Jump to content

নন-ফার্ম পেরোলের বিতর্কিত ফলাফল এবং ডলারের জন্য একটি নতুন হুমকি


Recommended Posts

৯ সেপ্টেম্বর; নন-ফার্ম পেরোলের বিতর্কিত ফলাফল এবং ডলারের জন্য একটি নতুন হুমকি
This image is no longer relevant

শুক্রবারে যুক্তিসঙ্গতভাবে EUR/USD পেয়ারের বেশ ভালই দরপতন পরিলক্ষিত হয়েছে, যা হয়তো নাও ঘটতে পারত। যাইহোক, বছরে একবার অলৌকিক ঘটনা ঘটতেই পারে, এবং ট্রেডাররা কোন কারণ ছাড়াই ডলার ক্রয় করতে পারে পারে। মার্কিন শ্রমবাজারের নেতিবাচক পরিস্থিতির কী সমাপ্তি ঘটেছে? বেকারত্ব এবং শ্রম বাজার সম্পর্কিত প্রতিবেদনগুলো থেকে এই প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর পাওয়া যায়নি। যদিও দেশটির বেকারত্বের হার 4.2%-এ নেমে গেছে, নন-ফার্ম পেরোলের সংখ্যা আবার পূর্বাভাসের চেয়ে কম ছিল এবং জুলাইয়ের ফলাফল নিম্নমুখী হয়েছিল। ফলে, আমরা আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি যে মার্কিন শ্রমবাজারে পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি, এবং 100% সম্ভাবনা রয়েছে যে ফেডারেল রিজার্ভ সেপ্টেম্বরে মূল সুদের হার কমিয়ে দেবে। প্রশ্ন থেকে যায়: ফেড সুদের হার কতটা কমিয়ে দেবে? আমাদের মতে উত্তরটি সুস্পষ্ট: মার্কিন সুদের হার 0.25% কমানো হবে। আমরা ব্যাপকভাবে আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করার জন্য কোন বাধ্যতামূলক কারণ বা ভিত্তি দেখতে পাচ্ছি না। আমরা মনে করি না যে ফেড ব্যাপক মাত্রায় আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করতে শুরু করবে, কারণ এটি করা হলে মুদ্রাস্ফীতির পতন থেমে যেতে পারে। তা সত্ত্বেও, মার্কিন সুদের হার 0.5% কমানোর সম্ভাবনাও বিদ্যমান এবং আগামী সপ্তাহে এই সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, আগস্টের মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, যা পূর্বাভাস অনুসারে বার্ষিক ভিত্তিতে 0.3% কমে যেতে হতে পারে। অন্য কথায়, দেশটির মুদ্রাস্ফীতি 2.6% পর্যন্ত নেমে আসতে পারে। এই পূর্বাভাসটি পূরণ হবে কিনা তা বলা কঠিন, তবে যদি এটি হয় তবে ফেডের কাছে বছরের শেষ নাগাদ তিনবার সুদের হার কমানোর ভিত্তি থাকবে। মনে করে দেখুন যে যখন মুদ্রাস্ফীতি 2.4% এ নেমে আসে তখন ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করা শুরু করে। যাইহোক, ইউরোজোনের সুদের হার প্রাথমিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় অনেক কম ছিল তাই, যদি পূর্বাভাস অনুযায়ী মুদ্রাস্ফীতি কমে যায়, তবে ফেড বছরের শেষের দিকে বেশ আক্রমনাত্মকভাবে আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণ চলমান রাখতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই, আমরা আমাদের আগেই মতামতেই অটল থাকব। এমনকি যদি ফেড দ্রুততম গতিতে আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণ পরিচালনা করে, মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যে দুই বছর ধরে এই বিষয়টি বিবেচনা করেছে এবং এটির উপর ভিত্তি করে ডলারের মূল্য নির্ধারণ করেছে। অতএব, যে কোনো ক্ষেত্রেই, আমরা মার্কিন ডলারের আরও দরপতনের কোনো কারণ দেখছি না। ইসিবি-র দিকেও মনোযোগ দেওয়া উচিত, ইতোমধ্যে বৃহস্পতিবার তাদের একটি বৈঠক নির্ধারিত রয়েছে, যেখানে সুদের হার আরও 0.25% কমিয়ে আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করার সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তবে, মার্কেটের ট্রেডাররা যথারীতি এই ঘটনা উপেক্ষা করতে পারে. আমাদের মতে, প্রশ্ন হল মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও ফেডের আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণকে পুরোপুরিভাবে প্রক্রিয়া করেছে কিনা। এই মুহূর্তটি এলে আমরা মার্কিন গ্রিনব্যাকের তীক্ষ্ণ শক্তিশালী হওয়ার আশা করতে পারি। ফেডের মুদ্রানীতির ভিত্তিতে মার্কেটের ট্রেডাররা কবে ডলার বিক্রি শেষ করবে তা সঠিকভাবে বলা অসম্ভব। যাইহোক, এটি মনে রাখা উচিত যে আমরা এখনও সাপ্তাহিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখতে পাচ্ছি। সাপ্তাহিক টাইমফ্রেমে, এই পেয়ারের মূল্য হরিজন্টাল চ্যানেলের উপরের সীমানার কাছাকাছি রয়েছে। আমরা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে নতুন করে ইউরোর দর বৃদ্ধির আশা করিনি, তবে এটি মূলত কিছুই পরিবর্তন করে না। এখনও দীর্ঘমেয়াদে ইউরোর দরপতনের অনেক বেশি সম্ভাবনা রয়েছে।
 

Read more:  https://ifxpr.com/47izdGo

 

Link to comment
Share on other sites

Create an account or sign in to comment

You need to be a member in order to leave a comment

Create an account

Sign up for a new account in our community. It's easy!

Register a new account

Sign in

Already have an account? Sign in here.

Sign In Now
×
×
  • Create New...

Write what you are looking for and press enter or click the search icon to begin your search