Jump to content

MontuZaman

Members
  • Posts

    1,394
  • Joined

  • Last visited

  • Days Won

    10

Everything posted by MontuZaman

  1. ১৮ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? http://forex-bangla.com/customavatars/965688067.jpg সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবার একাধিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা থাকলেও, এর মধ্যে কোনোটিই তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। কেবলমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান থেকে কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স বা ভোক্তা মনোভাব সূচক কিছুটা দৃষ্টি পাওয়ার মতো, যা সন্ধ্যায় প্রকাশিত হবে। দিনের বাকি সময়ে ট্রেডাররা কেবল ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিবৃতির উপর নির্ভর করতে পারে, যিনি হয়তো নতুন করে শুল্ক আরোপ বা জেরোম পাওয়েলকে পুনরায় বরখাস্ত করার ঘোষণা দিয়ে আরেক দফা ঝড় তুলতে পারেন। ইউরোজোন, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে একেবারেই কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার কথা নেই। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবারের ফান্ডমেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু নেই, কারণ ফেডারেল রিজার্ভ, ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংক বা ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের কোনো কর্মকর্তার ভাষণ নির্ধারিত নেই। তবে, আমরা অনেকবার বলেছি যে, তাদের বক্তব্য বর্তমানে মার্কেটে খুব একটা প্রভাব ফেলছে না। তিনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকই সুস্পষ্ট মুদ্রানীতি অনুসরণ করছে এবং ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই তা বুঝে ফেলেছে। এখনও বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রধান উদ্বেগের বিষয় বাণিজ্যযুদ্ধ, যার সমাধানের সুস্পষ্ট কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি এখনো উত্তেজনাপূর্ণ, কারণ ট্রাম্প এখন পর্যন্ত মাত্র তিনটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করতে পেরেছেন, যার একটি নিয়ে সন্দেহও রয়েছে, আর সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। গত দুই সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনায় অনিচ্ছুক দেশগুলোর ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পাশাপাশি তামা, ওষুধ ও সেমিকন্ডাক্টরের আমদানিতেও শুল্ক বাড়িয়েছেন। এই নিরুৎসাহজনক মৌলিক প্রেক্ষাপট সত্ত্বেও, গত তিন সপ্তাহে মার্কিন ডলার সক্রিয়ভাবে শক্তিশালী হয়েছে, যা মৌলিক পরিস্থিতির সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। আমরা এখন হায়ার টাইমফ্রেমে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের উর্ধ্বমুখী প্রবণতার নতুন তরঙ্গ শুরু হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। http://forex-bangla.com/customavatars/1042187853.jpg উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, গুরুত্বপূর্ণ কোনো ইভেন্ট না থাকায় উভয় কারেন্সি পেয়ার খুব ধীর গতিতে ট্রেড করতে পারে। টেকনিক্যাল কারেকশন এখনো চলছে, তবে যেকোনো মুহূর্তে তা শেষ হতে পারে। উভয় কারেন্সি পেয়ারের ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের গঠিত হয়েছে এবং মূল্য ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করে ঊর্ধ্বমুখী হলে সেটি ছয় মাসব্যাপী চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পুনরায় শুরু হওয়ার সংকেত দেবে। ইউরোর মূল্য 1.1563 লেভেল থেকে দুইবার রিবাউন্ড করেছে, যা বর্তমান নিম্নমুখী মুভমেন্টের সমাপ্তির সংকেত হতে পারে। Read more: https://ifxpr.com/4kOQsV3
  2. ১৮ জুলাই কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? http://forex-bangla.com/customavatars/1487895486.jpg বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট বৃহস্পতিবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের খুবই সীমিত মাত্রার অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয়েছে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, ব্রিটিশ পাউন্ড এবং মার্কিন ডলারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও, আগেই যেমনটি বলা হয়েছে, মার্কেট বর্তমানে নিজের নিয়মে চলছে। সপ্তাহের শুরুতে আমরা ইতোমধ্যেই দেখেছি যে মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও ডলারের মূল্য শক্তিশালীভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যুক্তরাজ্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন সম্পূর্ণ উপেক্ষিত হয়েছে, জেরোম পাওয়েলকে বরখাস্ত করার গুজবের পর মার্কেটে 'ঝড়' সৃষ্টি হয়েছে, এবং ব্রিটিশ বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফলের প্রতি ট্রেডাররা সম্পূর্ণভাবে উদাসীন ছিল। তাই, আমরা এখনও মনে করি যে, এই পেয়ারের সাম্প্রতিক দরপতন কেবলমাত্র একটি টেকনিক্যাল কারেকশন। কেন এটি হওয়া প্রয়োজন? যাতে বিনিয়োগকারীরা—বিশেষ করে মার্কেট মেকাররা—লং পজিশন থেকে কিছু প্রফিট গ্রহণ করতে পারে এবং নতুন লং পজিশন গঠন শুরু করতে পারে। আমাদের মতে, "2025 সালের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা" চলতে থাকবে। এই পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করে ঊর্ধ্বমুখী হলে সেটি স্বল্পমেয়াদে ট্রেন্ড রিভার্সালের ইঙ্গিত দেবে। GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট বৃহস্পতিবার ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে দুটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়। এই পেয়ারের মূল্য 1.3413–1.3421 জোন থেকে দুইবার রিবাউন্ড করে, কিন্তু কোনো উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট শুরু করতে ব্যর্থ হয়। এই পেয়ার 1.3413–1.3421-এর উপরে কনসোলিডেটও করতে পারেনি। ফলে, নতুন ট্রেডাররা শর্ট পজিশন ওপেন করতে পারেন, কিন্তু এর ফলে লাভ বা লোকসান কিছুই হয়নি। http://forex-bangla.com/customavatars/775760423.jpg শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘন্টাভিত্তিক চার্টে এখনও GBP/USD পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী নিম্নমুখী মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে। আমাদের বিশ্বাস, এই পেয়ারের এই দরপতন নিছক একটি টেকনিক্যাল কারেকশন, কারণ মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধির পক্ষে কোনো মৌলিক কারণ বিদ্যমান নেই। তবুও, ট্রেডাররা শুধুমাত্র টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতেও ট্রেড করতে পারে, এবং এখন আমরা সেটাই দেখছি। যতক্ষণ না মূল্য ট্রেন্ডলাইনের উপরে কনসোলিডেট করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত গত ছয় মাসব্যাপী চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার জন্য কোনো টেকনিক্যাল ভিত্তি তৈরি হবে না। শুক্রবার আবারও GBP/USD পেয়ারের দরপতন হতে পারে, কারণ সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে এমন কোনো শক্তিশালী অনুঘটক নেই যা মার্কেটে বুলিশ বা বিয়ারিশ প্রবণতা সৃষ্টি করবে—যদি না, অবশ্যই, ট্রাম্প আবার নতুন শুল্ক ঘোষণা করেন বা "বিশবারের মতো পাওয়েলকে বরখাস্ত করেন।" ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, এখন নিম্নলিখিত লেভেলগুলোতে ট্রেডিং করা যেতে পারে: 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3458, 1.3518–1.3525, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763, 1.3814–1.3832। শুক্রবার যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে কিছুই নেই, আর যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিতব্য একমাত্র উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হচ্ছে ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান থেকে কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স বা ভোক্তা মনোভাব সূচক। যদিও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক, তবে এই সূচকের প্রভাবে মার্কেটে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। Read more: https://ifxpr.com/4kJ2v68
  3. ট্রাম্প সেমিকন্ডাক্টর ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যে শুল্ক আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছেন http://forex-bangla.com/customavatars/404916391.jpg গতকাল, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন যে তিনি শিগগিরই ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য ও সেমিকন্ডাক্টরের ওপর শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছেন—যা মার্কিন স্টক মার্কেটে দরপতন ঘটিয়েছে, আর মার্কিন ডলার আরও শক্তিশালী হয়েছে। মঙ্গলবার পিটসবার্গে এআই সম্মেলনে যোগ দিয়ে ওয়াশিংটনে ফেরার পথে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, "সম্ভবত, আমরা চলতি মাসের শেষে স্বল্প হারে শুল্ক আরোপ দিয়ে শুরু করব এবং ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য এক বছরের মতো সময় দেব, এরপর শুল্ক অনেক বেশি হবে।" তিনি আরও জানান, সেমিকন্ডাক্টরের ক্ষেত্রেও সময়সূচি "প্রায় একই রকম" হবে এবং চিপের উপর শুল্ক আরোপ প্রক্রিয়া "সহজতর" করা হবে, যদিও এ নিয়ে তিনি অতিরিক্ত কোনো তথ্য দেননি। চলতি মাসের শুরুতে এক মন্ত্রিসভা বৈঠকে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি আসন্ন কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তামার ওপর 50% শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছেন এবং ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যে শুল্ক 200% পর্যন্ত বাড়ানোর চিন্তা করছেন, যেহেতু কোম্পানিগুলোকে উৎপাদন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনতে এক বছর সময় দেওয়া হয়েছে। ট্রাম্প ইতোমধ্যেই 1962 সালের ট্রেড এক্সপ্যানশন অ্যাক্টের সেকশন 232-এর আওতায় ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের আমদানি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে তদন্তের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে বিশ্লেষকরা সতর্ক করছেন, এ ধরনের মাত্রায় শুল্ক আরোপ করা হলে এলি লিলি অ্যান্ড কো, মার্ক অ্যান্ড কো, ও ফাইজার ইনকর্পোরেটেডের মতো ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলতে পারে, যাদের উৎপাদন কার্যক্রম বিদেশে — ফলে আমেরিকান ভোক্তাদের ওষুধের দাম বেড়ে যেতে পারে। ট্রাম্প প্রস্তাবিত সেমিকন্ডাক্টর পণ্যে শুল্কের ক্ষেত্রেও একই ঝুঁকি বিদ্যমান রয়েছে, যা কেবল চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানই নয়, অ্যাপল ইনকর্পোরেটেডের মতো স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স কো.-এর মতো জনপ্রিয় ল্যাপটপ ও স্মার্টফোন নির্মাতাদেরও প্রভাবিত করতে পারে। পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে, যদি শুল্ক আরোপ করা হয়, তাহলে বিদেশে উৎপাদন—যা এতদিন উৎপাদন খরচ কমাতে সাহায্য করেছে—ততটা কার্যকর থাকবে না, যার প্রভাব পড়বে মূল্য নির্ধারণ কৌশল ও মার্কিন ভোক্তাদের ওষুধের ক্রয়ক্ষমতার ওপর। কোম্পানিগুলো বাড়তি খরচ নিজেরা বহন করবে নাকি তা সরাসরি গ্রাহকের ওপর চাপিয়ে দেবে—তা এখনো স্পষ্ট নয়। মার্কিন মূল্যস্ফীতির সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানিগুলো ইতিমধ্যে তাদের কিছু বাড়তি খরচ ভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। প্রশ্ন হলো, এই প্রবণতা কতদূর গড়াবে। সেমিকন্ডাক্টর খাতেও একই পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। ট্রাম্পের শুল্ক পরিকল্পনা কেবল চিপ নির্মাতাদেরই নয়, বরং প্রতিদিনের জীবনে ইলেকট্রনিকস ব্যবহার করা ভোক্তাদেরও প্রভাবিত করতে পারে। অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের ল্যাপটপ ও স্মার্টফোনের দাম বাড়লে, চাহিদা কমে যেতে পারে এবং এতে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর বৈশ্বিক প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। গতকাল ট্রাম্প আরও ঘোষণা করেন যে, তিনি ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে এক চুক্তিতে পৌঁছেছেন যাতে পূর্ব ঘোষিত 32% শুল্ক কমিয়ে 19%-এ আনা হবে। চুক্তির অংশ হিসেবে ইন্দোনেশিয়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে $15 বিলিয়ন মূল্যের জ্বালানি পণ্য, $4.5 বিলিয়ন মূল্যের কৃষিপণ্য এবং 50টি বোয়িং কো. বিমানের অর্ডার দিতে সম্মত হয়েছে। ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি শুল্ক আরোপ কার্যকর হওয়ার আগেই—যা ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার কথা—"দুই বা তিনটি" দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করতে পারেন এবং ভারতের সঙ্গে চুক্তিকে সবচেয়ে সম্ভাব্য বলে উল্লেখ করেন। