-
Posts
1,363 -
Joined
-
Last visited
-
Days Won
10
Content Type
Profiles
Forums
Downloads
Everything posted by MontuZaman
-
এনভিডিয়ার শেয়ারের মূল্য সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে http://forex-bangla.com/customavatars/453563718.jpg গতকাল নাসডাক টেক সূচকে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে দৈনিক লেনদেন শেষ হয়েছে, যার প্রধান কারণ ছিল এনভিডিয়া কর্পোরেশনের শেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা, যা ঐতিহাসিক উচ্চতায় পৌঁছেছে। এআই চিপ ও সেমিকন্ডাক্টরের শীর্ষ প্রস্তুতকারক এনভিডিয়ার স্টকের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম অব্যাহত রয়েছে এবং আবারও এটি বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানির শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করেছে। এনভিডিয়ার শেয়ারের দর 4.3% বৃদ্ধি পেয়ে $154.31-এ পৌঁছায়, যা এ বছরের জানুয়ারিতে নির্ধারিত পূর্বের সর্বোচ্চ রেকর্ডকে অতিক্রম করেছে। এপ্রিলের নিম্নমুখী স্তর থেকে কোম্পানিটির শেয়ারের দর 63% বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে কোম্পানিটির বাজার মূলধন প্রায় $1.5 ট্রিলিয়ন বেড়েছে। সর্বশেষ এই প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে এনভিডিয়ার বাজারমূল্য পৌঁছেছে প্রায় $3.77 ট্রিলিয়নে, যা মাইক্রোসফট কর্পোরেশনকে ছাড়িয়ে গেছে, যার বাজারমূল্য বর্তমানে $3.66 ট্রিলিয়ন। এনভিডিয়ার সর্বশেষ আয়ের প্রতিবেদন বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বড় অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে, যেখানে টেকসই প্রবৃদ্ধির ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও শক্তিশালী অবস্থান বজায় থাকবে বলে আভাস মিলেছে—যদিও ট্রাম্পের আরোপিত বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক আরোপের কারণে চীনে উন্নত সেমিকন্ডাক্টরের বিক্রিতে চাপ পড়ছে। কোম্পানিটির শেয়ারের মূল্যের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কয়েক মাসব্যাপী শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির চূড়ান্ত ফলাফল, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক উন্নয়নে ব্যবহৃত আধুনিক প্রযুক্তির প্রতি অসীম চাহিদা দ্বারা চালিত হয়েছে। এই দ্রুত বিকাশমান খাতে লাভবান হওয়ার প্রত্যাশায় বিনিয়োগকারীরা এনভিডিয়া ভবিষ্যতের এআই খাত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে দেখছেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এনভিডিয়ার এই সাফল্য কেবল সৌভাগ্যের উপর নির্ভরশীল নয়—কোম্পানিটি বছরের পর বছর গবেষণা ও উন্নয়নে বিপুল বিনিয়োগ করেছে, যা আজকের এই নেতৃস্থানীয় ভিত্তি গড়ে দিয়েছে। তাদের GPU আর্কিটেকচার এখন মেশিন লার্নিং এবং ডিপ লার্নিং-এর জন্য ডি-ফ্যাক্টো স্ট্যান্ডার্ড হয়ে উঠেছে, যা স্টার্টআপ থেকে শুরু করে বড় বড় টেক জায়ান্টদের জন্য অপরিহার্য। এনভিডিয়ার বুধবারের শেয়ারহোল্ডারদের সভায় সিইও জেনসেন হুয়াং বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করেছেন যে চাহিদা এখনও শক্তিশালী রয়েছে। তিনি আবারও বলেছেন, কম্পিউটিং শিল্প বর্তমানে একটি বিশাল পরিকাঠামোগত রূপান্তরের শুরুতে রয়েছে, যার চালিকা শক্তি হচ্ছে AI। মাত্র কয়েক বছর আগেও অচেনা থাকা এনভিডিয়া এখন ঘরে ঘরে পরিচিত নাম হয়ে উঠেছে এবং সম্ভবত ওয়াল স্ট্রিটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শেয়ার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে—যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাথে সম্পর্কিত প্রায় সবকিছুর প্রতিচ্ছবি। এই বছরে এনভিডিয়ার শেয়ারের দর 15% বেড়েছে, যা 2024 সালে 170% বৃদ্ধির এবং 2023 সালে প্রায় 240% বৃদ্ধির পর এসেছে। বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, এমন শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির পরেও কোম্পানিটি এখনও আকর্ষণীয় অবস্থানে রয়েছে। এনভিডিয়ার শেয়ার বর্তমানে পূর্বাভাস্কৃত ১২ মাসের আয় অনুযায়ী 31.5 গুণে ট্রেড করছে—যা তাদের গত ১০ বছরের গড় থেকে কম এবং নাসডাক 100-এর গড় 27-এর খুব কাছাকাছি। শেয়ারের PEG অনুপাত—যা প্রবৃদ্ধির তুলনায় মূল্যায়ন বোঝায়—প্রায় 0.9, যা "ম্যাগনিফিসেন্ট" কোম্পানিগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন। উচ্চ প্রবৃদ্ধি এবং যৌক্তিক মূল্যায়নের এই সমন্বয়ই এনভিডিয়া সম্পর্কে ওয়াল স্ট্রিটের ট্রেডারদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির মূল কারণ। বড় বড় অনেক বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান এখনও এনভিডিয়ার শেয়ার কেনার পরামর্শ দিচ্ছে, কারণ এটি এখনো বিশ্লেষকদের মূল্যের গড় লক্ষ্যমাত্রা থেকে প্রায় 12% নিচে ট্রেড করছে—যা ভবিষ্যতেও বুলিশ মোমেন্টামের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ব্যাংক অব আমেরিকার তথ্য অনুযায়ী, দীর্ঘমেয়াদি ফান্ডগুলোর মধ্যে 74% এনভিডিয়ার শেয়ার ধরে রেখেছে, যা অ্যামাজন, অ্যাপল, এবং মাইক্রোসফটের পিছনে রয়েছে—যেখানে মাইক্রোসফটের হোল্ডিং 91%। Read more: https://ifxpr.com/3IgFTw9
-
২৭ জুন কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট বৃহস্পতিবার, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মূলত সাইডওয়েজ মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে, যদিও সামান্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অটুট রয়েছে। এই সপ্তাহে, অত্যন্ত অপ্রচলিত পদ্ধতিতে ইউরোর ট্রেড করা হয়েছে, যেখানে ট্রেডাররা একটি অস্বাভাবিক মৌলিক প্রেক্ষাপটের মধ্যে ট্রেডিং কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, সপ্তাহের প্রথমার্ধে মার্কেটে "মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ বন্ধ করো এবং নোবেল পুরস্কার জেতো" এই বিষয়টিই বেশি প্রাধান্য পেয়েছে, যেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্প সংঘাত থামাতে যা যা সম্ভব সব করেছেন। শেষ পর্যন্ত, সংঘাত সাময়িকভাবে থেমেছে, তবে যেকোনো সময় তা আবার শুরু হতে পারে। ট্রেডাররা যৌক্তিকভাবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ডলার এখনো ধরে রাখার মতো কিছু নয়—বিশেষত যখন ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি হ্রাস পেয়েছে এবং নিরাপদ বিনিয়োগের আর প্রয়োজন নেই। সপ্তাহের দ্বিতীয়ার্ধে, পরিস্থিতি পাল্টে যায়। নতুন আলোচ্য বিষয় হয় "পাওয়েলকে বরখাস্ত করো, ফেডের সমালোচনা করো"। স্বাভাবিকভাবেই, পাওয়েল বরখাস্ত হবেন না—কারণ এই সিদ্ধান্ত কেবল কংগ্রেসের এখতিয়ারভুক্ত, আর ট্রাম্প কংগ্রেসের সাথে কাজ করতে পছন্দ করেন না। ট্রেডাররা এই নতুন "পাওয়েল বরখাস্ত হবে কি হবে না" নাটক দেখেছে এবং আবার ডলার বিক্রি করা শুরু করেছে। http://forex-bangla.com/customavatars/1542548824.jpg EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট বৃহস্পতিবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, বেশ অস্থিরতার সাথে ট্রেডিং করা হয়েছে, কারণ মার্কেটে সাইডওয়েজ কনসলিডেশন এবং আকস্মিকভাবে এই পেয়ার ক্রয়ের প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে, যার মাঝে তেমন কোনো ধারাবাহিকতা ছিল না। এই ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টগুলো সকল ক্ষেত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সাথে সম্পর্কিত ছিল না। গতকাল বেশ কয়েকটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, তবে মূল লেভেলটি 1.1700 থেকে সরিয়ে 1.1740-এ নির্ধারণ করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে, বর্তমান লেভেলগুলো কিছুটা পুরাতন, কারণ এখন এই পেয়ারের মূল্য তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেভেলে অবস্থান করছে। http://forex-bangla.com/customavatars/458945045.jpg শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘন্টাভিত্তিক চার্টে, এখনও EUR/USD পেয়ারের মূল্যের সেই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে যা ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর শুরু হয়েছিল, এবং সম্ভবত যতক্ষণ না নতুন একজন প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব গ্রহণ করেন ততক্ষণ এই প্রবণতা চলমান থাকবে। বাস্তবিক অর্থে, ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই তথ্যটাই ডলারের দরপতন হওয়ার জন্য যথেষ্ট। এমনকি যখন ট্রাম্পের পক্ষ থেকে কোনো খবর থাকে না, তার মানে এই নয় যে ডলারের দরপতন হবে না। শুক্রবার, EUR/USD পেয়ারের মূল্য আরও ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে, যেখানে নির্দিষ্ট কোনো কারণের প্রয়োজন নেই। উল্লেখযোগ্য কোনো বড় ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে না, তাই ট্রেডিংয়ের জন্য টেকনিক্যাল সিগন্যাল ব্যবহার করা যেতে পারে। ৫ মিনিটের চার্ট অনুযায়ী ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচনাযোগ্য লেভেলগুলো হলো: 1.1132–1.1140, 1.1198–1.1218, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1561–1.1571, 1.1609, 1.1666, 1.1740, 1.1802, 1.1851। শুক্রবার তুলনামূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কোর পিসিই প্রাইস ইনডেক্স বা এবং মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিতব্য কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স সংক্রান্ত প্রতিবেদন তুলে ধরা যায়। Read more: https://ifxpr.com/4lbHH8r
-
২৬ জুন কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? http://forex-bangla.com/customavatars/707705049.jpg সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার খুব অল্পসংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, এবং চলতি সপ্তাহে মার্কেটে স্পষ্টভাবে গত পাঁচ মাস ধরে চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। গতকাল জেরোম পাওয়েলের বক্তব্য ছাড়া—যা মূলত মঙ্গলবারের বক্তব্যের হুবহু পুনরাবৃত্তি ছিল—মার্কেটে নতুন করে উল্লেখযোগ্য কোনো তথ্য আসেনি। তবুও ডলার আরও 100 পিপস দরপতনের শিকার হয়েছে। তাই আজ প্রকাশিতব্য মার্কিন জিডিপি এবং ডিউরেবল গুডস অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদন মার্কেট সেন্টিমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে, এমনটা আমরা আশা করছি না। এই প্রতিবেদনগুলো প্রকাশের সময় স্থানীয়ভাবে মার্কিন ডলার কিছুটা সহায়তা পেতে পারে, তবে সেটারই বা কী গুরুত্ব রয়েছে? শুধুমাত্র এই কারণে যে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি প্রত্যাশার চেয়ে কম সংকুচিত হয়েছে, তাই বলে কি ডলারের পাঁচ মাসব্যাপী চলমান দরপতন থেমে যাবে? এমন সম্ভাবনা কম। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলির বক্তব্য, যিনি ইতোমধ্যেই সপ্তাহের শুরুতে বক্তব্য দিয়েছেন কিন্তু কোনো গুরুত্বপূর্ণ অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করেননি। একই কথা ক্রিস্টিন লাগার্দের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, যিনি এই সপ্তাহেই বক্তব্য রেখেছেন কিন্তু উল্লেখযোগ্য কিছুই জানাননি। যুক্তরাষ্ট্রে, ফেডারেল রিজার্ভের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে, এবং সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে তাদের মধ্যে অনেকে জুলাই মাসে সুদের হার কমানোর পক্ষে মত দিচ্ছেন। স্পষ্টতই, যত বেশি এই ধরনের মতামত সামনে আসবে, ডলারের দরপতনের সম্ভাবনাও তত বেশি হবে। এখনো মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের জন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয় হচ্ছে বাণিজ্যযুদ্ধ, এবং এখন পর্যন্ত যার কোনো সমাধান বা উত্তেজনা প্রশমনের ইঙ্গিত নেই। পরিস্থিতি খুব দ্রুত উত্তপ্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে, কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো পর্যন্ত (যুক্তরাজ্য বাদে) একটি বাণিজ্য চুক্তিও স্বাক্ষর করতে পারেননি। তার রাজনৈতিক জনপ্রিয়তা বর্তমানে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। http://forex-bangla.com/customavatars/331772031.jpg উপসংহার: এ সপ্তাহের চতুর্থ দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য আরও বাড়তে পারে, কারণ মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ শেষ হয়েছে কিন্তু বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধ এখনো চলমান রয়েছে। খুব শিগগিরই বোঝা যাবে যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্য ছাড়া অন্য কোনো দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করবে কি না। অনেক গুরুত্বপূর্ণ অভেন্ট সামনে রয়েছে, এবং ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকার ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। Read more: https://ifxpr.com/3HYHc2Y
