Jump to content

EUR/USD পেয়ারের পর্যালোচনা, ২৯ মে


Recommended Posts

EUR/USD পেয়ারের পর্যালোচনা, ২৯ মে

This image is no longer relevant

মঙ্গলবার EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখযোগ্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক সংবাদ এবং প্রতিবেদনের অনুপস্থিতিতে ইউরোর মূল্য বেড়েছে। কেউ কেউ যুক্তি দিতে পারে যে সোমবার এবং মঙ্গলবারের দর বৃদ্ধি বেশ দুর্বল ছিল। যাইহোক, আমরা এই সত্যটি তুলে ধরতে চাই যে এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা দীর্ঘদিন ধরে কম ছিল, যেমনটি নিচে দেখানো হয়েছে। ইউরোর মূল্য ধীরে ধীরে বাড়ছে, তবে এই পেয়ারের মূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, এমনকি এটি করার কোনো ভিত্তি বা কারণ না থাকলেও। সোমবার এবং মঙ্গলবার এমন কোন ইভেন্ট বা প্রতিবেদনের প্রকাশনা ছিল না যা ইউরোর দর বৃদ্ধি শুরু করতে পারত। শুক্রবার প্রকাশিত দুটি প্রতিবেদনের মধ্যে দুটিই ডলারকে সমর্থন করেছে। তবুও, ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্য বাড়তে থাকে, কিন্তু ডলারের মূল্য বাড়ছে না। অতএব, আমরা শুধুমাত্র আগের মত একই সিদ্ধান্তে আসতে পারি। প্রথমত, ইউরোপীয় এবং ব্রিটিশ মুদ্রা উভয়ের মূল্যের উত্থান সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। দ্বিতীয়ত, কেউ যদি এখন এই কারেন্সি পেয়ার ট্রেড করতে চায়, তাহলে তা শুধুমাত্র "বিশুদ্ধ" প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে করতে হবে। মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনীতি বিবেচনা করে এখনই ইউরো কেনা অসম্ভব। আমরা সাধারণত এমন সামষ্টিক অর্থনৈতিক সংবাদ এবং প্রতিবেদন দেখতে পাচ্ছি যেগুলো ডলারকে সমর্থন করা উচিত ছিল তাও আমরা সেগুলো সম্পর্কে আলোচনা করতে চাই। আমরা প্রায়ই এমন প্রতিবেদন হাতে পাচ্ছি যে ফেডারেল রিজার্ভ নিকট ভবিষ্যতে মূল সুদের হার কমাতে চায় না, যখন ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক জুনের প্রথম দিকে নীতিমালা নমনীয় শুরু করতে প্রস্তুত। মার্কেটের ট্রেডাররা এই তথ্যটি নিয়ে আর আগ্রহী নয়, কারণ তারা এটিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন না। "বিশুদ্ধ" প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ অনুযায়ী, মূল্য মুভিং এভারেজ লাইনের উপরে রয়েছে। অতএব, যদি কোন ট্রেডার শুধুমাত্র 4-ঘন্টার টাইমফ্রেমের মধ্যে কাজ করে, তাহলে তারা এই পেয়ারের ক্রয় চালিয়ে যেতে পারে। ইউরোর মূল্য কতটা বাড়তে পারে তা ভবিষ্যদ্বাণী করা খুব কঠিন, কারণ এর বৃদ্ধির পিছনে কোন যুক্তি নেই। আগত তথ্য উপেক্ষা করে মার্কেটের ট্রেডাররা কেবলমাত্র ইউরো কিনছে। গত ছয় মাস ধরে আমরা প্রায়ই এটি উল্লেখ করেছি। ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট এতটাই দুর্বল যে প্রায় একটানা বৃদ্ধির দেড় মাসে ইউরোর দর মাত্র 2.5 সেন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা মনে করি যে ট্রেডারদের মার্কেটে এন্ট্রির আগে এই বিষয়টি স্পষ্টভাবে বুঝতে হবে যে এই ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অযৌক্তিক এবং মার্কেট মুভমেন্ট খুবই দুর্বল। মঙ্গলবার, নীল কাশকারি একটি বক্তৃতা দিয়েছেন, উল্লেখ করেছেন যে ফেডারেল রিজার্ভকে আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করার জন্য তাড়াহুড়ো করার দরকার নেই। তিনি উল্লেখ করেছেন যে শ্রম বাজার এবং অর্থনীতি ভাল অবস্থায় থাকায় ফেডের সুদের হার কমানোর কোন প্রয়োজন নেই। অন্য কথায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে মূল্যস্ফীতি লক্ষ্য মাত্রায় নেমে আসার জন্য অপেক্ষা করার সময় আছে। এই মন্তব্যগুলো আরও নিশ্চিত করে যে নিকট-মেয়াদে ফেডের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা নেই।

