Jump to content

EUR/USD পেয়ারটির অ্যনালাইসিস (১৭ ফেব্রুয়ারি)


Recommended Posts

[B]EUR/USD পেয়ারটির অ্যনালাইসিস (১৭ ফেব্রুয়ারি)[/B]

[IMG]https://forex-images.ifxdb.com/userfiles/20220217/analytics620d91ae1e4dd_source!.jpg[/IMG] 
বিশ্লেষণটি করেছেন ইন্সটা ফরেক্স টিম এর বিশেষজ্ঞ পাওলো গ্রেকো (Paolo Greco)
মন্তব্য: EUR/USD কারেন্সি পেয়ার বুধবার খুব শান্তভাবে ট্রেড অব্যাহত রেখেছে। দিন জুড়ে, ইউরো মুদ্রার কোট বৃদ্ধি পেয়েছিল, তবে সামগ্রিক টেকনিক্যাল চিত্র মার্কিন মুদ্রার বৃদ্ধির পক্ষে কথা বলে চলেছে। আমরা ইতোমধ্যেই 1.1475 স্তর থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রিবাউন্ড সম্পর্কে আগেই কথা বলেছি। মুলত এইরকম বাউন্স তিনবার ঘটেছিল। সুতরাং, অদূর ভবিষ্যতে, অবশ্যই, এই পেয়ার আবার এই স্তরে ফিরে আসতে পারে এবং এমনকি এই স্তরের উপরে অবস্থান ধরে রাখার চেষ্টা করতে পারে। একই সাথে, আমরা আপনাকে মনে করিয়ে দিচ্ছি যে ইউরো বৃদ্ধির জন্য কোনও ভাল মৌলিক কারণ ছিল না। আমাদের মতে, ইউরো পতনের আগে এখন কেবল শেষ আশ্রয় আঁকড়ে আছে, যার কমপক্ষে তিন জায়গায় ভাঙ্গণ হতে পারে। বেশ অপ্রত্যাশিতভাবেই, এক সপ্তাহ বা তার কিছু আগ থকে, ভূ-রাজনীতির বিষয়টি বাজারের প্রধান আলোচনার বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে। যদিও রাশিয়ান ফেডারেশন বেশ কয়েক মাস ধরে ইউক্রেন সীমান্তে তার সৈন্য সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছে, এক সপ্তাহ হলো এই নিয়ে সাধারণ উন্মাদণা শুরু হয়েছে। এমনকি কিছু পশ্চিমা গণমাধ্যম ইউক্রেনে রাশিয়ান আক্রমণের সম্ভাব্য তারিখ পর্যন্ত উল্লেখ করছে। যাইহোক, এই সমস্ত দিন ইতোমধ্যেই পার হয়েছে, এবং কোনো আক্রমনের ঘটনা ঘটেনি। আলোচনা অব্যাহত রয়েছে এবং বাজার এখন এই প্রশ্ন করছে যে: ইউক্রেন আক্রমণ করার আদৌ কোন পরিকল্পনা রাশিয়ার ছিল কিনা? হ্যাঁ, সীমান্তে এখনও ১০০ হাজারেরও বেশি রাশিয়ান সেনা মজুদ রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই, খুব কম লোকই বিশ্বাস করে যে এই আঞ্চলিক জেলাগুলোতে মহড়া হয়ে থাকে। কিন্তু সীমান্তের কাছে সৈন্য সমাবেশ আর পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ শুরু করা সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা। অবশ্যই, একটি সামরিক সংঘাতের ঝুঁকি ছিল, আছে এবং অদূর ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে, কিন্তু পশ্চিম এবং মস্কো উভয়েই বুঝতে পারে যে ইউক্রেন কোনোভাবেই চেচনিয়া, আফগানিস্তান বা ইরাক নয়। ইউক্রেনের ৪০ মিলিয়নেরও বেশি বাসিন্দা রয়েছে এবং এর অঞ্চলটি উপরে উল্লিখিত দেশগুলির চেয়ে অনেক বড়। সুতরাং, আপনি যদি একটি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন তবে তা হবে ভয়ংকর এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য। এটা কি বলা উচিত যে যুদ্ধ একটি খুব ব্যয়বহুল ব্যবসা এবং কেউ আপাতত এটি চাইবে না? অনেকের কাছে, ১৬ ফেব্রুয়ারি তারিখটি "সংকট কাল" হিসেবে বিবেচিত ছিল। অতএব, সময় পার হওয়ার পর আমরা একটি অচলাবস্থা দেখতে পাচ্ছি, রাশিয়ান সামরিক বাহিনী ইউক্রেন সীমান্তে অবস্থান অব্যাহত রেখেছে, কিছু ইউনিট এমনকি তাদের ঘাঁটিতে ফিরে যেতে শুরু করেছে এবং আলোচনাও একটি অচলাবস্থায় রয়েছে। এই পরিস্থিতির কোনো না কোনোভাবে সমাধান করা দরকার এবং মস্কোর জন্য এখন বিষয়টি পরিষ্কার। যেহেতু পশ্চিম বা কিয়েভ কেউই কোনো ছাড় দেয়নি, তাই মস্কোর সৈন্য প্রত্যাহারের সম্ভাবনা কম। এর অর্থ হবে তার কূটনৈতিক পরাজয় এবং সারা বিশ্বের সামনে তাকে হাস্যকর পরিস্থিতিতে ফেলবে। পরিস্থিতি অনেকটা এমন: তারা আসলো, অস্ত্রের মহড়া দিল এবং শুধু কথা নিয়ে ফিরে গেল। "যাইহোক, এটা কাজ করেনি, অন্তত সেভাবে কাজ করেনি।" এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে, রাশিয়ান