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৬ জুন http://forex-bangla.com/customavatars/2006117978.jpg ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের বেশ উপরে উঠে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1622-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়ে। এই কারণে, আমি ইউরো কিনিনি এবং এই ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টটি কাজে লাগাতে পারিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের প্রতি আরও বেশি অসন্তুোষ প্রকাশ করেছেন, যার ফলে ইউরোর বিপরীতে মার্কিন ডলার দুর্বল হয়েছে। ফেডের প্রধানের বিরুদ্ধে ট্রাম্প পুনরায় সমালোচনা করায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাতন্ত্র্যতা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। এ ধরনের মৌখিক অভিযোগ এমন একটি নজির স্থাপন করেছে যা মুদ্রানীতির প্রতিষ্ঠিত নীতিমালাকে দুর্বল করছে এবং এর দীর্ঘমেয়াদি কার্যকারিতা নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করছে। তবে উল্লেখযোগ্য যে, প্রথম মেয়াদেও ট্রাম্প পাওয়েলের কর্মদক্ষতা নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন এবং প্রায়শই ফেডের সমালোচনা করতেন। মার্কিন রিয়েল এস্টেট খাত—যা ঐতিহ্যগতভাবে মার্কিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত—গতকাল মন্দার লক্ষণ দেখিয়েছে। নতুন আবাসন নির্মাণ শুরু ও আবাসন বিক্রির হ্রাস ভোক্তা কার্যক্রমের হ্রাস এবং বিনিয়োগ পরিস্থিতির অবনতি নির্দেশ করে। বাণিজ্য যুদ্ধ ও ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তার সাথে মিলে এই আবাসন খাতের দুর্বল ফলাফল অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তোলে, যার ফলে বিশ্লেষকরা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস সংশোধন করে নিম্নমুখী করছেন। আজকের দিনের প্রথমার্ধে ইউরোর মূল্য আরো ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে, কারণ একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হিসেবে জার্মানিতে জুন মাসের GfK কনজিউমার ক্লাইমেট ইনডেক্স প্রকাশিত হবে। এই সূচকটি জার্মানির ভোক্তাদের মনোভাব প্রতিফলিত করে, যা ইউরোজোনের বৃহত্তম অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সংকেত প্রদান করতে পারে। যদি সূচকটির মান পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে এটি ইউরোপীয় অর্থনীতির স্থিতিশীলতার প্রতি আস্থা জোরদার করতে পারে এবং এর ফলে ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সমর্থন পেতে পারে। দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের দিকে দৃষ্টি দেব। http://forex-bangla.com/customavatars/2080004564.jpg বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1741-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1690-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1741-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1665-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1690 এবং 1.1741-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1665-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1623-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ার বিক্রয়ের প্রবণতা ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1690-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1665 এবং 1.1623-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি। Read more: https://ifxpr.com/46dB4ha
-
২৫ জুন কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? http://forex-bangla.com/customavatars/1502583635.jpg সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। গত দুই দিনে ইউরো ও পাউন্ডের উল্লেখযোগ্য দর বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে, নতুন করে ডলারের দরপতনই যার মূল কারণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। তবে গতকাল (বিশেষ করে ইউরোর ক্ষেত্রে) অস্থিরতার মাত্রা কিছুটা কমে এসেছে, তাই আজ (যদি নতুন কোনো উচ্চ প্রভাবসম্পন্ন খবর না আসে) মার্কেটের ট্রেডাররা বিরতি নিতে পারে। ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্য ৩ বছরের মধ্যে নতুন সর্বোচ্চ লেভেলে পৌঁছেছে এবং সামগ্রিকভাবে ডলারের বিপরীতে আরও ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার জন্য প্রস্তুত। গত দুই সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্য সংঘাত একাধিকবার ডলারকে সহায়তা করেছিল, কিন্তু এই সহায়তা সত্ত্বেও মার্কিন কারেন্সির মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে ব্যর্থ হয়েছে। এই সপ্তাহে জেরোম পাওয়েল, ক্রিস্টিন লাগার্দ ও অ্যান্ড্রু বেইলির বক্তব্য থেকে নতুন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে কেবল কংগ্রেসের সামনে পাওয়েলের দ্বিতীয় বক্তব্যই কিছুটা গুরুত্বসম্পন্ন। স্মরণ করিয়ে দিই যে, পাওয়েলের প্রথম বক্তব্য গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে ফেডের চেয়ারম্যান শুধু সেই সকল বিষয়েরই পুনরাবৃত্তি করেছেন, যেগুলো ট্রেডাররা অনেক আগে থেকেই জানে: নিকট ভবিষ্যতে মূল সুদের হার কমানো হবে না; নতুন মার্কিন বাণিজ্য নীতিমালা অর্থনীতিতে কী ধরনের প্রভাব ফেলছে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা পর্যবেক্ষণ করছে; এবং নতুন করে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা হচ্ছে। আজ পাওয়েল নতুন কিছু বলবেন—এমন সম্ভাবনা খুবই কম। মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের কাছে এখনো বাণিজ্য যুদ্ধই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, যার শেষ কোথায় তা স্পষ্ট নয়। সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় সব ঘটনাই কোনো না কোনোভাবে মার্কিন ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের সুযোগে ডলার কিছুটা সহায়তা পেতে পারত, কিন্তু সেই পরিস্থিতি থেকে যতটুকু সুবিধা নেওয়া সম্ভব ছিল, তা ইতোমধ্যেই নেওয়া হয়ে গেছে। যদি বিনিয়োগকারীরা "নিরাপদ বিনিয়োগ" হিসেবে ডলারের প্রতি আস্থা না রাখে, তাহলে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার সময়েও ডলারের মূল্য বাড়বে না। উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যেরই ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ শেষ হয়েছে, কিন্তু বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধ এখনো চলমান রয়েছে। নিকট ভবিষ্যতে এটি স্পষ্ট হয়ে যাবে যুক্তরাজ্য ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্য কোনো দেশের সাথে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করে কি না। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট সামনে অপেক্ষা করছে, তবে আজ কোনোই গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। Read more: https://ifxpr.com/4k4FbPW
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৫ জুন http://forex-bangla.com/customavatars/840155348.jpg ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1621-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ইউরো ক্রয় করার জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে। এর ফলে এই পেয়ারের মূল্য মাত্র 12 পিপস বেড়েছিল, তারপরই ইউরোর চাহিদা কমে যায়। এই পেয়ারের মূল্য মাসিক উচ্চতার কাছাকাছি থাকা অবস্থায় খুব কম সংখ্যক ক্রেতাই এটির ক্রয়ের ক্ষেত্রে আগ্রহ দেখিয়েছিল। যদিও ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল গতকাল সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি, তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছিলেন আরও প্রতিবেদন প্রয়োজন—যাতে বোঝা যায়, শুল্ক বৃদ্ধির ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির গতি ত্বরান্বিত হবে কি না। পাওয়েল উল্লেখ করেন, পরিস্থিতি অনুকূলে থাকার মুদ্রানীতি দ্রুত নমনীয় করা হবে। এই অস্পষ্ট অথচ আশাব্যঞ্জক অবস্থান ফাইন্যান্সিয়াল মার্কেটে আশাবাদের ঢেউ সৃষ্টি করে। বিনিয়োগকারীরা ফেডের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিতকে ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটসহ ইউরো ক্রয়ের জন্য সবুজ সংকেত হিসেবে দেখেছে। আজ গুরুত্বপূর্ণ কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত না হওয়ায় EUR/USD-এর মূল্যের স্থিতিশীলতা এবং ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। এই পেয়ারের দর বৃদ্ধিতে সম্ভাব্য বিরতি পরবর্তী দর বৃদ্ধির জন্য সূচনালগ্ন হিসেবেও কাজ করতে পারে, কারণ বর্তমান টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটরগুলোর বিশ্লেষণে ইতিবাচক প্রবণতাই প্রতিফলিত হচ্ছে। তবে সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলোর কথাও মনে রাখতে হবে। অপ্রত্যাশিত রাজনৈতিক বিবৃতি বা ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা এই পেয়ারের মূল্যের বর্তমান গতিপথ বদলে দিতে পারে। তাই মৌলিক প্রেক্ষাপটের দিকে সজাগ দৃষ্টি এবং মার্কেট সেন্টিমেন্টে পরিবর্তনের প্রতি দ্রুত প্রতিক্রিয়াই সফলতার চাবিকাঠি হিসেবে কাজ করবে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপরই মনোযোগ দেব। http://forex-bangla.com/customavatars/1670371731.jpg বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1684-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1634-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1684-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1602-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1634 এবং 1.1684-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1602-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1531-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1634-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1602 এবং 1.1531-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি। Read more: https://ifxpr.com/45zLrvz
