হয়েছে। S&P 500 সূচক 0.94% বৃদ্ধি পেয়েছে, নাসডাক 100 সূচক 1.55% বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ 0.74% বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আজ সকালের ট্রেডিং সেশনে মার্কিন ফিউচার সূচকগুলোতে পতন পরিলক্ষিত হয়েছে এবং তেলের দাম বেড়েছে, কারণ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেসামরিক ব্যক্তিদের তেহরান থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন—যা আগের দিনে ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে থাকবে এমন প্রত্যাশার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। মার্কেটের ট্রেডাররা সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, এবং মার্কেটের সার্বিক অস্থিরতার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির অনিশ্চয়তা প্রতিফলিত হচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাব্য প্রভাব এবং বৈশ্বিক তেল সরবরাহে এর প্রভাব মূল্যায়ন করছে। যদি তেহরান থেকে বেসামরিক লোকজনের সরে যাওয়ার খবর নিশ্চিত হয়, তবে এটি সম্ভাব্য সংঘাতের জন্য বড় প্রস্তুতির ইঙ্গিত দিতে পারে, যার ফলে প্রধান উৎপাদনকারী অঞ্চল থেকে তেল সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বৈশ্বিক নেতাবৃন্দের এবং কূটনৈতিক সংস্থাগুলোর দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। যতদিন রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বজায় থাকবে, তেলের মূল্যের অস্থিরতা বজায় থাকবে, যা এই অঞ্চলে সম্ভাব্য পরবর্তী সংঘর্ষের আশঙ্কা প্রতিফলিত করে। এর প্রভাব শুধু জ্বালানি খাতে নয়, বরং বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপরও পড়ছে, যা ভূ-রাজনীতি ও অর্থনীতির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে তুলে ধরছে। G7 সম্মেলন থেকে ট্রাম্পের সামাজিক মাধ্যমে করা মন্তব্যের পর S&P 500 ফিউচার 0.7% কমে গেছে। তিনি ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছিলেন তা পরিষ্কার নয়, কারণ কিছুক্ষণ আগেই তিনি বলেছিলেন যে ইরান একটি চুক্তি করতে চাচ্ছে। ইউরোপীয় স্টক সূচকগুলোতেও দরপতন পরিলক্ষিত হয়েছে, এবং এশীয় স্টক মার্কেটে তেমন কোনো বড় পরিবর্তন ছাড়াই ট্রেড করা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার G7 সফরসূচী সংক্ষিপ্ত করেন এবং জানান যে তার ওয়াশিংটনে ফিরে আসার কারণ যুদ্ধবিরতির সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। স্বর্ণের দাম বেড়েছে, তবে মার্কিন ডলার এবং ট্রেজারি বন্ডের ইয়েল্ডে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে শুরু হওয়া সংঘাতের কারণে মার্কেটে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে, এবং বিনিয়োগকারীরা এই সামরিক যুদ্ধের বিস্তার ও বৃহৎ হস্তক্ষেপের ঝুঁকি বিশ্লেষণ করছে। বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি এখন প্রধানত তেলের দামের দিকে, কারণ প্যান্ডেমিকের সময়ের কাছাকাছি মূল্যে থাকা এই কমোডিটি হঠাৎ করে আবার একটি নতুন মুদ্রাস্ফীতির উৎসে পরিণত হয়েছে। এর আগে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে ইরান ইসরায়েলের সঙ্গে সামরিক উত্তেজনা কমাতে আলোচনা করতে আগ্রহী, যদিও উভয় পক্ষ এখনও পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, ট্রাম্প কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন। ব্রেন্ট ক্রুডের দর 2.7% বৃদ্ধির পর দর বৃদ্ধি এবং দরপতনের মধ্যে দোদুল্যমান ছিল। উল্লেখযোগ্য যে, মধ্যপ্রাচ্যের উৎপাদকরা হরমুজ প্রণালী দিয়ে প্রতিদিন বিশ্বের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ তেল সরবরাহ করে থাকে, এবং তেহরান যদি এই পথে জাহাজ চলাচলে বাধা দেয়, তবে তেলের দাম তীব্রভাবে বেড়ে যেতে পারে। বাণিজ্য আলোচনার দিক থেকে, কানাডার আলবার্টায় অনুষ্ঠিত G7 সম্মেলনে ট্রাম্প এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেননি। তবে, ট্রাম্প যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে পূর্বঘোষিত বাণিজ্য শর্ত বাস্তবায়ন করার ব্যাপারে একমত হন, যার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ব্রিটিশ রপ্তানির ওপর শুল্ক কমাবে এবং যুক্তরাজ্য নির্দিষ্ট মার্কিন কৃষিপণ্যের জন্য কোটা বাড়াবে। অন্যদিকে, ব্যাংক অব জাপান প্রত্যাশামতো তাদের সুদের হার অপরিবর্তিত রেখেছে এবং মার্কেটে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আগামী বছর বন্ড ক্রয়ের মাত্রা হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইয়েনের মূল্যে এর তেমন কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। আগামী দিনগুলোতে, ওয়াল স্ট্রিটের ট্রেডাররা ফেডারেল রিজার্ভের নীতিগত সিদ্ধান্তের ওপর মনোযোগ দেবে, যা বুধবার প্রকাশিত হবে। ফেডের কর্মকর্তারা সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার বার্তা দিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের কাছ থেকে ইঙ্গিত খুঁজছেন যে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভবিষ্যতে কবে ও কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে। S&P 500 সূচকের টেকনিক্যাল পূর্বাভাস: আজ ক্রেতাদের প্রধান লক্ষ্য হবে সূচকটির $6013 এর কাছাকাছি রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করা। এতে সফল হলে সূচকটির পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা $6030-এ পৌঁছানোর সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে। ক্রেতাদের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হবে $6047 এর উপরে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা, যা ক্রেতাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করবে। যদি মার্কেটে ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতা কমে যায় এবং সূচকটি নিম্নমুখী হয়, তবে ক্রেতাদের সূচকটির দরকে $5999 লেভেলে ধরে রাখতে হবে। এই লেভেল ব্রেক করা হলে সূচকটি দ্রুত $5986-এ নেমে যেতে পারে এবং সেখান থেকে $5975 পর্যন্ত যাওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত হতে পারে।
 

Read more: https://ifxpr.com/4kNqbHs

Link to comment
Share on other sites

Create an account or sign in to comment

You need to be a member in order to leave a comment

Create an account

Sign up for a new account in our community. It's easy!

Register a new account

Sign in

Already have an account? Sign in here.

Sign In Now
×
×
  • Create New...

Write what you are looking for and press enter or click the search icon to begin your search