MontuZaman Posted 11 hours ago Report Share Posted 11 hours ago EUR/USD পেয়ারের পর্যালোচনা ৮ জুলাই, ২০২৫ http://forex-bangla.com/customavatars/1777620991.jpg সোমবার সারাদিনই নিম্নমুখী প্রবণতার সাথে EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের ট্রেড করা হয়েছে, যদিও ডলারের শক্তিশালী হওয়ার পেছনে বাস্তব কোনো শক্তিশালী কারণ ছিল না বললেই চলে। স্মরণ করিয়ে দিই, সপ্তাহান্তে ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও ঘোষণা করেছেন যে "কালো তালিকাভুক্ত" সব দেশের ওপর শিগগিরই শুল্ক বাড়ানো হবে, অন্যদিকে ওলন মাস্ক ঘোষণা দিয়েছেন যে তিনি "আমেরিকান পার্টি" গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যার লক্ষ্য হবে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান—উভয় দলের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করা। ট্রাম্পের শুল্ক বৃদ্ধির ইচ্ছা এখন নতুন কিছু নয়। বিশ্ববাসী ইতোমধ্যেই তাঁর কৌশল ভালোভাবে বুঝে গেছে: প্রথমে তিনি হুমকি দেন, চূড়ান্ত শর্ত এবং দাবি আরোপ করেন। প্রতিপক্ষ যদি তাঁর শর্তে রাজি হয়, তিনি সঙ্গে সঙ্গে তাদের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন। না হলে, আরও হুমকি দেন এবং অবশেষে নিষেধাজ্ঞা বা শুল্ক আরোপ করেন। সুতরাং আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা এখন আর অপ্রত্যাশিত কোনো বিষয় নয়। সোমবার ডলার কিছুটা শক্তিশালী হয়েছিল, কিন্তু এই পরিস্থিতিতে কি এর চেয়ে বেশি কিছু প্রত্যাশা করা উচিত? আমরা বহুবার বলেছি, ডলার মাঝে মাঝে শুধু প্রফিট টেকিং বা লং পজিশন ক্লোজ কারণে শক্তিশালী হতে পারে। কিন্তু ডলারের মূল্যের টেকসই প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা করা অবাস্তব। গত সপ্তাহেই মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামষ্টিক প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল উপেক্ষা করেছে, যার মধ্যে এমন প্রতিবেদনও ছিল যা জুলাই বা সেপ্টেম্বর মাসে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা কমিয়েছে। তাহলে কি এতে ডলার খুব একটা উপকৃত হয়েছে? অতএব, আপনি যদি দেখেন ডলার শক্তিশালী হচ্ছে, তাহলে ধরে নেওয়া যায় এটি কেবল শর্ট পজিশনের প্রফিট টেকিং এর ফলাফল—তার বেশি কিছু নয়। বিশেষ করে যেহেতু ঘোষিত শুল্ক বৃদ্ধিগুলো এখনো চূড়ান্ত হয়নি। যদিও কালকেই ৯ জুলাই, এবং ট্রাম্প ইতোমধ্যেই তিনটি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন, তবুও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বেশ হিসেবি পদক্ষেপ নিয়েছেন: তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, যেসব দেশ ৯ জুলাইয়ের মধ্যে চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হবে, তাদের ওপর শুল্ক বাড়ানো হবে—কিন্তু তা কার্যকর হবে পহেলা আগস্ট থেকে। অর্থাৎ, পরাজয়ের বাস্তবতা স্বীকার করে, ট্রাম্প আরও আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য দেশগুলোকে অতিরিক্ত সময় দিয়েছেন। এর মানে কী? ট্রাম্প সরাসরি শুল্ক বাতিল করতে পারেন না। আবার স্বীকারও করতে পারেন না যে তাঁর পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে, অন্তত আংশিকভাবে। 75টি দেশের মধ্যে মাত্র 3টি দেশ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে—এমন অবস্থায় তাঁর আরও সময় দেয়া দরকার ছিল, কিন্তু সেটা দুর্বলতা প্রকাশ না করেই। কারণ উচ্চ আমদানি শুল্ক যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও ইতিবাচক নয়, কারণ তা মুদ্রাস্ফীতি বাড়ায় এবং নিম্ন-আয়ের জনগণের জন্য আর্থিক চাপ তৈরি করে। আর মাস্কের সম্ভাব্য রাজনৈতিক দল গঠনের প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন থেকে যায়—এই অসন্তুষ্ট ভোটাররা শেষ পর্যন্ত কাকে সমর্থন করবে? অতএব, বলা যায় যে ট্রাম্প "শুল্ক ছাড়ের সময়কাল" বাড়িয়েছেন এবং আগামী তিন সপ্তাহে তিনি বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর চাপ বাড়াবেন, আরও কার্যকর চুক্তির দাবি জানাবেন। সামনে নতুন হুমকিও আসতে পারে। অস্থিরতার মাত্রা এবং টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটের পর্যালোচনা গত ৫ দিনের ট্রেডিংয়ে (৮ জুলাই পর্যন্ত) EUR/USD-এর মূল্যের গড় অস্থিরতার মাত্রা ছিল 73 পয়েন্ট, যা "মাঝারি" মাত্রার হিসেবে বিবেচনা করা যায়। আমরা মঙ্গলবার 1.1623 থেকে 1.1770 এর মধ্যে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের আশা করছি। সিনিয়র লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেল ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা নির্দেশ করছে, যা এখনো বুলিশ প্রবণতার ইঙ্গিত দেয়। CCI ইনডিকেটর ওভারবট জোনে প্রবেশ করেছে এবং একাধিক বিয়ারিশ ডাইভারজেন্স গঠন করেছে। তবে, ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যে এই সংকেতগুলো সাধারণত রিভার্সাল নয়, বরং শুধুমাত্র কারেকশনের ইঙ্গিত দেয়। নিকটতম সাপোর্ট লেভেল: S1 – 1.1597 S2 – 1.1475 S3 – 1.1353 নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল: R1 – 1.1719 R2 – 1.1841 R3 – 1.1963 ট্রেডিংয়ের পরামর্শ: এখনো EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ নীতির দ্বারা মার্কিন ডলার প্রবলভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। এছাড়াও, মার্কেটের বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী আগত প্রতিবেদনের ফলাফল ভুলভাবে বিশ্লেষণ করছে অথবা উপেক্ষা করছে, যার ফলে ডলারের বিপক্ষে প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে। আমরা এখনো মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে ডলার কেনার ব্যাপারে চরম অনীহা দেখছি, তা যে পরিস্থিতিতেই হোক না কেন। যদি এই পেয়ারের মূল্য মুভিং অ্যাভারেজ লাইনের নিচে থাকে, তাহলে মূল্যের 1.1623-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে শর্ট পজিশন বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে, যদিও বর্তমান পরিস্থিতিতে এই পেয়ারের তীব্র দরপতনের সম্ভাবনা কম। যদি এই পেয়ারের মূল্য মুভিং অ্যাভারেজ লাইনের ওপরে থাকে, তবে চলমান প্রবণতার ধারাবাহিকতায় মূল্যের 1.1841-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে লং পজিশন প্রাসঙ্গিক থাকবে। Read more: https://ifxpr.com/4nQZ54e Link to comment Share on other sites More sharing options...
Recommended Posts
Create an account or sign in to comment
You need to be a member in order to leave a comment
Create an account
Sign up for a new account in our community. It's easy!
Register a new accountSign in
Already have an account? Sign in here.
Sign In Now