-
২৪ জুন কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? http://forex-bangla.com/customavatars/1542022331.jpg সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার খুব কমসংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, এবং এর কোনোটিই তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। কার্যত, উল্লেখযোগ্য বলতে কেবল জার্মানির বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্স রয়েছে — কিন্তু এখন কে আসলেই এই সূচকের প্রতি আগ্রহী থাকবে? গতকাল ট্রেডাররা জার্মানি, ইইউ, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের আটটি বিজনেস অ্যাক্টিভিটি ইনডেক্সকে সরাসরি উপেক্ষা করেছে, কারণ অন্য সংবাদগুলি এগুলোর ওপর সুস্পষ্টভাবে ছায়া ফেলেছে। আজও একই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দ এবং ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ। আবারও বলি, আমরা লাগার্দ কিংবা পাওয়েলের কাছ থেকে কোনো উল্লেখযোগ্য বিবৃতির প্রত্যাশা করছি না, কারণ ইসিবি এবং ফেডের সর্বশেষ বৈঠক খুব সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং তারপর থেকে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি যা তাদের নীতিমালায় পরিবর্তনের কারণ হতে পারে। চমক থাকতে পারে, তবে সে সম্ভাবনা কম। ট্রেডারদের কাছে এখনো বাণিজ্য যুদ্ধই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যার সমাধানের কোনো ইঙ্গিত নেই। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক গণবিক্ষোভ, ট্রাম্পের "অতি সুন্দর একটি", ৭৫টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা কতটা এগিয়েছে (বা এগোয়নি), নতুন শুল্ক আরোপ এবং বিদ্যমান শুল্ক বৃদ্ধির পরিকল্পনা। যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সংঘর্ষ থেকে ডলার কিছুটা সমর্থন পেতে পারত, যেখানে এখন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িত হয়েছে। তবে, আমাদের মতে ডলার ইতোমধ্যেই এই পরিস্থিতি থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিয়ে ফেলেছে। উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ ডলার এখন চাপের মুখে রয়েছে — একদিকে বাণিজ্য যুদ্ধ, অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত, যেখানেও যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে জড়িয়ে পড়েছে। অবশ্যই, ডলারের মূল্য চিরকাল নিম্নমুখী প্রবণতায় থাকবে না, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনো সংঘাতেরই প্রশমনের কোনো ইঙ্গিত নেই। ফলে, উভয়পক্ষ পরস্পরের ওপর হামলা চালিয়ে যেতে পারে, যা নতুন করে ডলারের দরপতন ঘটাতে পারে — ডলারকে এখন আর কেউ "নিরাপদ বিনিয়োগ" হিসেবে বিবেচনা করছে না। Read more: https://ifxpr.com/4nhgl2a
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৪ জুন http://forex-bangla.com/customavatars/895865025.jpg ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরে উঠে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1483-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ইউরো কেনার জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছে। এর ফলে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1537-এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে বৃদ্ধি পায়। আজ দিনের প্রথমার্ধে ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে, তবে এর জন্য জার্মান ব্যবসায়িক আস্থা সূচকের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশের প্রয়োজন হবে। জার্মানির শক্তিশালী সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান প্রকাশিত হলে ইউরোর মূল্য আরও একবার অতিরিক্ত ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম পাবে। বিনিয়োগকারীরা এটিকে ইউরোজোনের ইঞ্জিন হিসেবে পরিচিত জার্মানির অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার সংকেত হিসেবে দেখবে। এটি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সমর্থনের সক্ষমতার ওপর আস্থা বাড়াতে পারে। তবে, যদি প্রকাশিত প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে কম হয় বা ক্রিস্টিন লাগার্দে অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন, তাহলে ইউরোর ওপর চাপ তৈরি হতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতির কারণেও এই পেয়ারের মূল্যের আরও একটি শক্তিশালী বুলিশ মুভমেন্ট তৈরি হতে পারে, যেখানে সামরিক সংঘাতের তীব্রতা ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়া হলে তা মার্কেটের জন্য ইতিবাচক খবর হবে। দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব। http://forex-bangla.com/customavatars/1575234630.jpg বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1684-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1627-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1684-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1597-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1627 এবং 1.1684-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1597-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1554-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1627-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1597 এবং 1.1554-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি। Read more: https://ifxpr.com/4kUwpoS
-
ইরান যুক্তরাষ্ট্রকে "দীর্ঘমেয়াদি জবাব" দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে http://forex-bangla.com/customavatars/290970378.jpg মার্কিন বোমারু বিমান কর্তৃক ইরানের উপর রাতভর বিমান হামলার কয়েক ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই—ইরান থেকে ছোড়া হচ্ছে ক্ষেপণাস্ত্র। তবে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি বা সম্পদ এই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল না, বরং ইসরায়েলের উপর আক্রমণ করা হয়েছে, যা ভৌগোলিকভাবে ইরানের অনেক কাছাকাছি অবস্থিত। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আব্বাস আরাকচি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেছেন, ইরান পাল্টা জবাব দেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে। তিনি সতর্ক করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে। আরাকচির ভাষ্যমতে, শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক আইন এবং পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (NPT) সরাসরি লঙ্ঘন করেছে। ইরান যুক্তি দিয়েছে, একই যুক্তির ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের যেকোনো পারমাণবিক স্থাপনাকে "বিপজ্জনক হুমকি" আখ্যা দিয়ে আক্রমণ করতে পারে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, "জাতিসংঘ সনদ আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে বৈধ প্রতিক্রিয়ার অনুমতি দেয়। ইরান তার সার্বভৌমত্ব, জাতীয় স্বার্থ এবং জনগণকে রক্ষা করার অধিকার রাখে।" উল্লেখযোগ্য যে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচীর ইতিহাস বরাবরই ধোঁয়াশায় ঘেরা। কয়েক দশক ধরে ইরানি কর্তৃপক্ষ দাবি করে আসছে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শুধুমাত্র শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বের অনেক দেশ সন্দেহ পোষণ করে যে, ইরান পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ওয়ারহেড তৈরি করছে, যেগুলোকে "বেসামরিক গবেষণা" হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। অনেক পারমাণবিক স্থাপনাই ভূগর্ভে নির্মিত হওয়ায় বাইরের দৃষ্টিসীমা বা স্যাটেলাইটেও সেগুলো অদৃশ্য থাকে। স্বাভাবিকভাবেই গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সক্রিয় রয়েছে, এবং ইরান যে শুধুমাত্র শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যেই পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করছে—তা মনে করার বিশেষ কারণ নেই, বিশেষ করে যখন অঞ্চলটিতে ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবুও বাস্তবিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ইরানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগ থাকলেও তারা তা অস্বীকার করে এবং ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে অর্থনীতিকে চাপে রাখা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়ে চলেছে। আমার মতে, এই পর্যায়ে এসেও তেহরান স্বেচ্ছায় পারমাণবিক কর্মসূচি পরিত্যাগ করবে এমন সম্ভাবনা নেই। ইরানের তা করার জন্য প্রায় ৪০ বছর সময় ছিল। এখনও পর্যন্ত তা না করা মানেই, পারমাণবিক কর্মসূচীর উন্নয়ন অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার বা বিশ্বের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্কের চেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পাচ্ছে। ফলে, এই সংঘাত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনাই বেশি, এবং দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি আঘাত হানতে থাকবে। সোমবার ডলার কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে? এটি একটি জটিল প্রশ্ন। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মার্কিন ডলার "নিরাপদ বিনিয়োগ" হিসেবে তার অবস্থান হারিয়েছে। এখন, যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি একটি আন্তর্জাতিক সামরিক সংঘাতে জড়িয়ে গেছে। বিনিয়গকারীকে এই ঘটনাকে ইতিবাচকভাবে দেখবে কিনা বা মার্কিন মুদ্রার চাহিদা বাড়বে কিনা সে ব্যাপারে আমি সন্দিহান। Read more: https://ifxpr.com/3T4fwfd
