Jump to content

মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল ফেডের উপর চাপ সৃষ্টি করছে


Recommended Posts

মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল ফেডের উপর চাপ সৃষ্টি করছে

http://forex-bangla.com/customavatars/629134065.jpg
গতকাল মার্কিন ডলার বেশ কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের বিপরীতে শক্তিশালী হয়েছে, যদিও জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মূল মুদ্রাস্ফীতির হার প্রত্যাশার তুলনায় কম ছিল। দেশটির মুদ্রাস্ফীতি টানা পাঁচ মাস ধরে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের সাম্প্রতিক ফলাফল ইঙ্গিত দিচ্ছে যে কোম্পানিগুলো এখন ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্কজনিত কিছু খরচ আরও সরাসরিভাবে ভোক্তাদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। ভোক্তা মূল্যসূচক (CPI), যা সাধারণত খাদ্য ও জ্বালানির মতো অস্থির উপাদান বাদ দিয়ে গণনা করা হয়, মে মাসের তুলনায় 0.2% বেড়েছে। গাড়ির দামের পতন সামগ্রিকভাবে বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে রাখলেও, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক দ্বারা প্রভাবিত পণ্যের — যেমন খেলনা এবং গৃহস্থালী যন্ত্রপাতির দামের সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যে দ্রুততম বৃদ্ধিই দেখা গেছে। এই প্রতিবেদন ফেডারেল রিজার্ভের নীতিনির্ধারকদের কোনো স্পষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান করছে না, কারণ তারা এখনো বিভক্ত যে আরোপিত শুল্ক এককালীনভাবে প্রভাব ফেলবে নাকি দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে। তথাপি, এই ফলাফল উচ্চ সুদের হার বজায় রাখার পক্ষে থাকা কর্মকর্তাদের জন্য আরোপিত শুল্কের প্রভাবের প্রমাণ হিসেবে কাজ করতে পারে, যদিও সুদের হার হ্রাসের পক্ষে খুব বেশি যৌক্তিকতা নেই। বিনিয়োগকারীরা এখনো আশা করছে যে দুই সপ্তাহ পর ফেডের বৈঠকে সুদের হার অপরিবর্তিতই থাকবে। উল্লেখযোগ্য যে, জুন মাস ছিল পঞ্চম মাস, যখন যুক্তরাষ্ট্রের তিন বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদারের উপর শুল্ক কার্যকর থাকা সত্ত্বেও মুদ্রাস্ফীতিতে কোনো আকস্মিক বৃদ্ধি দেখা যায়নি। তবুও, ফেডের মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আছে এমন আরও নিশ্চিয়তা প্রয়োজন, তাই মাসের শেষে কোনো বিস্ময়কর সিদ্ধান্ত আসার সম্ভাবনা কম। তবে বর্তমান প্রবণতা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে সেপ্টেম্বরের বৈঠকে সুদের হার হ্রাসের জন্য চাপ বাড়তে পারে। এর আগেই আরেকটি মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, ফলে এখনই ফেডের নীতিমালায় বড় কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। খাদ্য ও জ্বালানি বাদ দিয়ে পণ্য মূল্য 0.2% হারে বেড়েছে, যা গত মাসে স্থির ছিল। খেলনার দাম 2021 সালের শুরু থেকে সবচেয়ে দ্রুত বেড়েছে, 2022 সালের পর গৃহস্থালী পণ্য ও স্পোর্টস পণ্যের সর্বোচ্চ বৃদ্ধিও দেখা গেছে। গৃহস্থালী যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে প্রায় পাঁচ বছরে সর্বোচ্চ মূল্য বৃদ্ধি রেকর্ড করা হয়েছে। অন্যদিকে, নতুন ও পুরোনো গাড়ির দাম কমেছে। ইনফ্লেশন ইনসাইটস এলএলসি-এর প্রেসিডেন্ট ওমর শরীফ জানিয়েছেন, যদি অটোমোবাইল বাদ দেওয়া হয়, তাহলে জুনে মূল পণ্যের দাম 0.55% বেড়েছে—যা 2021 সালের নভেম্বরের পর সর্বোচ্চ মাসিক বৃদ্ধি। তবে মুদ্রাস্ফীতির অনেক সূচক প্রত্যাশার নিচে আসায় প্রশ্ন উঠছে যে ট্রাম্পের শুল্কগুলো কতটা বিস্তৃতভাবে ভোক্তা পণ্যের দামে প্রভাব ফেলবে। কিছু কোম্পানি আগেভাগে পণ্য মজুদ করে বা লাভের পরিমাণ কমিয়ে দাম বাড়ার চাপ থেকে গ্রাহকদের রক্ষা করতে পেরেছে। জ্বালানি বাদ দিয়ে পরিষেবার মূল্য 0.3% বেড়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পরিষেবা মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে আবাসন খাত, তবে হোটেল ভাড়া কমার ফলে আবাসন খরচের বৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ফেড যেসব পরিষেবা সূচক গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে, তার মধ্যে একটি — যেটি আবাসন ও জ্বালানি বাদ দিয়ে পরিমাপ করা হয় — জুনে 0.2% বেড়েছে, যার পেছনে হাসপাতাল পরিষেবা খরচের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ভূমিকা রেখেছে। তবুও, ফেড সুদের হার কমাতে বিলম্ব করতে পারে—এই আশঙ্কা কারেন্সি মার্কেটে প্রতিফলিত হয়েছে, যার ফলে ডলার শক্তিশালী হয়েছে এবং বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের দরপতন ঘটেছে। EUR/USD পেয়ারের বর্তমান টেকনিক্যাল দৃশ্যপট অনুযায়ী, ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যের 1.1625 লেভেল ব্রেক করাতে হবে। কেবল তখনই 1.1660-এর লেভেল টেস্টের সম্ভাবনা তৈরি হবে। সেখান থেকে 1.1690-এর দিকে একটি মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, যদিও বড় বিনিয়োগকারীদের শক্তিশালী সহায়তা ছাড়া এই মুভমেন্ট হওয়া বেশ কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.1720 লেভেল। যদি এই পেয়ারের মূল্য কমে যা, তাহলে মূল্য 1.1590 লেভেলে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের সক্রিয়তা আশা করা যায়। সেখানে ক্রয়ের আগ্রহ না দেখা গেলে, 1.1550-এর লেভেল টেস্ট হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা বা 1.1495 লেভেল থেকে লং পজিশনে এন্ট্রি করা উচিত হবে। GBP/USD-এর ক্ষেত্রে, পাউন্ডের ক্রেতাদের প্রথমেই 1.3420-এর রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করতে হবে। কেবল তখনই তারা মূল্যকে 1.3464-এর দিকে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারবে, যেটি অতিক্রম করা বেশ কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.3500 লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন ঘটে, তাহলে বিক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3375 লেভেলে পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে। তারা সফল হলে, এই রেঞ্জ ব্রেক করে মূল্য নিচে নেমে গেলে সেটি ক্রেতাদের জন্য তা বড় একটি আঘাত হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3335 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে , এবং এমনকি মূল্য 1.3290-এও পৌঁছাতে পারে।
 

Read more: https://ifxpr.com/3IM2Asl

Link to comment
Share on other sites

Create an account or sign in to comment

You need to be a member in order to leave a comment

Create an account

Sign up for a new account in our community. It's easy!

Register a new account

Sign in

Already have an account? Sign in here.

Sign In Now
×
×
  • Create New...

Write what you are looking for and press enter or click the search icon to begin your search