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা—যাদের ওপর সম্ভাব্য 30% শুল্ক আরোপ হতে পারে—এই সপ্তাহেই মার্কিন আলোচকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। EUR/USD পেয়ারের বর্তমান টেকনিক্যাল দৃশ্যপট অনুযায়ী, ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যের 1.1625 লেভেল ব্রেক করাতে হবে। কেবল তখনই 1.1660-এর লেভেল টেস্টের সম্ভাবনা তৈরি হবে। সেখান থেকে 1.1690-এর দিকে একটি মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, যদিও বড় বিনিয়োগকারীদের শক্তিশালী সহায়তা ছাড়া এই মুভমেন্ট হওয়া বেশ কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.1720 লেভেল। যদি এই পেয়ারের মূল্য কমে যা, তাহলে মূল্য 1.1590 লেভেলে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের সক্রিয়তা আশা করা যায়। সেখানে ক্রয়ের আগ্রহ না দেখা গেলে, 1.1550-এর লেভেল টেস্ট হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা বা 1.1495 লেভেল থেকে লং পজিশনে এন্ট্রি করা উচিত হবে। GBP/USD-এর ক্ষেত্রে, পাউন্ডের ক্রেতাদের প্রথমেই 1.3420-এর রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করতে হবে। কেবল তখনই তারা মূল্যকে 1.3464-এর দিকে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারবে, যেটি অতিক্রম করা বেশ কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.3500 লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন ঘটে, তাহলে বিক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3375 লেভেলে পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে। তারা সফল হলে, এই রেঞ্জ ব্রেক করে মূল্য নিচে নেমে গেলে সেটি ক্রেতাদের জন্য তা বড় একটি আঘাত হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3335 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে , এবং এমনকি মূল্য 1.3290-এও পৌঁছাতে পারে। Read more: https://ifxpr.com/4nY8CGM
  4. স্বর্ণের (XAU/USD) ট্রেডিং সিগন্যাল (১৭-২১ জুলাই, ২০২৫) http://forex-bangla.com/customavatars/1351107893.jpg মূল্য $3,329 (200 EMA - 5/8 মারে) এর উপরে থাকা অবস্থায় স্বর্ণ ক্রয় করা যেতে পারে। স্বর্ণ বর্তমানে 3,335 এর আশেপাশে ট্রেড করছে, যেখানে 3,320 এর সর্বনিম্ন এবং গতকাল মার্কিন সেশনে 3,377 এর সর্বোচ্চ লেভেল থেকে রিবাউন্ড করছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাওয়েলকে বরখাস্ত করার ইঙ্গিত দিয়েছেন, তার পরই স্বর্ণের মূল্যের ব্যাপক অস্থিরতা দেখা যায়। H4 চার্ট অনুযায়ী, স্বর্ণের মূল্য এখন আপট্রেন্ড চ্যানেলের মধ্যে অবস্থান করছে এবং আসন্ন ঘণ্টাগুলোতে 3,329 এ অবস্থিত 200 EMA-র আশেপাশে একটি টেকনিক্যাল রিবাউন্ড হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, অথবা স্বর্ণের মূল্য আপট্রেন্ড চ্যানেলের বটম প্রান্ত 3,310 পর্যন্তও নেমে আসতে পারে। সম্ভাব্যভাবে আগামী দিনগুলোতে স্বর্ণের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যেতে পারে এবং মূল্য 3,398 লেভেলের 7/8 মারে লেভেল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা আপট্রেন্ড চ্যানেলের টপ লেভেলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। অন্যদিকে, যদি স্বর্ণের মূল্য আপট্রেন্ড চ্যানেল তীব্রভাবে ব্রেক নিম্নমুখী হয়, তাহলে আমরা 3/8 মারে সাপোর্ট 3,242 লেভেলের দিকে একটি শক্তিশালী দরপতন দেখতে পারি। আগামী কয়েক দিনে স্বর্ণের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ ঈগল ইন্ডিকেটর একটি পজিটিভ সিগন্যাল দেখাচ্ছে, যা নির্দেশ করে যে যেকোনো টেকনিক্যাল রিবাউন্ডকে ক্রয় অব্যাহত রাখার সুযোগ হিসেবে দেখা হবে। Read more: https://ifxpr.com/3GQUwGb
  5. মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল ফেডের উপর চাপ সৃষ্টি করছে http://forex-bangla.com/customavatars/629134065.jpg গতকাল মার্কিন ডলার বেশ কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের বিপরীতে শক্তিশালী হয়েছে, যদিও জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মূল মুদ্রাস্ফীতির হার প্রত্যাশার তুলনায় কম ছিল। দেশটির মুদ্রাস্ফীতি টানা পাঁচ মাস ধরে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের সাম্প্রতিক ফলাফল ইঙ্গিত দিচ্ছে যে কোম্পানিগুলো এখন ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্কজনিত কিছু খরচ আরও সরাসরিভাবে ভোক্তাদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। ভোক্তা মূল্যসূচক (CPI), যা সাধারণত খাদ্য ও জ্বালানির মতো অস্থির উপাদান বাদ দিয়ে গণনা করা হয়, মে মাসের তুলনায় 0.2% বেড়েছে। গাড়ির দামের পতন সামগ্রিকভাবে বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে রাখলেও, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক দ্বারা প্রভাবিত পণ্যের — যেমন খেলনা এবং গৃহস্থালী যন্ত্রপাতির দামের সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যে দ্রুততম বৃদ্ধিই দেখা গেছে। এই প্রতিবেদন ফেডারেল রিজার্ভের নীতিনির্ধারকদের কোনো স্পষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান করছে না, কারণ তারা এখনো বিভক্ত যে আরোপিত শুল্ক এককালীনভাবে প্রভাব ফেলবে নাকি দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে। তথাপি, এই ফলাফল উচ্চ সুদের হার বজায় রাখার পক্ষে থাকা কর্মকর্তাদের জন্য আরোপিত শুল্কের প্রভাবের প্রমাণ হিসেবে কাজ করতে পারে, যদিও সুদের হার হ্রাসের পক্ষে খুব বেশি যৌক্তিকতা নেই। বিনিয়োগকারীরা এখনো আশা করছে যে দুই সপ্তাহ পর ফেডের বৈঠকে সুদের হার অপরিবর্তিতই থাকবে। উল্লেখযোগ্য যে, জুন মাস ছিল পঞ্চম মাস, যখন যুক্তরাষ্ট্রের তিন বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদারের উপর শুল্ক কার্যকর থাকা সত্ত্বেও মুদ্রাস্ফীতিতে কোনো আকস্মিক বৃদ্ধি দেখা যায়নি। তবুও, ফেডের মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আছে এমন আরও নিশ্চিয়তা প্রয়োজন, তাই মাসের শেষে কোনো বিস্ময়কর সিদ্ধান্ত আসার সম্ভাবনা কম। তবে বর্তমান প্রবণতা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে সেপ্টেম্বরের বৈঠকে সুদের হার হ্রাসের জন্য চাপ বাড়তে পারে। এর আগেই আরেকটি মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, ফলে এখনই ফেডের নীতিমালায় বড় কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। খাদ্য ও জ্বালানি বাদ দিয়ে পণ্য মূল্য 0.2% হারে বেড়েছে, যা গত মাসে স্থির ছিল। খেলনার দাম 2021 সালের শুরু থেকে সবচেয়ে দ্রুত বেড়েছে, 2022 সালের পর গৃহস্থালী পণ্য ও স্পোর্টস পণ্যের সর্বোচ্চ বৃদ্ধিও দেখা গেছে। গৃহস্থালী যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে প্রায় পাঁচ বছরে সর্বোচ্চ মূল্য বৃদ্ধি রেকর্ড করা হয়েছে। অন্যদিকে, নতুন ও পুরোনো গাড়ির দাম কমেছে। ইনফ্লেশন ইনসাইটস এলএলসি-এর প্রেসিডেন্ট ওমর শরীফ জানিয়েছেন, যদি অটোমোবাইল বাদ দেওয়া হয়, তাহলে জুনে মূল পণ্যের দাম 0.55% বেড়েছে—যা 2021 সালের নভেম্বরের পর সর্বোচ্চ মাসিক বৃদ্ধি। তবে মুদ্রাস্ফীতির অনেক সূচক প্রত্যাশার নিচে আসায় প্রশ্ন উঠছে যে ট্রাম্পের শুল্কগুলো কতটা বিস্তৃতভাবে ভোক্তা পণ্যের দামে প্রভাব ফেলবে। কিছু কোম্পানি আগেভাগে পণ্য মজুদ করে বা লাভের পরিমাণ কমিয়ে দাম বাড়ার চাপ থেকে গ্রাহকদের রক্ষা করতে পেরেছে। জ্বালানি বাদ দিয়ে পরিষেবার মূল্য 0.3% বেড়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পরিষেবা মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে আবাসন খাত, তবে হোটেল ভাড়া কমার ফলে আবাসন খরচের বৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ফেড যেসব পরিষেবা সূচক গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে, তার মধ্যে একটি — যেটি আবাসন ও জ্বালানি বাদ দিয়ে পরিমাপ করা হয় — জুনে 0.2% বেড়েছে, যার পেছনে হাসপাতাল পরিষেবা খরচের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ভূমিকা রেখেছে। তবুও, ফেড সুদের হার কমাতে বিলম্ব করতে পারে—এই আশঙ্কা কারেন্সি মার্কেটে প্রতিফলিত হয়েছে, যার ফলে ডলার শক্তিশালী হয়েছে এবং বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের দরপতন ঘটেছে। EUR/USD পেয়ারের বর্তমান টেকনিক্যাল দৃশ্যপট অনুযায়ী, ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যের 1.1625 লেভেল ব্রেক করাতে হবে। কেবল তখনই 1.1660-এর লেভেল টেস্টের সম্ভাবনা তৈরি হবে। সেখান থেকে 1.1690-এর দিকে একটি মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, যদিও বড় বিনিয়োগকারীদের শক্তিশালী সহায়তা ছাড়া এই মুভমেন্ট হওয়া বেশ কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.1720 লেভেল। যদি এই পেয়ারের মূল্য কমে যা, তাহলে মূল্য 1.1590 লেভেলে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের সক্রিয়তা আশা করা যায়। সেখানে ক্রয়ের আগ্রহ না দেখা গেলে, 1.1550-এর লেভেল টেস্ট হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা বা 1.1495 লেভেল থেকে লং পজিশনে এন্ট্রি করা উচিত হবে। GBP/USD-এর ক্ষেত্রে, পাউন্ডের ক্রেতাদের প্রথমেই 1.3420-এর রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করতে হবে। কেবল তখনই তারা মূল্যকে 1.3464-এর দিকে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারবে, যেটি অতিক্রম করা বেশ কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.3500 লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন ঘটে, তাহলে বিক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3375 লেভেলে পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে। তারা সফল হলে, এই রেঞ্জ ব্রেক করে মূল্য নিচে নেমে গেলে সেটি ক্রেতাদের জন্য তা বড় একটি আঘাত হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3335 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে , এবং এমনকি মূল্য 1.3290-এও পৌঁছাতে পারে। Read more: https://ifxpr.com/3IM2Asl
  6. http://forex-bangla.com/customavatars/585066698.jpg মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই GBP/USD কারেন্সি পেয়ারেরও তীব্র দরপতন ঘটেছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে, ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতনের মাত্রা ইউরোর তুলনায় বেশি ছিল; তবে, দুটি কারেন্সি পেয়ারের ক্ষেত্রেই মূল্যের মুভমেন্ট এখনো একটি বিস্তৃত টেকনিক্যাল কারেকশনের মধ্যেই রয়েছে, যা হায়ার টাইমফ্রেমগুলোতে বিশেষভাবে দৃশ্যমান। ফলে, আমরা মনে করি না যে ট্রেডারদের মনোভাবের পরিবর্তন হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না, যার ফলে গত পাঁচ মাস ধরে ডলার দুর্বল হয়েছে। যদি এখন কোনো অলৌকিক উপায়ে মার্কিন কারেন্সির দর বৃদ্ধি পায়, তবে সেটি কেবল একটি বিষয়ই নির্দেশ করে—ট্রেডাররা ডলার বিক্রি করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে এবং এখন কেবল মুনাফা গ্রহণ করা হচ্ছে। অর্থাৎ, ট্রেডাররা EUR/USD এবং GBP/USD পেয়ারের লং পজিশন ক্লোজ করছে, যার ফলে ইউরো ও পাউন্ডের চাহিদা হ্রাস পাচ্ছে এবং এর ফলস্বরূপ ডলারের দর পুনরায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে মঙ্গলবার মাত্র একটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। 1.3458 একটি নতুন লেভেল, যা পূর্ববর্তী বিশ্লেষণের অংশ ছিল না। মার্কিন সেশনে, এই পেয়ারের মূল্য 1.3413–1.3421 এরিয়ার নিচে কনসোলিডেট করে, যার ফলে নতুন ট্রেডাররা শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ পায়। তবে, এই দরপতন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। বুধবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘন্টাভিত্তিক চার্টে এখনও GBP/USD পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী নিম্নমুখী মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে। আমাদের বিশ্বাস, এই পেয়ারের এই দরপতন নিছক একটি টেকনিক্যাল কারেকশন, কারণ মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধির পক্ষে কোনো মৌলিক কারণ বিদ্যমান নেই। তবুও, ট্রেডাররা শুধুমাত্র টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতেও ট্রেড করতে পারে, এবং এখন আমরা সেটাই দেখছি। যতক্ষণ না মূল্য ট্রেন্ডলাইনের উপরে কনসোলিডেট করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত গত ছয় মাসব্যাপী চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার জন্য কোনো টেকনিক্যাল ভিত্তি নেই। বুধবার GBP/USD পেয়ারের আরও দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, তবে ট্রেডারদের উচিত মার্কেটের সামগ্রিক পরিস্থিতি ও বৈশ্বিক মৌলিক উপাদানগুলো বিবেচনায় নেওয়া, কারণ সেগুলো এখনো স্পষ্টভাবে মার্কিন ডলারকে কোনো সমর্থন প্রদান করছে না। ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ ট্রেডিং লেভেলগুলো হলো: 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3458, 1.3518–1.3532, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763, 1.3814–1.3832। বুধবার যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যদিও মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের তুলনায় এটি ট্রেডারদের জন্য কম গুরুত্বপূর্ণ, তথাপি সকালের দিকেই এই প্রতিবেদনের প্রভাবে একটি অস্থির মুভমেন্ট দেখা দিতে পারে। গতকাল যেমনটা দেখা গেছে, অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রতি ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া সবসময় একরকম হয় না। http://forex-bangla.com/customavatars/202502935.jpg Read more: https://ifxpr.com/3ItRhoR