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৩ জুন http://forex-bangla.com/customavatars/1091460339.jpg ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচের দিকে যাওয়া শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1510 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ইউরো বিক্রির জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। তবে, এই পেয়ারের উল্লেখযোগ্য কোনো দরপতন দেখা যায়নি। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলা মূলত মার্কেটে তেমন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেনি, এবং ডলারের বিপরীতে ইউরোর প্রাথমিক দরপতন দ্রুতই পুনরুদ্ধার হয়। ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার সময়েও মার্কেটে এখন অপ্রত্যাশিতভাবে স্থিতিশীলতা দেখা যাচ্ছে, কারণ এমন ঘটনাগুলো হয়তো আংশিকভাবে আগে থেকেই এই পেয়ারের মূল্যের উপর প্রভাব বিস্তার করে ফেলেছে। বিনিয়োগকারীরা এই হামলাকে সীমিত পরিসরের মনে করতে পারেন এবং এটি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সম্পর্ককে বড় ধরনের ক্ষতির দিকে ঠেলে দেবে—এমন আশঙ্কা করেননি। আজ ইউরোজোনের ম্যানুফ্যাকচারিং বা উৎপাদন সংক্রান্ত PMI প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রভাবে এই পেয়ারের ওপর চাপ তৈরি হতে পারে, যা দিনের প্রথমার্ধে প্রকাশিত হবে। এই সূচকগুলোর প্রতি ট্রেডাররা অত্যন্ত সংবেদনশীল, কারণ এগুলো অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রাথমিক সংকেত হিসেবে ধরা হয়। ম্যানুফ্যাকচারিং PMI-এর পতন মানে হতে পারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি শ্লথ হওয়া, নতুন অর্ডার কমে যাওয়া এবং ইউরোপীয় উৎপাদকদের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার অবনতি। এমন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকতে পারে, ফলে একটি নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে মার্কিন ডলার শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। তবে, অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকের বিষয়েও নজর দেওয়া জরুরি। ইউরোজোনের সার্ভিসেস বা পরিষেবা সংক্রান্ত PMI-ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। যদি পরিষেবা খাতে স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি দেখা যায়, তবে তা উৎপাদন খাতে মন্থরতার নেতিবাচক প্রভাবকে ছাপিয়ে ইউরোকে সমর্থন দিতে পারে। এছাড়া, ইউরোজোন কম্পোজিট PMI-এর প্রতিও ঘনিষ্ঠ নজর রাখা হবে, যা ম্যানুফ্যাকচারিং এবং সার্ভিসেস সূচকের গড়। এই সূচকের ফলাফল ইউরোজোন অর্থনীতি সম্পর্কে সবচেয়ে বিস্তৃতভাবে মূল্যায়ন প্রদান করে। যদি এটি ৫০ পয়েন্টের ওপরে থাকে, তাহলে তা মাঝারি গতির হলেও ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধির ইঙ্গিত দেবে, যা ইউরোর দরপতনের সম্ভাবনাকে সীমিত করতে পারে। দৈনিক কৌশল হিসেবে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করবো। বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1571-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1521-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1571-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1499-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1521 এবং 1.1571-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1499-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1458-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1521-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1499 এবং 1.1458-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি। Read more: https://ifxpr.com/3Ganq3M
-
২০ জুন কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? http://forex-bangla.com/customavatars/1481599536.jpg সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবার তেমন কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। দিনের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হিসেবে যুক্তরাজ্যের রিটেইল সেলস বা খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। জার্মানি, ইউরোজোন বা যুক্তরাষ্ট্রে আজ কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। ফলে, আজ সম্ভবত স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা বিরাজ করবে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবার ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যেও উল্লেখযোগ্য কিছু নেই। ক্রিস্টিন লাগার্ডে গতকাল কিয়েভে দুটি বক্তব্য দিয়েছেন, তবে তার কোনোটিতেই তিনি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি নিয়ে কিছু বলেননি। ইতোমধ্যে তিনটি প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে, ফলে ইসিবি, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড বা ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে শিগগিরই নতুন কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারার সম্ভাবনা কম। ট্রেডারদের মূল মনোযোগ এখনো মধ্যপ্রাচ্যের সংকটের উত্তেজনার দিকেই রয়ে গেছে। মার্কেটের ট্রেডারদের উদ্বেগের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বাণিজ্য যুদ্ধ, যা নিষ্পত্তির কোনো ইঙ্গিত এখনো নেই। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে: যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা, ট্রাম্পের "একটি অতি সুন্দর আইন", ৭৫টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি আলোচনা কতটা অগ্রসর হয়েছে কিংবা হয়নি, নতুন শুল্ক আরোপ এবং পূর্বের শুল্ক বৃদ্ধি। তত্ত্বগতভাবে, ইসরায়েল–ইরান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িত থাকার কারণে মার্কিন ডলার কিছুটা সমর্থন পেতে পারে; তবে, আমাদের বিশ্বাস ডলার ইতোমধ্যে এই ঘটনাটি থেকে সম্ভবপর সব সুবিধা আদায় করে নিয়েছে। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের সীমিত মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, কারণ কার্যত কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। তবে গতকাল উভয় পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম শুরু হয়েছে, যা ইঙ্গিত দিতে পারে যে, ডলার এখন একটি নতুন দীর্ঘমেয়াদি দরপতনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী: সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত। ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো। ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন। MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত। নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন। স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে। Read more: https://ifxpr.com/44i5r3I
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২০ জুন http://forex-bangla.com/customavatars/1440005833.jpg ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরের দিকে উঠা শুরু করে তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1484 এর লেভেল টেস্ট করে, যা ইউরো কেনার জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। তবে, এরপর পেয়ারটির মূল্য বৃদ্ধি পায়নি, যার ফলে এই ট্রেড থেকে লোকসান হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা না থাকায় এবং একাধিক এক্সচেঞ্জে ছুটি থাকার কারণে ইউরো মার্কিন ডলারের বিপরীতে শক্তিশালী হয়েছিল। তবে, এটিকে দীর্ঘমেয়াদী প্রবণতার পরিবর্তন হিসেবে দেখা ঠিক হবে না। এটি সম্ভবত বর্তমান বাজার পরিস্থিতির কারণে একটি স্বল্পমেয়াদি উন্নতি। মধ্যপ্রাচ্যে ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে দ্রুত ডলারের চাহিদা ফিরে আসতে পারে, তাই ইউরোর মূল্যের স্থায়ী বুলিশ প্রবণতার আশা করা সময় এখনও আসেনি। আজ ট্রেডাররা জার্মানির প্রোডিউসার প্রাইস ইনডেক্স বা উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI), ইউরোজোনের বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবণতা, এবং অঞ্চলটির ভোক্তা আস্থা সংক্রান্ত প্রতিবেদনের উপর মনোযোগ দেবে। অন্য কিছু কম গুরুত্বপূর্ণ হলেও উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদনের মধ্যে রয়েছে M3 মানি সাপ্লাইয়ের পরিবর্তন এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থনৈতিক বুলেটিন। ভোক্তা আস্থা সূচকের উপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে—সূচকটির পতন ঘটলে সেটি পারিবারিক অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগকে প্রতিফলিত করতে পারে, যা ভোক্তাদের মধ্যে ব্যয় করার প্রবণতা কমিয়ে দিতে পারে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে মন্থর করতে পারে। বেসরকারি ঋণের প্রবণতাও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে ব্যবসায়িক আস্থা এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির ইঙ্গিত করতে পারে, যা একটি ইতিবাচক অর্থনৈতিক সংকেত। তবে, অতিরিক্ত দ্রুত ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে সেটি অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে এবং অ্যাসেট বাবলের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। জার্মানির উৎপাদন মূল্য সূচক বা PPI মূল্যস্ফীতি নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক, যা ব্যবসায়িক খরচের চাপ এবং সেই খরচ গ্রাহকের উপর চাপিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য সম্পর্কে ধারণা দেবে। এই সূচকটি ঊর্ধ্বমুখী হলে সেটি ভোক্তা মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার সংকেত দিতে পারে। সবশেষে, ইসিবির অর্থনৈতিক বুলেটিন ইউরোজোনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তৃত ধারণা দেবে এবং সম্ভবত ভবিষ্যতের মুদ্রানীতি সম্পর্কেও ইঙ্গিত দেবে। দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ দেব। বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1571-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1533-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1571-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1514-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1533 এবং 1.1571-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1514-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1486-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1533-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1514 এবং 1.1486-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি। Read more: https://ifxpr.com/4667dHn
-
১৯ জুন কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? http://forex-bangla.com/customavatars/1115746.jpg সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। আজ একমাত্র উল্লেখযোগ্য বিষয় হবে ক্রিস্টিন লাগার্দের ভাষণ এবং নিচে বিস্তারিতভাবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। একইসঙ্গে, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার সামরিক সংঘাত—যাতে যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে জড়িয়ে পড়তে পারে—এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য-সম্পর্কিত পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে ভুলে যাওয়া যাবে না। এইগুলোই আজ উভয় ইনস্ট্রুমেন্টের মূল্যের মুভমেন্টকে প্রভাবিত করতে পারে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে, লাগার্দের ভাষণকে উল্লেখযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা যায়। এটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট হলেও, আমরা আশা করছি না যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্টের বক্তব্য থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। ইসিবির বৈঠক সদ্য অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাই আজ নতুন কোনো বিবৃতির প্রত্যাশা করার কারণ নেই। এছাড়াও, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকও উল্লেখযোগ্য, যার ফলাফল আগেই অনেকটা জানা। মূল মনোযোগের বিষয় হবে মূল সুদের হার নিয়ে ভোটের ফলাফল। ভোট বিভাজনের ধরন অনুযায়ী মধ্যাহ্নের আশপাশে পাউন্ডের মূল্যের চলমান মুভমেন্টে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে। আমরা মনে করি, বাণিজ্য যুদ্ধই ট্রেডারদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এখনো কোনো সমাধানের ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না। অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ইস্যুর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক গণ-আন্দোলন, ট্রাম্পের তথাকথিত "অতি সুন্দর আইন", 75টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় অগ্রগতি আছে কি না, নতুন শুল্ক আরোপ এবং বিদ্যমান ট্যারিফ বৃদ্ধির বিষয়গুলো। তাত্ত্বিকভাবে, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি এতে জড়িয়ে পড়লে ডলারের দর ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে, তবে আমরা মনে করি না যে এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতি থেকে ডলার উল্লেখযোগ্যভাবে সমর্থন পাবে। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিকের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা দেখা যেতে পারে। ট্রেডারদের মূল মনোযোগ থাকবে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সংঘাত এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের ফলাফলের দিকে। এর ফলে, আবারও উভয় পেয়ারের মূল্যের যথেষ্ট এলোমেলো মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। Read more: https://ifxpr.com/3G6DPGv
