Jump to content

EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ২৮ মার্চ


Recommended Posts

EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ২৮ মার্চ

 
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট 
http://forex-bangla.com/customavatars/1749745140.jpg
বুধবার EUR/USD পেয়ারের মূল্যের "অত্যাশ্চর্য" মাত্রার অস্থিরতা দেখা গিয়েছে। এই পেয়ারের মূল্যের দৈনিক সর্বোচ্চ লেভেল থেকে সর্বনিম্ন লেভেল পর্যন্ত পার্থক্য ছিল মাত্র 29 পিপস। যাইহোক, আমরা ইতোমধ্যেই আপনাকে সতর্ক করে দিয়েছিলাম যে এই সপ্তাহে এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে, কারণ আগের সপ্তাহে শক্তিশালী মৌলিক পটভূমি ছিল, যেখানে এই সপ্তাহে খুব বেশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি এবং কোন গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টও ছিল না। এবং সেকারণেই এমন পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। এমনকি প্রকাশিত অর্থনৈতিক প্রতিবেদন কার্যত ট্রেডারদের উপর কোন প্রভাব ফেলেনি কারণ সমস্ত প্রকাশিত প্রতিবেদন গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ ছিল। এবং যাই হোক না কেন, মার্কেট কার্যত স্থির থাকলে সেগুলো প্রভাব আছে কি না তাতে কি আসে যায়? বুধবার, সাধারণভাবে কোন সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি ছিল না। এই পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ড লাইনের নিচে অবস্থান করছি, ফলে মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত ছিল। আমরা নিশ্চিত যে আবার ইউরোর দরপতন শুরু হবে, কিন্তু নতুন ট্রেডাররা নিজেদের বোঝার স্বার্থে মুভমেন্টের বর্তমান প্রকৃতির উপর লক্ষ্য রাখতে পারেন: 3-4 দিন ধরে এই পেয়ারের মূল্যের স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা বিরাজ করছে, 1-2 বারের কম বা বেশি ট্রেডিং করার আকর্ষণীয় সুযোগ এসেছে।
 
 
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট 
http://forex-bangla.com/customavatars/1772290413.jpg
5 মিনিটের টাইমফ্রেমে একটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। ইউরোপীয় সেশন চলাকালীন কিছু সময়ে, মূল্য 1.0838 এর লেভেল থেকে বাউন্স করেছিল, যার পরে মূল্য প্রায় 20 পিপস হ্রাস পেতে সক্ষম হয়েছিল। এই ডিল ক্লোজ করার কোন সিগন্যাল ছিল না, তাই সন্ধ্যার কাছাকাছি এটি ম্যানুয়ালি ক্লোজ করা হতে পারে। এই ট্রেড থেকে লাভের পরিমাণ ছিল 10-15 পিপস, যা কোন লাভ না হওয়ার থেকে ভাল।
 
 
বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ: ঘন্টাভিত্তিক চার্টে, EUR/USD পেয়ারের মূল্য ক্রমাগত নিম্নমুখী হচ্ছে, যা মৌলিক পটভূমির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। আমরা মনে করি যে যেভাবেই হোক ইউরোর দরপতন হওয়া উচিত, কারণ ইউরোর মূল্য এখনও অনেক বেশি রয়ে গেছে, এবং বিশ্বব্যাপী ইউরোর মূল্যের প্রবণতা নিম্নগামী। দুর্ভাগ্যবশত, মার্কেটের ট্রেডাররা সবসময় যৌক্তিক পদ্ধতিতে এই পেয়ারের ট্রেড করতে চায় না এবং সময়ে সময়ে, আমরা এই পেয়ারের অযৌক্তিক দর বৃদ্ধি লক্ষ্য করি। তাছাড়া মুভমেন্ট বেশ দুর্বল। আপনি 1.0797 এবং 1.0838 লেভেল থেকে রিবাউন্ডের ক্ষেত্রে এই পেয়ারের ট্রেড করার চেষ্টা করতে পারেন। আমরা বৃহস্পতিবার এই পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী মুভমেন্টের আশা করছি না, তাই আমরা দামের মূল্যের এই রেঞ্জের উপরে এবং নিচে থেকে ব্রেকথ্রুর আশা করছি না। 5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.0568, 1.0611-1.0618, 1.0668, 1.0725, 1.0785-1.0797, 1.0838-1.0856, 1.0888-1.0896, 1.0940, 1.0971-1.0981, 1.1011, 1.1043, 1.1091। বৃহস্পতিবার, জার্মানির খুচরা বিক্রয় এবং বেকারত্বের হার সম্পর্কিত স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও তুলনামূলক স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন জবলেস ক্লেইমস, চতুর্থ প্রান্তিকের জিডিপির চূড়ান্ত অনুমান, এবং মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্চের চূড়ান্ত কনজিউমার সেন্টিমেন্ট সূচক প্রকাশিত হবে। আমরা এই পেয়ারের মূল্যের স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা বিরাজ করবে বলে আশা করছি।
 
 
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী: 1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়। 2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত। 3) ফ্ল্যাট প্রবণতার সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো। 4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে। 5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত। 6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
 
 
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়: সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন। লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল। MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই। ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।
 
 

https://ifxpr.com/49jXSK6

 

 

 

 

Link to comment
Share on other sites

Create an account or sign in to comment

You need to be a member in order to leave a comment

Create an account

Sign up for a new account in our community. It's easy!

Register a new account

Sign in

Already have an account? Sign in here.

Sign In Now
×
×
  • Create New...

Write what you are looking for and press enter or click the search icon to begin your search