  7. ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাল্টা শুল্কের দ্বিতীয় তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে http://forex-bangla.com/customavatars/493296716.jpg ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) মার্কিন পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্কের দ্বিতীয় তালিকা চূড়ান্ত করেছে, যার মোট পরিমাণ 72 বিলিয়ন ইউরো। এই পদক্ষেপটি ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার চলমান বাণিজ্য উত্তেজনার প্রেক্ষিতে নেয়া হয়েছে, যা ইউরোপীয় স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর আরোপিত মার্কিন শুল্ক এবং গাড়ির ওপর সম্ভাব্য শুল্ক নিয়ে উদ্বেগ থেকে শুরু হয়েছিল। ব্রাসেলসের সূত্রমতে, নতুন তালিকায় কৃষিপণ্য ও টেক্সটাইল থেকে শুরু করে শিল্পপণ্য এবং হাইটেক যন্ত্রপাতিসহ বিস্তৃত পরিসরের পণ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য হচ্ছে মার্কিন অর্থনীতির ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করা, বিশেষত দেশটির সেইসকল অঙ্গরাজ্যগুলোর ওপর যারা মার্কিন প্রশাসনের সুরক্ষাবাদী নীতিকে সমর্থন করে। একই সঙ্গে ইইউ জোর দিয়ে বলছে, তারা এখনও সংলাপ ও আপসের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তবে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন বলেছেন, "ইউরোপ ভয় পাবে না এবং আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে তার স্বার্থ রক্ষার জন্য সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।" এই পাল্টা শুল্ক 1 আগস্ট থেকে কার্যকর হতে পারে এবং বাণিজ্য যুদ্ধকে আরও তীব্র করে তুলতে পারে, যা বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সবচেয়ে সংবেদনশীল পণ্যের তালিকায় রয়েছে বোয়িং কোম্পানির বিমান, গাড়ি এবং বার্বন হুইস্কি। ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, রাসায়নিক ও প্লাস্টিকসামগ্রী, চিকিৎসা সরঞ্জাম, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, মদ এবং অন্যান্য কৃষিপণ্যের ওপরও অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হবে। সম্পূর্ণ তালিকাটি ইউরোপীয় কমিশনের প্রস্তুত করা 206 পৃষ্ঠার একটি নথিতে রয়েছে। প্রাথমিকভাবে, তালিকাটিতে 95 বিলিয়ন ইউরো মূল্যের মার্কিন পণ্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, তবে পরবর্তীতে এটি হ্রাস করা হয়েছে। তবে এই তালিকা কার্যকর করতে এখনও সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অনুমোদন প্রয়োজন। এই পদক্ষেপ ইইউ-এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে এসেছে, যা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পূর্বে অধিকাংশ পণ্যের ওপর 25% পাল্টা শুল্ক এবং গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশের ওপর অতিরিক্ত 25% শুল্ক আরোপ করেছিলেন। আলোচনার সুযোগ দিতে সাধারণ শুল্কহার সাময়িকভাবে 10%-এ নামিয়ে আনা হয়েছিল। তবে গত সপ্তাহের শেষে ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ইইউ যদি 1 আগস্টের মধ্যে কোনো চুক্তিতে না আসে, তাহলে সব পণ্যের ওপর শুল্ক 30%-এ উন্নীত করা হবে। সপ্তাহান্তে, ইইউ ঘোষণা করেছে যে তারা প্রথম তালিকাভুক্ত 21 বিলিয়ন ইউরো মূল্যের মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক স্থগিতাদেশ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে, যা ট্রাম্পের স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় দেওয়া হয়েছিল। ইইউ-এর নতুন শুল্কের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত মার্কিন শিল্পপণ্যের মূল্য 65 বিলিয়ন ইউরোরও বেশি, যার মধ্যে প্রধানত বিমান (প্রায় 11 বিলিয়ন ইউরো), যন্ত্রপাতি (9.4 বিলিয়ন ইউরোরও বেশি) এবং গাড়ি (প্রায় 8 বিলিয়ন ইউরো) রয়েছে। শুল্কের আওতায় থাকা মার্কিন কৃষি ও খাদ্যপণ্যের পরিমাণ 6 বিলিয়ন ইউরোর বেশি, যার মধ্যে ফল ও শাকসবজি (প্রায় 2 বিলিয়ন ইউরো) এবং অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় (1.2 বিলিয়ন ইউরো) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিস্তৃত এই প্যাকেজে আরও রয়েছে সুনির্দিষ্ট যন্ত্রপাতি (প্রায় 5 বিলিয়ন ইউরো), খেলনা ও শখের সামগ্রী (500 মিলিয়ন ইউরোর বেশি), স্পোর্টিং ফায়ারআর্মস (প্রায় 300 মিলিয়ন ইউরো) এবং বাদ্যযন্ত্র (প্রায় 200 মিলিয়ন ইউরো)। যদি মার্কিন-ইইউ বাণিজ্য সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটে, তাহলে ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের ওপর—বিশেষত ইউরোর ওপর—চাপ আরও বেড়ে যেতে পারে। বর্তমানে EUR/USD-এর টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1700 লেভেলে পুনরুদ্ধারের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। কেবল এই লেভেলে পুনরুদ্ধার হলেই 1.1720-এর লেভেল টেস্ট করা সম্ভব হবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্যের 1.1750 লেভেলে পৌঁছানো সম্ভব হতে পারে, যদিও মার্কেটের বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া তা করা বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.1790-এর সর্বোচ্চ লেভেল। যদি দরপতন ঘটে, তাহলে মূল্য 1.1660 লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় উল্লেখযোগ্য ক্রয়ের প্রবণতা দেখা যেতে পারে। সেখানে যদি ক্রেতারা সক্রিয় না হয়, তাহলে 1.1625-এর সর্বনিম্ন লেভেল পর্যন্ত দরপতনের জন্য অপেক্ষা করা যেতে পারে অথবা 1.1595 লেভেল থেকে লং পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে। বর্তমানে GBP/USD-এর টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী পাউন্ডের ক্রেতাদের প্রথমে এই পেয়ারের মূল্যের 1.3455-এর রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করাতে হবে। কেবল তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যের 1.3490-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারে, যদিও মূল্যের ওই লেভেলের ওপরে উঠা পারা কঠিন হবে। বুলিশ প্রবণতা অব্যাহত থাকার ক্ষেত্রে সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.3530-এর লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন হয়, তাহলে বিক্রেতারা মূল্যকে 1.3410-এর লেভেলে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবে। যদি তারা এতে সফল হয়, তাহলে মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করে GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3375-এর সর্বনিম্ন লেভেল পর্যন্ত নেমে যেতে পারে এবং আরও দরপতনের ক্ষেত্রে মূল্যের 1.3346 লেভেলের দিকে ধাবিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। Read more: https://ifxpr.com/452NjMx
  8. GBP/USD. বিশ্লেষণ ও পূর্বাভাস, ১৫ জুলাই। http://forex-bangla.com/customavatars/904162744.jpg আজ GBP/USD পেয়ার 1.3430–1.3435 লেভেলের মধ্যে কনসোলিডেশনের মধ্যে রয়েছে, যেখানে এই পেয়ারের মূল্য এশিয়ান ট্রেডিং সেশনের সময় রেকর্ডকৃত তিন সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন লেভেলের তুলনায় সামান্য ওপরে অবস্থান করছে। এই মূহূর্তে বিনিয়োগকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে মৌলিক দিক থেকে এই প্রতিবেদনের ফলাফল এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতারই সম্ভাবনা নির্দেশ করছে, যা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে পরবর্তীতে সম্ভাব্যভাবে এই পেয়ারের মূল্য নিম্নমুখী হতে পারে। গত সপ্তাহে প্রকাশিত যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানের হতাশাজনক ফলাফল ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের আগস্ট মাসে আরেকবার সুদের হার কমানোর প্রত্যাশাকে আরও জোরালো করেছে। এই পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা কমে যাওয়ার বিপরীতে অবস্থান করছে, যা GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা নির্দেশ করে। যদিও সাময়িকভাবে মার্কিন ডলারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম থেমে যাওয়ায় এই পেয়ারের দরপতন কিছুটা সীমিত হয়েছে। টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে, 4-ঘণ্টার চার্টে এই পেয়ারের মূল্য 100-পিরিয়ড সিম্পল মুভিং এভারেজ (SMA) ব্রেক করে নিম্নমুখী হওয়ার বিষয়টি গত সপ্তাহে বিয়ারিশ প্রবণতা শুরু হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সিগন্যাল ছিল। তবে একই টাইমফ্রেমে রিলেটিভ স্ট্রেন্থ ইনডেক্স (RSI) ইতোমধ্যে ওভারসোল্ড স্ট্যাটাস দেখাচ্ছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের স্বল্পমেয়াদী নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার আগে দৈনিক ভিত্তিতে কনসোলিডেশন অথবা একটি সামান্য রিবাউন্ড দেখা যেতে পারে। তবে, যেকোনো প্রকার রিবাউন্ডের প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে এই পেয়ারের মূল্য 1.3475 লেভেলের আশেপাশে রেজিস্ট্যান্সের মুখোমুখি হবে, যা মূল্যকে 1.3500 সাইকোলজিক্যাল রেজিস্ট্যান্সের নিচে আটকে রাখবে। এই লেভেলের ওপরে একটি স্থিতিশীল মুভমেন্ট শর্ট কাভারিং শুরু করতে পারে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যকে ধাপে ধাপে 1.3550 মধ্যবর্তী রেজিস্ট্যান্স, তারপর 1.3600-এর রাউন্ড লেভেল এবং 1.3620–1.3625 সাপ্লাই জোনের দিকে নিয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে, বিয়াররা নতুন শর্ট পজিশন নেওয়ার আগে 1.3400-এর গুরুত্বপূর্ণ সাইকোলজিক্যাল সাপোর্ট লেভেলের স্পষ্টভাবে ব্রেকআউটের পর মূল্য নিম্নমুখী হওয়ার অপেক্ষায় থাকবে। এই পরিস্থিতিতে, GBP/USD পেয়ারের মূল্য দ্রুতগতিতে নিম্নমুখী হতে পারে এবং পরবর্তীতে মূল্য গুরুত্বপূর্ণ সাপোর্ট 1.3355 লেভেল যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারে, এরপর মূল্য 1.3300-এর রাউন্ড লেভেলের দিকে অগ্রসর হতে পারে। আরও দরপতন হলে পেয়ারটির মূল্য 100-দিনের সিম্পল মুভিং এভারেজ (SMA) এর দিকে নিয়ে যেতে পারে, যা বর্তমানে 1.3265 লেভেলের আশেপাশে অবস্থান করছে। Read more: https://ifxpr.com/44uLlV5