-
১৯ জুন কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? http://forex-bangla.com/customavatars/556553442.jpg বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট বুধবার, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত ছিল। তবে, ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের ফলাফল প্রকাশের পর মার্কিন ডলারের দর পুনরায় ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে। বর্তমানে, ডলার সামান্য শক্তিশালী হয়েছে, এবং ফেডের বৈঠকের ফলাফলকে "নীরস" ছাড়া অন্য কিছু বলা যায় না। আর্থিক নীতিমালার ক্ষেত্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। মূল সুদের হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে, জেরোম পাওয়েল আবারও "অপেক্ষা ও পর্যবেক্ষণের" অবস্থানের কথা বলেছেন, এবং ডট প্লটে আগামী দুই বছরের জন্য প্রত্যাশিত সুদের হারে খুব সামান্য পরিবর্তন দেখানো হয়েছে। ফলে, টানা দ্বিতীয় দিন ধরে বেশ অস্পষ্ট কারণে ডলারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। মনে করিয়ে দিচ্ছি যে, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রত্যেক বৈঠকে সুদের হার কমিয়েছে তবুও ডলারের দর বাড়েনি। এমনকি ফেড 2025 সালের প্রতিটি বৈঠকে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখলেও ডলারের দর বৃদ্ধি পায়নি। তাই আমরা এখনও মনে করি না যে মার্কিন মুদ্রার অত্যন্ত হতাশাজনক সময়কাল শেষ হয়েছে। http://forex-bangla.com/customavatars/1416875340.jpg EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, বুধবার অত্যন্ত এলোমেলো মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে। শুরুতেই, ফেডের বৈঠকের ফলাফল ঘোষণার আগে, এই পেয়ারের মূল্য সম্পূর্ণরূপে ফ্ল্যাট রেঞ্জে আটকে ছিল। ফলে, যেসব সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল, তার বেশিরভাগই ভুল ছিল। 1.1513 লেভেলের আশেপাশে গঠিত প্রথম দুটি সিগন্যাল ভুল ছিল, তাই পরবর্তী সব সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত ছিল। দিনের শেষে এই লেভেল সংশোধন করে 1.1527 করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে, যা ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বায়িত্ব নেয়ার পর শুরু হয়েছিল এবং সম্ভবত পরবর্তী প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব গ্রহণের আগ পর্যন্ত এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। আপাতত, কেবলমাত্র ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই বাস্তবতাই ডলারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতার বজায় রাখার জন্য যথেষ্ট। এমনকি ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সামরিক সংঘাতও ডলারের সার্বিক পরিস্থিতি তেমন প্রভাব ফেলেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট অব্যাহতভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন, চূড়ান্ত শর্ত আরোপ করছেন, শুল্ক আরোপ করছেন বা বাড়াচ্ছেন এবং ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ফলে, মার্কেটের ট্রেডাররা প্রতিদিন ডলার বিক্রি না করলেও, তারা মধ্যমেয়াদে ডলার কেনার ব্যাপারেও খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার, হয়তো EUR/USD পেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, যদিও ফেডের গতকালের বৈঠকের ফলাফল এখনো পুরোপুরিভাবে এই পেয়ারের মূল্য নির্ধারণে প্রতিফলিত হয়নি। একটি ট্রেন্ডলাইন গঠিত হয়েছে, তবে আমরা এই সম্ভাবনা সম্পূর্ণভাবে উড়িয়ে দিচ্ছি না যে ডলার ইতোমধ্যে পূর্বের নিম্ন লেভেলে—তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন লেভেলের কাছাকাছি—ফিরে যেতে পারে, এমনকি আজই এটি ঘটতে পারে। বৃহস্পতিবার ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য প্রাসঙ্গিক লেভেলগুলো হলো: 1.1132–1.1140, 1.1198–1.1218, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413–1.1424, 1.1474–1.1481, 1.1527, 1.1561–1.1571, 1.1609, 1.1666, 1.1704, 1.1802। বৃহস্পতিবারের ক্যালেন্ডারে একমাত্র উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট হলো ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দের দুটি বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে। আমরা মনে করি, এই ইভেন্টগুলো মার্কেটে বড় কোনো প্রভাব ফেলবে না, এবং ট্রেডাররা সম্ভবত ফেড ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের ফলাফলের প্রতিক্রিয়ার দিকেই মনোযোগ ধরে রাখবে। Read more: https://ifxpr.com/4ld0yPV
-
মার্কিন স্টক মার্কেটের পরিস্থিতি, ১৭ জুন http://forex-bangla.com/customavatars/994793736.jpg গতকাল নিয়মিত সেশনের শেষে, মার্কিন স্টক সূচকগুলোতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে ট্রেডিং শেষ হয়েছে। S&P 500 সূচক 0.94% বৃদ্ধি পেয়েছে, নাসডাক 100 সূচক 1.55% বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ 0.74% বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আজ সকালের ট্রেডিং সেশনে মার্কিন ফিউচার সূচকগুলোতে পতন পরিলক্ষিত হয়েছে এবং তেলের দাম বেড়েছে, কারণ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেসামরিক ব্যক্তিদের তেহরান থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন—যা আগের দিনে ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে থাকবে এমন প্রত্যাশার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। মার্কেটের ট্রেডাররা সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, এবং মার্কেটের সার্বিক অস্থিরতার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির অনিশ্চয়তা প্রতিফলিত হচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাব্য প্রভাব এবং বৈশ্বিক তেল সরবরাহে এর প্রভাব মূল্যায়ন করছে। যদি তেহরান থেকে বেসামরিক লোকজনের সরে যাওয়ার খবর নিশ্চিত হয়, তবে এটি সম্ভাব্য সংঘাতের জন্য বড় প্রস্তুতির ইঙ্গিত দিতে পারে, যার ফলে প্রধান উৎপাদনকারী অঞ্চল থেকে তেল সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বৈশ্বিক নেতাবৃন্দের এবং কূটনৈতিক সংস্থাগুলোর দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। যতদিন রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বজায় থাকবে, তেলের মূল্যের অস্থিরতা বজায় থাকবে, যা এই অঞ্চলে সম্ভাব্য পরবর্তী সংঘর্ষের আশঙ্কা প্রতিফলিত করে। এর প্রভাব শুধু জ্বালানি খাতে নয়, বরং বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপরও পড়ছে, যা ভূ-রাজনীতি ও অর্থনীতির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে তুলে ধরছে। G7 সম্মেলন থেকে ট্রাম্পের সামাজিক মাধ্যমে করা মন্তব্যের পর S&P 500 ফিউচার 0.7% কমে গেছে। তিনি ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছিলেন তা পরিষ্কার নয়, কারণ কিছুক্ষণ আগেই তিনি বলেছিলেন যে ইরান একটি চুক্তি করতে চাচ্ছে। ইউরোপীয় স্টক সূচকগুলোতেও দরপতন পরিলক্ষিত হয়েছে, এবং এশীয় স্টক মার্কেটে তেমন কোনো বড় পরিবর্তন ছাড়াই ট্রেড করা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার G7 সফরসূচী সংক্ষিপ্ত করেন এবং জানান যে তার ওয়াশিংটনে ফিরে আসার কারণ যুদ্ধবিরতির সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। স্বর্ণের দাম বেড়েছে, তবে মার্কিন ডলার এবং ট্রেজারি বন্ডের ইয়েল্ডে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে শুরু হওয়া সংঘাতের কারণে মার্কেটে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে, এবং বিনিয়োগকারীরা এই সামরিক যুদ্ধের বিস্তার ও বৃহৎ হস্তক্ষেপের ঝুঁকি বিশ্লেষণ করছে। বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি এখন প্রধানত তেলের দামের দিকে, কারণ প্যান্ডেমিকের সময়ের কাছাকাছি মূল্যে থাকা এই কমোডিটি হঠাৎ করে আবার একটি নতুন মুদ্রাস্ফীতির উৎসে পরিণত হয়েছে। এর আগে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে ইরান ইসরায়েলের সঙ্গে সামরিক উত্তেজনা কমাতে আলোচনা করতে আগ্রহী, যদিও উভয় পক্ষ এখনও পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, ট্রাম্প কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন। ব্রেন্ট ক্রুডের দর 2.7% বৃদ্ধির পর দর বৃদ্ধি এবং দরপতনের মধ্যে দোদুল্যমান ছিল। উল্লেখযোগ্য যে, মধ্যপ্রাচ্যের উৎপাদকরা হরমুজ প্রণালী দিয়ে প্রতিদিন বিশ্বের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ তেল সরবরাহ করে থাকে, এবং তেহরান যদি এই পথে জাহাজ চলাচলে বাধা দেয়, তবে তেলের দাম তীব্রভাবে বেড়ে যেতে পারে। বাণিজ্য আলোচনার দিক থেকে, কানাডার আলবার্টায় অনুষ্ঠিত G7 সম্মেলনে ট্রাম্প এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেননি। তবে, ট্রাম্প যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে পূর্বঘোষিত বাণিজ্য শর্ত বাস্তবায়ন করার ব্যাপারে একমত হন, যার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ব্রিটিশ রপ্তানির ওপর শুল্ক কমাবে এবং যুক্তরাজ্য নির্দিষ্ট মার্কিন কৃষিপণ্যের জন্য কোটা বাড়াবে। অন্যদিকে, ব্যাংক অব জাপান প্রত্যাশামতো তাদের সুদের হার অপরিবর্তিত রেখেছে এবং মার্কেটে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আগামী বছর বন্ড ক্রয়ের মাত্রা হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইয়েনের মূল্যে এর তেমন কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। আগামী দিনগুলোতে, ওয়াল স্ট্রিটের ট্রেডাররা ফেডারেল রিজার্ভের নীতিগত সিদ্ধান্তের ওপর মনোযোগ দেবে, যা বুধবার প্রকাশিত হবে। ফেডের কর্মকর্তারা সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার বার্তা দিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের কাছ থেকে ইঙ্গিত খুঁজছেন যে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভবিষ্যতে কবে ও কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে। S&P 500 সূচকের টেকনিক্যাল পূর্বাভাস: আজ ক্রেতাদের প্রধান লক্ষ্য হবে সূচকটির $6013 এর কাছাকাছি রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করা। এতে সফল হলে সূচকটির পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা $6030-এ পৌঁছানোর সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে। ক্রেতাদের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হবে $6047 এর উপরে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা, যা ক্রেতাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করবে। যদি মার্কেটে ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতা কমে যায় এবং সূচকটি নিম্নমুখী হয়, তবে ক্রেতাদের সূচকটির দরকে $5999 লেভেলে ধরে রাখতে হবে। এই লেভেল ব্রেক করা হলে সূচকটি দ্রুত $5986-এ নেমে যেতে পারে এবং সেখান থেকে $5975 পর্যন্ত যাওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত হতে পারে। Read more: https://ifxpr.com/4kNqbHs
