Jump to content

৩০ এপ্রিলের মূল ইভেন্ট: নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস


Recommended Posts

৩০ এপ্রিলের মূল ইভেন্ট: নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস
This image is no longer relevant

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্ট রয়েছে এবং সেগুলো বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। জার্মানিতে জিডিপি, খুচরা বিক্রয় এবং বেকারত্বের প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে৷ আগের মতোই, এই প্রতিবেদনগুলো কিছুটা গৌণ গুরুত্বসম্পন্ন, কিন্তু উল্লেখযোগ্য ফলাফলের ক্ষেত্রে, এই প্রতিবেদনগুলোর প্রভাবে মার্কেটে প্রতিক্রিয়া দখা যেতে পারে। জার্মানির জিডিপি প্রবৃদ্ধির মুখ দেখবে এই আশা করা কঠিন, তাই এই প্রতিবেদন থেকে ইউরোর সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবনা কম। মঙ্গলবারের ইউরোপীয় সেশনের সময় ইউরোপীয় জিডিপি এবং মুদ্রাস্ফীতির পরিসংখ্যান প্রকাশিত হবে। নিঃসন্দেহে, এই প্রতিবেদনগুলো মার্কেটের ট্রেডারদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মার্কেটের ট্রেডাররা ইউরোপীয় মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের উপর নজর রাখবে। এই সূচক এপ্রিলে 2.4% এর পূর্বাভাস অতিক্রম না করলে, ইউরোর শক্তিশালী হওয়ার কোন কারণ নেই। যদি এই সূচক ত্বরান্বিত হয়, তাহলে ইউরোর ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন চলমান থাকতে পারে, কারণ এই ক্ষেত্রে, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক জুন থেকে জুলাই পর্যন্ত আর্থিক নীতিমালার প্রথম নমনীয়করণ কার্যক্রম স্থগিত করতে পারে।
 

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার কোন উল্লেখযোগ্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নেই; ক্যালেন্ডারে ইসিবি, ফেডারেল রিজার্ভ বা ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের কর্মকর্তাদের কোনো বক্তৃতা নেই। দিনের বেলায় নিশ্চয়ই বেশ কিছু বক্তৃতা হবে, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে নতুন তথ্য আশা করা খুবই কঠিন। আমরা আশা করি না যে কর্মকর্তারা এই মুহূর্তে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করবেন।
 

উপসংহার: আজ, নতুন ট্রেডারদের ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। যদি এর মান পূর্বাভাসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হয় বা সামান্য বিচ্যুতি থাকে তবে মার্কেটে দুর্বল প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। একই সময়ে, এই অঞ্চলের মুদ্রাস্ফীতি ত্বরান্বিত হলে সেটি ইউরোর দর বৃদ্ধির কারণ হতে পারে, যখন মুদ্রাস্ফীতি মন্থর হলে ইউরোর মূল্য হ্রাস পেতে পারে। দিনের অন্যান্য প্রতিবেদন তুলনামূলক কম তাৎপর্যপূর্ণ।
 

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী: 1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়। 2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত। 3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো। 4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে। 5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত। 6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
 

চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়: সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন। লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে। MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই। ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।

 

https://ifxpr.com/4dlyPK4

 

 

 

 

 

Link to comment
Share on other sites

Create an account or sign in to comment

You need to be a member in order to leave a comment

Create an account

Sign up for a new account in our community. It's easy!

Register a new account

Sign in

Already have an account? Sign in here.

Sign In Now
×
×
  • Create New...

Write what you are looking for and press enter or click the search icon to begin your search