  9. ১৪ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? http://forex-bangla.com/customavatars/1205967764.jpg সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবারে কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। স্মরণ করা যাক, গত সপ্তাহেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র — উভয় অঞ্চলেই — কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের প্রকাশনা, ভাষণ বা উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট ছিল না। কেবল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিদিনের মতো নতুন করে শুল্ক আরোপ ও বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়ে গেছেন। তবে কোনো এক অজানা কারণে, মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা এই ঘোষণাগুলো সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করেছে। বর্তমানে সম্পূর্ণরূপে টেকনিক্যাল ভিত্তিতে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের কারেকশন হচ্ছে। সোমবার ইউরো ও পাউন্ডের মূল্যের মুভমেন্ট কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফলের দ্বারা প্রভাবিত হবে না। http://forex-bangla.com/customavatars/566845609.jpg ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবারের মৌলিক দৃষ্টিকোণ থেকেও উল্লেখযোগ্য কিছু নেই। আমরা বহুবার বলেছি, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি), ফেডারেল রিজার্ভ (ফেডের), অথবা ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড-এর প্রতিনিধিদের বক্তব্য বর্তমানে মার্কেটের উপর কার্যত কোনো প্রভাব ফেলছে না। এই তিনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতিগত অবস্থান এখন একেবারে স্পষ্ট। কোনো প্রশ্ন নেই এবং মুদ্রানীতির পরিবর্তনের প্রভাবও এখন প্রায় শূন্যের কোঠায় রয়েছে। মনে করিয়ে দেই, 2025 সালে ইউরো ও পাউন্ড — উভয় কারেন্সিই — ধারাবাহিকভাবে শক্তিশালী হয়েছে এবং ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে, যদিও ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখনো নমনীয় মুদ্রানীতি অনুসরণ করছে। মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের প্রধান উদ্বেগ হিসেবে বাণিজ্যযুদ্ধ রয়ে গেছে, যার কোনো সমাধানের ইঙ্গিত এখনো দেখা যাচ্ছে না। বরং পরিস্থিতি ক্রমেই আরও জটিল হচ্ছে, কারণ ট্রাম্প এখন পর্যন্ত কেবল তিনটি বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন — যার একটি নিয়েও যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। তদুপরি, সব ধরনের শুল্ক এখনও কার্যকর থাকায়, মার্কেটে আশাবাদী হওয়ার মতো কোনো বাস্তব ভিত্তিও নেই। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আবারও তাদের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেন, যারা ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহ দেখাচ্ছে না (প্রায় সব দেশই), এবং একই সঙ্গে তামা, ওষুধ এবং সেমিকন্ডাক্টরের ওপর আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে দেন। সার্বিক পরিস্থিতি অনুযায়ী সময়ের সাথে সাথে মার্কেটের অবস্থা ভালো হচ্ছে না। তাই আমরা এখনো ডলারের মূল্য বৃদ্ধির জন্য কোনো যৌক্তিক কারণ দেখতে পাচ্ছি না। উপসংহার: নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের খুবই ধীর গতির মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, কারণ কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন বা ইভেন্ট নেই। টেকনিক্যাল কারেকশন চলমান রয়েছে, তবে যেকোনো সময় তা শেষ হয়ে যেতে পারে। উভয় পেয়ারের ডাউনওয়ার্ড ট্রেন্ডলাইন গঠিত হয়েছে — যদি মূল্য এই ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করে, তবে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। Read more: https://ifxpr.com/4eNOAul
  10. EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১৪ জুলাই http://forex-bangla.com/customavatars/1576681729.jpg ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচের দিকে নামতে শুরু করে তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1678-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, — যা ইউরো বিক্রি করার একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। তবে, এই পেয়ারের দরপতন ঘটেনি, যার ফলে এই ট্রেড থেকে লোকসান গুনতে হয়েছে। সপ্তাহান্তে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর 30% শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, যা তাৎক্ষণিকভাবে কারেন্সি মার্কেটকে প্রভাবিত করে। ইউরো তীব্র চাপের মুখে পড়ে, বিপরীতে ডলার সমর্থন পায় এবং শক্তিশালী হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্ত ইউরোপের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনা ও উদ্বেগের জন্ম দেয়। অনেক বিশেষজ্ঞ আশঙ্কা করছেন, এই পদক্ষেপটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ-র মধ্যে একটি পূর্ণমাত্রার বাণিজ্যযুদ্ধের সূচনা করতে পারে, যা বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ব্রাসেলস ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, যদি মার্কিন শুল্ক কার্যকর হয়, তাহলে তারা পাল্টা ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত। আগামী দিনগুলোতে বাণিজ্য সংক্রান্ত এই বিরোধ সমাধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ-র প্রতিনিধি দলের মধ্যে আলোচনা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই আলোচনা থেকেই নির্ধারিত হবে বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনৈতিক ব্লকের ভবিষ্যৎ সম্পর্কের দিকনির্দেশনা। আজ খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই, এবং ইউরোগ্রুপের বৈঠকই প্রধান মনোযোগের বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সেখানে মার্কিন শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে সম্ভাব্য পাল্টা ব্যবস্থা এবং ভবিষ্যৎ বাণিজ্যিক সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এই ইস্যুটিই স্বল্পমেয়াদে ইউরোর মূল্যের মুভমেন্ট নির্ধারণে মুখ্য ভূমিকা রাখবে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব। http://forex-bangla.com/customavatars/1262971395.jpg বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1717-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1672-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1717-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের পুলব্যাকের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র কারেকশনের অংশ হিসেবে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1651-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1672 এবং 1.1717-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1651-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1610-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1672-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1651 এবং 1.1610-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি। Read more: https://ifxpr.com/4nI4g6x
  11. মার্কিন স্টক মার্কেটের আপডেট, ১১ জুলাই রেকর্ড উচ্চতায় ওঠার পর S&P 500 এবং নাসডাক সূচকে দরপতন http://forex-bangla.com/customavatars/344182913.jpg বুধবার মার্কিন স্টক মার্কেটে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে লেনদেন শেষ হয়, যেখানে S&P 500 সূচক 0.27% বৃদ্ধি পায়, নাসডাক 100 সূচক 0.09% বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ সূচক 0.43% বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আজ এশিয়ান ট্রেডিং সেশনে মার্কিন স্টক সূচকের ফিউচারগুলো নিম্নমুখী হয়ে পড়ে এবং মার্কিন ডলার শক্তিশালী হয়ে ওঠে, কারণ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাণিজ্য উত্তেজনা বাড়িয়ে অধিকাংশ বাণিজ্য অংশীদারের ওপর শুল্ক বাড়ানোর ইঙ্গিত দেন। S&P 500 এবং ইউরোপীয় ইকুইটির ফিউচার চুক্তিগুলো ট্রাম্পের ঘোষণার পর 0.2% কমে যায়—যেখানে তিনি বলেন, তিনি সার্বজনীন শুল্কহার 10% থেকে বাড়িয়ে 15% থেকে 20% করার পরিকল্পনা করছেন। ট্রাম্প কানাডার নির্দিষ্ট আমদানিকৃত পণ্যের ওপর 35% শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর কানাডিয়ান ডলার উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। ট্রাম্পের এই অপ্রত্যাশিত মন্তব্য আর্থিক বাজারে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি করে এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে দেয়। প্রস্তাবিত এই বিস্তৃত শুল্ক নীতিগুলো তার পূর্ববর্তী প্রতিশ্রুতি থেকে একটি বড় বিপরীতমুখী পদক্ষেপ এবং তা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সম্পর্ককে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। বিনিয়োগকারীরা উদ্বিগ্ন যে এমন পদক্ষেপ আমদানি মূল্যে বৃদ্ধি, marrkin কোম্পানির প্রতিযোগিতা হ্রাস এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি কমিয়ে দিতে পারে। এদিকে, গোল্ডম্যান শ্যাক্সের কৌশলবিদরা জাপান ছাড়া এশিয়ার আঞ্চলিক ইকুইটিগুলোর ওপর তাদের দৃষ্টিভঙ্গি উন্নত করায় এশিয়ান সূচকগুলো আরও ঊর্ধ্বমুখী হয়—তারা উন্নততর সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং কমে আসা শুল্ক ঝুঁকির কথা উল্লেখ করেন। এই সপ্তাহে বাণিজ্য উত্তেজনা চোখে পড়ার মতো বেড়েছে, কারণ ট্রাম্প বিভিন্ন বাণিজ্য অংশীদারের ওপর শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন—যার মাধ্যমে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অকল্যাণকর বৈশ্বিক বাণিজ্য চুক্তিগুলো পুনর্গঠন করতে চাইছেন। তা সত্ত্বেও, বিনিয়োগকারীরা শেয়ারে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছেন, এবং বৃহস্পতিবার S&P 500 সূচকের নতুন সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছানোর পর লেনদেন শেষ হয়েছে। এটি এই ইঙ্গিত দেয় যে মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা ধীর প্রবৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা থেকে মনোযোগ সরিয়ে আয়ের মৌসুমের প্রস্তুতিতে মনোনিবেশ করছেন। অন্যদিকে, চীনের মন্থর অর্থনীতিকে সহায়তা করতে বেইজিং একটি নতুন আর্থিক ও রাজস্ব প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে, যেখানে দুর্বল অভ্যন্তরীণ চাহিদা, রিয়েল এস্টেট খাতের সংকট, এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে এমন পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে। সম্ভাব্য পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে পিপলস ব্যাংক অব চায়না সুদের হার কমিয়ে ব্যবসা ও ভোক্তাদের জন্য ঋণগ্রহণ সহজতর করা। এছাড়াও, সরকারের অবকাঠামো প্রকল্প—যেমন সড়ক, রেলপথ এবং বিমানবন্দরে—ব্যয় বাড়ানোর বিষয়টিও বিবেচনাধীন। এই বিনিয়োগগুলো অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে উদ্দীপিত করার পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। তদুপরি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের জন্য কর হ্রাসের কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে, যাতে আর্থিক চাপ কমে এবং পুনঃবিনিয়োগ ও উৎপাদন সম্প্রসারণ সম্ভব হয়—যা চীনের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ। টেকনিক্যাল দিক থেকে, আজ ক্রেতাদের লক্ষ্য থাকবে সূচকটির $6,267 লেভেল ব্রেক করা। এই লেভেল সফলভাবে অতিক্রম করতে পারলে মূল্য $6,276 পর্যন্ত উঠতে পারে এবং পরবর্তী লক্ষ্য হবে $6,285—যা ক্রেতাদের নিয়ন্ত্রণকে শক্তিশালী করবে। বিপরীত দিকে, যদি ঝুঁকি গ্রহণের মনোভাব কমে যায়, তবে ক্রেতাদের $6,257 লেভেলের কাছাকাছি সক্রিয় থাকতে হবে। এই লেভেলের নিচে নেমে গেলে সূচকটির দর $6,245 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে, এবং সম্ভাব্যভাবে আরও নিম্নমুখী হয়ে $6,234 লেভেলে পৌঁছাতে পারে। Read more: https://ifxpr.com/3GEIMqf
  12. EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১১ জুলাই http://forex-bangla.com/customavatars/1072306799.jpg ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি সবেমাত্র জিরো লাইনের নিচের দিকে যাওয়া শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1725-এর লেভেল টেস্ট করেছিল। যা ইউরোর শর্ট এন্ট্রির বৈধতা নিশ্চিত করে এবং 40 পয়েন্টেরও বেশি দরপতনের দিকে নিয়ে যায়। যেসব দেশ এখনো যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি, তাদের উপর অতিরিক্ত 35% শুল্ক আরোপের হুমকি মার্কিন ডলারকে সমর্থন দিয়েছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটগুলো, যার মধ্যে ইউরোও রয়েছে, তীব্রভাবে দরপতনের শিকার হয়েছে। আজ, ইউরোজোনজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ কোনো প্রতিবেদন প্রকাশের কথা না থাকলেও, জার্মানি ও ফ্রান্সের প্রতিবেদনের দিকে দৃষ্টি থাকবে। বিনিয়োগকারীরা জার্মানির পাইকারি মূল্য সূচক (WPI) এবং ফ্রান্সের ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দিকে ঘনিষ্ঠভাবে লক্ষ্য রাখছে, কারণ এই দুই প্রতিবেদনের ফলাফল ইউরোজোনের বৃহত্তম অর্থনীতিগুলোর ভবিষ্যৎ মুদ্রাস্ফীতির প্রবণতা সম্পর্কে ধারণা দেয়। ঐতিহ্যগতভাবে, জার্মানির পাইকারি মূল্য সূচককে মুদ্রাস্ফীতির পূর্বাভাসে একটি নেতৃস্থানীয় সূচক হিসেবে দেখা হয়, কারণ পাইকারি মূল্য সূচক বৃদ্ধি পেলে সেটি শেষ পর্যন্ত ভোক্তা মূল্য সূচকেও প্রতিফলিত হতে পারে। বিপরীতে, পাইকারি মূল্য সূচকের পতন মুদ্রাস্ফীতির চাপ দুর্বল হওয়ার ইঙ্গিত দিতে পারে এবং ভোক্তা মূল্য সূচকের সম্ভাব্য হ্রাস নির্দেশ করতে পারে। পরবর্তীতে, ফ্রান্সের ভোক্তা মূল্য সূচক বা CPI প্রকাশিত হবে। এই সূচকটি পরিবারের দ্বারা কেনা পণ্য ও সেবার দামের পরিবর্তন প্রতিফলিত করে। CPI বৃদ্ধি পেলে সেটি ইসিবি সুদের হারে সতর্ক অবস্থান বজায় রাখতে প্ররোচিত করতে পারে, অন্যদিকে CPI হ্রাস পেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বর্তমান নীতি বজায় রাখা বা তা আরও শিথিল করার দিকে এগোতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করব। বাই সিগন্যাল http://forex-bangla.com/customavatars/1889804185.jpg বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1744-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1694-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1744-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের পুলব্যাকের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরো ক্রয় করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1670-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1694 এবং 1.1744-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1670-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1616-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1694-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1670 এবং 1.1616-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি। Read more: https://ifxpr.com/40cZBiM