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১৭ জুন http://forex-bangla.com/customavatars/1888561940.jpg ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1588 এর লেভেল টেস্ট করে, যা ইউরো ক্রয়ের জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। এর ফলে এই পেয়ারের মূল্য 30 পিপস বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল ইউরো ইতালির মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল থেকে কিছুটা সহায়তা পেয়েছিল, কিন্তু ক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়—যা মূলত ইরান–ইসরায়েল সামরিক সংঘাতের কারণে হয়েছে—যার ফলে এই পেয়ারের ওপর দ্রুত চাপ ফিরে আসে। আজ, যদি জার্মানি এবং ইউরোজোন থেকে (ZEW ইনস্টিটিউটের) প্রকাশিতব্য অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল ইতিবাচক হয়, তবে ইউরো সহায়তা পেতে পারে। মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমান পরিস্থিতি সূচক এবং ব্যবসায়িক মনোভাব সূচকের দিকেই বিশেষভাবে নজর দেবে, যাতে অঞ্চলটির ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা মূল্যায়ন করা যায়। ইতিবাচক ফলাফল অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত দিতে পারে এবং ইউরোর প্রতি আস্থা জোরদার করতে পারে। তবে, যদি ZEW থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশা অনুযায়ী না আসে, তাহলে ইউরো চাপের মধ্যে পড়তে পারে। ব্যবসায়িক পরিস্থিতির হতাশাবাদী মনোভাব অর্থনৈতিক মন্দার উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে এবং ইউরোপীয় মুদ্রায় বিনিয়োগের আগ্রহ কমাতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা মার্কিন ডলারের মতো নিরাপদ বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকতে পারে। বুন্ডেসব্যাংকের মাসিক প্রতিবেদনটিও গুরুত্ব বহন করবে। বিশেষজ্ঞরা জার্মানির অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা এবং সম্ভাব্য মুদ্রানীতিগত পরিবর্তন বিশ্লেষণ করবেন। যদি কোনো কঠোর নীতির ইঙ্গিত বা মূল্যস্ফীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ পায়, তাহলে তা ইউরোর মূল্যে প্রভাব ফেলতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব। বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1634-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1573-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1634-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1551-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1573 এবং 1.1634-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1551-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1491-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1573-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1551 এবং 1.1491-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি। Read more: https://ifxpr.com/3HGxbXR
-
InstaForex ফরেক্স ট্রেডার্স সামিট দুবাই ২০২৫-এ মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার অর্জন করেছে! http://forex-bangla.com/customavatars/2128490110.jpg আমরা গর্বের সঙ্গে জানাচ্ছি যে InstaForex ফরেক্স ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম বৃহৎ এক্সপো, ফরেক্স ট্রেডার্স সামিট দুবাই ২০২৫-এ “মোস্ট ইনোভেটিভ মোবাইল ট্রেডিং অ্যাপ্লিকেশন” পুরস্কার অর্জন করেছে। ফরেক্স ট্রেডার্স সামিট দুবাই হল অনলাইন ট্রেডিং খাতের অভিজ্ঞতা, ধারণা ও প্রযুক্তি বিনিময়ের একটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম। এই ইভেন্টটি ১৪–১৫ মে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হয় এবং এতে ৬,৫০০-এরও বেশি অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন — যার মধ্যে ট্রেডার, বিনিয়োগকারী, ফিনটেক কোম্পানির প্রতিনিধিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পেশাজীবীরা ছিলেন। এই বৃহৎ ইভেন্টে ডায়মন্ড স্পনসর হিসেবে অংশ নিতে পেরে আমরা সম্মানিত বোধ করছি। এটি আবারও প্রমাণ করে যে আমরা এই ইন্ডাস্ট্রিতে নেতৃত্ব দিচ্ছি। সামিট শেষে InstaForex-কে “মোস্ট ইনোভেটিভ মোবাইল ট্রেডিং অ্যাপ্লিকেশন” ক্যাটেগরিতে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এই পুরস্কার আমাদের সেইসকল মোবাইল ট্রেডিং সলিউশন তৈরির প্রতি প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন — যা অত্যাধুনিক, ব্যবহার-বান্ধব এবং নির্ভরযোগ্য। আমাদের জন্য এটি কেবলমাত্র অতীতের কাজের স্বীকৃতি নয় — এটি একটি নিশ্চিত বার্তা যে আমরা সঠিক পথে এগোচ্ছি এবং ট্রেডার ও বাজারের মূল চাহিদা পূরণ করছি। এই স্বীকৃতি এটি প্রমাণ করে যে InstaForex কেবল ট্রেন্ড অনুসরণ করে না, বরং নতুন ট্রেন্ড স্থাপন করে — এবং সেইসঙ্গে এটি এই খাতে সত্যিকারের নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। সামনে এগিয়ে যেতে আমরা আমাদের উদ্ভাবনী পণ্যসমূহকে আরও উন্নত করে ট্রেডিংকে আরও সহজ, কার্যকর ও সবার জন্য প্রবেশযোগ্য করে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ — যাতে প্রত্যেক গ্রাহক আমাদের সঙ্গে আত্মবিশ্বাসের সাথে তাদের আর্থিক ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারেন। hashtag#কোম্পানীর_সংবাদ : https://ifxpr.com/443Byno
-
- instaforex
- সামিট দুবাই
-
(and 1 more)
Tagged with:
-
ফরেক্স সামিট দুবাই ২০২৫-এ InstaForex: এক সত্যিকারের অনুপ্রেরণামূলক অভিজ্ঞতা! http://forex-bangla.com/customavatars/2123090462.jpg ১৪ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত, দুবাই বৈশ্বিক ট্রেডিং হাবে পরিণত হয়েছিল, যেখানে ফরেক্স ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম বহুল প্রতীক্ষিত ইভেন্ট — ফরেক্স সামিট দুবাই ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই এক্সিবিশনে ৬,৫০০-এরও বেশি অংশগ্রহণকারী এক ছাঁদের নিচে একত্রিত হয়েছেন, যার মধ্যে ট্রেডার, বিনিয়োগকারী, ব্রোকারেজ কোম্পানি ও ফিনটেক উদ্ভাবকরা ছিলেন। এই মাইলফলক ইভেন্টে ডায়মন্ড স্পনসর হিসেবে অংশ নিতে পেরে আমরা গর্বিত। খুব দ্রুতই এখানে অবস্থিত আমাদের বুথ (#৩১) নতুন ও অভিজ্ঞ ট্রেডারদের জন্য মূল আকর্ষণে পরিণত হয়। দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই ইভেন্টে InstaForex টিম সক্রিয়ভাবে দর্শনার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে এবং আমাদের মূল পরিষেবাসমূহ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ প্রদান করেছে — যার মধ্যে রয়েছে লো-স্প্রেড ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট, নতুন গ্রাহকদের জন্য “NDB $5,000 বোনাস” প্রোগ্রাম (যা ট্রেডারদের প্রাথমিক কোনো ডিপোজিট ছাড়াই ট্রেড শুরু করার সুযোগ প্রদান করে), এবং পার্টনারশিপের আকর্ষণীয় সুযোগ সম্পর্কিত পরামর্শ। আমাদের বুথে আগত দর্শনার্থীরা সেখানেই সরাসরি একটি লাইভ ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ পেয়েছেন এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে আমাদের $100,000 পুরস্কারসম্পন্ন লটারিতে অংশ নিতে পেরেছেন — যা একটি বড় আকর্ষণ ছিল। এই এক্সিবিশনে আমাদের আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক ছিল উদ্ভাবনী প্রযুক্তির প্রদর্শনী: একটি বহুভাষী হিউম্যানয়েড রোবট সরাসরি কথোপকথনে অংশ নিয়েছে, এবং সেইসাথে একটি রোবোটিক কুকুর বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ এবং ইন্টারঅ্যাকটিভ ফিচারের মাধ্যমে দর্শনার্থীদের মন জয় করে নিয়েছে। উদ্ভাবনের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি আরও স্বীকৃতি পায় যখন আমরা সম্মানজনক মোস্ট ইনোভেটিভ মোবাইল ট্রেডিং অ্যাপ্লিকেশনের পুরস্কার লাভ করি — এটি আমাদের অগ্রগামী প্রযুক্তি সরবরাহের লক্ষ্যে চলমান প্রচেষ্টার প্রমাণস্বরূপ, যা বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে, যেকোনো ডিভাইসে ট্রেডিংকে সহজ এবং কার্যকর করে তোলে। ফরেক্স সামিট দুবাই ২০২৫ কেবল নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করারই ইভেন্ট ছিল না — এটি একটি দৃঢ় নিশ্চয়তা যে InstaForex আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে, অনলাইন ট্রেডিংয়ের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ করছে এবং এই খাতে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করছে। আমাদের বুথে যাঁরা এসেছেন, আমাদের টিমের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং এই অসাধারণ অভিজ্ঞতা আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন, তাঁদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আমরা আগামী দিনগুলোতে আন্তর্জাতিক ইভেন্টগুলোতে আপনাদের সঙ্গে দেখা করার অপেক্ষায় রয়েছি — আরও আপডেটের জন্য আমাদের সাথেই থাকুন! #কোম্পানীর_সংবাদ: https://ifxpr.com/4kb0n7b
-
- instaforex
- ফরেক্স সামিট দুবাই
-
(and 1 more)
Tagged with:
-