ফেডারেশনের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলে চলেছেন যে তাদের ইউক্রেন আক্রমণ করার কোন পরিকল্পনা নেই, তারা তাদের ভূখণ্ডে সৈন্য সরিয়ে নিচ্ছে এবং এই বিষয়ে পশ্চিমকে রিপোর্ট করতে তারা বাধ্য নয়। অতএব, মস্কো যে কোন মুহুর্তে সৈন্য প্রত্যাহার করে "ঘোড়ার পিছিয়ে নেয়ার মত পদক্ষেপ" নিতে পারে এবং বলতে পারে যে মহড়া সম্পন্ন হয়েছে, এবং আমরা জানি না যে পশ্চিমারা এতদিন ধরে এই বিষয়ে উন্মাদণা দেখাচ্ছিল। শুধু প্রশ্ন হচ্ছে, মস্কো কি তা করতে চাইবে? এখানে, অবশ্যই, আমরা ইউক্রেন-রাশিয়ার নয় বরং মার্কিন-রাশিয়া সংঘর্ষের কথা বলছি। যদিও কেউ সরাসরি বলছে না তবে পশ্চিমারা ন্যাটোর ঘাঁটি হসেবে ইউক্রেনকে ব্যবহার করার বিপক্ষে নয়। মস্কো বিশ্বাস করে যে রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি থেকে ৫০-১০০ কিলোমিটার দূরে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করা সম্পূর্ণ বুদ্ধিমানের কাজ নয়। ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন যে দুটি চিরন্তন বিরোধী পারমাণবিক শক্তির সামরিক ঘাঁটির এত কাছাকাছি অবস্থান বিশ্বকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে। তাছাড়া, ইউক্রেন যদি ন্যাটোতে যোগ দেয় এবং ক্রিমিয়া বা ডনবাসকে বলপ্রয়োগ করে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে ন্যাটোকেও এই যুদ্ধে অংশ নিতে হবে। তখন এটি ন্যাটো-রাশিয়া সংঘর্ষে পরিণত হবে, যা পূর্ণ মাত্রার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। সুতরাং, পক্ষগুলোকে দ্রুতই এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার উপায় খুঁজে বের করতে হবে, এবং যতক্ষণ পর্যন্ত রাশিয়ান সেনাবাহিনী ইউক্রেনীয় সীমান্তের কাছাকাছি থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত একটি সামরিক সংঘাতের ঝুঁকি বজায় থাকবে।
[IMG]https://forex-images.ifxdb.com/userfiles/20220217/analytics620d91b5dc814_source!.jpg[/IMG] 
১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের "গড়" অস্থিরতা চিহ্নিত করা হয়েছে 86 পয়েন্ট। সুতরাং, আমরা আশা করি যে এই মুদ্রা-জোড়া আজ 1.1294 এবং 1.1466 এর স্তরের মধ্যে অবস্থান করবে। হাইকেন আশি সূচকের রিভার্সাল নিম্নগামী প্রবণতার সম্ভাব্য পুনরুদ্ধারের সংকেত দেয়।
 নিকটতম সাপোর্ট লেভেল:
S1 - 1.1353
S2 - 1.1292
S3 - 1.1230
নিকটতম রেজিস্টেন্স লেভেল:
R1 - 1.1414
R2 - 1.1475
R3 - 1.1536
ট্রেডিং পরামর্শ: EUR/USD জোড়া মুভিং এভারেজ লাইনের উপরে স্থিতিশীল হয়েছে। সুতরাং, এখন আমাদের 1.1414 এবং 1.1466 এর টার্গেট নিয়ে লং পজিশন খোলার কথা বিবেচনা করা উচিত যতক্ষণ না হাইকেন আশি সূচকটি নেমে না যায়। মুভিং এভারেজের নিচে 1.1294 স্তরে মূল্য নির্ধারিত হওয়ার আগে শর্ট পজিশন খোলা উচিত নয়।
চিত্রের ব্যাখ্যা: লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেল - বর্তমান প্রবণতা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। যদি উভয়ই একই দিকে পরিচালিত হয়, তবে প্রবণতাটি শক্তিশালী হবে।
ফরেক্স বিশ্লেষন বিস্তারিত দেখুন: https://cutt.ly/LfRWnM6


*মার্কেট বিশ্লেষণ ট্রেডিং সম্পর্কে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করবে, কিন্তু আপনাকে ট্রেডিং সম্পর্কিত নির্দেশ প্রদান করবে না।

Link to comment
Share on other sites

Create an account or sign in to comment

You need to be a member in order to leave a comment

Create an account

Sign up for a new account in our community. It's easy!

Register a new account

Sign in

Already have an account? Sign in here.

Sign In Now
×
×
  • Create New...

Write what you are looking for and press enter or click the search icon to begin your search