  13. ১০ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? http://forex-bangla.com/customavatars/2006027536.jpg সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারে খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত আছে এবং এর কোনোটিই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে না। তাহলে আজ ট্রেডাররা কীসের উপর দৃষ্টি দেবে? জার্মানির ভোক্তা মূল্য সূচকের দ্বিতীয় অনুমান? না কি মার্কিন জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন? বর্তমান সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী, শক্তিশালী প্রবণতাভিত্তিক মুভমেন্টের সম্ভাবনা কম। তবে এটা মনে রাখা জরুরি যে, কারেন্সি মার্কেটে প্রায়শই অনিশ্চিত পরিস্থিতি বিরাজ করে। যেকোনো সময় শক্তিশালী মুভমেন্ট অথবা নতুন কোনো প্রবণতা শুরু হতে পারে, এমনকি স্পষ্ট কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রভাব ছাড়াও এটি হতে পারে। তাই, যদি নির্ভরযোগ্য ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়, তাহলে সেগুলোর ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ফেডের কর্মকর্তা—ক্রিস্টোফার ওয়ালার, মেরি ডালি এবং অ্যালবার্ট মুজালেমের ভাষণ উল্লেখযোগ্য। তবে, ফেডের বর্তমান অবস্থান এখন ইসিবির মতোই বেশ স্পষ্ট: পাওয়েল এবং তাঁর টিম ট্রাম্পের শুল্ক নীতির প্রভাব দেখতে ও মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির জন্য, এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা প্রশমনের জন্য অপেক্ষা করতে চায়। সুতরাং, নিকট ভবিষ্যতে সুদের হার হ্রাসের প্রত্যাশা করা হচ্ছে না। এখনো বাণিজ্য যুদ্ধই ট্রেডারদের কাছে প্রধান উদ্বেগের বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এবং এর কোনো সমাধানের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি ক্রমাগত জটিল হচ্ছে, কারণ ট্রাম্প এখন পর্যন্ত মাত্র তিনটি বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পেরেছেন—যার মধ্যে একটি আবার অত্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ। উপরন্তু, বিনিয়োগকারীরাও আশাবাদের তেমন কিছু দেখছে না, কারণ ট্রাম্প কর্তৃক আরোপিত সমস্ত শুল্ক এখনো বহাল রয়েছে। এই সপ্তাহে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও এক দফা শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছেন, তাদের জন্য যারা এখনো ওয়াশিংটনের সঙ্গে চুক্তি করতে আগ্রহ দেখায়নি (প্রায় সবাই), এবং এর পাশাপাশি তামা, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং সেমিকন্ডাক্টর আমদানির ওপর শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, সময়ের সাথে সাথে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। তাই, আমরা এখনো ডলারের দর বৃদ্ধির জন্য কোনো জোরালো কারণ দেখছি না। উপসংহার: সপ্তাহের শেষদিকের ট্রেডিংয়ের, সম্ভবত নিম্নমুখী প্রবণতার সাথেই EUR/USD এবং GBP/USD কারেন্সি পেয়ারেরট্রেড করা হবে, কারণ কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। টেকনিক্যাল কারেকশন এখনো চলমান রয়েছে, তবে এটি যেকোনো সময় শেষ হয়ে যেতে পারে। ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে উভয় পেয়ারেরই একটি করে ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন গঠিত হয়েছে, এবং এই লাইন ব্রেকআউট করে মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হলে সেটি আবারও উর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হওয়ার সংকেত দিবে। Read more: https://ifxpr.com/4ktRKo0
  14. EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১০ জুলাই http://forex-bangla.com/customavatars/1849002240.jpg ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই জিরো লাইনের অনেক নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1698-এর লেভেলটি টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণে আমি ইউরো বিক্রি করিনি। দিনের বাকি সময়ে আমি আর কোনো সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট দেখতে পাইনি। বুধবার এই পেয়ারের মূল্য চ্যানেলের মধ্যে অবস্থান করা অবস্থায়ই দৈনিক ট্রেডিং শেষ হয়েছে, কোনো নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা পরিলক্ষিত হয়নি। ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটি (FOMC)-র সর্বশেষ বৈঠকের কার্যবিবরণী মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের নতুন কোনো তথ্য দেয়নি, যদিও এতে ফেডের সদস্যদের মধ্যে সুদের হারের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে বিদ্যমান মতানৈক্যের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। কমিটির কিছু সদস্য অব্যাহত উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আরও মন্থর হওয়ায় কঠোর মুদ্রানীতি ধরে রাখার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। অন্যদিকে, কিছু সদস্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, বর্তমানে উচ্চ সুদের হার ইতোমধ্যেই ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড ও বিনিয়োগে চাপ সৃষ্টি করছে, এবং আরও কড়াকড়ি আরোপ করা হলে সেটি অনাকাঙ্ক্ষিত প্রভাব ফেলতে পারে। আজ মূলত জার্মানির জুন মাসের ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) এবং ইতালির শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদনের উপর ট্রেডারদের দৃষ্টি থাকবে। জার্মানিতে মুদ্রাস্ফীতির হার অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা থাকায়, এটি ইউরোকে তেমনভাবে শক্তিশালী করবে না। তবে পূর্বাভাসের তুলনায় যেকোনো বিচ্যুতি স্বল্পমেয়াদে মার্কেটে এই পেয়ারের মূল্যের ওঠানামার কারণ হতে পারে। জার্মানির ভোক্তা মূল্য সূচক প্রত্যাশার চেয়ে বেশি এলে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভবিষ্যতে সুদের হার কমানোর ক্ষেত্রে আরও সতর্ক অবস্থান নিতে পারে। ইতালির শিল্প উৎপাদন দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে সেটি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড জোরদার হওয়ার ইঙ্গিত দেবে, যা ইউরোর জন্য ইতিবাচক। বিপরীতে, উৎপাদন কমে গেলে সেটি দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থরতার বার্তা দেবে এবং ইউরোর উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তবুও, এই প্রতিবেদনের গুলোর সামগ্রিক প্রভাব ইউরোর উপর সীমিত থাকবেই বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি এবং ইউরোজোনের অর্থনীতির সার্বিক অবস্থাই ইউরোর উপর বেশি প্রভাব ফেলে থাকে। আজকের দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি আগের মতোই পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের চেষ্টা করে যাব। বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1775-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1746-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1775-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের পুলব্যাকের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1729-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1746 এবং 1.1775-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1729-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1705-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1746-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1729 এবং 1.1705-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি। Read more: https://ifxpr.com/406h2BC
  15. ৯ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? http://forex-bangla.com/customavatars/846776825.jpg সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার কোনো ধরনের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। সপ্তাহটি মোটামুটি সক্রিয় ট্রেডিংয়ের সাথে শুরু হয়েছে, যেখানে উভয় কারেন্সি পেয়ারেরই দরপতন হয়েছে, যদিও মৌলিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ডলারের আরেক দফা দরপতনের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। তবে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের কোনোভাবেই প্রভাবিত করেনি, কারণ এগুলো ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। এবং তার আগেই আমদানি শুল্ক নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অবস্থান আরও দশবার পরিবর্তিত হতে পারে। উপরন্তু, যেসব দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, তাদের সঙ্গেও যেকোনো সময় বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে। সুতরাং, বর্তমানে আমরা যা দেখছি তা নিতান্তই একটি টেকনিক্যাল কারেকশন। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে ইসিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ লেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট লুইস ডে গুইন্ডোস-এর বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে। তবে আগেও উল্লেখ করা হয়েছে, ইউরোপীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থার অবস্থান বর্তমানে 100% স্পষ্ট, এবং সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত ইউরোর বিনিময় হারে কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলেনি। ট্রেডারদের কাছে এখনও বাণিজ্যযুদ্ধই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যার কোনো সমাধানের ইঙ্গিত এখনো নেই। পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হচ্ছে, কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন পর্যন্ত মাত্র তিনটি বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। উপরন্তু, ট্রেডাররা বুঝে উঠতে পারছে না যে আনন্দ করার কী আছে যখন ট্রাম্প কর্তৃক আরোপিত সকল শুল্কই বহাল রয়েছে। এই সপ্তাহে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবারো সেই দেশগুলোর ওপর শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছেন, যারা ওয়াশিংটনের সঙ্গে চুক্তি করতে আগ্রহী নয়, এবং একই সঙ্গে তামা আমদানির ওপর শুল্ক বাড়ানোর কথাও জানিয়েছেন। দেখা যাচ্ছে, পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হচ্ছে না। তাই এখনো ডলারের মূল্যের টেকসই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কোনো ভিত্তি দেখা যাচ্ছে না। http://forex-bangla.com/customavatars/366125543.jpg উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা প্রতিবেদনের প্রকাশনা না থাকায় উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের খুব ধীরগতির মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। টেকনিক্যাল কারেকশন চলছে, তবে যেকোনো সময় তা শেষ হতে পারে। উভয় কারেন্সি পেয়ারেরই ডাউনওয়ার্ড ট্রেন্ডলাইন গঠিত হয়েছে, এবং সেগুলো ব্রেক করে মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হলেই আবার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ফিরে আসার ইঙ্গিত পাওয়া যাবে। Read more: https://ifxpr.com/3TwmDNN