১৬ জুন কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? http://forex-bangla.com/customavatars/1163695994.jpg সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবারে কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন নির্ধারিত নেই, তবে মার্কেটে খবরের কোনো ঘাটতি নেই। এই সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন যে তিনি সমস্ত আমদানি শুল্ক বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন, কারণ "কালো তালিকাভুক্ত" দেশগুলোর কোনোটিই এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বা গ্রহণযোগ্য প্রস্তাব দেয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। এর পাশাপাশি শুক্রবার রাতে ইসরায়েল ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় ধ্বংসাত্মক হামলা চালিয়েছে, যার সাথে যুক্তরাষ্ট্রেরও সম্পৃক্ততা রয়েছে। এরপর শনিবার রাতে ইরান ইসরায়েলের একাধিক শহরে পাল্টা আক্রমণ করে। "আয়রন ডোম" শত্রুপক্ষের শত শত রকেট থামাতে ব্যর্থ হয়েছে। সোমবার রাতের আগে মার্কেটে ট্রেডিং শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত আর কী কী হতে পারে তা কল্পনা করাও কঠিন, তবে এতে কোনো সন্দেহ নেই যে ট্রেডাররা এই সমস্ত খবরের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাবে—অথবা অন্তত উচ্চমাত্রায় আবেগপ্রবণ অবস্থায় থাকবে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছুই নেই। কোনো গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ নির্ধারিত নেই, তবে আজ দিনের মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ট্রাম্প ইতোমধ্যে বলেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র ইরান হামলায় অংশ নেয়নি, কিন্তু এটি আদৌ কোনো গুরুত্ব বহন করে না, কারণ সবাই জানে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সমর্থন প্রদান করে। আমাদের মতে, এখনো পর্যন্ত মার্কেটের ট্রেডারদের জন্য একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বাণিজ্য যুদ্ধ, এবং এর সমাধানের কোনো লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না। এর পাশাপাশি বর্তমানে প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো হলো—যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে গণবিক্ষোভ, ট্রাম্পের "অতি সুন্দর বিল", 75টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি আলোচনায় অগ্রগতি আছে কি না, নতুন শুল্ক আরোপ, বিদ্যমান শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা এবং ইসরায়েল-ইরান সামরিক সংঘাত। ইসরায়েল-ইরানের সংঘাত, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িত রয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে ডলার সাময়িকভাবে কিছুটা সহায়তা পেতে পারে, তবে এই বিষয়টি শুক্রবারও ডলারকে খুব একটা সহায়তা দিতে পারেনি। উপসংহার: নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে আবারও উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতা দেখা যেতে পারে। আমরা এই পেয়ারগুলোর মূল্যের মুভমেন্ট নিয়ে কোনো পূর্বাভাস দিচ্ছি না, কারণ সবকিছুই উপরোক্ত বিষয়গুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট খবরের ওপর নির্ভর করবে। টেকনিক্যাল লেভেল অনুসারে ট্রেড করা যেতে পারে, তবে ঘন ঘন রিভার্সাল এবং মূল্যের তীব্র ওঠানামার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। Read more: https://ifxpr.com/4jUXS8G
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১৬ জুন http://forex-bangla.com/customavatars/1273058767.jpg ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের অনেক নিচে অবস্থান করছিল, তখন EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.1511 -এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে যায়। এই কারণেই আমি ইউরো বিক্রি করিনি। আমি মার্কেটে এন্ট্রির জন্য আর কোনো যথার্থ এন্ট্রি পয়েন্ট পাইনি। ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান থেকে প্রকাশিত কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্সের ইতিবাচক ফলাফল পরিলক্ষিত হলেও, মার্কিন ডলার ইউরোর বিপরীতে শক্তিশালী হতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রত্যাশিতভাবেই, মার্কেটের ট্রেডাররা অন্যান্য আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূ-রাজনৈতিক অগ্রগতির দিকেই মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছে। একই সময়ে, চলমান পরিস্থিতির মাঝেও ইউরোর মূল্য স্থিতিশীলতা প্রদর্শন করছে। ইউরোর ক্ষেত্রে সমর্থন এসেছে এই প্রত্যাশা থেকে যে, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) আর্থিক নীতিমালা নিয়ে সতর্ক ও পর্যবেক্ষণমূলক অবস্থান গ্রহণ করবে। আজ দিনের প্রথমার্ধে মূলত ইতালির মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের নজর দিতে হবে। মধ্যাহ্নের দিকে জার্মানির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান জোয়াকিম নাগেলের একটি বক্তব্য নির্ধারিত আছে। ইতালির কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে এটি ইউরোজোনের সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে সীমিত প্রভাব ফেলবে বলে মনে হচ্ছে। অন্যদিকে, বুন্ডেসব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জোয়াকিম নাগেলের বক্তব্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। জার্মানি এবং ইউরোজোনের সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি, সুদের হার সংক্রান্ত নীতিমালা ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তার মন্তব্যগুলো ট্রেডারদের মনোভাব এবং ইউরোর মূল্যের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। তবে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বিবেচনায়, এখন এমনকি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বক্তব্যের গুরুত্বও গৌণ হয়ে যেতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব। http://forex-bangla.com/customavatars/1163253375.jpg বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1634-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1570-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1634-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। যদিও, আজ ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পাওয়া কঠিন হবে বলে মনে হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1532-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1570 এবং 1.1634-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1532-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1469-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ যেকোনো সময় এই পেয়ার বিক্রির প্রবণতা ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1570-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1532 এবং 1.1469-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি। Read more: https://ifxpr.com/3FYfN0k
-
ঈদ মোবারক সবাইকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা
-
৪ জুন কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? http://forex-bangla.com/customavatars/2141916562.jpg সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার খুব বেশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। অবশ্যই উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হিসেবে জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রের পরিষেবা খাতের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সূচক প্রকাশিত হবে। তবে আমরা আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই যে সোমবার মার্কেটের ট্রেডাররা এই ধরনের সূচকগুলোর প্রতি প্রায় কোনোই মনোযোগ দেয়নি। গতকাল JOLTs থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তুলনামূলকভাবে ইতিবাচক ফলাফল দেখা গিয়েছিল, যার ফলে ডলারের মূল্য ২০ পিপস বেড়ে যায়, তবে পরবর্তী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ডলার দরপতনের শিকার হয়। সুতরাং, আমাদের ধারণা অনুযায়ী, আজ শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের ISM পরিষেবা সূচকই হয়তো মার্কেটে কিছুটা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, তবে এটি সামগ্রিকভাবে মার্কেটে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাব ফেলবে বলে মনে হয় না। এছাড়াও, আজ যুক্তরাষ্ট্রে ADP থেকে বেসরকারি খাতের কর্মসংস্থান সম্পর্কিত প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে, যেটিকে প্রায়ই ননফার্ম পেরোলের "ছোট ভাই" বলা হয়। তবে ননফার্ম পেরোল ও ADP প্রতিবেদনের ফলাফল ও প্রবণতা সাধারণত একসঙ্গে পাওয়া না, তাই শ্রমবাজারের ব্যাপারে ধারণা পাওয়ার জন্য ট্রেডাররা মূলত ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের দিকেই নজর রাখবে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধিদ লাইজা কুক এবং রাফায়েল বস্টিকের বক্তব্য উল্লেখযোগ্য। তবে, আমরা পূর্বেও বলেছি, বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বক্তব্য মার্কেটে কোনো প্রভাব ফেলছে না, কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর নীতিমালা ও অবস্থান শতভাগ স্পষ্ট, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা এখন শুধুমাত্র "ট্রাম্পের গৃহীত পদক্ষেপের" ভিত্তিতে ট্রেড করছে। আমাদের বিশ্লেষণে এখনো প্রতীয়মান হয় যে মার্কেটের ট্রেডাররা শুধুমাত্র চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ নিয়েই উদ্বিগ্ন। যদি বেশিরভাগ দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নির্ধারিত সময়সীমার (যা এখন প্রায় এক মাস বাকি) মধ্যে সম্পাদিত না হয়, তাহলে ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। এমনকি নতুন করে ট্রাম্প শুল্ক আরোপ না করলেও মার্কেটে ডলারের প্রতি নেতিবাচক মনোভাবের কারণে এটি দুর্বল থাকতে পারে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালত শুরুতে ট্রাম্পের শুল্ককে অবরুদ্ধ করার আদেশ দিলেও সন্ধ্যায় আপিল আদালত সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে। পরে সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে ট্রাম্প স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর শুল্ক আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন। উপসংহার: এ সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, সম্ভবত টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতেই দুটি প্রধান কারেন্সি পেয়ারের ট্রেড করা হবে, যদি না ট্রাম্পের তরফ থেকে নতুন কোনো উচ্চ-প্রভাবসম্পন্ন খবর আসে। অতএব, আজ শান্ত বা এমনকি সাইডওয়েজ মুভমেন্টও দেখা যেতে পারে। ইউরোর মূল্যের গুরুত্বপূর্ণ রেঞ্জ হচ্ছে 1.1354 থেকে 1.1363 এর মধ্যে। অন্যদিকে, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য এখনো তুলনামূলকভাবে স্বাধীনভাবে ওঠানামা করছে। Read more: https://ifxpr.com/3HqHgYT