29 মে পর্যন্ত বিগত 5 দিনের ট্রেডিংয়ে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের গড় অস্থিরতার মাত্রা হল 42 পিপস, যাকে "নিম্ন" হিসাবে বিবেচনা করা হয়। আমরা আশা করি যে বুধবার এই পেয়ারের মূল্য 1.0832 এবং 1.0916 এর লেভেলের মধ্যে মুভমেন্ট প্রদর্শন করবে। দীর্ঘমেয়াদী লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেল নিচের দিকে যাচ্ছে, যা নির্দেশ করে যে বিশ্বব্যাপী এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। সিসিআই সূচক গত মাসে ওভারসোল্ড জোনে প্রবেশ করেছে, যা ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের সূত্রপাত করেছে। যাইহোক, বুলিশ কারেকশনটি যথেষ্ট দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে তাই এর সমাপ্তির আশা করা কঠিন। নিকটতম সাপোর্ট লেভেল: S1 – 1.0864 S2 – 1.0803 S3 – 1.0742 নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল: R1 – 1.0925 R2 – 1.0986 R3 – 1.1047
This image is no longer relevant

ট্রেডিংয়ের পরামর্শ: EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে, কিন্তু বুলিশ কারেকশন অটুট রয়েছে। মাঝারি মেয়াদে ইউরোর দরপতন পুনরায় শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে, তবুও মার্কেটের ট্রেডাররা প্রায় প্রতিটি ইভেন্টকে ডলারের বিপরীতে ব্যাখ্যা করে চলেছে। কোনো সংবাদ না থাকলেও ইউরোর মূল্য ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। বিক্রির পরিপ্রেক্ষিতে, মুভিং এভারেজের নিচে এই পেয়ারের মূল্যের দৃঢ়ভাবে কনসলিডেশন হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আমরা মনে করি যে মূল্য মুভিং এভারেজের উপরে থাকলেও লং পজিশন বিবেচনা করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। যাইহোক, যদি কেউ টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের উপর নির্ভর করে ট্রেড করে, তাহলে 1.0916 এবং 1.0925 লক্ষ্যমাত্রায় লং পজিশন প্রাসঙ্গিক থাকবে যতক্ষণ না মূল্য মুভিং এভারেজের উপরে থাকে।
 

চিত্রের ব্যাখা: লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেল - বর্তমান প্রবণতা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। যদি উভয়ই একই দিকে পরিচালিত হয়, তাহলে এর অর্থ হল বর্তমানে প্রবণতা শক্তিশালী। মুভিং এভারেজ লাইন (সেটিংস 20.0, স্মুথেদ) – স্বল্পমেয়াদী প্রবণতা এবং বর্তমানে কোন দিকে ট্রেডিং করা উচিত তা নির্ধারণ করে। মারে লেভেল - মুভমেন্ট এবং কারেকশনের লক্ষ্য মাত্রা। অস্থিরতার মাত্রা (লাল লাইন) - সম্ভাব্য প্রাইস চ্যানেল যেখানে এই পেয়ারের মূল্য পরের দিন অবস্থান করবে, যা বর্তমান অস্থিরতা সূচকের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়। সিসিআই সূচক – এই সূচকের ওভারসোল্ড জোনে (-250-এর নীচে) বা ওভারবট জোনে (+250-এর উপরে) প্রবেশের মানে হল যে চলমান প্রবণতা বিপরীতমুখী হতে যাচ্ছে।

 

https://ifxpr.com/44ZQkvC

 

 

 

Link to comment
Share on other sites

Create an account or sign in to comment

You need to be a member in order to leave a comment

Create an account

Sign up for a new account in our community. It's easy!

Register a new account

Sign in

Already have an account? Sign in here.

Sign In Now
×
×
  • Create New...

Write what you are looking for and press enter or click the search icon to begin your search