  16. EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৯ জুলাই http://forex-bangla.com/customavatars/1563652539.jpg ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই জিরো লাইনের বেশ নিচে অবস্থান করছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1732-এর লেভেল টেস্ট করেছে, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে দেয়। কিছুক্ষণ পরেই দ্বিতীয়বার মতো 1.1732-এর লেভেলের টেস্ট হয়, সেসময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে অবস্থান করছিল, যা বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের সুযোগ দেয়, কিন্তু এর পরেও এই পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হতে ব্যর্থ হয়। গতকাল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট কঠোর শুল্ক নীতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ইচ্ছার কথা জানান, যা ইউরোর ওপর চাপ সৃষ্টি করে এবং ডলারকে সমর্থন দেয়। ট্রাম্প কিছু দেশকে—যেখানে সম্ভবত ইইউ-ও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে—শুল্ক ছাড় দেওয়ার সম্ভাবনা সরাসরি নাকচ করে দেন, যার ফলে ইউরো তৎক্ষণাৎ দরপতনের সম্মুখীন হয়। আজ, দিনের প্রথমার্ধে, ইউরো চাপের মধ্যে থাকতে পারে, কারণ ইউরোজোনে একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট হিসেবে বুন্ডেসব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জোয়াখিম নাগেলের বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভবিষ্যৎ মুদ্রানীতির ইঙ্গিত খুঁজতে ট্রেডাররা তার বক্তব্য সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। তাঁর মন্তব্যে হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত প্রতিফলিত হলে সেটি ইউরোকে সমর্থন দিতে পারে, অন্যদিকে ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত ইউরোর ওপর চাপ আরও বৃদ্ধি করতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ দেব। http://forex-bangla.com/customavatars/767171237.jpg বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1764-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1726-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1764-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের পুলব্যাকের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র কারেকশনের অংশ হিসেবে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1698-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1726 এবং 1.1764-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1698-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1654-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ এই পেয়ারের বিক্রয়ের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1726-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1698 এবং 1.1654-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি। Read more: https://ifxpr.com/3IhIxSE
  17. ইলন মাস্কের আমেরিকা পার্টি বিটকয়েন ও ডিজিটাল অ্যাসেটের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছে http://forex-bangla.com/customavatars/1439124473.jpg সম্প্রতি ইলন মাস্কের নেতৃত্বে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল "আমেরিকা পার্টি" বিটকয়েনের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। টেসলার সিইও নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ঘোষণা দিয়েছেন। বিটকয়েনকে দলীয়ভাবে গ্রহণ করা হবে কিনা—এই প্রশ্নের জবাবে মাস্ক বলেন, "ফিয়াট বা নগদ অর্থের ব্যবস্থা নিরাশাজনক, তাই হ্যাঁ, আমরা ক্রিপ্টোকারেন্সির উপর গুরুত্ব দিচ্ছি।" এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে ক্রিপ্টো কমিউনিটির মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। ডিজিটাল অ্যাসেটের প্রতি ভালবাসা এবং মার্কেটে প্রভাব সৃষ্টির জন্য পরিচিত মাস্ক কার্যত বিটকয়েনের প্রতি রাজনৈতিক সমর্থন প্রকাশ করেছেন। এই পদক্ষেপের প্রভাব শুধুমাত্র বিটকয়েনের ওপর নয়, বরং সমগ্র রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে বিস্তৃত হতে পারে। কারণ একটি রাজনৈতিক দলের বিটকয়েনের প্রতি সমর্থন মানে শুধু প্রযুক্তিকে সমর্থন করা নয়, বরং ডিজিটাল অ্যাসেটকে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোর মধ্যে সংহত করার ঘোষণাও। এর মধ্যে ক্রিপ্টোকারেন্সির জন্য সহায়ক আইন প্রণয়ন, যুক্তরাষ্ট্রে যেটি ইতোমধ্যেই কিছু রাজনীতিবিদ সক্রিয়ভাবে উদ্যোগ নিয়েছেন, সেইসাথে ক্রিপ্টো ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থ রক্ষায় লবিং ও বিটকয়েনকে পেমেন্ট পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহারের প্রসার অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। মনে করিয়ে দিই, গত শনিবার মাস্ক এক জরিপের মাধ্যমে জনমত যাচাই করার পর আমেরিকা পার্টি গঠনের ঘোষণা দেন। নতুন এই দল রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের দুই-দলীয় ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চায়। মাস্ক শনিবার এক্স-এ পোস্ট করে লেখেন, "অপচয় ও ঘুষের মাধ্যমে আমাদের দেশকে দেউলিয়া করার ক্ষেত্রে এটি স্পষ্ট যে আমরা গণতন্ত্রিক দেশে বাস করি না। আজ নতুন আমেরিকা পার্টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আপনার স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্য।" আমেরিকা পার্টির যাত্রা শুরু হয়েছে ইলন মাস্ক এবং তার পূর্বের ঘনিষ্ঠ মিত্র ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে $3.4 ট্রিলিয়নের "বিগ, বিউটিফুল বিল" নিয়ে ব্যাপক আলোচিত দ্বন্দ্বের পর। এই ব্যয় প্যাকেজটিকে মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি বাড়াবে বলে সমালোচনা করেছিলেন। ট্রাম্প গত শুক্রবার বিলটি স্বাক্ষর করেন। এদিকে, ট্রাম্প ট্রুথ সোশালে এক পোস্টে বলেন, মাস্ক "পুরোপুরিভাবে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন," এবং যুক্তরাষ্ট্রে কখনও কোনো তৃতীয় রাজনৈতিক দল সফল হয়নি বলেও মন্তব্য করেন। ইতোমধ্যেই আমেরিকা পার্টি তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট চালু করেছে এবং অনেক বিলিয়নিয়ার নতুন দলের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আমেরিকা পার্টি এখনো ফেডারেল ইলেকশন কমিশনে আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত হয়নি এবং মাস্কও এখনো বিস্তারিত রোডম্যাপ উপস্থাপন করেননি। Read more: https://ifxpr.com/4ks3OpZ
  18. EUR/USD পেয়ারের পর্যালোচনা ৮ জুলাই, ২০২৫ http://forex-bangla.com/customavatars/1777620991.jpg সোমবার সারাদিনই নিম্নমুখী প্রবণতার সাথে EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের ট্রেড করা হয়েছে, যদিও ডলারের শক্তিশালী হওয়ার পেছনে বাস্তব কোনো শক্তিশালী কারণ ছিল না বললেই চলে। স্মরণ করিয়ে দিই, সপ্তাহান্তে ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও ঘোষণা করেছেন যে "কালো তালিকাভুক্ত" সব দেশের ওপর শিগগিরই শুল্ক বাড়ানো হবে, অন্যদিকে ওলন মাস্ক ঘোষণা দিয়েছেন যে তিনি "আমেরিকান পার্টি" গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যার লক্ষ্য হবে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান—উভয় দলের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করা। ট্রাম্পের শুল্ক বৃদ্ধির ইচ্ছা এখন নতুন কিছু নয়। বিশ্ববাসী ইতোমধ্যেই তাঁর কৌশল ভালোভাবে বুঝে গেছে: প্রথমে তিনি হুমকি দেন, চূড়ান্ত শর্ত এবং দাবি আরোপ করেন। প্রতিপক্ষ যদি তাঁর শর্তে রাজি হয়, তিনি সঙ্গে সঙ্গে তাদের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন। না হলে, আরও হুমকি দেন এবং অবশেষে নিষেধাজ্ঞা বা শুল্ক আরোপ করেন। সুতরাং আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা এখন আর অপ্রত্যাশিত কোনো বিষয় নয়। সোমবার ডলার কিছুটা শক্তিশালী হয়েছিল, কিন্তু এই পরিস্থিতিতে কি এর চেয়ে বেশি কিছু প্রত্যাশা করা উচিত? আমরা বহুবার বলেছি, ডলার মাঝে মাঝে শুধু প্রফিট টেকিং বা লং পজিশন ক্লোজ কারণে শক্তিশালী হতে পারে। কিন্তু ডলারের মূল্যের টেকসই প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা করা অবাস্তব। গত সপ্তাহেই মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামষ্টিক প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল উপেক্ষা করেছে, যার মধ্যে এমন প্রতিবেদনও ছিল যা জুলাই বা সেপ্টেম্বর মাসে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা কমিয়েছে। তাহলে কি এতে ডলার খুব একটা উপকৃত হয়েছে? অতএব, আপনি যদি দেখেন ডলার শক্তিশালী হচ্ছে, তাহলে ধরে নেওয়া যায় এটি কেবল শর্ট পজিশনের প্রফিট টেকিং এর ফলাফল—তার বেশি কিছু নয়। বিশেষ করে যেহেতু ঘোষিত শুল্ক বৃদ্ধিগুলো এখনো চূড়ান্ত হয়নি। যদিও কালকেই ৯ জুলাই, এবং ট্রাম্প ইতোমধ্যেই তিনটি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন, তবুও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বেশ হিসেবি পদক্ষেপ নিয়েছেন: তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, যেসব দেশ ৯ জুলাইয়ের মধ্যে চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হবে, তাদের ওপর শুল্ক বাড়ানো হবে—কিন্তু তা কার্যকর হবে পহেলা আগস্ট থেকে। অর্থাৎ, পরাজয়ের বাস্তবতা স্বীকার করে, ট্রাম্প আরও আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য দেশগুলোকে অতিরিক্ত সময় দিয়েছেন। এর মানে কী? ট্রাম্প সরাসরি শুল্ক বাতিল করতে পারেন না। আবার স্বীকারও করতে পারেন না যে তাঁর পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে, অন্তত আংশিকভাবে। 75টি দেশের মধ্যে মাত্র 3টি দেশ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে—এমন অবস্থায় তাঁর আরও সময় দেয়া দরকার ছিল, কিন্তু সেটা দুর্বলতা প্রকাশ না করেই। কারণ উচ্চ আমদানি শুল্ক যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও ইতিবাচক নয়, কারণ তা মুদ্রাস্ফীতি বাড়ায় এবং নিম্ন-আয়ের জনগণের জন্য আর্থিক চাপ তৈরি করে। আর মাস্কের সম্ভাব্য রাজনৈতিক দল গঠনের প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন থেকে যায়—এই অসন্তুষ্ট ভোটাররা শেষ পর্যন্ত কাকে সমর্থন করবে? অতএব, বলা যায় যে ট্রাম্প "শুল্ক ছাড়ের সময়কাল" বাড়িয়েছেন এবং আগামী তিন সপ্তাহে তিনি বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর চাপ বাড়াবেন, আরও কার্যকর চুক্তির দাবি জানাবেন। সামনে নতুন হুমকিও আসতে পারে। অস্থিরতার মাত্রা এবং টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটের পর্যালোচনা গত ৫ দিনের ট্রেডিংয়ে (৮ জুলাই পর্যন্ত) EUR/USD-এর মূল্যের গড় অস্থিরতার মাত্রা ছিল 73 পয়েন্ট, যা "মাঝারি" মাত্রার হিসেবে বিবেচনা করা যায়। আমরা মঙ্গলবার 1.1623 থেকে 1.1770 এর মধ্যে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের আশা করছি। সিনিয়র লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেল ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা নির্দেশ করছে, যা এখনো বুলিশ প্রবণতার ইঙ্গিত দেয়। CCI ইনডিকেটর ওভারবট জোনে প্রবেশ করেছে এবং একাধিক বিয়ারিশ ডাইভারজেন্স গঠন করেছে। তবে, ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যে এই সংকেতগুলো সাধারণত রিভার্সাল নয়, বরং শুধুমাত্র কারেকশনের ইঙ্গিত দেয়। নিকটতম সাপোর্ট লেভেল: S1 – 1.1597 S2 – 1.1475 S3 – 1.1353 নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল: R1 – 1.1719 R2 – 1.1841 R3 – 1.1963 ট্রেডিংয়ের পরামর্শ: এখনো EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ নীতির দ্বারা মার্কিন ডলার প্রবলভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। এছাড়াও, মার্কেটের বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী আগত প্রতিবেদনের ফলাফল ভুলভাবে বিশ্লেষণ করছে অথবা উপেক্ষা করছে, যার ফলে ডলারের বিপক্ষে প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে। আমরা এখনো মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে ডলার কেনার ব্যাপারে চরম অনীহা দেখছি, তা যে পরিস্থিতিতেই হোক না কেন। যদি এই পেয়ারের মূল্য মুভিং অ্যাভারেজ লাইনের নিচে থাকে, তাহলে মূল্যের 1.1623-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে শর্ট পজিশন বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে, যদিও বর্তমান পরিস্থিতিতে এই পেয়ারের তীব্র দরপতনের সম্ভাবনা কম। যদি এই পেয়ারের মূল্য মুভিং অ্যাভারেজ লাইনের ওপরে থাকে, তবে চলমান প্রবণতার ধারাবাহিকতায় মূল্যের 1.1841-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে লং পজিশন প্রাসঙ্গিক থাকবে। Read more: https://ifxpr.com/4nQZ54e