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৪ জুন http://forex-bangla.com/customavatars/1139408874.jpg ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের উল্লেখযোগ্য নিচে নেমে গিয়েছিল, তখন EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.1395 এর লেভেল টেস্ট করে, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে দেয়। এই কারণেই আমি ইউরো বিক্রি করিনি। ইউরোপীয় অর্থনীতি বর্তমানে একটি জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে, যার পেছনে রয়েছে মার্কিন ডলারের মূল্যের শক্তিশালী মুভমেন্ট। ডলার শক্তিশালী হওয়ার প্রধান দুটি কারণ হলো ইউরোজোনে মুদ্রাস্ফীতির হার হ্রাস এবং ট্রাম্প প্রশাসনের সুরক্ষাবাদী নীতি। যদিও মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেলে সেটি দীর্ঘমেয়াদে অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক, তবে স্বল্পমেয়াদে এটি ইউরোর দুর্বলতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রাম্প স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর শুল্ক দ্বিগুণ করে ৫০% করার সিদ্ধান্ত নেয়ায় এটি বিশেষভাবে কারেন্সি মার্কেটে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় উৎপাদনকারীদের সুরক্ষার জন্য নেওয়া এই ধরনের পদক্ষেপ ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য বাণিজ্য অংশীদারদের পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণে উৎসাহিত করতে পারে, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য দ্বন্দ্ব বাড়িয়ে কারেন্সি মার্কেটে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে, আগামীকালের বৈঠকে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট ও সমন্বিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা অপরিহার্য, যাতে ইউরোজোনের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখা যায় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোর প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান বজায় থাকে। সুরক্ষাবাদী নীতির নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় আর্থিক এবং রাজস্ব নীতির সমন্বয়ে কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন, যাতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ইউরোপীয় অর্থনীতির প্রতি আস্থার পুনঃস্থাপন সম্ভব হয়। আজ ইউরোজোনে সার্ভিসেস PMI এবং কম্পোজিট PMI প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যেগুলোর ইউরোর ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে। বিনিয়োগকারীরা এই সূচকগুলোর দিকে নিবিড়ভাবে নজর রাখছে, কারণ এগুলো ইউরোজোনের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ অন্তর্দৃষ্ট প্রদান করে এবং ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতিপথ সম্পর্কে পূর্বাভাস দিতে সহায়তা করে। যদি PMI প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে হতাশাজনক হয়, তাহলে সেটি ইউরোজোনে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাসের আশঙ্কা আরও জোরালো করবে এবং ইউরো বিক্রির প্রবণতা আরও বেড়ে যেতে পারে। দৈনিক কৌশল হিসেবে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ দিব। বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1418-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1382-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1418-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরো ক্রয় করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1355-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1382 এবং 1.1418-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1355-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1317-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। PMI সূচকের তীব্র পতন পরিলক্ষিত হলে ইউরো বিক্রির প্রবণতা ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1382-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1355 এবং 1.1317-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি। Read more: https://ifxpr.com/3HnpBRO
-
১৩ নভেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার মাত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। ইউরোজোন বা যুক্তরাজ্যে কোন গুরুত্বপূর্ণ বা স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে না, যার ফলে ট্রেডারদের মনোযোগ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদনের উপর কেন্দ্রীভূত থাকবে। এই প্রতিবেদনটি সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে ডলারের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। অক্টোবরে মার্কিন কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) 2.6% পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে, যা মার্কিন মুদ্রার জন্য অত্যন্ত অনুকূল হবে। আমরা মনে করি যে মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই এই পূর্বাভাস মূল্যায়ন করেছে। অতএব, প্রত্যাশার চেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির ঘটনা ডলারের আরও দর বৃদ্ধির প্রবণতাকে উদ্দীপ্ত করতে পারে, যেখানে দেশটির মুদ্রাস্ফীতি পূর্বাভাসের চেয়ে কম হলে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতি কমিটির কয়েকজন সদস্যের ভাষণ উল্লেখযোগ্য। তবে, মাত্র গত সপ্তাহে ফেডের সাম্প্রতিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে এই বক্তব্যগুলো থেকে সম্ভবত বড় ধরনের কোন তথ্য পাওয়া যাবে না। তদ্ব্যতীত, ডিসেম্বর মাসে সুদের হার হ্রাসে বিরতির ইঙ্গিত পাওয়া গেলে মার্কিন ডলারের মূল্য আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এই বক্তব্যগুলো মার্কিন মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের পরে অনুষ্ঠিত হবে, যা ফেডের কর্মকর্তাদের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন সম্পর্কে মন্তব্য করার সুযোগ দেবে, যা তাদের বক্তব্যগুলোকে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলবে। উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও দৃঢ়ভাবে ডলার ক্রয় করছে। তবে, মার্কিন মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদনটির ফলাফল 2.5% এর নিচে এলে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেন্সি পেয়ারের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। কোর ইনফ্লেশন বা মূল মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনের ফলাফলও উপেক্ষা করা উচিত নয়; সামগ্রিকভাবে, মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি সেটি ডলারের দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলবে। Read more: https://ifxpr.com/3URjRnd
- 1 reply
-
- অর্থনৈতিক প্রতিবেদন
- বিশ্লেষণ
-
(and 1 more)
Tagged with:
-
EUR/USD পেয়ারের পর্যালোচনা, ১৩ নভেম্বর মঙ্গলবারের বেশিরভাগ সময় ধরে EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের দরপতন অব্যাহত ছিল। এই মুহূর্তে, এটা বলা বাহুল্য যে কেন ইউরো ক্রমাগত দরপতনের শিকার হচ্ছে, কারণ আমরা বছরের শুরু থেকেই এই পেয়ারের সম্ভাব্য দরপতনের কারণগুলো উল্লেখ করে আসছি। আমরা এখনও মনে করি যে ইউরোর দরপতনের মূল কারণ হচ্ছে মার্কেটের ট্রেডাররা সম্পূর্ণভাবে ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতি নমনীয়করণের প্রভাব মূল্যায়ন করেছে। এখন ইউরোর দরপতন কোথায় শেষ হতে পারে সে ব্যাপারে পূর্বাভাস দেয়ার চেষ্টা করা যাক। এটির উত্তর দিতে, আসুন আমরা সাপ্তাহিক টাইমফ্রেম পরীক্ষা করি। সেপ্টেম্বর ২০২২-এ ১৫–১৬ মাসের বিরতিহীন বৃদ্ধির পর ডলারের দরপতন শুরু হয়, দর বৃদ্ধির সময় ডলারের মূল্য প্রায় ২৬ সেন্ট বেড়েছিল। তবে, যখন মার্কিন মূল্যস্ফীতি হ্রাস পায়, তখন মার্কেটের ট্রেডাররা ফেডের মুদ্রানীতি নমনীয়করণের প্রত্যাশা করতে শুরু করে, যার ফলে ডলারের দীর্ঘমেয়াদী দরপতন ঘটে। আমাদের দৃষ্টিতে, এই দরপতনটি একটি বৈশ্বিক নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্যে শুধুমাত্র একটি কারেকশন। অবশ্যই, প্রতিটি প্রবণতা একদিন না একদিন শেষ হয়, তবে যেকোন প্রবণতা বিপরীতমুখী হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, মৌলিক এবং দীর্ঘমেয়াদী কারণ প্রয়োজন, যা বর্তমানে বিদ্যমান নেই। এই পর্যবেক্ষণের আলোকে, ইউরোর মূল্য আবার $0.95 লেভেলে ফিরে আসতে পারে। তবে, যেহেতু এটি একটি চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা এবং আজ হোক বা কাল হোক বর্তমান প্রবণতা শেষ হবে, তাই আমরা বছরের শুরু থেকে ইউরোর মূল্য $1.00–$1.02 এর রেঞ্জে পৌঁছাবে বলে পূর্বাভাস বজায় রেখেছি। কয়েকটি উপসংহার টানা যেতে পারে কারণ ইউরোর মূল্য মাত্র দেড় মাসে ৬০০ পিপস কমে গিয়েছে। বর্তমানে মার্কেটের ট্রেডাররা ডলারের ক্রয় করছে। দ্বিতীয়ত, মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই ডলার বিক্রির সকল কারণ মূল্যায়ন করেছে এবং নতুন স্থানীয় খবর এবং প্রতিবেদন ছাড়াই তারা এটি ক্রয় করতে প্রস্তুত। তৃতীয়ত, "ডলারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা" শেষ করতে হলে যুক্তরাষ্ট্রে কোন গুরুত্বপূর্ণ এবং বিপর্যয়মূলক ঘটনা ঘটতে হবে, যা বর্তমানে অসম্ভব মনে হচ্ছে। যেমন ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায় ফিরে আসা, ডিসেম্বর মাসে সুদের হার হ্রাসে ফেডের সম্ভাব্য বিরতি, শক্তিশালী মার্কিন অর্থনীতি এবং তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল শ্রমবাজার সবকিছুই ডলারকে সমর্থন যোগাচ্ছে। জেরোম পাওয়েলের সাম্প্রতিক বক্তব্যেও তিনি "শ্রমবাজারকে সুরক্ষিত" রাখার জন্য মুদ্রানীতির নমনীয়করণ চালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেননি। অতএব, মনে হচ্ছে মার্কিন শ্রমবাজারকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য প্রয়োজন নেই। ৪ ঘণ্টার টাইমফ্রেমে, মাঝে মাঝে এই পেয়ারের দরপতন থেমে যাচ্ছে। তাই, এই পেয়ারের মূল্য ৬ষ্ঠ লেভেলের কাছাকাছি গেলে দরপতনে এমন বিরতি শুরু হতে পারে। CCI সূচকটি সম্প্রতি ওভারসোল্ড জোন প্রবেশ করেছে এবং এখন একটি "বুলিশ ডাইভারজেন্স" গঠন করতে পারে। এটি একটি ছোটখাট ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের জন্য পর্যাপ্ত মোমেন্টাম প্রদান করতে পারে। ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত, গত পাঁচ দিনের ট্রেডিংয়ে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের গড় ভোলাটিলিটি হল 133 পিপস, যা "উচ্চমাত্রার" হিসাবে বিবেচনা করা যায়। আমরা আশা করছি বুধবারে এই পেয়ার 1.0467 এবং 1.0733 এর মধ্যে ট্রেড করবে। হায়ার লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেলটি নিম্নমুখী হচ্ছে, যা বৈশ্বিক ভিত্তিতে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতার সম্ভাবনাকে আরও শক্তিশালী করছে। CCI সূচকটি সাময়িকভাবে ওভারসোল্ড সিগন্যাল দিলেও, এই পেয়ারের মূল্যের দুর্বল কারেক্টিভ ফেজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। নিকটতম সাপোর্ট লেভেল: S1: 1.0498 S2: 1.0467 নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল: R1: 1.0620 R2: 1.0742 R3: 1.0864 ট্রেডিংয়ের পরামর্শ: EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। আমরা কয়েক সপ্তাহ ধরে মধ্যমেয়াদে শুধুমাত্র ইউরোর দরপতনের পূর্বাভাস দিয়ে আসছি এবং আমাদের এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ বা নিম্নমুখী প্রবণতার পূর্বাভাস বজায় রেখেছি। মার্কেটের ট্রেডাররা সম্ভবত ফেডের সম্ভাব্য সুদের হার কমানোর বিষয়গুলো ইতোমধ্যেই মূল্যায়ন করে নিয়েছে। যদি তাই হয়, ডলারের দরপতনের জন্য আর কোন কারণ নেই—যদিও সেরকম কোন কারণ আগেও ছিল না। মূল্য মুভিং এভারেজের নিচে থাকলে, এখনও শর্ট পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে এবং লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0498 এবং 1.0467। যদি আপনি শুধুমাত্র টেকনিক্যাল বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করেন, তাহলে মূল্য মুভিং এভারেজের উপরে উঠলে লং পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে, যার লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0864 এবং 1.0986, তবে বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা লং পজিশন ওপেন করার পরামর্শ দিচ্ছি না। Read more: https://ifxpr.com/4eyI5tn