  19. ৭ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? http://forex-bangla.com/customavatars/2143515633.jpg সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবার বেশ অল্পসংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, যার মধ্যে কোনোটিই তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। মনে করিয়ে দিই, শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কার্যত ছুটির দিন ছিল। সোমবারও খুব একটা ট্রেডিং কার্যক্রম নাও দেখা যেতে পারে। জার্মানিতে শিল্প উৎপাদনের প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে খুব কমই ইতিবাচক ফলাফল প্রদর্শন করেছে। তবে ২০২৫ সালে এই প্রতিবেদন ইউরোর জন্য তেমন কোনো তাৎপর্য বহন করছে না, কারণ ডলারের দরপতনের মাঝে ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। সোমবার ইউরোজোনে খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে, তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এই প্রতিবেদনের ফলাফলের ট্রেডারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার সম্ভাবনা খুবই কম। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবারে একেবারেই কোনো উল্লেখযোগ্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। গত দুই সপ্তাহে ইসিবি, ফেড ও এমনকি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের (যা বেশ বিরল একটি ঘটনা) গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের বেশ কিছু বক্তব্য অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে খুব অল্প কিছু বক্তব্যই গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং সেগুলো মার্কেটের সামগ্রিক পরিস্থিতিতে কার্যত কোনো প্রভাব ফেলেনি। ইসিবি ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন, ফেডও ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন, সেইসাথে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডও একই কারণে উদ্বিগ্ন—এবং সম্মিলিতভাবে সবাই ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কের কারণে তৈরি হওয়া অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। বর্তমানে মার্কেটের ট্রেডারদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে বাণিজ্য যুদ্ধ রয়ে গেছে, যার সমাধান বা উত্তেজনা প্রশমনের কোনো লক্ষণ এখনো দৃশ্যমান নয়। নিকট ভবিষ্যতে এই উত্তেজনা আরও তীব্র হতে পারে, কারণ "শুল্ক ছাড়ের সময়কাল" শেষ হওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প ৭৫টির মধ্যে মাত্র ৩টি দেশের সাথে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। তদুপরি, ট্রেডাররা বুঝতে পারছে না যে এতে খুশি হওয়ার কী আছে, বিশেষত যদি ট্রাম্প কর্তৃক আরোপিত সকল শুল্কই বহাল থাকে। চীনের সঙ্গে চুক্তি বিষয়ক পরিস্থিতিও পুরোপুরি অস্পষ্ট—চুক্তির ঘোষণা দেয়া হলেও এর বিষয়বস্তু বা ব্যাপ্তি সম্পর্কে কিছুই প্রকাশ করা হয়নি। ভিয়েতনামের সঙ্গে চুক্তির ক্ষেত্রে তো বোঝাই যাচ্ছে না, আদৌ মার্কেটে এর কোনো প্রভাব পড়বে কিনা। উপসংহার: নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যেরই অত্যন্ত ধীর গতির মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, কারণ আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। ফলে আজও স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা পরিলক্ষিত হতে পারে, যেখানে কোনো প্রবণতাভিত্তিক মুভমেন্ট না-ও দেখা যেতে পারে। Read more: https://ifxpr.com/3I9Xnut
  20. EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৭ জুলাই http://forex-bangla.com/customavatars/1570165138.jpg ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই জিরো লাইনের বেশ উপরে উঠে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1787-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা বেশ সীমিত হয়ে পড়ে। এই কারণেই আমি ইউরো ক্রয় করিনি। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে স্বাধীনতা দিবসের ছুটির কারণে ট্রেডিং ভলিউম অত্যন্ত ছিল, যা মার্কেটকে প্রভাবিত করেছে। বর্তমানে ট্রেডাররা মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনার ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছে, যদিও এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়নি। ট্রাম্প ইতোমধ্যেই সেইসব বাণিজ্য অংশীদারদের বিরুদ্ধে নতুন করে শুল্ক আরোপের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন, যারা এখনো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে পৌঁছায়নি, যা আলোচনার ক্ষেত্রে ইউরোপীয় পক্ষের ওপর চাপ তৈরি করেছে। মার্কিন পক্ষ তাদের কঠোর অবস্থান বজায় রেখেছে। বাণিজ্য বিধিনিষেধ নমনীয় করার এবং ইউরোপীয় বাজারে মার্কিন পণ্যের প্রবেশাধিকার দেওয়ার যে দাবি করা হচ্ছে, তা কিছু ইইউ দেশের জন্য গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে, কারণ তারা তাদের জাতীয় অর্থনীতি ও উৎপাদকদের ওপর নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা করছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই আলোচনার গতি এবং কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বাড়বে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে, কারণ ৯ জুলাইয়ের সময়সীমা দ্রুতই ঘনিয়ে আসছে। আজ সকালে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সূচক প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে জার্মানির শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন, ইউরোজোনের সেন্টিক্স বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংক্রান্ত সূচক, এবং সেইসাথে ইউরোজোনের মে মাসের খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল নিঃসন্দেহে মার্কেটে প্রভাব ফেলবে এবং ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনে এই পেয়ারের মূল্যের ওঠানামা ঘটাতে পারে। জার্মানির শিল্প উৎপাদনের ওপর বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হবে, যা ইউরোজোনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়। এই প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং ইসিবিকে আরও সতর্ক মুদ্রানীতি গ্রহণে প্রণোদিত করতে পারে। সেন্টিক্স সূচক একটি নেতৃস্থানীয় অর্থনৈতিক সূচক, যা স্বল্পমেয়াদে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রবণতা মূল্যায়নে সহায়তা করবে। এই সূচকের পতন ঘটলে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে হতাশাবাদী মনোভাব এবং বিনিয়োগে হ্রাসের ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে। একই সঙ্গে, খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনের ফলাফল ভোক্তাদের ব্যয়ের অবস্থা প্রতিফলিত করবে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সবশেষে, জোয়াকিম নাগেলের বক্তব্যও গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করা হবে, কারণ এতে ইসিবির ভবিষ্যৎ মুদ্রানীতির ব্যাপারে কোনো ইঙ্গিত দেখা যেতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করব। http://forex-bangla.com/customavatars/1128954276.jpg বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1822-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1787-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1822-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের পুলব্যাকের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের মূল্যের বুলিশ মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1763-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1787 এবং 1.1822-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1763-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1728-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1787-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1763 এবং 1.1728-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি। Read more: https://ifxpr.com/4krLz43
  21. ৪ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? http://forex-bangla.com/customavatars/330388665.jpg সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবারে কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে, আজ যুক্তরাষ্ট্রে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটির দিন পালিত হবে। দেশটির সকল ব্যাংক ও স্টক এক্সচেঞ্জ বন্ধ থাকবে এবং কোনো ট্রেডিং কার্যক্রম চলবে না। ইউরোপে খোলা থাকলেও, ক্যালেন্ডারে আজ কোনো প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। ফলে আজ কারেন্সি মার্কেটে অস্থিরতার মাত্রা অত্যন্ত কম থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে একমাত্র উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট হিসেবে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দের বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হবে, যিনি গত দুই সপ্তাহে ইতোমধ্যেই পাঁচ বা ছয়বার বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য থেকে যে একমাত্র বার্তাটি পাওয়া যায়, তা হলো ইউরোজোনে ভবিষ্যত বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতির ব্যাপারে ইসিবি উদ্বিগ্ন। তাই ধরে নেওয়া যায়, ইসিবি পরবর্তী বৈঠকগুলোতেও আর্থিক নীতিমালা অপরিবর্তিত রাখবে, যা বর্তমানে ইউরোর ওপর কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলছে না। মার্কেটের এখনও বাণিজ্য যুদ্ধকেই মূল অগ্রাধিকার দিচ্ছে, যার সমাপ্তি বা সমাধানের কোনো ইঙ্গিত এখনো দেখা যাচ্ছে না। সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি চরমে পৌঁছাতে পারে, কারণ তথাকথিত "তিন মাসের শুল্কছাড়" শেষ হওয়ার মাত্র পাঁচ দিন আগে পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প ৭৫টি দেশের মধ্যে মাত্র ৩টি দেশের সাথে চুক্তিতে সই করেছেন। এর পাশাপাশি, মার্কেটের ট্রেডাররা বুঝে উঠতে পারছে না আশাবাদী হওয়ার মতো কিছু আদৌ আছে কি না, যেহেতু ট্রাম্প যেসব শুল্ক আরোপ করেছিলেন, সেগুলো এখনও বহাল রয়েছে। চীনের সঙ্গে পরিস্থিতি আরও বেশি অস্পষ্ট, কারণ একটি চুক্তির ঘোষণা দেওয়া হলেও সেটির বিষয়বস্তু বা পরিসর সম্পর্কে কিছুই প্রকাশ করা হয়নি। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের সক্রিয় মুভমেন্ট দেখা যাবে না বলে মনে হচ্ছে, কারণ আজ কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট বা প্রতিবেদন প্রকাশনা নেই এবং যুক্তরাষ্ট্রের মার্কেটগুলো বন্ধ রয়েছে। স্বাধীনতা দিবসের কারণে মার্কিন শ্রমবাজার ও বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো শুক্রবার নয়, বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হয়েছে। Read more: https://ifxpr.com/401nqtR
  22. EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৪ জুলাই http://forex-bangla.com/customavatars/1525391529.jpg ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই জিরো লাইনের বেশ নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1778-এর লেভেল টেস্ট করেছিল। তবুও, যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দিকে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত ছিল, যার ফলাফল অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের তুলনায় অনেক ভালো এসেছিল, যার ফলে এই পেয়ার বিক্রির প্রবণতা সৃষ্টি হয়। এর ফলস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য 1.1724 এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে নেমে যায়। সেই লেভেল থেকে রিবাউন্ডের ক্ষেত্রে এই পেয়ার ক্রয় করার ফলে মার্কেট থেকে অতিরিক্ত 30 পিপস মুনাফা করা সম্ভব হয়। যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার 4.1%-এ কমে যাওয়ার পাশাপাশি, ননফার্ম পেরোল সংক্রান্ত পরিসংখ্যান বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার চেয়েও ইতিবাচক আসায়, মার্কেটে আবারও মার্কিন ডলারের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি শক্তিশালী হওয়ার ইঙ্গিতে উৎসাহিত হয়ে বিনিয়োগকারীরা ঐতিহ্যগত ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেট বিক্রি করে ডলারে মূলধন স্থানান্তর করা শুরু করে। শ্রমবাজার পরিসংখ্যানের এই ইতিবাচক ফলাফল স্বল্পমেয়াদে ডলারের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করে, যেহেতু ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হারে পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে "অপেক্ষা এবং পর্যবেক্ষণের" নীতিই ধরে রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। আজ ইউরোজোনের প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদন এবং ভোক্তা ব্যয়সংক্রান্ত সূচকগুলোর দিকে দৃষ্টি থাকবে। প্রথমেই জার্মানি ও ফ্রান্সের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা শিল্পপণ্যের চাহাবাহার পরিবর্তনের প্রতিফলন ঘটায় — এটি অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। এরপর প্রকাশিত হবে ইতালির খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত পরিসংখ্যান, যা ভোক্তা কার্যক্রমের ইঙ্গিত দেয় এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচিত। সকালের সেশন শেষ হবে ইউরোজোনের উৎপাদন মূল্য সূচক (PPI) প্রকাশের মাধ্যমে, যা শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদিত পণ্যের মূল্যের পরিবর্তন তুলে ধরে এবং মূল্যস্ফীতি সূচকের পূর্বাভাস হিসেবে বিবেচিত হয়। ইউরোজোনের উৎপাদক মূল্য সূচক বৃদ্ধি পেলে সেটি ভবিষ্যতে ভোক্তা মূল্য সূচকের বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিতে পারে, যা ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক নীতিমালার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। সামগ্রিকভাবে, এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল ইউরোপীয় অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেবে এবং বাহ্যিক চ্যালেঞ্জের প্রতি এর সহনশীলতার মূল্যায়নে সহায়ক হবে। ফলাফলসমূহ ইউরোর বিনিময় হারকে প্রভাবিত করতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের দিকেই মনোযোগ দেব। http://forex-bangla.com/customavatars/302866152.jpg বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1822-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1787-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1822-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের পুলব্যাকের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1765-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1787 এবং 1.1822-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1765-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1728-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1787-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1765 এবং 1.1728-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি। Read more: https://ifxpr.com/3Ib6MSo
  23. ৩ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? http://forex-bangla.com/customavatars/921450007.jpg সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। মনে করিয়ে দেওয়া দরকার যে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজার এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদন সাধারণত শুক্রবার প্রকাশিত হয়, কিন্তু আগামীকাল যুক্তরাষ্ট্রে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হবে। তাই আজ উল্লিখিত মার্কিন প্রতিবেদনগুলো প্রকাশিত হবে এবং মার্কিন ট্রেডিং সেশনের সময় সবার আগ্রহ এই প্রতিবেদনগুলোর দিকেই থাকবে, পাশাপাশি ISM সার্ভিসেস বা পরিষেবা সংক্রান্ত PMI-এর ওপরও দৃষ্টি থাকবে। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময় কেবলমাত্র জার্মানি ও ইউরোজোনের সার্ভিসেস বা পরিষেবা সংক্রান্ত PMI-এর চূড়ান্ত অনুমান প্রকাশিত হবে—যা গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার একমাত্র উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট হিসেবে ফেডারেল রিজার্ভের সদস্য রাফায়েল বস্টিকের বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে; তবে এই সপ্তাহে ক্রিস্টিন লাগার্ড, অ্যান্ড্রু বেইলি এবং জেরোম পাওয়েল ইতিমধ্যে এতবার বক্তব্য দিয়েছেন যে মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা সম্ভবত প্রয়োজনীয় সব তথ্য ইতোমধ্যে জেনে ফেলেছে। উল্লেখ্য, এসব কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রধানদের কাছ থেকে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বা নতুন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ক্রিস্টিন লাগার্ড উল্লেখ করেছেন যে, বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে মুদ্রাস্ফীতির ফের বাড়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং জেরোম পাওয়েল ভবিষ্যতের আর্থিক নীতিমালা নির্ধারণে শ্রমবাজারকে মূল নির্ধারক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মার্কিন শ্রমবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনগুলো আজ প্রকাশিত হবে। মার্কেটের ট্রেডারদের জন্য এখনো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বাণিজ্যযুদ্ধ, যার সমাধানের কোনো ইঙ্গিত এখনো দেখা যাচ্ছে না। স্বল্পমেয়াদে এই উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে, কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন পর্যন্ত (যুক্তরাজ্য ব্যতীত) কোনো বাণিজ্য চুক্তিতেই স্বাক্ষর করেননি। চীনের সঙ্গে করা চুক্তিটিও এখনো কার্যকর হিসেবে ধরা হচ্ছে না, কারণ এর বিস্তারিত এখনো অস্পষ্ট। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত বললেও, তারা নিজেদের কিছু শর্ত উপস্থাপন করেছে, যা ট্রাম্প খুব সহজেই প্রত্যাখ্যান করতে পারেন। এছাড়াও, ইলন মাস্ক ও ট্রাম্পের মধ্যকার চলমান দ্বন্দ্বের কথা ভুলে গেলে চলবে না, যা এমন পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে যে তা গৃহবিক্ষোভ এমনকি বিপ্লবের রূপ নিতে পারে। এই ঘটনাগুলোর কোনোটিই মধ্যমেয়াদে মার্কেটের ট্রেডারদের ডলার ক্রয়ের আগ্রহকে স্পষ্টভাবে উদ্বুদ্ধ করতে পারছে না। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিকের ট্রেডিংয়ে, যেকোনো দিকেই উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট দেখা যেতে যেতে পারে, কারণ মার্কিন প্রতিবেদনের ফলাফলের ওপর মুভমেন্টের দিক নির্ভর করছে। এছাড়া, এটা মনে রাখা জরুরি যে, যেকোনো সময় ট্রাম্প এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যা আবারো ডলারের ধস নামাতে পারে। "ওয়ান বিগ, বিউটিফুল বিল" পাস হয়ে গেছে, এবং এখন ইলন মাস্কের সঙ্গে ট্রাম্পের নতুন করে দ্বন্দ্ব শুরু হতে পারে। Read more: https://ifxpr.com/44H5GGJ
  24. EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৩ জুলাই। http://forex-bangla.com/customavatars/156969200.jpg ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই জিরো লাইনের অনেক নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1759-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে তোলে। এই কারণে আমি ইউরো বিক্রি করিনি। ADP রিসার্চের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি খাতে 33,000 জন লোক চাকরি হারিয়েছে। এই তথ্যই মার্কিন ডলারের দরপতনের কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং ইউরোকে শক্তিশালী করে তোলে। বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থানের পতন মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা আরও জোরদার করেছে, যা সম্ভবত ফেডারেল রিজার্ভকে নিকট ভবিষ্যতে পুনরায় সুদের হার কমাতে প্ররোচিত করতে পারে। মূলত ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কর্মসংস্থান হ্রাসের প্রবণতা দেখা গেছে, যা পরিবর্তনশীল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সংকটের ইঙ্গিত দেয়। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ADP থেকে নেতিবাচক পরিসংখ্যান প্রকাশিত হওয়া সত্ত্বেও, এগুলো সবসময় শ্রমবাজারের সামগ্রিক পরিস্থিতিকে পুরোপুরিভাবে প্রতিফলিত করে না। মার্কিন শ্রম মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল প্রায়শই ADP থেকে প্রকাশিত পরিসংখ্যানের তুলনায় ভিন্ন হয়। এই অফিসিয়াল প্রতিবেদন আজ প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে এবং দিনের দ্বিতীয়ার্ধের পূর্বাভাসে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। এদিকে, ইউরোপীয় সেশনের সময় ইউরোজোন দেশগুলোর পরিষেবা খাত সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ PMI প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। পাশাপাশি, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত বৈঠকের কার্যবিবরণীও প্রকাশিত হবে। বিনিয়োগকারীরা এই প্রতিবেদনগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন, কারণ এগুলো ইউরোজোনের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিকল্পনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা দিতে পারে। PMI সূচকগুলো অর্থনৈতিক কার্যকলাপের গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত হয় এবং প্রধান শিল্পখাতে ক্রয় ব্যবস্থাপকদের মনোভাব প্রতিফলিত করে। অন্যদিকে, ইসিবির মিনিট বা কার্যবিবরণী ব্যাংকটির অভ্যন্তরীণ আলোচনার বিষয়ে আরও বিস্তারিত ধারণা দেবে। ইসিবির মূল্যস্ফীতি ঝুঁকি ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি মূল্যায়নের ওপর বিশেষভাবে মনোযোগ দেওয়া উচিত। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব। বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1832-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1801-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1832-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের পুলব্যাকের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1785-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1801 এবং 1.1832-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1785-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1754-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1801-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1785 এবং 1.1754-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি। Read more: https://ifxpr.com/44wyYGP
  25. ২ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? http://forex-bangla.com/customavatars/1391520897.jpg সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে এর মধ্যে কোনো প্রতিবেদনই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নয়। ইউরোজোনে বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, এবং যুক্তরাষ্ট্রে ADP প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থানের পরিবর্তনকে প্রতিফলিত করে—এই প্রতিবেদনটিকে নন-ফার্ম পে-রোলসের সমতুল্য হিসেবে ধরা হয়। নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা প্রয়োজন যে, ADP এবং নন-ফার্ম পে-রোল সংক্রান্ত প্রতিবেদন সাধারণত পরিসংখ্যান বা প্রবণতার দিক থেকে মেলে না। প্রায় একই ধরনের পরিসংখ্যান প্রতিফলিত করলেও, এই দুই প্রতিবেদন একেবারে বিপরীত ফলাফল দেখাতে পারে। মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা এ বিষয়টি ভালোভাবে জানে এবং তারা নন-ফার্ম পে-রোল প্রতিবেদনের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের উল্লেখযোগ্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের আরও একটি ভাষণ অনুষ্ঠিত হবে, যিনি গত দেড় সপ্তাহ ধরে প্রায় প্রতিদিনই বক্তব্য রাখছেন, এবং ইসিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ লেইনের একটি ভাষণও অনুষ্ঠিত হবে। তবে আগের মতোই, আমরা ইসিবির প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি প্রত্যাশা করছি না। মার্কেটের ট্রেডারদের জন্য বর্তমানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বাণিজ্য যুদ্ধ, যার সমাপ্তি বা প্রশমনের কোনো লক্ষণ এখনও দেখা যাচ্ছে না। নিকট ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও চরমে পৌঁছাতে পারে, কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন পর্যন্ত একটি বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করেননি (যুক্তরাজ্য ছাড়া)। চীনের সাথে যে চুক্তির কথা বলা হচ্ছে, সেটিকে এখনও বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না, কারণ এটি আসলে কেমন ধরনের চুক্তি—তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানা গেছে, তবে তারা এমন কিছু দাবি উপস্থাপন করেছে, যেগুলো ট্রাম্প খুব সহজেই প্রত্যাখ্যান করতে পারেন। এছাড়াও, মাস্ক ও ট্রাম্পের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বের বিষয়টিও ভুলে যাওয়া উচিত নয়, যা ভবিষ্যতে চরম আকার ধারণ করতে পারে। এই ধরনের সকল ঘটনা স্পষ্টভাবেই মার্কেটে ডলার কেনার প্রবণতা কমিয়ে দেয়। উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিং, উভয় কারেন্সি পেয়ার—EUR/USD এবং GBP/USD—মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ শেষ হয়েছে, বৈশ্বিক বাণিজ্য এখনও চলমান, এবং ট্রাম্প এমন সিদ্ধান্ত ও বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন যেগুলোর ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আশা করা কঠিন। নিকট ভবিষ্যতে ট্রাম্প অনেক দেশের ওপর আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে দিতে পারেন, কারণ কোনো বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষণ এখনও দেখা যাচ্ছে না। আমরা আগেই উল্লেখ করেছি, বাণিজ্য চুক্তি মানেই যে যুক্তরাষ্ট্র আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করবে—তা নয়। Read more: https://ifxpr.com/40mFw9V
×
×
  • Create New...

Write what you are looking for and press enter or click the search icon to begin your search